Tuesday, March 25, 2014
ধর্ষন আর ইভটিজিং কেন হয়?
প্রিয় পাঠক,আমরা হয়ত ভাবিতে পারি যে ধর্ষনে বাংলাদেশই বুঝি শ্রেষ্ঠ দেশ! না প্রিয় পাঠক এইটা সঠিক না,ইউরোপ আমেরিকায় ১দিনে যেই পরিমান ধর্ষন হইয়া থাকে উহার দশমাংশের একাংশ আমাদের দেশে ১মাসে হয়না! ২০১০সালের কালেরকন্ঠের(পত্রিকা) ৬ষ্ঠ পাতার অষ্টম কলামে একখানা খবর স্থান পাইয়াছিল সবচেয়ে কমবয়সী নাবালিকা মা হইয়াছেন।উক্ত নাবালিকার বয়স হইয়াছিল ১০বছর!নিউইয়র্ক তাহার বসতি।ডাক্তার সাহেবগন বলিয়াছিল যে নাবালিকাটি কমপক্ষে পাঁচ জনার নিকট হইতে ধর্ষিতা হইয়াছিলেন! তাহা হইলে বুঝুন যে আম্রিকা ধর্ষনে কতক্ষানি এগাইয়া গিয়াছে! আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতেও কিন্তু কম নারীগন যৌন নির্যাতনের স্বীকার হয়না!বরংচ ইহাকে অতিরিক্ত বলিয়া আখ্যা দেয়া যাইতে পারে! পাঠক,জিম্বাবুয়ের কথা যদি বলিতে যাই তাহা হইলে আপনারা বলিতে পারেন যে লেখক বোধ হয় গেঁঞ্জিকা সেবন করিয়াছে। না পাঠক আমি গেঁঞ্জিকা সেবী নও!জিম্বাবুয়েতে প্রতিনিয়ত পুরুষ ধর্ষন হইয়া থাকে! ঝোপের আড়ালে অথবা পাহাড়ের আড়ালে কোন পুরুষ গাড়ি চালক দেখিলেই প্রথমে একজন নারী ঐ গাড়ি খানা থামাইয়া চড়িবে ইহার পর কিছু দূর যাইয়া ঐ নারী আরো কিছু নারী ঐ গাড়িতে উঠাইবে!কিছুদূর যাওয়ার পর ঐ রমনীদ্বয় গাড়ি ওয়ালাকে ধর্ষন করিয়া কন্ডমে করিয়া ঐ গাড়িওয়ালার শুক্রানু সংগ্রহ করিয়া লইয়া যায়(লিখিতে অসস্তি পাইতেছি তবুও লেখিতে হইল)!সেই অঞ্চলের গাড়িওয়ালারা এখন মহিলা কাউকে তাহাদের গাড়িতে উঠাইতেই চায়না।শোনা যায় ঐ শুক্রানু তাহারা বিদেশে বিক্রি করিয়া ঐ পয়সা দিয়া জীবীকা নির্বাহ করে। পাঠক,আসেন পরের চরকা বাদ দিয়া এইবার নিজেদের চরকায় তেল মারিতে থাকি। বাংলাদেশেও ইদানিং ধর্ষন আর ইভটিজিং বাড়িয়া চলিতেছে তুমুল অকারে! একজন ধর্ষিতা নারী সমাজের কলঙ্ক বলিয়া চিহ্নিত।বাংলাদেশে ধর্ষন ও ইভটিজিং কেন বাড়িয়া গিয়াছে উহার কারন কী?এবং উহার জন্য দায়ী কারা? দাদা আমি বলিব বাংলাদেশের ধর্ষনের জন্য দায়ী মেয়ে ছেলে উভয়ই। মেয়েরা যদি ইসলাম মানিত আমি চ্যালেঞ্জ করিয়া বলিতে পারি ঐ মেয়ে ধর্ষিতা হইত না।আর পুরুষ ও যদি ইসলামি আইন মানিত তাহা হইলে মেয়েদের ধর্ষন তো দূরে থাক কোন বেগানার সহিত কথাও বলিতনা। বাংলাদেশে যদি বোরখা বা পর্দা প্রত্যেকটা বাড়ি বাড়ি পর্যায় হইতে শুরু হইয়া যায় তবে আমি বুকে হাত রাখিয়া বলিতে পারি,বাংলাদেশে কোন ধর্ষন বা ইভটিজিং হইবে না। ধর্ষন ইভটিজিং কেন হয়? চিনি যত্নে রাখিলে পিপড়ায় ধরা যেমনি কষ্টকর তেমনি একটা মেয়ে বোরখায় থাকিলে তাকে নষ্ট করা কষ্টকর।বোরখাকে যাহারা কালো বস্তা বলিয়া থাকো মূলত সেই নারীগুলোই ধর্ষিতা এবং ইভটিজিংয়ের শিকার হইয়া থাকেন। ইতিহাস লক্ষ্য করিয়া দেখুন,কামাল পাশা যখন পর্দাকে উঠাইয়া দিয়াছিলেন মিশরের বুক থেকে কিছুদিন যাইবার পর মিশরে ধর্ষন কিন্তু বাড়িয়া গিয়াছিল! আপনি লক্ষ্য করিলে আরো দেখিবেন যেই দেশে পর্দা বলিতে কিছু নাই ঐ দেশে অবৈধ যৌন সম্পর্ক বেশি হইয়া থাকে,এবং ঐ রাষ্ট্রেই জারজ্ সন্তান বেশি!আমেরিকার অধিকাংশ নায়িকাগনদের কিন্তু বিয়ের আগে দুই,তিনটা সন্তান হইয়া থাকে। আপনাদের আরো একটা প্রমাণ দেখাইয়াছি যে,আমেরিকায় দশ থেকে বার বছরের মেয়ে ও ধর্ষন হইয়া থাকে।এর মূল কারন হইল ঐ দেশ পর্দা বিহীন। রাস্তা দিয়া আপনার মেয়েকে আপনি অর্ধ উলঙ্গ করিয়া ছাড়িয়া দিলেন ঐ মেয়ের চেহারা অন্য পুরুষ দেখিলে ঐ পুরুষের যদি নিয়ত খারাপই থাকে অথবা ঐ ছেলের মধ্যে যদি কামুক ভাবটা আসিয়াই যায় তাহা হইলে আপনার মেয়ে ঘরে সত্ চরিত্র নিয়া ফিরিবে কিনা ইহা কি আপনি চ্যালেঞ্জ করিয়া বলিতে পারিবেন? বাংলাদেশে ইভটিজিং আর ধর্ষন সেই দিনই কমিয়া যাইবে যেইদিন নারীরা পর্দার ভিতরে ঢুকিবে।তা না হইলে সরকার ইভটিজিং আর ধর্ষনের বিরুদ্ধে ডবল আইন বসাইয়াও কিছুতে কিছু করিতে পারিবেনা। বাংলাদেশের সকল নারীদের বলিতেছি, আগে পর্দা করিয়া লও বোনেরা, আগে নিজের সুঠাম যৌবনপূর্ণ দেহ অন্য পুরুষ হইতে হেফাজাত কর। তাহা হইলে তুমি নিশ্চিত থাকিতে পারিবে যে তুমি তোমার সতিত্ত্ব নিয়া ঘরে ফিরিতে পারিবে। {এ পর্যন্ত 222বার পঠিত এবং 2টি মন্তব্য} মন্তব্য করেছেনঃ-অতিথি
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
সহমত
ReplyDeleteধন্যবাদ@ফখরুল আহসান,
ReplyDelete