এক- ভঙ্গুর ইরাকের ভৌগলিক অখন্ডতাকে শেষ করে দেয়া। তেমনটা করতে পারলে, বিশেষ করে, কূর্দীস্থানকে আলাদা করতে পারলে ইসরাইলের জন্য পোয়াবারো। এই কূর্দীস্থান রাষ্ট্রের সাথে ইসরাইলের ইতোমধ্যেই গড়ে উঠা দহরম মহরম এখন অনেকটা ওপেন সিক্রেট! আর ইসরাইলের নেতিনিয়াহু তো ইতোমধ্যেই কূর্দীদের সাথে একত্রে কাজ করার ঘোষণা দিয়েই রেখেছে। কুর্দিস্থানের তেল ও গ্যাসের সরবরাহ নিয়ে কোনো কথা না বলাই ভালো। দুটি বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে এরকম লেন দেন ব্যবসা বাণিজ্য হতেই পারে! আর কূর্দীস্থানকে দিয়ে তুরস্কের সাথে বোঝা পড়া করাটা ইসরাইলের পরবর্তি পরিকল্পনা, সে কথা এখন আর নাই বা আলোচনা করলাম। দুই- ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে এবং সে লক্ষ্যে জিহাদ পরিচালনা করার মাধ্যমে ইসরাইলের সীমান্ত ঘেঁষে অন্যতম মুসলিম সামরিক শক্তি সিরিয়াকে ধ্বংস করে দেয়া গেছে, এটা ইসরাইলের জন্য, নিউকনদের জন্য এক বিরাট আত্বতৃপ্তির ব্যপার বটে। সমস্য হলো; সিরিয়ার আসাদ এখনও মাটি কামড়ে টিকে আছে, এ ব্যাটাকে শেষ করে দিতে পারলেই ইসরাইল নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে স্বস্তি পেতে পারতো। সে কাজটা দ্রুত শেষ করতে হবে বৈকি! তিন- একবার যদি ইরাকে এই খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা যায়, একবার যদি মহান খলীফাকে বাগদাদের ক্ষমতায় বসানো যায়, তা হলে খুব শীঘ্রই নাটকের পরবর্তি পর্ব মঞ্চায়ন শুরু করা সম্ভব। সেটা কী? সেটা হলো বর্তমানে মিটি মিটি প্রজ্বলমাণ শিয়া-সুন্নী বিরোধকে উস্কে দিয়ে বাগদাদের মহান সুন্নী খলীফাকে দিয়ে শীয়া ইরানের বিরুদ্ধে জিহাদে নামিয়ে দেয়া। পারমাণবিক শক্তি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়া ইরান ইতোমধ্যেই সামরিক সক্ষমতায় সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে! তা ছাড়া তেল সরবরাহ‘সহ বৈশ্বিক বাণিজ্যের এক স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট হরমুজ প্রণালীর মুখে বসে থাকা ইরানকে শক্তিধর হতে দিলে বিশ্ব বেনীয়াদের লুটপাটে বিরাট বাধার সৃষ্টি হয়, অতএব তাকে শেষ করতে হবে। এ জন্য সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো শিয়া-সুন্নী লড়াই! এতে করে দুটো লাভ হবে। এক; ইরান দূর্বল হবে। আর, দুই; দূর্বল হবে তলে তলে বিরাট সামরিক শক্তির আধার হয়ে উঠা সউদি আরবও! এক্ষেত্রে টাকা পয়সা তেমন কোনে ব্যাপার না। টাকা তো দেবে সুন্নী কাতার, সউদি আরব আর আমিরাত। মনে আছে নিশ্চয়ই, সউদি আরব কী ভাবে জর্জ বুশ সিনিয়রের এক ধমকে সুড়সুড় করে সাদ্দাম হোসেনকে ইরান আক্রমণের জন্য ২৫.৭ বিলিয়ন ডলারের এক বিশাল অংক জুগিয়েছিলো! আজও তারা সেটা করে যাচ্ছে।
এখন কথা হল এই ISIS এর জন্য আপনারা সকল মুসলিমকেই টেরোরিস্ট বলতে পারেননা। শিবসেনা ,বজরং এর মত দলদের জন্য যেমন সকল হিন্দুদের আমরা টেরোরিস্ট বলতে পারিনা তেমনি ঐ ISIS এর জন্য আপনারাও পারেননা সকল মুসলিমকে টেরোরিস্ট বলতে । http://m.youtube.com/watch?v=gkEea_Eg66Y
Tuesday, August 5, 2014
ISIS/ISIL এর জন্য আপনি সকল মুসলমানকেই টেরোরিস্ট বলতে পারেননা
ISIS/ISIL ইস্যু নিয়ে আজকাল ব্লগে এবং ফেসবুকে দেখা যায় নাস্তিক ভাইয়েরা সকল মুসলিম কে টেরোরিস্ট গালিগালাজ করে আসছে। তাদের দাবী ISIS/ISIL একটি ইসলামিক সংগঠন অতএব সকল মুসলিমই টেরোরিস্ট। আসলে তারা তাই তো দেখে আসছে যে সংগঠনের নামটি তো ইসলামি । তারা তো ইসলামের নামে জিহাদ করে আসছে । কিন্তু তারা একবার ও ভাবছেনা যে কথিত এই জিহাদিদের নীতি ইসলাম সাপোর্ট করে কিনা। সিরিয়ার সেনাবাহীনির মাসুম সন্তানদের কথিত এই অনৈসলামিক জিহাদীরা যেভাবে পিছমোরা বেঁধে গুলি করে হত্যা করেছে সেটা কি ইসলাম সাপোর্ট করে ? ISIS এর কর্মকান্ড একদিনে ১৫০০শত শিয়া এবং খৃস্টান হত্যা করেছে কোন কারন ছাড়াই(যুদ্ধ তখন ছিলনা)! ইসলাম কি বলেছে যে তুমি যুদ্ধ ছাড়া বিধর্মীকে হত্যা কর ? তাছাড়া শিয়াও মুসলমানদের একটি গোত্র। ইসলাম বলেনি যে তুমি নিজ গোত্র হত্যা কর । যুদ্ধ বন্দিদের সাথে ISIS যে আচরন করে সেটা কি ইসলাম সাপোর্ট দেয় ? ISIS/ISIL যুদ্ধ বন্দিদের হত্যা করছে অথচ ইসলাম যুদ্ধ বন্দিদের সাথে উত্তম আচরন করতে বলে। ISIS (The Islamic State of Syria and Iraq) ’ এর যোদ্ধাদের রসদ, তাদের জানবাজ মুজাহিদদের মাসিক বেতন, অস্ত্র কেনার টাকা, এমনকি ‘মহান খলিফা‘র হাতের দামী রোলেক্স ঘড়িটার জোগাণও দিয়ে চলেছে সউদি আরব, কাতার ও আমিরাত! তাদের সুবিধার্থে নাকি নারীকে পাঠানো হচ্ছে যৌন জিহাদ করতে অথচ ইসলামে যৌন জিহাদ নামে কোন শব্দ নেই ।অনেক আলেমের গবেষনায় যৌন জিহাদ মুতা বিবাহ কে বলে থাকে। শিয়ার কিছু গোত্র এবং ওয়াহিবদের মাঝে এখনো মুতা বিবাহ্ চালু আছে কিন্তু ইসলামে মুতা বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে সেই আবুবকর রা: এর আমলে । তালেবান এবং আলকায়েদা পয়দা করছিলেন আমেরিকা।হিলারি তার একটা বক্তব্যে এটা প্রকাশ করেন যে আলকায়েদার জন্মদাতা তারা । আলকায়েদার যে প্রশিক্ষন সেটা আমেরিকারই দেয়া । এখন দেখা যাচ্ছে ISIS কে এদের পয়দা দাতা কারা এটা নিয়ে ব্যাপক সন্দেহ চলছে ।BOAN এর সদস্য "পারভেজ" আলমের এই লেখাটায় দেখুন এর আলামত কিছু পান কিনা। আবুবকর বাগদাদী ইহুদি সন্তান অতএব ISIS যে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অথবা মার্কিনদের পাঠানো পারুদ বোমা না সেটাও ভাবা যায়না।[তথ্য সূত্র ] ISIS কি চায় ?
Monday, August 4, 2014
সাপ্তাহিক সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা পার্বত্য ইস্যুতে এবার বিভিন্ন বাঙ্গালিকে হুমকি দিচ্ছেন
সাংবাদিক সাহেবের ইনবক্সে হুমকির স্কিনশট জানা যায় পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে একচ্ছত্র উপজাতি সমর্থন ও বাঙ্গালিদের তীব্রভাবে হেয় করার কারনে সি এইচ টি কমিশন কিছুদিন আগেই পার্বত্য অঞ্চলে বাঙ্গালিদের অসন্তোষের শিকার হয়। মূলত এরপর থেকে বাম ধারার কিছু ব্যাক্তিত্বকে এ বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন, মামলা, র্যালি, মানববন্ধনের পাশাপাশি ফেসবুকসহ কিছু অনলাইন মিডিয়ায় অপপ্রচারে লিপ্ত হতে দেখা যায়। সেখানে কিছু দেশপ্রেমিক জনগন- পার্বত্যাঞ্চলের বাঙালি নির্যাতন, উপজাতি আঞ্চলিক স্বশস্ত্র গোষ্টি, মিশনারি, বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে জুমল্যান্ড নামক নতুন পূর্বতীমুর প্রতীষ্ঠার মত স্পর্ষকাতর বৃহত্তর ষড়যন্ত্র নিয়ে কথা বলার জন্য তাদেরকে নানান হ্যারাসমেন্টের শিকার হতে হচ্ছে। তাদের কাউকে প্রকাশ্যে জাতিগতভাবে অপমান হতে হয়েছে, কাউকে অযাচিত ভাবে ব্যান করে দেয়া হয়েছে এবং অনেককেই ইনবক্সে এরকম হুমকি সম্বলিত ম্যাসেজ পাঠানো হচ্ছে। যাতে বলা হচ্ছে- ঐসব ব্যাক্তিগন বাংলাদেশে থেকে থাকলে ২৪ ঘন্টার মাঝে তাদেরকে দেখে নেবেন সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনের সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা। বাংগালীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য গোলাম মোর্তোজার। দেশের অখন্ডতার পক্ষে অবস্থানের জন্য হঠাত কেন এসকল বুদ্ধিজীবি প্রতীক্রিয়াশীল হয়ে উঠলেন খুঁজে বের করা দরকার মনে করছেন অপরাধ বিশ্লেষকরা। সাথে সাথে এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি প্রয়োজন রয়েছে বলে অভিমত সচেতন নাগরিকদের। উল্লেখ্য সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় একই কায়দায় আদিবাসির নাম দিয়ে একতরফা ভাবে পশ্চিমা আগ্রহে পূর্বতীমুর নামে একটি ক্ষুদ্র স্বাধীন দেশের সৃষ্টি হয় জাতিসংঘের প্রত্যক্ষ সহায়তায়। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন-ইউরোপ স্বার্থে ১ম বিশ্বযুদ্ধের পর প্রমিজড ল্যান্ডের কথা বলে কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্ট ইজরাইল আজ ভয়াবহ রুপ ধারন করেছে। সাম্প্রতীক দশক গুলোতে তেমনই আভাস পাওয়া যাচ্ছে- 'হারিয়ে যাওয়া ইহুদি গোত্র' হিসেবে অত্র দক্ষিন এশীয় আঞ্চলিক কিছু এলাকার সাথে বাংলাদেশের পার্বত্যাঞ্চলের উপজাতিদের কোন কোণ গোত্রকে চিহ্নিত করে টাইম ম্যাগাজিনসহ বিশ্বব্যাপী আলোচিত কিছু নিবন্ধ প্রকাশের পর থেকেই। যে প্রবনতা ইজরাইল সৃষ্টির ঠিক আগের দশকগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়। গোলাম মোর্তোজা সাহেবের প্রতিটা পোষ্টে এইসব দেশদ্রোহীদের মুসলমান, দেশ ও সরকার নিয়ে কুরুচিপূর্ণ কমেন্ট করতে দেখা যায়। এই ইস্যুটিতে এখনি জাতীয় ঐক্যমত্য সৃষ্টি করা সম্ভব না হলে এদেশিয় দালালদের সার্বিক সহায়তায় আরেকটি ইজরাইল পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়ে "আদিবাসী" ইস্যু ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের সিলেট, টাঙ্গাইল, জামালপুর, উত্তরাঞ্চল নিয়ে ছিন্নবিচ্ছিন্ন এক অপরিচিত বাংলাদেশের ম্যাপ বর্তমান ফিলিস্তিনের প্রায় অবলুপ্ত ম্যাপের পাশে জায়গা পাবে বলে উদ্বেগের যথেষ্ট কারন রয়েছে। গোলাম মোর্তোজা সাহেব এইসব এই সব বদমাইশদের দেশদ্রোহীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। কে এই Huttussey Changma? এই দেশদ্রোহীর আগের কিছু কাজ আমি এখানে দিতে চাই। এর আগে মায়ানমারের হাতে আমাদের বিজিবির জোয়ান শহীদ হলে এই ছেলে মায়ানমারের বিভিন্ন পেজে যেয়ে উল্লাস প্রকাশ করে এবং তাঁদেরকে মারার জন্য উদ্ধুদ্ধ করতে থাকে। সকল মুসলিমকে হত্যা করতে বলছে .. আই লাভ মায়ানমা এ যেন খাঁয় দায়, বোনের দিকে চাওয়ার মত। এদেশের হাওয়া বাতাসে বড় হয়ে সে অন্য দেশকে ভালোবাসার কথা জানায়। মায়ানমার ডিফেন্স পেজে পাহাড়িদের কমেন্টস। এইবার আমার পালা বলে একজনের হুমকি আরো উল্লেখ্য পূর্বতীমূর সৃষ্টির মূল অস্ত্র 'আদিবাসির স্বীকৃতি' কিংবা 'স্বায়ত্ব শাসনের অধিকারের' পথে পা বাড়ানো তথাকথিত একগুয়ে জনমত বিবর্জিত, সংসদ ও আদালতকে এড়িয়ে গিয়ে একতরফা ভাবে সম্পাদন করা 'অবৈধ শান্তিচুক্তির' পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে আওয়ামীলীগ। ৫ জানুয়ারির অবৈধ নির্বাচনের আগে করা আওয়ামীলীগের 'অবৈধ নির্বাচনী ইশতেহারে' বিষয়টি উল্লেখের পাশাপাশি সম্প্রতী ওবায়দুল কাদেরের 'শীঘ্রই শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন' সংক্রান্ত ঘোষনায় চোখে আটকে গেছে দেশের সকল সচেতন মহলের... এবার নিজের উপর বিভিন্ন হুমকির আশঙ্কা নিয়েও দেশের একজন নাগরিক হিসাবে এই লেখাটা লিখতে বাধ্য হলাম। কারন যারাই এ বিষয়ে কথা বলেছে তাঁদেরকেই বিভিন্ন জন দ্বারা এইভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। গোলাম মোরতজা সাহেবের হুমকির বিষয়ে পার্বত্য বাঙ্গালী অধিকার আন্দোলনের পক্ষ থেকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি পরক্ষভাবে স্বীকার করে নেন কিন্ত আচরণ উদ্ধত ছিল। গালির কথা বলে হুমকি দেওয়া স্বীকার করা। এ নিয়ে কথা বলায় এক পাহাড়ি অধীকার কেও হুমকি দিচ্ছে। এখনি প্রতিরোধ গড়ে না তুললে ভবিষ্যতে বিশ্বমিডিয়ার নিয়মিত খবরে পরিনত হবে বাংলাদেশ। লেখা:টুটুল মাহমুদ
Saturday, August 2, 2014
Thursday, July 31, 2014
গুগল ম্যাপে দেখুন মুসলিম বিশ্বের পবিত্র ও সবচেয়ে বড় কবরস্থান Wadi us-Salaam!
আপনি নিশ্চয়ই বাবা দাদার থেকে শুনেছেন ইরাকে রয়েছে মুসলিম উম্মার সেই কবর স্থান যেখানে মৃতের কবর আজাব হয়না! হ্যাঁ Wadi us-Salaam হচ্ছে সেই ইরাকি কবরস্থান যার আয়তন ১,৪৮৫ একর। সাধারণত কোন দেশের মাঝারি মাপের একটি শহরের আয়তন এমন হয়। আজ গুগল ম্যাপ দিয়ে আমরা দেখব খুব কাছ থেকে এই কবরস্থানকে। গুগল ম্যাপ আমাদের অনেক কিছুই সহজ করে দিয়েছে। আগে যেখানে নির্দিষ্ট যায়গায় না যেয়ে ঐ যায়গার বিষয়ে কোন ধারণা পাওয়া জেতনা এখন তা খুব সহজেই বেড রুমে বসেই জানা ও দেখা যায়। Wadi us-Salaamএর অর্থ হচ্ছে শান্তির স্থান। এখানে হাজার হাজার ইরাকি এবং সারা পৃথিবী থেকে অনেক মুসলিমকে কবর দেয়া হয়। এটি ইরাকের জাতীয় কবরস্থান। ইরাকের নাজাফ শহরে এই কবর অবস্থিত।Wadi us-Salaamকে মুসলিম উম্মার পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। Wadi us-Salaam হচ্ছে সেই কবরস্থান যাকে সারা পৃথিবী জুড়ে পবিত্র ধর্ম ইসলামের অনুসারীরা মনে করেন পবিত্র মানুষদের সমাধিস্থল হিসেবে। মুসলিমদের বিশ্বাস সারা দুনিয়াতে যেখানেই কোন প্রকৃত মুমিন মারা যাকনা কেন তাঁর শরীর ফেরেশতারা Wadi us-Salaam কবরস্থানে নিয়ে আসে। এখানে মৃতের কোন কবর আজাব হয়না। মৃতরা Wadi us-Salaam কবরস্থানে শান্তিতে ঘুমাবে ঠিক শেষ বিচারের আগের দিন পর্যন্ত। প্রতিবছর এই কবরস্থানে সারা পৃথিবী থেকে ৫ লাখ মানুষকে কবর দেয়া হয়। এখানে কত সংখ্যক মানুষকে কবর দেয়া হয়েছে তাঁর হিসেব নেই। প্রায় ১ হাজার ৪শ বছর ধরে এখানে মানুষকে কবর দেয়া হচ্ছে। সূত্রঃviralnova. লেখা সংগ্রহঃ-dhakatimes
Wednesday, July 30, 2014
ইসলাম ও হিন্দু ধর্মে সমকামীতাকে কেমন চোখে দেখে থাকে
ইসলামী আইনে সমকামিতা ইসলামী যৌন আইনশাস্ত্রী সমকামীতা বা সমলীঙ্গ ের যৌনসঙ্গম নিষিদ্ধ অর্থাত্ হারাম,কথিত আছে সমকামীরা কখনো বেহেশতে প্রব েশ করতে পারবেনা। হাদীস শরীফে আছে ,হযরত লূহ আঃ এর সময়কালে তখনকার মানুষের মাঝে মহামারি আকারে সমকামীতা দ েখা যায় এবং তখনই সমকামীতা নিষিদ্ধ হয়ে যায়। ইসলামে homosexuality সম্পূর্ণ হারাম। এবং স্বাভাবিক ব্যভিচারের চেয়েও খারাপ। লুত (আ) এর কওমকে (Sodom আর Gomorrah নগরী) আল্লাহ ধ্বংস করে দিয়েছিলেন যেসব কারণে এর মধ্যে সমকামিতা ছিল একটি। আমি এখানে কুরআনের আয়াত আর হাদিসগুলো উল্লেখ করছি। "এবং আমি লূতকে প্রেরণ করেছি। যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সারা বিশ্বের কেউ করেনি ? তোমরা তো কামবশতঃ পুরুষদের কাছে গমন কর নারীদেরকে ছেড়ে। বরং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছ।" (আরাফ ৭:৮১-৮২) "সারা জাহানের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরূষদের সাথে কুকর্ম কর? এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্য সঙ্গিনী হিসেবে যাদের সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন কর? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদ ায়।" (শুয়ারা ২৬:১৬৫-১৬৬) "স্মরণ কর লূতের কথা, তিনি তাঁর কওমকে বলেছিলেন, তোমরা কেন অশ্লীল কাজ করছ? অথচ এর পরিণতির কথা তোমরা অবগত আছ! তোমরা কি কামতৃপ্তির জন্য নারীদেরকে ছেড়ে পুরুষে উপগত হবে? তোমরা তো এক বর্বর সম্প্রদায়। উত্তরে তাঁর কওম শুধু এ কথাটিই বললো, লূত পরিবারকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও। এরা তো এমন লোক যারা শুধু পাকপবিত্র সাজতে চায়। অতঃপর তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে উদ্ধার করলাম তাঁর স্ত্রী ছাড়া। কেননা, তার জন্যে ধ্বংসপ্রাপ্তদেরভাগ্যই নির্ধারিত করেছিলাম।" (কুরআন 27:54-57) "আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ সুসংবাদ নিয়ে ইব্রাহীমের কাছে আগমন করল, তখন তারা বলল, আমরা লুতের জনপদের অধিবাসীদেরকে ধ্বংস করব। নিশ্চয় এর অধিবাসীরা অপরাধী।" (২৯:৩১) দুর্ভাগ্য আমাদের, Al-Fatiha Foundation নামে একটা "মুসলিম" foundation আছে... যেটা মুসলিম গে, লেজবিয়ানদের প্রতিনিধিত্ব করে!!!! কুরআনের স্পষ্ট আয়াত থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তারা এটা করতে পারে?? এবার হাদিস দেখুনঃ 1. "ইবনে আব্বাস বলেন, রাসুল (স) বলেছেন, তোমরা যদি কাউকে পাও যে লুতের সম্প্রদায় যা করত তা করছে, তবে হত্যা কর যে করছে তাঁকে আর যাকে করা হচ্ছে তাকেও।" (আবু দাউদ 38:4447) 2. "আবু সাইদ আল খুদ্রি বলেন, রাসুল (স) বলেছেন, একজন পুরুষ আরেক পুরুষের যৌনাঙ্গ দেখবে না। এক নারী আরেক নারীর যৌনাঙ্গ দেখবে না। এক পুরুষ আরেক পুরুষের সাথে অন্তত undergarment না পরে একই চাদরের নিচে ঘুমাবে না। এক নারী আরেক নারীর সাথে কখনও অন্তত undergarment না পরে একই চাদরের নিচে ঘুমাবে না।" (আবু দাউদ, 31:4007) 3. "আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) বলেন, এক পুরুষ আরেক পুরুষের সাথে বা এক নারী আরেক নারীর সাথে ঘুমাতে পারবে না লজ্জাস্থান ঢাকা ব্যতীত। তবে ব্যতিক্রম করা যাবে, শিশু আর পিতার ক্ষেত্রে... রাসুল (স) ৩য় আরেকজনের কথা বলেছিলেন কিন্তু আমি ভুলে গিয়েছি।" (আবু দাউদ, 31:4008) 4. "জাবির (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) বলেছেন, আমি আমার কওমের জন্য সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটা আশঙ্কা করি সেটা হল লুতের কওম যা করত সেটা যদি কেউ করে... " (তিরমিজি, 1457) এবার আসুন সমকামীদের শাস্তি কী সেটা দেখা যাক। হাদিস আমাদের জানাচ্ছেঃ 1. "ইবনে আব্বাস বলেন, অবিবাহিত কাউকে যদি সমকামিতায় পাওয়া যায় তাহলে তাঁকে পাথর মেরে হত্যা করতে হবে।" (আবু দাউদ, 38:4448 ) 2. "যে কাউকে লুতের কওমের মতো করতে দেখলে যে দিচ্ছে আর যে পাচ্ছে দুজনকেই হত্যা কর।" (তিরমিজি 1:152) 3. মুয়াত্তা শরীফের 41 41.111 নাম্বার হাদিসে এর শাস্তি বলা আছে পাথর মেরে হত্যা। 4. "ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) বলেছেন, অভিশপ্ত সে যে কিনা কোন পশুর সাথে সেক্স করে, আর অভিশপ্ত সে যে কিনা সেটা করে যা লুতের সম্প্রদায় করত।" (Ahmad:1878) 5. "ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, আলী (রা) তাঁর সময়ে ২ জন সমকামীকে পুড়িয়ে দেন। আর আবু বকর (রা) তাদের উপর দেয়াল ধ্বসিয়ে দেন।" (মিশকাত, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৭৬৫, প্রস্তাবিত শাস্তি) আশা করি ভাই আপনি আপনার প্রশ্নের ডিটেইল্ড উত্তর পেয়েছেন। হিন্দুধর্মে সমকামীতা সগরবংশীয় অংশুমানের পুত্র মহারাজা দিলীপ নিঃসন্তান হয়ে মৃত্যুবরণ করলে জন্ম রক্ষায় সমস্যা দেখা দেয়। শিব সে সময় আবির্ভূত হয়ে রাজার দু-জন বিধবা স্ত্রীকে আদেশ করেন সন্তান লাভের জন্য পরষ্পর দেহমিলন করতে। তাদের মিলনে সন্তান জন্মায় বটে কিন্তু সে সন্তান ছিল অস্থিহীন। পরে ঋষি অষ্টাবক্রের বরে সেই সন্তান সুস্থ এবং উত্তমাঙ্গ হন এবং ভগীরথ নামে রাজ্যশাসন করেন। এটিকে (দু- জন বিধবা স্ত্রীর মিলনে ভগীরথের জন্ম) নারী সমকামিতাকে গ্রহনযোগ্য করার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেন হিন্দু উদারপন্থীরা। আরো কিছু দৃষ্টান্ত দেয়া যাবে হিন্দু পুরাণ থেকে। কথিত আছে লঙ্কা পরিভ্রমনের সময় হনুমান রাবনের স্ত্রীগনের আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থা চাক্ষুষ দেখেছিলেন। সমকামিতার উল্লেখ ছাড়াও বৈদিক সাহিত্যে আমরা পাই লিঙ্গ-পরিবর্তনের কাহিনী। বিষ্ণুর মোহিনী অবতাররূপে ধরাধামে এসে শ িবকে আকর্ষিত করার কাহিনী এর একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ ছাড়াও যে দুটো চরিত্র সবার আগে আলোচনায় আসবে তা হচ্ছে- মহাভারতের শিখন্ডী ও বৃহন্নলার কাহিনী। এমনকি, নর-নারীর ‘শারীরিক’ মিলন ছাড়াও সন্তান জন্ম নেওয়ার উপকথার সন্ধান মিলে রামায়ন এবং মহাভারতের মত বৈদিক সাহিত্যগুলোতে। যেমন, সীতার জন্ম মাটি থেকে আর দ্রৌপদীর জন্ম যজ্ঞের অগ্নি থেকে। জরাসন্ধের জন্ম হয় দু-জন পৃথক নারীর গর্ভে জন্ম নেয়া অর্ধ অংগবিশিষ্ট পৃথক সন্তানের সংমিশ্রণে ইত্যাদি। এগুলোকে উদারপন্থিরা ব্যবহার করেন এই বলে যে, হিন্দু ধর্ম সমকামিতা, উভকামিতা, উভলিঙ্গত্ব প্রভৃতি বিষয়ে অনেক উদার। কিন্তু যেটা তারা বলেন না তা হল এর উলটো চিত্রটি। মনুসংহিতার আইনে উল্লেখ আছে - ‘যদি কোন বয়স্কা নারী অপেক্ষাকৃত কম বয়সী নারীর (কুমারীর) সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে, তাহলে বয়স্কা নারীর মস্তক মুণ্ডন করে দুটি আঙ্গুল কেটে গাধার পিঠে চড়িয়ে ঘোরানো হবে’ (Man u Smriti chapter 8, verse 370.)। যদি দুই কুমারীর মধ্যে সমকামিতার সম্পর্ক স্থাপিত হয়, তাহলে তাদের শাস্তি ছিলো দুইশত মূদ্রা জরিমানা এবং দশটি বেত্রাঘা ত (Manu Smriti chapter 8, verse 369.)। সেতুলনায় পুরুষদের মধ্যে সম্পর্কের শাস্তি তুলনামূলকভাবে অনেক কম। বলা হয়েছে - দু’জন পুরুষ অপ্রকৃতিক কার্যে প্রবৃত্ত হলে তাদেরকে জাতিচ্যুত করা হবে (Manu Smriti Chapter 11, Verse 68.) এবং জামা পরে তাকে জলে ডুব দিতে হবে (Manu Smriti Chapter 11, Verse 175.)। ইত্যাদি। ‘শুশ্রুত’ নামক প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্রে স্ত্রী- সমকামিতার কথা বর্ণিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, দুই নারী যদি যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হয় তাহলে অস্থিহীন সন্তানের জন্ম হবে। মহাভরতে ভগীরথের জন্মকাহিনীতে (উপরে বলা হয়েছে) এই ধরনের সংস্কারের সমর্থন মেলে।
Subscribe to:
Posts (Atom)