মায়েদের প্রতি একজন মুজাহিদের বার্তা: মা আপনি দৃঢ় থাকুন
Wednesday, August 6, 2014
Tuesday, August 5, 2014
ISIS/ISIL এর জন্য আপনি সকল মুসলমানকেই টেরোরিস্ট বলতে পারেননা
ISIS/ISIL ইস্যু নিয়ে আজকাল ব্লগে এবং ফেসবুকে দেখা যায় নাস্তিক ভাইয়েরা সকল মুসলিম কে টেরোরিস্ট গালিগালাজ করে আসছে। তাদের দাবী ISIS/ISIL একটি ইসলামিক সংগঠন অতএব সকল মুসলিমই টেরোরিস্ট। আসলে তারা তাই তো দেখে আসছে যে সংগঠনের নামটি তো ইসলামি । তারা তো ইসলামের নামে জিহাদ করে আসছে । কিন্তু তারা একবার ও ভাবছেনা যে কথিত এই জিহাদিদের নীতি ইসলাম সাপোর্ট করে কিনা। সিরিয়ার সেনাবাহীনির মাসুম সন্তানদের কথিত এই অনৈসলামিক জিহাদীরা যেভাবে পিছমোরা বেঁধে গুলি করে হত্যা করেছে সেটা কি ইসলাম সাপোর্ট করে ? ISIS এর কর্মকান্ড একদিনে ১৫০০শত শিয়া এবং খৃস্টান হত্যা করেছে কোন কারন ছাড়াই(যুদ্ধ তখন ছিলনা)! ইসলাম কি বলেছে যে তুমি যুদ্ধ ছাড়া বিধর্মীকে হত্যা কর ? তাছাড়া শিয়াও মুসলমানদের একটি গোত্র। ইসলাম বলেনি যে তুমি নিজ গোত্র হত্যা কর ।
যুদ্ধ বন্দিদের সাথে ISIS যে আচরন করে সেটা কি ইসলাম সাপোর্ট দেয় ? ISIS/ISIL যুদ্ধ বন্দিদের হত্যা করছে অথচ ইসলাম যুদ্ধ বন্দিদের সাথে উত্তম আচরন করতে বলে। ISIS (The Islamic State of Syria and Iraq) ’ এর যোদ্ধাদের রসদ, তাদের জানবাজ মুজাহিদদের মাসিক বেতন, অস্ত্র কেনার টাকা, এমনকি ‘মহান খলিফা‘র হাতের দামী রোলেক্স ঘড়িটার জোগাণও দিয়ে চলেছে সউদি আরব, কাতার ও আমিরাত! তাদের সুবিধার্থে নাকি নারীকে পাঠানো হচ্ছে যৌন জিহাদ করতে অথচ ইসলামে যৌন জিহাদ নামে কোন শব্দ নেই ।অনেক আলেমের গবেষনায় যৌন জিহাদ মুতা বিবাহ কে বলে থাকে। শিয়ার কিছু গোত্র এবং ওয়াহিবদের মাঝে এখনো মুতা বিবাহ্ চালু আছে কিন্তু ইসলামে মুতা বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে সেই আবুবকর রা: এর আমলে ।
তালেবান এবং আলকায়েদা পয়দা করছিলেন আমেরিকা।হিলারি তার একটা বক্তব্যে এটা প্রকাশ করেন যে আলকায়েদার জন্মদাতা তারা । আলকায়েদার যে প্রশিক্ষন সেটা আমেরিকারই দেয়া । এখন দেখা যাচ্ছে ISIS কে এদের পয়দা দাতা কারা এটা নিয়ে ব্যাপক সন্দেহ চলছে ।BOAN এর সদস্য "পারভেজ" আলমের এই লেখাটায় দেখুন এর আলামত কিছু পান কিনা। আবুবকর বাগদাদী ইহুদি সন্তান অতএব ISIS যে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অথবা মার্কিনদের পাঠানো পারুদ বোমা না সেটাও ভাবা যায়না।[তথ্য সূত্র ]
ISIS কি চায় ?
এক- ভঙ্গুর ইরাকের ভৌগলিক অখন্ডতাকে শেষ করে দেয়া। তেমনটা করতে পারলে, বিশেষ করে, কূর্দীস্থানকে আলাদা করতে পারলে ইসরাইলের জন্য পোয়াবারো। এই কূর্দীস্থান রাষ্ট্রের সাথে ইসরাইলের ইতোমধ্যেই গড়ে উঠা দহরম মহরম এখন অনেকটা ওপেন সিক্রেট! আর ইসরাইলের নেতিনিয়াহু তো ইতোমধ্যেই কূর্দীদের সাথে একত্রে কাজ করার ঘোষণা দিয়েই রেখেছে। কুর্দিস্থানের তেল ও গ্যাসের সরবরাহ নিয়ে কোনো কথা না বলাই ভালো। দুটি বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে এরকম লেন দেন ব্যবসা বাণিজ্য হতেই পারে! আর কূর্দীস্থানকে দিয়ে তুরস্কের সাথে বোঝা পড়া করাটা ইসরাইলের পরবর্তি পরিকল্পনা, সে কথা এখন আর নাই বা আলোচনা করলাম। দুই- ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে এবং সে লক্ষ্যে জিহাদ পরিচালনা করার মাধ্যমে ইসরাইলের সীমান্ত ঘেঁষে অন্যতম মুসলিম সামরিক শক্তি সিরিয়াকে ধ্বংস করে দেয়া গেছে, এটা ইসরাইলের জন্য, নিউকনদের জন্য এক বিরাট আত্বতৃপ্তির ব্যপার বটে। সমস্য হলো; সিরিয়ার আসাদ এখনও মাটি কামড়ে টিকে আছে, এ ব্যাটাকে শেষ করে দিতে পারলেই ইসরাইল নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে স্বস্তি পেতে পারতো। সে কাজটা দ্রুত শেষ করতে হবে বৈকি! তিন- একবার যদি ইরাকে এই খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা যায়, একবার যদি মহান খলীফাকে বাগদাদের ক্ষমতায় বসানো যায়, তা হলে খুব শীঘ্রই নাটকের পরবর্তি পর্ব মঞ্চায়ন শুরু করা সম্ভব। সেটা কী? সেটা হলো বর্তমানে মিটি মিটি প্রজ্বলমাণ শিয়া-সুন্নী বিরোধকে উস্কে দিয়ে বাগদাদের মহান সুন্নী খলীফাকে দিয়ে শীয়া ইরানের বিরুদ্ধে জিহাদে নামিয়ে দেয়া। পারমাণবিক শক্তি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়া ইরান ইতোমধ্যেই সামরিক সক্ষমতায় সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে! তা ছাড়া তেল সরবরাহ‘সহ বৈশ্বিক বাণিজ্যের এক স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট হরমুজ প্রণালীর মুখে বসে থাকা ইরানকে শক্তিধর হতে দিলে বিশ্ব বেনীয়াদের লুটপাটে বিরাট বাধার সৃষ্টি হয়, অতএব তাকে শেষ করতে হবে। এ জন্য সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো শিয়া-সুন্নী লড়াই! এতে করে দুটো লাভ হবে। এক; ইরান দূর্বল হবে। আর, দুই; দূর্বল হবে তলে তলে বিরাট সামরিক শক্তির আধার হয়ে উঠা সউদি আরবও! এক্ষেত্রে টাকা পয়সা তেমন কোনে ব্যাপার না। টাকা তো দেবে সুন্নী কাতার, সউদি আরব আর আমিরাত। মনে আছে নিশ্চয়ই, সউদি আরব কী ভাবে জর্জ বুশ সিনিয়রের এক ধমকে সুড়সুড় করে সাদ্দাম হোসেনকে ইরান আক্রমণের জন্য ২৫.৭ বিলিয়ন ডলারের এক বিশাল অংক জুগিয়েছিলো! আজও তারা সেটা করে যাচ্ছে।
এখন কথা হল এই ISIS এর জন্য আপনারা সকল মুসলিমকেই টেরোরিস্ট বলতে পারেননা। শিবসেনা ,বজরং এর মত দলদের জন্য যেমন সকল হিন্দুদের আমরা টেরোরিস্ট বলতে পারিনা তেমনি ঐ ISIS এর জন্য আপনারাও পারেননা সকল মুসলিমকে টেরোরিস্ট বলতে । http://m.youtube.com/watch?v=gkEea_Eg66Y
Monday, August 4, 2014
সাপ্তাহিক সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা পার্বত্য ইস্যুতে এবার বিভিন্ন বাঙ্গালিকে হুমকি দিচ্ছেন
Saturday, August 2, 2014
Thursday, July 31, 2014
গুগল ম্যাপে দেখুন মুসলিম বিশ্বের পবিত্র ও সবচেয়ে বড় কবরস্থান Wadi us-Salaam!
আপনি নিশ্চয়ই বাবা দাদার থেকে শুনেছেন ইরাকে রয়েছে মুসলিম উম্মার সেই কবর স্থান যেখানে মৃতের কবর আজাব হয়না! হ্যাঁ Wadi us-Salaam হচ্ছে সেই ইরাকি কবরস্থান যার আয়তন ১,৪৮৫ একর। সাধারণত কোন দেশের মাঝারি মাপের একটি শহরের আয়তন এমন হয়। আজ গুগল ম্যাপ দিয়ে আমরা দেখব খুব কাছ থেকে এই কবরস্থানকে। 
গুগল ম্যাপ আমাদের অনেক কিছুই সহজ করে দিয়েছে। আগে যেখানে নির্দিষ্ট যায়গায় না যেয়ে ঐ যায়গার বিষয়ে কোন ধারণা পাওয়া জেতনা এখন তা খুব সহজেই বেড রুমে বসেই জানা ও দেখা যায়।
Wadi us-Salaamএর অর্থ হচ্ছে শান্তির স্থান। এখানে হাজার হাজার ইরাকি এবং সারা পৃথিবী থেকে অনেক মুসলিমকে কবর দেয়া হয়। এটি ইরাকের জাতীয় কবরস্থান। ইরাকের নাজাফ শহরে এই কবর অবস্থিত।Wadi us-Salaamকে মুসলিম উম্মার পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। 
Wadi us-Salaam হচ্ছে সেই কবরস্থান যাকে সারা পৃথিবী জুড়ে পবিত্র ধর্ম ইসলামের অনুসারীরা মনে করেন পবিত্র মানুষদের সমাধিস্থল হিসেবে। মুসলিমদের বিশ্বাস সারা দুনিয়াতে যেখানেই কোন প্রকৃত মুমিন মারা যাকনা কেন তাঁর শরীর ফেরেশতারা Wadi us-Salaam কবরস্থানে নিয়ে আসে। এখানে মৃতের কোন কবর আজাব হয়না। মৃতরা Wadi us-Salaam কবরস্থানে শান্তিতে ঘুমাবে ঠিক শেষ বিচারের আগের দিন পর্যন্ত। 



প্রতিবছর এই কবরস্থানে সারা পৃথিবী থেকে ৫ লাখ মানুষকে কবর দেয়া হয়। এখানে কত সংখ্যক মানুষকে কবর দেয়া হয়েছে তাঁর হিসেব নেই। প্রায় ১ হাজার ৪শ বছর ধরে এখানে মানুষকে কবর দেয়া হচ্ছে।
সূত্রঃviralnova. লেখা সংগ্রহঃ-dhakatimes
Subscribe to:
Posts (Atom)