Tuesday, June 10, 2014
নগ্নতায় বাংলাদেশ
বিঃদ্রঃ-এই লেখাটিতে এমন কিছু ছবি দেয়া আছে যা প্রাপ্ত বয়স্করা ছাড়া দেখার যোগ্য না।অতএব,আপনি যদি প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে থাকেন তবেই লেখাটায় ক্লিক করেন। বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে নগ্নতা!এর মূল হোতা হলো তসলিমা নাসরিন,হুমায়ূন আজাদ,ড.জাফ্রিক্বালেরা।তারাই বলে মেয়েদের উলঙ্গ হতে বেহায়াপনা করতে।শর্ট কাপড় পড়তে!তাদের লেখা ফলো করে মেয়েরা এসব শর্ট কাপড় পরিধান করে।সাথে আরো যোগ হয়েছে আম্রিকান,ইন্ডিয়ান উগ্রবাদী সভ্যতা!মেয়েরা কাপড় পরে তাদের শরীরের অর্ধেক থাকে বের হয়ে!আচ্ছা এ কাপড় পরে লাভই বা কি? পর্দহীন একজন টিভি পর্দার মডেল অথবা নর্মাল মহিলারাই খোলা বাজারের পণ্য।যেমনটা আমাদের দেশী লেখক বেশ্যা নম্বর ওয়ান তাসলিমা নাসরিন। তাসলিমা নাসরিনের সাথে একবার যৌনমিলন করেনি এমন কোন তার চেনা লোক নেই।তসলিমার বইগুলো পড়লে জানতে পারবেন তার দেহ খেকোর রমরমা কিচ্ছা কাহীনি।তাসলিমা আর পতিতা ফারাক শুধু একটা তসলিমা একটু বেশি শিক্ষিত। আচ্ছা পাঠক একবার বলবেন কি খোসা ছড়ানো কলার দাম বেশি হবে নাকি খোসা সহ কলার দাম বেশি হবে? নিশ্চই খোসা সহ কলার দাম বেশি হবে তাই নয় কি? আমাদের দেশের মেয়েরা আম্রিকান সভ্যতাকে ফলো করতে করতে খোসা ছড়ানো কলার মতো মূল্যহীন হয়ে গেছে। তাদের কে গ্রাস করেছে তামিল,হিন্দি,আম্রিকান মুভির নায়িকাদের পোশাক! কিছু কিছু মেয়েরা আছে টাকার লোভে নগ্ন হয়!কারা তারা জানেন তো? তারা হচ্ছে আমাদের মডেল আপুরা!সামান্য কয়েকটা টাকার জন্য হাজার,লক্ষ মানুষকে তার লজ্জাস্থান দেখায়! নিজের লজ্জা দেখিয়ে পয়সা কামাই করে!যেমনটা পতিতারা করে তাদের ইজ্জত বিকিয়ে! হায় হায় আমরা কি রক্ষা পাবনা এ থেকে?রক্ষা পাবো কি পাবোনা সে নিয়ে ভাবিনা। শুধু অনুমান করে বলতে পারি, ২০৩০সালে বাংলাদেশী মেয়েরাও বিকিনি পরে রাস্তায় ঘুরবে। চেতনায় ম্রিওমান হও বাঙ্গালী ২০৩০টা হবে সেই জাহেলী যুগ।
Monday, June 9, 2014
বল পোন্দে মাতরম (সম্পুর্ন)
"বল পোন্দে মাতরম"
-ওরে ও চাঁদু দাদা তোরা সব নেহাত্ ভাদা, গায়েতে ছুড়বি কাঁদা, করে দেবো পেট্টা ছ্যাদা। তোরা সব দাড়ায়ে চ্যাতনায় স্বাদের ধন কাঁকে খায়, পড়েছি ভেষম দায়, জাত গেল হায়!হায়!হায়! বল পোন্দে মাতরম, জাত যায়,জাত যায়! * মূর্তি গুলো ভিষন বোকা বোঝেনা মনের কথা, এ আবার কেমন বিধাতা? বল পোন্দে মাতরম,ছিড়ে ফেল ইতিহাসের পাতা। চলে যা ভারত বাড়ি, ভেঙ্গে ফেল ধম্ম জাড়ি! মদ্দ বোতল সাড়ি সাড়ি, একটা লিয়ে লে, বল বিধাতা,হাত জোড় করি আমায় কিছু দে। তোরা সব মদ্দ মাতাল, আমায় জানি,বলবি চারাল? ইতিহাস ও কি করবি আড়াল? তোরা সব ঠগীর দোসর, ঠগীর সাথে করিস বাসর। সত্য বলি নাই কো কসুর! আজ্ঞে মাফ করবেন সত্য বলে ফেলেছি বাপুরাম, বল পোন্দে মাতরম। সত্য বলি নাইকো ভয়, হেঁদু হলে জীবন ক্ষয়! জাতীভেদে বাধা শালা- ব্রাহ্মন দেয় কানে ডলা! নিচু জাত আর করবি কত ঢং? বল পোন্দে মাতরম। খায় খায় সব রামায় খায়, শীতারে না একটু দেয় , নারী হায় কলঙ্কিনী! হেঁদুদের এই নিয়মনীতি। বিধাতায় কয় খাস কি বাপু? নিম্ন জাত ব্রাহ্মনের গোলাম, সমস্বরে বলি আসো পোন্দে মাতরম! হায় হায় হায় করে একি, ধোপার মেয়ে ঘরের বৌঝি? ছ্যাঃ ছ্যাঃ ছ্যাঃ জাত গেল জাত গেল! শালী কেন জন্মের সময় নিচু জাত হয়ে জন্মালি? দেবী তো রেগেই আগুন, পায়ের তলায় স্বামীই খুন! ভক্তরা সব জাতেই মাতাল, বল রম রম রম বল পোন্দে মাতরম! খেতে গেলে হজমী দেবী, পড়তে গেলে বিদ্যা দেবী, টাকা পয়সায় ধন দেবী, টয়লেটেও কি একই তিনি? দেবীর সামনে ধর্ষনলীলা, ছোট ছেলের মুন্ডু কাঁটা, হায় দেবী নাম জপি, দেবী কি তোর তাহলে বিশ্ব ডাকাতনী? দুধ নারকেল উজাড় করি , দেবী খাবে নারকেল নাড়ু, হায় দেবী রাক্ষসী তুই সব খাবি? আমরা খাব কি? রম রম রম ছ্যাঃ কি অলুক্ষুনে কথা, কেঁটে নেবো তোর মাথা! দেবীকে দে পুত পুত পুত নম নম নম! সমস্বরে বলনা কেন পোন্দে মাতরম বল পোন্দে মাতরম।
লেখকঃ-সজল আহমেদ
Sunday, June 8, 2014
হিন্দু আর তাদের মোল্লা বিদ্বেষ
নোটিশ নামাঃ-হ্যালো পাঠক আপনি যদি হিন্দুত্ব মালুত্ববাদী কেহ হইয়া থাকেন তহা হইলে এই লেখাটা আপনার জন্য নহে।এইলেখাটা ক্লিক না করাই আপনার জন্য শ্রেয়। ধন্যবাদ।
কবি নজরুল তুমি করিয়াছ ভুল দাড়ি না রাখিয়া রাখিয়াছো চুল। রবীন্দ্রনাথ মালু* মাথায় ভরা গোবর আলু, মাগার কবিতাতে ভাল!
ছোট বেলায় এই ছড়াটা আওড়াতাম।আরো আওড়াতাম,হাট্টিমা টিম টিম, তারা মাঠে পারে ডিম- তাদের খাড়া দুটি শিং
ছোটবেলায় হিন্দু বন্ধুবান্ধবকে ডাকতাম মালাউনকা বাচ্চা বলে। ১৬র দশকে হিন্দুদের বিদ্বেষ নয় জাত হিসেবে আদর করে মুসলিম রাজা বাদশাহ্ বিধর্মীকে ডাকত মালাউন বলে।তাদের ফলো করে আমরা শুরু করলাম মালু ডাকা।তবে আমরা শুধু হিন্দুদের ডাকি,যার মূল কারন হলো হিন্দুদের আচরন মালুর মতোই।মালু ডাকাটা তাদের কাছে গালির মতো ঠেকতো তাই তারাও আমাদের মোল্লা ডাকতে শুরু করল।সাধারনত মোল্লা আমরা মৌলভীদের ডাকা হয়।সেই নামটা পুরো মুসলিমকে ডাকে তারা,এটা আমাদের সৌভাগ্য বলতে পারেন। ভারতে মোল্লারা হিন্দুত্ত্ব বাদীদের কাছে চীর শত্রুর মতো! আমার কথার সত্যতার টের পাবেন "আসামের"দিকে তাকালে। হিন্দুরা নরপিশাচের জাত,কুলাঙ্গারের জাত।তারা মোল্লাদের শুধু হত্যা নয় ধর্ষন করে মোল্লা মা বোনদের! মুখের কথা নয় প্রমাণাদি সহ দেখাই,২০০৩সালে মালু জাতের নেতা নরেন্দ্র মোদী লিড দিয়ে ২লক্ষ মোল্লাকে মেরেছে! জ্বালিয়ে দিয়েছে মোল্লাদের ঘরবাড়ি,বিধবা করেছে মোল্লার স্ত্রী!মোল্লার যুবতী মেয়েকে ঘর থেকে টেনে নিয়ে ধর্ষন করেছে খাসা কু জাত মালুরা! নরেন্দ্রমোদী বলেছিল,কুকুর মরলে কষ্ট পাবো মুসলিম মরলে না।
মোল্লার দোষ ছিল শুধু ভারতে বাস করা।আর নিজেকে মুসলিম দাবী করা। আমরা ফিরে তাকাতে চাই বাংলাদেশী মালুদের দিকে,কোন মালু কি বলতে পারবে একমাত্র ধর্মীয় কারনে কোন মালু খুন হয়েছে? অথবা কেউ হিন্দু দাবী করেছে বলে তাকে খুন অথবা গনধোলাই দেয়া হয়েছে?
কেউ পারবেনা।হয়তবা জমিজমা আর না হয় অন্য কোন ফ্যাসাদে দুএকটা হিন্দু খুন হয়েছে তাও আবার সন্ত্রাসীদের হাতে!আমরা চেয়েছি সাম্য,ঐক্য কিন্তু ভারতের মালুরা যা শুরু করেছে তাতে সাম্য ঐক্য তো দূরে থাক এখন হিন্দু দেখলেও মনে চায় এদলা থুথু মারি তার মুখে। মোল্লা হত্যা ভারতের একটি সরকারী নিয়মই ধরা যায়! মুসলিম নারীদের হত্যা তাদের ধর্ষন এবং মুসলিম শিশু পুড়িয়ে হত্যা করেছে মালুরা!কতটা বর্বর এই জাত একবার চিন্তা করেন। মালাউনরা যেমন বর্বর তাদের তথাকথিত ভ্যাগাবানরাও তেমনি হিংস্র বর্বর! আপনি ভগবতী গীতা পাঠ করলে বুঝবেন কতটা বর্বরা তাদের ভগবানরা!শিয়াদো আলজেব্রা রাক্ষসের মত হিংস্র তাদের রামা গপ্পের নায়ক! হিন্দুদের দেখলে আমার ঘেণ্যায় বমি আসে!কেননা ওরা মালুরা একেকটা গিদার জাত!একেকটা রাক্ষস কালির বংশধর![bg=#FF0000] বাংলাদেশের যে হিন্দুগুলা আছে শালারা প্রত্যেকটা হচ্ছে বেঈমান,শালারা খায় বাংলার,পড়ে বাংলার দালালী করে ভারতের।ভারতের উগ্রবাদী হিন্দুদের সাথে একত্রিত হয়ে শালা মালুয়ান্রা গালাগালি করে বাংলাদেশকে ।বিকৃত করে আমাদের পতাকাকে! বিভিন্ন দিক দিয়ে দেখলে এই মালাউন্রা একেকটা বেঈমানের জাত!একবার মালাউনদের মনে পরেনা এই মোল্লারাই তাদের ৭১ এ পাকিস্তানীদের থেকে বাঁচিয়েছে।১৪০০খ্রীঃ এই মোল্লার তাদের জলদস্যু মগ হইতে বাঁচাইছে।ধিক্কার মালু জাতীকে ধিক্কার![/bg] আরো পড়ুনঃ- ←হেঁদু সমাচার১ম পত্র| ←হেঁদু সমাচার ২য়পত্র| ←হেঁদু সমাচার ৩য় পত্র| ←হেঁদু সমাচার ৪থপত্র| ←হেঁদু সমাচার শেষ পত্র| ←হেঁদু তত্ত্ব|
Friday, June 6, 2014
আর নয় ভ্রুন হত্যা!একটি ভ্রুনই হতে পারে আপনার বৃদ্ধ বয়সের লাঠি।
স জ ল আ হ মে দ (সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ-এখানে একটা ছবি এবং একটি ঘটনা উল্লেখ করা আছে যা দুর্বলচিত্তের পাঠকরা না দেখলেই ভাল হয়,বিশেষ করে যাদের হার্টের রোগ আছে।এর পরও যদি পাঠক এই লেখাটা পড়তে উদ্যত হয় তবে তিনি তার নিজ দ্বায়িত্বে পড়তে পারেন।এর জন্য লেখক কোন ভাবেই দায়ী থাকবেনা।) যুগে যুগে মানুষ যত ডিজিটাল হচ্ছে ততই তারা এগুচ্ছে মানুষ ও হচ্ছে ডিজিটাল! নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশাও বাড়ছে তত।ভূয়া প্রেমের জালে ফেঁসে হয়ে অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হচ্ছে পুরুষ নারী ,ফলে নারীর গর্ভে পয়দা হচ্ছে অবৈধ সন্তান!নারী ঘুরে বেড়ায় পেটে পিতৃপরিচয়হীন অবৈধ বাচ্চা নিয়ে।কিভাবে সমাজে মুখ দেখাবে তারা মগ্ন হয়ে পরে সেই চিন্তায়।এক সময় লিপ্ত হয় ভ্রুন হত্যার মত পৈশাচিক কাজে! একটা ভ্রুনকে যে কিভাবে হত্যা হয় তা জানালে পাঠকদের হৃদয় দুঃখে ঘৃণায় ভরে উঠবে ভ্রুন হত্যাকারী ডাক্তার এবং ঐ অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারী নারী পুরুষের উপর! ভ্রুন যে শুধু অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারী নারীই হত্যা করে তা নয় বৈবাহিক সম্পর্কে লিপ্ত অর্থাত্ দম্পতিরাও হত্যা করে।হয়তবা তিনি যেসময় বাচ্চা নিতে প্রস্তুত নও সেই সময় স্বামী স্ত্রীর অসাবধনতার ফলে সময় ছাড়াই গর্ভ হয়ে যায়।ফলে তারাও লিপ্ত হয় ভ্রুন হত্যায়। একটি ভ্রুন যেভাবে হত্যা করা হয়ঃ- আমার পরিচিত এক ডাক্তার বন্ধু যেভাবে বর্ণনা দিয়েছে পাঠকদের সামনে ঠিক সেইভাবেই তুলে ধরলাম। প্রথমে ঐ অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারী অথবা নারীকে অচেতন করা হয়,এরপর তার গর্ভ থেকে একটা উপায় অবলম্বন করে(উপায়টা লিখতে অসস্তিবোধ করছি।)বাচ্চাটার মাথা বের করা হয় এরপর বাচ্চাটার ঘাড়ের রগ ধারালো কাঁচি দিয়ে কেঁটে দেয়া হয়!(কি নির্মম!)।ঐ বাচ্চাটাকে পুরোপুরি গর্ভ থেকে বের করতে নিষ্পাপ শিশুটির হাত পা কাঁটা হয় ঠিক যেভাবে আমরা মুরগীর বাচ্চার পা কাঁটি!(কি নির্মম!) এরপর ঐ নিষ্পাপ শিশুটির খন্ডিত দেহ ফেলে দেয়া হয় কোন ডাস্টবিনে এবং ঐ মৃত শিশুর দেহটি তৈরী হয় শেয়াল কুকুরের খাবার হিসেবে!ছিঃছিঃছিঃ কত নির্মম কাজ মানুষ করতে পারে! একটা জিনিস জানলে আশ্চর্য না হয়ে পারবেননা,এই রকম ভ্রুন আবার খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয় চীনে! চীনের কিছু মানুষ শিশুদেরকে খেয়ে ফেলে। কেন জানেন? নিজেদের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য।মৃত শিশু ও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গর্ভপাত ঘটানো অপূর্ণাঙ্গ ভ্রুন বা ফিটাসের স্যুপ তৈরি করা হচ্ছে মানুষের খাওয়ার জন্য! সেখানকার পুরুষরা তাদের শারীরিক স্বাস্থ্য ও যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য ভেষজ শিশু স্যুপ (herbal baby soup) খেয়ে থাকে!একজন মহিলা একটি ছুরি দিয়ে ছেলে শিশু ভ্রূণ কেটে কুচি কুচি করছেন ও সেটি দিয়ে স্যুপ তৈরি করছেন। আর আশেপাশে মানুষকে এই বলে আশ্বস্ত করছেন যে, ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এটি “প্রাণীর মাংস”। একটি ঘটনা না বল্লেই নয়, চীনের এক দম্পতির ইতোমধ্যেই একটি কন্যাসন্তান ছিল। মহিলাটি সন্তান-সম্ভবা ছিলেন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারলেন তার দ্বিতীয় সন্তানটিও মেয়ে হতে যাচ্ছে। ততদিনে তার গর্ভস্থ সন্তানের বয়স ৫ মাস। তিনি ও তার স্বামী গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেন। স্বাভাবিকভাবে কোন শিশু যদি ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই মারা যায় তবে তাতে ২০০০ ইউয়ান খরচ হয়, সেখানে গর্ভপাত করাতে খরচ হয় মাত্র কয়েকশো ইউয়ান। তবে যারা মৃত শিশু বিক্রি করতে চান না, তারা প্লাসেন্টা বা অমরা বিক্রি করতে পারেন ইচ্ছা করলে। পরে তিনি সেটাকে ভ্রুন দিয়ে স্যুপ বানানোর কারখানায় বিক্রি করে দিলেন। অনেক চীনাদের কাছে মানব ভ্রূণ ভক্ষণ করা নাকি এক ধরণের শিল্প! কত নির্মম নিষ্ঠুর তারা! চাইলেই কি মা বাবা হওয়া যায়? অনেকে আছেন যারা সৃষ্টিকর্তার কাছে একটা বাচ্চার জন্য চীর জীবন মাথা ঠুকলেও একটা বাচ্চা পাননা,আবার অনেকে হত্যা করে ফেলে তার স্বাদ আহ্লাদের সন্তানটিকে! যার ভ্রুন খুনি তারা একবার ও চিন্তা করেন না,তারাও একসময় তার গর্ভে থাকা ঐ ভ্রুনটির মত ছিল তখন যদি তার পিতা মাতা তাকেও হত্যা করে ফেলত ভ্রুন খুনি ডাক্তার নামক কসাইয়ের মাধ্যমে? ভ্রুন হত্যা বন্ধ করতে হলে আগে বন্ধ করতে হবে অবৈধ যৌনকর্ম।অতঃপর দম্পতিদের বাচ্চা নেয়ার ব্যাপারে হতে হবে সচেতন অর্থাত্ বাচ্চাটি কখন নিবে তা আগে ভালভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।ভ্রুন হত্যাও খুনের শামিল তাই সরকারকে ভ্রুন হত্যার বিষয়ে কড়া আইন প্রয়োগ করতে হবে। আসুন আমরা ভ্রুন হত্যা বন্ধ করি এবং সকলকে বুঝিয়ে বলি"একটি ভ্রুন আগামীর ভবিষ্যত্,তাদের কে পৃথিবীর সুন্দর আলোটুকু দেখতে দিন।তাদেরকে হত্যা করা বন্ধ করে দিন।হতে পারে, আপনার বৃদ্ধ বয়সে সেই হবে আপনার হাতের লাঠি"।
Wednesday, May 28, 2014
স্মরনে কবি নজরুল
স জ ল আ হ মে দ স্মরনে কবি নজরুল পারিবারিক সীমাহীন দুঃখ দুর্দশার মধ্যেও যিনি আজীবন বাংলা কাব্য ও সাহিত্য চর্চায় কাব্য ও সাহিত্যে চর্চায় ব্রতী ছিলেন,যিনি ছিলেন বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী,যিনি বাংলা কাব্য ও সাহিত্যে প্রচণ্ড বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন,যিনি দেশের স্বাধীনতা মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্যে জালেম শাসক গোষ্ঠীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কারাগারে বন্দী জীবন কাটিয়েছিলেন।যার কাব্য ও সাহিত্যে ইসলামী ও ঐতিহ্য বলিষ্ঠ ব্যঞ্জনায় মূর্ত হয়ে উঠেছে,যার কবিতায় ,হামদ ,নাত,গজল ও ইসলামী গান প্রায় প্রতিটি বাঙ্গালী মুসলিমের হৃদয়কে করেছে জাগরিত,যিনি ছিলেন একধারে শ্রমিক ,সৈনিক,কবি ,সাহিত্যিক,অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী এবং একজন খাঁটি দেশ প্রেমিক তাঁর নাম কাজী নজরুল ইসলাম। (জন্মঃ-১৩০৬সালের১১ই জৈষ্ঠ মোতাবেক ১৮৯৯সালের ২৫মে বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে।কবি নজরুলের জীবনি সম্বন্ধে না জানে এমন কাউকে দেখিনা তাই তার জীবনি সম্বন্ধে লিখা প্রয়োজন মনে করিনা) বাল্যকাল কাঁটে কবির সীমাহীন দুঃখ কষ্টে! কবি নজরুল পারেননি উচ্চশিক্ষিত ১১১৯সালে কবির একনিষ্ঠ সাহিত্য রচনা শুরু হয়। ১৯২১সালে মাত্র ২২বছর বয়সে তিনি রচনা করেন তার বিখ্যাত অমর কবিতা 'বিদ্রোহী'যা বাংলা সাহিত্যে তাঁকে বিদ্রোহী কবি হিসেবে অমর করে রেখেছে। কবি বল বীর বল চির উন্নত মম শির শির নেহারি নত শির ওই শিখর হিমাদ্রির। ১৭৯৭সালে লর্ড কর্ণওয়ালিশের প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসক গোষ্ঠী এ দেশের বিশেষ করে মুসলমান কৃষকদের ক্রমান্বয়ে নিঃস্ব করে ফেলেছিল।মুসলমান কৃষকরা তাঁদের জায়গা জমি ও বাড়ি ঘর সব হারিয়ে প্রায় পথে বসেছিল।কবি নজরুল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকচক্রের বিরুদ্ধে এদেশের কৃষক সমাজকে বিদ্রোহ করার আহবান জানান। তিনি সর্বহারা কাব্যগন্থে 'কৃষকের গান'নামক কবিতায় লিখেছেন।বর্তমানে সেটা বাংলার রণসঙ্গীতঃ চল্ চল্ চল্ উর্ধ্ব গগণে বাজে মাদল, নিম্নে উতলা ধরণী-তল, অরুণ পাতে তরুণ দল চল্- রে চল্-রে চল। চল্ চল্ চল্।। ইসলামি আদর্শ এবং মুসলিম ঐতিহ্যের রূপায়নে নজরুলের অবদান অবিস্মরণী তিনি খেয়াপারাপারের তরণী কবিতায় লিখেছেন:- আবু বকর,উসমান,উমর আলী হায়দার, দাড়ী যে এ তরণীর,নাই ওরে নাই ডর। কান্ডারী এ তরীর পাকা মাঝি মাল্লা, দাড়ী মুখে সারী গান-লা শরীক আল্লাহ। কারবালার মর্মান্তিক বিয়োগান্ত ঘটনা কবি নজরুল কি সুন্দর ভাবে তাঁর কাব্যে ফুটিয়ে তুলেছেন- নীল সিয়া আসমান লালে লাল দুনিয়া। আম্মা!লাল তেরি খুনকিয়া খনিয়া কাঁদোকোন্ ক্রন্দসী কারবালা ফোরাতে সে কাঁদনে আসু আনে সীমারের ছোড়াতে। ইসলামী আদর্শ ও মুসলিম জাতির স্বরুপ ব্যাখা করতে গিয়ে তিনি লিখেছেন- ধর্মের পথে শহীদ যাহারা,আমরা সেই সে জাতী। সাম্য মৈত্রী এনেছি আমরা বিশ্বে করেছি জ্ঞাতি আমরা সেই সে জাতী। কবির আল্লাহর প্রতি ছিল অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাস তাইতো তার শুকরিয়া জ্ঞাপন করে তিনি লিখেছেন- এই সুন্দর ফুল সুন্দর ফল মিঠা নদীর পানি খোদা তোমার মেহের বাণী।। এই শস্য শ্যামল ফসল ভরা মাটির ডালি খানি খোদা তোমার মেহের বাণী।। তুমি কতই দিলে মানিক রতন ভাই বেরাদার পুত্র স্বজন ক্ষুধা পেলে অন্ন জোগাও মানি না মানি খোদা তোমার মেহের বাণী। তিনি ইসলামের মৌলিক ইবাদত ও বিধানকেও বাংলা কাব্যে যথাযথভাবে প্রয়োগ করেছেন। তিনি লিখেছেন- মসজিদে ঐ শোন রে আযান,চল্ নামাযে চল্, দুঃখে পাবি সান্ত্বনা তুই বক্ষে পাবি বল। ওরে চল নামাযে চল্। ........................... ........................... তুই হাজার কাজের অছিলাতে নামায করিস কাজা, খাজনা তারে দিলি না,যে দিন দুনিয়ার রাজা। তারে পাঁচ বার তুই করবি মনে তাতেও এত ছল ওরে চল্ নামাযে চল্। ১৯৪২সালে কবি এক দূরহ রোগে আক্রান্ত হয়ে বাকশক্তি হারান।১৯৫৩সালে চিকিত্সার জন্যে কবিকে লন্ডন পাঠানো হয় কিন্তু সেখানেও কবির রোগমুক্ত করা সম্ভব হয়নি।তারপর ১৯৭২সালে তাঁকে বিদেশ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানীতে আনা হয় এবং ঢাকার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করাহয়।দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ১৩৩৮বাংলা সালের১৩ই ভাদ্র ১৯৭৬ইং সালের ২৯শে আগষ্ট এ বিখ্যাত মনীষী পিজি হাসপাতালে মৃত্যু বরন করেন।মৃত্যুর আগে তিনি অছিয়ত করে গিয়েছিলেন, মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিও ভাই। যেন গোরে থেকেও মুয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই।। .................. আমার গোরের পাশ দিয়ে ভাই নামাযীরা যাবে, পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি এবান্দা শুনতে পাবে। গোর আযাব থেকে এ গুণাহ্গার পাইবে রেহাই।। তার এই অছিয়ত অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কবিকে সমাহিত করা হয়। আজ কবি পৃথিবীতে নেই;কিন্তু কাব্যে কবি অমর হয়ে থাকবেন প্রতিটি শিক্ষিত বাঙ্গালী হৃদয়ে। >ব্লগ
Sunday, May 18, 2014
সুলতান মাহমুদ সোমানাথ মনদির ভাঙেনি
সুলতান মাহমুদ এবং সোমনাথ মন্দির নিয়ে হিন্দুদের অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব আপনি যখনই বাবরী মসজিদ ধ্বংস নিয়ে কোন কথা বলতে যাবেন ঠিক তখনই হিন্দুরা বলা শুরু করে যে সুলতান মাহমুদ তো সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করেছিল। তখন আমি লক্ষ্য করেছি যে অনেক মুসলমানই তখন চুপ হয়ে যায়। কিন্তু সুলতান মাহমুদ ঠিক কি কারনে গুজরাটের এই সোমনাথ মন্দির ধ্বংস বা সোমনাথ মন্দিরে অভিযান চালিয়েছিলেন তা খুব কম মুসলমানই জানে। আচ্ছা সুলতান মাহমুদ মোট ১৭ বার ভারত আক্রমন করেছিলেন। এই ১৭ বার সুলতান মাহমুদ খালি সোমনাথ মন্দির ছাড়া আর কোন মন্দিরেই উনার অভিযান চালান নি। সুলতান মাহমুদ যদি সত্যিই হিন্দু বিদ্বেষী হতেন তাইলে তো ভারতের সকল বড় বড় মন্দিরেই অভিযান চালাতেন। তাইলে ঠিক কি কারনে সুলতান মাহমুদের এই সোমনাথ মন্দিরের অভিযান ? সুলতান মাহমুদের জীবনীর উপর লেখা এনায়েত উল্লাহ আল তামাসের লিখিত বিখ্যাত ইতিহাসিক বই “সুলতান মাহমুদ গজনবীর ভারত অভিযান” থেকে আমরা জানতে পারি যে তৎকালিন সোমনাথ মন্দিরের পুরাহিতরা একজন মুসলিম তরুনীকে ঐ মন্দিরের কথিত ভগবানের অনুগ্রহ পাওয়ার আশায় ভগবানের সামনে ধর্ষণ ও বলি দেওয়ার চেষ্টা করলে মুসলিম তরুণীটি তার সম্ভ্রম রক্ষার্থে সোমনাথ মন্দিরের কুপে আত্মহত্যা করে। এই খবরটি জানতে পেরে সুলতান মাহমুদ গজনী থেকে শত শত মাইল পথ পাড়ি দিয়ে এসে সোমনাথ মন্দির আক্রমন করে এবং তা সম্পূর্ণ রুপে ধবংস করেন, এবং এই সোমনাথ মন্দিরের মূর্তির কিছু খণ্ডাংশ তৎকালিন দামেস্কের খলীফাকে উপহার হিসাবে প্রেরন করেন। এর থেকে বুঝা যায় যে সুলতান মাহমুদ সুদীর্ঘ শত শত মাইল পথ পাড়ি দিয়ে সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করেছেন না কোন স্বর্ণ অলংকারের লোভে না কোন মসজিদ প্রতিষ্ঠার লোভে না কোন সাম্রাজ্য দখলের লোভে। সোমনাথ মন্দিরের স্বর্ণ অলংকার গনিমতের মাল হিসাবে নিয়ে যাওয়া হয়। যা প্রত্যেকটি যুদ্ধে বিজিত দল বা জাতি করে থাকে। এই ২০১৩ সালেও হিন্দুরা তাদের মা কালীর সামনে ছোট শিশুদের কে বলি দেয়। তাই ১০২৫ সালে একটা মুসলিম মেয়েকে সোমনাথ মন্দিরের বিগ্রহের সামনে বলি দেয়া হিন্দুদের জন্য কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। ঐতিহাসিককের আরেকটি মত আছে সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দিরের অভিযানের ব্যাপারে। আর তা হল সোমনাথ মন্দিরের মূর্তি টি সব সময় শূন্যে মাঝামাঝি ঝুলে থাকত। এটি তৌহিদে বিশ্বাসী সুলতান মাহমুদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হত । তাই সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দির আক্রমণের সময় গজনী থেকে সাথে করে প্রকৌশলী, ধাতুবিদ নিয়ে আসেন । তারা মূর্তি পরীক্ষা করে দেখেন সোমনাথ মন্দিরের মূর্তিটি লোহার তৈরি এবং সোমনাথ মন্দিরের চারিদিকের দেয়ালের পাথরে চৌম্বক লাগানো রয়েছে । তাই যখন সোমনাথ মন্দিরের দেয়ালের পাথর খুলে নেয়া হল তখনই লোহার তৈরি সোমনাথ মন্দিরের মূর্তি মাটিতে পড়ে গেল এবং প্রমাণিত হল যে, শূন্যে ঝুলে থাকার জন্য এই মূর্তির নিজস্ব কোন ক্ষমতা ছিল না। তাই রাজ্য বিস্তারের জন্য নয় সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করেছিলেন এ মন্দিরের প্রতি তৎকালীন হিন্দুদের অন্ধ বিশ্বাস যা হিন্দুদের বিশেষ শক্তি প্রদান করত, তা নষ্ট করার জন্য। তাইলে আমরা দেখতে পেলাম সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দির অভিযানের পিছনে মোট ৩ টি কারন ঐতিহাসিকরা বলে থাকেন। প্রথমটি হল এক মুসলিম তরুনীকে ধর্ষন ও সোমনাথ মন্দিরের বিগ্রহের সামনে বলী দেয়ার কারনে সুলতান মাহমুদ গজনী থেকে গুজরাট অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করার জন্য। দ্বিতীয় কারণটি হল সোমনাথ মন্দিরের মূর্তিটি ঠিক কি কারনে সব সময় শূন্যে মাঝামাঝি ঝুলে থাকত এই রহস্য উদ্ধঘাটন করা আর তৃতীয় কারণটি হল সেই তথাকথিত ২০০ মন স্বর্ণ উদ্ধারের লোভে। কিন্তু স্বর্ণ উদ্ধারের লোভে যদি সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দিরে অভিযান চালাতো তাইলে ভারত বর্ষের সকল মন্দিরই সুলতান মাহমুদ অভিযান চালাতেন। মূলত সেই মুসলিম তরুনীকে ধর্ষন ও সোমনাথ মন্দিরের বিগ্রহের সামনে বলী দেয়ার কারনেই সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দিরে অভিযান চালিয়েছিলেন। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা পৌত্তলিকদের কে ধ্বংস করুক। তবে বেশীর ভাগ ঐতিহাসিকদের ধারনা সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করেননি। সুলতান মাহমুদ শুধুমাত্র সোমনাথ মন্দিরের ২০০ মন স্বর্ন উনার নিজ দেশ গজনীতে নিয়ে গিয়েছিলেন। সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দিরের কোন বিগ্রহও ধ্বংস করেন নি, সোমনাথ মন্দিরের ভিতরে যেই সব ব্রাক্ষনরা পূজা অর্জনা করত সুলতান মাহমুদ তাদের কে হত্যাও করেননি। সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দিরের অভিযানের পর যথারীতি আবার হিন্দুরা সোমনাথ মন্দিরের ভিতরে তাদের পূজা অর্জনা শুরু করে। সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির কে কোন মসজিদেও রূপান্তরিত করেন নি। Just সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির থেকে ২০০ মন স্বর্ণ উদ্ধার করে নিজ দেশ গজনীতে নিয়ে গিয়েছিলেন। সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দিরের ভিতরে কখনই হিন্দুদের মূর্তি পূজা বন্ধ করেন নি। আর সুলতান মাহমুদের পরেও সোমনাথ মন্দিরে সুলতান আলউদ্দিন খলজী, গুজরাটের বিভিন্ন স্থানীয় শাসক আর বাদশাহ আওরঙ্গজেবও অভিযান চালিয়েছিলেন। মুসলমানরা যদি সোমনাথ মন্দির কে ভেঙ্গে মসজিদই তৈরী করে ফেলত তাইলে তো আর বারবার সোমনাথ মন্দির আক্রমন করার কোন দরকার ছিল না। সোমনাথ মন্দির মন্দির থাকার কারনেই মুসলমানরা এগুলি বারবার আক্রমন করত। এত মন্দির থাকতে মুসলমানরা খালি সোমনাথ মন্দির বারবার আক্রমন করত কেন ? এর কারন হচ্ছে সোমনাথ মন্দিরের ভিতরে পূজা অর্চনার বদলে দেশীয় রাজারা শলা পরামর্শ করত কিভাবে মুসলমান সুলতানদের কে পরাজিত করা যায়। আর সোমনাথ মন্দিরের ভিতরে হিন্দু রাজারা তাদের সোনা দানা লুকিয়ে রাখত। মূলত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারনেই এই সোমনাথ মন্দির কাশীনাথ মন্দির বারবার মুসলমানদের আক্রমনের শিকার হয়েছে। কিন্তু এর বিপরীতে দিল্লী থেকে শুরু করে ভারতের অন্যান্য এলাকার বড় বড় মন্দির কখনোই মুসলমানদের আক্রমনের শিকার হয় নি। কিন্তু এর বিপরীতে মালাউন হিন্দুরা আমাদের সাথে কি করল ? বাবরী মসজিদ ধ্বংস করার পর হিন্দুরা সেইখানে রাম মন্দির স্থাপন করল। আমরা মুসলমানরা বাবরী মসজিদের যেই জায়গায় নামায পড়তাম ঠিক সেই মেহরাবের উপরে মালাউন হিন্দুরা এখন তাদের রামের মূর্তি স্থাপন করেছে। ১৯৯২ সালের ১২ ডিসেম্বরের পর থেকে আজ ২১ বছর হল আমরা মুসলমানরা আর বাবরী মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাযও পড়তে পারি নাই। বাবরী মসজিদ ধব্বংস করার সময় যেই সব মুসলমান হিন্দুদের কে বাধা দিতে এসেছিল হিন্দুরা তাদের প্রত্যেককেই হত্যা করে। এমনকি বাবরী মসজিদের আশপাশে মুসলিম অধ্যুষিত গ্রাম গুলিতে মালাউন হিন্দুরা যেয়ে আমাদের মুসলিম বোনদের কে ধর্ষন করে। এর বিপরীতে আমরা সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দিরের অভিযানে কি দেখতে পাই ? সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দিরের অভিযানের পর সোমনাথ মন্দিরের অবস্থিত হিন্দুদের কোন বিগ্রহও ধ্বংস করেননি, সোমনাথ মন্দিরের পূজা অর্জনায় লিপ্ত কোন ব্রাক্ষন কেও হত্যা করেন নি, এবং সর্বোপরী সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির কে মন্দির হিসাবেই রেখেছিলেন উনি সোমনাথ মন্দির কে কখনই মসজিদে রূপান্তরিত করেন নি। তাইলে মালাউন হিন্দুদের বাবরী মসজিদ ধ্বংস করার সাথে অবশ্যই সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দির অভিযান কে এক করা ঠিক নয়। সুলতান মাহমুদ একটানা ১৫ বার অভিযান করে ভারতের বহু দেশীয় রাজাকে পরাজিত করেন। সেই সময় সুলতান মাহমুদ কে সবাই একটি অপ্রতিরোধ্য শক্তি ভাবত। সোমনাথ মন্দিরের বিগ্রহের খ্যাতি ছিল সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে। সোমনাথ মন্দিরের ব্রাক্ষণ সেবায়করা বলা শুরু করে যে সোমনাথ মন্দিরের মাঝে শূন্যে ঝুলন্ত বিগ্রহের অসীম অলৌকিক ক্ষমতার বলে সুলতান মাহমুদের পক্ষে কখনই সোমনাথ মন্দির জয় করা সম্ভব হবে না। মূলত সোমনাথ মন্দিরের ব্রাক্ষণ পুরাহিতরাই সুলতান মাহমুদ কে সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করার চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল। সোমনাথ মন্দির সেই সময় হিন্দুদের রাজনৈতিক তীর্থক্ষেত্র ছিল। সোমনাথ মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ এবং যাবতীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য ভারতীয় হিন্দু রাজন্যবর্গ দশ হাজার গ্রাম মন্দিরের সম্পত্তিরূপে দান করেন। সোমনাথ মন্দিরের পূজা-পার্বন ও অন্যান্য অনুষ্ঠানাদি পালনের জন্য এক সহস্র ব্রাহ্মণ নিয়োজিত ছিল। সর্বদা সোমনাথ মন্দিরের দেবতার সন্তুষ্টির জন্য পাঁচশ’ নর্তকী এবং দু’শ’ গায়িকা নৃত্য-গীত করতো। ভারতবর্ষের হিন্দু রাজাগণ তাদের কুমারী কন্যাদের এ মন্দিরের দেবতার সেবার জন্য উৎসর্গ করে কৃতার্থ হতেন। সে সময় হিন্দুরা তাদের ধন সম্পদ সোমনাথ মন্দিরে জমা রাখতেন অর্থাৎ সোমনাথ মন্দিরের ভিতরে অসংখ্য ধন- সম্পদ সঞ্চিত আছে, এ তথ্য জানতে পেরেই সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির জয়ে প্রলুব্ধ হন। হিন্দুরা অভিযোগ করে সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করে সেইখানে একটা মসজিদ তৈরি করে ছিলেন। সোমনাথ মন্দিরের পাশে যে মসজিদটা ছিল এটা সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দির অভিযানের ২০০ বছর আগেই তৈরি হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মের বহু আগে থেকেই আরব বনিকরা গুজরাটে ব্যবসা বাণিজ্য করতে আসত। সেই ইসলামের শুরু থেকেই গুজরাটের মুসলমানদের আগমন শুরু হয়। গুজারটের স্থানীয় হিন্দু শাসকরাই মুসলমানদের কে সোমনাথ মন্দিরের অনতিদূরে একটি মসজিদ তৈরি করার অনুমতি দেয়। এটা আমার কথা না একটা হিন্দু ধর্ম ভিত্তিক ওয়েবসাইটেই তা বলা আছে। এই লিংকে যান সুলতান মাহমুদ খাইবার গিরিপথ অতিক্রম করে ভারতে আসেন। গজনী থেকে ৪২ দিনে হাজার মাইল পথ হেঁটে ১০২৫ সালের ৬ জানুয়ারী সুলতান মাহমুদ পৌঁছলেন সোমনাথের মন্দিরের অনতিদূরে। সুলতান মাহমুদ যদি পৌত্তলিকদের বিরোধী হতেন তাহলে গজনী থেকে গুজরাট আসার পথে তো রাস্তায় অনেক মন্দিরই পড়েছিল, সেগুলো নিশ্চয়ই সুলতান মাহমুদ আস্ত রাখতেন না। সুলতান মাহমুদের সেনাবাহিনীর মাঝে ১২ জন ছিল হিন্দু সেনাধ্যক্ষ। এর মধ্যে দুইজন সেনাধ্যক্ষ ছিল ব্রাক্ষণ। আর বাকীরা ছিল ক্ষত্রিয়। সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দির অভিযানে যারা অংশ নিয়েছিল তাদের অর্ধেকই ছিল হিন্দু। সোমনাথ মন্দির থেকে যে ২০০ মন স্বর্ণ উদ্ধার হয়েছিল সেই সব স্বর্ণ সুলতান মাহমুদ উনার সেনাবাহিনীর মাঝে ভাগ করে দেন। যেই সব হিন্দু সেনাপতি ও হিন্দু সৈনিকরাও সোমনাথ মন্দিরের অভিযানে অংশ নিয়েছিল তারাও সেই ২০০ মন স্বর্ণের ভাগ পেয়েছিল। ঐতিহাসিকরা বলে থাকেন যে সোমনাথ মন্দিরের অভিযানে অংশ নেওয়া প্রত্যেকটা সৈনিক কে সেই দিন সুলতান মাহমুদ ৫০০০০ করে দিনার দিয়েছিলেন। সোমনাথ মন্দিরের অভিযানে হিন্দু সৈনিকরাও অংশ নেবে হবে আর দোষ হবে খালি সুলতান মাহমুদের ! ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী বাংলায় আসছেন ১২০৫-০৬ সালের দিকে। এটা আমার কথা না উইকিপিডিয়াতেই তা বলা আছে আর নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হয়েছে ১১৯৩ সালে। তাইলে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী কিভাবে এই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করেন ? নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় যখন ধ্বংস হয় সেই সময় অর্থ্যাৎ ১১৯৩ সালের দিকে এই বাংলার রাজা ছিলেন রাজা লক্ষন সেন। রাজা লক্ষন সেন ছিলেন একজন কট্টর বৌদ্ধ বিদ্বেষী। হাজার হাজার বৌদ্ধ ভিক্ষুকে উনি হত্যা করেছেন। বৌদ্ধদের গর্ব এই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় কে এই রাজা লক্ষন সেনই ধ্বংস করেছেন। কিন্তু শুধুমাত্র একজন হিন্দু হওয়ার কারনে উপমহাদেশের এই সুশীল সমাজ এই রাজা লক্ষন সেনের কোন সমালোচনা করে না। যদি শুধুমাত্র ধর্মীয় বিদ্বেষের কারনেই মুসলমানরা সোমনাথ মন্দির আর কাশীনাথ মন্দির আক্রমণ করত তাইলে তো মুসলমানদের ৮০০ বছরের ইতিহাসে আর একটা হিন্দুও বেচে থাকত না। আর মুসলমান সুলতানরা যে অনেক বড় বড় মন্দিরে অর্থ সাহায্য দিত তা উইকিপিডিয়ার বিভিন্ন মন্দিরের লিংকেই বলা আছে। ৪৭ এর পর গুজরাট কাশ্মীরের মুসলমানদের উপর হিন্দুরা যেইরকম গনহত্যা চালিয়েছিল ভারতের মুসলমানদের ৮০০ বছরের শাসনামলে হিন্দুদের উপর মুসলমানরা কখনই কোন গনহত্যা তো দুরের কথা যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া মুসলমানরা একটা হিন্দুকেও হত্যা করেনি। শত শত প্রাচীন মন্দির ভারতের মুসলিম শাসনামলে অক্ষুণ্ণ ছিল। সুলতান মাহমুদের ভারত বিজয়ের পর পরাজিত ভারতের রাজাগণ কর্তৃক তার সাথে সম্পাদিত চুক্তি বারবার ভঙ্গ করার কারণে, তাকে বার বার ভারত অভিযান চালাতে হয়েছিল । আর মধ্যযুগে এ ধরনের রাজ্য বিস্তার বল্লালসেন , লক্ষণ সেন , গোপাল , ধর্মপাল সবাই করেছিলেন । বলা যায় , এগুলো ছিল সে সময়ের রীতি। সুলতান মাহমুদ কে হিন্দুরা সব সময় হিন্দু বিদ্বেষী বলে প্রমান করতে চায়। সুলতান মাহমুদ মোট ১৭ বার ভারত অভিযানের পর উনার প্রত্যেক অভিযানেই ভারতের বিভিন্ন দেশীয় রাজা যেমন জয়পাল, আনন্দপাল, সুখপাল কে যুদ্ধে পরাজিত করেন। সেই সময়ের মধ্যযুগীয় নীতি অনুসারে সুলতান মাহমুদ চাইলেই পারতেন যে পরাজিত সকল দেশীয় হিন্দু রাজাকে হত্যা করতে। কিন্তু সুলতান মাহমুদ উনার সাথে যুদ্ধে পরাজিত একজন দেশীয় হিন্দু রাজাকেও হত্যা করেননি। সুলতান মাহমুদ যে কোন হিন্দু বিদ্বেষী ছিলেন না এর সবচেয়ে বড় প্রমান হল কনৌজের রাজা রাজ্যপাল সুলতান মাহমুদের আনুগত্য স্বীকার করলে অন্যান্য পরাক্রমশালী হিন্দু রাজপুত রাজাগন অপমানিত বোধ করেন। কালিঞ্জরের চান্দেলা রাজা গোন্তা গোয়ালিয়রের রাজপুত রাজার সাথে জোটবদ্ধ হয়ে সুলতান মাহমুদের মিত্র কনৌজের রাজা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে এবং সকল রাজপুত রাজা মিলে কনৌজের রাজা রাজ্যপাল কে হত্যা করে। এরপর সুলতান মাহমুদ উনার বন্ধু হিন্দু রাজা রাজ্যপালের হত্যার প্রতিশোধকল্পে ১০১৯ খৃস্টাব্দে চান্দেলার রাজা গোন্তার বিরুদ্ধে সমরাভিযান পরিচালনা করেন। চান্দেলা রাজা গোন্তা সুলতান মাহমুদের বাহিনীর প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়ে রণক্ষেত্র থেকে পলায়ন করেন। পরবর্তীতে সুলতান মাহমুদ কনৌজের রাজা রাজ্যপালের ছেলেকে কনৌজ ও চান্দেলা উভয় রাজ্যের রাজা বানান। সুলতান মাহমুদের ভারত বর্ষের ১৩ তম অভিযান শুধুমাত্র উনার বন্ধু কনৌজের রাজা রাজ্যপালের হত্যার প্রতিশোধ নেবার জন্যই হয়েছিল। সুলতান মাহমুদ যদি সত্যিই হিন্দু বিদ্বেষী হতেন তাইলে কখনই কনৌজের রাজা রাজ্যপালের হত্যার প্রতিশোধ নিতেন না। সুলতান মাহমুদের ভারত বর্ষের এই ১৭ বার সফল অভিযানের পরেও সুলতান মাহমুদ যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া ভারতের কোন হিন্দু কেও হত্যা করেননি বা কোন হিন্দুকে দাস দাসী বানিয়ে গজনীতেও নিয়ে যান নি। আর সুলতান মাহমুদ চাইলেও তা করতে পারতেন না। কারন ইসলামী শরীয়তে মুসলমানরা যখন কোন দেশ জয় করে তখন খলিফা অথবা মুসলিম সুলতান সেই দেশের পরাজিত বিধর্মী নাগরিকদের কে জিম্মী ঘোষণা করেন। আর জিম্মীদের সম্মান নিরাপত্তা দেয়ার সার্বিক দায়িত্ব পরে সুলতান অথবা খলিফার উপর। জিম্মী রুপী পরাজিত বিধর্মী নাগরিকদের অভিভাবকও সুলতান অথবা খলিফা হন। আর যুদ্ধের পর কোন জিম্মীকে হত্যা করা বা দাস দাসী বানানো ইসলামী শরীয়তে হারাম। হযরত ওমর রাযিআল্লাহু আনহুর সময়ে মুসলমানরা সিরিয়া ইরাক, ইরান/ পূর্ব নাম পারস্য, তুরস্ক, সাইপ্রাস এত দেশ জয় করেছিলেন কোন দেশের নাগরিক কেই সাহাবীরা দাস দাসীতে রূপান্তরিত করেন নি। উল্টা ঐ সব দেশের আগে থেকে থাকা সব দাস দাসীদের কে সাহাবীরা মুক্ত করে দিয়েছিলেন আমরা মুলমানরা যে হিন্দুদের প্রতি কতটুকু সহনশীল ছিলাম তার একটা জ্বলজ্যান্ত উদাহরন আপনাদের কে দেই। ভারত বর্ষে আমাদের মুসলমানদের সাথে সবচেয়ে বেশী যুদ্ধ হয়েছে রাজপুত হিন্দুদের। কিন্তু রাজপুত হিন্দুরা প্রায় প্রতিযুদ্ধেই আমাদের কাছে পরাজিত হয়ে সন্ধি করত। কিন্তু এর কিছুদিন পরেই রাজপুত হিন্দুরা তাদের ক্ষত্রিয় স্বভাবের কারনে মুসলমানদের সাথে করা তাদের সন্ধি চুক্তিটি ভংগ করত। এরপর আবার মুসলমানরা যুদ্ধ করে রাজপুতদের কে পরাজিত করত। সেই সময় মধ্যযুগীয় রীতি অনুসারে এটা খুব স্বাভাবিক ছিল যে বারবার সন্ধি চুক্তি ভংগ করার কারনে পুরা রাজপুত জাতিটাকেই ধ্বংস করে দেওয়া। কিন্তু মুসলমানরা তা করে নি। আমাদের মহান মুসলমান সুলতানরা বারবার হিন্দু রাজপুত যোদ্ধাদের কে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বারবার সন্ধি চুক্তি ভংগ করার কারনে মধ্যযুগীয় রীতি অনুসারে এটা খুবই স্বাভাবিক ছিল যে পুরা রাজপুত জাতিটাকেই মুসলমানদের কর্তৃক ধ্বংস করে ফেলা। রাজপুত জাতিটা কিন্তু এখনো ভারত বর্ষে বহাল তবিয়তে আছে। ভারতের মুসলমানদের উপর সন্ত্রাসবাদী হিন্দুদের ভয়াবহ নির্যাতন এবং হিন্দুদের ধর্ম বিশ্বাস রাম লক্ষন রাবন কিংবা রাম মন্দির যে ঠাকুরমার ঝুলি ছাড়া আর কিছুই না তা জানতে আপনারা আমার এই NOTE টি পড়ুন আর আমাদের ইতিহাস জানতে হবে ঐতিহাসিকদের লেখা বই থেকে। উইকিপিডিয় যে কেউ যে কোন নিবন্ধ যোগ করতে পারে ও সংযোজন বিয়োজন করতে পারে। উইকিপিডিয়ার অনেক নিবন্ধই পক্ষপাতদুষ্ট। ভারতবর্ষের মুসলমানদের ইতিহাস হিন্দু ঐতিহাসিকরাই লিখেছেন। সকল বড় বড় হিন্দু ঐতিহাসিকই মুসলমান সুলতানদের উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন। উইকিপিডিয়ার ইতিহাস আর ইতিহাস গ্রন্থের ইতিহাসের মাঝে অনেক পার্থক্য আছে। এমনকি ভারতের স্কুল কলেজের ইতিহাসের পাঠসূচিভুক্ত বইগুলিতেও মুসলমানদের ইতিহাস কে বিকৃত করা হয়েছে সরকারের চাপে। আমি এখন আপনাদের কে একটি বইয়ের কথা বলব যেই বইটি পড়লে আপনারা ভারতের মুসলমানদের গৌরবজনক ইতিহাস, পরবর্তীতে ইংরেজদের আগমন এবং কিভাবে তারা হিন্দু বেঈমান রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এখানকার ক্ষমতা হাসিল করল সেই রক্তঝরা ইতিহাসগুলি। সেইসাথে এই ভারতবর্ষে আর্য জাতির আগমন, এখানকার অধিবাসীদের উপর এবং অন্যান্য নিম্নবর্ণের হিন্দুদের উপর আর্যরুপী ব্রাক্ষণ হিন্দুদের অত্যাচার এর নমুনা পরবর্তীতে মুসলমানদের আগমন এবং জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে একেবারে ভারত বিভক্ত হওয়া পর্যন্ত অনেক অজানা ইতিহাস জানতে পারবেন আপনারা এই বইটি পড়ে। বইটির নাম হল গোলাম আহমদ মোর্তজার লেখা “চেপে রাখা ইতিহাস”. গোলাম আহমদ মোর্তজার লেখা “চেপে রাখা ইতিহাস” এই বইটিতে মুহাম্মদ বিন কাশিম, সুলতান মাহমুদ, মুহাম্মাদ বিন তুঘলক, বাবর, হুমায়ুন, শেরশাহ, জাহাঙ্গির, শায়েখ আহমদ ফারুক সেরহিন্দ, আওরঙ্গজেব, শায়েস্তা খান, হায়দার আলী, টিপু সুলতান, নবাব সিরাজুদ্দউলা থেকে শুরু করে শাহ ওলিউল্লাহ, সৈয়দ নিসার আলী তিতুমির, মাওলানা আলাউদ্দিন, হাজি শরিয়তউল্লাহ, মজনু শাহ এর মত কিংবদন্তীদের জীবনচরিত, সমসাময়িক ঘটনা এইখানে আলোচিত হয়েছে। বইটির ডাউনলোড লিংক হল এটা http:// www.sendspace.com/file/6mcpwz এছাড়া “চেপে রাখা ইতিহাস” এই বইটি বইয়ের লাইব্রেরীতেও কিনতে পারবেন। বিভিন্ন প্রিন্ট অনুযায়ী কমিশন সহ বইটির দাম ১৫০-২০০ টাকা। তথ্যসুত্রঃ ১. ইতিহাসের ইতিহাস, গোলাম আহমেদ মূর্তজা, মদীনা পাবলিকেশন্স, ৩৮/২ বাংলা বাজার, ঢাকা। ২. Somnath : a narrative of history, রোমিলা থাপার, পেঙ্গুইন প্রকাশনী । ইসলামী আক্বীদা সংশোধনের জন্য আরো পড়তে পারেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু বিবাহ প্রসঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষীদের সমালোচনার জবাব আল্লাহ সুবহানাতায়ালার অস্তিত্ত্বের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক প্রমান আল কোরআনের ব্যাকরণগত সৌন্দর্য্যের কিছু অসাধারন দিক বনী কুরায়জা গোত্রের সকল পুরুষ ইহুদি হত্যা করা প্রসঙ্গে একটি পর্যালোচনা ইসলামি শরীয়াহ কি কখনই দাস দাসী প্রথাকে সমর্থন করেছিল আমাদের মুসলমানদের কেন একটি কেন্দ্রীয় খিলাফত রাষ্ট্র প্রয়োজন ? হাতের কাছে রাখার মত কয়েকটি চমৎকার ইসলামী বই পুরুষ জাতির বহু বিবাহ প্রথা কে ইসলামী শরীয়াহ আসলে কতটুকু সমর্থন করে হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম ২য় পর্ব মেসওয়াক করার ফযীলত আমার উম্মতের মাঝে ৭৩ টি দল হবে এদের মাঝে মাত্র একটি দল জান্নাতে যাবে” এই হাদীস টির মূল ব্যাখ্যা টি কি ? সিজদায়ে সাহু সংক্রান্ত মাসলা- মাসায়েল সহিহ শুদ্ধ ভাবে নামায পড়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় মাসলা মার্ক জুকারবার্গ তো একজন নাস্তিক তাইলে তার আবিস্কৃত ফেইসবুক ব্যবহার করা কি আমাদের জন্য ঠিক হচ্ছে —— > পোষ্টটি 1417 বার পড়া হয়েছে । শেয়ারঃ ডিসেম্বর ১৮, ২০লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী
Tuesday, May 13, 2014
আসামে মুসলিম শিশু হত্যার কয়েকটি ছবি
আসামে হিন্দু বেশ্যা মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেয়া জারজ হারামীর বাচ্চা বেরো উপজাতীরা এভাবেই হত্যা করছে নিষ্পাপ মুসলিম!
Pleas stop!killing Muslims child!
চিত্রঃ-১
বিবেক কে নাড়া দিয়ে উঠে!
Stop killing muslims child!
চিত্রঃ২
আহা!৩টি শিশু মরেই গেলো!
চিত্রঃ৩
আহা!বেচারা বেরোর দ্বারা আহত হয়ে এভাবেই কাতরাচ্ছে!
চিত্রঃ৪
কয়েকটা শিশু ভয়ে ভয়েই নামাজ পড়ছে!
চিত্রঃ৫
মুসলমানদের বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলছে বেরোরা
চিত্রঃ৬
শিশুর খন্ড লাশ!
মানবতাবাদীরা কি এখনো চুপ করে ঘাপটি মেরে থাকবে?
হিন্দু মাতা রক্তপিপাষু কালীই কি এই অর্ডার করেছে ছোট্ট শিশুদের হত্যা করতে?
যদি তাই হয় তাহলে আসামের মুসলিমরাও প্রস্তুত হও জিহাদ কর এই সমস্ত নালায়েক জারজদের বিরুদ্ধে!
কচু কাঁটা কর তাদের।
Pleas stop!killing Muslims child!
চিত্রঃ-১
বিবেক কে নাড়া দিয়ে উঠে!
Stop killing muslims child!
চিত্রঃ২
আহা!৩টি শিশু মরেই গেলো!
চিত্রঃ৩
আহা!বেচারা বেরোর দ্বারা আহত হয়ে এভাবেই কাতরাচ্ছে!
চিত্রঃ৪
কয়েকটা শিশু ভয়ে ভয়েই নামাজ পড়ছে!
চিত্রঃ৫
মুসলমানদের বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলছে বেরোরা
চিত্রঃ৬
শিশুর খন্ড লাশ!
মানবতাবাদীরা কি এখনো চুপ করে ঘাপটি মেরে থাকবে?
হিন্দু মাতা রক্তপিপাষু কালীই কি এই অর্ডার করেছে ছোট্ট শিশুদের হত্যা করতে?
যদি তাই হয় তাহলে আসামের মুসলিমরাও প্রস্তুত হও জিহাদ কর এই সমস্ত নালায়েক জারজদের বিরুদ্ধে!
কচু কাঁটা কর তাদের।
Subscribe to:
Posts (Atom)