Sunday, April 27, 2014
অবাক সম্মান ! লেখা:সজল আহমেদ
Friday, April 25, 2014
বেজি স্যার জাফ্রিক-বাল!
Tuesday, April 22, 2014
হুমায়ূন আহমেদের বাংলা ইবুক(Jarfile)
Saturday, April 19, 2014
হেঁদু ধর্মে পর্দার বিধান!
এই বিষয়ে লিখিবার কোন আগ্রহই আমার ছিলনা ।কিন্তু আমার এক বন্ধু মানুষ নীলাভ নিলয় (Bahalul Majnun) এর অনুরোধে পোষ্টটি লিখিতে বসিলাম।
*হেঁদু দাদারা অনেক সময় খোঁটা দিয়া মুসলিমদের বলে তোমাদের ধর্মে মেয়ে জাতীকে বস্তায় ভরিয়া রাখে হু!আর আমাদের ধর্মে নাই।
আসুন দেখিয়া লই পর্দা সম্বন্ধে তাহাদের ধর্মে কিছু বলিয়াছে নাকি:-
নারীদের পর্দা অমুসলিমদের মধ্যে একটি ভুল ধারনা প্রচলিত রহিয়াছে যে ইসলাম নারীদের ছোট করিয়া রাখে, তাদের পর্দায় করিতে নির্দেশ দেয় ।এইটা আসলে তাহারা তাহাদের অজ্ঞানতার কারনে বলিয়া থাকে। ইসলাম শুধু নারীদের নয় পুরুষদেরও পর্দার কথা বলিয়া থাকে । আর প্রথমে পুরুষদের কথা বলা হইয়াছে তাহার পর নারীদের। যেমন কুরআনের ২৪ নম্বার সুরার ৩০ নম্বার আয়াতে পুরুষদের পর্দার কথা বলা হইয়াছে । এর পরের আয়াতে অর্থাৎ ৩১ নম্বার আয়াতে নারীদের পর্দার নির্দেশ দেয়া হইয়াছে । যদি পুরুষ এবং নারী উভয়ই শরীর ঢাকিয়া রাখে তাহা হইলে সমাজ হইতে ধর্ষন, ব্যভিচার, অবৈধ সম্পর্ক অনেক কমিয়া যাইবে । সৌদি আরব ধর্ষন, ব্যভিচার বা অনান্য নোংরামীতে সবচাইতে পিছাইয়া আছে । এর কারন হইল পর্দা এবং ইসলামী শরীয়তের বাস্তবায়ন ।
আমি অনেক হেঁদু ব্যক্তির কাছে শুনিয়াছি আথবা হেঁদু লেখকদের লেখা পড়িয়াছি যেইখানে তাহারা বলিয়াছে ইসলাম একখানা জঘন্য ধর্ম (নাউযুবিল্লাহ)কারন তাহারা মেয়েদের পর্দায় রাখিয়া দেয় । আমি খুব অবাক হইয়াছি, তাহারা কি নিজেদের ধর্মগ্রন্থ গুলো পড়ে না । তাহারা কি ভাবে এইসব কথা মুখে আনে । আপনারা অনেকেই হয়তো শুনিয়া অবাক হইবেন যে হেঁদু ধর্মেও নারীদের পর্দার কথা বলা হইয়াছে । যেমন- “যেহেতু ব্রহ্মা তোমাদের নারী করিয়াছেন তাই দৃষ্টিকে অবনত রাখিবে, উপরে নয় । নিজেদের পা সামলাইয়া রাখো । এমন পোষাক পড় যাহাতে কেউ তোমার দেহ দেখিতে না পায়।(ঋকবেদ ৮।৩৩।১৯)।
এইখানেই প্রমাণ হইয়া যায় যে হেঁদু ধর্মেও পর্দার বিষয়খানা স্পষ্ট ফুঁটিয়া উঠে।কিন্তু হেঁদুরা মুসলমানদের খাঁটো করিবার জন্য নাস্তিকদের সহিত একত্রিত হইয়া উচ্চ বাক্যে বলিয়া থাকেন যে পর্দা প্রথা আসলে তাহাদের ধর্মে নাই।আর মুসলমানরা নিকৃষ্ট কেননা তাহারা নারীদের পর্দা করিতে বলিয়া ধর্ষন হইতে রক্ষা করিয়া দেয়।
পর্দা না করিলে আবার ব্রাহ্মনদের বহুমুখি সুবিধা রহিয়াছে,কেননা যদি কোন হেঁদু যুবতী পর্দা করিতে শুরু করিয়া দেয় তাহা হইলে তো আর সেই যুবতী ব্রাহ্মনের সেবাদাসী হইতে চাহিবেনা,আর ব্রাহ্মন মহাশয় ও তো আর তাহার সহীত সঙ্গম করিতে পারিবেনা।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস,এই জন্যই বোধ হয় ব্রাহ্মন মহাশয়েরা হেঁদু ধর্মের পর্দার বিষয়খানা এড়াইয়া যায় এবং মুসলমানের সমালোচনায় মদ্দ মাতাল হইয়া পড়ে।
হায়রে হেঁদু!হায়রে ব্রাহ্মন!
আবার বলি তোরা মানুষ হ!
Thursday, April 17, 2014
"হেঁদু সমাচার"|শেষ পত্র
হেঁদু দাদারা অনেক সময় বলিয়া থাকেন যে,"মুহম্মদ সঃ হইতে তাহাদের কেষ্ট(কৃষ্ঞ)বড়!"আর মসলমান হইতে হেঁদুই নাকি শ্রেষ্ঠ!খ্যাক খ্যাক খ্যাক হেসে মরলুম!হেসে মরলুম!
পাঠক আগেই দেখিয়া নিন মুহম্মদ সঃ সম্পর্কে জ্ঞানী গুনিরা কি বলিয়াছেন: মুহম্মদ সঃ এর জীবনি লিখিতে গিয়া ঐতিহাসিক খ্রীষ্টান লেখক 'উইলিয়াম মূর' অতি আবেগে বলিয়াছিলেন"
আবারMuhammad(sm)was the master mind not only of his own age but of all ages!" অর্থাত্,মুহম্মদ সঃ যেই যুগে আবির্ভূত হইয়াছিলেন তাহাকে শুধু সেই যুগের মহামনীষী বলিলে চলিবেনা!বরংচ তাহাকে সর্ব কালের,সর্ব যুগের,সর্বশ্রেষ্ঠ মহামনীষী বলা চলে!
আচ্ছা এইবার দাদাদের নিকট প্রশ্ন করি,"বিশিষ্ট ঐতিহাসিক জোসেফ হেল বলিয়াছেন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনই একজন মহান ব্যক্তি ছিলেন, যাহাকে না হইলে বিশ্ব অসম্পুর্ন থাকিয়া যাইতো।তিনি নিজেই নিজের তুলনা। তাঁহার কৃতিত্বময় ইতিহাস মানব জাতির ইতিহাসে এক সমুজ্জল অধ্যায় রচনা করিয়াছে।"
অথবা কেউ কি বলিয়াছিলেন যে,ওহে শ্রী কেষ্টের লইয়া কোন জ্ঞানী গুনী কি বলিয়াছিলেন,He was the master mind not only of his own ages?
অথবা খ্রীষ্টান ঐতিহাসিকরা কি লিখিয়াছিলেন যে তিনি সমগ্র মানুষের শ্রেষ্ঠ মানুষ? ঐতিহাসিক মাইকেল এইচ হার্ট(Mickhel H Heart) তাহার The 100(একশ মনীষীর)জীবনি বইখানায় হযরত মুহম্মদ সঃ এর নাম খানা সর্ব প্রথম দিয়াছেন!কই আমি তো ঐ বইখানায় কেষ্ট ঠাকুরের নাম খানা পাইলাম না।একজন বা ২জন হেঁদু মনীষীর নাম পাইলাম তাহাও আবার অনেক,অনেক পৃষ্ঠা পর। হেঁদু দাদারা অনেক সময় খ্রীষ্টানদের নিজেদের পক্ষে রাখিবার জন্য একটা কথা বলিয়া থাকেন যে "যিশু খ্রীষ্ট(হযরত ঈসা আঃ) ও রামচন্দ্র নাকি একই মাঠে বকরি চড়াইতেন":পি। মূলত এইটা ছিল একজন হেঁদু কবির কবিতা।তিনি আবেগে আপ্লুত হইয়া খ্রীষ্টানদের দালালি করিতে ইহা লিখায়াছিলেন১৮০০সালে।একটা বিষয় ভাল করিয়া চিন্তা করিলেই তো ইহার সত্যতা পাওয়া যায় ,সেইটা হইল যিশু ও রামের জন্ম।যিশু খ্রীষ্ট(ঈসা আঃ) কবে জন্ম হইয়াছিলেন আর রামের ইতিহাস কবে গড়িয়াছে। হেঁদু দাদাদের নিকট একখানা প্রশ্ন রহিল, বেদে আছেঃতিনি নিজেই নিজের তুলনা?
অর্থাত্,ঐ সৃষ্টি কর্তাকে সেজদা কর যাহার কোন শরীক নেই,যাহাকে দুনিয়ার চক্ষু দিয়ে দেখিতে চাইলে অন্ধ হয়ে যায়। আচ্ছা দাদা আপনারা তো দূর্গাকে দেখিয়া দেখিয়া,কালিকে দেখিয়া দেখিয়া পূজা দেন!লক্ষীকে দেখিয়া দেখিয়া পূজা দেন!কোন দিন কি আপনাদের ভগবানকে দেখতে গিয়া চোখ অন্ধ হইয়াছে? হেঁদু দাদার অনেক সময় খোঁটা মারিয়া বলে যে,মুসলমানের ধর্ম মাত্র ১৪০০বছর পূর্বের আর আমাদের ধর্ম কত পুরোনো! আহা মধু মধু,আসলে হেঁদু ধর্ম বলিতে কিছু নাই।হেঁদু একটা জাত।এই ধর্মের মূল নাম হইল সনাতন ধর্ম।এখন ও ইন্ডিয়ার মাটি খুড়িলে আর্য পুরাতন নিদর্শন পাওয়া যাইবে। ইসলাম ধর্ম যে কত পুরোনো উহা জানিতে হইলে আগে কোরআন ও আদম আঃ এর জীবনি পড়িতে হইবে।পৃথিবীর সর্বপ্রথম ধর্মই ইসলাম।আর প্রথম মানুষ ও ছিল নিষ্পাপ মুসলিম।খ্রীষ্টান ও ইহুদি ধর্মেও প্রথম মানুষ হিসেবে আদম আঃ এর নাম আছে ।শুধু মাত্র মা হাওয়া আঃ এর নাম "ইভ"উল্লেখ করিয়াছে বাইবেলে। আপনি কি জানেন হেঁদু ধর্মটা আসলে শয়তানের সৃষ্ট ধর্ম ? কারন আপনি হাবিল কাবিলের জীবনি পড়িলে দেখিবেন এই দুই ভাইয়ের এক ভাইকে শয়তানে ধোঁকা দিয়া মূর্তি পূজা করাইয়াছিল!আর হেঁদুরাও এই মূর্তি পূজা ব্যাপক আকারে করিয়া থাকে। হেঁদু দাদারা অনেক সময় রাসুলুল্লাহ সঃ এর বিবিদের নিয়া খোঁটা দিয়া থাকেন যে তাহারা এতগুলা বিবি কেন? আমি হেঁদু দাদাদের বলি,এই প্রশ্ন করিবার আগে একবার আপনার কেষ্ট মহাশয়ের দিকে তাকাইয়া দেখেন তাহার ছিল ১৬০০১জন বৌ!আর মেইন বৌ ছিল ৮জন। হেঁদু দাদারা বলিয়া থাকেন যে আরব্য ইতিহাস নাকি বর্বর ! দাদা আপনাদের ইতিহাস পড়িলে একখানা শিশু ও লাফাইয়া উঠিয়া কহিবেন,এরা কি মানুষ্য নাকি রাক্ষস খোক্ষসের দল? আপনাদের সৃষ্টিকর্তা কার্টুন হয় আমাদের নয়।বিভিন্ন ভারতী কার্টুন যাহারা ছোটবেলায় দেখিয়াছেন তাহারা কি দেখেন নাই দাদাদের কার্টুন দেব দেবী? এখন দাদারা বলেন যে আপনারা আমাদিগ হইতে কোন জায়গায় বড় আছেন? পেছনে না সামনে? উপড়ে না নিচে? নাকি কোনে কোনে? কয়েকটা দিক হইতে আপনাদের শ্রেষ্ঠ বলিতে হয়।একং ব্রহ্মং স্রষ্ঠং নে নাস্সিং কে কিংটং।
- ১.পর্ণে।
- ২.বুদ্ধিহীনতায়।
- ৩.হিংস্রতায়।
- ৪.ভূয়ামিতে ,মিথ্যা ইতিহাস তৈরীতে।
- ৫.ইনসেস্ট।
- ৬.পরধর্মে অসহিষ্ঞুতায়।
- ৭.মুসলিম খুনে।
- ৮.ধর্ষনে।
- ৯.ছাগলামিতে।
- ১০.জাতী বিভাগে।
- ১১.চটিতায়
হেঁদুসমাচার সমাপ্ত।
Tuesday, April 15, 2014
ইসলামি বাংলা ইবুক (জাভা-jar file)
তবুও ইসলামি ইবুক বলে আপনাদের সুবিধার্থে এই ইবুক গুলো দিলাম।
অতিথি আপ্যায়ন
(Download)
মালিকের তওবা
(DOWNLOAD)
মুসা আঃ ও খিজির আঃ
(DOWNLOAD)
ইমরান হারুন
(DOWNLOAD)
কুরআন বাংলা
(DOWNLOAD)
হাদীসের গল্প
(DOWNLOAD)
সমর্পন
(DOWNLOAD)
মদিনার পথে
(DOWNLOAD)
কাজী সুরাইয়ার ন্যায় বিচার
(DOWNLOAD)
দজ্জালের আগমন
(DOWNLOAD)
মহিলা ও তার জুতার গল্প
(DOWNLOAD)
যাকাত না দেয়ার পরিনাম
(DOWNLOAD)
পকেট কুরআন
(DOWNLOAD)
Monday, April 14, 2014
হেঁদু সমাচার|৪র্থ পত্র
হেঁদু দাদারা অনেক সময় বলিয়া থাকেন যে মুসলিমরা নাকি নারীদের অধিকার দেয় নাই।কিন্তু আমাদের হেঁদু ধম্মে নারী পুরুষের সমান অধিকার রহিয়াছে! হেঃহেঃহেঃ হেসে মরলুম। আসেন দেখি হেঁদু ধর্মে নারী পুরুষের সম অধিকার এক নজরে দেখিয়া লই,হেঁদুরা নারীকে যে সম্মান দেয়।
তাহা হইলে হিন্দু ধর্মে নারী-পুরুষের সম অধিকার কোথায়?এছাড়াও হেঁদু ধর্মে নারী তাহার পুত্রের সম্পত্তি হইতে এতটুকুও পায়না।নারীরা নাকি পুরুষের দাস ইহাও হেঁদু ধম্মের মূলনীতি! আসুন এইবার দেখি ইসলাম নারীকে কি মর্যাদা দিয়া থাকে। ইসলাম নারীকে দিয়াছে মায়ের মর্যাদা,ইসলাম নারীকে দিয়াছে বোনের মর্যাদা,ইসলাম নারীকে দিয়াছে পত্নির মর্যাদা!ইসলাম নারীকে দিয়াছে পিতার সম্পত্তি হইতে অধিকার,ইসলাম নারীকে দিয়াছে স্বামীর সম্পত্তি পাইবার অধিকার,ইসলাম নারীকে দিয়াছে ব্যবসা ,জিহাদ(হিজাব সহকারে) করিবার অধিকার,ইসলাম দিয়াছে মায়ের পদ তলে বেহেস্ত।ইসলামে বলা হয়নি যে,তুমি তোমার স্ত্রীকে অল্প দোষে গায়ে হাত তুলিবে।বিনা কারনে স্ত্রীকে তালাকের বিধান ও ইসলামে নাই।হেঁদুদের মতো ইসলামে নারীরা পুরুষের দাস নয়।নারী পুরুষ উভয়ই আল্লাহর দাস।ইসলামে ।হাদীসে আছে, যেই লোকের ৩টি কন্যা হইবে ঐ লোকটা জান্নাতি।হেঁদু দাদারা অনেক সময় বলিয়া থাকেন যে ইসলাম নারীকে যদি অধিকারই বেশিই দিয়া থাকে তাহা হইলে নারী দিগকে কেন কালো বস্তায় ঢুকিয়া থাকিবার নির্দেশ দেয়। আমি ঐ দাদাকে আমার লেখা"ধর্ষন ও ইভটিজিং কেন হয়"লেখাটি পড়িতে বলিব।তাহা হইলেই ঐ দাদা বুঝিতে পারিবেন যে,আসলে নারী পর্দা অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।আর পর্দাতো তাহাদের ধর্মেও রহিয়াছে। এইবার চলিয়া আসি মূল আলোচনায় ,হেঁদুরা যে বলিয়া থাকেন যে ইসলামের চাইয়াও হেঁদু ধর্মে নারীদের সম্মান বেশি দিয়াছে!আহা মধু!মধু!মধু! আমরা ইতিহাসের সেই সতীদাহ প্রথা কি ভুলিয়া গিয়াছি যেটা হেঁদু ধর্মে প্রচলিত ছিল? জীবন্ত নারীকে মৃত স্বামীর সহিত পুড়িত হইত চিতার অনলে!কি নির্মম কি নিষ্ঠুর! বিয়ের আগে নারীকে থাকিতে হইত ব্রাহ্মনদের সেবাদাসী হইয়া।ব্রাহ্মনরা ঐ নারীর সহিত সঙ্গম করিয়া তাহার পেটে ব্রাহ্মনের অবৈধ বাচ্চা ঢুকাইয়া দিতো!আমরা কি ভুলিয়া গিয়াছি তাহা?ইহার পরেও কি হেঁদু দাদারা তাহাদের নারীর প্রতি অধিকার রক্ষার আলোচনা করিবে? পাঠক আপনারাই বিবেচনা করিয়া বলেন নারীদের কাহারা বেশি অধিকার দিয়াছে,ইসলাম নাকি হেঁদু?হেঁদু ধর্ম পুরুষকে বসাইয়াছেন প্রভুর (দেবতার) আসনে আর নারীকে করিয়াছেন গোলাম ! মনুসংহিতার [৫:১৫৪] তে বিধান রহিয়াছেঃ বিশীলঃ কামবৃত্তো বা গুণৈর্বা পরিবর্জিতঃ । উপচর্যঃ স্ত্রিয়া সাধ্বা সততং দেববত্ পতিঃ \\ ১৫৪ \ \ অর্থঃ “পতি সদাচারহীন (চরিত্রহীন) পরস্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কযুক্ত বা গুণহীন হলেও সতী স্ত্রী সেই পতিকে দেবতার মতই পুজো করিবে।” সূত্রঃ মনুসংহিতার [অধ্যায়-৫, পৃষ্ঠা- ১৬২, শ্লোক-১৫৪, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়] [!] পতির সব দোষই নিবরে সহ্য করিবে পত্নী কিন্তু পত্নীর কোন দোষ করা চলিবে না। পতির পরস্ত্রীতে আসক্ত হওয়াটা কোন দোষের নহে।হেঁদু ধর্মে রহিয়াছে পতির মৃত্যুর পর পত্নীর পুনরায় বিয়ে করা যাইবে না। কিন্তু পত্নীর মৃত্যু হইলে দাহ ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে পুরুষ পুণরায় বিয়ে করিতে পারিবে। পুরুষ তাহার অতিক্রিয়া নিবৃত্ত করার জন্য পুনরায় বিয়ে করিতে পারিবে কিন্তু যে মেয়ের স্বামী বিবাহের রাতে কিংবা বিবাহের দু’তিন মাসের মধ্যে মরিয়া যায়; সেই মেয়েকে কেন সারাটি জীবন বিধবা সাজিয়া থাকিতে হইবে? হিন্দু ধর্মে মেয়েদের অতিক্রিয়ার কি কোনই মূল্য নাই? হিন্দু ধর্মে আছেঃ কামনত্ত ক্ষপয়েদ্দেহং পুষ্পমূলফলৈঃ শুভৈঃ । ন তু নামাপি গৃহ্নীয়াত্ পত্যৌ প্রেতে পরস্য তু \\ ১৫৭ \\ অর্থঃ ”পতির মৃত্যুর পর পত্নী ফলমূলের স্বল্পাহার দ্বারা দেহ ক্ষয় করিবে, তবু পর পুরুষের নাম করিবে না।” সূত্রঃ মনুসংহিতা [অধ্যায়-৫ , শ্লোক- ১৫৭, পৃষ্ঠা- ১৬৩, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়] ভার্যায়ৈ পূর্বমারিণ্যৈ দত্ত্বাগ্নীনন্ত্যকর্মণি । পুনর্দারক্রিয়াংকুর্যাত্ পুনরাধানমেব চ \\ ১৬৮ \\ অর্থঃ ”পত্নীর মৃত্যুর হইলে দাহ ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে পুরুষ আবার বিয়ে করিবে।” সূত্রঃ মনুসংহিতা [অধ্যায়-৫, শ্লোক-১৬৮, পৃষ্ঠা-১৬৪, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়] অপর এক মতে আছেঃ বিয়ে ছাড়া নারীর মুক্তি নাই। কাঙ্খিত স্বর্গ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে নারীদের অবশ্যই বিয়ে করিতে হইবে। নারীরা চিরকুমারী থাকিতে পারিবে না। কিন্তু পুরুষেরা চিরকুমার হইয়া থাকিতে পারিবেন।