Monday, July 7, 2014
কোন মুসলিম কি হিন্দু ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ পারে?
আসলে হিন্দু ধর্ম কি কোন ধর্ম? না হিন্দু ধর্ম কোন ধর্মের ভিতরই পরে না এরা বিশেষ একটি উগ্র উপজাত! এদের প্রাচীন নাম আর্য্য। আর্য্যরা ছিল মূর্তি পূজারী।কথিত আছে যে এরা শয়তানের ধোঁকায় পরে দুষ্টু জ্বীন পূজা করা শুরু করে যা কিনা প্যাগানরাও করত!এর পরে তারা শুরু করে ঐ দুষ্টু জ্বীনদের প্রতিচ্ছবি পূজা অর্থাত্ তাদের মূর্তি বানিয়ে পূজা করা শুরু করে যা কিনা তাদের পূজার হাজার হাজার বছর আগে মারা গেছে। শিব,লক্ষী,গনেশ এদের মূর্তির পিছনে লুকিয়ে আছে একেকটা মৃত জ্বীন যা কিনা হাজার হাজার বছর আগে মারা গেছে [তথ্য সূত্র]।হিন্দুদের মৃত জ্বীন পূজারী বল্লে আপনি ভুল করবেননা। এখন কথা হল এই মৃত জ্বীনদের পূজা যারা করে তাদের ধর্মের প্রতি কি যেনে শুনে কোন মুসলমানরা আকৃষ্ট হতে পারে? অবশ্যই না। কিন্তু ফেসবুকে একটি হিন্দুত্ববাদী পেজ দাবী করেছে নাজমুল নামের একটি মুসলিম ছেলে নাকি এই মৃত জ্বীন পূজারী ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছে।এবং তার নাম রেখেছে 'পিন্টু রায়' [তথ্য সূত্র:জাগো বাংলার হিন্দু]। তাদের দাবী যে ,হিন্দু ধর্ম এমনই একটি ধর্ম যার ধর্মগ্রন্থ পড়লে যে কেউ আকৃষ্ট হবে তাদের ধর্মের প্রতি। হিন্দু ধর্ম যে কতটা মিথ্যা এবং বোকাদের তা আমি আলোচনা করেছি এই পাঁচটি পর্বেঃ •হেঁদু সমাচার ১ম পত্র •হেঁদু সমাচার ২য় পত্র •হেঁদু সমাচার ৩য় পত্র •হেঁদু সমাচার ৪র্থ পত্র •হেঁদু সমাচার শেষ পত্র। যারা প্রচার করেছে মুসলিম ছেলে হিন্দু হয়েছে আমি তাদের চ্যালেঞ্ছ ছুড়ে দিয়েছিলাম , তারা যে নিউজ দিয়েছে সে নিউজটা ১০০% ভূয়া। প্রমাণ:— •তারা যে খবরটা দিয়েছে খবরটা কোথা থেকে তারা পেয়েছে অর্থাত্ কোন তথ্যসূত্র/নিউজ লিঙ্ক নেই। •ঘটনাটা কোথায় ঘটেছে স্থান কোথায় তা দেয়া নাই। •নাজমুল ছেলেটা হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করার পর তার নাম হয়েছে নাকি পিন্টু রায়।আচ্ছা ভাই [রায়]তো একটা বংশের নাম।হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করলেই তো আর রায় হওয়া যায়না।তো ছেলেটা তো আগে কখনো হিন্দু ছিলনা তাইলে সে রায় উপাধিটা কোথায় পেলো? নাকি হিন্দু হওয়ার পরই বংশ উপাধি রায় হয়ে যায়? পাঠক আপনারাই বলেন যে নিউজের কোন তথ্যসূত্র নাই সেই খবরটা সত্য হয় কেমনে? অনেক হিন্দু মুসলিম হয় কিন্তু কোন মুসলিম হিন্দু হয়না। মুসলিম থেকে অনেকে ধর্মহীন হয় কিন্তু হিন্দু,বৌদ্ধ ,খ্রীষ্টান কিংবা ইহুদি হয়েছে কিনা তা আমার জানা নাই। হিন্দু থেকে মুসলমান হয়েছে এমন বহু তথ্য আমার কাছে আছে। এখানে একটা ঘটনা তুলে দিলামঃ ২০০৭ এ কোলকাতায় শিবছাগুদের হুটোপুটিতে মাওলানা আব্দুল খালেককে ভারতের কারাগারে বন্দি করা হল ইসলামের পক্ষে এবং হিন্দুধর্মের বিপক্ষে বলায়! পানির তৃষ্ঞায় মাওলানা পানি পানি করলেও ভারতী কুত্তাগুলো ১ফোঁটা পানি মাওলানাকে দেয়না! অনেকক্ষন পর ১গ্লাস ঠান্ডা পানি তাকে দেখিয়ে পানির গ্লাশটা মাটিতে ছেড়ে দেয়।পানি খাওয়া তার আর হয়না। ক্ষুধা নিবারনের জন্য ১পিস রুটি জেলের মধ্যে ধুলির উপর নিক্ষেপ করা হয়। তাকে আদালতে আনা হলে তাকে প্রমাণ করতে বলা হয় যে বেদের মধ্যে কোথায় আছে ইসলামের কথা? মাওলানা আঃ খালেক বল্লেন জনাব,বেদে আছেঃ একং ব্রহ্মং স্রষ্ঠং নে নাস্সিং কে কিংটং। অর্থাত্,ঐ সৃষ্টি কর্তাকে সেজদা কর যার কোন শরীক নেই,যাকে দুনিয়ার চক্ষু দিয়ে দেখা চাইলে অন্ধ হয়ে যায়। তখন মাওলানা বল্ল জনাব,আপনারা তো দূর্গাকে দেখে দেখে,কালিকে দেখে দেখে পূজা দেন!লক্ষিকে দেখে দেখে পূজা দেন!কোন দিন কি আপনাদের ভগবানকে দেখতে গিয়ে চোখ অন্ধ হয়েছে? তারা বল্লেন,না তাতো হয়নি!তখন মাওলানা বল্লেন জনাব,তাহলেতো এ দলিল তো আপনাদের ভগবানের না!এই দলিল তো মুসলিমদের দলিল। তখন বিচারক বল্ল আঃ খালেক তাহলে আপনাদের দলিলের প্রমাণ কি?আঃ খালেক বিবৃতি দিতে লাগলেনঃমূসা আঃ বল্লেনঃ রব্বি আরনি,খোদা তোমায় দেখতে চাই! আল্লাহ বলছেন,লান তারানি,সম্ভব না! মূসা নবী শোনেনা।আল্লাহ তাকে দাওয়াত দিলেন তূর পাহাড়ে। আল্লাহ তাকে দেখা দেয়ার জন্য প্রথম পর্দা খুললে মূসা নবী বেহুশ হয়ে পরে যায় তূর পাহাড় ছাড়খাড় হয়ে যায়! তাহলে এতেই কি প্রমাণ হয়না ঐ তত্ত্ব মুসলিমদের? এই তত্ত্ব যখন দেয়াহয় ঐ মহলের বিচারক সহ ৩৭জন ইসলাম গ্রহণ করেন![তথ্য সূত্র] আমি যতটা খবর জানি এবং দেখেছি তার মধ্যে আজকের এই মুসলিম ছেলে হিন্দু হয়েছে খবরটা আজগুবি।তারা মিথ্যা দিয়ে ধর্মকে বড় বানাচ্ছে।আর বানাবেই বা না কেন,তাদের ধর্মই তো মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত। মিথ্যা খবর প্রচার করে কি হিন্দু ধর্মকে ইসলাম ধর্মের উপরে কখনোই মালাউনরা।ইসলামের সফলতা দেখে মালাউনরা শুধু ঈর্ষার আগুনেই পুড়ে যাবে,কখনো ইসলামের চেয়ে শ্রেষ্ঠ হতে পারবেনা। আমি সকল হিন্দুদের বলছি,হে ভাই আর কতদিন প্যাগানদের মতো মাটি মূর্তির পূজা করবে যার সৃষ্টি কর্তা তুমি? হে ভাই ফিরে আসো,তোমার জন্য এখনো অপেক্ষা করছে ইসলাম।হাত মিলাও সেই মুসলিমের সাথে যাদের সৃষ্টিকর্তা ১ ও অদ্বিতীয় যার কোন শরীক নাই। পড়,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মাদুর রসুলুল্লাহ(সঃ)। একবার কালিমা পড়ে দেখ,তুমি পাবে মুক্তি,তোমার জন্য অপেক্ষা করছে চীর শান্তিময় স্থান জান্নাত!
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment