Pages

Monday, June 30, 2014

কেন খুন হয়েছিল থাবা বাবা? দেখুন এই লেখাটায় পুরো তথ্য।কিছু স্কীনশট

অনলাইনে আছেন আর থাবা বাবা ওরফে আহমেদ রাজীব হায়দার কে চিনেন না এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। একজন মস্ত নামী দামী হিন্দুত্ববাদী ব্লগার।নাস্তিক্যবাদীদের মতে একজন কিংবদন্তি লড়ায়ে দে লেখক। থাবা বাবা এন্টি ইসলামিক ছিলেন তিনি বেঁচে থাকলে হয়তবা এখন মগাচীপ আসিফের মতন জার্মানী পারি জমাতো বিদেশী প্রভূদের টাকায়।কিন্তু সে সুযোগ আর দিলোনা আমাদের জাতীয় ছয় বীরেরা হত্যা করে ফেল্ল এই নরকের কিট টাকে। razib1.jpgছবিটি Zoomকরতে এখানে ক্লিক করুন← আশ্চর্যের বিষয় হলো এই থাবা বাবাকে আবার বা.স পীর বাবা বানাতে চায়! আসুন দেখি থাবা বাবা ওরফে আহমেদ রাজীব হায়দার কি পীর বাবা ছিল নাকি উষ্ঠা বাবা ছিল। তার কিছু লেখার স্ক্রীনশট দেখি এবং ঐ লেখা গুলার কারনেই তাকে জাহান্নামে পাঠিয়ে ছিল আমাদের জাতীয় বীর রুম্মানেরা। ১নং ছবিঃ-আহমেদ রাজীব হায়দারের লেখা নুরানী চাপার একটি পর্ব যেখানে তিনি রাসুলে করীম সঃ কে এবং আল্লাহ্ পাক কে চরম ভাবে গালি গালাজ করেছিলেনঃ nuranichapa1.png নুরানী চাপা Zoom করুন ছবি নং ২-নুরানী চাপার ২য় পর্বঃ thaba-baba-writer-of-nura.jpgছবিটি জুম করুন ছবিনং ৩-আহমেদ রাজীব হায়দারের লড়ায়ে দে লেখাটি দেখুনঃ nc12-larayede.png লড়ায়ে দে জুম করুন থাবা বাবার লেখাগুলো সংগৃহিত আছে ধর্মকারী.কম এ।আপনি ধর্মকারীতে গিয়ে থাবা বাবার নুরানী চাপা শরীফ পড়তে পারবেন।যদি আপনি সত্যিকারের মুসলমান হয়ে থাকেন তবে থাবা বাবার লেখা গুলো পড়লে আপনার শরীর শিউরে উঠবে রক্ত গরম হয়ে যাবে। থাবা বাবার উক্ত উগ্র লেখা গুলোর জন্যই আমাদের বীর সন্তানেরা হত্যা করেছিল এই নরকের কিট থাবা বাবা ওরফে আহমেদ রাজীব হায়দার কে। আর এই নরকের কীট হত্যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইন বিভাগ এখনো চৌদ্দ শিকে ঢুকিয়ে রেখেছে আমাদের জাতীয় বীর সন্তান রুম্মানদের। dr2.gif আর এই নরকের কীট থাবা বাবা ওরফে আহমেদ রাজীব হায়দারের জানাজার ইমামকে হত্যার হুমকির দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল শফিউর রহমান ফারাবীকে! 13011-410347959058807-125.jpgছবিটি Zoom করুন আদতে ফারাবী কিন্তু উচিত্‍ই বলেছেন,যেই কুলাঙ্গার সারা জীবন ইসলামকে গালি দিয়ে আসছে তাকে কেন আবার ইসলামী বিধান অনুযায়ী দাফন কাফন করা হবে? ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ফারাবী কিন্তু ঐ মামলার ঘানি এখনো টানছে! আর আমার ভাইরা এখনো জেলে!থাবার ঐ লেখাগুলোর জন্য জাতীয় বীরেরা এখনো জেলে পঁচে মরছে।ফারাবীর এই লেখাটায় থাবা বাবা সম্পর্কে কিছু তথ্য আছে ।Click here অনেক কুলাঙ্গার আছে যারা কিনা বলে আহমেদ রাজীব হায়দার থাবা বাবা ছিলনা! আমি তাদের কে কিছু প্রমাণ দিচ্ছি তারা দেখুন আহমেদ রাজীব হায়দার ই ছিল প্রকৃত থাবা বাবা! •গজা মঞ্চের সদস্য থাবা বাবার বন্ধু আমার ব্লগ মডারেটর সুশান্ত নিজে বলেছেন আহমেদ রাজীব হায়দার ই ছিলেন প্রকৃত থাবা বাবা !এই লিঙ্কে ক্লিক করে দেখুন সুশান্তের ব্লগটি←অনলাইনে হাজারো প্রমাণ আছে আহমেদ রাজীব হায়দারই ছিলেন প্রকৃত থাবা বাবা। যেই কুলাঙ্গার রাসুলে সঃ কে অশ্লীল ভাষায় গালি দেয়,আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলআমিন কে অশ্লীল ভাষায় গালি দেয়,উম্মূল মুমেনিনদের অশ্লীল ভাষায় গালি দেয় সেই কুলাঙ্গার কে হত্যার দায়ে আমাদের বীর ভাইয়েরা আজো জেলে পঁচে মরছে।তাদেরকে হাসিনা সরকার মুক্তি দেয়না আফসুস !! মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলছি,আপনার নামে কুকুর পালার দায়ে যদি সাধারন লোককে আপনি ৭বছরে জেল দিতে পারেন সামান্য একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে,তাহলে পৃথিবীর মালিক এবং দোজাহানের বাদশা রাহমাতুল্লি আলআমিন কে গালি দেয়ার দায়ে কেন থাবা বাবাকে কতল করতে পারবেনা? তাদের দোষ কি তারা ঐ কুলাঙ্গারকে হত্যা করা? সেই দোষে যদি তাদের কারা বরন করান,তাদের জঙ্গী বলে জেল হাজতে রাখেন তাইলে আমি চ্যালেঞ্ছ করে বলতে পারি আপনি মুসলমান না! তাইলে আমি বলতে পারি আপনার গায়ে মুসলমানের রক্ত নাই। আর আপনিতো মুসলমান হিসেবে নিজেকে জাহির করেন,শুনেছি নামাজ পড়েন,কুরআন তেলওয়াত করেন।তাইলে কুলাঙ্গার হত্যার দায়ে আমার ভাইদের আটকিয়ে কেন রাখলেন? আমি তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী করছি। •আহমেদ রাজীব হায়দরই যে প্রকৃত থাবা বাবা তা প্রমাণ করবে এই ভিডিওটি

আহলে বাইতের একটি ছেলের মূর্খতা দেখুন।

[আহলে বাইয়াতের লোকের আপলোড কৃত ফটো"]আহলে বাইয়াত লোকটির নাম,সিরাজুল ইসলাম।অনেক দিন থেকেই আমার ব্লগে ব্লগিং করেন। নিজেকে জ্ঞানী ভাবতে ভাল লাগে তার।লোকটি সাইকো রোগী।তার উপর আবার বয়স ৫০ এর কোঠা পেরিয়েছে। বয়স ৫০ এর কোঠা পেরুলে মাথার স্ক্রু একটু একটু করে ঢিলা হতে থাকে।জনাব সিরাজুলের ও তাই হয়ছে,অতিরিক্ত ঘাটাঘাটিতে তার মাথার স্ক্রু টিলা হয়ে গেছে তাই মুখে যা আসে বলে যায় পাগলের মতো।amarblog.com এ যে তার কয়টা নিক আছে সেইটা সেও মনে হয় বলতে পারবেনা। আজ একটা লেখা খুঁজতে গিয়ে amarblog.com এ ঢুকে গিয়েছিলাম আর তখনই এই সাইকো রোগী সিরাজুল ইসলমের একটি ফেইক নিকের পোস্ট দেখলাম,'রোজা রাখা ফরজ না যারা বলে রোজা রাখা ফরজ তারা মুসলমান না' পোস্টটা পড়লাম আর ভাবলাম এ নিকটা নিশ্চই কোন মানষিক রোগী! তার সম্বন্ধে জানতে আগ্রহ বোধ করলাম,আমি যা ভাবছিলাম তাই সত্য এই লোকটা একটা মানষিক রোগী এবং আহলে বাইতের অনুসারী। লোকটির পাগলামি দেখুনঃ— →•নিজেকে খালিফা দাবী। →•নবী রাসূল নিয়ে মনগড়া কথা বার্তা। →•নিজেকে নবী দাবী করা! →•বছরে অর্থাত্‍ ৩৬৫দিনে মাত্র পাঁচবার নামাজ আদায় করা। →•তিনি ভাবেন নবুয়্যাত এখনো চালু। →•তিনি দাবী করেন তিনি একজন পীর তাকে কেউ গুরুজী বল্লে তিনি অত্যন্ত খুশি হন। [আহলে বাইয়াতের আপলোডকৃত ফটো"]ফাজিল আহলে বাইয়াতের চ্যালা এখন দেখুন তার বেয়াদবি এবং দ্বিন ইসলাম সম্বন্ধে তার ব বাজে চিন্তা ধারাঃ-
•হযরতে মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তিনি মহাম্মদ বলেন। •কুরআন মাজীদকে তিনি কুরাণ বলেন। •তিনি বলেন,মহাম্মদ কে নামানলে জান্নাতে যাওয়া যাবেনা,তার সুপারিশ ব্যাতিত জান্নাতে যাওয়া যাবেনা এইসব ভূয়া কথা!(নাউযুবিল্লাহ্!) •তিনি বলেন,বর্তমান কোরআন নাকি সঠিক নয়!(নাউযুবিল্লাহ্!) •তিনি বলেন,হাদীস কখনোই মহাম্মদের হতে পারেনা হাদীস আল্লাহর। •তিনি বলেন,পৃথিবীর সব মানুষই নবী রাসুল সব মানুষই মহাম্মদ(নাউযুবিল্লাহ্)
এখন পাঠক আপনারাই বলেন এই লোককে বিকৃত মষ্তিষ্কের পাগল বলবনা তো কি বলব? সিরাজুল ইসলাম একজন মুশরিক এতে কোন সন্দেহ নাই। প্রাণপ্রিয় মুসলিম ভাইদেরকে বলি,আপনারা কখনোই সিরাজুল ইসলামের মত পাগল নালায়েকের খপ্পরে পরবেননা।তাহলে ঈমান হারা হয়ে জাহান্নামে যেতে হবে।

Saturday, June 28, 2014

পর্দাসীন মেয়েদের গ্রেপ্তার করে আওয়ামিলীগ প্রমাণ করল তারা বামপন্থি দলের একটি!

(বিঃদ্রঃ-লেখক জামায়েত শিবিরের কোন কর্মী নহেন,অথবা জামায়েত শিবিরকে মনে প্রাণে ভাল ও বাসেন না,লেখকে নিকট শিবির ও যা,ছাত্রলীগ এবং ছাত্রলীগ ও তা।কিন্তু এই লেখাটায় লেখক জামায়তকে পুষ্পদান এবং আওয়ামীলীগ কে পুটুমারা দিবেন।অনলাইনে ব্লগারদের একমাত্র কর্ম সত্য লিখে যাওয়া) একটি কুরআন আলোচনা সভা হতে বাংলাদেশ মহিলা পুলিশ ফোর্স ২৫জন তরুণী কে ধরে আনলেন। কেন ধরে আনলেন? তারা জামায়েত ইসলামী ছাত্রীসংস্থার সদস্য। তারা কি দোষী? পুলিশের কাছে তারা দোষী। কেন দোষী? উপযুক্ত প্রমাণ নাই তবে তারা ইসলামী ছাত্রী সংস্থা করে এই ইস্যুতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসলে কি বাংলাদেশ পুলিশ গুলা হলো মেট্রিক পাশ অথবা এইট পাশ যার কারনে আইন সম্বন্ধে তাদের ধারনা শূণ্যের কোঠায়! এইট পাশ পুলিশ দিয়ে কিভাবে রাষ্ট্র চলবে এইটা সবাইর চিন্তা করা উচিত্‍। দলীয় কারনে বিনা দোষে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় এইটা কোন দেশের আইনে আছে? যে মেয়েগুলারে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে বন্দি করছে তারা প্রত্যেকেই হিজাবী মেয়ে,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী,এবং তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে কুরআন ,সুন্নাহর একটি আলোচন সভা থেইকা। ছবিতে লক্ষ করুন তাদের হিজাবের দিকে হিজাবে কোন ত্রুটি নাই এই মেয়েদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ পুলিশ প্রমাণ করে দেখাল যে যেইখানে বোরকা সেইখানেই তাদের হামলা! আপনি একটি আওয়ামী ছাত্রীসংস্থার দিকে তাকান আর এই মেয়েগুলার দিকে তাকান। আওয়ামী ছাত্রীসংস্থার একটি ছাত্রী যখন বুকের ওড়নাটা সড়াইয়া হাঁটে তখন মনে হয় যেন কয়েকটা বেশ্যা সামনে থেকে হেঁটে যাচ্ছে। আর এই হিজাবী মেয়ে গুলার দিকে তাকাইয়া দেখুন এই মেয়েগুলারে বেশ্যা কওয়ার চান্স নাই। আসলে এই মেয়ে গুলারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আওয়ামীলীগের ইশারায় ।প্রশাসনরে ফাও দোষ দিয়া লাভ কি? তারা তো সরকারের পাচাটা গোলাম। আওয়ামিলীগ হলো একটা বামপন্থি দল,ইসলামের নাম শুনলে তারা পাগলা কুত্তা হয়ে যায়।যেইখানে ইসলাম সেইখানে বা হাত ঢুকানো আওয়ামিলীগের পুরান অভ্যাস। অভ্যাস দাসত্বের দাস। কি অপরাধে আওয়ামি পুলিশ বাহীনি এই কন্যাদের গ্রেপ্তার করছে এইটা আমাদের জানাও তোমরা। হিজাব দেখলে আম্রিকা আর ইসরাঈলের মতন তোমাদের মাথায় ঠাটা পরে কেন? আর বিনা দোষে কাউরে গ্রেপ্তার করার অর্ডার তোর কোন বাপে দিছে? আওয়ামিলীগ যে কাজকর্মগুলা করতেছে তাতে জনগনের ও সময় হইছে লাথি মেরে তাদের ক্ষমতা থেকে সড়াবার। শুধুমাত্র হিজাব পরার দায়ে ইউনিভার্সিটির ছাত্রী আওয়ামিলীগ পুলিশ বাহীনি গ্রেপ্তার করছে অথচ বেশ্যা গুলারে পূর্ণ স্বাধীনতা আওয়ামিলীগ ঠিকই দেয়। আওয়ামিলীগের মাথার উপর চেপে বসছে বামপন্থিরা। তারা আওয়ামিলীগ কে পুটু মেরে পুষ্পদান করে ছাড়বে। এই অপকর্মের কথা মনে করে আওয়ামি একদিন কাঁদবে কিন্তু তখন কান্না দেখার কেউ থাকবেনা তাদের। কেবল মাত্র ঐ হিজাবী মেয়েদের অভিশাপে আওয়ামিদের পতন হবে যেমন হয়েছিল প্রিত্বিরাজের। আওয়ামিলীগ নগ্ন হবে কিন্তু কারো চেতনাদন্ড আর তখন দাঁড়াবেনা।

Friday, June 27, 2014

ভারতী ধর্ষনলীলা

স জ ল আ হ মে দ ভারত এমনই একটা রাষ্ট্র যেখানে ধর্ষন টর্ষন কোন ব্যাপারই না!তাদের ২৮টা প্রদেশে প্রতিনিয়ত ধর্ষন চলছেই । ধর্ষন যেন তাদের কাছে মামা বাড়ির মোয়া মুড়কি হয়ে গেছে। এই একমাসে ভারতে ধর্ষনের খবর পেলাম অনেক অনেক ! অন্য কোন রাষ্ট্রের এত পরিমানে ধর্ষনের খবরপাওয়া যায়নি যতটা পাওয়া গেছে ভারতে ধর্ষনের খবর। এইতো মাত্র পনের দিন আগে শোনলাম ভারতের দুই যুবতী নারীকে ধর্ষন করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে ধর্ষকরা! আসুন তো দেখি এই একমাসে ভারতে কয়টি ধর্ষন হলো। •তামিল নাড়ুতে ৮বছরের শিশুকন্যা ধর্ষিত। •হায়দারা বাদে যুবতীকে ধর্ষন। •রাজস্থানে পুলিশের হাতে ধর্ষিত এক কিশোরী। •বসিরহাটে বিবাহিত মহিলা ধর্ষিত। •ভারতে ধর্ষন করে দুই যুবতীকে গাছে ঝুলিয়ে হত্যা। •জামালপুরে ধর্ষিত হয়েছে যুবতী,নিচু জাত বলে মামলা নিচ্ছেনা আদালত। •বসিরহাটে পুলিশের হাতে ধর্ষিত নারী। •হাওরায় ধর্ষন করার পর কুপিয়ে হত্যা করতে উদ্যত ধর্ষক। •দিল্লিতে ভাইয়ের হাতে বোন ধর্ষিত। •ভারতে ছেলের হাতে মা ধর্ষিত(নিউজ লিঙ্ক) আরে অনেক অনেক ধর্ষনের খবর আছে যা মিডিয়ায় ছড়ায়নি কিন্তু ঘটেছে!প্রতিনিয়ত ভারতে ২০-৫০ টা নারী ধর্ষিত হয়!বদমাশ কুকুর ছেলের হাত থেকে তার গর্ভধাত্রী মা ও রেহাই পায়না! দশমাস দশদিন যেই মা গর্ভে ধারন করেন সেই মা ও রেহাই পায়না ভারতে।আজই একটা খবর পেলাম“ভারতে মাকে ধর্ষনের অভিযোগে গ্রেপ্তার পুত্র”→news link click here←!কি বলব বলুন এই ভারত সম্পর্কে ? এদের সম্পর্কে বলতে গেলে আমার বমি আসে! সে দেশের প্রসাশন ও একেকটা কুত্তার বাচ্চা,ওরাও জড়িত থাকে ঐসব ধর্ষন লীলায়!'নয়াদিগন্ত 'খবরের কাগজটায় সেদিন চোখ বুলাচ্ছিলাম হঠাত্‍ চোখে পড়ল “বসিরহাটে যুবতী ধর্ষনের সাথে জড়িত আছে পুলিশ সদস্য” যাদের দেশের প্রসাশনই এইরকম বাজে কাজে লিপ্ত থাকে সে দেশের বিচার ব্যবস্থার হাল কেমন হতে পারে একবার চিন্তা করুন তো! ভারতে মূলত কয়েকটি কারনে ধর্ষন হয় কারন গুলো হলঃ •আইনি ব্যাবস্থা তেমন একটা সচল না। •নারীদের অবাধ চলা ফেরা। •পর্দাহীন সমাজব্যাবস্থা। •শিক্ষার হার এবং গনসচেতনতায় ঘাটতি। •শতকরা ৭০ভাগ পুরুষ চরিত্রহীন। •অতিরিক্ত যৌনপল্লী। •বিচার ব্যাবস্থা অনুন্নত। •পোশাক পরিচ্ছেদ সংযত নয়। •নারীদের অবাধ চলাফেরা মূলত উপরোক্ত কারনগুলোর জন্যই ভারতে অধিক পরিমানে প্রতিনিয়ত ধর্ষন হয়! ভারতে প্রতিমাসে যে ধর্ষন হয় তা আমাদের দেশে এক যুগেও হয়না,যার মূল কারন হলো বাংলাদেশের লোক ভারতের মত চরিত্রহীন লম্পট নয়। ধর্ষনলীলা আর ভারতে ধর্ষন হবেই বা না কেন? ভারতের যারা মাথাওয়ালা লোক তারা প্রত্যেকেই তো ধর্ষক। এইযে দেখুন নরেন্দ্রমোদী।তার ইশারায় কিন্তু আসামে কয়েক হাজার মুসলিম মেয়ে ধর্ষিত হয়েছিল এবং প্রাণ দিয়েছিল ধর্ষক মালাউনের বাচ্চাদের হাতে! আসলে মূল ভাল না হলে গাছ ভাল হয়না যার প্রমাণ বহন করে ভারত।ভারতকে একনামেই সবাই চেনে“যৌন পল্লি”। ভারতকে বলি ,“ও ভারত তুই তোর সন্তানদের গলা টিপে মেরে দে না হয় তুই বিষ খেয়ে মরে যাহ্”

Wednesday, June 25, 2014

জাতীয় ৬ বীরের মুক্তি হবে কবে?

জাতীয় ছয় বীরের মুক্তি হবে কবে? মাননীয় থাবা বাবাকে তো চিনেনই।আহা ঐ যে নাস্তিক আস্তিক যুদ্ধের ১ম ছকিত। বেগম মতিয়া চুধুরী যাকে বলেছিলেন,২য় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ।হ্যা রাজীব হায়দারের কথা বলছি। যাকে জাহান্নামে পাঠিয়েছিল আমাদের জাতীয় সেই ছয় বীরকে বলা হচ্ছে সন্ত্রাসী। আমাদের সেই জাতীয় ছয় বীরের নাম তো আমাদের জানা নাই অথবা মনে নাই অথচ তারা আমাদের রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সম্মান বাঁচাতে এখন কারাগার পঁচে মরছে,আমাদের সেই জাতীয় ছয় বীরের নাম জানি আসুন, ১. মুফতী জসীম উদ্দিন রহমানী পিতাঃ নুর মোহাম্মদ থানাঃ বরগুনা সদর, জেলাঃ বরগুনা। ২. দ্বীপ পিতাঃ মোহাম্মদ আবু নাইম থানাঃ খিলগাও, জেলাঃ ঢাকা। ৩. রুম্মান পিতাঃ মোহাম্মদ আলী রেজা থানাঃ মহেশপুর জেলাঃ ঝিনাইদহ। ৩. মাকসুদুল হাসান অনিক পিতাঃ আব্দুল হাফিয, থানাঃ কেরানীগঞ্জ জেলাঃ ঢাকা। ৪. নাফিস ইমতিয়াজ, পিতা: হুমায়ন কবির, থানা: সন্দ্বীপ, জেলা: চট্টগ্রাম। ৫. নাঈম শিকদার ইরাদ, পিতা: মুকীম শিকদার, থানা: ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর, জেলা: ব্রাক্ষণবাড়িয়া। ৬. সাদমান পিতাঃ আসিফ মাহমুদ, থানাঃ ধানমন্ডী, জেলাঃ ঢাকা। আমাদের বাংলা আদালত তাদের এখনো মুক্তি দেয়নাই।রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সম্বন্ধে বাজে মন্তব্যকারীরা কিন্তু অতিদ্রুতই আদালত থেকে জামিন পায়।দেখুন সেই বিখ্যাত নাস্তিক কুলাঙ্গার আসিফ মহিউদ্দিন,রাসেল রহমান,সুব্রত শুভ,মশিউর রহমান,আল্লামা শয়তানদের।তারা কিন্তু ইসলাম,আল্লাহ,রাসুল সঃ কে গালাগালি করেও আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়।তাদের মামলাও খেয়ে ফেলা হয়!অথচ আমাদের অনিক,রুম্মান রা একটা নরকের কিট কে মেরে আজ ও জেলে পঁচে মরছে!ছিঃ ছিঃ ছিঃ বাংলাদেশের আইন আদলতের আইন দেখলে বমি পায়।আর বিচারকদের বিচার দেখলেও বমি পায় আমার! বাংলাদেশের আইন আদালত দেখে বিদেশী এক ব্লগার ডাক্তার ডেভিট আব্রাহাম হেসে হেসে বলেছেনঃ—
And the law is now in the hands of politicians and raped! The law in the hands of the rich., I've traveled to Bangladesh and saw them 3 times Haa Haa Haa where laws do not laugh, you will not be able to have seen the law court. Those who are poor and have no respect for the court, there is no right to speak.Really Raped women, but women are asked How has her rapists rape him! - Doctor Debhit Abraham
ডেভিট শেষের দিকে বলেছেন,বাংলাদেশের আদালতে যদি কোন নারী ধর্ষনের মামলা করে তবে আদালত তাকে জিজ্ঞেস করে ধর্ষক তোমাকে কিভাবে ধর্ষন করেছে। ডেভিট আমাদের আদালতের রায় দেখেও বেজায় হেসেছেন! আসলে বাংলাদেশে কোন আইন নাই,বিচারকের চেয়ারে বসে যারা তাদের হচ্ছে শিশু সমতূল্য মগজ! ইসলামের প্রতি তাদের নাই কোন আকর্ষন নাই কোন সহানুভূতি।তাইতো তারা ইসলাম প্রেমিদের লাল দালানে ঢুকিয়ে রাখে আর ইসলাম বিদ্বেষীদের দেয় মুক্তি। বাংলাদেশে মুসলমানদের কোন মানবাধিকার নাই।স্যার মাহামুদুর রহমান ঠিকই বলেছেন"মুসলমানদের মানবাধিকার থাকতে নেই"।অত্যন্ত দুঃখের সহিত বলতে হয়,এই সত্যবাদী সাহসী কলম যোদ্ধাকেও আমাদের সরকার আঁটকে রেখেছে লাল দালানে! আমরা আজো পারিনাই মাহামুদুর রহমান স্যারকে মুক্ত করতে পারিনাই। আসলেই মুসলমানদের পৃথিবীর সিংহ রাষ্ট্রগুলোয় কোন অধিকার নাই।৯০%মুসলিমদের দেশ বাংলাদেশে ও থাকার কথা না। বাংলাদেশে যদি মুসলমানদের মানবাধিকার থাকত তবে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক কুলাঙ্গার থাবা বাবা কে হত্যা করার দায়ে আমাদের ছয় বীর সন্তান জেলে পঁচে মরত না। তাদের মুক্তির দাবী করলে শাহাবাগ গনজাগরন মঞ্চ শ্রদ্ধেও মুক্তিযোদ্ধাদের ও রাজাকার ট্যাগাবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। আমাদের ছয় বীরকে তারা এখনো আঁটকে রেখেছে জেলে কুলাঙ্গার হত্যার দায়ে।অথচ ৫খুন মামলার আসামীও গায়ে বাতাস লাগিয়ে হাটে বাংলাদেশে অথচ আমাদের ছয় বীর সন্তান এখনো পঁচে মরছে জেলে কুলাঙ্গার হত্যার দায়ে। সরকারকে বলছি,হে সরকার আপনি কি মুক্তি দিবেন না আমাদের ছয় জাতীয় বীরকে? শুনেছি আপনি নাকি মুসলমান,আপনি নাকি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন,আপনি নাকি রাসূল সঃ কে সম্মান করেন। যদি তাই হয় তাইলে জাতীয় ছয় বীরকে আপনি কেন মুক্তি দিচ্ছেননা? আসলে আপনি কি তাইলে ঐ নাস্তিক কুলাঙ্গারের দলে? যদি তাই হয় তাইলে আমাদের অনলাইন সংগ্রাম চলবে লাথি মেরে চেয়ার ভাঙ্গার। আর যদি আপনি আস্তিকের দলের হয়ে থাকেন তাইলে আমাদের জাতীয় ছয় বীরকে মুক্তি দিন। মুক্তি দিন তাদের,ফিরিয়ে দিন তাদের ছাত্র জীবন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে মুক্তি দিতেই হবে আমাদের জাতীয় ছয় বীরকে ।অতি শীঘ্রই তাদের মুক্তি দিন। «আমার ফেইসবুক নোটটি পড়ুন

Friday, June 20, 2014

চেতনা দন্ড

নাস্তিক ভায়া দের চেতনা মানেইহুমায়ন অজাত্‍(আজাদ),তাসলিমা নাসরিন। সেই চেতনা হমুয়ান অজাত্‍ ষাড়ের প্রবোচন গুচ্ছ নাস্তিকদের কাছে অতি প্রিয় জিনিস।আসেন দেখি ষাড়ের কিছু প্রবোচন গুচ্ছঃ- 220px-Humaun_Azad_(1947-2004).jpg (নিজের মেয়ের যৌবন দেখে ষ্যাড়ের অনুভুতি ,নিজের মেয়ের স্তন যুগল পকাত পকাত টিপার আকাঙ্খা লৈয়া ষ্যাড়ের চেতনা), চোখের সামনে বড় হচ্ছে আমার মেয়ে অথচ সামাজিক শৃঙ্খল দিয়ে আমার হাত বাঁধা! (উর্বশীকে দেইখা তার নুনুভুতিতে যেই চেতনা জাইগা উঠেছিল), এক একটি উর্বশীকে আমি মেপে মেপে দেখি,ঠোট দেখি! মোটা ঠোট আমার পছন্দ, জিভ দেখি, মোটা ধারালো চ্যাপ্টা খসখসে জিহ্বা আমার পছন্দ! স্তন দেখি, মাঝারী স্তন আমার পছন্দ, পানি ভরা ব্লাডের মত স্তন আমি সহ্য করতে পারি না! স্তনে দাঁতের লাল দাগ আমার চুনির থেকেও ভালো লাগে! উরু দেখি: সরু মাংসল উরু আমার পছন্দ! (নারীবাদী হমুয়ান অজাত্‍ ষ্যাড়ের যে চেতনা লাফ দিয়া উঠেছিল), ”প্রত্যেক মেয়েই নিজের জন্য একটা নুনু চায় ।এই নুনুর জন্যই তারা পুরুষদের হিংসা করে” (নারীবাদী হমায়ান অজাত্‍ নারীদের প্রতি যে চেতনা জাগ্রত হৈয়াছিল), একজন মেয়ে যাকে মন দিতেপারে, তাকে শরীরটা দেওয়া কিছুই নয় । এই শরীরে আছেটা কি ? অথচ আশ্চর্য ! নিরানব্বই ভাগ পুরুষের কাছে এবং সমাজ যারা গড়েছেন তাদের কাছে এই শরীরটাই দামি। মনের দাম নেই কানাকড়িও। হাহাহা নারীবাদী চেতনা হমায়ন অজাত্‍ এর এই প্রবোচনগুচ্ছ নাস্তিক ময়না পক্ষী,গুই সাপের নিকট অধিক থেইকা অধিকতর প্রিয়। আমারব্লগ,সামু ব্লগ,নাগরিক ব্লগ,ইস্টিশন ব্লগ এ এসব প্রবোচন গুচ্ছ সগৌরবে নাস্তিক পাঠা বৃন্দ শেয়ার করে।এবং এগুলাই তাদের চেতনা দন্ড খাড়া কইরা ফালায়।হমায়ন অজাত্‍ এর চ্যালা ভন্ড নাস্তিক বৃন্দ হমায়ন অজাত্‍ কে বলে একজন সৃষ্টি কত্তা! [ :lol ] |হমায়ন অজাত্‍ এর মত ভন্ড দ্যাশ ফ্রেমিক তারা ভালই সাজতে পারে।দ্যাশ ফ্রেমিক সাইজা দ্যাশ প্রেমরে তারা ভালই ধর্ষন করে।সাথে ধর্ম অবমাননা তো আছেই।তারা বুঝাইতে চায় দ্যাশ প্রেম শুধু তাগোই আছে অন্যের নাই।"পাক সার জমিন সাদ বাদ" এ ষ্যাড় হমায়ন অজাত্‍ যতটা না ভূয়া দ্যাশ প্রেমের চেতনা দন্ড খাড়া করছ তার চাইয়া মুসলমান বিদ্বেষী ভাবটা ১১০গুন বেশি ফুইটা উঠছে ।আর এই পাক সার জমিন সাদ বাদ নাস্তিক কুলের কাছে সবচাইতে প্রিয় একমাত্র মুসলমান বিদ্বেষীতার কারনে।পাক সার জমিন সাদ বাদ আবার হেঁদু কুলের কাছে সর্বাধিক প্রিয় কারন হৈল হমায়ন অজাত্‍ ষ্যাড় উক্ত ল্যাখাটায় খাঁটি হিন্দুত্ববাদীর পরিচয় দিছে।পাক সার জমিন সাদ বাদ পড়লে নাস্তিক কুলের চেতনা দন্ড এমন খাড়া হইয়া যায় যা নোয়াইবার ক্ষেমতা স্বয়ং রাজাকার বৃন্দ ও রাখেনা।পাক সার জমিন সাদ বাদ এ শুধু যে চেতনা দন্ড খাড়া হয় তা নয় পাক সার জমিন সাদ বাদ পড়লে চেতনা ছ্যাদাও মেলিয়া যায়! হমায়ন অজাত্‍ ষ্যাড় আমাদের কাছে রাইখা গেছে অধিক চেতনা।যাহা খাড়া করলে হমায়ন অজাত্‍ ষ্যাড়ের দাঁতই খুইলা যাইবে বারি লাগলে। taslima%20nasrin8064.jpg এইবার চৈলা আসি জনপ্রিয় সেক্স বিষয়ক লেখক গবেষক তাসলিমা নাসরিন এর কথায়।তাসলিমা আপা একজন প্রগতিশীল সৃজনশীল সেক্স বিষয়ক লেখিকা।যার লেখা পড়লে চেতনা দন্ড থাড়া হয়না এমুন লোক পাওয়া দুস্কর! নারীবাদী বাল উল্টা ল্যাখক তিনি। কোন এক বইতে তিনি লিখছিলেন, পুরুষ দাঁড়াইয়া মুতলে নারী কেন পারবেনা? আহা!চেতনা চেতনা। আবার তিনি আর একটা বইতে লিখছিলেন, একেকটা পুরুষ চারটা করে বৌ রাখলে একটা নারী কেন চারটা স্বামী রাখতে পারবেনা? তাসলিমার এই কথাটায় আমার একটা ১৮+জোকস মনে পইরা গেল।জোকসটা কিসের জন্য লিখলাম পাঠক কারন জিজ্ঞেস করবেন না। জোকস টা হৈল, ',একজন পতিতা মহিলা একজন সার্জারি ডক্টরের কাছে গিয়া কৈল ডাক্তার সাব ছ্যাদা দুইটা করার কোন ওয়ে কি আছে? ডক্টরঃ-মানুষ একটা ছ্যাদা লৈয়াই টিকতে পারেনা আপনে চাইতেছেন দুইটা!কারনটা কি? মহিলাঃ-যেই হারে গ্রাহক আসতাছে তাতে ১টা ছ্যাদায় পুষে না ,দুইটা ছ্যাদা লাগেই।মানে ডাক্তার ছাব গ্রাহক টিকাইনা বইলা কথা।" তাসলিম নাসরিন তার বই লিখে গ্রাহক অর্থাত্‍ পাঠক টিকাইনার লাইগা। আর তার কামই হৈল লেখার মাধ্যমে পাঠকের চেতনা দন্ড খাড়া করবার। লেখার মইধ্যে তিনি লিখেন,কবে তার ঋতুস্রাব হৈল,কবে কার লগে বিছানায় গেছে ,কবে শরাফ মামা তার চেতনা দন্ড তার ভিত্রে প্রবেশ করাইছে ইত্যাদি ইত্যাদি।আর এইসব লেখা পইড়া বাংলা আবাল ভূয়া দ্যাশ প্রেমিক পুলাপাইন গুলা তাগো চেতনা দন্ড খাড়া কইরা দ্যাশ প্রেমিকের অভিনয় করে। মূলকথাঃ-চেতনা দন্ড বড় ভয়াবহ জিনিস উহা খাড়া হইলে ছ্যাদা ছাড়া দমাইন্না কিন্তু যাইবেনা!তাই চেতনা দন্ড খাড়া করবার আগে অবশ্যই একবার ভাইবা লইবেন খাড়া করবেন কিনা,বঙ্গে চেতনা ছ্যাদার বড়ই অভাব। দন্ডে দন্ডিত চ্যাতনা দন্ড, উহা খাড়া করে যত নাস্তিক আর ভন্ড।

Monday, June 16, 2014

ভ্যাম্পায়ারের শাসনামল রক্তের জোশ|

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার বাংলাদেশের বৃদ্ধ নাগরিকরা বাংলাদেশে কয়েকটা শাসনামল দেখে এসেছে। যেমন ধরুন, শেখ মুজিবের শাসনামল,মেজর জিয়ার শাসনামল,জেনারেলহুমু এরশাদের শাসনামল,খালেদা শাসনামল আর শেখ হাসিনার শাসনামল। শেখ হাসিনা শাসনামলের মতো এত পরিমানে মানুষ কোন কালেই মরেনি।পাক বাহীনির হাতে বাঙ্গালী মরেছিল ইতিহাস মতে প্রায় ৩০লক্ষ।ঐটাকেই বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বপ্রথম গনহত্যা বলে ।এরপর ২য় গনহত্যা পরিচালিত হয়েছে ৫ই মে হেফাজত ইসলামের প্রতি শেখ হাসিনার সরাষ্ট্রমন্ত্রীমখা আলমগীরের নির্দেশে পুলিশ বাহীনি দ্বারা। কত মানুষ মরেছে তার হিসেব নেই!শেখ হাসিনার মনগড়া টিভি বার্তা এবং পত্রিকা বার্তায় যে সংখ্যাটা এসেছে ততটা খুন করতে পুলিশ বাহীনির সময় লেগেছে মাত্র ১০মিনিট। নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে পুলিশ ঘুমন্ত শিশু কিশোর এবং আলেম ওলামাদের উপর ।ঠিক যেভাবে পাক বাহীনি ২৬শে মার্চ রাতে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। -প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরাষ্ট্রমন্ত্রীমখার কি বিচার হবে পরবর্তী শাসনামলে সেটা দেখার জন্যই বাঙ্গালী আজ অপেক্ষায় আছে। -পুলিশ সুপার বেন্জিরের কি বিচার হবে পরবর্তী সরকারের শাসনামলে সেটা দেখার জন্যই বাঙ্গালী আজ অপেক্ষা করে আছে। শেখ হাসিনার শাসনামলটা গিয়েছে ঠিক আমরা যে ভ্যাম্পায়ারের মুভ্যি গুলো দেখে থাকি। ভ্যাম্পায়ারেরা পাগল থাকে একটু খানি মানব রক্ত আর গোশত খাওয়ার জন্য।একটু খানি মানব রক্ত আর গোশত না হলে তার তৃপ্তিই যেন মেটেনা। কত মানুষ যে তারা খুন করে রক্ত খায় প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত! আমাদের সরকার ও ঠিক ঐ নিকৃষ্ট ভ্যাম্পায়ার হয়ে গেছে।মানুষের রক্ত একটু না খেলে তার যেন তৃপ্তি মেটেনা! ৫ই মে ড্রাকুলার মত ছোট ছোট বাচ্চা আর কিশোরদের চড়ুই পাখির মত কচি গোশত তিনি চরম তৃপ্তিতে চিবিয়ে খেয়েছে!তাইতো ভোরবেলা আর তাদের লাশগুলো অর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বর্তমান ভ্যাম্পেয়ার সরকার দেখতে ভালবাসে রক্ত আর রক্ত! এইযে দেখুন,মিছিলে গুলি চালিয়ে রক্ত,মিটিংয়ে গুলি চালিয়ে রক্ত,বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আন্দোলনে রক্ত,বিএনপির কর্মীদের রক্ত,জামায়েত শিবিরের রক্ত,সাধারন জনতার রক্ত,নজরুল ইসলাম সহ সাত জনের রক্ত খেয়েছ আলীগেরই কর্মী নূর হোসেন। খালি রক্ত আর রক্ত! ভ্যাম্পেয়ারের রাজ্যে রক্ত ছাড়া আর কি আশা করা যায়? ভ্যাম্পেয়ারেরা যে কদিন থাকবে আমাদের দেশ তত দিন ভাসবে মানব রক্তে! তাই আসুন আমরা জনতারা ভ্যাম্পেয়ারদের তাড়িয়ে দিয়ে একটি সুন্দর ভ্যাম্পেয়ার মুক্ত বাংলাদেশ গড়ি।।

রোহিঙ্গা ইতিহাস:

(সূত্র;wikipedia) রোহিঙ্গা রোহিঙ্গা আদিবাসী জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যা ১,৪২৪,০০০ উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চলসমূহ বার্মা ( আরাকান ), বাংলাদেশ , মালয়শিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব , থাইল্যান্ড, ভারত বার্মা ৮০০,০০০ [১][২] বাংলাদেশ ৩০০,০০০ [৩] পাকিস্তান ২০০,০০০ [৪][৫][৬] থাইল্যান্ড ১০০,০০০ [৭] Malaysia ২৪,০০০ [৮] ভাষাসমূহ রোহিঙ্গা , বার্মিজ ধর্ম ইসলাম রোহিঙ্গা আদিবাসী জনগোষ্ঠী পশ্চিম মায়ানমারের আরাকান রাজ্যের একটি উলেখযোগ্য নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী। এরা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত। রোহিঙ্গাদের আলাদা ভাষা থাকলেও তা অলিখিত। মায়ানমারের আকিয়াব, রেথেডাং, বুথিডাং মংডু, কিয়ক্টাও, মাম্ব্রা, পাত্তরকিল্লা এলাকায় এদের বাস। বর্তমান ২০১২ সালে, প্রায় ৮,০০,০০০ রোহিঙ্গা মায়ানমারে বসবাস করে। মায়ানমার ছাড়াও ৫ লক্ষের অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এবং প্রায় ৫লাখ সৌদিআরবে বাস করে বলে ধারনা করা হয় যারা বিভিন্ন সময় বার্মা সরকারের নির্যাতনের কারণে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘের তথ্যমতে, রোহিঙ্গারা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী। [৯] রোহিঙ্গা কারা? বর্তমান মিয়ানমারের রোহিং (আরাকানের পুরনো নাম) এলাকায় এ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ইতিহাস ও ভূগোল বলছে, রাখাইন প্রদেশের উত্তর অংশে বাঙালি, পার্সিয়ান, তুর্কি, মোগল, আরবীয় ও পাঠানরা বঙ্গোপসাগরের উপকূল বরাবর বসতি স্থাপন করেছে। তাদের কথ্য ভাষায় চট্টগ্রামের স্থানীয় উচ্চারণের প্রভাব রয়েছে। উর্দু, হিন্দি, আরবি শব্দও রয়েছে। রাখাইনে দুটি সম্প্রদায়ের বসবাস ‘মগ’ ও ‘রোহিঙ্গা’। মগরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। মগের মুল্লুক কথাটি বাংলাদেশে পরিচিত। দস্যুবৃত্তির কারণেই এমন নাম হয়েছে ‘মগ’দের। এক সময় তাদের দৌরাত্ম্য ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। মোগলরা তাদের তাড়া করে জঙ্গলে ফেরত পাঠায়। রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে একটি প্রচলিত গল্প রয়েছে এভাবে_ সপ্তম শতাব্দীতে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া একটি জাহাজ থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন উপকূলে আশ্রয় নিয়ে বলেন, আল্লাহর রহমে বেঁচে গেছি। এই রহম থেকেই এসেছে রোহিঙ্গা। তবে,ওখানকার রাজসভার বাংলা সাহিত্যের লেখকরা ঐ রাজ্যকে রোসাং বা রোসাঙ্গ রাজ্য হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তবে ইতিহাস এটা জানায় যে, ১৪৩০ থেকে ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত ২২ হাজার বর্গমাইল আয়তনের রোহিঙ্গা স্বাধীন রাজ্য ছিল। মিয়ানমারের রাজা বোদাওফায়া এ রাজ্য দখল করার পর বৌদ্ধ আধিপত্য শুরু হয়। এক সময়ে ব্রিটিশদের দখলে আসে এ ভূখণ্ড। তখন বড় ধরনের ভুল করে তারা এবং এটা ইচ্ছাকৃত কিনা, সে প্রশ্ন জ্বলন্ত। আমাদের 'প্রাক্তন প্রভুরা' মিয়ানমারের ১৩৯টি জাতিগোষ্ঠীর তালিকা প্রস্তুত করে। কিন্তু তার মধ্যে রোহিঙ্গাদের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এ ধরনের কত যে গোলমাল করে গেছে ব্রিটিশরা! ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি মিয়ানমার স্বাধীনতা অর্জন করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু হয়। সে সময়ে পার্লামেন্টে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। এ জনগোষ্ঠীর কয়েকজন পদস্থ সরকারি দায়িত্বও পালন করেন। কিন্তু ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইন সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলে মিয়ানমারের যাত্রাপথ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে শুরু করে। রোহিঙ্গাদের জন্য শুরু হয় দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়। সামরিক জান্তা তাদের বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে। তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ধর্মীয়ভাবেও অত্যাচার করা হতে থাকে। নামাজ আদায়ে বাধা দেওয়া হয়। হত্যা-ধর্ষণ হয়ে পড়ে নিয়মিত ঘটনা। সম্পত্তি জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়। বাধ্যতামূলক শ্রমে নিয়োজিত করা হতে থাকে। তাদের শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নেই। বিয়ে করার অনুমতি নেই। সন্তান হলে নিবন্ধন নেই। জাতিগত পরিচয় প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না। সংখ্যা যাতে না বাড়ে, সে জন্য আরোপিত হয় একের পর এক বিধিনিষেধ। মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ডের অনেকের কাছেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী 'কালা' নামে পরিচিত। বাঙালিদেরও তারা 'কালা' বলে। ভারতীয়দেরও একই পরিচিতি। এ পরিচয়ে প্রকাশ পায় সীমাহীন ঘৃণা। [১০] ভাষা মূল নিবন্ধ: রোহিঙ্গা ভাষা ১৫৫৪ সালের আরাকানের মুদ্রা যা বৃহত্তর বাংলায় ব্যবহৃত হত মায়ানমারের আরাকান রাজ্যের (রাখাইন) রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আধুনিক লিখিত ভাষাই হল রোহিঙ্গা ভাষা। এটি ইন্দো- ইউরোপীয়ান ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত যার সাথে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার মিল রয়েছে। রোহিঙ্গা গবেষকগণ আরবি, হানিফি, উর্দু, রোমান এবং বার্মিজ স্ক্রীপ্ট ব্যবহার করে সফলতার সাথে রোহিঙ্গা ভাষা লিখতে সক্ষম হয়েছেন। হানিফি হচ্ছে নতন তৈরি করা স্ক্রীপ্ট যা আরবি এবং তার সাথে চারটি বর্ণ (ল্যাটিন এবং বার্মিজ) সংযোগে সৃষ্ট। সম্প্রতি একটি ল্যাটিন স্ক্রীপ্টের উদ্ভাবন হয়েছে যা ২৬টি ইংরেজি বর্ণ এবং অতিরিক্ত ২টি ল্যাটিন বর্ণ, Ç (তাড়নজাত R -এর জন্য) এবং Ñ (নাসিকা ধ্বনি-র জন্য) সংযোগে সৃষ্ট। রোহিঙ্গা ধ্বনি সঠিকভাবে বোঝার জন্য ৫টি স্বরধ্বনি (áéíóú) ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি আই.এস.ও দ্বারা স্বীকৃত।[১১] ইতিহাস অষ্টম শতাব্দীতে আরবদের আগমনের মধ্য দিয়ে আরাকানে মুসলমানদের বসবাস শুরু হয়। আরব বংশোদ্ভূত এই জনগোষ্ঠী মায়্যু সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ( বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের নিকট) চেয়ে মধ্য আরাকানের নিকটবর্তী ম্রক-ইউ এবং কাইয়্যুকতাও শহরতলীতেই বসবাস করতে পছন্দ করতো। এই অঞ্চলের বসবাসরত মুসলিম জনপদই পরবর্তীতে রোহিঙ্গা নামে পরিচিতি লাভ করে। [১২] ম্রক-ইউ রাজ্য ম্রক-ইউ রাজ্যের সম্রাট নারামেখলার (১৪৩০-১৪৩৪) শাসনকালে বাঙ্গালীদের আরাকানের বসবাসের প্রমাণ পাওয়া যায়। ২৪ বছর বাংলায় নির্বাসিত থাকার পরে সম্রাট বাংলার সুলতানের সামরিক সহায়তায় পুনরায় আরাকানের সিংহাসনে আরোহন করতে সক্ষম হন। যে সব বাঙ্গালী সম্রাটের সাথে এসেছিল তারা আরাকানে বসবাস করতে শুরু করে। [১৩][১৪] সম্রাট নারামেখলা বাংলার সুলতানের দেওয়া কিছু অঞ্চল ও আরাকানের ওপর সার্বভৌমত্ব অর্জন করে। সম্রাট নারামেখলা পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং বাংলার প্রতি কৃ্তজ্ঞতা স্বরূপ আরাকানে বাংলার ইসলামী স্বর্ণমূদ্রা চালু করেন। পরবর্তীতে নারামেখলা নতুন মূদ্রা চালু করেন যার একপাশে ছিল বার্মিজ বর্ণ এবং অপরপাশে ছিল ফার্সী বর্ণ। [১৪] বাংলার প্রতি আরাকানের কৃ্তজ্ঞতা ছিল খুবই অল্প সময়ের জন্য। ১৪৩৩ সালে সুলতান জালালুদ্দিন মুহাম্মদ শাহের মৃত্যু হলে সম্রাট নারামেখলার উত্তরাধিকারীরা ১৪৩৭ সালে রামু এবং ১৪৫৯ সালে চট্টগ্রাম দখল করে নেয়। ১৬৬৬ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম আরাকানের দখলে ছিল। [১৫][১৬] বাংলার সুলতানদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পরেও আরাকানের রাজাগণ মুসলিম রীতিনীতি বজায় রেখে চলে।[১৭] বৌদ্ধ রাজাগণ নিজেদেরকে বাংলার সুলতানদের সাথে তুলনা করতো এবং মুঘলদের মতোই জীবন যাপন করতো। তারা মুসলিমদেরকেও রাজদরবারের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিত।[১৮] ১৭ শতকের দিকে আরাকানে বাঙ্গালী মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তারা আরাকানের বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে কাজ করতো। যেহেতু রাজাগণ বৌদ্ধ হওয়ার পরেও বাংলার সুলতানদের রীতিনীতি অনুযায়ীই রাজ্য পরিচালনা করতো, তাই আরাকানের রাজদরবারে বাংলা , ফার্সী এবং আরবি ভাষার হস্তলিপিকরদের মধ্যে অনেকেই ছিল বাঙ্গালী। [১৩] কামেইন বা কামান নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী যারা মায়ানমার সরকারের নৃতাত্ত্বিক জাতিসত্ত্বার মর্যাদা পেয়েছে তারা আরাকানের মুসলিম জনগোষ্ঠীরই একটা অংশ ছিল। [১৯] বার্মিজদের দখল ১৭৮৫ সালে বার্মিজরা আরাকান দখল করে। এর পরে ১৭৯৯ সালে পঁয়ত্রিশ হাজারেরও বেশি মানুষ বার্মিজদের গ্রেফতার এড়াতে এবং আশ্রয়ের নিমিত্তে আরাকান থেকে নিকটবর্তী চট্টগ্রাম অঞ্চলে চলে আসে। [২০] বার্মার শোসকেরা আরাকানের হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে এবং একটা বড় অংশকে আরাকান থেকে বিতাড়িত করে মধ্য বার্মায় পাঠায়। যখন ব্রিটিশরা আরাকান দখল করে তখন যেন এটি ছিল একটি মৃত্যুপূরী।[২১] ১৭৯৯ সালে প্রকাশিত "বার্মা সাম্রাজ্য"তে ব্রিটিশ ফ্রাঞ্চিজ বুচানন-হ্যামিল্টন উল্লেখ করেন, " মুহাম্মদ(সঃ) - এর অনুসারীরা", যারা অনেকদিন ধরে আরাকানে বাস করছে, তাদেরকে "রুইঙ্গা" বা "আরাকানের অধিবাসী" বলা হয়। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন কৃষিকাজের জন্য আরাকানের কম জন অধ্যুষিত এবং উর্বর উপত্যকায় আশপাশের এলাকা থেকে বাঙ্গালী অধিবাসীদের অভিবাসন করার নীতি গ্রহণ করেছিল ব্রিটিশরা। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলাকে আরাকান পর্যন্ত বিস্তৃত করেছিল। আরাকান ও বাংলার মাঝে কোন আন্তর্জাতিক সীমারেখা ছিল না এবং এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে যাওয়ার ব্যাপারে কোন বিধি-নিষেধও ছিল না। ১৯ শতকে, হাজার হাজার বাঙ্গালী কাজের সন্ধানে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে আরাকানে গিয়ে বসতি গড়েছিল। এছাড়াও, হাজার হাজার রাখাইন আরাকান থেকে বাংলায় চলে এসেছিল।[২২][২৩] ১৮৯১ সালে ব্রিটিশদের করা এক আদমশুমারীতে দেখা যায়, আরাকানে তখন ৫৮,২৫৫ জন মুসলমান ছিল। ১৯১১ সালে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৭৮,৬৪৭ জন হয়। [২৪] অভিবাসনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ বাংলার সস্তা শ্রম যা আরাকানের ধান ক্ষেতের কাজে লাগত। বাংলার এই অধিবাসীরা (বেশিরভাগই ছিল চট্টগ্রাম অঞ্চলের) মূলত আরাকানের দক্ষিণেই অভিবাসিত হয়েছিল। এটা নিশ্চিত যে, ভারতের এই অভিবাসন প্রক্রিয়া ছিল পুরো অঞ্চল জুড়ে, শুধু আরাকানেই নয়। ঐতিহাসিক থান্ট মিন্ট-ইউ লিখেছেন: "বিংশ শতাব্দীর শুরুতে, বার্মায় আসা ভারতীয়দের সংখ্যা কোনভাবেই আড়াই লক্ষের কম নয়। এই সংখ্যা ১৯২৭ সাল পর্যন্ত বাড়তেই থাকে এবং অভিবাসীদের সংখ্যা হয় ৪৮০,০০০ জন, রেঙ্গুন নিউ ইয়র্ককেও অতিক্রম করে বিশ্বের বড় অভিবাসন বন্দর হিসেবে। মোট অভিবাসীদের সংখ্যা ছিল প্রায় ১.৩ কোটি (১৩ মিলিয়ন)।" তখন বার্মার রেঙ্গুন, আকিয়াব, বেসিন, প্যাথিন এবং মৌমেইনের মত অধিকাংশ বড় শহরগুলোতে ভারতীয় অভিবাসীরা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ। ব্রিটিশ শাসনে বার্মিজরা অসহায়ত্ব বোধ করত এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামার মাধ্যমে তারা অভিবাসীদের উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করত। [২৫] অভিবাসনের ফলে সংঘাত মূলত আরাকানেই ছিল সবচেয়ে প্রকট। ১৯৩৯ সালে, রোহিঙ্গা মুসলিম ও রাখাইন বৌদ্ধদের মধ্যকার দীর্ঘ শত্রুতার অবসানের জন্য ব্রিটিশ প্রশাসন জেমস ইস্টার এবং তিন তুতের দ্বারা একটি বিশেষ অনুসন্ধান কমিশন গঠন করে। কমিশন অনুসন্ধান শেষে সীমান্ত বন্ধ করার সুপারিশ করে, এর মধ্যে শুরু হয় ২য় বিশ্ব যুদ্ধ এবং এর পরে ব্রিটিশরা আরাকান ছেড়ে চলে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন জাপানীদের দখল মূল নিবন্ধ: রোহিঙ্গা গণহত্যা ১৯৪২ সালের ২৮শে মার্চ, মায়ানমারের মিনবিয়া এবং ম্রক-ইউ শহরে রাখাইন জাতীয়তাবাদী এবং কারেইনপন্থীরা প্রায় ৫,০০০ মুসলমানকে হত্যা করে। ইতোমধ্যে, রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে প্রায় ২০,০০০ মুসলমানকে হত্যা করা হয়। এতে উপ-কমিশনার ইউ য়ু কিয়াও খায়াং-ও নিহত হন যিনি দাঙ্গা নিয়ণ্ত্রনের চেষ্টা করছিলেন।[২৬] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, জাপানীরা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনস্হ বার্মায় আক্রমণ করে। ব্রিটিশ শক্তি পরাজিত হয়ে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যায়। এর ফলে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে। এর মধ্যে বৌদ্ধ রাখাইন এবং মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যকার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছিল উল্লেখযোগ্য। এই সময়ে ব্রিটিশপন্হীদের সাথে বার্মার জাতীয়তাবাদীদেরও সংঘর্ষ হয়। জাপানীদের আক্রমণের সময় উত্তর আরাকানের ব্রিটিশপন্হী অস্ত্রধারী মুসলমানদের দল বাফার জোন সৃষ্টি করে। [২৭] রোহিঙ্গারা যুদ্ধের সময় মিত্রপক্ষকে সমর্থন করেছিল এবং জাপানী শক্তির বিরোধিতা করেছিল, পর্যবেক্ষণে সাহায্য করেছিল মিত্রশক্তিকে। জাপানীরা হাজার হাজার রোহিঙ্গাদের নির্যাতন, ধর্ষণ এবং হত্যা করেছিল। [২৮] এই সময়ে প্রায় ২২,০০০ রোহিঙ্গা সংঘর্ষ এড়াতে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলায় চলে গিয়েছিল। [২৯][৩০] জাপানী এবং বার্মাদের দ্বারা বারংবার গণহত্যার শিকার হয়ে প্রায় ৪০,০০০ রোহিঙ্গা স্হায়ীভাবে চট্টগ্রামে চলে আসে। [৩১] যুদ্ধ পরবর্তী অবস্থা আরও দেখুন: বার্মায় রোহিঙ্গা বিদ্রোহ ১৯৪৭ সালে রোহিঙ্গারা মুজাহিদ পার্টি গঠন করে যারা জিহাদি আন্দোলন সমর্থন করতো।[৩২] মুজাহিদ পার্টির লক্ষ্য ছিল আরাকানে একটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। তারা জেনারেল নে উইনের নেতৃত্বে ১৯৬২ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পূর্ব পর্যন্ত অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। নে উইন তাদেরকে দমনের জন্য দুই দশকব্যাপী সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন। উল্লেখযোগ্য একটি অভিযান ছিল "কিং ড্রাগন অপারেশন" যা ১৯৭৮ সালে পরিচালিত হয়। এর ফলে অনেক মুসলমান প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে এবং শরনার্থী হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। বাংলাদেশ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যার রোহিঙ্গারা পাকিস্তানের করাচীতে চলে যায় (দেখুন পাকিস্তানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী )। [৬] এরপরও, বার্মার মুজাহিদরা আরাকানের দূর্গম এলাকায় এখনও সক্রিয় আছে। [৩৩] বার্মিজ জান্তা প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে বার্মা শাসন করছে মায়ানমারের সামরিক জান্তা। ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য এরা বার্মিজ জাতীয়তাবাদ এবং থেরাভেদা বৌদ্ধ ধর্মীয় মতবাদ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে থাকে। আর এর ফলেই তারা রোহিঙ্গা, চীনা জনগোষ্ঠী যেমন - কোকাং, পানথাইদের(চীনা মুসলিম) মত ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বাকে ব্যপকভাবে নির্যাতন করে থাকে। কিছু নব্য গণতন্ত্রপন্থী নেতা যারা বার্মার প্রধান জনগোষ্ঠী থেকে এসেছেন তারাও রোহিঙ্গাদের বার্মার জনগণ হিসেবে স্বীকার করেন না। [৩৪][৩৫] [৩৬][৩৭] বার্মার সরকার রোহিঙ্গা ও চীনা জনগোষ্ঠীর মত ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গার উসকানি দিয়ে থাকে এবং এ কাজ তারা অতি সফলতার সাথেই করে যাচ্ছে।[৩৮] রাখাইনে ২০১২ সালের দাঙ্গা মূল নিবন্ধ: রাখাইন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা - ২০১২ রাখাইনে ২০১২ সালের দাঙ্গা হচ্ছে মায়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিম ও বোদ্ধ রাখাইনদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের ঘটনাপ্রবাহ। দাঙ্গা শুরু হয় জাতিগত কোন্দলকে কেন্দ্র করে এবং উভয় পক্ষই এতে জড়িত হয়ে পরে।[৩৯] ধর্ম আরও দেখুন: বার্মায় ইসলাম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মূলত ইসলাম ধর্মের অনুসারী। যেহেতু বার্মা সরকার তাদের পড়াশুনার সুযোগ দেয় না, তাই অনেকেই মোলিক ইসলামী শিক্ষাকেই একমাত্র পড়াশুনার বিষয় হিসেবে গ্রহণ করেছে। অধিকাংশ গ্রামেই মসজিদ এবং মাদ্রাসা (ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) রয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে, পুরুষরা জামাতে এবং মহিলারা বাড়িতেই প্রার্থণা করে থাকে। মানবাধিকার লংঘন ও শরণার্থী আরও দেখুন: বার্মায় মুসলমান নির্যাতন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বলা হয় "বিশ্বের সবচেয়ে কম প্রত্যাশিত জনপদ" [৪০] এবং "বিশ্বের অন্যতম নিগৃহীত সংখ্যালঘু"। [৪১] ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনের ফলে তারা নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হন। [৪২] তারা সরকারি অনুমতি ছাড়া ভ্রমণ করতে পারে না, জমির মালিক হতে পারে না এবং দুইটির বেশি সন্তান না নেওয়ার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হয়। [৪২] অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অনুসারে, ১৯৭৮ সাল থেকে মায়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গারা মানবাধিকার লংঘনের শিকার হচ্ছে এবং তারা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে: [৪৩] “ রোহিঙ্গাদের চলাচলের স্বাধীনতা ব্যপকভাবে নিয়ণ্ত্রিত এবং তাদের অধিকাংশের বার্মার নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে। তাদের উপর বিভিন্ন রকম অন্যায় ও অবৈধ কর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের জমি জবর-দখল করা, জোর- পূর্বক উচ্ছেদ করা, ঘর- বাড়ি ধ্বংস করা এবং বিবাহের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও উত্তর রাখাইন রাজ্যে গত দশকে বাধ্যতামূলক শ্রমিকের কাজ করা কমেছে তারপরও রোহিঙ্গাদের রাস্তার কাজে ও সেনা ক্যাম্পে বাধ্যতামূলক শ্রমিকের কাজ করতে হচ্ছে। […] ১৯৭৮ সালে মায়ানমার সেনাবাহিনীর 'নাগামান' ('ড্রাগন রাজা') অভিযানের ফলে প্রায় দুই লক্ষ (২০০,০০০) রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। সরকারিভাবে এই অভিযান ছিল প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যে সব বিদেশী অবৈধভাবে মায়ানমারে বসবাস করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এই সেনা অভিযান সরাসরি বেসামরিক রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলছিল এবং ফলে ব্যাপক হত্যা, ধর্ষণ ও মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা ঘটে। […] ১৯৯১-৯২ সালে একটি নতুন দাঙ্গায় প্রায় আড়াই লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে আসে। তারা জানায় রোহিঙ্গাদের বার্মায় বাধ্যতামূলক শ্রম প্রদান করতে হয়। এছাড়া হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের স্বীকার হতে হয়। রোহিঙ্গাদের কোনো প্রকার পারিশ্রমিক ছাড়াই কাজ করতে হত। ” ২০০৫ সালে, জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে, কিন্তু রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বিভ িন্ন ধরণের মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে এই উদ্যোগ ভেস্তে যায়।

মাহমুদুর রহমানের কলাম:মুসলমানের মানবাধিকার থাকতে নেই

মন্তব্য প্রতিবেদন : মুসলমানের মানবাধিকার থাকতে নেই মাহমুদুর রহমান বাড়ির পাশে মিয়ানমারে গত পঞ্চাশ বছর ধরে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান (Ethnic Cleansing) চলছে। দেশটিতে সামরিক জান্তা এবং শান্তিতে নোবেল জয়ী, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামরত অং সাং সুচি’র মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক বিরোধ থাকলেও মুসলমান নিধনে তারা একাট্টা। মহামতি গৌতম বুদ্ধের মহান বাণী ‘প্রাণী হত্যা মহাপাপ’ এবং ‘জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বাইরেও বিশ্বের তাবত্ শান্তিবাদীদের আবেগাপ্লুত করে থাকে। অথচ মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ কট্টর সাম্প্রদায়িক বৌদ্ধ সম্প্রদায় সে দেশের রোহিঙ্গা মুসলমানদের মানুষ তো দূরের কথা গৌতম বুদ্ধ বর্ণিত জগতের যে কোনো প্রাণীর মর্যাদা দিতেও নারাজ। সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিচালিত শুদ্ধি অভিযানকে ন্যায্যতা দিতে অং সাং সুচিসহ মিয়ানমারের শাসক-গোষ্ঠী তাদের নাগরিকত্ব থাকা না থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। আরব বণিকদের মাধ্যমে মিয়ানমারের জনগণ ১২শ’ বছর আগে ইসলাম ধর্মের সংস্পর্শে আসে। গত সহস্রাব্দের প্রথমার্ধে আরাকানের বৌদ্ধ রাজা বিদ্রোহীদের দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত হলে তার অনুরোধে গৌড়ের সুলতান কয়েক দফায় সেখানে সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন। ১৪৩২ সালে গৌড়ের সেনাপতি সিন্দি খান আরাকানের প্রাচীন রাজধানী ম্রোহংয়ে মসজিদ নির্মাণ করেন। ওই সময় থেকেই বৃহত্তর চট্টগ্রাম এবং স্বাধীন আরাকান রাজ্যের জনগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। আরাকানে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং র াজসভায় বাংলাভাষা বিশেষ স্থান লাভ করে। মহাকবি আলাওল, শাহ ছগির, মাগন ঠাকুরের মতো মধ্যযুগের বিখ্যাত কবিরা আরাকান রাজ্যের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন। আরাকান রাজারা বৌদ্ধ ধর্ম চর্চা করলেও মুসলমান পোশাকি নাম গ্রহণ করেন। অর্থাত্ মিয়ানমারের আরাকান অংশে ইসলাম ধর্ম এবং বাংলা ভাষার বিস্তার লাভ ৬শ’ বছরেরও অধিককাল আগের ঘটনা। সে তুলনায় পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমাদের আগমন সেদিন ঘটেছে। অথচ মিয়ানমারে ওইসব মুসলমানের নাগরিকত্ব নিয়ে এই শতাব্দীতে এসে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এদিকে সীমান্তের এ পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মদতে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী একদল চিহ্নিত দালাল শ্রেণীর নাগরিক চাকমা জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী স াব্যস্ত করে এদেশের প্রকৃত ভূমিপুত্রদের অধিকার হরণের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমারে মুসলমানদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চললেও তথাকথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় (International Community) নিশ্চুপ রয়েছে। জাতিসংঘ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে অধিক সংখ্যায় উদ্বাস্তু গ্রহণের জন্য বাংলাদেশের ওপর অন্যায় চাপ সৃষ্টি করে তাদের দায়িত্ব সেরেছে। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকারি মহল নিরাশ্রয় রোহিঙ্গা নারী-শিশুদের প্রতি যে চরম অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে তার নিন্দা জানালেও এ কথা মানতে হবে, মিয়ানমারের মুসলমান শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিলেই মূল সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। কয়েক লাখ রোহিঙ্গা দুই যুগেরও অধিককাল টেকনাফ অঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে মানবে তর জীবনযাপন করছেন। বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ রাষ্ট্র। অর্থনৈতিকভাবে আমরা এখনও একটি পশ্চাদপদ দেশের নাগরিক। যৌক্তিক কারণেই আমাদের পক্ষে দীর্ঘস্থায়ীভাবে কোনো অ তিরিক্ত জনগোষ্ঠীর ভার বহন করা সম্ভব নয়। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশ বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর বিষয়ে সচরাচর যে উত্কণ্ঠা, উত্সাহ দেখিয়ে থাকে তার কিয়দাংশ রোহিঙ্গাদের প্রতি প্রদর্শন করলে সমস্যাটির দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে সহায়ক হতো। এসব রাষ্ট্র বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর আদিবাসী নামকরণে বাংলাদেশ কে অব্যাহত অন্যায় চাপ দিলেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের নীরবতা বিস্ময়কর। এমন ধারণা পোষণ করা অমূলক হবে না, মিয়ানমারের সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠী যদি মুসলমান ধর্মাবলম্বী হয়ে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা ভিন্নধর্মের হতো তাহলে দ্বিমুখী চরিত্রের (Double Standard) পশ্চিমাদের সুর পাল্টে যেত। অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা কিছুদিন আগে মিয়ানমার সফরে এসে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে অন্তত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়ার ফলে মিয়ানমার সরকার সাময়িকভাবে হলেও মুসলমান নির্যাতনে বিরতি দিয়েছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে গঠিত সংগঠন ওআইসি (OIC) তার দায়িত্ব পালনে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। রোহিঙ্গাদের পাশে এসে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, জতিগত শুদ্ধি অভিযান পরিচালনার জন্য মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে একটা নিন্দা প্রস্তাবও এ নির্বিষ সংগঠনটি আনতে পারেনি। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন চললেও ওআইসির যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে অমার্জনীয় ব্যর্থতা সংগঠনটির কার্যকারিতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এবার ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের দিকে দৃষ্টি ফেরানো যাক। এক সময়ের ঔপনিবেশিক শক্তি ব্রিটেনের পররাষ্ট্র সচিব আর্থার জেম্স্ বালফুর (Arthur James Balfour) ১৯১৭ সালে তার দেশের ইহুদি (British Jewish Community) নেতা ব্যারন রথচাইল্ডকে (ইধত্ড়হ জড়ঃযংপযরষফ) লিখিত এক পত্রের মাধ্যমে প্যালেস্টাইনের আরব ভূমিতে একটি ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন। ১৯৩৯ সালে যুদ্ধের ডামাডোল বাজার প্রাক্কালে ব্রিটেন ওই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসার প্রচেষ্টা নিলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বিশ্ব ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। ওই যুদ্ধে নাত্সী জার্মানি ও তার ফ্যাসিস্ট মিত্ররা পরাজিত হলে ইউরোপব্যাপী খ্রিস্টানদের মধ্যে ইহুদিদের প্রতি হলোকস্টজনিত (Holocaust) এক প্রকার যৌথ অপরাধবোধ (Collective Guilt) জন্ম নেয়। জার্মানি, পূর্ব ইউরোপ ও রাশিয়ার অধিকৃত অঞ্চলের ইহুদিদের প্রতি হিটলারের পৈশাচিক আচরণের সঙ্গে আরবের মুসলমানদের কোনোরকম সম্পৃক্ততা না থাকলেও যুদ্ধে বিজয়ী ইঙ্গ-মার্কিন জোট অসহায় ফিলিস্তিনিদের তাদেরই ভূখণ্ড থেকে উত্খাত করে সেখানে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র (Zionist State) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বালফুর ডিক্লারেশন বাস্তবায়ন করে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত আরবরা সামরিক দুর্বলতা ও ইঙ্গ-মার্কিন ষড়যন্ত্রের ফলে ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। শুরু হয় ফিলিস্তিনিদের উদ্বাস্তু জীবন। তারপর ৬৪ বছর পেরিয়ে গেছে। ফিলিস্তিনিরা তাদের আপন আবাসে আজও ফিরতে পারেনি, পূর্বপুুরুষের ভূমিতে তাদের ন্যায্য অধিকারও ফিরে পায়নি। পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের অন্ধ সমর্থনে মৌলবাদী ইসরাইল এক দুর্বিনীত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনের কোনোরকম তোয়াক্কা না করে রাষ্ট্রটি ফিল িস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে একের পর এক ভয়াবহ সব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে চলেছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল পারমাণবিক এবং অন্যান্য গণবিধ্বংসী অস্ত্রের সর্ববৃহত্ ভাণ্ডার গড়ে তুলেছে। অথচ সেদিকে দৃষ্টি না দিয়ে গণবিধ্বং সী অস্ত্র থাকার সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে ইরাককে ধ্বংস করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের অন্যায় অবরোধ ও নির্বিচারে বোমাবর্ষণে সে দেশ ের লাখ লাখ শিশু, নারী, পুরুষ নিহত হয়েছে। পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতির এখানেই শেষ নয়। ইসলামিক রাষ্ট্র পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমাকে পশ্চিমা মিডিয়ায় ‘ইসলামিক বোমা’ নামে উল্লেখ করা হলেও ইসরাইলের বোমাকে ‘ইহুদি বোমা’ কিংবা ভারতের বোমাকে ‘হিন্দু বোমা’ কখনও বলতে শুনিনি। ফিলিস্তিনিদের প্রতি অর্ধ শতাব্দীরও অধিককাল ধরে এত নির্যাতন, এত অবিচার অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও আরব রাষ্ট্রগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরিবর্তে একে অপরের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের দ্বারা সোত্সাহে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইরাক, লিবিয়া এবং সিরিয়ার বিরুদ্ধে হামলায় মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন আরব রাষ্ট্রও যোগদান করেছে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের কুখ্যাত Divide and rule (বিভক্তি ও শাসন) কৌশল আজও নির্বোধ, ভ্রাতৃঘাতী মুসলমানদের বিরুদ্ধে সফলভাবে প্রয়োগ চলছে। ইরাক আক্রমণের প্রাক্কালে তত্কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ (জুনিয়র) এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার মুসলিম বিশ্বকে প্রতারিত করার জন্য যুদ্ধ শেষে ফিলিস্তিনি সমস্যার আশু সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ইরাক- ধ্বংসযজ্ঞের প্রায় দশ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। রাজনীতিতে কপটতার জন্য বহুল পরিচিত টনি ব্লেয়ার অসংখ্য মুসলমানের রক্তমাখা হাত নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তার বেতন কত কিংবা তাকে অন্যান্য সুযোগ- সুবিধা প্রদানে বছরে জাতিসংঘ ের কত লাখ ডলার ব্যয় হয় সে সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। তবে অর্থের অংকটি বিশাল না হলে টনি ব্লেয়ার তার ‘মূল্যবান’ সময় নষ্ট করে মুসলমানদের প্রতি বদান্যতা দেখাচ্ছেন এটা বিশ্বাস করা কঠিন। ইরাকের লাখো শিশু হত্যাকারী টনি ব্লেয়ারকে মধ্যপ্র াচ্যে এ দায়িত্ব প্রদান করাটাই বিশ্বের সব মুসলমানের জন্য চরম অবমাননাকর। আশ্চর্যের বিষয় হলো আজ পর্যন্ত জাতিসংঘের সদস্য কোনো ইসলামিক রাষ্ট্রই টনি ব্লেয়ারের পদ প্রাপ্তি নিয়ে আপত্তি জানায়নি । যাই হোক, টনি ব্লেয়ার এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনি সমস্যার সমাধানে কোনোরকম অবদান রাখতে পারেননি। সমস্যা সমাধানে তার আদৌ কোনো আগ্রহ আছে সেটাও প্রতিভাত হয়নি। বরঞ্চ, এ সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরাইলের আগ্রাসন আরও তীব্র হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ, শিশু নিহত হচ্ছে। এই একতরফা গণহত্যাকে পশ্চিমাবিশ্ব জায়নবাদী ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার বলে বর্ণনা করে বৈধতা দিচ্ছে। সুতরাং, আরব বিশ্বের একতা ব্যতীত সে অঞ্চলের মুসলমানদের সাম্রাজ্যবাদের নির্যাতন থেকে মুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই। কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা ছাড়া আন্তর্জাত িক পর্যায়ে মুসলমানের বঞ্চনার কাহিনী সমাপ্ত হতে পারে না। ১৯৪৭ সালে ভারত উপমহাদেশ বিভক্ত হয়েছিল সংখ্যা-সাম্যের ভিত্তিতে। মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে পাকিস্তান এবং হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে ভারত গঠিত হয়। কিন্তু, কাশ্মীর এবং হায়দরাবাদের মতো কয়েকটি রাজাশাসিত অঞ্চলের (Princely state) ভাগ্য অসত্ উদ্দেশে অনির্ধারিত রেখেই ব্রিটিশরা ভারত ত্যাগ করে। কাশ্মীরের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ মুসলমান হলেও ডোগরা রাজা ছিলেন হিন্দু। অপরদিকে হায়দরাবাদের পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। ভারত সরকার হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতার যুক্তিতে সেনা অভিযান চালিয়ে মুসলমান শাসক নিজামকে ক্ষমতাচ্যুত করে হায়দরাবাদ দখল করে। একই যুক্তিতে কাশ্মীর পাকিস্তানের অংশভুক্ত কিংবা স্বাধীন হওয়ার কথা থাকলেও হিন্দু রাজা অন্যায়ভাবে ভারতভুক্তির ঘোষণা দেন। ১৯৪৮ সালের ২১ এপ্রিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ৩৯-৫ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ৪৭ নম্বর প্রস্তাব (Resolution 47) গৃহীত হয়। কাশ্মীরের ভবিষ্যত্ নির্ধারণে সেখানকার জনগণের অধিকার মেনে নিয়ে ওই প্রস্তাবে গণভোটের (Plebiscite) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে জাতিসংঘের প্রস্তাবে একটা ফাঁক থেকে যায়। জাতিসংঘ চ্যাপ্টারের ৭ (Chapter VII)-এর পরিবর্তে নিরাপত্তা পরিষদ চ্যাপটার ৬ (Chapter VI)-এর অধীনে প্রস্তাব গ্রহণ করে। চ্যাপ্টার ৭-এর প্রয়োগ হলে ওই সিদ্ধান্ত ভারতের ওপর বাধ্যতামূলক (Binding and enforceable) হতো। সে সময় ভারত সরকার নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও আন্তর্জাতিক আইনের ওই ফাঁকফোকরের সুযোগ নিয়ে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে কাশ্মীরের জনগণকে আজ পর্যন্ত ভবিষ্যত্ নির্ধারণের অধিকার প্রয়োগ করতে দেয়নি। ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বুটের তলায় নিষ্পেষিত হচ্ছে সেখানকার নারীর সম্ভ্রম, তরুণের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা। ৬৫ বছরের সংগ্রামে কাশ্মীরের লাখ লাখ স্বাধীনতাকামী নারী-পুরুষ ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছে, নিহত হয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহি নী আমাদের ওপর যে আচরণ করেছে তার সঙ্গে কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আচরণের কোনো ফারাক নেই। ৯০-এর দশকে কাশ্মীরের তত্কালীন গভর্নর জগমোহন বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়ে এক সময়ের ভূস্বর্গকে মৃত্যুপুরিতে পরিণত করেছিলেন। সেখানে পাঁচ লক্ষাধিক ভারতীয় সেনা শতাধিক নির্যাতন কেন্দ্র পরিচালনা করে স্বাধীনতা অর্জন ের লক্ষ্যে সংগ্রামরত মুক্তিযোদ্ধাদের নির্যাতন করে চলেছে। ১ কোটি ২৫ লাখ জনসংখ্যার একটি অঞ্চলে ৫ লাখ সেনা মোতায়েন থেকেই ভারত সরকারের শক্তি প্রদর্শনের আন্দাজ পাওয়া সম্ভব। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে সাড়ে সাত কোটি বাংলাদেশীকে দমন করতে পাকিস্তান সরকার ১ লাখ সেনা পাঠিয়েছিল। ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের মতো কাশ্মীরের জনগণেরও মুক্তি কবে আসবে সেই ভবিষ্যদ্বাণী আমার পক্ষে করা সম্ভব না হলেও স্বাধীনতার অদম্য আকাঙ্ক্ষা যে কোনোদিন নির্বাপিত করা যায় না সেটা ইতিহাসেরই শিক্ষা। এবার মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এক রাষ্ট্রে মুসলমানদেরই অসহায়ত্বের কথা বলি। সেক্যুলারত্বের আবরণে এক ইসলাম বিদ্বেষী সরকারের আমলের বাংলাদেশে সংখ্যাগুরু নাগরিকদের মানবাধিকার পরিস্থিতির চিত্র সংক্ষেপে তুলে ধরে লেখার ইতি টানব। তিনটি ঘটনার উল্লেখ করলেই আশা করি, পাঠক দেশের সার্বিক অবস্থা বুঝতে পারবেন। বিশ্বজিত্ নামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক খেটে খাওয়া নিরীহ তরুণ প্রকাশ্য দিবালোকে মুজিববাদী ছাত্রলী গের চাপাতি বাহিনীর নৃশংসতার শিকার হয়ে এই বিজয়ের মাসেই নিহত হয়েছে। ছেলেটিকে লাঠি দিয়ে প্রহার এবং চাপাতি দিয়ে কোপানোর দৃশ্য টেলিভিশনের পর্দায় শেষ পর্যন্ত দেখা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। এই লেখার সময়ও তার উদভ্রান্ত, রক্তাক্ত চেহারা চোখের সামনে ভাসছে। প্রধানমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রিসভার চাটুকার বাহিনী ব্যতীত দলমত নির্বিশেষে দেশবাসী সরকারের খুনি বাহিনীর বর্বর, নৃশংস আচরণে ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। বিশ্বজিতের হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য দেখতে গিয়ে আমার ২০০৭ সালের ২৮ অক্টোবরে ঢাকার রাস্তায় লগি-বৈঠার তাণ্ডবের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। সেদিন জামায়াত-শিবিরের একাধিক তরুণ আজকের বিশ্বজিতের মতোই অগুনতি টেলিভিশন ক্যামেরা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাক ারী বাহিনীর অসংখ্য সদস্যের চোখের সামনে নিহত হয়েছিলেন। দেশবাসী লাশের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব নৃত্যের একটি অতি লোমহর্ষক দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিলেন। হত্যাকারীরা একই দলভুক্ত ছিল। আজকে তাদের মাঠে নামার হুকুম দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর আর সেদিন হুকুম দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ঘটনার প্রকৃতি এবং হুকুমদাতার পরিচয়ে তফাত্ সামান্যই। কিন্তু, বড় তফাত্ হলো ২৮ অক্টোবর যারা নিহত হয়েছিলেন তারা সবাই ধর্মে মুসলমান ছিলেন। মুসলমান প্রধান দেশে সেই নৃশংসতায় বিস্ময়করভাবে বিবেক জাগ্রত না হলেও আজ বিশ্বজিতের জন্য সবাই আহাজারি করছেন। বিদেশি কূটনীতিকরাও দেশবাসীর উদ্বেগে শামিল হয়েছেন। আচ্ছা, ২৮ অক্টোবর লগি- বৈঠার তাণ্ডবে যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের নামগুলোও কি স্মরণে আছে আপনাদের? এ সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় টকশো স্টার মাহমুদুর রহমান মান্না ক’দিন আগে টেলিভিশনে বললেন বিশ্বজিতের ঘটনা নাকি বেশি নির্মম। হতেও পারে। তবে আমার কাছে হিন্দু ও মুসলমানের রক্তের রঙ, তাদের মৃত্যুযন্ত্রণা একই রকম মনে হয়। প্রসঙ্গক্রমে আরও একটি তথ্যের উল্লেখ করছি। যেদিন ঢাকায় বিশ্বজিত্ নিহত হয়েছে সেই একইদিনে সিরাজগঞ্জে, জামায়াতে ইসলামীর কর্মী ওয়ারেস আলীকেও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা গণপিটুনিতে হত্যা কর েছে। সেই খুনের ঘটনাতেও নৃশংসভাবে লাঠি এবং ছুরি ব্যবহৃত হয়েছে। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো বিশ্বজিত্ হত্যা নিয়ে মিডিয়াতে মাতাম াতি হলেও ওয়ারেস আলীর খবর ছাপাতে পত্রিকায় সিঙ্গেল কলামের বেশি জায়গা হয়নি। তাও আবার হাতে গোনা দু- একটি পত্রিকায়। অধিকাংশ পত্রিকা এবং টেলিভিশন ওয়ারেস আলীকে সংবাদের মর্যাদা দিতেও কুণ্ঠিত হয়েছে। পরাগ নামে এক নিষ্পাপ শিশু কিছুদিন আগে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহৃত হয়েছিল। শিশুটির বাবা কেরানীগঞ্জের একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। কয়েকদিন নিখোঁজ থাকার পর বিশাল অংকের মুক্তিপণের বিনিময়ে পরাগকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। পরাগের পরিবার সংখ্যালঘু এবং আওয়ামী লীগ সমর্থক। অপহরণকারীরাও সরকারি দলের চিহ্নিত সন্ত্রাসী। পরাগের অপহরণে সারা দেশে শোকের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। আমার পরিচিত অনেক পরিবারে শিশুটির মুক্তির জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করার কাহিনী শুনেছি। ক’দিন অন্তত টেলিভিশনে প্রায় ২৪ ঘণ্টাই কেবল পরাগকে নিয়ে সংবাদ প্রচার এবং টক শো’তে আলোচনা চলেছে। অপহরণকারীরা তাকে মুক্তি দিলে দেশের মানুষ আন্তরিকভাবেই স্বস্তি প্রকাশ করেছে। ধনবানদের জন্য নির্মিত স্কয়ার হাসপাতালে চিকিত্সা শেষে পর াগ নিজ বাসায় মায়ের কোলে ফিরে গেলে এলাকায় আনন্দের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। উলুধ্বনি, ফুল ছিটানো, মিষ্টি বিতরণ, ইত্যাদি টেলিভিশনে দেখেছি। পরাগের মতোই এবার আর এক শিশুর গল্প বলি। সে এতই দরিদ্র পরিবারের যে তার নাম জানার আপনাদের কারও আগ্রহ হবে না। পঞ্চগড়ে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে তার হত্যার নির্মম কাহিনী শুনেছিলাম। শিশুটির বাবা কলা ফেরি করে সংসার চালান। দু’বেলা আহার জোটা মুশকিল। অপহরণকারীরা শিশুটিকে তুলে নি য়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। হাজার টাকা দেয়ার যার সামর্থ্য নেই সে লাখ টাকা কোথায় পাবে? ক্লাস থ্রিতে পড়া মাসুম বাচ্চাটিকে নরপিশাচরা বড় নির্মমভাবে হত্যা করে রাস্তার পাশে ডোবায় লাশ ফেলে গিয়েছিল। আমি যে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম সেটা আমার সংবর্ধনা সভা ছিল। কিন্তু, সংবর্ধনা সভা পরিণত হয় শোক সভায়। সভাস্থলে উপস্থিত গ্রামের মহিলাদের বুকফাঁটা কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছিল; আমার মতো পাষাণ হৃদয়ও চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। এই হতদরিদ্র, মুসলমান পরিবারের অভাগা সেই শিশুর করুণ কাহিনী কোনো টেলিভিশন চ্যানেলে সবিস্তারে বর্ণনা হতে কি কেউ দেখেছেন? পঞ্চগড়ের দরিদ্র বাবা-মা প্রাণের চেয়ে প্রিয় শিশুটিকে হারিয়ে কেমন করে শোকাতুর জীবন কাটাচ্ছেন আমিও তার খবর রাখিনি। তারা বেঁচে আছেন কিনা তাও জানি না। ক’দিন আগে ২১ জন নারীকে কয়েকশ’ বীরপুঙ্গব পুরুষ পুলিশ কয়েক ঘণ্টা ‘অপারেশন’ চালিয়ে মগবাজারের এক বাসা থেকে গ্রেফতার করে রমনা থানায় নিয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে ‘ভয়ঙ্কর’ সব ইসলামী বইপত্র উদ্ধার করা হয়েছে যা কিনা আওয়ামী পুল িশের দৃষ্টিতে বন্দুক বোমার চেয়েও প্রাণঘাতী। একরাত থানা হাজতে রেখে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সেই তরুণীদের সিএমএম আদালতে নেয়া হয়। ম্যাজিস্ট্রেট ২০ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দু’দিনের রিমান্ড প্রেরণ করেন। মামলা কিন্তু দায়ের হয়েছিল ৫৪ ধারায় যাতে রিমান্ড তো দূরের কথা তত্ক্ষণাত্ জামিন মঞ্জুর হওয়া উচিত ছিল। পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ২০ বছরের কান্তাকে অবশ্য ম্যাজিস্ট্রেট দয়া দেখিয়ে রিমান্ডের পরিবর্তে জেলহাজতে পাঠিয়ে দ েন। তবে কান্তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের আট তলার এজলাসে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে, টেনে- হিঁচড়ে ওঠানো এবং নামানো হয়। সিএমএম আদালতে লিফ্ট থাকলেও কান্তাকে সেটা ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি। আমি যে বিশেষ ধরনের ক্ষ্যাপাটে কিসিমের মানুষ সে তথ্য তো দেশবাসী শেখ হাসিনার আমলে জেনে গেছেন। এতগুলো নিরপরাধ নারীকে রিমান্ডে পাঠানোর বিষয়টি জানার পর থেকে একটা প্রশ্ন মাথার ভেতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যে পুলিশ কর্মকর্তা রিমান্ড চেয়েছেন এবং সিএমএম আদালতের যে ম্যাজিস্ট্রেট তা মঞ্জুর করেছেন তাদের এসব দুষ্কর্ম করার সময় কখনও কি নিজ স্ত্রী, বোন অথবা কন্যার কথা মনে পড়ে? চাকরি বাঁচানোর দোহাই দিয়ে বিবেককে কি এভাবে কবর দেয়া সম্ভব? অফিস শেষে নিজগৃহে ফিরে স্ত্রী কিং বা বোন কিংবা কন্যার দিকে তাকানোর সময় তাদের দৃষ্টি কি লজ্জায় নত হয়ে আসে না? যাই হোক, দু’দিন রিমান্ড শেষে পর্দানশীন ২০ নারীকে জেলহাজতে পাঠানো হ য়েছে। এদের মধ্যে অনেকের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলছে। প্রস্তুতি নেয়ার জন্য তাদের পাঠ্যবই পাঠানো হলেও জেল কর্তৃপক্ষ সেগুলো আটকে দিয়েছে। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী এবং ব িরোধীদলীয় নেত্রী উভয়ই নারী। সেক্যুলার সরকারের সর্বত্র প্রগতিশীল নারীবাদীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছ েন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন সুলতানা কামাল অন্য সব ব্যাপারে সরব হলেও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেননি। আর এক মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট এলিনা খানের কাছে মন্তব্যের জন্য আমার দেশ থেকে ফোন করা হলে কথা বলতে শুরু করেও বন্দী নারীরা সবাই জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রী সংগঠনের সদস্য জানা মাত্রই রূঢ় কণ্ঠে বলে উঠেছেন, আমার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। ক্যামেরার সামনে বিচিত্র অঙ্গভঙ্গিতে নাটক করতে পারঙ্গম, মানবাধিকার কমিশনের আওয়ামী চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান লিমনকে নিয়ে কান্নাকাটি করল েও এক্ষেত্রে নীরব। অবশ্য কথা বলেননি, ভালোই হয়েছে। বন্দিনীদের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে হয়তো নির্লজ্জের মতো বলে বসতেন, মাত্র দু’দিনের রিমান্ড অনেক কম হয়ে গেছে, এখনও ডাণ্ডাবেড়ি কেন পরানো হয়নি, বিনাবিচারে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে না কেন, ইত্যাদি, ইত্যাদি। সমাজের এই ভয়াবহ চিত্র চরম ফ্যাসিবাদের লক্ষণ। জার্মানির হিটলার তার নাত্সীবাদী শাসনকালে ইহুদিদে র বসবাসের জন্য বস্তির (Ghetto) ব্যবস্থা করেছিলেন, সহজে চেনার জন্য সব ইহুদি নাগরিকের বাহু বন্ধনী (Arm band) লাগানো বাধ্যতামূলক করেছিলেন। সেক্যুলারিজমের নামে বাংলাদেশের নব্য ফ্যাসিস্টরা প্রায় সেদিকেই ধাবিত হচ্ছেন বলেই মনে হচ্ছে। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক নাকি মুসলমান ধর্মাবলম্বী! অবস্থাদৃষ্টে এই তথ্যে বিশ্বাস করা ক্রমেই কষ্টকর হয়ে উঠছে। আরবি নামে কেউ পরিচিত হলেই তাকে কি মুসলমান বলা যাবে? আরবে নাম শুনে কারও ধর্ম বিশ্বাস সম্পর্কে ধারণা করা কঠিন। খ্রিস্টান, ইহুদি, মুসলমানদের প্রায় কাছাকাছি নাম। লেবাননের প্রখ্যাত দার্শনিক, লেখক, কবি, চিত্রকর কাহলিল জিবরানকে দীর্ঘদিন আমি মুসলমান বলেই জানতাম। প্রায় বুড়ো বয়সে আমার সেই ভুল ভেঙেছে। বাংলাদেশেও প্রকৃত মুসলমানরা নীরবে সংখ্যালঘুতে পর িণত হয়েছেন কিনা সেটা জানার জন্য বোধহয় সমীক্ষার সময় এসেছে। ফেরদৌস, নুর, শরীফ, কবীর, আলী, আহমেদ, হক, রহমান ইত্যাদি নামের আড়ালে কারা লুকিয়ে আছেন কে জানে? ইমেইল : admahmudrahman@gmail.com

Tuesday, June 10, 2014

নগ্নতায় বাংলাদেশ

nagnotashironam.gifবিঃদ্রঃ-এই লেখাটিতে এমন কিছু ছবি দেয়া আছে যা প্রাপ্ত বয়স্করা ছাড়া দেখার যোগ্য না।অতএব,আপনি যদি প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে থাকেন তবেই লেখাটায় ক্লিক করেন। বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে নগ্নতা!এর মূল হোতা হলো তসলিমা নাসরিন,হুমায়ূন আজাদ,ড.জাফ্রিক্বালেরা।তারাই বলে মেয়েদের উলঙ্গ হতে বেহায়াপনা করতে।শর্ট কাপড় পড়তে!তাদের লেখা ফলো করে মেয়েরা এসব শর্ট কাপড় পরিধান করে।সাথে আরো যোগ হয়েছে আম্রিকান,ইন্ডিয়ান উগ্রবাদী সভ্যতা!মেয়েরা কাপড় পরে তাদের শরীরের অর্ধেক থাকে বের হয়ে!আচ্ছা এ কাপড় পরে লাভই বা কি? nagnota1.jpg পর্দহীন একজন টিভি পর্দার মডেল অথবা নর্মাল মহিলারাই খোলা বাজারের পণ্য।যেমনটা আমাদের দেশী লেখক বেশ্যা নম্বর ওয়ান তাসলিমা নাসরিন। nagnota6.jpg তাসলিমা নাসরিনের সাথে একবার যৌনমিলন করেনি এমন কোন তার চেনা লোক নেই।তসলিমার বইগুলো পড়লে জানতে পারবেন তার দেহ খেকোর রমরমা কিচ্ছা কাহীনি।তাসলিমা আর পতিতা ফারাক শুধু একটা তসলিমা একটু বেশি শিক্ষিত। আচ্ছা পাঠক একবার বলবেন কি খোসা ছড়ানো কলার দাম বেশি হবে নাকি খোসা সহ কলার দাম বেশি হবে? nagnota3.gif নিশ্চই খোসা সহ কলার দাম বেশি হবে তাই নয় কি? আমাদের দেশের মেয়েরা আম্রিকান সভ্যতাকে ফলো করতে করতে খোসা ছড়ানো কলার মতো মূল্যহীন হয়ে গেছে। nagnota2.jpg তাদের কে গ্রাস করেছে তামিল,হিন্দি,আম্রিকান মুভির নায়িকাদের পোশাক! nagnota4.jpg কিছু কিছু মেয়েরা আছে টাকার লোভে নগ্ন হয়!কারা তারা জানেন তো? তারা হচ্ছে আমাদের মডেল আপুরা!সামান্য কয়েকটা টাকার জন্য হাজার,লক্ষ মানুষকে তার লজ্জাস্থান দেখায়! nagnota5.jpg নিজের লজ্জা দেখিয়ে পয়সা কামাই করে!যেমনটা পতিতারা করে তাদের ইজ্জত বিকিয়ে! হায় হায় আমরা কি রক্ষা পাবনা এ থেকে?রক্ষা পাবো কি পাবোনা সে নিয়ে ভাবিনা। nagnota7.jpg শুধু অনুমান করে বলতে পারি, ২০৩০সালে বাংলাদেশী মেয়েরাও বিকিনি পরে রাস্তায় ঘুরবে। চেতনায় ম্রিওমান হও বাঙ্গালী ২০৩০টা হবে সেই জাহেলী যুগ।

Monday, June 9, 2014

বল পোন্দে মাতরম (সম্পুর্ন)

bolpondee.gif

"বল পোন্দে মাতরম"
-ওরে ও চাঁদু দাদা তোরা সব নেহাত্‍ ভাদা, গায়েতে ছুড়বি কাঁদা, করে দেবো পেট্টা ছ্যাদা। তোরা সব দাড়ায়ে চ্যাতনায় স্বাদের ধন কাঁকে খায়, পড়েছি ভেষম দায়, জাত গেল হায়!হায়!হায়! বল পোন্দে মাতরম, জাত যায়,জাত যায়! * মূর্তি গুলো ভিষন বোকা বোঝেনা মনের কথা, এ আবার কেমন বিধাতা? বল পোন্দে মাতরম,ছিড়ে ফেল ইতিহাসের পাতা। চলে যা ভারত বাড়ি, ভেঙ্গে ফেল ধম্ম জাড়ি! মদ্দ বোতল সাড়ি সাড়ি, একটা লিয়ে লে, বল বিধাতা,হাত জোড় করি আমায় কিছু দে। তোরা সব মদ্দ মাতাল, আমায় জানি,বলবি চারাল? ইতিহাস ও কি করবি আড়াল? তোরা সব ঠগীর দোসর, ঠগীর সাথে করিস বাসর। সত্য বলি নাই কো কসুর! আজ্ঞে মাফ করবেন সত্য বলে ফেলেছি বাপুরাম, বল পোন্দে মাতরম। সত্য বলি নাইকো ভয়, হেঁদু হলে জীবন ক্ষয়! জাতীভেদে বাধা শালা- ব্রাহ্মন দেয় কানে ডলা! নিচু জাত আর করবি কত ঢং? বল পোন্দে মাতরম। খায় খায় সব রামায় খায়, শীতারে না একটু দেয় , নারী হায় কলঙ্কিনী! হেঁদুদের এই নিয়মনীতি। বিধাতায় কয় খাস কি বাপু? নিম্ন জাত ব্রাহ্মনের গোলাম, সমস্বরে বলি আসো পোন্দে মাতরম! হায় হায় হায় করে একি, ধোপার মেয়ে ঘরের বৌঝি? ছ্যাঃ ছ্যাঃ ছ্যাঃ জাত গেল জাত গেল! শালী কেন জন্মের সময় নিচু জাত হয়ে জন্মালি? দেবী তো রেগেই আগুন, পায়ের তলায় স্বামীই খুন! ভক্তরা সব জাতেই মাতাল, বল রম রম রম বল পোন্দে মাতরম! খেতে গেলে হজমী দেবী, পড়তে গেলে বিদ্যা দেবী, টাকা পয়সায় ধন দেবী, টয়লেটেও কি একই তিনি? দেবীর সামনে ধর্ষনলীলা, ছোট ছেলের মুন্ডু কাঁটা, হায় দেবী নাম জপি, দেবী কি তোর তাহলে বিশ্ব ডাকাতনী? দুধ নারকেল উজাড় করি , দেবী খাবে নারকেল নাড়ু, হায় দেবী রাক্ষসী তুই সব খাবি? আমরা খাব কি? রম রম রম ছ্যাঃ কি অলুক্ষুনে কথা, কেঁটে নেবো তোর মাথা! দেবীকে দে পুত পুত পুত নম নম নম! সমস্বরে বলনা কেন পোন্দে মাতরম বল পোন্দে মাতরম।
লেখকঃ-সজল আহমেদ

Sunday, June 8, 2014

হিন্দু আর তাদের মোল্লা বিদ্বেষ

bolpondee.gif

নোটিশ নামাঃ-হ্যালো পাঠক আপনি যদি হিন্দুত্ব মালুত্ববাদী কেহ হইয়া থাকেন তহা হইলে এই লেখাটা আপনার জন্য নহে।এইলেখাটা ক্লিক না করাই আপনার জন্য শ্রেয়। ধন্যবাদ।
কবি নজরুল তুমি করিয়াছ ভুল দাড়ি না রাখিয়া রাখিয়াছো চুল। রবীন্দ্রনাথ মালু* মাথায় ভরা গোবর আলু, মাগার কবিতাতে ভাল!
ছোট বেলায় এই ছড়াটা আওড়াতাম।আরো আওড়াতাম,
হাট্টিমা টিম টিম, তারা মাঠে পারে ডিম- তাদের খাড়া দুটি শিং
ছোটবেলায় হিন্দু বন্ধুবান্ধবকে ডাকতাম মালাউনকা বাচ্চা বলে। ১৬র দশকে হিন্দুদের বিদ্বেষ নয় জাত হিসেবে আদর করে মুসলিম রাজা বাদশাহ্ বিধর্মীকে ডাকত মালাউন বলে।তাদের ফলো করে আমরা শুরু করলাম মালু ডাকা।তবে আমরা শুধু হিন্দুদের ডাকি,যার মূল কারন হলো হিন্দুদের আচরন মালুর মতোই।মালু ডাকাটা তাদের কাছে গালির মতো ঠেকতো তাই তারাও আমাদের মোল্লা ডাকতে শুরু করল।সাধারনত মোল্লা আমরা মৌলভীদের ডাকা হয়।সেই নামটা পুরো মুসলিমকে ডাকে তারা,এটা আমাদের সৌভাগ্য বলতে পারেন। ভারতে মোল্লারা হিন্দুত্ত্ব বাদীদের কাছে চীর শত্রুর মতো! আমার কথার সত্যতার টের পাবেন "আসামের"দিকে তাকালে। হিন্দুরা নরপিশাচের জাত,কুলাঙ্গারের জাত।তারা মোল্লাদের শুধু হত্যা নয় ধর্ষন করে মোল্লা মা বোনদের! মুখের কথা নয় প্রমাণাদি সহ দেখাই,২০০৩সালে মালু জাতের নেতা নরেন্দ্র মোদী লিড দিয়ে ২লক্ষ মোল্লাকে মেরেছে! জ্বালিয়ে দিয়েছে মোল্লাদের ঘরবাড়ি,বিধবা করেছে মোল্লার স্ত্রী!মোল্লার যুবতী মেয়েকে ঘর থেকে টেনে নিয়ে ধর্ষন করেছে খাসা কু জাত মালুরা! নরেন্দ্রমোদী বলেছিল,
কুকুর মরলে কষ্ট পাবো মুসলিম মরলে না।
মোল্লার দোষ ছিল শুধু ভারতে বাস করা।আর নিজেকে মুসলিম দাবী করা। আমরা ফিরে তাকাতে চাই বাংলাদেশী মালুদের দিকে,
কোন মালু কি বলতে পারবে একমাত্র ধর্মীয় কারনে কোন মালু খুন হয়েছে? অথবা কেউ হিন্দু দাবী করেছে বলে তাকে খুন অথবা গনধোলাই দেয়া হয়েছে?
কেউ পারবেনা।হয়তবা জমিজমা আর না হয় অন্য কোন ফ্যাসাদে দুএকটা হিন্দু খুন হয়েছে তাও আবার সন্ত্রাসীদের হাতে!আমরা চেয়েছি সাম্য,ঐক্য কিন্তু ভারতের মালুরা যা শুরু করেছে তাতে সাম্য ঐক্য তো দূরে থাক এখন হিন্দু দেখলেও মনে চায় এদলা থুথু মারি তার মুখে। মোল্লা হত্যা ভারতের একটি সরকারী নিয়মই ধরা যায়! মুসলিম নারীদের হত্যা তাদের ধর্ষন এবং মুসলিম শিশু পুড়িয়ে হত্যা করেছে মালুরা!কতটা বর্বর এই জাত একবার চিন্তা করেন। মালাউনরা যেমন বর্বর তাদের তথাকথিত ভ্যাগাবানরাও তেমনি হিংস্র বর্বর! আপনি ভগবতী গীতা পাঠ করলে বুঝবেন কতটা বর্বরা তাদের ভগবানরা!শিয়াদো আলজেব্রা রাক্ষসের মত হিংস্র তাদের রামা গপ্পের নায়ক! হিন্দুদের দেখলে আমার ঘেণ্যায় বমি আসে!কেননা ওরা মালুরা একেকটা গিদার জাত!একেকটা রাক্ষস কালির বংশধর![bg=#FF0000] বাংলাদেশের যে হিন্দুগুলা আছে শালারা প্রত্যেকটা হচ্ছে বেঈমান,শালারা খায় বাংলার,পড়ে বাংলার দালালী করে ভারতের।ভারতের উগ্রবাদী হিন্দুদের সাথে একত্রিত হয়ে শালা মালুয়ান্রা গালাগালি করে বাংলাদেশকে ।বিকৃত করে আমাদের পতাকাকে! বিভিন্ন দিক দিয়ে দেখলে এই মালাউন্রা একেকটা বেঈমানের জাত!একবার মালাউনদের মনে পরেনা এই মোল্লারাই তাদের ৭১ এ পাকিস্তানীদের থেকে বাঁচিয়েছে।১৪০০খ্রীঃ এই মোল্লার তাদের জলদস্যু মগ হইতে বাঁচাইছে।ধিক্কার মালু জাতীকে ধিক্কার![/bg] আরো পড়ুনঃ- ←হেঁদু সমাচার১ম পত্র| ←হেঁদু সমাচার ২য়পত্র| ←হেঁদু সমাচার ৩য় পত্র| ←হেঁদু সমাচার ৪থপত্র| ←হেঁদু সমাচার শেষ পত্র| ←হেঁদু তত্ত্ব|

Friday, June 6, 2014

আর নয় ভ্রুন হত্যা!একটি ভ্রুনই হতে পারে আপনার বৃদ্ধ বয়সের লাঠি।

স জ ল আ হ মে দ (সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ-এখানে একটা ছবি এবং একটি ঘটনা উল্লেখ করা আছে যা দুর্বলচিত্তের পাঠকরা না দেখলেই ভাল হয়,বিশেষ করে যাদের হার্টের রোগ আছে।এর পরও যদি পাঠক এই লেখাটা পড়তে উদ্যত হয় তবে তিনি তার নিজ দ্বায়িত্বে পড়তে পারেন।এর জন্য লেখক কোন ভাবেই দায়ী থাকবেনা।) যুগে যুগে মানুষ যত ডিজিটাল হচ্ছে ততই তারা এগুচ্ছে মানুষ ও হচ্ছে ডিজিটাল! নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশাও বাড়ছে তত।ভূয়া প্রেমের জালে ফেঁসে হয়ে অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হচ্ছে পুরুষ নারী ,ফলে নারীর গর্ভে পয়দা হচ্ছে অবৈধ সন্তান!নারী ঘুরে বেড়ায় পেটে পিতৃপরিচয়হীন অবৈধ বাচ্চা নিয়ে।কিভাবে সমাজে মুখ দেখাবে তারা মগ্ন হয়ে পরে সেই চিন্তায়।এক সময় লিপ্ত হয় ভ্রুন হত্যার মত পৈশাচিক কাজে! একটা ভ্রুনকে যে কিভাবে হত্যা হয় তা জানালে পাঠকদের হৃদয় দুঃখে ঘৃণায় ভরে উঠবে ভ্রুন হত্যাকারী ডাক্তার এবং ঐ অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারী নারী পুরুষের উপর! ভ্রুন যে শুধু অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারী নারীই হত্যা করে তা নয় বৈবাহিক সম্পর্কে লিপ্ত অর্থাত্‍ দম্পতিরাও হত্যা করে।হয়তবা তিনি যেসময় বাচ্চা নিতে প্রস্তুত নও সেই সময় স্বামী স্ত্রীর অসাবধনতার ফলে সময় ছাড়াই গর্ভ হয়ে যায়।ফলে তারাও লিপ্ত হয় ভ্রুন হত্যায়। একটি ভ্রুন যেভাবে হত্যা করা হয়ঃ- আমার পরিচিত এক ডাক্তার বন্ধু যেভাবে বর্ণনা দিয়েছে পাঠকদের সামনে ঠিক সেইভাবেই তুলে ধরলাম। প্রথমে ঐ অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারী অথবা নারীকে অচেতন করা হয়,এরপর তার গর্ভ থেকে একটা উপায় অবলম্বন করে(উপায়টা লিখতে অসস্তিবোধ করছি।)বাচ্চাটার মাথা বের করা হয় এরপর বাচ্চাটার ঘাড়ের রগ ধারালো কাঁচি দিয়ে কেঁটে দেয়া হয়!(কি নির্মম!)।ঐ বাচ্চাটাকে পুরোপুরি গর্ভ থেকে বের করতে নিষ্পাপ শিশুটির হাত পা কাঁটা হয় ঠিক যেভাবে আমরা মুরগীর বাচ্চার পা কাঁটি!(কি নির্মম!) এরপর ঐ নিষ্পাপ শিশুটির খন্ডিত দেহ ফেলে দেয়া হয় কোন ডাস্টবিনে এবং ঐ মৃত শিশুর দেহটি তৈরী হয় শেয়াল কুকুরের খাবার হিসেবে!ছিঃছিঃছিঃ কত নির্মম কাজ মানুষ করতে পারে! একটা জিনিস জানলে আশ্চর্য না হয়ে পারবেননা,এই রকম ভ্রুন আবার খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয় চীনে! চীনের কিছু মানুষ শিশুদেরকে খেয়ে ফেলে। কেন জানেন? নিজেদের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য।মৃত শিশু ও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গর্ভপাত ঘটানো অপূর্ণাঙ্গ ভ্রুন বা ফিটাসের স্যুপ তৈরি করা হচ্ছে মানুষের খাওয়ার জন্য! image_placeholder.gif সেখানকার পুরুষরা তাদের শারীরিক স্বাস্থ্য ও যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য ভেষজ শিশু স্যুপ (herbal baby soup) খেয়ে থাকে!একজন মহিলা একটি ছুরি দিয়ে ছেলে শিশু ভ্রূণ কেটে কুচি কুচি করছেন ও সেটি দিয়ে স্যুপ তৈরি করছেন। আর আশেপাশে মানুষকে এই বলে আশ্বস্ত করছেন যে, ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এটি “প্রাণীর মাংস”। একটি ঘটনা না বল্লেই নয়, চীনের এক দম্পতির ইতোমধ্যেই একটি কন্যাসন্তান ছিল। মহিলাটি সন্তান-সম্ভবা ছিলেন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারলেন তার দ্বিতীয় সন্তানটিও মেয়ে হতে যাচ্ছে। ততদিনে তার গর্ভস্থ সন্তানের বয়স ৫ মাস। তিনি ও তার স্বামী গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেন। স্বাভাবিকভাবে কোন শিশু যদি ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই মারা যায় তবে তাতে ২০০০ ইউয়ান খরচ হয়, সেখানে গর্ভপাত করাতে খরচ হয় মাত্র কয়েকশো ইউয়ান। তবে যারা মৃত শিশু বিক্রি করতে চান না, তারা প্লাসেন্টা বা অমরা বিক্রি করতে পারেন ইচ্ছা করলে। পরে তিনি সেটাকে ভ্রুন দিয়ে স্যুপ বানানোর কারখানায় বিক্রি করে দিলেন। অনেক চীনাদের কাছে মানব ভ্রূণ ভক্ষণ করা নাকি এক ধরণের শিল্প! কত নির্মম নিষ্ঠুর তারা! চাইলেই কি মা বাবা হওয়া যায়? অনেকে আছেন যারা সৃষ্টিকর্তার কাছে একটা বাচ্চার জন্য চীর জীবন মাথা ঠুকলেও একটা বাচ্চা পাননা,আবার অনেকে হত্যা করে ফেলে তার স্বাদ আহ্লাদের সন্তানটিকে! যার ভ্রুন খুনি তারা একবার ও চিন্তা করেন না,তারাও একসময় তার গর্ভে থাকা ঐ ভ্রুনটির মত ছিল তখন যদি তার পিতা মাতা তাকেও হত্যা করে ফেলত ভ্রুন খুনি ডাক্তার নামক কসাইয়ের মাধ্যমে? ভ্রুন হত্যা বন্ধ করতে হলে আগে বন্ধ করতে হবে অবৈধ যৌনকর্ম।অতঃপর দম্পতিদের বাচ্চা নেয়ার ব্যাপারে হতে হবে সচেতন অর্থাত্‍ বাচ্চাটি কখন নিবে তা আগে ভালভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।ভ্রুন হত্যাও খুনের শামিল তাই সরকারকে ভ্রুন হত্যার বিষয়ে কড়া আইন প্রয়োগ করতে হবে। আসুন আমরা ভ্রুন হত্যা বন্ধ করি এবং সকলকে বুঝিয়ে বলি"একটি ভ্রুন আগামীর ভবিষ্যত্‍,তাদের কে পৃথিবীর সুন্দর আলোটুকু দেখতে দিন।তাদেরকে হত্যা করা বন্ধ করে দিন।হতে পারে, আপনার বৃদ্ধ বয়সে সেই হবে আপনার হাতের লাঠি"।