Tuesday, July 15, 2014
গাজাকে মুক্ত হস্তে দান করুন Donate For Gaza Strip !!!!
Donate For Gaza Strip ! ফিলিস্তিনের গাজার নির্যাতিত মুসলিমদের সহায়তা করার জন্য কিছু ভাই রাত দিন অন লাইনে পড়ে আছেন। ফেইসবুকে ইভেন্ট খোলা হয়েছে।তাদের এই প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। ফিলিস্তিনের মুসিলমদের কঠিন দিনে আমরা বাংলাদেশ থেকে কিছু সহায়তা যদি যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠাতে সক্ষম হই তাহলে এতে ক্ষতির কি আছে ? টাকা পাঠানোর ঠিকানা: গাজাকে মুক্তহস্তে দান করুন। Name of account: MUSLIM AID-DONATION AC Sort code: 30-94-21 Account number: 01436818 Iban (outside UK): GB25 LOYD 3094 2101 436818 অথবা তাদের ওয়েব সাইটে যান এখান থেকে অথবা, এখান থেকে —হে মুসলিম ভাই সকল দয়করে এই নিরীহ মুসলমানদের পাশে দাঁড়ান। কিয়ামতে এর প্রতিদান পাবেন লক্ষ ,লক্ষ,কোটি ,কোটি গুন।
গোয়েন্দা উকিল-১ম পর্ব
সজীবের কাছে ১টি টেলিগ্রাম এলো তার কোলকাতার বন্ধু সুবল দাসের । সজীব কিছুটা গুরুত্ব দিয়েই চিঠিটার ভাজ খুল্ল কেননা ১মাস বাদে কোলকাতা থেকে চিঠি দিয়েছে তার বন্ধু। এতদিন পর মনে পরল তাহলে শালার।মনে মনে বল্ল সজীব। সজীব চিঠিটার ভাজ খুলে চোখ ছানাবড়া করে ফেল্ল চিঠিতে লেখা, প্রিয় বন্ধু সজীব, আশাকরি ভালই আছো,আমার অবস্থা খুবই সোচনীয়।কাল ঘরে ঢুকে তোমার বৌদিকে পাচ্ছিলাম না,একপর্যায়ে খুঁজতে খুঁজতে আমাদের শো'বার ঘরের উপরে তাঁকাতেই আমি কিছুটা ভরকে গেলাম।দেখলাম তোমার বৌদি উপরের ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে ,গলায় শাড়ির আচল প্যাঁচানো ।দ্রুত
Monday, July 14, 2014
ইসরাইলের বর্বরতা দেখুন!(ভিডিও)Israeli strike 'kills Palestinian!
Israeli strike 'kills Palestinian! কোথায় হারালো Humanity? ভিডিও নং-১ Israeli strike 'kills Palestinian!Where is the lost Humanity?Video No. -1 কোথায় গেল Humanrights? ভিডিও নং-২ Where Humanrights?Video No. - II কোথায় গেল Save The Children এর কর্মকর্তাদের Humanity ভিডিও নং-৩ Where Humanity Video of Save The Children's officials -3 কোথায় গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শান্তিপ্রতিষ্ঠার বড় বড় মুলো ঝুলানি কথা বার্তা? ভিডিও নং-৪ Where was the U.S. President Barack Obama's message santipratisthara jhulani big prices?Video No. -4 z5AkFlAeCHE&rl=yes কোথায় গেলো মুসলিম রাষ্ট্রগুলো? কেউ কি নেই এই ইয়াতিমদের পাশে দাঁড়ানোর? কেউ নেই তাদের সাহায্য করার? ভিডিও নং-৫ Where were the Muslim states?Not one to stand beside this iyatimadera?There is no one to help them?Video No. -5 কেন এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে ইহুদি ইসরাইল? Why liberal Jewish Israel terrorist activities? সময় হয়েছে ইসরাইলকে ধ্বংস করে দেয়ার সকল মুসলমান প্রস্তুত হও! It is time for all Muslims to destroy isarail be ready!
Sunday, July 13, 2014
মাহমুদুর রহমান
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ বুধবার , ১৬ জানুয়ারী, ২০১৩ Harunar Rashid এই সময়ে ১০:৩৬ pm মন্তব্য প্রতিবেদন : জনগণের কাছে ন্যায়বিচার চাই মাহমুদুর রহমান আজ বুধবার, ১৬ জানুয়ারি, ইংরেজি সাল ২০১৩। আমার অফিস বন্দিত্বের এক মাস ৩ দিন চলছে। এর মধ্যে এ মাসের ৮ তারিখে হাইকোর্টে একবার আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। আমার দেশ পত্রিকার নিয়মিত পাঠক মাত্রই জানেন, সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চ সেদিন দীর্ঘ শুনানি শেষে আমার আবেদন ফিরিয়ে দিয়ে সিনিয়র কোনো বেঞ্চে যাওয়ার মৌখিক পরামর্শ দিয়েছিলেন। অবশ্য যে লিখিত আদেশ পরদিন বিচারপতিদ্বয় দিয়েছেন, সেখানে বোধগম্য কারণে ‘সিনিয়র বেঞ্চ’ এই কথাটি আর রাখেননি। বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী এবং বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন তাদের আদেশে লিখেছেন, Let it go out of list with liberty to mention the matter before any other appropriate bench (আবেদনটি তালিকার বাইরে পাঠানো হোক এই স্বাধীনতা সহকারে যাতে অন্য কোনো উপযুক্ত বেঞ্চে উত্থাপন করা যায়)। হাইকোর্টে বেঞ্চ গঠনের সময় আদালতের গঠনবিধি অনুসারে প্রতিটি বেঞ্চের এখতিয়ার বিশদভাবে বর্ণনা করা থাকে। সাধারণত উচ্চ আদালতের সাপ্তাহিক ছুটি ব্যতীত যে কোনো দীর্ঘ ছুটির পরই হাইকোর্ট বেঞ্চ পুনর্গঠন করা হয়। এছাড়া প্রধান বিচারপতি চাইলে যে কোনো সময়ই বেঞ্চ নতুন করে গঠন করতে পারেন। এ বছরের শীতের ছুটির শেষে উচ্চ আদালত ২ জানুয়ারি থেকে খুলেছে। তার একদিন আগে অর্থাত্ ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন ২০১৩ইং সনের ১নং গঠনবিধি শিরোনামে হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ গঠন করেছেন। তার উপরোক্ত আদেশের ১৪ নম্বর সিরিয়ালে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী এবং বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের এখতিয়ার নিম্নরূপ : “একত্রে ডিভিশন বেঞ্চে বসিবেন এবং শুনানীর জন্য ডিভিশন বেঞ্চে গ্রহণযোগ্য ফৌজদারী মোশন; ফৌজদারী আপীল মঞ্জুরীর আবেদনপত্র এবং তত্সংক্রান্ত জামিনের আবেদনপত্র; মঞ্জুরীকৃত আপীল ও তত্সংক্রান্ত জামিনের আবেদনপত্র; ২০০৮ইং সন পর্যন্ত ফৌজদারী বিবিধ এবং ফৌজদারী রিভিশন ও রেফারেন্স মোকদ্দমাসমূহ এবং উপরোল্লিখিত বিষয়াদি সংক্রান্ত রুল ও আবেদনপত্র গ্রহণ করিবেন।” আইনি ভাষার কূট- কচালি বাদ দিলে মোদ্দা কথা আমার মতো নাগরিকের আবেদন শুনানির জন্য উল্লিখিত দ্বৈত বেঞ্চকে প্রয়োজনীয় সব এখতিয়ার দেয়া হয়েছে। তারপরও আমার জামিন আবেদন বিষয়ে মাননীয় বিচারপতিদ্বয় কেন তাদের বেঞ্চকে উপযুক্ত বিবেচনা না করে অন্য কোথাও যেতে আদেশ দিলেন? এই প্রশ্নের জবাব পেতে হলে সেদিনকার আদালতের বিচিত্র পরিস্থিতি বয়ান করতে হবে। জানুয়ারির ২ তারিখ আদালত খুললেও আমার জামিন আবেদনের শুনানি উল্লিখিত বেঞ্চ ৮ তারিখের আগে শুনতে সম্মত হননি। আমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী তার সাধ্যমত বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে সেই ১৩ ডিসেম্বর থেকে অফিসে অবরুদ্ধ রয়েছি, তাই শুনানি ৩ জানুয়ারি করা হোক। কিন্তু, আদালত অটল থেকে বলেছেন আগাম জামিন আবেদন শুনানির জন্য সপ্তাহের নির্ধারিত দিবস মঙ্গলবার ব্যতীত তারা আমার আবেদন শুনবেন না। এতে নাকি নিয়মের ব্যত্যয় হবে। অথচ বিশেষ ক্ষেত্রে মেনশনের দিনেই শুনানি হওয়ার ভূরি ভূরি নজির রয়েছে। তার মধ্য থেকে একটা প্রাসঙ্গিক উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। ২০০০ সালে ইনকিলাব পত্রিকার সম্পাদক এ. এম. এম. বাহাউদ্দীনের জামিনের শুনানি গ্রহণের জন্য রাত দশটায় প্রধান বিচারপতির নির্দেশে হাইকোর্টে বিশেষ বেঞ্চ বসানো হয়েছিল এবং তিনি সে রাতে আগাম জামিনও পেয়েছিলেন। সম্পাদক বাহাউদ্দীনের বিরুদ্ধেও তত্কালীন শেখ হাসিনা সরকার আমার মতোই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেছিল। এখন অবশ্য তার সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধুর সম্পর্ক রয়েছে। আমি মাওলানা মান্নানের পুত্র, ইনকিলাব সম্পাদকের মতো ভাগ্যবান নই তাই ৬ দিন অপেক্ষা করেই হাইকোর্টে গেলাম। পথিমধ্যে গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কা থাকায় আমার সহকর্মী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ এবং সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট আদিলুর রহমান খান আমার দেশ অফিস থেকে একই গাড়িতে উঠলেন। বর্তমান বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়া কোনো বিষয় নয়, ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমের মতো গুম হওয়াটাই অধিকতর আশঙ্কার। সেই জন্যই ছোটভাইসম দুই বন্ধু আমার সঙ্গেই আদালতে গেলেন। সাড়ে দশটায় আদালতে উঠতেই হতাশ হলাম। বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী জানালেন যে, শুনানি দুপুর দুটো পর্যন্ত মুলতবি থাকবে, কারণ ‘মহামহিম’ অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম স্বয়ং আসবেন জামিনের বিরোধিতা করতে। আর তার অভিপ্রায় উপেক্ষা করবে এমন ক্ষমতা কার? সরকার আমার মতো এক নগণ্য নাগরিককে এতখানি সম্মান দেয়ায় পুলকিত বোধ করলাম। আমার আইনজীবীরা দেখলাম খুবই আত্মবিশ্বাসী। সরকারের দায়ের করা মামলা এতই বানোয়াট যে পাঁচ মিনিটে জামিন হয়ে যাবে, ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি বাইরে কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও মনে মনে ঠিকই বুঝতে পেরেছিলাম ব্যাপারটা অত সহজ নয়। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে গঠিত বাংলাদেশের ‘স্বাধীন’ আদালত, যেখানে বেছে বেছে ‘সেরা’ ব্যক্তিদের ‘মাননীয়’ বিচারপতি পদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। আমি চাইলাম আর তারা জামিন আবেদন মঞ্জুর করে ফেললেন, এতখানি আশাবাদী হতে পারছিলাম না। শেষ পর্যন্ত বেলা আড়াইটায় শুনানি শুরু হলো। কোথায় গেল পাঁচ মিনিটে জামিনের আশাবাদ। সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী আমার বিরুদ্ধে সরকারের অভিযোগ যে কতটা মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, হয়রানিমূলক এবং বেআইনি সেটা বিভিন্ন ধারা উল্লেখপূর্বক দীর্ঘক্ষণ ধরে বলেই যাচ্ছেন। আর মাননীয় বিচারকদ্বয়ের একজন স্মিতমুখে এবং অপরজন দৃষ্টি সামনের ফাইলে নিবদ্ধ করে বিষম গাম্ভীর্যের সঙ্গে অসীম ধৈর্যসহকারে সেই নিবেদন শুনেই যাচ্ছেন। মনে হলো তারা সামান্য জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নয়, মূল মামলার রায় যেন আজই দিয়ে ফেলবেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর আমার পক্ষের আইনজীবী থামলেন। এবার অ্যাটর্নি জেনারেলের পালা। ততক্ষণ ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে আমার পা ব্যথা হয়ে গেছে। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার নিজস্ব রাজনৈতিক বাচনভঙ্গিতে জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে আধ ঘণ্টাখানেক বক্তৃতা দিলেন। তিনি বললেন, বিচারপতির সঙ্গে বিদেশে অবস্থানরত অপর এক ব্যক্তির চলমান মামলা সংক্রান্ত আলাপচারিতা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমিই নাকি মহা অপরাধ করে ফেলেছি যদিও হ্যাকিংয়ের সঙ্গে আমার কোনোরকম সম্পৃক্ততার প্রমাণ সরকারের কাছে নেই। সে সব বিষয় এখনও প্রাথমিক তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। বিচারপতির স্কাইপ সংলাপের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কোনো বিচারপতির এই আচরণ আইনসম্মত কিনা, আদালত সেটি জানতে চাইলে বিব্রত অ্যাটর্নি জেনারেল আমতা আমতা করে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের পদত্যাগী চেয়ারম্যানের পক্ষাবলম্বন করে কিছু একটা বলতে চাইলেন। আদালত কক্ষে উপস্থিত সবাই বুঝতে পারছিলেন যে, অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইছেন। তাছাড়া এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের আমার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন রুল দেয়া প্রসঙ্গেও অ্যাটর্নি জেনারেল কোনো যুক্তি খাড়া করতে ব্যর্থ হলেন। সেই বেআইনি রুল অবশ্য আপিল বিভাগ ইতোমধ্যে স্থগিত করে দেয়ায় অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলমের পক্ষে তার বিরোধিতা করাও সম্ভব হয়নি। বক্তব্যের শেষে তিনি আমার আদালত অবমাননার অভিযোগে সাজাপ্রাপ্তির পুরনো প্রসঙ্গ তুলে জামিন দেয়ার বিরোধিতা করলেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের আর্গুমেন্টে আমি কৌতুক বোধ করছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মামলার ধারা হলো রাষ্ট্রদ্রোহের, আর তিনি তুলছেন আদালত অবমাননার প্রসঙ্গ। অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে আমার জামিন আবেদন দাখিল নিয়েও অসত্য বক্তব্য দিলেন। আমার বিরুদ্ধে সরকার ১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়ের করলে আমি পরবর্তী কার্যদিবস অর্থাত্ সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে জামিন আবেদন দাখিল করি। অথচ অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম অম্লান বদনে দাবি করলেন, আমি নাকি ইচ্ছা করে ৮ জানুয়ারি জামিনের আবেদন করে মহা অন্যায় করে ফেলেছি। দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষ হলে আদালতের আদেশ দেয়ার পালা। আদেশ শুনে আদালতে উপস্থিত সবাই স্তম্ভিত। আমার মামলাটি নাকি এতই জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ যে, আদালত তাদের চেয়েও সিনিয়র কোনো বেঞ্চে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন। তালিকার মামলা দীর্ঘ দুই ঘণ্টা শুনানির পর উচ্চ আদালতের এমন আদেশ নজিরবিহীন। হাইকোর্টের বেঞ্চের এখতিয়ার সিনিয়র-জুনিয়র বিবেচনা করে নির্ধারিত হয় না। মাননীয় প্রধান বিচারপতি নিজ অভিপ্রায় অনুযায়ী সেটি নির্ধারণ করে দেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং অ্যাভভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী আদালতকে বিনীতভাবে অনুর োধ করলেন অন্তত পরবর্তী বেঞ্চে শুনানি না হওয়া পর্য ন্ত আমাকে যেন পুলিশ হয়রানি না করে এ ধরনের একটি মৌখিক আদেশ প্রদানের জন্য। কিন্তু আদালত সেই অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করে শুধু বললেন, আমরা দুঃখিত। পীড়াপীড়ি করে তাদেরকে আর বিব্রত না করারও অনুরোধ করলেন। এদিকে আদালতের সময়ও ততক্ষণে প্রায় শেষ। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলীর তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা। ওই আদালত থেকে ছুটে বেরিয়ে আমাকে এক রকম টানতে টানতেই নিয়ে গেলেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী এবং বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালতে। দুই মাননীয় বিচারপতি সেই মুহূর্তে অন্য একটি মামলা শুনছিলেন। শুনানির মাঝখানে কিছুটা প্রথা ভেঙেই ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আমাদের অসহায় অবস্থার প্রতি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। দৃশ্যত বিরক্ত হয়েই জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী বললেন, আপনাদের কথা কিছুই বুঝতে পারছি না, শুনানি যেটা চলছে শেষ হতে দিন, তারপর না হয় আপনাদের কথা শুনব। আমরা অপেক্ষা করতে থাকলাম। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই শুনানি শেষ হলে আদালত আমার পক্ষের আইনজীবীর কথা শুনতে চাইলেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী উত্তেজনা ও হতাশা যথাসম্ভব চেপে রেখে অতি সংক্ষেপে পূর্ববর্ত ী বেঞ্চের কাহিনী বর্ণনা করলেন। বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী সঠিকভাবেই আদালতের নিয়ম-কানুনের উল্লেখ করে দুই সিনিয়র আইনজীবীকে স্মরণ করিয়ে দিলেন যে, এভাবে হঠাত্ করে তাদের পক্ষে কোনো মামলা শোনা সম্ভব নয়। তালিকাভুক্ত কোনো মামলার আবেদন নিয়ে অন্য বেঞ্চে যাওয়ার আগে অবশ্যই প্রথমে আদালতের লিখিত আদেশ নিয়ে আসতে হবে। আমাকে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরীর আদালতে অপেক্ষা করতে বলে আমার অত্যন্ত শুভানুধ্যায়ী আইনজীবীদ্বয় আবার ছুটলেন বিচারপতি কামরুল ইসলাম চৌধুরীর কাছে। আমি ভাবলাম হয়তো আজই দ্বিতীয় আদালতে আবেদন পেশের সুযোগ পাব। প্রত্যাশা করছিলাম প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদের ফেরা পর্যন্ত নিশ্চয়ই বিচারপতিরা অপেক্ষা করবেন। আদালত সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জনের তখনও বাকি ছিল। ঘড়ির কাঁটায় ঠিক চারটা বাজতেই বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী এবং বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এত দ্রুততার সঙ্গে বেঞ্চ থেকে নেমে গেলেন যে, আমার ভয় হচ্ছিল মাননীয় বিচারপতিরা না আবার হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে আঘাত পান। আমার সঙ্গে বেশ কয়েকজন বিএনপি সমর্থক নবীন আইনজীবী ছিলেন। বিচারপতিদের এজলাস থেকে নেমে যাওয়ায় তাদের মুখমণ্ডলে স্পষ্ট হতাশার চিহ্ন দেখলাম। বেচারাদের চোখ বলছিল আমার গ্রেফতার বোধহয় আর ঠেকানো গেল না। কেন জানি না এইসব কাজ- কারবারে প্রচণ্ড হাসি পাচ্ছিল। আদালতে হাসা বারণ, কারণ তাতে আবার আদালত অবমাননা হয়। দ্রুত হাসি গিলে ফেলে সিদ্ধান্ত নিলাম তখনই পত্রিকা অফিসে ফিরব। কিন্তু, নাছোড়বান্দা শুভাকাঙ্ক্ষীরা অনে কটা জোর করেই আমাকে বার প্রেসিডেন্টের অফিসে নিয়ে তুললো। পাঁচ মিনিটের বেশি অবশ্য সেখানে ছিলাম না। লোকজন পরামর্শ দিচ্ছিল রাতের মতো কোনো এক আইনজীবীর কক্ষে পালিয়ে থাকতে। তাদের তখনও আশা পরদিন নিশ্চয়ই কোনো একটা আদালত আমার আবেদন শুনবেন। পরামর্শ শুনেই ঘৃণায় গা ঘিন ঘিন করে উঠলো। তরুণ ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে বেশ উচ্চস্বরেই বললাম, তোমরা ভুলে যাচ্ছ, আমি রাজনীতিবিদ কিংবা আইনজীবী নই। অনেকের মতো, মধ্যরাতে চুপিসারে আদালতে ঢোক া কিংবা ছদ্মবেশ ধারণ করা ইত্যাদি কাজ- কর্মে আমি মোটেই অভ্যস্ত নই। অনেকটা ধাক্কা দিয়ে সবাইকে সরি য়ে সুপ্রিমকোর্ট বার সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিনের কক্ষ থেকে বেরিয়ে এলাম। বাইরে তখন অগুনতি ক্যামেরা আমার দিকে তাক করে রয়েছে। সেগুলো দুই হাতে ঠেলে পথ করে নিয়ে সিঁড়ির কাছে পৌঁছে দেখি অ্যাডভোকেট আদিলুর রহমান খান অপেক্ষমাণ। কোনো কথা না বলে আমাকে অনুসরণ ের ইশারা করে দ্রুত পায়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে এলাম। আমার এক সহকর্মীকে বললাম গাড়ি খুঁজে বের করতে। চকিতে চারদিকে চেয়ে কয়েকজন সাদা পোশাকের পুলিশ দেখতে পেলেও পোশাকধারী কাউকে না দেখে অব াকই হলাম। বুঝলাম প্রশাসনও সম্ভবত ঘটনার এই আকস্মিকতার জন্য প্রস্তুত ছিল না। অনেকটা নিশিতে পাওয়া মানুষের মতো গাড়িতে উঠলাম। পেছনে আমি এবং আমার দেশ-এর রিপোর্টার মাহবুব ও বাছির জামাল। সামনের সিটে আদিলুর রহমান খান। কুড়ি বছর ধরে আমার গাড়িচালক বাদলকে বললাম সোজা কারওয়ান বাজার যেতে। আদিলকে বললাম রাস্তায় গ্রেফতার হলে মানবাধিকার কর্মী হিসেবে সেই ঘটনার সাক্ষী থাকতে। গাড়ি থেকে স্ত্রীকে ফোন করে সারাদিনের ঘটনা জানালাম। সৌভাগ্যক্রমে অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা লাগলো। আধ ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে গেলাম বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় ভবনের চত্বরে। ততক্ষণে আমার সব সহকর্মী সাংবাদিক ১১ তলার অফিস ছেড়ে নিচে নেমে এসেছে। আমি হাসিমুখে গাড়ি থেকে নামত েই একটা হর্ষধ্বনি উঠলো। অপেক্ষমাণ লিফটে চড়ে পৌঁছে গেলাম আমার দেশ কার্যালয়ে। সকাল সাড়ে আটটায় যে অবরুদ্ধ জীবন ছেড়ে গিয়েছিলাম আদালতে ন্যায়বিচারের অলীক প্রত্যাশায়, বিকাল পাঁচটার মধ্যে সেখানেই আমার প্রত্যাবর্তন ঘটলো। বাংলাদেশে কথিত আইনের শাসনের অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা দিনভর সঞ্চয় হলো। এতদিন জানতাম জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা নিষ্পত্তির জন্যই জনগণ উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়। হাইকোর্ট বেঞ্চের আজকের আদেশ শোনার পর থেকেই একটি প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতিরা যে মামলার গুরুত্ব ও জটিলতার কারণে কোনোরকম আদেশ দিতে বিব্রত হন, সেই মামলার বিচারকার্য সিএমএম কিংবা জেলা জজ আদালতের মতো নিম্ন আদালতে তাহলে কেমন করে চলবে, এই প্রশ্নের জবাব কার কাছে খুঁজব? সবচেয়ে বড় কথা, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার বর্তমান পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের সব বেঞ্চই যে আমার প্রতি একই রকম আচরণ করবেন না, তারই- বা নিশ্চয়তা কোথায়? আজই তো দুটো বেঞ্চে ছুটোছুটি করেও ন্যায়বিচার অধরাই থেকে গেল। আদালতের ৮ তারিখের রোমাঞ্চকর গল্প শেষ হলো। এবার আমার মামলা জনগণের আদালতে পেশ করার পালা। তাদের কাছ থেকে ন্যায়বিচার যে আমি পাবই, এ নিয়ে আমার মনে অন্তত কোনো সন্দেহ নেই। সপ্তাহ তিনেক আগে ‘এক অবরুদ্ধ চান্স সম্পাদকের জবানবন্দী’ শিরোনামে মন্তব্য- প্রতিবেদন লিখেছিলাম। সেই লেখায় সরকারের এই দেশদ্রোহ মামলার খানিকটা বিবরণ ছিল। দুই কিস্তির বর্তমান মন্তব্য প্রতিবেদনে প্রসঙ্গক্রমে সেখানকার কিছু তথ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটলে পাঠকের কাছে আগাম ক্ষমা চেয়ে রাখছি। (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি আগামী বুধবার) admahmudrahman@gmail.com
এলিয়েন কি সত্যিই আছে?
আমাদের দেশের এলিয়েন মনষ্কা ভাই বোনরা এই পোস্টটি মাথা ঠান্ডা করে পড়ুন।আর ভাবুন আমরা এলিয়েন বিশ্বাস করি কিসের ভিত্তিতে।আসলে এলিয়েন বলতে কিছু কি আছে নাকি পুরোটাই ভাওতাবাজি। এলায়েন বিজ্ঞানীরা নিজেদের মত করে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে নাতো? আল্লাহ পাক রাব্বুল আলআমিন দুনিয়াতে ১৮হাজার মাখলুকাত বানিয়েছেন তার ভিতরে মানুষই শ্রেষ্ঠ।কিন্তু বর্তমান কিছু বিজ্ঞান মহল এমন একটা উদ্ভট জিনিস নিয়ে নাড়াচাড়া দিয়েছেন যেটা মানলে ধর্মকে ছাড়তে হবে:-@।কিছু কিছু বিজ্ঞান মনষ্কা ছেলে মেয়েরা তো মেনেই নিয়েছে :-> ! ¤সেটা হল এলিয়েন বা ভিনগ্রহবাসী!বিজ্ঞানীদের দাবী এলিয়েন আছে এবং থাকবে,অথচ এলিয়েন যে আছে তার কোন প্রমাণ বা রেফারেন্স বিজ্ঞানীরা দিতে পারেনি।বিজ্ঞানীরা দাবী করে এলিয়েন মোট ৩ প্রকার।যথাঃ ১/গ্রে এলিয়েন।(দেখতে অনেকটা গুইসাপের মতো,পিঠে খাঁজ কাঁটা খাঁজ কাঁটা আছে,বিজ্ঞানীদের দাবী এরা মানুষের ক্ষতি করে,এরা নাকি মানুষ গুম ও করে!:-P) ২/র্য্যাপ্টিলিয়ানস এলিয়েন।(দেখতে অনেকটা ধাতব বাক্সের মতো অথবা মাথাটা রোবটের মতো।বিজ্ঞানীদের দাবী এরাও মানুষকে গুম করে:'() ৩/হ্যিউম্যান টাইপ।(দেখতে ঠিক মানুষের মতো তবে বিজ্ঞানীদের দাবী এরা মানুষের থেকে ফর্সা হয়ে থাকে এবং এরাই নাকি একমাত্র এলিয়েন যারা মানুষের কোন ক্ষতি করেনা:-D)এদের মধ্যে নাকি একেকটা একেক রকম।কোনটা বাক্সের মতো:-Oকোনটা কুমিরের মতো:-Pআবার কোনটা নাকি মানুষের মতো%-)! এরা নাকি সসারে(বিজ্ঞানীদের দাবী সসার এলিয়েনের উড়োজাহাজ)করে পৃথিবীতে আসে। বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের(গোবর পঁচা বিজ্ঞানী) নাম তো নিশ্চই সবাই শুনেছেন,ইনি দাবী করেন এলিয়েন আছে কিন্তু তা আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।আজো অনেক মানুষ এলিয়েনে বিশ্বাসী অথচ এলিয়েন যে আছে তার কোন উপযুক্ত প্রমাণাতি বিজ্ঞান মহল দিতে পারিনি!তারা বলেন যে মহাকাশের গ্রহ নক্ষত্রের মতোই সত্য যে এলিয়েন আছে কিন্তু আমরা দেখিনাই। এই এলিয়েনই মানুষের মনে একটি ভ্রান্তির সৃষ্টি করে হাজার হাজার মানুষকে ধর্মচ্যুত্ করেছে:-(! অনেকে বলছেন যে তারা এলিয়েন নিজ চোখে দেখেছেন!এবং সসার ও দেখেছেন!কোথায় দেখেছেন,কি করে দেখেছেন তার কোন প্রমাণ ও অনেকের কাছে নেই।এ যেন মামু বাড়ির আব্দার যে আপনি বল্লেন আমি বাংলাদেশে হীরার ক্ষনি পেয়েছি,আর আমি তা বিশ্বাস করব। বিজ্ঞানীরা এড়িয়া ৫৬এর কিছু প্রাণী কেও এলিয়েন বলে।আবার নতুন সৃষ্ট হওয়া কিছু প্রাণীকেও এলিয়েন বলে ফেলে!কয়েক বছর পর দেখা যাবে যে একটা ছেলের মাথা বড় হলেও তারা বলে ফেলবে যে এটা এলিয়েনB-)! বিজ্ঞান মানুষকে যতটাই না শান্তি দিয়েছে ততটা করে তুলেছে মানুষকে অবিশ্বাসী।এমন কিছু আছে যা তাদের এখনো ধরা ছোঁয়ার একদম বাহিরে কিন্তু তবুও তারা প্রচার করে বেড়ায় যে এটা আমরা পেরেছি।এইতো মাত্র কয়েক দিন আগে একদল বিজ্ঞানীরা প্রকাশ করল যে তারা মঙ্গলগ্রহের ইদুর তাদের ক্যামেরায় উঠিয়েছেন।কিন্তু পরে আরেকদল বিজ্ঞানীরা নিরিক্ষন করে দেখল যে ওটা ছিল সাদা দুইটা পাথরের টুকরা:-P! প্রিয় পাঠক,বিজ্ঞানীদের সকল কথাই যে সত্য হবে এইটা ভাবাও অযৌক্তিক ভাবা।আর বিজ্ঞানীদের দ্বারাই যে সব সম্ভব সেইটা ভাবা তো বোকামি।কারন তারা এখন পর্যন্ত দেহে প্রাণ দিতে পারেনি,সাগরের তলায় যেতে পারেনি,আকাশের ওপরে উঠতে পারেনি,সমুদ্রের ওপারে যেতে পারেনি।আরো অনেক কিছুই বিজ্ঞানীদের আওতার বাইরে।আর যা যা তারা তৈরী করেছে তাতে প্রাকৃতিক সম্পদ তাদের লেগেছে।প্রাকৃতিক সম্পদ ছাড়া নিজেদের অভিজ্ঞতায় কিছুই সম্ভব হয়নি বিজ্ঞানীদের দ্বারা । অতএব এলিয়েন তত্ত্ব ও যে বিজ্ঞানীদের ভ্রান্ত ধারনা এর উত্তম প্রমাণ মিলেনি যে এলিয়েন কি আদৌ আছে নাকি রুপকথার গল্প? এলিয়েন কি সত্যিই আছে?শেষ পর্ব এলিয়েন কি সত্যিই আছে?১ম পর্ব পড়ুন (বানানগত ভুল ভুল ) এলিয়েনদের নিয়ে কত্ত চিন্তা বিজ্ঞানীদের:-|!এলিয়েনরা কেন আসে পৃথিবীতে?কি খায়?কি রকম শ্বাসকার্য চালায়? ইত্যাদি বিভিন্ন চিন্তা বিজ্ঞানীদের মাথায় অলটাইম ঘুরপাক খায়।বিজ্ঞানীদের মতে এলিয়েনরা কিছুই খায়না,আর তারা পৃথিবীকে ভালভাবে ভিজিট করতে পৃথিবীতে আসে।আর তারা সব আবহাওয়াতেই থাকতে পারে।সবরকম গ্যাসেই তারা বাঁচতে পারে,সেটা অক্সিজেন হোক,নাইট্রোজেন হোক আর বিষাক্ত গ্যাস কার্বনডাই অক্সাইড ই হোক:-/! বিজ্ঞানীদের দাবী যে,এলিয়েনরা বুদ্ধিতে মানুষের থেকে সেরা,অথচ আল্লাহ পাক রব্বুল আলআমিন মানুষকেই সৃষ্টির সেরা জীব বলেছে অর্থাত্ আশ্রাফুল মাখলুকাত।আচ্ছা বিজ্ঞানীদের সবকিছুই মানতে হবে এটা কি কোন ইতিহাসের পাতায় আছে নাকি?অথবা কোন আইন পাশ করা আছে নাকি? বিজ্ঞানীদের দেয়া সকল তথ্য সঠিক নয় এর অনেক প্রমাণ আছে। বিজ্ঞানীদের সকল কথা যে সত্য নয় এর একটা প্রমাণ নিম্নে দিলাম •বিজ্ঞানীরা ৯০দশকে একবার বলেছিল যে "আর কয়েক মাস পর পৃথিবী ধ্বংস হবে"।কিন্তু তার পর ১শতক পার হয়ে গেল পৃথিবী কিন্তু ধ্বংস হয়নি বরংচ আরো উন্নত হয়েছে। তাই আমরা বলতে পারি যে বিজ্ঞানীদের সকল তথ্য সত্য নয় অতএব বিজ্ঞানীরা যে বলেছে এলিয়েন মানুষ থেকেও বুদ্ধিমান এটাও আমরা মানতে পারিনা এবং মানবোও না। বিজ্ঞানীদের দাবী কিছু কিছু এলিয়েন দেখতে কুমিরের মতো:-O! ছোট বেলায় একটা রুপকথার গল্প শুনেছিলুম যে রাক্ষসগুলো দেখতে নাকি ভয়াল ছিলো!দাঁতগুলো ইয়াবড় বড়!মাথার দু পাশে শিং,রক্তবর্ণ চোখ!ছোট বেলায় কতই না ভয় পেতাম!রাত্রে প্রসাব করতেও নামতাম না! পরে যখন বড় হলাম তখন জানতে পারলাম যে ঐ গুলা রুপকথার গল্প,আদিকালের গল্পকাররা এগুলো লিখে গিয়েছে। বর্তমান বিজ্ঞানীরাও তেমন আদিকালের গল্পকার হয়ে গেছে,যত্তসব উদ্ভট গল্প এরা বলে যাচ্ছে আর বিজ্ঞানমনষ্কা ছাত্রগুলোও বিজ্ঞানীদের এলিয়েন গল্পগুলো বিশ্বাস করে ধর্ম থেকে দূরে চলে যাচ্ছে!আবার এই ছেলেমেয়ে গুলোই নিজেদের মুক্তবুদ্ধির ধারকবাহক হিসেবে দাবী করছে:->! আসল কথা হলো বর্তমান বিজ্ঞানীরা পুরো পৃথিবীকেই ধর্মমুক্ত বানাতে চাচ্ছে যাতে করে তারা পুরো পৃথিবীতে প্রভুত্ব চালাতে পারে!আর আমাদের বর্তমান বিজ্ঞানে অজ্ঞান ছেলে মেয়েগুলো এটা না বুঝেই বিজ্ঞানীর কথাগুলো চোখ বুজে বিশ্বাস করে নিচ্ছে। পুরো পৃথিবীর ৭৫পার্সেন্ট লোক বিজ্ঞানীদের ফাঁদে পড়ে এলিয়েনে বিশ্বাস করে! অথচ বড় বড় বিজ্ঞানীরা বলেছে,আমরা যেটা নিজ চোখে না দেখি তাকে বিশ্বাস করিনা যেমন,এলিয়েন:-)। অনেক বিজ্ঞানী বলেছেন,আমরা এলিয়েনে মোটেই বিশ্বাসী নও।এলিয়েন ও নেহাত্ ড্রাকুলার গল্পের মতো সাজানো গপ্প,আমরা এলিয়েন নিয়ে মাথা ঘামাইনা আমরা মাথা ঘামাই,কি করে জগত্টাকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। সেদিন মেক্সিকোতে একটা খামারে ছোট্ট প্রাণী দেখে এক মহিলা চিত্কার করে ওঠে পরে সেটাকে পানিতে চুবিয়ে মেরে ফেলা হয় এর কয়েকদিন পর ঐ মহিলা অটোমেটিকলি গাড়িতে আগুন লেগে মরে যায়।বিজ্ঞানীরা দাবী করেছে যে ঐটা এলিয়েন ছিল এবং বাচ্চাকে মেরে ফেলার কারনে ও প্রতিশোধ নিয়েছে।অথচ আমরা জানি যে একমাত্র জ্বীন জাতীই তার বাচ্চাকে মেরে ফেল্লে প্রতিশোধ নেয়।আর বিজ্ঞানীরা বলেন যে এলিয়েন আগুনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে!তাইলে বিজ্ঞানীদের তত্ত্ব অনুযায়ীই বলা যায় উক্ত কাজটা কোন এলিয়েনের ছিল না বরংচ এটা জ্বীনের কারসাজি ছিল। •এ ঘটনাটা থেকে কিছুটা হলেও বোঝা যায় যে বিজ্ঞানীরা আসলে যাদের কে এলিয়েন বলে ওগুলো আসলে জ্বীনজাতী ও গুলো এলিয়ন নয়।এলিয়েন বলতে কিছু এ ধরায় নাই। কয়েকদিন আগে গুগল ম্যাপে এলিয়েনদের যান অর্থাত্ সসার ধরা পরেছে বলে একটি সোরগোল সৃষ্টি হয়েছে।কিন্তু বিজ্ঞানীরা খতিয়ে দেখেছে ওগুলো সসার ছিলোনা ছিল মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির পথের কিছু চিহ্ন অথবা গ্রাবলওবিটিশন। এই লেখাটি pdf আকারে ডাউনলোড করুন
আর কত রক্ত দেখলে শান্ত হবে ইসরাইল?
কাণ্ডারি বল পুড়িছে মানুষ সন্তান মরে মোর মা'র
খবরের পাতা উল্টোলেই টপ শিরোনাম যেটা উঠে আসে সেটা হল ''ফিলিস্তিন/প্যালেস্টাইন"। বহুদিন যাবত্ ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাথে এই জিহাদিরা আপোষ হচ্ছেনা। তাই মিসাইল,রকেট ,অ্যাটম বোমা,বারুদের গন্ধ এদের নিত্য দিনের সঙ্গী।আমরা যখন চরম বিনোদনের সহিত ফুটবল উন্মোদনায় মাতি আর তখন প্যালেস্টাইনে আমার স্বজাতী আশঙ্কায় থাকে এই বুঝি ছাদের উপর রকেট পরল। চরম উগ্রপন্থি ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের প্রধান 'নেতানিয়াহু' প্রতিনিয়ত ক্ষেপনাস্ত্র ছুড়ছে গাজা উপত্যকায়। এছাড়া ইসরাইলি ইহুদি সৈন্যরা নির্বিচারে গুলি করছে ফিলিস্তিনের জনগনের উপর।খুন,ধর্ষন,রাহাজানি ,লুটপাট তো আছেই। সাথে আছে জঘণ্যতম কাজ ,শিশু গুম করা,শিশু হত্যা,শিশুদের প্রহার করা।বিশ্বের প্রায় ২তৃতিয়াংশ লোক এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।নেদারল্যান্ড ,লন্ডন,যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন রাষ্ট্রে ইসরাইলের উপর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। কাল দেখলাম মৃতের সংখ্যা প্রায় ১০৬জন ছাড়িয়েছে আহত প্রায় ৬০০জন। শিশু,কিশোর গুম হয়েছে প্রায় হাজার খানেকের বেশি! আহত এবং নিহত বেশির ভাগই শিশু। বোমা ছুড়ে ফেলা হয় ঘরের উপর বিমান হামলা চালানো হয় তাদের উপর।গতকাল একটা বার্তা পেলাম যেখানে এক ফিলিস্তিনির ব্যাপারে লিখেছেন, অ্যাটাক করা হয়েছে আমার কোয়ার্টারে।আমার কোয়ার্টারে ফেলা হয়েছে বোমা।আমার পরিবারের যারা সদস্য ছিল সবাই নিহত হয়েছেন শুধুমাত্র আমি বেঁচে আছি। আরেকটা বার্তায় পেলাম,আমার শিশু সন্তানটি ঘরেই ছিল আর আমার ঘরের উপর বোমা ফেলা হয়েছে যা কিনা আমর শিশু সন্তানটিকে খন্ড খন্ড করে দিয়েছে। আমরা এখন প্রতিদিন ছয়বার নামাজ আদায় করি ,ফজর,জোহর,আসর ,মাগরিব ,এশা আর জানাজা। এমতাবস্থায় আমার বার বার মনে পরছে জাতিসংঘের কথা যারা কিনা বিশ্ব কন্ট্রোল করে।এরপর আমার মনে পরছে বিশ্বের মুসলিম কান্ট্রিগুলোর কথা ,সৌদী আরব,কুয়েত,কাতার,মালয়েশিয়া,বাংলাদেশ,মিশর,জাকার্তা,ব্রুনাই আরো অনেক যারা কিনা এই ফিলিস্তিনের স্বজাতী। আমি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি জাতীসংঘ সহ এই মুসলিম রাষ্ট্রগুলো ইহুদীবাদী ইসরাইল কে ভয় পায়।আর না হয় ফিলিস্তিনিদের পাশে গিয়ে দাঁড়াত। জাতীসংঘের মহাসচীব বানকিমুন নেতানিয়াহু কে বলেছিল যুদ্ধ বন্ধ করতে কিন্তু নেতানিয়াহু শ্রেফ জানিয়ে দিয়েছে যে যুদ্ধ বন্ধ করা এখন সম্ভব না এটা তাহলে রুলের বাইরে পরে যায়।আর তখনই বানকিমুন তখনই চুপ! শান্তিপ্রতিষ্ঠায় নোবেল বিজয়ী বারাক হোসেন ওবামা ও নেতানিয়াহুকে বলেছিল যুদ্ধ বন্ধ করতে কিন্তু নেতানিয়াহুর ঐ রুলে বারাক ওবামাও সাইলেন্ট। বাকি থাকে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যারা কিনা ভেজা বিড়াল হয়ে আছে! একমাত্র মিশর ফিলিস্তিনিদের চিকিত্সার সুবিধার জন্য তার বর্ডার খুলে দিয়েছে,কিন্তু চিকিত্সা করবে কাদের মৃত শিশুদের? আচ্ছা এই শিশু হত্যা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন না? জাতিসংঘের সেইফ দ্য চিলড্রেন কি তাহলে শিশু হত্যা আর গুমের জন্য তৈরী হয়েছে? ফিলিস্তিনে যখন আমার ভাইকে বিনা মৃত পিতার পাশে গড়িয়ে গড়িয়ে যখন শিশুটি কাঁদে তখন কি মুসলমানের মনে হয়না ওটা তাদের ভাইয়ের ছেলে কাঁদছে তার মৃত ভাইটার পাশে শুয়ে? যখন সেভ দ্য চিলড্রেন Humanity এর কথা বলে তখন আমার শঙ্কা হয় এরা কি আরো শিশু গুম করার ফন্দি এঁটেছে? যখন জাতীসংঘ Humanity এর কথা বলে তখন আমার শঙ্কা হয় এরা কি ইসরাইলকে অস্ত্র দিয়ে হেল্প করে Humanity জাহির করছে? যখন নোবেল বিজেতা বারাক ওবামা বলে,Stop This Ware তখন আমার সন্দেহ হয় নতুন কোন ফন্দি। আমি গভীর ভাবে উপলব্দি করছি হিটলারকে। স্যার হিটলার আপনি আবার ফিরে আসবেন কি? এবার আর ৬০লক্ষ নয় আপনাকে বুঝে নিতে হবে কয়েক কোটিকে। আর ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিতে ইচ্ছে করে সকল মুসলিম রাষ্ট্র গুলোর প্রধানদের দিক থেকে।কাণ্ডারি পুড়ছে মানুষ,সন্তান মরে মোর মা'র
কিয়ামতের দিন যদি ঐ সকল শহীদ শিশু আমাদের দিক আঙ্গুল তুলে বলে,আল্লাহ্!ওরা ছিল আমার স্বজাতী,ওদের গা থেকে পারুদের গন্ধ আসে।আমার মাথা উড়ে গিয়েছিল ওরা সহানুভূতি দেখায়নি।আমার আব্বার মাথা উড়ে গিয়েছিল ওরা এগিয়ে আসেনি!আমার মা ধর্ষিত হয়েছিল ওরা প্রতিবাদ করেনি!
তখন আমরা শুধু অসহায়ের মত চেয়ে থাকব ঐ ছেলেটির দিকে। আমাদের তো হায়া নেই তাই বেহায়ার মত চেয়ে থাকা ছাড়া আর কোন উপায়ই থাকবেনা। ইহুদির মত একটা নিকৃষ্ট অভিশপ্ত ,কুকুরের ন্যায় হিংস্র জাতী যারা কোন কালেই আল্লাহ্র শুকুর গুজার করেনি (সুরা ইয়াসিন আয়াত নং ১৩-২৬ এ পাবেন ইহুদিরা হল অভিশপ্ত) তাদের কাছে আজ মুসলিম রাষ্ট্রগুলো মাথানিচু করে আছে,Humanrights মাথা নিচু করে আছে ,Save The Children মাথা নিচু করে আছে! আফসুস এই যে পৃথিবীতে এখন Humanity বলতে কিছু নেই সব মিসাইলে পুড়ে গেছে। আর লজ্জা শরম ও উড়ে গেছে মুসলিম কান্ট্রি থেকে। স্বজাতীর প্রতি ভালবাসাও হয় পুড়ে গেছে মিসাইলে। শুধু রয়ে গেছে হায়াহীন খোসা মানুষ যারা না পারে করতে প্রতিবাদ,না পারে স্বজাতীকে রক্ষা করতে।একটা জঙ্গলের পশু ও কিন্তু স্বজাতীর বিপদ আপদে দৌড়ে আসে তাকে রক্ষা করতে যেটা আমরা পারিনা। কেন পারিনা? No Answer! নিজেকে নিজে লজ্জা দিতে চাইনা আমি। তাইতো ঐ প্রশ্নটা এড়িয়ে গেলাম। শুধু আমার ফিলিস্তিন ,গাজার নাগরিকদের বলি,ভাই তোমরা আমাদের ক্ষমা কর আজ আমাদের হাতে শৃঙ্খল পরানো আর হৃদয়ে পাথর তাইতো স্বজাতীর মৃত্যু খবর শুনে একটুও বুক কাঁপেনা।জাগেনা কোন ব্যাথার অনুভুতি। আমরা কি করব
Saturday, July 12, 2014
অসাধারন ৩টি ইসলামি পর্যালোচনার PDF বই ডাউনলোড করুন!
পাঠক ভাইদের জ্ঞান আহরনের উত্সাহ দেখে আরো ৩টি PDF বই আমাকে বানাতেই হল। এখানে ২জন প্রগতিশীল নবীন লেখকের ৩টি লেখা দিয়েছি।
১/মুক্তমনা ওয়েবসাইটটি কি মুক্তচিন্তার ধারক বাহক হতে পারে? ২/ইসলাম:জ্ঞান বিজ্ঞান ৩/বিল্লাল ফিল্পস আমরা আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থী।
আশা করি পাঠক ভাইয়েরা পড়ে ইসলামিক জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারবেন। তাহলে আর দেরী কেন সরাসরি ডাউনলোড লিঙ্কে চলে যান, DOWNLOAD DOWNLOAD DOWNLOAD৩টি ছোট বই মাত্র কয়েক Kbps.ছোট মরিচে যেমন ঝাল বেশি তেমনি এই বইগুলো ছোট হলেও যুক্তিতে ভরপুর।
Subscribe to:
Posts (Atom)