Pages

Monday, October 20, 2014

ইসলাম বিদ্বেষীদের নারী নিয়ে ২৮টি প্রশ্নের উত্তর-শেষ পর্ব

১০. তারা পুরুষের চাষযোগ্য ক্ষেত্র (Quran 2:223 Abu Dawud 11:2138) সূরা উত্তর: বাকারার ২২৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- ﺃَﻧَّﻯﺸِﺌْﺘُﻤْﻨ ﺛْﺮَﺤْﻤُﻛُﺅﺂَﺴِ ﻮُﺗْﺄَﻔْﻤُﻜَّﻠٌ ﺍْﺣَﺮْ ﺛَﻜُﻢْ (তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।) হঠাৎ করে এই আয়াতাংশ কারো সামনে পেশ করা হলে মনে হতে পারে যে এখানে পুরুষকে যখন ইচ্ছা তখন তার স্ত্রীর সাথে যৌনাচার অবাধ অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, আসলেই কি তাই ? এটা ঠিক যে ইসলাম স্ত্রীদেরকে স্বামীর যৌন চাহিদার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছে, কিন্তু স্বামীকে নিজ চাহিদা আদায়ের ব্যাপারে উগ্র হবার কোন অনুমতি যেমন দেয়নি তেমনি স্বামীকেও স্ত্রীর যৌন চাহিদার প্রতি যত্মবান হবার নির্দেশ দিয়েছে এই একই আয়াতে। অতএব বলা যায় যে ,স্বামী স্ত্রী উভয়ই একে অপরের কাছে চাষ ক্ষেত্র । ১১. তারা শয়তানের রূপ (Sahih Muslim 8:3240) উত্তর:এখানে দুষ্টু নারীদের বলা হয়েছে । ১২. তাদের মাঝে নিহিত আছে যাবতীয় খারাপ (Sahih Bukhari 4:52:110, 4:52:111) উত্তর:এখানে দুষ্টু নারীদের বলা হয়েছে । ১৩. তারা বিশ্বাস ঘাতক (Sahih Bukhari 4:55:547) উত্তর:এখানে দুষ্টু নারীদের বলা হয়েছে । ১৪. পুরুষের জন্যে ক্ষতিকারক (Sahih Bukhari 7:62:33) উত্তর:এখানে দুষ্টু নারীদের বলা হয়েছে । ১৫. নেত্রিত্ব দেওয়ার অযোগ্য (Sahih Bukhari 9:88:219) উত্তর:নারী নেতৃত্ব সকল রাষ্ট্রের জন্যই যে অভিশাপ তার অকট্য প্রমাণ রাখে বাংলাদেশ । ১৬. প্রার্থনা ভঙ্গ হওয়ার কারন (Sahih Bukhari 1:9:490, 1:9:493) উত্তর:এখানে দুষ্টু নারীদের বলা হয়েছে । ১৭. স্বামীর যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে তারা বাধ্য (Sahih Muslim 8:3368) উত্তর:১০নং উত্তরেই বলা হয়েছে যে স্বামীকেও বাধ্য করা হয়েছে স্ত্রীর যৌন অকাঙ্খা পূরণ করতে ।কোরআন দেখুন । ১৮. পুরুষ কত্রিক ধর্ষনের অনুমোদন (Quran 70:29-30 Abu Dawud 11:2153, 31:4006 Sahih Bukhari 5:59:459 Sahih Bukhari 8:77:600, 8:3432, 8:3371) উত্তর:আপনাকে ওপেন চ্যালেঞ্জ এরকম কোন আয়াত দেখাতে পারবেননা ।অতএব এটা ফেইক !১৯. স্বামীর বাধ্য না হলে তাদের প্রার্থনা গৃহিত হবে না (Muslim Scholar Al-Suyuti while commenting on Quran 4:34 Mishkat al-Masabih Book I, Section ‘Duties of husband and wife’, Hadith No. ii, 60) উত্তর:অপরদিকে বলা হয়েছে যে ,স্বামী যেন তার সকল কাজ স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে সম্পাদন করে।উল্লেখ্য ,হযরত ওমর রাঃ তার সকল কাজ স্ত্রী ও সহকর্মীদের সাথে পরামর্শ করে করতেন । ২০. পুরুষ পারবে চারজন নারীকে বিয়ে করতে (Quran 4:3) উত্তর:উল্লেখ্য, স্ত্রীর মত থাকতে হবে পূর্ণ আয়াত দিন,তাছাড়া অনেক মনীষী আছেন যারা ৩-৪টা বিয়ে করছেন ,বিয়ে করাটা কোন ফ্যাক্ট হলে প্রথমে ঐ সকল মনীষীদের কান পাকড়ে ধরা উচিত্ ।ভারতীয় জাতির পিতা গান্ধী নিজেই ২টা বিয়ে করেছেন । ২১. তালাকের অধিকার রয়েছে শুধু পুরুষেরই (Sahih Bukhari 8:4871-82 Mishkat al- Masabih, Book 1, duties of parents, Hadith No. 15) উত্তর:সঠিক নয় ,ইসলামে নারীদের ও তালাকের অনুমতি আছে ।আর স্বামী তখনই তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবে যখন স্ত্রী বেহায়াপনাকে ছাড়িয়ে যাবে ,একজন স্ত্রীর বেলায় ও সম আইন প্রযোজ্য । ২২. স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার অধিকার রয়েছে পুরুষের (Quran 4:34 Sahih Muslim 4:2127) যার কারনে কোন জবাব চাওয়া হবে না (Abu Dawud 11:2142) উত্তর:কোরআনে স্পষ্ট জবাব আছে যে ,তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের প্রহার করনা ,আর স্ত্রীদের সাথে উত্তম আচরন কর । আচ্ছা একটা উদাহরন দেই ,আপনার আম্মা যেন একটা দোষ করল ,আপনার আব্বা তাকে রাগ করে দুটো থাপ্পড় মারল ,আপনার আব্বার থাপ্পড়ের জবাবে আপনার আম্মায় তাকে কানের গোড়ায় ঠাইস্সা দুইটা থাপ্পড় মারল । এখন আপনার আম্মার ব্যাপারটা আপনার কাছে কেমন লাগবে ?২৪. শুধুমাত্র নীরবতাই তাদের বিয়ে সম্মতি (Sahih Bukhari 9:86:100, 9:86:101, 9:85:79) উত্তর:ইসলামে নারীদের পূর্ণ অধিকার ,মেয়ে যদি বলে ছেলেকে তার পছন্দ নয় তবে সে ছেলের সাথে বিয়ে দিতে পারবেনা তার পিতা অতএব এ হাদীস অকার্যকর। ২৫. স্বামীর অনুমতি ব্যাতিত অন্য পুরুষের কাছাকাছি হওয়া নিষিদ্ধ (Sahih Bukhari 4:52:250) উত্তর:আপনার পিতার সামনে দাঁড়িয়ে আপনার মাতা যদি অন্যপুরুষের সাথে রসের আলাপ অথবা কথা বলে তখন আপনার পিতার পতিক্রিয়া কি জেনে নিবেন তাহলে এই হাদীসটির মর্মার্থ বুঝবেন । ২৬. তাদের একমাত্র কাজ পুরুষের সেবা করা (Mishkat al- Masabih, Book 1, Duties of Husband and Wife, Hadith Number 62 Mishkat al- Masabih, Book 1, duty towards children Hadith Number 43) উত্তর:ফেইক।ইসলা মে নারীদের পর্দা করে ,ব্যবসা পর্যন্ত করার অধিকার দেয় ! ২৭. সর্বদা নিজেদের আবদ্ধ রাখতে হবে পর্দায় (Sahih Bukhari 5:59:462, 6:60:282) উত্তর:অবশ্যই এটা সত্য । আর পর্দা করলে সে দেশে ধর্ষন বেশি হয়না । উদাহরন হিসেবে ধরা যায় ,সৌদী আরব - ইন্ডিয়া । ২৮. মৃত্যুর পর তাদের অধিকাংশের জন্যে রয়েছে দোজখের আগুন (Sahih Muslim 36:6596, 36:6597 Sahih Bukhari 7:62:124, 1:2:29, 7:62:124, 2:18:161) উত্তর:এখানে পূর্ণ আয়াতে দুষ্টু নারীদের বলা হয়েছে ।

ইসলাম বিদ্বেষীদের নারী নিয়ে ২৮টি প্রশ্নের উত্তর ১ম পর্ব

১. নারীর অবস্থান পুরুষের নিচে (Quran 4:34, 2:228) উত্তর:পুরো আয়াতটা পড়লে দেখা যাবে যে এখানে তাদের কর্মক্ষমতা ,শক্তি ও বুদ্ধিমত্তার কথা বলা হয়েছে ।বর্তমান বিজ্ঞানীরাও কিন্তু নারীদের পুরুষের নিচের অবস্থানে রেখেছেন কারন তারা একজন পুরুষ থেকে দুর্বল ,প্রমাণ:মহাকাশ অভিযানে যদি ৪জন পুরুষকে নেয়া হয় সেখানে নারী থাকে ০অথবা ১জন । ২.তাদের মর্যাদা পুরুষের অর্ধেক (Quran 2:282, 4:11 Sahih Bukhari 3:48:826, 1:142) উত্তর:কুরআন(2:2 82) আয়াতটুকু পুরোটা উল্লেখ করুন এবং অনুবাদ করুন ,তাহলেই এর আসল ব্যাপার বের হয়ে যাবে ।এখানে নারীদের মর্যাদা যে পুরুষের অর্ধেকে নাকি সেটা পুরো আয়াতে আছে ,সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারায় দেখা যায় নারী ,পিতা ,পুত্র এমনকি স্বামী থেকেও সম্পত্তি পায় অপরদিকে পুরুষ শুধু পিতৃ সম্পত্তি থেকে পায় ।তাইলে আয়াতের সম্পুর্ন তুলে না ধরাটা আপনার বোকামি হয়েছে তাই নয় কি ? ৩.নারী পুরুষের যৌন দাসী (Ibn Hisham-al-Sira al- nabawiyya Quran 4:251) উত্তর:এইটা পেয়েছেন (Ibn Hisham-al-Sira al- nabawiyya Quran )গ্রন্থ থেকে ।এই গ্রন্থটা তো কোরআন অথবা হাদীস না ।এই ধরুন মহাবিজ্ঞানী কোপার্নিকাস বলে গিয়েছেন যে সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে ,এখন এইটা কি আপনি মানবেন ? বিভিন্ন গ্রন্থে বিভিন্ন ভাবে লেখা আসে আর সেটাই যে ডিবেটের অংশ হবে সেইটা কিন্তু কোন কথা না ।আর মূলকথা হল ঐ গ্রন্থটাতে এভাবে লেখা হয়নি ,লেখা হয়েছে এভাবে,"নারীরা পুরুষের যৌনদাসী ,এমন যারা ভাবে তাদের উপরে আল্লাহ্'র লানত" আপনি ফেইক জিনিস টেনে এনেছেন । ৪. তারা পুরুষের অধিকৃত সম্পত্তি (Sahih Bukhari 5:59:524) উত্তর:পুরোটা ব্যাখা করলে যেটা বের হয়,এখানে স্ত্রীকে স্বামীর নিকট এক মহামূল্যবান সম্পদ আর সেই সম্পদের অবহেলা যেন না করে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে কড়াভাবে ।আমার স্ত্রী আমার সম্পদ নয়তো আপনার সম্পদ হবে ? ৫. তারা কুকুরের সমতুল্য (Sahih Bukhari 1:9:490, 1:9:493, 1:9:486 Sahih Muslim 4:1032, 4:1034, 4:1038-39 Abu Dawud 2:704) উত্তর:এটা ১০০%ফেইক হাদীস ,অনেক নাস্তিকরা বলে গাধার সাথে তুলনা করেছেন আর আপনি বল্লেন কুকুর ?৬. ভালোবাসার অযোগ্য (Sahih Bukhari 7:62:17 Abu Dawud 41:5111) উত্তর:এখানে দুষ্টু নারীদের বলা হয়েছে । ৭. তাদের বন্ধক রাখা যায় (Sahih Bukhari 5:59:369) উত্তর:ফেইক হাদীস । ৮. রজ্বচক্র চলাকালীন তারা অপবিত্র (Quran 2:222 Al-Tabari Vol.1 p.280) রজ্ব কি এটা আপনি জানেন ? হজ্ব করার অযোগ্য (Sahih Bukhari 1:6:302) উত্তর:এখানে কিছু দুষ্টু অথবা অসুস্থ্য ,বুড়িয়ে যাওয়া নারীদের বলা হয়েছে ।আর মূল কথা হল যদি নারীদের জন্য হজ্জ্ব বন্ধ হতো তাইলে লক্ষ লক্ষ নারী প্রতিবছর হজ্জ্বে যেতে পারতোনা । ৯. তারা নিকৃষ্ট (Sahih Bukhari 9:88:219) বুদ্ধিহীন (Sahih Bukhari 2:24:541) অকৃতজ্ঞ (Sahih Bukhari 1:2:28) উত্তর:এখানে দুষ্টু নারীদের বলা হয়েছে । খেলার পুতুল (Al- Musanaf Vol.1 Part 2 p.263) হাড়ের মত বক্রতা যুক্ত (Sahih Muslim 8:3466-68 Sahih Bukhari 7:62:113, 7:62:114, 4:55:548) উত্তর:এখানে দুষ্টু নারীদের বলা হয়েছে ।

Saturday, October 18, 2014

হিন্দু জঙ্গীদের অস্ত্রপূজা,আসল সন্ত্রাসিরর আস্তানা পাক ভারতীয় হিন্দু

asropuza.jpg চিত্রে দেখা যাচ্ছে,একজন পুরোহিত অস্ত্র সাজিয়ে রেখেছেন এবং কিছু হিন্দু সেই অস্ত্রগুলোকে পূজো করছেন । তবে আর কি বলছি ভাইয়া? ফেসবুক ,ব্লগে ISIS ,Taliban নিয়ে হিন্দু আর নাস্তিকদের শত শত স্ট্যাটাস ,ব্লগপোস্ট দেখা যায় কিন্তু ভারতীয় হিন্দু জঙ্গীদের ব্যাপারে সবাই নির্বাক কেন? একবার একটা নাস্তিকবেশী নিম্ন জাতের হিন্দু আমাকে বলেছিল,

তোরা হলি জঙ্গী ,সন্ত্রাস,গোটা বিশ্ব তোদেরকে ঘৃণা করে ।অথচ হিন্দুদের ?হিন্দুরাই শ্রেষ্ঠ ,হিন্দুদের কোন জঙ্গী সংগঠন নেই আর তাদের কে ঘৃণাও কেউ করেনা ।

ভাই প্রথমত বলি ,হিন্দুরা এমন একটা নোংরা জাত যে তাদেরকে ঘৃণার থেকেও বেশি কিছু থাকলে সেটাও মনে হয় করে পাশ্চাত্যের দেশগুলো ।আর ভারতীয় হিন্দুদের পাশ্চাত্যের দেশগুলো এখনো ভাবে আদিম বর্বর ।তারা মনে করে যে ,ভারতে পূর্ণভাবে এখনো সভ্যতার আলো পৌঁছায়নি(ডিস্কভারি চ্যানেলের ভারত সম্বন্ধে কয়েকটা শো যারা দেখেছেন তারা ভারতীয় সভ্যতা নিশ্চই জানেন)তাছাড়া10276983_479401122192755_75935455037345015s3336.gif

Sunday, September 28, 2014

ইসলামের ইতিহাস বিকৃত করছে একদল ইয়াবা সেবী নাস্তিকরা !

ফেসবুকে একটা গ্রুপ থেকে মহান আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলআমিন ও হযরত মুহম্মদ সাঃ কে অতি অশ্লীল গালিগালাজ করছে একদল হিন্দুত্ববাদী[হিন্দুদের কিছু বল্লেই এদের গায়ে বাঁধে] নাস্তিকরা !তারা আজককাল ইসলামের ইতিহাসকে বিকৃত করছে !ফেসবুকে শেখর সিরাজ নামক একটা নব্য নাস্তিক ইসলামের ইতিহাস কে বিকৃত করেছ ,মিথ্যা প্রচার করছে ইসলামের ইতিহাসের নামে বিষ গিলিয়ে দিচ্ছে এ ভন্ড প্রতারক ঠগবাজ নাস্তিক!৯৫% মুসলিম রাষ্ট্রের হালুয়া খেয়ে সেই থালা ফুটো করে চলছে এই নব্য নাস্তিক গুলো ! এখন দেখুন এই ভন্ড ইতিহাসবীদের ভন্ডামী: তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে সে যেটা লিখেছে:

মোহাম্মদের দুই দৌহিত্র(নাতি) হাসান ও হোসেন যে কারবালায় এজিদের দ্বারা শহীদ হবেন। এটা মোহাম্মদ মেরাজ থেকে জানেন নাই। মূলত জেনেছেন, জিবরাইল (আ) এর মাধ্যমে, জিবরাইল (আ) এর বার্তাবাহকের ভাষ্যটি ছিল এমন--আপনি এই সন্তানক স্নেহ করছেন; অথচ আপনার উম্মত-ভক্ত কিছু লোকই তাকে শহীদ করবে। হোসেনের কতল ও হাসানে বিষ ক্রিয়ার মৃত্যু মূলত ছিল-রাজনৈতিক ও পারিবারিক কোন্দল।হোসেনের কতল ছিল ক্ষমতার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। ও হাসানের বিষ ক্রিয়ার মৃত্যু ছিল জয়নবকে ঘিরে পারিবারিক কোন্দল। ইতিহাসের নির্মম সত্য যে, পূর্ববতী ইতিহাস উত্তর পুরুষের হাতে পড়লে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠে। এজিদের পূর্বপুরুষ মোহাম্মদের দ্বারা নির্যাতিত ও অত্যাচারিত হয়ে মক্কা থেকে বিতাড়িত হয়। এজিদ খলিফা হওয়ার পর হোসেনের কতল ও হাসানের বিষ ক্রিয়ার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এজিদ তার পূর্বপুরুষের নির্যাতিত ও অত্যাচারিত হওয়ার প্রতিশোধ নেয়। এটাই বাস্তব সত্য!!!!

নব্য নাস্তিক ভন্ড শেখরের স্ট্যাটাস লিংক: https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=841398532558641&id=100000655068217&refid=17&_ft_&__tn__=%2As আমি এই পাঁচটি বছর ইতিহাস নিয়ে ঘাটছি ,ইসলামের ইতিহাস আমার প্রধান সাবজেক্ট ,কোথাও আমি এই কথাটা পাইনি যে হযরত হাসান ও হোসেন রাঃ কে যে ইয়াজিদ মেরেছে সেটা ইয়াজিদের পূর্ব পুরুষের প্রতিশোধ হিসেবে মেরেছে ! ইসলামের ইতিহাস ২য় খন্ড(Page No:225)এ একথা স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে হযরত হাসান রাঃ ও হোসেন রাঃ ইয়াজিদ মেরেছিল খিলাফাহর লোভে । তার সাথে আমার ডিবেট হয় প্রায় চার ঘন্টার ,আমি এই ভন্ড মিথ্যাবাদী ঐতিহাসিককে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম যে একথা কোন ইতিহাসে নেই এমনকি ইহুদিদের ইতিহাসেও একথা নেই।[ইহুদিরা যেহেতু ইসলামের প্রধান শত্রু] ।পরে আমি তাকে ইসলামের ইতিহাস ২য় খন্ড(Page No:225)মুয়াবিয়া ,ইয়াজিদ ,হাসান রাঃ,হোসেন রাঃ এর অধ্যায়টি পড়তে বলি ।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে,ভন্ডটি আমার মন্তব্যটি তার মূল স্ট্যাটাসে পেস্ট করে অন্য এক ভাইয়ের সাথে ডিবেট করেছে যা হাস্যকর!প্রমাণ দেখুন এখানে। অনেকেই বলেন যে,'জারজ মানেই নাস্তিক' কথাটা সত্য নয় ,সত্য হল এটা

প্রতিটা জারজই নাস্তিক নয় কিন্তু প্রতিটা নাস্তিকই জারজ

এই নব্য নাস্তিক ভূয়া ইতিহাসবীদ সেটা কিভাবে বিকৃত করেছে নমুনা দেখুন সাথে দেখুন তার সাঙ্গপাঙ্গদের রাসুল সাঃ কে নিয়ে কুরুচি পূর্ণ মন্তব্য: ছ-বিছ-বিছ-বি [নোট:মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নেয়ার দরুন এভাবে ভাগ ভাগ করে দিতে হয়েছে] ছ-বিছ-বি এবার এই ভন্ডকে দেখুন চিনতে পারেন কিনা ,যদি চিনে থাকেন তবে এখনই আইনি ব্যবস্থা নিন এই প্রতারককে ধরিয়ে দিন: ছ-বি [নোট:উপরের ছবিটিতে চশমা দাড়ি কোনটাই নাই ,নিম্নের এই ছবিটিতে দেখুন ,চশমা ও দাড়ি থাকলে এই ভন্ডকে যেমন লাগবে] ছ-বি সরকারকে আমি জোড় অনুরোধ করছি এই ভন্ড প্রতারকের বিরুদ্ধে সরকার যেন পদক্ষেপ নেয় ,পরে যদি আমাদের ইসলামিক মাইন্ডের ছেলে পেলেরা এর ব্যবস্থা নেয় তাহলে যেন সরকার আমাদের ইসলামিক মাইন্ডের ছেলেপেলেদের জঙ্গী না বলে ।রাসুলুল্লাহ্ সাঃ কে অবমাননার দায়ে ইরানে একটি ছেলের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে আমাদের বাংলাদেশেও এই আইন পাশ হোক যাতে করে এই ভন্ড প্রতারকরা ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ,ইসলামের ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচার করতে না পারে। আর প্রথমে যে ৯০০০ সদস্য বিশিষ্ট গ্রুপ থেকে এই ভন্ড প্রতারক ঠগবাজ নাস্তিক শেখর সিরাজ এই মিথ্যা ইতিহাসটা ছড়িয়েছে সেই গ্রুপটার লিংক এবং এই গ্রুপ থেকেই প্রত্যহ আল্লাহ পাক ও রাসুল সাঃ কে অবমাননা করা হয়: https://m.facebook.com/groups/123766110994866 এই হিন্দুত্ববাদী নাস্তিকরা আসলে বাল(!)মনা থেকে যেটুকু শিখে সেইটুকুই এসে ছড়িয়ে দেয় যার না আছে কোন রেফারেন্স ,না আছে কিছু !এরা পারে অন্যের দেয়া মন্তব্য চুরি করে যুক্তি তর্কে জিততে !ঐযে কথা আছেনা ,

শালিস মানি কিন্তু তালগাছটা আমার!

বঙ্গ নাস্তিকরাও তেমন ,যুক্তি মানুক আর না মানুক তালগাছ তার চাই চাই সেটা যেভাবেই হোক! বাংলাদেশ সরকারের এমন একটা আইন করা উচিত্‍ যাতে করে ইসলামের বিপক্ষ শক্তি ইসলাম ও ইসলামের ইতিহাসকে বিকৃত করার সাহস না পায় ,ইসলামের ইতিহাস ও ইসলামের বিকৃতকারীর হাত কেঁটে দেওয়া ,বা তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া ইত্যাদি আইন করলে এদের লেজ গুটিয়ে যাবে। শেখ হাসিনাকে বলছি এদের কে শাস্তি দিন অন্যথায় আল্লাহর গজব থেকে রক্ষা পাবেননা । এটা শাহজালাল,শাহ পরাণ ,শাহ মাখদুম ,শরীয়তউল্লাহ্,তিতুমীর,নজরুল,মঈনুদ্দিনের জমিন এটা কোন নাস্তিকের জমিন নয় এটা মনে রাখবেন !

Saturday, September 20, 2014

সাঈদী একজন রাজাকার হিন্দু তার পক্ষে কথা বলে ছিঃ ছিঃ ছিঃ কি রাজাকার !

প্রবন্ধটা যখন পড়বেন তখন নিশ্চই মনে হবে ,এই প্রবন্ধের রচয়িতা বোধ হয় জামাত শিবিরের একজন কর্মী ! কিন্তু না আমি জামাত শিবিরের কোন কর্মী নয় ,বাস্তবে আমি জামাতের ধারধারিনা।আমি মানতে বাধ্য যে ,মিজানী,গোলাম আযম,কাদের মোল্লা,মুজাহিদেরা ৭১এ রাজাকার ছিল । আমি মানতে বাধ্য কেন ? কারন,মিজানী,গোলাম আযম,কাদের মোল্লা,মুজাহিদের সম্বন্ধে অতশত আমার জানা নেই বা এদের সম্বন্ধে কারো কাছ থেকে কোন তথ্য আমি পাইনি , কিন্তু আল্লামা সাঈদীর সম্বন্ধে আমি অনেক কিছু জেনেছি যা এই প্রবন্ধে উঠে আসবে । 0,,4560502_4,00.jpg মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় চেতীতদের(মূলত এরা ভন্ড ,মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তো দূরে থাক এরা স্বার্থবাদী ,আর স্বার্থে ঘা লাগলে এরা চেয়ার মারামারি ,অপরকে খুন করতেও দ্বিধা করেন ।তখন কোথায় থাকে এদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ? এটা কোটি ডলারের একটি প্রশ্ন !এই নিউজটা তার প্রমাণ বহন করে) তাদের কাছে কাছে এই বাণীটি সব থেকে প্রিয় ,

একবার রাজাকার মানে সারা জীবন রাজাকার,একজন মুক্তিযোদ্ধা মানে চির জীবন মুক্তিযোদ্ধা নয়-হুমায়ুন আজাদ

মুক্তিযুদ্ধের শতশত বাণী রচনা করে গিয়েছেন আমাদের জ্ঞানীগুনিরা তাদের সকল বাণী পায়ের তলায় পিশে ফেলে একজন ধর্মদ্রোহী কুত্তার বাণী আজ তাদের কাছে এত প্রিয় কেন জানতে মনে চায়! আওয়ামিলীগের রায়ে বাঙ্গালী সন্তুষ্ট নয় একজন দেশ প্রেমিক হিসেবে আসলে কথাটা কতটুকু সত্য ? সাঈদী সাহেব কি সত্যিই একজন রাজাকার ছিলেন নাকি তাঁকে রাজাকার খেতাব জোড় করে দেয়া হচ্ছে? মুক্তিযোদ্ধার ছেলে নাকি চিত্‍কার দিয়ে বলে ,

বাবা তুমি রাজাকার কেন হলেনা ?

কথাটা অতি মূল্যবান এবং গা শিউরে উঠার মত একটি কথা ! ইসলামের পাখি আল্লামা সাঈদী রাজাকারকে কেন ফাঁসি দেওয়া হলনা ? হিন্দু কে কেন সে সঠিক পথ দেখিয়ে হেল্প করলেন ? একি কমসম রাজাকারি ?
টুপি মাথায় একজন নির্দোষ আলেম কে যখন মুস্টিমেয় কয়েকটা ছাগলের বাচ্চা ধর্ষনকারী গালিগালাজ করে হে বাঙ্গালী মুসলমানের বাচ্চা তোর কি লজ্জা করেনা ? টুপি মাথায় একজন নির্দোষ আলেম কে যখন চোর ,ছিনতাইকারী বলে হে বাঙ্গালী মুসলমানের বাচ্চা তোর কি লজ্জা করেনা ? যখন রাজাকারের চিহ্ন টুপি ,চাঁদ তারা এঁকে রাজাকারের বিচার চাই তখন কি তোর একবার ও বলতে ইচ্ছে হয়না যে রাজাকার কি শুধু মুসলমানের মধ্যেই ছিল ?
রাজাকারের বিচার চেয়ে কার্টুন এঁকে যেভাবে ইসলামে সুন্নতের অবমাননা(টুপিকে,চাঁদ,তারা ইসলামের চিহ্ন) হচ্ছে তাতে আজ বাঙ্গালী মুসলমানের ভ্রুক্ষেপ নেই! একজন নির্দোষ আলেমকে ধর্ষনকারী ,ছিনতাইকারী বানানো হচ্ছে তাতেও বাঙ্গালীর ভ্রুক্ষেপ নেই ! তারা যে আজ টাকার গোলাম ! নিজেকে বাঙ্গালী বলতে লজ্জা হওয়া দরকার ! কেননা বাঙ্গালী আজ তার সাহস ,প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। সেই তীতুমীর,সিরাজউদদৌলা ,শরীয়ত উল্লাহ,ভাসানী,৭১ এর সকল শহীদ,শেরেবাংলা ,সোহরাওয়ার্দি,বঙ্গবন্ধু ,জিয়া আর উসমানিরাই নিজেদের বাঙ্গালী বলে পরিচয় দেওয়ার যোগ্যতা রাখে ।সাহসের সাথে কথা বলেছে ,কাজ করেছে নির্ভয়ে , তারা অপমান করেনি কোন আলিম কে ,স্বার্থ দেখেনি কখনো । আল্লামা সাঈদীকে যেই আপরাধে আজ ধর্ষনকারী,ছিনতাই কারী বলা হচ্ছে সে অপরাধ আদৌ সাঈদী করেছে কিনা তার প্রমাণ রাখে এই লেখাটি→। প্রায় ৩ বছর আগে আমার স্যার অরুন চন্দ্র দাসের সাথে আমার পিরোজপুর যাওয়ার সৌভাগ্য হয় সেই সাথে চায়ের দোকানে বসা প্রায় ০৫ জন হিন্দুর সাথেও কথা বলার সুযোগ হয় ।আমি নিম্নে সেই ০৫ জন হিন্দুর বক্তব্য হুবহু তুলে ধরলাম ,তার আগে বলে রাখি আমার স্যার অরুন হিন্দু হলেও সাঈদী ভক্ত একজন মানুষ তিনি তার আত্মীয়দের কাছ থেকে সাঈদী সম্বন্ধে ভাল তথ্য নিয়েছে । সেখানে আমার স্যার প্রশ্নটা রেখেছিলেন,
আসলেই কি সাঈদী রাজাকার আছেলনি ?ধর্ষন ও করছে হুনলাম !
এরপর শুনুন একজন নয় পুরা ৫জন বৃদ্ধ হিন্দু আমার স্যারকে যেভাবে খিস্তি দিলো:

১/অমল চন্দ্র:এ মেয়া এলাকায় নতুন আইছ ?সাঈদী যদি রাজাকার অয় হেলে ফুল বাংগালি রাজাকার । ২/কার্তিক চন্দ্র দাস:বাঈ এহেইনে বইয়া কইছেন কইছেন এলাকার ভিত্রে গিয়া কৈবেনছেন তাইলে কিন্তু হাড্ডি থাকপেনা। ৩/অধির হালদার:বাংগালির হুনা কতায় গুনা দোষ !এইরোম একটা মানু অয় এই পিরিচপুরে ?আর হ্যারে আইজ জেলে হান্দাইয়া থুইছে ! ৪/অসিম খাসকেল:অধির হ্যা কৈয়া লাব কি ? হুনছি মোগো অশোইক্কার বাপে নাহি হের বিরুদ্দে সাক্ষী দেতে যাইবে ! ৫/রতন কুন্ডু:বাঈ যে যায় যাউক মোগো বাড়িইদ্দা কেউ যামুনা ।এইরোম একটা মাইনষের মুহের দিক চাইয়া কেমনে মিছা কতা কয় ?যে যেরোম থাহে থাউক দোহানপাডে বইয়া এ আলোচনা না করাই ভালো ।

সেদিনকার ঐ আলোচনা এখানেই শেষ হয়েছিল কিন্তু ঐ আলোচনাটা আমার হৃদয়ে আঘাত করে চরম ভাবে !কি করে এই লোকটা একজন রাজাকার হয় যেখানে বিধর্মীরা তার পক্ষে কথা বলে ? আওয়ামিলীগের রায়ে তিলকে তাল করা যায় ।সাঈদীর ব্যাপারটাও হয়েছে তেমন ।কি আর বলার আছে ? শুধু বলি একটাই , সাঈদী আল্লাহর বাণী মানুষের কাছে পৌঁছাত আল্লাহ্ই তাঁকে দেখবে।

Wednesday, September 17, 2014

কোরআন কার বাণী ? যুক্তি-pdf download

নব্য নাস্তিকদের দাবী কোরআন নাকি মুহম্মদ সঃ এর লেখা ।অথচ বড় বড় কোরআন গবেষকরা বলে এটা একমাত্র ঈশ্বর ছাড়া অন্যকারো বাণী হতে পারেনা ।এরকম নির্ভুল গ্রন্থ রচনা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় । কোরআন কার বাণী আল্লাহর নাকি মোহাম্মদ সাঃ এর ? একটা বিশাল প্রশ্ন ! কোরআন আদতে কার বাণী সেটাই আলোচনা করা হয়েছে এই ছোট্ট বইটায় । প্রকাশ:http://inbanglablog.wordpress.com ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন-Click here to download This

Sunday, September 14, 2014

হিন্দুধর্মে নারীরা→১ম পর্ব

নব্য নাস্তিক এবং সেক্যুলারদের কাছে ইসলামে নারীর অধিকার নেই ,অথচ তারা একবার ও বিশ্লেষন করেনা যে ইসলাম নারীকে অধিকার দেয়না নাকি অন্য কোন ধর্ম নারীকে অধিকার দেয়না ! নব্য নাস্তিক আর হিন্দুদের দাবী "ইসলামে নারীকে শষ্যক্ষেত বলা হয়েছে তাই ইসলাম ধর্মে নারী দের অধিকার নেই !" হ্যা ইসলাম স্ত্রীকে স্বামীর নিকট শষ্যক্ষেত বলা হয়েছে । আমার স্ত্রীকে আমার মনের মত যদি না সাজাই তাইলে আমি কেমন স্বামী? সূরা বাকারার ২২৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

ﺃَﻧَّﻯﺸِﺌْﺘُﻤْﻨِﺴَﺂﺅُﻛُﻤْﺤَﺮْﺛٌﻠَّﻜُﻤْﻔَﺄْﺗُﻮﺍْﺣَﺮْﺛَﻜُﻢْ (তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।)

হঠাৎ করে এই আয়াতাংশ কারো সামনে পেশ করা হলে মনে হতে পারে যে এখানে পুরুষকে যখন ইচ্ছা তখন তার স্ত্রীর সাথে যৌনাচার অবাধ অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, আসলেই কি তাই ? এটা ঠিক যে ইসলাম স্ত্রীদেরকে স্বামীর যৌন চাহিদার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছে, কিন্তু স্বামীকে নিজ চাহিদা আদায়ের ব্যাপারে উগ্র হবার কোন অনুমতি যেমন দেয়নি তেমনি স্বামীকেও স্ত্রীর যৌন চাহিদার প্রতি যত্মবান হবার নির্দেশ দিয়েছে। ইসলাম স্ত্রীকে বলেছে যদি রান্নরত অবস্থায়ও স্বামী যৌন প্রয়োজনে ডাকে তবে সে যেন সাড়া দেয়, অন্য দিকে পুরুষকে বলেছে সে যেন তার স্ত্রীর সাথে ভালো আচরণ করে, স্ত্রীর কাছে ভালো সাব্যস্ত না হলে সে কিছুতেই পূর্ণ ঈমানদার বা ভালো লোক হতে পারবে না। এই কথা জানার পরও কোন পুরুষ কি স্ত্রীর সুবিধার প্রতি কোনরূপ লক্ষ না রেখেই যখন তখন তাকে যৌন প্রয়োজনে ডাকবে? ইসলাম পুরুষকে এব্যাপারেও সাবধান করে দিয়েছে যে নিজের যৌন চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে স্ত্রীর যৌন চাহিদার কথাকে সে যেন ভুলে না যায়।" ইসলাম স্ত্রীকে তার স্বামীর কাছে শস্যক্ষেত্র বলেছে অন্যকাউকে নয়। আমার জমিতে(স্ত্রীকে) যদি আমি ভাল চাষ না দেই তবে আমার ফসল কোন দিনও ভাল হবেনা । ইসলামের ভাল কথাও নাস্তিক আর ছুপা হিন্দুদের কাছে বিষের মত লাগে অথচ তারা একবারও নিজের ধর্মকে দেখেনা । ইসলামই একমাত্র নারীকে পূর্ণ অধিকার দেয় যা অন্যকোন ধর্ম দেয়না ! বৌদ্ধধর্মে নারীকে মলের ন্যায় বলা হয়েছে ,খ্রীষ্টধর্মে ও ইহুদিধর্মেও নারীকে ঠিক তাই । এবার আমি আলোচনা করব,হিন্দু ধর্মে নারীদের অধিকার এবং হিন্দুধর্মে নারীরা ।

হিন্দুধর্মে নারীদের অধিকার:→

মনু নারী জাতিকে পুরুষের হাতের প্রাণশূন্য পুতুল ভেবেই হয়ত নিচের বিধানটি প্রবর্তন করেছেন। মনু বিধান দিলেনঃ বন্ধ্যাষ্টমেহধি বেদ্যাব্দে দশমে তু মৃতপ্রজা। একাদশে স্ত্রীজননী সদ্যস্ত্বপ্রিয়ব াদিনী \\ ৮১\\ অর্থঃ নিঃসন্তান স্ত্রীকে বিয়ের আট বছর পর ত্যাগ করা যায়, মৃত সন্তানের জন্মদানকারী স্ত্রীকে ত্যাগ করা যায় দশ বছর পরে, যে স্ত্রী শুধুমাত্র কন্যা সন্তান জন্ম দেয় তাকে ত্যাগ করা যায় এগারো বছর পরে, ঝগড়া পরায়ন স্ত্রীকে ত্যাগ করতে বিলম্ব করা যাবে না।" সূত্রঃ [মনুসংহিতা- অধ্যায়-৯, শ্লোক- ৮১, পৃষ্ঠা- ২৫৭, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ] [-] কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে স্ত্রীকে ত্যাগ করা ধর্ম- সিদ্ধ কিন্তু সন্তান জন্মের ব্যাপারে পুরুষের অক্ষমতাকে বিবেচনা করা হয়নি মনুর বিধানে। বলতে হয়, মনু বিজ্ঞানে বিশ্বাসী ছিলেন না। অথবা শ্রীভগবান তাকে বিজ্ঞান সম্পর্কে কোন জ্ঞান দান করেননি। এ কথা বলার যুক্তি এই যে, আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে, পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকাই মুখ্য। পুরুষই পুত্র সন্তানের জীন (শুক্র) বহন করে - নারী নয়। তাহলে, পুরুষের দোষে নারীকে কেন ত্যাগ করার বিধান দেন মনু? মনুর বিধানে নারীদের অধিকার খর্ব করা হয়নি কি? ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি কি নারীদের স্বাধীনতা? সংহিতার পঞ্চম অধ্যায়ে পাওয়া যায়ঃ- বালয়া বা যুবত্যা বা বৃদ্ধয়া বাপি যোষিতা। ন স্বাতন্ত্র্যেণ কর্তব্যং কিঞ্চিত্ কার্যং গৃহেস্বপি \\ ১৪৭ \\ অর্থঃ "বালিকা কিংবা যুবতী অথবা প্রাপ্ত বয়স্কা নারীরা স্বাধীনভাবে কোন কিছু করতে পারবে না- এমনকি নিজেদের ঘরেও নয়।" সূত্রঃ মনুসংহিতা [অধ্যায়-৫, শ্লোক-১৪৭, পৃষ্ঠা- ১৬২, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ] [-] মনু নারীকে যে একেবারেই অধিকার শূন্য করেছেন তা নয়। নারীকে কিছু অধিকারও দিয়েছেন। মনু নারীদের স্বার্থের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছেন বললে ভুল হবে না। বলতে হয়, মনু 'নারী' স্বার্থের জন্যই এ বিধানটি দিয়েছেন। যদিও নারীকে উল্লেখ করে বলেছেন কিন্তু এ বিধানের নেপথ্যে পুরুষের অধিকার-ই ষোল আনাই পূর্ণ হয়েছে। মনুসংহিতায় মনু বলেছেনঃ "কন্যাং ভজন্তীমুত্কৃষ্ টং ন কিঞ্চিদপি দাপয়েত্"। ৩৬৫। অর্থঃ "কন্যা উচ্চতর বর্ণের লোককে (সম্ভোগার্থ=যৌ নমিলনে) ভজনা (আহ্বান) করলে তাকে কোন দন্ড দিতে হবে না।" সূত্রঃমনুসংহিতা [অধ্যায়-৮, শ্লোক-৩৬৫, পৃষ্ঠা-২৪০, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ] অপর এক শ্লোকে মনু বিধান দিয়েছেনঃ "দেবরাদ্বা সপিন্ডাদ্বা স্ত্রিয়া সম্যঙ্ নিযুক্তয়া। প্রজেপ্সিতাধিগন ্তব্যা সন্তানস্য পরিক্ষয়ে" \\ ৫৯ \\ অর্থঃ "সন্তানের অভাবে (পতি প্রভৃতি গুরুজন কর্তৃক) সম্যকরুপে নিযুক্ত হয়ে স্ত্রীলোক দেবর বা সপিন্ড থেকে সন্তান লাভ করবে।" মনুসংহিতা [অধ্যায়-৯, শ্লোক-৫৯, পৃষ্ঠা-২৫৪, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ] -] নারীরা মন্ত্রে অধিকারহীন, ধর্মশাস্ত্রে অধিকারহীন নির্গুন- মিথ্যাব াদী-পাপের মূল; তাহলে কি দেবীরা নারী নন? না নিচের শ্লোক/বিধান গুলো কেবলমাত্র সাধারণ নারীদের জন্য- পূণ্যবতী গুণবতী দেবীরুপী নারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়ঃ "স্বভাব এষ নারীণং নরাণামিহ দূষণম। অতোহর্থান্ন প্রমাদ্যন্তি প্রমদাসু বিপশ্চিতঃ" \\ ২১৩ \\ অর্থঃ "নারীদের স্বভাবই হল পুরুষদের দূষিত করা। অতএব পন্ডিতগণ স্ত্রীলোক সম্বন্ধে অনবহিত হন না।" সূত্রঃ মনুসংহিতা-২য় অধ্যায়, পৃষ্ঠা-৭৯, শ্লোক-২১৩ "নাশ্নীয়াদ্ভার্ যয়া সার্ধং নৈনামীক্ষেত চাশ্নতীম। ক্ষুবতীং জৃম্ভমাণাং বা ন চাসীনাং যথাসুখম" \\ ৪৩ \\ অর্থঃ স্ত্রীর সঙ্গে আহার করবেন না, তার আহারকালে তাকে দেখবেন না। স্ত্রীর হাঁচবার, হাই তোলার বা আরাম করে বসে থাকার সময়ে তাকে দেখবেন না।" সূত্রঃ মনুসংহিতা-৪র্থ অধ্যায়, পৃষ্ঠা-১২১, শ্লোক-৪৩ ঋতুকালাভিগামী স্যাত্ স্বদারনিরতঃ সদা। পর্ববর্জং ব্রজেচ্চৈনাং তদব্রতো রতিকাম্যয়া \ \ ৪৫ \\ অর্থঃ (গৃহস্ত) নিজের স্ত্রীর প্রতি অনুরক্ত হয়ে ঋতুকালে স্ত্রীসম্ভোগ করবেন; স্ত্রীর প্রতি প্রীতিমান ব্যক্তি (অমাবস্যাদি) পর্ব বাদে রতিকামনায় (অন্য সময়েও) দারগমন করবেন। সূত্রঃ মনুসংহিতা- ৩য় অধ্যায়, পৃষ্ঠাঃ ৯০, শ্লোক-৪৫, মূল সংস্কৃত-মনু, অনুবাদ সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কালেহদাতা পিতা বাচ্যো বাচ্যশ্চানুপযন পতিঃ। মৃতে ভর্ত্তরি পুত্রসত্ত বাচ্যো মাতুররক্ষিতা \\ ৪ \\ অর্থঃ বিবাহযোগ্য কালে কন্যা সমপ্রদান না করলে পিতা, (ঋতুকালে) স্ত্রীগমন না করলে পতি, স্বামীর মৃত্যুর পর মাতার রক্ষনাবেক্ষণ না করলে পুত্র নিন্দনীয় হয়। সূত্রঃ মনুসংহিতা- ৯ম অধ্যায়, পৃষ্ঠাঃ ২৪৮, শ্লোক-৪, মূল সংস্কৃত-মনু, অনুবাদ সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় আদি পুরুষ (মনুসংহিতা মতে-মনু) মানব জাতির পিতা তার মনুসংহিতার নবম অধ্যায়ের ১৮ নং শ্লোকে বললেন- নাস্তি স্ত্রী নাং ক্রিয়া মন্ত্রৈদিতি ধর্মে ব্যবস্থিতি। নিবিন্দ্রিয় হামন্ত্রাশ্চ স্ত্রিয়োহ নৃতমিতি স্থিতিঃ \\ ১৮ \\ অর্থঃ মাস্ত্রোক্ত বিধি অনুসারে নারীদের মন্ত্রে কোন অধিকার নাই, স্মৃতি ও ধর্শ শাস্ত্রে ইহাদের অধিকার নাই, এই জন্য ইহারা নিতান্ত হীন ও অপাদার্থ।" সূত্রঃ মনুসংহিতা- ৯ম অধ্যায়, পৃষ্ঠাঃ২৫০, শ্লোক-১৮, মূল সংস্কৃত-মনু, অনুবাদ সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়শুক্লযজুর্বেদের অন্তর্গত শতপথ ব্রাহ্মণে নারীকে তুলনা করা হয়েছে এভাবে, “সে ব্যক্তিই ভাগ্যবান, যার পশুসংখ্যা স্ত্রীর সংখ্যার চেয়ে বেশি” (২/৩/২/৮)। শতপথ ব্রাহ্মণের এ বক্তব্যকে হয়তো দরদী ধর্মবাদীরা ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে যৌক্তিকতা দিতে চেষ্টা করবেন, কিন্তু পরের আরেকটি শ্লোকে পাওয়া যায় হিন্দু ধর্মের দৃষ্টিতে নারীর আর্থ-সামাজিক অবস্থান; “বজ্র বা লাঠি দিয়ে নারীকে দুর্বল করা উচিৎ, যাতে নিজের দেহ বা সম্পত্তির উপর কোনো অধিকার না থাকতে পারে ” (৪/৪/২/১৩)। এর থেকে স্পষ্ট কোনো বক্তব্যের আর প্রয়োজন আছে? বৃহদারণ্যকোপনিষদে ঋষি যাজ্ঞবাল্ক্য বলেন, “স্ত্রী স্বামীর সম্ভোগকামনা চরিতার্থ করতে অসম্মত হলে প্রথমে উপহার দিয়ে স্বামী তাকে ‘কেনবার’ চেষ্টা করবে, তাতেও অসম্মত হলে হাত দিয়ে বা লাঠি দিয়ে মেরে তাকে নিজের বশে আনবে ” (৬/৪/৭, ১/৯/২/১৪)। দেবীভাগবত-এ নারীর চরিত্র সম্পর্কে বলা আছে (৯:১): “নারীরা জোঁকের মত, সতত পুরুষের রক্তপান করে থাকে। মুর্খ পুরুষ তা বুঝতে পারে না, কেননা তারা নারীর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে পড়ে। পুরুষ যাকে পতœী মনে করে, সেই পতœী সুখসম্ভোগ দিয়ে বীর্য এবং কুটিল প্রেমালাপে ধন ও মন সবই হরণ করে।”