Pages

Showing posts with label Short Story. Show all posts
Showing posts with label Short Story. Show all posts

Wednesday, July 30, 2014

ইসলাম ও হিন্দু ধর্মে সমকামীতাকে কেমন চোখে দেখে থাকে

ইসলামী আইনে সমকামিতা ইসলামী যৌন আইনশাস্ত্রী সমকামীতা বা সমলীঙ্গ ের যৌনসঙ্গম নিষিদ্ধ অর্থাত্ হারাম,কথিত আছে সমকামীরা কখনো বেহেশতে প্রব েশ করতে পারবেনা। হাদীস শরীফে আছে ,হযরত লূহ আঃ এর সময়কালে তখনকার মানুষের মাঝে মহামারি আকারে সমকামীতা দ েখা যায় এবং তখনই সমকামীতা নিষিদ্ধ হয়ে যায়। ইসলামে homosexuality সম্পূর্ণ হারাম। এবং স্বাভাবিক ব্যভিচারের চেয়েও খারাপ। লুত (আ) এর কওমকে (Sodom আর Gomorrah নগরী) আল্লাহ ধ্বংস করে দিয়েছিলেন যেসব কারণে এর মধ্যে সমকামিতা ছিল একটি। আমি এখানে কুরআনের আয়াত আর হাদিসগুলো উল্লেখ করছি। "এবং আমি লূতকে প্রেরণ করেছি। যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সারা বিশ্বের কেউ করেনি ? তোমরা তো কামবশতঃ পুরুষদের কাছে গমন কর নারীদেরকে ছেড়ে। বরং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছ।" (আরাফ ৭:৮১-৮২) "সারা জাহানের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরূষদের সাথে কুকর্ম কর? এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্য সঙ্গিনী হিসেবে যাদের সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন কর? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদ ায়।" (শুয়ারা ২৬:১৬৫-১৬৬) "স্মরণ কর লূতের কথা, তিনি তাঁর কওমকে বলেছিলেন, তোমরা কেন অশ্লীল কাজ করছ? অথচ এর পরিণতির কথা তোমরা অবগত আছ! তোমরা কি কামতৃপ্তির জন্য নারীদেরকে ছেড়ে পুরুষে উপগত হবে? তোমরা তো এক বর্বর সম্প্রদায়। উত্তরে তাঁর কওম শুধু এ কথাটিই বললো, লূত পরিবারকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও। এরা তো এমন লোক যারা শুধু পাকপবিত্র সাজতে চায়। অতঃপর তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে উদ্ধার করলাম তাঁর স্ত্রী ছাড়া। কেননা, তার জন্যে ধ্বংসপ্রাপ্তদেরভাগ্যই নির্ধারিত করেছিলাম।" (কুরআন 27:54-57) "আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ সুসংবাদ নিয়ে ইব্রাহীমের কাছে আগমন করল, তখন তারা বলল, আমরা লুতের জনপদের অধিবাসীদেরকে ধ্বংস করব। নিশ্চয় এর অধিবাসীরা অপরাধী।" (২৯:৩১) দুর্ভাগ্য আমাদের, Al-Fatiha Foundation নামে একটা "মুসলিম" foundation আছে... যেটা মুসলিম গে, লেজবিয়ানদের প্রতিনিধিত্ব করে!!!! কুরআনের স্পষ্ট আয়াত থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তারা এটা করতে পারে?? এবার হাদিস দেখুনঃ 1. "ইবনে আব্বাস বলেন, রাসুল (স) বলেছেন, তোমরা যদি কাউকে পাও যে লুতের সম্প্রদায় যা করত তা করছে, তবে হত্যা কর যে করছে তাঁকে আর যাকে করা হচ্ছে তাকেও।" (আবু দাউদ 38:4447) 2. "আবু সাইদ আল খুদ্রি বলেন, রাসুল (স) বলেছেন, একজন পুরুষ আরেক পুরুষের যৌনাঙ্গ দেখবে না। এক নারী আরেক নারীর যৌনাঙ্গ দেখবে না। এক পুরুষ আরেক পুরুষের সাথে অন্তত undergarment না পরে একই চাদরের নিচে ঘুমাবে না। এক নারী আরেক নারীর সাথে কখনও অন্তত undergarment না পরে একই চাদরের নিচে ঘুমাবে না।" (আবু দাউদ, 31:4007) 3. "আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) বলেন, এক পুরুষ আরেক পুরুষের সাথে বা এক নারী আরেক নারীর সাথে ঘুমাতে পারবে না লজ্জাস্থান ঢাকা ব্যতীত। তবে ব্যতিক্রম করা যাবে, শিশু আর পিতার ক্ষেত্রে... রাসুল (স) ৩য় আরেকজনের কথা বলেছিলেন কিন্তু আমি ভুলে গিয়েছি।" (আবু দাউদ, 31:4008) 4. "জাবির (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) বলেছেন, আমি আমার কওমের জন্য সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটা আশঙ্কা করি সেটা হল লুতের কওম যা করত সেটা যদি কেউ করে... " (তিরমিজি, 1457) এবার আসুন সমকামীদের শাস্তি কী সেটা দেখা যাক। হাদিস আমাদের জানাচ্ছেঃ 1. "ইবনে আব্বাস বলেন, অবিবাহিত কাউকে যদি সমকামিতায় পাওয়া যায় তাহলে তাঁকে পাথর মেরে হত্যা করতে হবে।" (আবু দাউদ, 38:4448 ) 2. "যে কাউকে লুতের কওমের মতো করতে দেখলে যে দিচ্ছে আর যে পাচ্ছে দুজনকেই হত্যা কর।" (তিরমিজি 1:152) 3. মুয়াত্তা শরীফের 41 41.111 নাম্বার হাদিসে এর শাস্তি বলা আছে পাথর মেরে হত্যা। 4. "ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) বলেছেন, অভিশপ্ত সে যে কিনা কোন পশুর সাথে সেক্স করে, আর অভিশপ্ত সে যে কিনা সেটা করে যা লুতের সম্প্রদায় করত।" (Ahmad:1878) 5. "ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, আলী (রা) তাঁর সময়ে ২ জন সমকামীকে পুড়িয়ে দেন। আর আবু বকর (রা) তাদের উপর দেয়াল ধ্বসিয়ে দেন।" (মিশকাত, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৭৬৫, প্রস্তাবিত শাস্তি) আশা করি ভাই আপনি আপনার প্রশ্নের ডিটেইল্ড উত্তর পেয়েছেন। হিন্দুধর্মে সমকামীতা সগরবংশীয় অংশুমানের পুত্র মহারাজা দিলীপ নিঃসন্তান হয়ে মৃত্যুবরণ করলে জন্ম রক্ষায় সমস্যা দেখা দেয়। শিব সে সময় আবির্ভূত হয়ে রাজার দু-জন বিধবা স্ত্রীকে আদেশ করেন সন্তান লাভের জন্য পরষ্পর দেহমিলন করতে। তাদের মিলনে সন্তান জন্মায় বটে কিন্তু সে সন্তান ছিল অস্থিহীন। পরে ঋষি অষ্টাবক্রের বরে সেই সন্তান সুস্থ এবং উত্তমাঙ্গ হন এবং ভগীরথ নামে রাজ্যশাসন করেন। এটিকে (দু- জন বিধবা স্ত্রীর মিলনে ভগীরথের জন্ম) নারী সমকামিতাকে গ্রহনযোগ্য করার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেন হিন্দু উদারপন্থীরা। আরো কিছু দৃষ্টান্ত দেয়া যাবে হিন্দু পুরাণ থেকে। কথিত আছে লঙ্কা পরিভ্রমনের সময় হনুমান রাবনের স্ত্রীগনের আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থা চাক্ষুষ দেখেছিলেন। সমকামিতার উল্লেখ ছাড়াও বৈদিক সাহিত্যে আমরা পাই লিঙ্গ-পরিবর্তনের কাহিনী। বিষ্ণুর মোহিনী অবতাররূপে ধরাধামে এসে শ িবকে আকর্ষিত করার কাহিনী এর একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ ছাড়াও যে দুটো চরিত্র সবার আগে আলোচনায় আসবে তা হচ্ছে- মহাভারতের শিখন্ডী ও বৃহন্নলার কাহিনী। এমনকি, নর-নারীর ‘শারীরিক’ মিলন ছাড়াও সন্তান জন্ম নেওয়ার উপকথার সন্ধান মিলে রামায়ন এবং মহাভারতের মত বৈদিক সাহিত্যগুলোতে। যেমন, সীতার জন্ম মাটি থেকে আর দ্রৌপদীর জন্ম যজ্ঞের অগ্নি থেকে। জরাসন্ধের জন্ম হয় দু-জন পৃথক নারীর গর্ভে জন্ম নেয়া অর্ধ অংগবিশিষ্ট পৃথক সন্তানের সংমিশ্রণে ইত্যাদি। এগুলোকে উদারপন্থিরা ব্যবহার করেন এই বলে যে, হিন্দু ধর্ম সমকামিতা, উভকামিতা, উভলিঙ্গত্ব প্রভৃতি বিষয়ে অনেক উদার। কিন্তু যেটা তারা বলেন না তা হল এর উলটো চিত্রটি। মনুসংহিতার আইনে উল্লেখ আছে - ‘যদি কোন বয়স্কা নারী অপেক্ষাকৃত কম বয়সী নারীর (কুমারীর) সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে, তাহলে বয়স্কা নারীর মস্তক মুণ্ডন করে দুটি আঙ্গুল কেটে গাধার পিঠে চড়িয়ে ঘোরানো হবে’ (Man u Smriti chapter 8, verse 370.)। যদি দুই কুমারীর মধ্যে সমকামিতার সম্পর্ক স্থাপিত হয়, তাহলে তাদের শাস্তি ছিলো দুইশত মূদ্রা জরিমানা এবং দশটি বেত্রাঘা ত (Manu Smriti chapter 8, verse 369.)। সেতুলনায় পুরুষদের মধ্যে সম্পর্কের শাস্তি তুলনামূলকভাবে অনেক কম। বলা হয়েছে - দু’জন পুরুষ অপ্রকৃতিক কার্যে প্রবৃত্ত হলে তাদেরকে জাতিচ্যুত করা হবে (Manu Smriti Chapter 11, Verse 68.) এবং জামা পরে তাকে জলে ডুব দিতে হবে (Manu Smriti Chapter 11, Verse 175.)। ইত্যাদি। ‘শুশ্রুত’ নামক প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্রে স্ত্রী- সমকামিতার কথা বর্ণিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, দুই নারী যদি যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হয় তাহলে অস্থিহীন সন্তানের জন্ম হবে। মহাভরতে ভগীরথের জন্মকাহিনীতে (উপরে বলা হয়েছে) এই ধরনের সংস্কারের সমর্থন মেলে।

Thursday, May 8, 2014

ধর্ষন নং-৭১

untitle.gif

ঐ তরে যা কইলাম তাই করিস,নইলে কিন্তু এক্কেরে খাসি কইরা দিমু!খাসি কিরাম করে জানস?
ইমাম সাব ঘাড় নাড়িয়ে বল্ল,জানিনা।
আছমত রাজাকার বলতে লাগল, ঐ হারামীর বাচ্চা,তোরে খাসি করমু কিরাম শুন,তোর পায়জামা খুইলা ,ব্লেড দিয়া অন্ডকোশ ফাইরা বিচি বাইর কইরা ফেলমু।
শুন বড় ছাব তোর ১৪ বচ্চর বয়সের অপরুপ যৌবন প্রাপ্ত মাইয়াডারে গোসল করবার সময় দেখছে,তোর মাইয়ার যৌবন,রুপ দেইখা ছাবের পছন্দ অইছে,বেশি না আইজকা রাইতটার জন্যি বড়ছাবের কাছে তোর মাইয়ারে পাঠাইয়াদিবি নইলে বাপমাইয়া ২ডারেই চীর জীবনেরলাই খোজা কইরা দিমু।
—ইমাম সাহেব ঠায় দাঁড়িয়ে আছে যেন একটা ঠাটা তার মাথায় পড়ল।যেই মসজীদে এই তেত্রিশ বছর ধরে ইমামতি করছে সেই মসজীদেরই এক আনকোড়া মুছল্লি তাকে আজ হুমকি দিচ্ছে তার মেয়েকে বড় ছাহেবের যৌন উপঢৌকন হিসেবে পাঠাতে!আহা কি আফসুস!
ইমাম সাহেব আল্লাহ পাক কে ডাকছেন আর উপরের দিক চেয়ে হাঁটছেন,এখন গিয়ে কিভাবে একথা তার মেয়েকে বলবে যে মিলিটারির প্রধান অফিসার তার সাথে রাত্রি যাপন করতে চায়!
ঘরের সামনে এসে ইমাম সাহেব হঠাত্‍ বসে পড়লেন।পিতাকে হঠাত্‍ বসে পড়তে দেখে ইমাম সাহেবের মেয়ে রহিমা দৌড়ে এসে পিতাকে প্রশ্ন করলেন,
আব্বা কি হইছে আপনার?
ইমাম।না কিছুনা
মেয়ে।শরীর খারাপ আব্বা?
ইমাম।না ,আছমত রাজাকারের লগে দেখা হইছিল মা।অয় কইছে!
রহিমা।কি কইছে আব্বা?
ইমাম।না কিছুনা!
রহিমা।আব্বা আপনি কনতো!(বিরক্ত মুখে)
ইমাম।মিলিটারির বড়ছাব নাকি তোরে খুব পছন্দ করছে আইজকা রাত্রে তোর তার কাছে যাইতে অইব মা!(ইমাম সাহেবের চোখে পানি।)শোন তুই আইজকা মাছায়(কাঠের তৈরী ঘরের ছাদ বিশেষ)পলায়া থাক।অরা খুঁজতে আসলে আমি বলমু রহিমা ঘরে নাই,নানা বাড়িত গেছে।
—আচ্ছা আব্বা আমি পলাইতেছি,আব্বা একটা কথা কই,আমিতো জীবনে পর্দার বাহির হইনায় ঐ পাকিস্তানি ব্যাডা আমারে দেখল ক্যামতে?
ইমাম সাহেব কিছুক্ষন ভেবে বল্ল,মন্কয় আছমত কইছে তোর কথা।যাহ মা কথা বাড়াইসনা পলা আগে পলা।
রহিমা পিতার নির্দেশ মত পালালো।
সন্ধ্যায় দেখা গেল আছমত রাজাকার আর কিছু মিলিটারি ইমাম সাহেবের বাড়ি এসেছে।আছমত ইমাম সাহেবেকে ডাক দিলেন।ইমাম সাহেব আছমত রাজাকারের গলা শুনে প্রায় দৌড় দিয়ে এলো।
ইমাম কে উদ্দেশ্য করে আছমত বল্ল,তোমার মাইয়া কই ওরে যাইতে কইলাম না?
—ওর নানা বাড়ি গ্যাছেগা ।বল্ল ঈমাম সাহেব।
আছমত প্রচন্ড রেগে ইমাম সাহেব কে বল্ল, ঐ হারামী তরে কি কইছিলাম মান্দির পুত?
ইমাম:—আমি আইসা দেখি ও বাড়িত নাই নানা বাড়িত চৈলা গেছে।
আছমত এ কথা শুনে ধপাস করে ইমাম সাহেবের বুকে লাথি মারল।
লাথিটা খেয়ে ইমাম সাহেব মাটিতে পড়ে গেল তার টুপিটা ছিটকে পড়ল প্রায় পাঁচ হাত দূরে,আর তজবিটা পড়ল মিলিটারিদের পায়ের সামনে।আছমত বন্দুকের নলটা ইমাম সাহেবের মাথায় ঠেকিয়ে চেচিয়ে বল্ল,শ্যালা মাদাচ্চোদ তুই মিথ্যা কৈতাছস কই লুকায়া রাখসস তাড়াতাড়ি ক!
ইমাম সাহেব ভয়ে ভয়ে বল্ল,অর নানা বাড়ি গ্যাছেগা কৈলাম তো।
আছমত রাজাকার মিলিটারিদের উদ্দেশ্য করে বল্ল,সাব ইয়ে সালে আচ্ছা মাদাচ্চোদ হ্যায় পাকড়াও সালেকো।
পরক্ষনে ঠাস,ঠাস করে কয়েকটি শব্দ হলো।ইমাম সাহেব আর্তনাদ করে উঠল,আল্লাহ গো!ইমাম সাহেবের মেয়ে মাছা থেকে লাফ মেরে নেমে এসে পিতার নিথর দেহের উপর লুটিয়ে পড়ে ,আব্বাগো আব্বা!আব্বা গো আব্বা !আব্বাগো আব্বা!মিলিটারির দল রহিমার মুখ চেপে ধরে অর একজন আরেকজন কে আনন্দের সহিত বলে,ইয়ে মাল আচ্ছা হ্যায়।রহিমাকে নিয়ে মিলিটারির দল ক্যাম্পে চলে যায় সাথে আছমত রাজাকার।বাড়িতে শুধু পড়ে থাকে ইমাম সাহেবের নিথর দেহ।
ক্যাম্পে পৌঁছে আছমত রাজাকার বড় ছাবের কাছে গিয়ে প্রায় ফিস ফিস শব্দে বল্ল,ছাব রহিমা আজায়ে!
বড় ছাবের মুখে আনন্দের হাসি।আছমত ও আনন্দের হাসি হেসে বলতে লাগল,ইয়ে মাল বড় আচ্ছা হ্যায় ছাব!বড় ছাব রহিমাকে তার সামনে নিয়ে আসতে বল্ল।কয়েকটা মিলিটারি রহিমাকে প্রায় টেনে হেঁচড়ে বড় ছাবের সম্মুক্ষে হাজির করল।
রহিমার সম্মুক্ষে পিছনে বড় ছাব ঘুরে ঘুরে হাঁটছে,তুমারা নাম কিয়া হ্যায়?
রহিমার মুখে কথা নেই।বড় ছাব রহিমাকে ধমক দিয়ে বল্ল,তুমারা নাম কিয়া হ্যায়?
বড় ছাব রহিমার একটি হাত ধরে টেনে টেনে তার রুমে নিয়ে যেতে চাইল।রহিমা একটা হেচকা টান মেরে তার হাতটা ছাড়িযে নিলো।আবার বড় ছাব তার হাতটা জোড়ে ধরল।রহিমা স্বজোড়ে একটা কামড় দিলো বড় ছাবের হাতে,চিত্‍কার মেরে বল্ল তোর কি মা বোন নাই ঘরে?
বড় ছাব রহিমার চুলের গোছাটা একহাতে ধরে স্বজোড়ে একটা চড় বসাল রহিমার গালে।রহিমা মাটিত বসে পড়ল,দুইটা মিলিটারি তাকে মাটিতে শুইয়ে ফেল্ল এবং কয়েকটা মিলিটারি তার কাপড় চোপড় খুলতে লাগল।রহিমা আত্মচিত্‍কার করছে আর বলছে বাবা রে মারে,কিন্তু মিলিটারিরা তাতে কর্নপাত করলেন না।
প্রায় উলঙ্গ বড় ছাব তার গায়ের উপর ঝাপিয়ে পড়ল।রহিমা শুধু চিত্‍কার করছে,তার আত্মচিত্‍কার শুধু প্রতিধ্বনিত হচ্ছে কিন্তু কেউ আসছেনা তাকে সাহায্য করতে।
তার আত্মচিত্‍কার শুনে পাশ থেকে কয়েকটি মিলিটারি শুধু দাঁত কেলিয়ে হাসছে।।রহিমা কাউকে কিছুই বলতে পারেনা।কথা বলার মতো সামান্য শক্তি তার নেই।
রহিমাকে প্রায় অর্ধমৃত,।রহিমার শক্তি ক্ষীন হয়ে এসেছে।পানির তৃষ্ঞায় তার ছাতি ফেঁটে যাচ্ছে।এ ঘরে কাউকে দেখা যাচ্ছেনা।শুধু আছমতকে দেখা গেল,আছমত লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রহিমার নগ্ন দেহের দিকে।রহিমা আছমতের কাছে পানি চাইল।আছমত পানি এনে রহিমাকে খাওয়াল।পরক্ষনে আছমত ও শকুনের মতো ঝাপিয়ে পড়ল রহিমার দেহের উপর।রহিমা বাক রোধ হয়ে গেল।এরপর আর কিছু রহিমার মনে নাই।যখন রহিমার জ্ঞান ফিরল,রহিমা লক্ষ্য করল আছমত রাজাকার মৃত অবস্থায় তার পাশে পড়ে আছে।দূরে কয়েকটা মিলিটারির লাশ।রহিমার বাংলাদেশের একটা পতাকা তার গায়ে জড়ানো।আস্ত একটা সূর্য উঁকি দিয়েছে জানালার পাশে।সারা গ্রামে জয় বাংলা প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
রহিমা আকাশের দিক তাকিয়ে অঝোড় নয়নে বল্ল,
এতক্ষন পর ফিইরা চাইলা মাওলা?
রহিমা উঠে দাড়াতে চাইল কিন্তু সে শক্তি তার নাই।

Sunday, April 27, 2014

অবাক সম্মান ! লেখা:সজল আহমেদ

কামিলদার সাহেব ব্যাস্ত লোক।সর্বদা কাজের চাপ পোহাইতে হয় তাহাকে,একদন্ড বিশ্রাম করিবার সময় নাই তাহার হাতে।স্বীয় প্রতিষ্ঠান খানা টিকাইয়া রাখিতে কামিলদার প্রত্যহ প্রায় ১৪ ঘন্টা পরিশ্রম করিয়া থাকে। তাহার এইটা লইয়া প্রায় ০৬খানা গার্মেন্টস আছে!বিশাল ধনদৌলত তাহার কিন্তু তাই বলিয়া তিনি কিন্তু থামিয়া নাই বরংচ দিন দিন দৌলত আরো বাড়িয়া চলিতেছে।ঢাকা শহরে প্রায় ১১খানা বাড়ি ২টা মার্কেট ও ৩টি দামী নিশান পেট্রোল গাড়ি রহিয়াছে তাহার।শোনা যাইতেছে তিনি আরো ২খানা বাড়ি কিনিতে চান।ছেলে মেয়ে বলতে কিছুই নাই।তবুও যে এত ধন দিয়া তিনি কি করিবেন তাহা ভাবিয়া পাইনে। স্বভাবে তিনি প্রচন্ড রগচটা লোক,যাহা বলে সবার সামনে বসিয়াই বলিয়া ফেলেন,আর গালির মধ্যে দুটাই তিনি দিয়া থাকেন"গরু চোর" "থাপ্রামু"। একদিন নির্বাচনী মিটিংয়ে মেয়র সাহেব যেন কি একখানা অপরাধ মূলক বক্তব্য দিতেছিলেন,কামিলদার সাহেব মান্যগন্য লোক বলিয়া ঐ অনুষ্ঠানে তাহাকে দাওয়াত দেওয়া হইয়াছিল ।মেয়র সাহেবের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর কামিলদার সাহেবকে স্টেজে বক্তৃতা দিতে আমন্ত্রন জানানো হইল ।কামিলদার সাহেব বক্তৃতা শুরু করিলেন এই বলিয়া,"আসলে মেয়র সাহেব গরু চোরের মত কথাটি বল্লেন আমি তার সাথে একমত নও।কথাটি অন্য কেহ বল্লে আমি তাকে থাপ্রাতাম!"সেইদিন মেয়র সাহেব যে কি লজ্জাটা পাইলেন তাহা বলিবার অপেক্ষা রাখেনা। আরেকদিন তাহার স্ত্রী কি যেন একটা অপরাধ করিলেন তিনি রাগে কাপিতে,কাপিতে,ফুপাইতে,ফুপাইতে কহিলেন,"তোমার কাজকর্ম গরু চোরের মত!থাপ্রানো উচিত্‍"।কামেলদার সাহেবের স্ত্রী যে সেইদিন কি ভয়টা পাইয়াছিলেন তাহার স্বামীর তর্জন গর্জন শুনিয়া কি ভয়টা পাইয়াছিলেন তাহা বলিবার অপেক্ষা রাখেনা। গার্মেন্টস কর্মীরা কোন অপরাধ করিলেও কামিলদার সাহেবের ঐ একই গালি"গরুচোর,তোমাকে থাপ্রাব"। অবশ্যই সকলে বুঝিতে পারিয়াছেন যে কামিলদার সাহেব কেমন প্রকৃতির মনুষ্য! প্রতি বৃহস্পতিবার তাহার কাজের চাপ বেশি ,ঐ দিন কেহ তাহাকে ডিষ্টার্ব করিলে তাহার মাথা ১০০%গরম হইয়া যায়। আজ বৃহস্পতিবার,কামিলদার সাহেব নিজ মনে কাজ করিতেছিলেন এমন সময় গার্মেন্টস দারোয়ান সাহেব তাহার নিকট আসিয়া কহিলেন,স্যার এক বুড়া আপনের লগে দ্যাখা করবাম চায়। কেন? কইতাম পারিনো স্যার। ১ঘন্টা পর দেখা করতে বল। আইচ্ছা স্যার। দারোয়ান চলিয়া গেল কামিলদার সাহেব আপন মনে কাজ করিতেছে।১০মিনিট পর দারোয়ান আবার আসিল।কামিলদার সাহেব রাগিয়া কহিলেন, আবার কি চাই? স্যার বুড়া আপনের লগে বোলে অনেক জরুরী কতা কইব। তুমি বলনাই যে তিনি ব্যাস্ত? কইছি স্যার কিন্তু উনি উনার জরুরী কতা কইবে। কামিলদার সাহেব এবার বুড়োকে পাঠাইতে বলিলেন। কামিলদার সাহেব ফাইলের দিক তাকাইয়া কাজ করিতেছিলেন ,বুড়ো লোকটা কামিলদার সাহেবের রুমে প্রবেশ করিয়াই একখানা লম্বা সালাম দিলেন(বুড়ো আসিয়াছিল তাহার নাত্নির চাকুরী বিষয়ক আলাপ করিতে)।কামিলদার সাহেব সালামের জবাব দিতে যাইয়া মাথাটা উঁচু করিয়াই বিস্মিত হইয়া গেলেন!আহা এ যে, আঃ মান্নান স্যার,তাহার স্কুল শিক্ষক!ক্লাশ এইটে পড়াকালীন উনি ছিলেন ক্লাশ টিচার।চেয়ার হইতে দাঁড়াইয়া গেল কামিলদার সাহেব।এক দৌড়ে গিয়ে বুড়োর পা ছুঁইয়া সালাম করিল। বুড়ো ও বিস্মিত হইয়া কহিলেন,স্যার আপনি আমাকে ছালাম করিলেন!কে আপনি? কামিলদার সাহেব অতি আবেগ তড়িত্‍ হইয়া কাঁদো কাঁদো কন্ঠে কহিলেন,স্যার আমি কামিল আপনার মাথামোটা ছাত্র । বুড়ো নাম বলা মাত্র কহিলেন, কোন কামিল? কামিল:-স্যার আপনি যাকে গাধা বলে ডাকতেন।প্রতিদিন দুষ্টুমির জন্য কানে ধরে দশবার উঠা বসা করাতেন।বীজগনিতে অপরিপক্ক হওয়ায় যাকে আপনি এক্সটা ২ঘন্টা অঙ্ক শিখাতেন।আমি সেই কামিল।স্যার আপনার কি মনে আছে যে,ক্লাশ সেভেনে পড়াকালীন আমার পিতা আমার সব বইখাতা পুড়ে ফেলেছিল আমায় লেখাপড়া শিখাবেনা বলে।তখন আপনিই প্রায় ৩বছর আমার পড়ার খরচ চালিয়েছিলেন। এইবার বুড়ো লোকটা চিনিতে পারিল তাহার মাথামোটা ছাত্র কামিলদার কে। বুড়ো হতবাক হইয়া কহিলেন,তুমি মানে আপনি সেই কামিল?এতবড় হয়েছেন আপনি? কামিলদার অতিমাত্রায় শরম পাইয়া কহিলেন,স্যার আমি আপনার ছেলের মতো আর আপনি আমাকে আপনি আপনি করলে মনে হয়,পিতা তার সন্তান কে আপনি আপনি করে কথা বলছে।আপনি আমাকে গাধা কামিল ডাকেন।আপনার গাধা বলাও আমার কাছে আশির্বাদের মত। কামিলদার আবিষ্কার করিল যে তাহার শ্রদ্ধেও স্যার কে তিনি দাঁড়া করাইয়া রাখিয়াছেন।কামিলদার সসম্মানে তাহার স্যারকে কামিলদারের নিজের আসনে বসাইয়া তিনি বসিলেন স্যারের পায়ের নিকট। স্যার বলিল,কামিল তুমি ঐখানে বসলা কেন চেয়ারে বস। কামিলদার কহিল,স্যার গুরুজির সামনে আমি চেয়ারে বসতে পারবনা। বেলা ১১টায় কামিলদার গার্মেন্টসের সবাইকে ছুটি দিয়া দিলো (সাধারনত তাহার গার্মেন্টস ছুটি হইত রাত্র ১০টায়,আজিকা সে স্যারের সেবা করিবে বলিয়াই এইটা করিল।) স্যারকে লইয়া কামিল তাহার বাসায় গেল।স্যারে আদর যে কি পরিমান তাহারা ২ স্বামী স্ত্রী করিতে লাগিল তাহা ভাষায় প্রকাশ করিবার মত না!এরুপ আদর যত্ন তাহার ইহ জীবনে স্যার পান নাই। দুপুরে খানাপিনা শেষ করিয়া আঃ মান্নান স্যার তন্দ্রায় পড়িয়া গেল।ঘন্টা দুয়েক পর তাহার ঘুম ভাঙ্গিয়া গেলে তিনি অনুভব করিলেন কেহ একজন তাহার হাত পা টিপিতেছেছে।চক্ষু মেলিয়া দেখিল তাহার ছাত্র কামিলদার তাহার হাত পা টিপিতেছে।স্যারের ঘুম ভাঙ্গিয়াছে দেখিয়া কামিলদার এক দৌড়ে এক কাপ চা স্যারকে আনিয়া দিয়া আবার তাহার হাত পা টিপিবার কার্জে লাগিয়া গেল। স্যার পরম আবেগে একবার চক্ষু মুদিয়া উপরের দিক তাকাইয়া চক্ষু হইতে একফোঁটা জল ফেলিয়া দিলো এবং চরম তৃপ্তির সহিত কহিলেন,"আমি এতটা তো সৃষ্টিকর্তার কাছে আশা করিনাই,তবুও তিনি আমাকে দিলেন।এর চেয়ে আর পরম তৃপ্তির কি হতে পারে?"মান্নান স্যার উঠিয়া কামিলদারকে বুকে জড়াইয়া কহিলেন,"গাধারে আজ আমার শিক্ষক জীবন সার্থক হলো!" বিশ্বাস করিবেন কিনা জানিনা তখন সমস্ত বাড়ি আবেগে কাঁপিতেছিল আর কামেলদার সাহেবের স্যার শিশুদের মত ফোপাইয়া কাঁদিতেছিল। (সমাপ্ত)

Saturday, March 22, 2014

ছোটগল্পঃ-অভাব!

হুন্ডা এক্সিডেন্ট
হয়েছে রিক্সাচালক
আঃ মজিদের
মেয়ে মর্জিনা,সাড়ে৪বছর
বয়স,সিটি হসপিটালে ভর্তি!
মাথায় আঘাত পেয়েছে!
ডাক্তার সাহেব
বলছে অপারেশন
করতে হবে,৫০হাজার
টাকা লাগবে সাথে রক্ত!রক্ত
পাওয়া যাবে বাট
টাকাটা কিভাবে ম্যানেজ
করবে!
বেচারা রিক্সা চালিয়ে সংসার
চালায়!এত টাকা কোথায়
পাবে?বড় বাবুর
কাছে চাইতে পারে মজিদ।
কিন্তু কি করে চাইবে এর
আগের মাসের সুদটাই
তো ক্লিয়ার
করতে পারেনি সে!না যতই
হোক টাকা তাকে চাইতেই
হবে।বড় বাবুর কাছে তার
যেতেই
হবে টাকা তাকে আনতেই
হবে!মজিদ হাসপাতাল
থেকে সোজা বড় বাবুর
কাছে গেল।
গিয়ে পাশে দাঁড়াল।
কাঁচুমাচু গলায় বল্লঃ বাবু
একখান কতা কমু!
বাবুঃক দেহি হুনি।
মজিদঃআগে কয়েন রাগ
অইবেন নাতো?
বাবুঃআরে আগে ক দেহি!
[একটু বিরক্তি স্বরে]
মজিদঃমোর
মাইয়াডা হাসপাতালে ভর্তি,হুন্ডায়
একচিডিন অইছে!ডাক্তার
কইছে পোনচাশ আজার
টাহা লাগবে অপারোশন
করতে!এহন মুই এত্ত
টাহা কোম্মে পামু?
আম্মে যদি দেতেন,মুই কাম
কাজ কইররা দিয়ে দেতাম।
[মজিদের চোখে পানি]
বাবু
কৌতুকচ্ছলে বল্লঃটাহা তোরে দিমু!
তাও আবার ৫০আজার!৫আজার
নিয়া খাইছ হেইয়াই
দেতারোনা,ইয়ার্কি পাইছ?
যা যা বাড়ি যা তোর
মাইয়া তোর চিন্তা,মোর
টাহা মোর চিন্তা।
[বড়বাবুর
পা দুখানা জড়িয়ে ধরল মজিদ]
মজিদঃদেন বাবু,আমনের পাও
দুইডা দরছি।মোর
মাইয়াডা নাইলে বাঁচপেনা!
বড় বাবু হেঁচকা টান
দিয়ে হাত দুটা ছুটিয়ে নিল
পা থেকে,এবং লোকজন
ডেকে ঘাড় ধরে বের
করে দিলো!মজিদ গেটের
বাইরে দাঁড়িয়ে শুনল বাবু
বলছেঃমরলে হালা তোর
মাইয়া মরবে তাতে মোর কি?
আগের
টাহা দেতারেনা আবার
আইছে!মজিদ
কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল!
আর
মনে মনে বলতে লাগলোঃআল্লায়
তগো টাহা দেছে কিন্তু
গরীবগো দেওয়ার মন দেনায়!
মজিদ খোলা রাস্তায়
হাঁটছে আর কাঁদছে।
মজিদ
ফিরো এলো হাসপাতালে।
তার মেয়েটা অক্সিজেন
লাগানো।মেয়েটা ঘন,ঘন
শ্বাস নিচ্ছে!মজিদ চিত্কার দিয়ে উঠলো !ডাক্তার ছাব
মোর মাইয়াডা ওরোম
করে ক্যা?ও ডাক্তার ছাব মোর
মাইয়াডা বাঁচান!ডাক্তার
তাকে শান্ত করল।আর
টাকাটা ম্যানেজ
হয়েছে কিনা জানতে চাইল।
আজ রাত ১২টায় অপারেশন
করতে হবে।
মজিদ বল্লঃমুই এত টাহা কই
পামু?
ডাঃ-দেখুন মজিদ সাহেব
এটা বল্লে তো হবেনা আজ
রাতেই যোগাড় করতে হবে!
মজিদ রাস্তায় নেমে পরল।
নিস্তব্দ পায়ে হাঁটছে,আর এর
ওর কাছে টাকা চাচ্ছে।কিন্তু
কে তাকে টাকা দিবে?শত
চেষ্টা করে ২হাজার ম্যানেজ
করে দিল মজিদের বন্ধুরা।রাত
তখন১১টা,মাত্র ২হাজার
টাকা তার পকেটে!হঠাত্
নিজের রিক্সাটার
দিকে চোখ পরল মজিদের,বাধ্য
হয়েই রিক্সাটা বেঁচে দিল
মজিদ।৫হাজার টাকার
রিক্সা,মাত্র ৩হাজার
টাকা বেঁচতে হল তার!মজিদ
টাকাটা পকেটে নিচ্ছে আর
বলছেঃহালা ঠ্যাহের
সোমায় সব মালই পানির দাম।
মোট ৫০০০টাকা তার
পকেটে,এতে কি হবে?
রাত তখন ১২.৫০
শত
আশা নিয়ে হাসপাতালের
ঢুকলো মজিদ।মজিদ
দেখলঃতার একমাত্র
মিষ্টি মেয়েটার অক্সিজেন
খোলা!
মনে হচ্ছে ঘুমিয়ে আছে,তার
স্ত্রী একদিকে মূর্ছা পরে আছে!
ডাক্তার সাহেব চিন্তিত!
মজিদ ডাক্তার
কে বল্লঃকি হইছে ডাক্তার
ছাব?
ডাক্তার কিছুক্ষন নিরব
থেকে বল্লঃদুঃখিত মজিদ
সাহেব আপনার
মেয়েকে বাঁচানো গেলনা!
মজিদের মেয়েটা অপারেশন
বিহীন মারা গেছে!মজিদের
দম আঁটকে গেছে!শব্দ
করে কাঁদতে পারছেনা!চোখ
দিয়ে পানি ঝরছে তার,অপলক
দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার
মেয়েটার দিকে!মজিদ
খেয়াল করল তার মেয়েটার
চোখে ১ফোঁটা জল!সে জল
যেন
তাকে বলছেঃআব্বা অনেক
কষ্ট
পাইয়া মরছি,গরীবরা বুঝি মরার
সময় এইরোম কষ্ট পাইয়া মরে?