Pages

Thursday, July 31, 2014

গুগল ম্যাপে দেখুন মুসলিম বিশ্বের পবিত্র ও সবচেয়ে বড় কবরস্থান Wadi us-Salaam!

আপনি নিশ্চয়ই বাবা দাদার থেকে শুনেছেন ইরাকে রয়েছে মুসলিম উম্মার সেই কবর স্থান যেখানে মৃতের কবর আজাব হয়না! হ্যাঁ Wadi us-Salaam হচ্ছে সেই ইরাকি কবরস্থান যার আয়তন ১,৪৮৫ একর। সাধারণত কোন দেশের মাঝারি মাপের একটি শহরের আয়তন এমন হয়। আজ গুগল ম্যাপ দিয়ে আমরা দেখব খুব কাছ থেকে এই কবরস্থানকে। ছ-বি(Imeg/Photo)ছ-বি(Imeg/Photo) গুগল ম্যাপ আমাদের অনেক কিছুই সহজ করে দিয়েছে। আগে যেখানে নির্দিষ্ট যায়গায় না যেয়ে ঐ যায়গার বিষয়ে কোন ধারণা পাওয়া জেতনা এখন তা খুব সহজেই বেড রুমে বসেই জানা ও দেখা যায়।ছ-বি(Imeg/Photo) Wadi us-Salaamএর অর্থ হচ্ছে শান্তির স্থান। এখানে হাজার হাজার ইরাকি এবং সারা পৃথিবী থেকে অনেক মুসলিমকে কবর দেয়া হয়। এটি ইরাকের জাতীয় কবরস্থান। ইরাকের নাজাফ শহরে এই কবর অবস্থিত।Wadi us-Salaamকে মুসলিম উম্মার পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। ছ-বি(Imeg/Photo)ছ-বি(Imeg/Photo) Wadi us-Salaam হচ্ছে সেই কবরস্থান যাকে সারা পৃথিবী জুড়ে পবিত্র ধর্ম ইসলামের অনুসারীরা মনে করেন পবিত্র মানুষদের সমাধিস্থল হিসেবে। মুসলিমদের বিশ্বাস সারা দুনিয়াতে যেখানেই কোন প্রকৃত মুমিন মারা যাকনা কেন তাঁর শরীর ফেরেশতারা Wadi us-Salaam কবরস্থানে নিয়ে আসে। এখানে মৃতের কোন কবর আজাব হয়না। মৃতরা Wadi us-Salaam কবরস্থানে শান্তিতে ঘুমাবে ঠিক শেষ বিচারের আগের দিন পর্যন্ত। ছ-বি(Imeg/Photo)ছ-বি(Imeg/Photo)ছ-বি(Imeg/Photo)ছ-বি(Imeg/Photo)ছ-বি(Imeg/Photo) প্রতিবছর এই কবরস্থানে সারা পৃথিবী থেকে ৫ লাখ মানুষকে কবর দেয়া হয়। এখানে কত সংখ্যক মানুষকে কবর দেয়া হয়েছে তাঁর হিসেব নেই। প্রায় ১ হাজার ৪শ বছর ধরে এখানে মানুষকে কবর দেয়া হচ্ছে। ছ-বি(Imeg/Photo) সূত্রঃviralnova. লেখা সংগ্রহঃ-dhakatimes

Wednesday, July 30, 2014

ইসলাম ও হিন্দু ধর্মে সমকামীতাকে কেমন চোখে দেখে থাকে

ইসলামী আইনে সমকামিতা ইসলামী যৌন আইনশাস্ত্রী সমকামীতা বা সমলীঙ্গ ের যৌনসঙ্গম নিষিদ্ধ অর্থাত্ হারাম,কথিত আছে সমকামীরা কখনো বেহেশতে প্রব েশ করতে পারবেনা। হাদীস শরীফে আছে ,হযরত লূহ আঃ এর সময়কালে তখনকার মানুষের মাঝে মহামারি আকারে সমকামীতা দ েখা যায় এবং তখনই সমকামীতা নিষিদ্ধ হয়ে যায়। ইসলামে homosexuality সম্পূর্ণ হারাম। এবং স্বাভাবিক ব্যভিচারের চেয়েও খারাপ। লুত (আ) এর কওমকে (Sodom আর Gomorrah নগরী) আল্লাহ ধ্বংস করে দিয়েছিলেন যেসব কারণে এর মধ্যে সমকামিতা ছিল একটি। আমি এখানে কুরআনের আয়াত আর হাদিসগুলো উল্লেখ করছি। "এবং আমি লূতকে প্রেরণ করেছি। যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সারা বিশ্বের কেউ করেনি ? তোমরা তো কামবশতঃ পুরুষদের কাছে গমন কর নারীদেরকে ছেড়ে। বরং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছ।" (আরাফ ৭:৮১-৮২) "সারা জাহানের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরূষদের সাথে কুকর্ম কর? এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্য সঙ্গিনী হিসেবে যাদের সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন কর? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদ ায়।" (শুয়ারা ২৬:১৬৫-১৬৬) "স্মরণ কর লূতের কথা, তিনি তাঁর কওমকে বলেছিলেন, তোমরা কেন অশ্লীল কাজ করছ? অথচ এর পরিণতির কথা তোমরা অবগত আছ! তোমরা কি কামতৃপ্তির জন্য নারীদেরকে ছেড়ে পুরুষে উপগত হবে? তোমরা তো এক বর্বর সম্প্রদায়। উত্তরে তাঁর কওম শুধু এ কথাটিই বললো, লূত পরিবারকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও। এরা তো এমন লোক যারা শুধু পাকপবিত্র সাজতে চায়। অতঃপর তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে উদ্ধার করলাম তাঁর স্ত্রী ছাড়া। কেননা, তার জন্যে ধ্বংসপ্রাপ্তদেরভাগ্যই নির্ধারিত করেছিলাম।" (কুরআন 27:54-57) "আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ সুসংবাদ নিয়ে ইব্রাহীমের কাছে আগমন করল, তখন তারা বলল, আমরা লুতের জনপদের অধিবাসীদেরকে ধ্বংস করব। নিশ্চয় এর অধিবাসীরা অপরাধী।" (২৯:৩১) দুর্ভাগ্য আমাদের, Al-Fatiha Foundation নামে একটা "মুসলিম" foundation আছে... যেটা মুসলিম গে, লেজবিয়ানদের প্রতিনিধিত্ব করে!!!! কুরআনের স্পষ্ট আয়াত থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তারা এটা করতে পারে?? এবার হাদিস দেখুনঃ 1. "ইবনে আব্বাস বলেন, রাসুল (স) বলেছেন, তোমরা যদি কাউকে পাও যে লুতের সম্প্রদায় যা করত তা করছে, তবে হত্যা কর যে করছে তাঁকে আর যাকে করা হচ্ছে তাকেও।" (আবু দাউদ 38:4447) 2. "আবু সাইদ আল খুদ্রি বলেন, রাসুল (স) বলেছেন, একজন পুরুষ আরেক পুরুষের যৌনাঙ্গ দেখবে না। এক নারী আরেক নারীর যৌনাঙ্গ দেখবে না। এক পুরুষ আরেক পুরুষের সাথে অন্তত undergarment না পরে একই চাদরের নিচে ঘুমাবে না। এক নারী আরেক নারীর সাথে কখনও অন্তত undergarment না পরে একই চাদরের নিচে ঘুমাবে না।" (আবু দাউদ, 31:4007) 3. "আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) বলেন, এক পুরুষ আরেক পুরুষের সাথে বা এক নারী আরেক নারীর সাথে ঘুমাতে পারবে না লজ্জাস্থান ঢাকা ব্যতীত। তবে ব্যতিক্রম করা যাবে, শিশু আর পিতার ক্ষেত্রে... রাসুল (স) ৩য় আরেকজনের কথা বলেছিলেন কিন্তু আমি ভুলে গিয়েছি।" (আবু দাউদ, 31:4008) 4. "জাবির (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) বলেছেন, আমি আমার কওমের জন্য সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটা আশঙ্কা করি সেটা হল লুতের কওম যা করত সেটা যদি কেউ করে... " (তিরমিজি, 1457) এবার আসুন সমকামীদের শাস্তি কী সেটা দেখা যাক। হাদিস আমাদের জানাচ্ছেঃ 1. "ইবনে আব্বাস বলেন, অবিবাহিত কাউকে যদি সমকামিতায় পাওয়া যায় তাহলে তাঁকে পাথর মেরে হত্যা করতে হবে।" (আবু দাউদ, 38:4448 ) 2. "যে কাউকে লুতের কওমের মতো করতে দেখলে যে দিচ্ছে আর যে পাচ্ছে দুজনকেই হত্যা কর।" (তিরমিজি 1:152) 3. মুয়াত্তা শরীফের 41 41.111 নাম্বার হাদিসে এর শাস্তি বলা আছে পাথর মেরে হত্যা। 4. "ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) বলেছেন, অভিশপ্ত সে যে কিনা কোন পশুর সাথে সেক্স করে, আর অভিশপ্ত সে যে কিনা সেটা করে যা লুতের সম্প্রদায় করত।" (Ahmad:1878) 5. "ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, আলী (রা) তাঁর সময়ে ২ জন সমকামীকে পুড়িয়ে দেন। আর আবু বকর (রা) তাদের উপর দেয়াল ধ্বসিয়ে দেন।" (মিশকাত, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৭৬৫, প্রস্তাবিত শাস্তি) আশা করি ভাই আপনি আপনার প্রশ্নের ডিটেইল্ড উত্তর পেয়েছেন। হিন্দুধর্মে সমকামীতা সগরবংশীয় অংশুমানের পুত্র মহারাজা দিলীপ নিঃসন্তান হয়ে মৃত্যুবরণ করলে জন্ম রক্ষায় সমস্যা দেখা দেয়। শিব সে সময় আবির্ভূত হয়ে রাজার দু-জন বিধবা স্ত্রীকে আদেশ করেন সন্তান লাভের জন্য পরষ্পর দেহমিলন করতে। তাদের মিলনে সন্তান জন্মায় বটে কিন্তু সে সন্তান ছিল অস্থিহীন। পরে ঋষি অষ্টাবক্রের বরে সেই সন্তান সুস্থ এবং উত্তমাঙ্গ হন এবং ভগীরথ নামে রাজ্যশাসন করেন। এটিকে (দু- জন বিধবা স্ত্রীর মিলনে ভগীরথের জন্ম) নারী সমকামিতাকে গ্রহনযোগ্য করার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেন হিন্দু উদারপন্থীরা। আরো কিছু দৃষ্টান্ত দেয়া যাবে হিন্দু পুরাণ থেকে। কথিত আছে লঙ্কা পরিভ্রমনের সময় হনুমান রাবনের স্ত্রীগনের আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থা চাক্ষুষ দেখেছিলেন। সমকামিতার উল্লেখ ছাড়াও বৈদিক সাহিত্যে আমরা পাই লিঙ্গ-পরিবর্তনের কাহিনী। বিষ্ণুর মোহিনী অবতাররূপে ধরাধামে এসে শ িবকে আকর্ষিত করার কাহিনী এর একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ ছাড়াও যে দুটো চরিত্র সবার আগে আলোচনায় আসবে তা হচ্ছে- মহাভারতের শিখন্ডী ও বৃহন্নলার কাহিনী। এমনকি, নর-নারীর ‘শারীরিক’ মিলন ছাড়াও সন্তান জন্ম নেওয়ার উপকথার সন্ধান মিলে রামায়ন এবং মহাভারতের মত বৈদিক সাহিত্যগুলোতে। যেমন, সীতার জন্ম মাটি থেকে আর দ্রৌপদীর জন্ম যজ্ঞের অগ্নি থেকে। জরাসন্ধের জন্ম হয় দু-জন পৃথক নারীর গর্ভে জন্ম নেয়া অর্ধ অংগবিশিষ্ট পৃথক সন্তানের সংমিশ্রণে ইত্যাদি। এগুলোকে উদারপন্থিরা ব্যবহার করেন এই বলে যে, হিন্দু ধর্ম সমকামিতা, উভকামিতা, উভলিঙ্গত্ব প্রভৃতি বিষয়ে অনেক উদার। কিন্তু যেটা তারা বলেন না তা হল এর উলটো চিত্রটি। মনুসংহিতার আইনে উল্লেখ আছে - ‘যদি কোন বয়স্কা নারী অপেক্ষাকৃত কম বয়সী নারীর (কুমারীর) সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে, তাহলে বয়স্কা নারীর মস্তক মুণ্ডন করে দুটি আঙ্গুল কেটে গাধার পিঠে চড়িয়ে ঘোরানো হবে’ (Man u Smriti chapter 8, verse 370.)। যদি দুই কুমারীর মধ্যে সমকামিতার সম্পর্ক স্থাপিত হয়, তাহলে তাদের শাস্তি ছিলো দুইশত মূদ্রা জরিমানা এবং দশটি বেত্রাঘা ত (Manu Smriti chapter 8, verse 369.)। সেতুলনায় পুরুষদের মধ্যে সম্পর্কের শাস্তি তুলনামূলকভাবে অনেক কম। বলা হয়েছে - দু’জন পুরুষ অপ্রকৃতিক কার্যে প্রবৃত্ত হলে তাদেরকে জাতিচ্যুত করা হবে (Manu Smriti Chapter 11, Verse 68.) এবং জামা পরে তাকে জলে ডুব দিতে হবে (Manu Smriti Chapter 11, Verse 175.)। ইত্যাদি। ‘শুশ্রুত’ নামক প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্রে স্ত্রী- সমকামিতার কথা বর্ণিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, দুই নারী যদি যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হয় তাহলে অস্থিহীন সন্তানের জন্ম হবে। মহাভরতে ভগীরথের জন্মকাহিনীতে (উপরে বলা হয়েছে) এই ধরনের সংস্কারের সমর্থন মেলে।

কোরআন শরীফ বাংলা অনুবাদ এবং চমত্‍কার একটি ইসলামি বই ডাউনলোড করুন

ইমাম বুখারী রহ. এর সংক্ষিপ্ত জীবনি

বুখারী ইমাম বুখারী উজবেকিস্তানের, সমরকন্দকাছাকাছি অবস্থিত মুহাম্মদ আল-বুখারী মাজার। উপাধিআমিরুল মুমিনীন ফিল হাদীস জন্ম১৩ই শাওয়াল, ১৯৪ হিজরী (৮১০ খ্রিস্টাব্দ) [১] বুখারাবর্তমান উজবেকিস্তানেঅবস্থিত মৃত্যু১লা শাওয়াল, ২৫৬ হিজরী( ৩১শে আগস্ট, ৮৭০ খ্রিস্টাব্দ) (৬২ বছর) [২] খরতঙ্গ, সমরকন্দেরনিকটে অবস্থিত জাতিভুক্ততুর্কী/পারসিক ধর্মবিশ্বাসস্বতন্ত্র মুজতাহিদ [৩] মূল আগ্রহহাদীসশাস্ত্র উল্লেখযোগ্য ধারণাশুধুমাত্র সহীহ হাদীসের সংকলন লক্ষণীয় কাজ সহিহ বুখারী, আদাবুল মুফরাদ যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন আহমাদ বিন হাম্বল আলী ইবনুল মাদীনী ইয়াহয়া বিন মায়ীন ইসহাক বিন রাহওয়াই যাদেরকে প্রভাবিত করেছেন ইমাম মুসলিম ইমাম বুখারী(জন্মঃ ৮১০-মৃত্যুঃ ৮৭০ খ্রিস্টাব্দ), আরব রীতি অনুযায়ী বংশধারাসহ পুরোনাম হলোমুহাম্মদ বিন ইসমাইল বিন ইবরাহীম বিন মুগীরাহ বিন বারদিযবাহ( আরবি/ ফার্সি ভাষায়: محمد بن اسماعيل بن ابراهيم بن مغيره بن بردزبه بخاری), একজন বিখ্যাত হাদীসবেত্তা ছিলেন। তিনি " বুখারী শরীফ" নামে একটি হাদীসের সংকলন রচনা করেন, যা মুসলমানদের নিকট হাদীসের সবোর্ত্তম গ্রন্থ বিবেচিত হয়। [৫]তার নাম মুহাম্মদ। উপনাম হলো আবু আবদুল্লাহ। আমিরুল মুমিনীন ফিল হাদীস তাঁর উপাধি। বুখারা তাঁর জন্মস্থান বলে তাকে বুখারী বলা হয়।ইমাম বুখারী রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ২০টিরও বেশি। এগুলোর কিছু বিলুপ্ত হয়ে গেছে কিংবা পান্ডুলিপি আকারে সংরক্ষিত রয়েছে। আর কিছু গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর রচিত গ্রণ্থাবলীর মাঝে সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ হলো বুখারী শরীফ। নীচে তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থের নাম দেয়া হলোঃ •কাজায়া আস-সাহাবা ওয়া আত-তাবিয়ীন(আরবীতেঃقضايا الصحبة و التابعين) •আত-তারীখ আস-সগীর(আরবীতেঃالتاريخ الصغير) •আল-আদাব আল-মুফরাদ(আরবীতেঃالأدب المفرد) •কিতাব আল-জুআফা আস-সগীর(আরবীতেঃكتاب الضعفاء الصغير) •কিতাব আল-কুনা(আরবীতেঃكتاب الكُنى) •কিতাবু খালকি আফআলিল ইবাদ(আরবীতেঃكتاب خلق أفعال العباد) •সহীহ আল-বুখারী(আরবীতেঃ صحيح البخاري ) •রাফওল ইয়াদাইন ফিস সালাত, •কিরাআত খলফিল ইমাম। •আত-তারিখুল কবির, •আত-তারিখুল ওয়াসাত, •খালকু আফয়ালিল ইবাদ, •আল জামেওল কবির, •আল মুসনাদুল কবির, •কিতাবুল আশরিয়া, •ওসামাস সাহাবা, •কিতাবুল মারসুত, •কিতাবুল বিজদান।ইমাম বুখারী (জন্মঃ ৮১০- মৃত্যুঃ ৮৭০ খ্রিস্টাব্দ), আরব রীতি অনুযায়ী বংশধারাসহ পুরো নাম হলো মুহাম্মদ বিন ইসমাইল বিন ইবরাহীম বিন মুগীরাহ বিন বারদিযবাহ (আরবি /ফার্সি ভাষায়: ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﺍﺳﻤﺎﻋﻴﻞ ﺑﻦ ﺍﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﺑﻦ ﻣﻐﻴﺮﻩ ﺑﻦ ﺑﺮﺩﺯﺑﻪ ﺑﺨﺎﺭﯼ ), একজন বিখ্যাত হাদীসবেত্তা ছিলেন। তিনি " বুখারী শরীফ" নামে একটি হাদীসের সংকলন রচনা করেন, যা মুসলমানদের নিকট হাদীসের সবোর্ত্তম গ্রন্থ বিবেচিত হয়। [৫] তার নাম মুহাম্মদ। উপনাম হলো আবু আবদুল্লাহ। আমিরুল মুমিনীন ফিল হাদীস তাঁর উপাধি। বুখারা তাঁর জন্মস্থান বলে তাকে বুখারী বলা হয়।[৬] জীবনী তিনি ১৩ই শাওয়াল শুক্রবার, ১৯৪ হিজরীতে (৮১০ খ্রিস্টাব্দ) খোরাসানের বুখারাতে (বর্তমানে উজবেকিস্তানের অংশ) জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ইসমাইল ইবনে ইব্রাহিম। তাঁর দাদার নাম ইব্রাহিম। তাঁর দাদার সম্পর্কে খুব বেশি জানা না গেলেও তাঁর বাবা ইসমাইল মুসলিম বিশ্বে একজন পরিচিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন হাদীসবিদ। তিনি হাদিস শাস্ত্রবিদ আল্লামা হাম্মাদ (রহঃ) এবং হযরত ইমাম মালেক (রহঃ) এর শাগরিদ ছিলেন। এছাড়াও বিখ্যাত মনিষী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক (রহঃ) এর শাগরিদ ছিলেন বলে জানা যায়। সমসাময়িক যুগের আরও অনেক বুজুর্গ আলেমদের কাছ থেকে দ্বীনই ফায়েজের জাহেরি ও বাতেনি ইলম হাসিল করে সুযোগ্য আলেম ও বিজ্ঞ মুহাদ্দিস হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ইমাম বুখারী (রহঃ) শিহ্মা, জ্ঞান ও যোগ্যতা শুধু পিতার দিক থেকেই পাননি বরং মাতার দিক থেকেও অর্জন করেছিলেন। ইমাম বুখারী (রহঃ) এর মাতা ছিলেন বিদুষী ও মহীয়সী মহিলা। নেককার মহিলা হিসেবে তাঁর পরিচিতি ছিল। এ সম্পর্কে একটা ঘটনা আছে। বাল্যকালে ইমাম বুখারী (রহঃ) এর একবার কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এ রোগের প্রভাবে তাঁর দুই চোখ প্রায় অন্ধ হয়ে যায়। স্নেহময়ই মাতা পুত্রের চোখের আলোর পুনঃপ্রাপ্তির জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েন এবং আল্লাহ্ পাকের দরবারে প্রার্থনা করতে থাকেন। এ পর্যায়ে এক রাত্রে স্বপ্নে তিনি হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কে তার শিয়রে বসা অবস্থায় দেখতে পেলেন। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) তাকে বলেন, তোমার প্রার্থনা আল্লাহ্ পাক কবুল করেছেন। তাঁর দয়ার বরকতে তোমার পুত্র চোখের আলো ফিরে পেয়েছে। পরদিন সকালে ঘুম থেকে জেগে তাঁর পুত্র ইমাম বুখারী (রহঃ) বলে ওটলেন, আম্মা! আমি সবকিছু দেখতে পাচ্ছি। আমার চোখ ভাল হয়ে গেছে। এ ঘটনাটিই প্রমাণ করে ইমাম বুখারী (রহঃ) এর মাতা কত বড় মাপের বুজুর্গ মহিলা ছিলেন।ইমাম বুখারী (রহঃ) শৈশবেই বাবাকে হারান, ফলে মায়ের কাছে প্রতিপালিত হন। পিতা মারা যাওয়ার সময় প্রচুর ধনসম্পদ রেখে যান। ফলে ইমাম বুখারী (রহঃ) এর কোনরূপ প্রতিকূল অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়নি। মাতাই পুত্রের শিহ্মা-দিহ্মার ভার গ্রহণ করেন। ইমাম বুখারী (রহঃ) এর বাল্যকাল থেকেই শিহ্মা- দিহ্মার প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল। ইমাম বুখারী (রহঃ) প্রথমে কোরআন পাঠ শুরু করেন। মাত্র ৯ বছর বয়সে তিনি কুরআন মুখস্ত করেন। ১০ বছর বয়স থেকে তিনি হাদীস মুখস্ত করা শুরু করেন। ১৬ বছর বয়সেই তিনি "আবদুল্লাহ বিন মুবারক" এবং "ওয়াকীর পান্ডুলিপিসমূহ" মুখস্ত করে ফেলেন। মহান আল্লাহ্ পাক তাকে অনন্য সাধারন স্মরণ শক্তি দান করেছিলেন। [৭][৮] সফরসমূহ ষোল বছর বয়সে তিনি মা এবং বড় ভাইয়ের সাথে হজ্জে গমন করেন। হজ্জের পর তিনি মক্কাতে রয়ে গেলেন এবং হিজাযের হাদীসবিশারদদের কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ করতে থাকলেন। এ সময় তিনি "কাজায়াস সাহাবা ওয়াত তাবীয়ীন" নামক গ্রণ্থ রচনা করেন। এরপর হাদীস অন্বেষণের জন্য তিনি ইরাক, সিরিয়া ও মিশরসহ বহু অঞ্চলে সফর করেন। একদা ইমাম বুখারি (রহঃ) মুহাদ্দিস দাখেলির দরসগাহে যোগ দেন। ইমাম দাখেলি (রহঃ) একটি হাদিসের সনদ বর্ণনা করবার সময় 'জুবাইর' এর স্থলে 'আবু জুবাইর' বলেছেন। ইমাম বুখারি নম্রস্বরে বললেন- এখানে আবু জুবাইর' এর স্থলে 'জুবাইর' হবে। অতঃপর ইমাম দাখেলি (রহঃ) বাড়িতে গিয়ে কিতাব দেখে তাঁর ভুল সংশোধন করেছেন। এর অব্যবহিত পরই দাখেলি (রহঃ) তাঁকে খুব স্নেহ করতেন। তিনি এতদ্ভিন্ন অন্য এক দরসগাহে ও যোগ দিতেন। সেখানে অন্য ছাত্রগন হাদিসগুলো লিখে নিতেন। তিনি তা লিখতেন না। তাঁর সহঃপাঠিগণ তাঁকে হাদিস না লিখে রাখার কারন জিজ্ঞেস করলে কোন ওতর দেননি। অতঃপর সহঃপাঠিগণ তাঁকে হাদিস লেখার জন্য জোর তাগিদ দিলে ও ওতর দিলেন- "আপনাদের লেখা কপিগুলো নিয়ে আসুন। তারা কপিগুলো নিয়ে আসলে তিনি ধা রাবাহিকভাবে তাদের সামনে হাদিসগুলো পাঠ করে শোনান। সেই মজলিসে তাদের লেখা অনুসারে প্রায় পনের হাজার (১৫,০০০) হাদিস মুখস্থ পাঠ করে শোনান। দীর্ঘ ১৬ বছর পর তিনি হাদীস অন্বষণের ভ্রমণ শেষ করে নিজ মাতৃভূমি বুখারায় ফিরে আসেন।[৯][১০] রচনাবলী ইমাম বুখারী রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ২০টিরও বেশি। এগুলোর কিছু বিলুপ্ত হয়ে গেছে কিংবা পান্ডুলিপি আকারে সংরক্ষিত রয়েছে। আর কিছু গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর রচিত গ্রণ্থাবলীর মাঝে সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ হলো বুখারী শরীফ। নীচে তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থের নাম দেয়া হলোঃ 1. কাজায়া আস- সাহাবা ওয়া আত-তাবিয়ীন (আরবীতেঃﻗﻀﺎﻳﺎ ﺍﻟﺼﺤﺒﺔ ﻭ ﺍﻟﺘﺎﺑﻌﻴﻦ) 2. আত-তারীখ আস-সগীর (আরবীতেঃﺍﻟﺘﺎﺭﻳﺦ ﺍﻟﺼﻐﻴﺮ) 3. আল-আদাব আল-মুফরাদ (আরবীতেঃﺍﻷﺩﺏ ﺍﻟﻤﻔﺮﺩ) 4. কিতাব আল-জুআফা আস-সগীর (আরবীতেঃﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻀﻌﻔﺎﺀ ﺍﻟﺼﻐﻴﺮ) 5. কিতাব আল-কুনা (আরবীতেঃﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻜُﻨﻰ) 6. কিতাবু খালকি আফআলিল ইবাদ (আরবীতেঃﻛﺘﺎﺏ ﺧﻠﻖ ﺃﻓﻌﺎﻝ ﺍﻟﻌﺒﺎﺩ) 7. সহীহ আল-বুখারী (আরবীতেঃ ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ) 8. রাফওল ইয়াদাইন ফিস সালাত, 9. কিরাআত খলফিল ইমাম। 10. আত-তারিখুল কবির, 11. আত-তারিখুল ওয়াসাত, 12. খালকু আফয়ালিল ইবাদ, 13. আল জামেওল কবির, 14. আল মুসনাদুল কবির, 15. কিতাবুল আশরিয়া, 16. ওসামাস সাহাবা, 17. কিতাবুল মারসুত, 18. কিতাবুল বিজদান [১১] বুখারী শরীফ ইমাম বুখারীর জীবনের শ্রেষ্ঠতম কর্ম হচ্ছে এই হাদীসগ্রন্থের রচনা। তিনি স্বীয় শিক্ষক ইসহাক বিন রাহওয়াইহ থেকে এই গ্রন্থ রচনার প্রেরণা লাভ করেন।একদিন ইসহাক একটি এমন গ্রন্থের আশা প্রকাশ তরেন,যাতে লিপিবদ্ধ থাকবে শুধু সহিহ হাদীস। ছাত্রদের মাঝে ইমাম বুখারী তখন এই কঠিন কাজে অগ্রসর হন।২১৭ হিজরী সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি মক্কার হারাম শরীফে এই গ্রন্থের সংকলন শুরু করেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর ২৩৩ হিজরী সনে এর সংকলনের কাজ সমাপ্ত হয়। বুখারী শরীফের সংকলনকালে তিনি সর্বদা রোজা রাখতেন এবং প্রতিটি হাদীস গ্রন্থ সন্নিবেশিত করার আগে গোসল করে দু' রাকাত নফল নামাজ আদায় করে মুরাকাবা ও ধ্যানের মাধ্যমে হাদীসের বিশুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতেন। [১২] এই গ্রন্থে তিনি সকল সহিহ হাদীস সংকলন করেননি। বরং সহিহ হাদীসের মাঝে যেগুলো তার নির্ধারিত শর্তে উন্নীত হয়েছে,সেগুলো লিপিবদ্ধ করেছেন। তিনি স্বয়ং বলেন, "আমি জা'মে কিতাবে সহিহ হাদিস ব্যতিত অন্যকোন হাদিস ওল্লেখ করিনি। তবে কলেবর বড় হয়ে যাওয়ার আশংকায় অনেক সহিহ হাদিসকে বাদ দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমি আমার কিতাবে প্রতিটি হাদিস লেখার পূর্বেই গোসল করেছি এবং দুরাকাআত আদায় করে নিয়েছি। অপর বর্ণনা হতে জানা যায় যে, ইমাম বুখারী (রহঃ) তাঁর স্বীয় কিতাবের শিরোনাম সমূহ রাসুলে করিম (সা) এর রওজা এবং মসজিদে নববির মধ্যস্থলে বসে লিখেছিলেন এবং প্রত্যেক শিরোনামের জন্য দুরাকায়াত নফ্ল নামাজ আদায় করেছেন। ইমাম বুখারীর প্রায় ৬ লাখ হাদীস মুখস্ত ছিল। বুখারী শরীফের পুরো নাম হলোঃ আল- জামি আল-সাহীহ আল-মুসনাদ মিন উমুরি রাসূলিল্লাহ ওয়া সুনানিহি ওয়া আইয়ামিহি। বুখারি শরীফ প্রণয়ের স্থানঃ আবুল ফজল মোহাম্মদ বিন তাহেরের বর্ণনা মতে, ইমাম বুখারী (রহঃ) তাঁর গ্রন্থখানি বুখারাতে বসে রচনার কাজ শেষ করেছেন। আবার কারো মতে মক্কা মুয়াজ্জামায় আবার কারো মতে বসরাতে। তবে ওল্লেখিত সকল বর্ণনা নির্ভুল। কেননা তিনি ওল্লেখিত সকল নগরীতে অবস্থান করেছেন। স্বয়ং ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেছেন, আমি আমার সহিহ বুখারি সঙ্গে নিয়ে বসরা শহরে ৫ বছর অবস্থান করেছি এবং আমার কিতাব প্রণয়ের কাজ শেষ করি। আর প্রতি বছরই হজ্ব পালন করি এবং মক্কা হতে বসরাতে ফিরে আসি।তিনি ৬ লাখ হাদিস হতে যাচাই বাছাই করে সর্বসাকুলে ১৬ বছর নিরলস সাধনা করে এ প্রসিধ্য গ্রন্থখানি প্রণয়ন করেন। এখানে মোট হাদিস আছে সাত হাজার একশত পচাতর খানি(৭,১৭৫)। আর পুনরুক্ত ছাড়া আছে চার হাজারের (৪,০০০) মতো। আর কারো মতে, বুখারিতে পুনরুক্ত হাদিস আছে মাত্র একখানি যা রুমালের বর্ণনা। মৃত্যু জীবনকালের শেষদিকে একবার বুখারার তৎকালীন শাসনকর্তা "খালিদ বিন আহমাদ যুহলী" হাদীসশাস্ত্রে ইমাম বুখারীর পান্ডিত্য দেখে তাকে দরবারে এসে শাসনকর্তা র সন্তানদেরকে হাদীস শেখাতে বলেন। ইমাম বুখারী এটাকে হাদীসের জন্য অবমাননাকর মনে করেন। ফলে উভয়ের মাঝে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। তখন তিনি মাতৃভূমি বুখারা ত্যাগ করে সমরকন্দের খরতঙ্গে চলে যান এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ২৫৬ হিজরীর, ১লা শাওয়াল মোতাবেক ৩১শে আগস্ট, ৮৭০ খ্রিস্টাব্দের শুক্রবার দিবাগত রাতে মৃত্যুবরণ করেন। পরদিন শনিবার যোহরের নামাজের পর খরতঙ্গেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। [২][৮][১৩] তথ্যসূত্র 1. ↑ S. 'Abdul-Maujood, "The Biography of Imam Bukharee", Maktaba Dar- us-Salam, 2005, p. 13.

চমত্‍কার কয়েকটি ইসলামি বইয়ের PDF FILE!

ইসলাম সম্বন্ধে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান সবারই থাকা দরকার। আজকালকার মডার্ণ ছেলে মেয়েরা সকল ইতিহাসের প্রতি আগ্রহী কিন্তু ইসলামি ইতিহাসের প্রতি আগ্রহী নয়। ঐ সকল মডার্ণ ছেলে মেয়েদের আমি বলছি,হে ভাইয়া এবং আপু আগে স্বজাতীর ইতিহাস জানুন পরে অন্যকিছু,ইসলামের ইতিহাস অন্যসব ইতিহাসের চেয়ে গৌরবের। আপনাদের আমি কিছু বই দিচ্ছি এগুলো ডাউনলোড করে পড়ুন ইনশাআল্লাহ্ ভাল লাগবে । বইগুলোতে আপনি যা পাবেন,
•ইসলামের ইতিহাস। •সাহাবাদের জিহাদ। •জিহাদের গুরুত্ব। •জিহাদ । •মাসয়ালা মাসায়েল ।
ইসলামের আরো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই বইগুলোতে। বইগুলো ডাউনলোড করে পড়ুন। বইগুলো ডাউনলোড করতে ছবির উপরে ক্লিক করুন, ২য় খন্ড ইবই
ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রঃ) অনুবাদঃ মাওলানা জাকারিয়া আব্দুল্লাহ (দাঃ বাঃ) মারকাযুদ দাওয়াতিল ইসলামিয়া, ঢাকা”
ডাউনলোড করুন এই বইটি। বইগুলো আমদানি করা হয়েছেঃ- ইসলামিবই.ওয়ার্ডপ্রেস.কম থেকে। আমদানি করেছি আমি,সজল আহমেদ।আমাকে সাহায্য করেছেন আমার বড় ভাই,ইমরান হোসেন সজীব

Tuesday, July 29, 2014

ইসলামের ইতিহাস:Pdf Book

Pdf ইসলামের ইতিহাস ১ম খন্ড ২য় খন্ড ৩য় খন্ড Preview:

ইসলামের প্রথম শহীদ হলেন হযরত সুমাইয়া বিনতে খাব্বার রা.By:ফারাবী

ইসলামের ইতিহাসের প্রথম শহীদ হলেন একজন মহিলা সাহাবী এই কথাটা কি আমরা জানি ? হ্যাঁ হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহা হলেন ইসলামের ইতিহাসের প্রথম শহীদ। মক্কী জীবনে হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহাকে নরাধম আবু জাহেল বর্শা মেরে হত্যা করেছিল। সাহাবী হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহার এই পৃথিবীতে জন্ম হয়েছিল একজন দাসী হিসাবে। নরাধম আবু জাহেলের চাচা আবু হুজায়ফার গৃহে হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহার জন্ম হয়। হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহার স্বামী ছিলেন হযরত ইয়াসীর ইবনে আমির রাযিয়াল্লাহু আনহু। ইয়েমেন থেকে হযরত ইয়াসীর ইবনে আমির রাযিয়াল্লাহু আনহু একজন দাস হিসাবে আবু হুজায়ফার গৃহে নীত হন। পরবর্তীতে ইসলাম পূর্ব যুগেই আবু হুজায়ফা উনার দাসী হযরত সুমাইয়া বিনতে খাব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহা কে উনার দাস হযরত ইয়াসীর ইবনে আমির রাযিয়াল্লাহু আনহুর সাথে বিয়ে দিয়ে দেন। উনাদের বিয়ে হবার পরে আবু হুজায়ফা ইবনে আল মুগীরা উনাদের ২ জন কেই স্বাধীন করে দেন। তাই হযরত সুমাইয়া বিনতে খাব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহার সাথে হযরত ইয়াসীর ইবনে আমির রাযিয়াল্লাহু আনহুর সংসার জীবন একজন স্বাধীন মানব মানবী রুপেই শুরু হয়, কিন্তু আরব সমাজের রীতি ছিল কোন দাস দাসী স্বাধীন হয়ে গেলেও স্বাধীন হওয়ার পর আরবের একজন প্রভাবশালী গোত্রপতির অধীনেই উনাদের কে আরব সমাজে বসবাস করতে হবে। যেহেতু আবু হুজায়ফা আবু জাহেলের আপন চাচা ছিল তাই আবু হুজায়ফার মৃত্যুর পর ইসলাম পূর্ব যুগ থেকেই হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহা এবং হযরত ইয়াসীর ইবনে আমির রাযিয়াল্লাহু আনহু আবু জেহেলের অধীনতা মেনেই একটি স্বাধীন মানুষ দম্পত্তি রুপে মক্কায় বসবাস করছিলেন। উনারা মুলত মক্কার বনু মাখযুম গোত্রের অধীনতা মেনেই মক্কায় বসবাস করতেন। হযরত সুমাইয়া বিনতে খাব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহা যখন বার্ধক্যে আক্রান্ত হন ঠিক তখনই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নব্যুয়ত পান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দ্বীন ইসলাম প্রচার করার সাথে সাথে হযরত সুমাইয়া বিনতে খাব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহা ও উনার স্বামী হযরত ইয়াসীর ইবনে আমির রাযিয়াল্লাহু আনহু ও উনাদের ছেলে হযরত আম্মার রাযিয়াল্লাহু আনহু মুসলমান হয়ে যান। উনারা প্রথমে গোপনে মুসলমান হলেও কিছুদিন পর প্রকাশ্যে উনারা দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করার ঘোষণা দেন। মক্কায় উনাদের এমন কোন আত্মীয় স্বজন ছিল না যারা উনাদের কে কুরাইশদের নিষ্ঠুরতার হাত থেকে বাঁচাতে পারেন। হযরত সুমাইয়া বিনতে খাব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহা ছিলেন শুরুর দিক থেকে ইসলাম গ্রহন করার মাঝে ১৭ তম ব্যক্তি। ইসলাম গ্রহন করার পর হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহার উপর নরাধম আবু জেহেল অকথ্য অত্যাচার শুরু করে। নরাধম আবু জাহেল হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহা এবং উনার স্বামী হযরত ইয়াসীর ইবনে আমির রাযিয়াল্লাহু আনহা কে মক্কার আল-বাতহা উপত্যকার মরুভূমির তপ্ত বালুর মাঝে লোহার পোষাক পড়িয়ে শুয়িয়ে রাখত। যেহেতু হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহার কোন নিজস্ব গোত্র ছিল না তাই আবু জাহেল তার ইচ্ছামত হযরত সুমাইয়া বিনতে খাব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহা কে অত্যাচার করত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহার পাশ দিয়ে যেতেন তখন বলতেন-” হে ইয়াসিরের পরিবার- পরিজন ! ধৈর্য্য ধর। তোমাদের জন্য সুসংবাদ। তোমাদের জন্য রয়েছে জান্নাত ! ” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন হযরত সুমাইয়া বিনতে খাব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহা কে জান্নাতের সুসংবাদ দিতেন তখন হযরত সুমাইয়া বিনতে খাব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতেন- “ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি জান্নাতের সুগন্ধ এই তপ্ত মরুভূমির বুকেই শুয়েই পাচ্ছি।” দীর্ঘদিন অত্যাচার নির্যাতন করার পরও যখন হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহা দ্বীন ইসলাম পরিত্যাগ করল না তখন একদিন নরাধম আবু জাহেল হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহার লজ্জাস্থানে বর্শা নিক্ষেপ করে উনাকে শহীদ করে ফেলে। হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহার মৃত্যুর পর নরাধম আবু জেহেল উনার স্বামী হযরত ইয়াসীর ইবনে আমির রাযিয়াল্লাহু আনহু কেও তীরবিদ্ধ করে শহীদ করে ফেলে। হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহার শাহাদাতের ঘটনাটা ঘটে ৬১৫ খ্রীষ্টাব্দে। অর্থ্যাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নব্যুয়ত পাওয়ার পর ৫ বছর পর হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহা শাহাদাত বরন করেন। বদর যুদ্ধে নরাধম আবু জেহেল নিহত হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহার ছেলে হযরত আম্মার রাযিয়াল্লাহু আনহুকে বলেন- “আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তোমার মায়ের ঘাতককে হত্যা করেছেন।” হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহার একমাত্র সন্তান হযরত আম্মার রাযিয়াল্লাহু আনহুর তত্ত্বাবধানেই মদীনার কুবা শহরে ইসলামের ইতিহাসের প্রথম মসজিদ তৈরি হয়। আজ থেকে ১৪০০ বছর পূর্বে এই মহান মহিলা সাহাবী হযরত সুমাইয়া বিনতে খাব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহা ইসলামের সুমহান সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে মুসলমান হয়ে যান। ইসলাম গ্রহন করার কারনে আবু জেহেল হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহার প্রতি কত অত্যাচারই না করেছিল কিন্তু হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহা দ্বীন ইসলাম থেকে একচুলও সরে যাননি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন দ্বীন ইসলাম প্রচার করা শুরু করেন তখন মক্কার একদম প্রান্তিক জন গোষ্ঠীর লোকেরাই প্রথম দ্বীন ইসলাম গ্রহন করেন। হযরত সুমাইয়া, হযরত বেলাল উনারা ছিলেন মক্কার সেই প্রান্তিক জন গোষ্ঠীর লোক। আজকে আমাদের মুসলিম ঘরের মেয়েদের আদর্শ হল হলিউঠের নায়িকা Angelina Jolie, Keira Neightly, Megan fox, Penelope Cruz, Paris Hilton. এলিট পরিবারের কয়টা মুসলিম মেয়ে জানে যে ইসলামের ইতিহাসের প্রথম শহীদ হলেন একজন মহিলা সাহাবী হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহা ? এই মহান মহিলা সাহাবী মক্কা বিজয়, সাহাবীদের ইরাক ইরান মিশর তুরস্ক সিরিয়া, মুসলমানদের গৌরব উমাইয়া, আব্বাসীয়, উসমানীয় খিলাফত কিছুই দেখে যেতে পারেননি। হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহা যখন শহীদ হন তখন সারা পৃথিবীতে ১০০ জনেরও বেশী মুসলমান ছিল না। আমরা মুসলমানরা তখন এতই অসহায় ছিলাম যে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহা কে লোহার বর্ম পরিয়ে মরুভুমির উত্তপ্ত বুকে শুয়াইয়ে রাখা হত কিন্তু সাহাবীরা কিছুই করতে পারতেন না। কিন্তু মক্কার সেই রুঢ় পরিবেশেও হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহা দ্বীন ইসলাম থেকে একচুলও সরে দাঁড়াননি। আর আজকে আমরা মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়েও ইসলাম পালন করিনা, মুসলমান ঘরের কত ছেলে আজকে নাস্তিক সংশয়বাদী হয়ে যাচ্ছে কিন্তু এই ছেলে গুলি যদি একটু কষ্ট করে হায়াতুস সাহাবা, আসহাবে রাসূলের জীবন কথা এই বই গুলি থেকে মহান সাহাবীদের জীবনী গুলি পড়ত তাইলে বুঝত ইসলাম গ্রহন করার জন্য এই মক্কী জীবনে সাহাবীদের উপর মক্কার কাফেররা কত অত্যাচারই না করেছে। কিন্তু সাহাবীরা এক চুলও ইসলাম থেকে সরে দাড়ান নি। বাংলা ভাষায় সাহাবীদের জীবনীর উপর ২ টা বই আছে। হায়াতুস সাহাবা ও আসহাবে রাসূলের জীবন কথা। তাছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকেও “হাদীস চর্চায় মহিলা সাহাবীদের অবদান” শীর্ষক খুব সুন্দর একটি বই বের করেছে। সকল মুসলিম ভাই বোনকে সাহাবীদের জীবনী পড়ার জন্য বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি।

Sunday, July 27, 2014

মার্ক জুকারবার্গ তো একজন নাস্তিক তাইলে তার আবিষ্কৃত ফেইসবুক ব্যবহার করা কি মুসলমানের জন্য ঠিক হচ্ছে?:শফিউর রহমান ফারাবী স্টিকি পোস্ট

মার্ক জুকারবার্গ তো একজন নাস্তিক তাইলে তাঁর আবিস্কৃত ফেইসবুক ব্যবহার করা কি মুসলমানদের জন্য ঠিক হচ্ছে ? লিখেছেনঃ শাফিউর রহমান ফারাবী (তারিখঃ বৃহঃ, ২৭/১২/২০১২ - ১৫:০৪) নাস্তিক ভাইয়া ও আপুরা প্রায়ই একটা প্রশ্ন করেন যে মার্ক জুকারবার্গ তো একজন নাস্তিক তাইলে তাঁর আবিস্কৃত ফেইসবুক ব্যবহার করা কি আমাদের জন্য ঠিক হচ্ছে ? আচ্ছা নাস্তিক আপুরা যে প্রতিদিন সকালে রিকশায় চড়ে ক্যাম্পাসে যান সেই রিকশাওয়ালা তো মুসলমান তাইলে সেই রিকশায় চড়া কি ঐ নাস্তিক আপুর জন্য ঠিক হচ্ছে ? এখন হয়তো ঐ নাস্তিক আপু আমাকে বলবেন যে - '' আমি তো আমার বাপের টাকা খরচ করেই রিকশায় চড়ছি কিন্তু তুমি তো FREE তে ফেইসবুক ব্যবহার করছ ? '' আপাত দৃষ্টিতে ফেইসবুক ব্যবহার করা FREE হলেও মার্ক জুকারবার্গ কিন্তু Google Adsense এর মাধ্যমেই আমাদের কে উনার ফেইসবুক ব্যবহার করতে উত্সাহ দেন। আর আমরা ফেইসবুক ব্যবহার করি বলেই মার্ক জুকারবার্গ ফেইসবুক থেকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোটি কোটি ডলার কামিয়ে বান্ধবীদের সাথে ছবি তুলতে পারেন। আর ফেইসবুকের সব কিছুই কিন্তু FREE না। সামান্য কিছু ডলারের অভাবে বর্তমানে অনেক বড় বড় পেইজের এডমিনরা এখন Like খরায় ভুগছেন। Gmail ব্যবহার করাও কিন্তু Free কিন্তু আপনি পিসি থেকে Gmail এ ঢুকলে Google ও আপনাকে অনেক বিজ্ঞাপন দেখাবে। ইন্টারনেটের অনেক কিছু আপাতদৃষ্টিতে Free মনে হলেও এটা দেখিয়ে ঐসব কোম্পানী তাদের user বাড়িয়ে তারপর ঐ user দের কে ভিত্তি করে তারা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোটি কোটি ডলার আয় করে। আচ্ছা মার্ক জুকারবার্গ তো একজন Programmer আর আমরা জানি কম্পিউটার Program করতে এলগরিদমের সাহায্য নিতে হয় ? আর এলগরিদম বীজগণিতের জনক তো মুসলমানরা। মুসলিম বিজ্ঞানী আল খাওরেজমি তো বীজগণিত ও এলগরিদমের জনক। এলগরিদম শব্দটি আল খাওরেজমি থেকেই এসেছে। আর আল খাওরেজমির লেখা ''আল জেবর ওয়াল মুকাবিলা '' বই থেকেই আল জেবরা শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। তাহলে মধ্যযুগের একজন মুসলিম গণিতবিদের আবিস্কৃত তত্ত্বের সাহায্যে ফেইসবুকের Programming চালানো কি মার্ক জুকারবার্গের জন্য ঠিক হচ্ছে ? আসলে এইখানে আমাদের একটা জিনিস বুঝতে হবে যে জ্ঞান বিজ্ঞান বস্তু উপকরন এইগুলি হচ্ছে মানব সভ্যতার অংশ। এইসব জড় বস্তু কোন জাতি বা ধর্মের নিজস্ব সম্পত্তি নয়। সাহাবীরা ইরাক ইরান মিশর তুরস্ক জর্ডান চীন এইসব দেশের খ্রিষ্ট ধর্ম, অগ্নি পূজ্ মূর্তি পূজা, এবং ইসলাম বিরোধী সংস্কৃতিকে অস্বীকার করেছিলেন কিন্তু ঐসব দেশের প্রযুক্তি ভাষা ও খাদ্যভাস কে সহজ ভাবে গ্রহন করেছিলেন। আর ধর্ম হচ্ছে যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার কিন্তু এই মানব সভ্যতার জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তি হচ্ছে সমগ্র মানব জাতির সম্পদ। বর্তমানে ইউরোপ আমেরিকা পেটেন্টের মাধ্যমে প্রযুক্তি পণ্য গুলি খুব ব্যয়বহুল করে তুলেছে ইসলামী শরীয়াহ কিন্তু তথাকথিত পেটেন্টের এই কড়াকড়ি গুলি সমর্থন করে না। ইসলামী আক্বীদা সংশোধনের জন্য আরো পড়তে পারেন

Saturday, July 26, 2014

ইহুদিবাদী ইসরাইলের জন্মের ইতিকথা

গত ১৫ই মে ছিল ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রতিষ্ঠার বার্ষিকী। এ দিনটি ফিলিস্তিনসহ মুসলিম বিশ্বের কাছে ‘নাকাবা দিবস’ হিসেবে পরিচিত। ‘নাকাবা’ অর্থ হলো বিপর্যয়। ১৯৪৮ সালের এ দিনেই আনুষ্ঠানিকভাবে দখলদার ইসরাইল প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এ বিষয়েই এখানে আমরা বিস্তারিত আলোচনার প্রয়াস পাব। পৃথিবীতে প্রতিনিয়তই ঘটছে নানা পরিবর্তন। কোনো কোনো পরিবর্তনে মানুষ নতুনকরে আশাবাদী হচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীতে নৈতিকতা ও মানবিকতার বিকাশ ঘটবে বলে অনেকেই আশা করেছিলেন। ভেবেছিলেন বিশ্বজুড়ে অন্যায় ও অবিচারের মাত্রা কমে আসবে। মানুষ নিজের অধিকারের বিষয়ে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অন্যের অধিকারকেও সম্মান করবে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শ্লোগানে আন্তর্জাতিক সংস্থার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণেও এ আশা জোরদার হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে এর কিছুই ঘটেনি। আধিপত্যকামীদের ক্ষমতা ও অর্থের লোভ সবকিছুতেই হতাশার ছোয়া লাগিয়ে দিয়েছে। অন্যায় ও জুলুমের পদ্ধতিতে হয়তো পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু তা পুরোদমেই অব্যাহত রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- ইসরাইলের দখলদারি এবং হত্যা- নির্যাতনে কোন পরিবর্তন আসেনি। নিঃসন্দেহে গত দুইশ’ বছরের মধ্যে সবচেয়ে জঘন্য অপরাধের যেসব ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে সবচেয়ে কষ্টদায়ক হলো- ইহুদিবাদীদের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল। ফরাসি গবেষক রুযে গারুদি বলেছেন, “রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্যই ইহুদিবাদের উৎপত্তি। ইহুদিবাদীরা তাদের অবৈধ লক্ষ্য হাসিল করতে ইহুদি ধর্মকে অপব্যবহার করছে।” ইহুদিবাদীরা গত কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনি জাতির ওপর চরম দুঃখ-দুর্দশা চাপিয়ে দিয়েছে। সেখানে চালানো হচ্ছে জাতিগত নিধনযজ্ঞ। ফিলিস্তিন দখল করে সেখানে এমন একটি অবৈধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যা গোটা মধ্যপ্রাচ্যকেই সংকটের গভীরে নিক্ষেপ করেছে। অবৈধ ইসরাইলের কারণে গত ৬৬ বছর ধরে গোটা মধ্যপ্রাচ্যই অশান্তি ও অনিরাপত্তার আগুনে জ্বলছে। এর জন্য সাম্রাজ্যবাদী সরকারগুলোর ক্ষমতালিপ্সাই প্রধান কারণ। ইসলামী জগতের একেবারে কেন্দ্রে ইহুদিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পেছনে সুদূরপ্রসারী অশুভ লক্ষ্য কাজ করেছে, তা বোঝা যায় ইতিহাস ঘাটলেই। ঊনবিংশ শতাব্দির দ্বিতীয়ার্ধে আধিপত্যের বলয় বাড়ানো নিয়ে তিন ইউরোপীয় দেশ ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছিল। বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য তারা নানা অপকৌশল অবলম্বন করছিল। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের ওপরও তাদের লোলুপ দৃষ্টি ছিল। কারণ ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে এই ফিলিস্তিন। ভৌগলিক দিক থেকে এটি একটি কৌশলগত অঞ্চল। সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের শাসনামলে ফিলিস্তিনকে নিজের উপনিবেশে পরিণত করার জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালায় ফ্রান্স। ফ্রান্সের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি টের পেয়ে এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা হাতে নেয় ব্রিটেন। এ পরিকল্পনার আওতায় সাম্রাজ্যবাদ ও ইহুদিবাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা সৃষ্টি হয়। এরই আওতায় দখল হয়ে যায় কয়েক হাজার বছরের ঐতিহ্যের ধারক ফিলিস্তিন। ওসমানীয় সাম্রাজ্য যখন ক্ষয়িষ্ণু তখন পাশ্চাত্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিপ্লব চলছিল। এ অবস্থায় ওসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনন্মুখ পরিস্থিতি ইউরোপকে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দেয়। তাদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য দু’টি জিনিস প্রয়োজন ছিল। এক- মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা ও ইউরোপের একাংশ নিয়ে গঠিত উসমানীয় সাম্রাজ্যকে ভেঙে টুকরো টুকরো করা। দুই- টুকরো টুকরো ভূখণ্ডে পাশ্চাত্যের স্বার্থ সংরক্ষণকারী পুতুল সরকার বসানো। ওসমানীয় সামাজ্যের পতন ও মুসলিম বিশ্বের প্রভাব ক্ষুণ্ন করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৮৯৭ সালে থিয়োডর হার্জেল ও তার সহযোগীরা সুইজারল্যান্ডে এক সমাবেশের মাধ্যমে বিশ্ব ইহুদিবাদ সংস্থা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। হার্জেল পরবর্তীতে ইহুদিবাদের জনক হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। বিশ্বে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা তার বড় লক্ষ্য। কোথায় ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে, সে ইস্যু সামনে আসলে বিভিন্ন এলাকার নাম উত্থাপিত হয়। হার্জেল ফিলিস্তিনেই ইহুদিদের জন্য প্রথম রাষ্ট্র ও সরকার গঠনের পক্ষে ছিলেন। ওসমানীয় সাম্রাজ্য হার্জেলের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রাজি না হওয়ায় হার্জেলের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী ও ইহুদিবাদীদের নানা ষড়যন্ত্রের মাঝেই শুরু হয়ে যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। যুদ্ধে নয়া শক্তির সমীকরণের এক পর্যায়ে ওসমানীয় সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। এরপর বিশ্ব ইহুদিবাদ সংস্থা নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করে। ইহুদিবাদের প্রতি ব্রিটিশ সামাজ্যবাদের সমর্থন ফিলিস্তিনে প্রথম ইহুদিবাদী সরকার গঠনের ক্ষেত্র তৈরি করে। ১৯১৭ সালে উপনিবেশবাদী ব্রিটেন ও বিশ্ব ইহুদিবাদের মধ্যে সম্পর্কের নয়া অধ্যায় শুরু হয়। ওই বছর তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতির বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। ১৯১৮ সালে নবপ্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রসংঘ ফিলিস্তিনের ওপর ব্রিটেনের একাধিপত্যকে স্বীকৃতি দেয়। তিন দশক ধরে ব্রিটিশ উপনিবেশ হিসেবে ছিল ফিলিস্তিন। তখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার সময় ছিল এটি। ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসকরা ফিলিস্তিনের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সব কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছিল। এই তিন দশকে বিশ্ব ইহুদিবাদ সংস্থা ফিলিস্তিনে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফিলিস্তিনের দিকে ইহুদিদের ঢল নামে। নানা দেশ থেকে তাদেরকে সেখানে নিয়ে আসা হয়। ফিলিস্তিনিদের জমি দখল করে ইহুদিবাদীদের জন্য স্থায়ী আবাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়। শক্তি প্রয়োগ করে ফিলিস্তিনিদেরকে ভিটেমাটি ছাড়া করা হয়। এ সময় ব্রিটিশ সরকারের মদদে ইহুদিবাদীরা গোপনে ‘হাগানা’ নামের সন্ত্রাসী সেনাদল গঠন করে। তারা নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যার মিশনে নামে। একের পর এক বহু ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। এ অবস্থায় পাশ্চাত্যের পুঁজিপতিরা ইহুদিবাদীদেরকে ব্যাপক অর্থ সাহায্য দেয়। এ অর্থে তারা ফিলিস্তিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, কারখানা ও বিভিন্ন ইহুদিবাদী দপ্তর প্রতিষ্ঠা করে,যাতে সুযোগ এলেই ইহুদিবাদী সরকার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়া যায়। অবশেষে ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ অন্যায়ভাবে ফিলিস্তিনকে ভাগ করার ইশতেহার প্রকাশ করে। এরই ভিত্তিতে ফিলিস্তিনকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। এক অংশ দেয়া হয় ইহুদিবাদীদেরকে। সেখানে তারা ইহুদি সরকার প্রতিষ্ঠা করে। অন্য অংশ দেয়া হয় ফিলিস্তিনিদেরকে। একপেশে ওই ইশতেহারে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য ফিলিস্তিনের মোট ভূখণ্ডের অর্ধেককে বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু বিশ্বের মোড়লদের ইহুদিবাদপ্রীতির কারণে আজও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডেও মোতায়েন রয়েছে ইহুদিবাদী বাহিনী। জাতিসংঘের একপেশে ইশতেহারের পক্ষে ভোট দিয়েছিল ৩৩টি দেশ। এর মধ্যে ছিল আমেরিকা, ব্রিটেন ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ। ১৩টি দেশ ইশতেহারের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। ভোটদানে বিরত ছিল আরও দশটি দেশ। ইশতেহার প্রকাশের এক বছর পর ফিলিস্তিন অংশটিও ইহুদিবাদীরা দখল করে নেয়। এর ফলে সেখানে নেমে আসে হাহাকার। শরণার্থীতে পরিণত করা হয় অসংখ্য ফিলিস্তিনিকে। তার হয়ে পড়েন সহায়-সম্বলহীন। ফিলিস্তিনি মুসলমানদের এ দুর্দশার মাঝে ইসলামি ও আরব দেশগুলোর মধ্যে অনৈক্য ও বিবাদ ছিল শতাব্দির সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি। এই সুযোগে অবশেষে ১৯৪৮ মাসের মে মাসে ফিলিস্তিন থেকে ব্রিটিশ বাহিনী চলে যায়। শুরু হয় ইহুদিবাদীদের দুঃশাসন। ১৯৫০’র দশকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মায়ার বলেছিলেন, “ফিলিস্তিনের বর্তমান প্রজন্মকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। এর ফলে পরবর্তী প্রজন্ম আর ফিলিস্তিনের কথা মনেই করতে পারবে না।” ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ইহুদিদের ভূখণ্ড বলেও তিনি জোর গলায় দাবি করেছিলেন। তবে ফিলিস্তিনিদের সাহসিকতা ও প্রতিরোধ প্রমাণ করে গোল্ডা মায়ারের মতো ইহুদিবাদীদের স্বপ্ন পূর্ণ হয়নি। কারণ ফিলিস্তিনের নতুন প্রজন্মও মাতৃভূমি উদ্ধারে সোচ্চার রয়েছে এবং প্রতিরোধ সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব শুধু ফিলিস্তিন নয় গোটা মধ্যপ্রাচ্যের জন্যই দুঃখ-দুর্দশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরাইল সৃষ্টির পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি ও অনিরাপত্তা জেকে বসেছে। ১৯৪৮ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যের ওপর অন্তত ১০টি যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। এসব যুদ্ধের মধ্যে ১৯৬৭, ১৯৮২ ও ২০০৬ সালের যুদ্ধের কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ফিলিস্তিন জবরদখলের দুই দশক পর ১৯৬৭ সালে ইহুদিবাদীরা আরব বিশ্বের ওপর ব্যাপকভিত্তিক যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়। এ সময় ইহুদিবাদী ইসরাইল জর্দান নদীর পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা, পূর্ব বায়তুল মোকাদ্দাস, সিরিয়ার গোলান মালভূমি ও মিশরের সিনাই মরুভূমি দখল করে নেয়। আরব ভূখণ্ড দখলের পর এসব এলাকায় ইহুদি উপশহর নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে। জমি দখলের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের অবশিষ্ট বসতিগুলোকে একে অপরের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত করা হয়। এর ফলে ফিলিস্তিনিদের শহর ও গ্রামগুলো পরস্পর থেকে আলাদা হয়ে গেছে। ফিলিস্তিনিদেরকে বিচ্ছিন্ন করতে ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত এলাকার মাঝখানে ইহুদি উপশহর নির্মাণ করা হয়েছে। ইসরাইল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইহুদিদেরকে নিয়ে আসার প্রবণতা আরো বেড়ে যায় এবং ফিলিস্তিনিদেরকে তাদের ঘর- বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে সেখানে ইহুদি অভিবাসীদেরকে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। এর ফলে সব হারিয়ে শরণার্থীতে পরিণত হয় অগণিত ফিলিস্তিনি। ইসরাইলের এ ধরনের অমানবিক তৎপরতার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ দুটি ইশতেহার প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের ইশতেহারে ১৯৬৭ সালে দখলীকৃত ভূখণ্ড থেকে সরে আসতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু ইসরাইল ওই দুই ইশতেহারকে কোন গুরুত্বই দেয়নি। এখনও তারা পুরোদমে ইহুদি বসতি নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া ২০০২ সালে ইসরাইল ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ দেয়াল নির্মাণ করেছে। এ দেয়ালের উচ্চতা ছয় মিটার। এটি বর্ণবাদী দেয়াল নামেও পরিচিত। এই দেয়ালের মাধ্যমেও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের আরো একটা অংশ নতুনকরে দখলে নিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কোনো প্রতিবাদকেই গুরুত্ব দিচ্ছে না ইসরাইল। গাজার ওপর ইহুদিবাদীদের ৭ বছরের সর্বাত্মক অবরোধও এখনও অব্যাহত রয়েছে। অবরোধের পাশাপাশি গাজার ওপর মাঝে মধ্যেই ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইহুদিবাদীরা। বিশেষকরে ২০০৮ সালে ২২ দিন ও ২০১২ সালে ৮ দিনের ব্যাপক হামলায় গাজাজুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। শাহাদাতবরণ করে বহু নিরপরাধ ফিলিস্তিনি। ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের মুখে ইহুদিবাদী সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হলেও কাপুরুষের মতো ফিলিস্তিনের অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে তারা। পরমাণু অস্ত্র তৈরির মাধ্যমেও গোটা অঞ্চলকে হুমকির মুখে রেখেছে ইসরাইল। দিমুনা গ্রামে ইসরাইলের পরমাণু কেন্দ্র মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। অবৈধ রাষ্ট্রটি পরমাণু অস্ত্রবিস্তার রোধ চুক্তি বা এনপিটিতে সই করেনি। তারা একের পর এক পরমাণু বোমার মজুদ গড়ে তুলছে। ইসরাইলের কাছে শত শত পরমাণু বোমা রয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসরাইলের অপকর্ম এখন গোটা বিশ্বের কাছেই সুস্পষ্ট। পরিস্থিতি এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, প্রথম দিকে যারা ইসরাইল প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছিলেন তারাই এখন এ কথা স্বীকার করছেন- ইসরাইল দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে এবং এটি ভেতর থেকেই ভেঙে পড়বে। যেসব ইহুদি ধোকায় পড়ে অন্য দেশ থেকে ইসরাইলে এসেছিল এখন তারা ইসরাইল ছাড়তে শুরু করেছে। সচেতন নাগরিকরা বলছেন, ইসরাইলি রাজনীতিবিদদের মাঝে নৈতিক অবক্ষয় এবং অর্থনৈতিক দুর্নীতি ইসরাইলের পতনের ঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ বলেছেন, “ইসরাইল এখন অভ্যন্তরীণভাবে গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে এবং এই সংকট ইসরাইলকে ভেতর থেকেই পতনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।” তিনি বলেছেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চেকোস্লোভাকিয়া ও ইউগোস্লাভিয়াও রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে ভঙুর হয়ে পড়েছিল। কারণ ভেতর থেকেই তাদের পচন ধরেছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরাইলে গণঅসন্তোষ বেড়ে গেছে। মাঝে মধ্যেই লাখ লাখ বঞ্চিত মানুষ রাজপথে মিছিলে অংশ নিচ্ছেন। এসব বিক্ষোভকারী বৈষম্য, দারিদ্র, ক্ষুধা, বেকারত্ব, আবাসন সংকট, নৈতিক স্খলন এবং পতিতাবৃত্তির বিরুদ্ধে শ্লোগান দিচ্ছে। এই সেই ইসরাইল যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইহুদিদেরকে সুখের স্বপ্ন দেখিয়ে আনা হয়েছিল। বলা হয়েছিল তাদের জন্য ভূস্বর্গ বানিয়ে দেয়া হবে। এসব ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদেরকে ইসরাইলে আনা হলেও এখন উল্টো চিত্রটিই চোখে পড়ছে। সামাজিক বৈষম্যের প্রতিবাদে এরইমধ্যে ১৪ জন বিক্ষোভকারী নিজের শরীরে নিজেই আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ১৪ জন আত্মহত্যাকারীর প্রথম ব্যক্তি ছিলেন মুশে সালমান। শরীরে আগুন দেয়ার কয়েক দিন পর তিনি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। তিনি নিজের শরীরে আগুন দেয়ার আগে এক বার্তায় বলেন, ইসরাইলি নেতারা হলো চোর। তারা মানুষের অর্থ-সম্পদ চুরি করেছে। সাধারণ মানুষের কথা তারা ভাবে না। ওই আত্মহত্যার ঘটনার পর বিপুল সংখ্যক মানুষ বিক্ষোভে নামে এবং তারাও মুশে সালমানের কথাগুলোর প্রতি সমর্থন জানায়। এ ধরনের নানা অভ্যন্তরীণ সংকট ইসরাইলি নেতাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এ ধরনের অভ্যন্তরীণ সংকট থেকে মানুষের দৃষ্টিকে সরাতে তারা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন নতুন যুদ্ধ ও সংকট তৈরির পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। সিরিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধও সে ধরনের ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ। এছাড়া, ইরানভীতি ছড়িয়ে দিয়ে অভ্যন্তরীণ সঙ্কটকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করছে ইসরাইল। ঘরে- বাইরে কোথাও ভালো নেই ইসরাইল। বিশেষকরে আমেরিকা নিজেই অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় ইসরাইলের প্রতি দেশটির অর্থনৈতিক সহযোগিতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়েছে। সব মিলিয়ে ইসরাইলি নেতারা এখন নিজেরাই তাদের অস্তিত্বের সংকটের বিষয়টি উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন। তারা নিজেরাই স্বীকার করছেন যে, ইসরাইল ভেতর থেকেই ভেঙে পড়তে পারে। আর এমনটি হলে গোটা বিশ্বই মুক্তি পাবে বলে সচেতন মহল আশা করছে।

আসুন জেনে নিই নাস্তিক্যবাদ কি ?

আসুন জেনে নিই: নাস্তিক্যবাদ কি নতুন কিছু না আগেও ছিল এবং কুরআন অবিশ্বাসীদের মন্তব্য কেমন ছিল নাস্তিকতা বিষয়টি নতুন কোন বিষয় নয়, মানব জাতির ধর্মীয় অবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় , সুদূর প্রাচীন কাল থেকেই একদল মানুষ আল্লাহকে "রব" হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে তারা প্রকৃতিবাদী হয়েছে। হুদ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জাতির মধ্যে এই জাতীয় চিন্তা- ভাবনা বিরাজমান ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। জীবন ও জগত সম্পর্কে তাদের ধারণার বহিঃপ্রকাশ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, তারা বলতোঃ “(তারা বলে, কিসের আবার পুনরুত্থান) দুনিয়ার জীবনইতো হচ্ছে আমাদের একমাত্র জীবন, আমরা (এখানে) মরবো, (এখানেই) বাঁচবো, আমাদের কখনই পুনরুত্থিত করা হবে না"। (সূলা আল-মুমিনূন : ৩৭) বর্তমানে সময়ে বিশ্বে এদের উত্তরসূরীদের অভাব নেই। কিন্ত জ্ঞানের এ অভিনব অগ্রগতির যুগে একদল চিন্তাশীল মানুষ যেমন আল্লাহকেই তাদের 'রব' বলে স্বীকার করে নিচ্ছে, তেমনি আরেকদল মানুষ আল্লাহকেই অস্বীকার করে বলেছে- আল্লাহ বলতে কিছুই নেই। এ জগত মহা বিস্ফোরণের ফল। আল্লাহ বলতে কেউ এসব সৃষ্টি করেনি; বরং মানুষই আল্লাহকে সৃষ্টি করেছে। পূর্বের কুরআন অবিশ্বাসীরা কুরআন সম্পর্কে যা বলতো: “আমরা চাইলে এধরণের কথাতো নিজেরাও বলতে পারি, এগুলো তো আগের লোকদের উপকথা ছাড়া আর কিছুই নয়”। (সূরা আল আনফাল : ৩১) বর্তমান সময়ে নাস্তিকরা এই কথাগুলোই বলে থাকে। নবীরা যখন অবিশ্বাসীদের এক আল্লাহর দিকে ডাকতো তখন তার জবাবে তারা বলতো: “আমরা তো দেখছি যে, তুমি সুস্পষ্ট গুমরাহীতে লিপ্ত রয়েছ” (সূরা আল আ’রাফ: ৬০) “আমরা তো তোমাকে নির্বুদ্ধিতায় লিপ্ত মনে করি” (সূরা আল আ’রাফ: ৬৭) “তোমরা যা মেনে নিয়েছ আমরা তা অস্বীকার করি, অমান্য করি” (সূরা আল আ’রাফ: ৭৬) কেউ যদি বর্তমানে কোন নাস্তিককে আল্লাহর দাসত্ব কবুল করে নেওয়ার কথা বলে তখন তারা এই কথাগুলোই বলে থাকে যেমন: তোমরা বোকা, তোমরা যা মান আমরা তার অস্বীকার করি। হঠকারিতা বক্তব্য হিসেবে তারা যা বলতো: “আচ্ছা, তাহলে নিয়ে আস সেই আযাব, যার তুমি আমাদেরকে ভয় দেখাচ্ছ”। (সূরা আল আরাফ: ৭০) আযাবের ভয় দেখালে বর্তমান সময়ের নাস্তিকরা বলে থাকে, আযাব যদি সত্যিই থাকতো তাহলে তা আমাদের পাকড়াও করে না কেন? যারা আল্লাহতে বিশ্বাসী তাদের বিরুদ্ধে তারা যা বলতো: “এই লোকদিগকে তো এদের দ্বীন (ধর্ম) ধোকার কবলে নিক্ষিপ্ত করেছে” (সূরা আল আনফাল: ৪৯) আল্লাহতে বিশ্বাসীদের এরা বোকা এবং ধোকার কবলে নিক্ষিপ্ত রয়েছে বলে একই মন্তব্য করে যাচ্ছে। শুধু পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু অবিশ্বাসী উত্তরসুরীদের কথাগুলো একই রয়ে গেছে। যেমন: ফিরাউন সুউচ্চ প্রাসাদ বানিয়ে তাতে আরোহন করে মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলেছিল, কই তোমার আল্লাহ, তাকে তো খুজে পেলাম না, ঠিক একই কথা বলেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন স্পুটনিক নিক্ষেপ করার পর, তারা বলেছিল, কই তোমাদের আল্লাহ, তাকে তো খুজে পেলাম না। এখন দেখুন তো এই দুই শক্তির কোনটি টিকে আছে?

স্যেকুলার বা ধর্মনিরপেক্ষতা কি?

যে মতবাদটিকে ইংরেজিতে secularism বলা হয় তার আরবি প্রতিশব্দ হিসেবে বহুলভাবে ﻋﻠﻤﺎﻧﻲ [‘আলমানি] শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আর বাংলায় এর (সত্যের অপলাপকৃত) অনুবাদ করা হয় ‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ’ শব্দ দিয়ে। তাহলে দেখা যাক সে সেকুলারিজম (বা তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতা) কী? ছোট্ট একটি প্রশ্ন, কিন্তু তার উত্তর চাই স্পষ্ট, নিখুঁত ও বিস্তারিত। এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর প্রত্যেক মুসলিমের জানা- থাকা জরুরি। আল্লাহর মেহেরবানী যে, এ পর্যন্ত সেকুলারিজমের উপর বহু গ্রন্থ লিখা হয়েছে, আমাদের কর্তব্য শুধু জানা ও আমল করা। এবার প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করি, তবে এ জন্য আমাদের বেশী কষ্ট করতে হবে না, কারণ যেখানে ‘সেকুলারিজম’ বা তথাকথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ’ মতবাদের জন্ম, সে পাশ্চাত্য দেশসমূহে লিখিত অভিধানগুলো আমাদেরকে সেটার অর্থ খোজা ও সন্ধান করার কষ্ট থেকে মুক্তি দিয়েছে। ইংরেজি অভিধানে secularism শব্দের নিম্নরূপ অর্থ এসেছে: ১. পার্থিববাদী অথবা বস্তুবাদী। ২. ধর্মভিত্তিক বা আধ্যাত্মিক নয়। ৩. দ্বীনপালনকারী নয়, দুনিয়াবিমুখ নয় [a]। একই অভিধানে secularism শব্দের সংজ্ঞায় এসেছে: “secularism এমন একটি দর্শন, যার বক্তব্য হচ্ছে, চরিত্র- নৈতিকতা ও শিক্ষা ধর্মীয় নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না”। ‘ব্রিটিশ বিশ্বকোষ’-এ আমরা দেখি, সেখানে সেকুলারিজম সম্পর্কে বলা হয়েছে: “সেকুলারিজম একটি সামাজিক আন্দোলন, যার একমাত্র লক্ষ্য মানুষদেরকে পরকালমুখী থেকে ফিরিয়ে এনে দুনিয়ামুখী করা”। Encyclopedia Britanica নামীয় ব্রিটিশ বিশ্বকোষে Atheism বা ‘নাস্তিকতা’ শিরোনামের অধীন secularism এর আলোচনা এসেছে। তাতে Atheism তথা নাস্তিকতাকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে: ১. তাত্ত্বিক নাস্তিকতা (ﺇﻟﺤﺎﺩ ﻧﻈﺮﻱ) ২. ব্যবহারিক নাস্তিকতা (ﺇﻟﺤﺎﺩ ﻋﻤﻠﻲ)। ‘বিশ্বকোষ’ সেকুলারিজমকে দ্বিতীয় প্রকার নাস্তিকতার অন্তর্ভুক্ত করেছে । এ আলোচনা থেকে দু’টি বিষয় স্পষ্ট হল: এক. সেকুলারিজম একটি কুফরি দর্শন, তার একমাত্র লক্ষ্য দুনিয়াকে দ্বীনের প্রভাব মুক্ত করা। সেকুলারিজম একটি মতবাদ, তার কাজ হচ্ছে পার্থিব জগতের সকল বিষয়কে ধর্মীয় বিধি-নিষেধ থেকে মুক্ত রেখে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, আদর্শিক ও পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার নিজের তৈরি বিধান দেওয়া ও সকল স্তরে নেতৃত্ব প্রদান করা। দুই. সেকুলারিজমের সাথে জ্ঞান বা বিজ্ঞানের কোনো সম্পর্ক নেই, যেমন কতক কুচক্রী মানুষদেরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলার জন্য বলে, সেকুলারিজম অর্থ ‘ব্যবহারিক বিজ্ঞানের উপর গুরুত্বারোপ ও তার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা’। এ বক্তব্যের অসারতা ও সত্য গোপন করার অপকৌশল আমাদের বর্ণিত অর্থ থেকে স্পষ্ট, যা আমরা গ্রহণ করেছি ‘সেকুলারিজম’ এর সুতিকাগার থেকে, যে সমাজে তার জন্ম ও পরিচর্যা হয়েছে। তাই ‘সেকুলারিজম’ এর অর্থ যদি করা হয় ধর্মহীনতা, তাহলে তার সূক্ষ্ম ব্যাখ্যা ও সঠিক অর্থ প্রকাশ পাবে এবং তাতে অপলাপের কিছু থাকবে না, বরং যথার্থ অর্থই স্পষ্ট হবে। সেকুলারিজম (ধর্মনিরপেক্ষতা) এর বিবিধ রূপ সেকুলারিজমের দু’টি রূপ রয়েছে। যার একটি অপরটি থেকে জঘন্য: প্রথম রূপ:সরাসরি নাস্তিকতা: এ প্রকার সেকুলারিজম (ধর্মনিরপেক্ষতা) দ্বীনকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান ও সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অস্তিত্বকে অস্বীকার করে। তা ধর্মীয় কোনো বিষয় স্বীকার করে না, বরং যারা আল্লাহর অস্তিত্বের প্রতি ঈমানের দাওয়াত দেয়, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এ জাতীয় সেকুলারিজমের (ধর্মনিরপেক্ষতার) অনুসারীরা নিজেদের কুফরি, অশ্লীলতা ও কুকর্মে আত্মগর্বী ও অহংকারী। তাদের কুফরির ফয়সালা করা সকল মুসলিমের পক্ষে সহজ। আলহামদুলিল্লাহ তাদের বিষয়টি মুসলিমদের নিকট স্পষ্ট। কোনো মুসলিম তাদের দিকে ধাবিত হয় না, তবে যে দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায় সে ব্যতীত। এ ধরনের সেকুলারিজম (ধর্মনিরপেক্ষতা) জনসাধারণের নিকট কম বিপজ্জনক, তারা সাধারণ মানুষকে সহসা ধোঁকায় ফেলতে সক্ষম নয়, তবে দ্বীনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা, মুমিনদের সাথে শত্রুতা ও বিদ্বেষ পোষণ করা এবং তাদেরকে কষ্ট দেওয়া, অথবা জেল দেওয়া অথবা হত্যা করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে তারাও কম ক্ষতিকর নয়। দ্বিতীয় রূপ:পরোক্ষ নাস্তিকতা [1]: এ প্রকার নাস্তিকতা আল্লাহর অস্তিত্বকে অস্বীকার করে না, তাত্ত্বিকভাবে তার উপর ঈমান আনে, তবে দুনিয়ার কোনো বিষয়ে দ্বীনের কর্তৃত্ব মানে না । তাদের শ্লোগান দুনিয়াকে দ্বীন থেকে পৃথক কর। জনসাধারণকে ধোঁকায় ফেলা ও বিপথগামী করার ক্ষেত্রে এ প্রকার নাস্তিকতা বা সেকুলারিজম (তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতা) অপেক্ষাকৃত বেশি বিপজ্জনক। কারণ তারা আল্লাহর অস্তিত্বকে অস্বীকার ও তার দ্বীনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বিদ্রোহ করে না, তাই তাদের কুফরির প্রকৃত অবস্থা অনেক মুসলিমের নিকট প্রচ্ছন্ন ও অস্পষ্ট থাকে। [2] দ্বীনের সঠিক জ্ঞান ও পর্যাপ্ত ইলম না থাকার কারণে তারা সেকুলারিজমকে (তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাকে) কুফরি বলে মনে করে না। এ কারণে মুসলিম দেশসমূহের অধিকাংশ সরকার সেকুলার (তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ) মতবাদের অনুসারী। অনেক, বরং অধিকাংশ মুসলিম তাদের হাকিকত জানে না। এ প্রকার সেকুলারিজমের (ধর্মনিরপেক্ষতার) অনুসারী সংগঠনগুলো দ্বীন ও দ্বীনের দাওয়াত প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেও নিশ্চিত থাকে, কেউ তাদের কাফের ও দ্বীন থেকে খারিজ বলবে না। কারণ, তারা প্রথম প্রকারের ন্যায় প্রকাশ্য নাস্তিকতাসহ আত্মপ্রকাশ করেনি। তাদের কাফের না বলা মুসলিমদের মূর্খতার প্রমাণ। আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছি, তিনি আমাদেরকে ও সকল মুসলিমকে সঠিক জ্ঞান দান করুন। মুসলিম উম্মতকে দ্বীন বুঝার তৌফিক দিন, তারা যেন এসব সংস্থা ও সংগঠন থেকে আত্মরক্ষা গ্রহণ করে। অতএব দ্বীন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল কোনো মুসলিম সেকুলার বা তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ মতাবলম্বীদের কথা বা লেখনীতে আল্লাহর নাম অথবা রাসূলের নাম অথবা ইসলামের নাম শুনে বা দেখে আশ্চর্য হয় না [3], বরং তারাই আশ্চর্য হয় ও বিস্ময় প্রকাশ করে, যারা তাদের প্রকৃত অবস্থা জানে না। secularism1 মোদ্দাকথা: উভয় প্রকার সেকুলারিজম (ধর্মনিরপেক্ষতা) স্পষ্ট কুফরি, এতে কোনো সন্দেহ ও সংশয় নেই । যদি কেউ উল্লেখিত কোনো প্রকার ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ মনেপ্রাণে মেনে নেয়, সে ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত ও মুরতাদ হয়ে যাবে। আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন। কারণ, ইসলামই হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ দ্বীন তথা জীবন বিধান, মানুষের জীবনের সকল ক্ষেত্রে তার স্পষ্ট বিধান রয়েছে, হোক তা আধ্যাত্মিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, চারিত্রিক বা সামাজিক কোনো শাখা। ইসলাম কখনো কোনো মতবাদকে তার বিধানে হস্তক্ষেপ করার অনুমতি দেয় না। ইসলামের সকল শাখায় পরিপূর্ণরূপে প্রত্যেক মুসলিমের প্রবেশ করা ফরয। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন: ﴿ ﻳَٰٓﺄَﻳُّﻬَﺎ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺀَﺍﻣَﻨُﻮﺍْ ﭐﺩۡﺧُﻠُﻮﺍْ ﻓِﻲ ﭐﻟﺴِّﻠۡﻢِ ﻛَﺎٓﻓَّﺔٗ ٢٠٨ ﴾ ]ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ: ٢٠٨ [ “হে মুমিনগণ, তোমরা ইসলামে পূর্ণরূপে প্রবেশ কর”। [4] কুরআনুল কারিমের কতক বিধান গ্রহণ করে কতক বিধান ত্যাগকারীকে আল্লাহ তা‘আলা কাফের বলেছেন। ইরশাদ হচ্ছে: ﴿ ﺃَﻓَﺘُﺆۡﻣِﻨُﻮﻥَ ﺑِﺒَﻌۡﺾِ ﭐﻟۡﻜِﺘَٰﺐِ ﻭَﺗَﻜۡﻔُﺮُﻭﻥَ ﺑِﺒَﻌۡﺾٖۚ ﻓَﻤَﺎ ﺟَﺰَﺍٓﺀُ ﻣَﻦ ﻳَﻔۡﻌَﻞُ ﺫَٰﻟِﻚَ ﻣِﻨﻜُﻢۡ ﺇِﻟَّﺎ ﺧِﺰۡﻱٞ ﻓِﻲ ﭐﻟۡﺤَﻴَﻮٰﺓِ ﭐﻟﺪُّﻧۡﻴَﺎۖ ﻭَﻳَﻮۡﻡَ ﭐﻟۡﻘِﻴَٰﻤَﺔِ ﻳُﺮَﺩُّﻭﻥَ ﺇِﻟَﻰٰٓ ﺃَﺷَﺪِّ ﭐﻟۡﻌَﺬَﺍﺏِۗ ﻭَﻣَﺎ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻐَٰﻔِﻞٍ ﻋَﻤَّﺎ ﺗَﻌۡﻤَﻠُﻮﻥَ ٨٥ ﴾ ]ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ: ٨٥ [ “তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশে ঈমান রাখ আর কিছু অংশ অস্বীকার কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা তা করে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা ছাড়া তাদের কী প্রতিদান হতে পারে? আর কিয়ামতের দিনে তাদেরকে কঠিনতম আযাবে নিক্ষেপ করা হবে। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে গাফেল নন”। [5] ইসলামে নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত কোনো বিষয় যে প্রত্যাখ্যান করল, সে কাফের ও পথভ্রষ্ট, যদিও তার প্রত্যাখ্যান করা বিষয়ের পরিমাণ খুবকম ও সামান্য হয়। অতএব পার্থিব রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ইসলামের সকল বিধান যে প্রত্যাখ্যান করে, সে কাফের বলার অপেক্ষা রাখে না, যেমন সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতার অনুসারীরা। দ্বিতীয়ত ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের অনুসারীদের মাঝে ইসলাম বিনষ্টকারী কারণও রয়েছে, যেমন তারা বিশ্বাস করে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ থেকে অন্য কারও আদর্শ উত্তম, অনুরূপ তার ফয়সালা থেকে অন্য কারও বিচার-ফয়সালা উত্তম। এ কারণেও তারা কাফের।[6] শায়খ আব্দুল আযীয ইবন বায রাহিমাহুল্লাহ বলেন: “ইসলাম বিনষ্টকারী চতুর্থ প্রকারের অন্তর্ভুক্ত ঐ ব্যক্তি, যে বিশ্বাস করল মানুষের তৈরি আইনি সংস্থাগুলো ইসলামী শরীয়তের বিধান থেকে উত্তম, অথবা বিশ্বাস করল যে, বিংশ শতাব্দীতে ইসলামী বিধান বাস্তবায়ন করা যুক্তিসঙ্গত নয়, অথবা ইসলাম প্রগতির অন্তরায়, অথবা বলল ইসলাম শুধু ব্যক্তি ও তার রবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, মানুষের জীবনের অন্য কোনো অংশে প্রবেশ করার অধিকার ইসলামের নেই”। [7] [1] আমরা সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতাকে সরাসরি নাস্তিকতা ও পরোক্ষ নাস্তিকতা দু’ভাগে ভাগ করেছি, কারণ সাধারণ লোকেরা নাস্তিকতা বলতে আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকার করাকেই বুঝায়, অথচ সেকুলারিজম বা তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাও এক প্রকার নাস্তিকতা, বরং নাস্তিকতার একটি শাখা হচ্ছে সেকুলারিজম বা তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতা। [2] দ্বীনের সাথে পরোক্ষ নাস্তিকতা বা সেকুলারিজমের (ধর্মনিরপেক্ষতার) সংঘর্ষ অনেকের নিকট স্পষ্ট নয়, কারণ তাদের নিকট দ্বীন হচ্ছে ধর্মীয় কয়েকটি ইবাদতের নাম। তাই এ পরোক্ষ সেকুলারিজম (পরোক্ষ ধর্মনিরপেক্ষতা) যেহেতু মসজিদে সালাত আদায় ও বায়তুল্লাহ শরীফের হজকে নিষেধ করে না, তারা ধারণা করে নিয়েছে যে, ধর্মনিরপেক্ষতা দীন বিরোধী নয়। কিন্তু দীনকে যারা সঠিকভাবে বুঝেন, তারা অবশ্যই জানেন যে, সেকুলারিজম (তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতা) দীনের সাথে সাংঘর্ষিক। যে মতবাদ মানুষের জীবনের সব শাখায় আল্লাহর শরীয়তকে নিষিদ্ধ ও হারাম ঘোষণা করেছে, তার চেয়ে স্পষ্ট ও কঠিন ইসলাম বিরোধী কোনো মতবাদ কি আছে? যদি তারা তা বুঝে! [3] কারণ তারা ভালো করেই জানে যে এরা এগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে মানুষকে ধোকা দিচ্ছে। [সম্পাদক] [4] সূরা বাকারা: (২০৮) [5] সূরা বাকারা: (৮৫) [6] দেখুন: শায়খ মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব রহ. রচিত ﻧﻮﺍﻗﺾ ﺍﻹﺳﻼﻡ গ্রন্থের ইসলাম বিনষ্টকারী চতুর্থ প্রকার। আরো দেখুন: শায়খ আব্দুল আযীয ইবন বায রহ. রচিত ﺍﻟﻌﻘﻴﺪﺓ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ গ্রন্থের (২৭) নং পৃষ্ঠা। [7] দেখুন: শায়খ আব্দুল আযীয ইবন বায রহ. রচিত ﺍﻟﻌﻘﻴﺪﺓ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ গ্রন্থের (২৭) নং পৃষ্ঠা। [a] ‘দুনিয়াবিমুখিতা’ বা ‘সংসারবিরাগী’ খৃস্ট ধর্মে একটি ইবাদতগত বিষয়। খৃস্টানগণ এ বিদ‘আতটি আবিস্কার করেছে। সুতরাং যখন তারা বলে, সেক্যুলার অর্থ, ‘সংসারবিরাগী নয়’ তখন তারা এর দ্বারা অর্থ নেয় যে, সে ইবাদতকারী নয়। মুসলিমরা মনে করে যে সংসারবিরাগী হওয়া বিদ‘আত। কিন্তু খৃস্টানরা এটাকে বিদ‘আত মনে করে না। তারা এটাকে তাদের সত্যিকার দ্বীন মনে করে। সুতরাং যখন কেউ বলবে যে, অমুক সংসারবিরাগী নয় তখন সে এর দ্বারা উদ্দেশ্য নেয় যে, লোকটি ইবাদতের ধার-ধারে না। ‘বিদ‘আত করে না’ এ অর্থ উদ্দেশ্য নেয় না। নাস্তিকতার উপর আভিধানিক বিশ্লেষণ ড. মুহাম্মদ যায়ন আল- হাদি রচিত ﻧﺸﺄﺓ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﻧﻴﺔ বা ‘সেকুলারিজম এর উৎপত্তি’ গ্রন্থ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। মূলঃ ধর্মনিরপেক্ষতা ও তার কুফল মুহাম্মদ শাকের আশ-শরীফ অনুবাদ : সানাউল্লাহ নজির আহমদ সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া শেয়ার করি Facebook 1 Twitter Tumblr Email This entry was posted in কুফর. Bookmark the permalink. ফেসবুকে পেইজ সরল পথ 19.7 ফেইসবুক সামাজিক প্লাগইন পছন্দ করুন সরল পথ Bahar Sarkar এবং অন্যান্য 2 জন- এর সাথে জুলাই 16 এতে 10:03am TRUE TRUE ইমেইল গ্রহণ ইমেইলের মাধ্যমে সর্বশেষ আপডেট ও নতুন পোস্ট গ্রহণ করুন Join 243 other followers সাইন আপ আর্টিকেল সমূহ অডিও (1) অনুপ্রেরণাদায়ী ঘটনা (16) আখেরাত (8) আত্মশুদ্ধি (3) আল-কুর'আন (12) আসাবিয়াহ (1) ইতিহাস (11) ইবাদত (12) ইসলাম এবং প্রচলিত প্রথা (28) ইসলাম এবং প্রচলিত ভুল ধারনা (20) ইসলাম ও অন্যান্য ধর্ম (4) ইসলাম ও মুসলিম (12) ইসলাম ও সমাজ (42) ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি প্রশ্নের জবাব (ডা: জাকির নায়েক এর লেকচার) (19) ঈমান (51) উপদেশ (51) কবীরা গুনাহ (1) কালোত্তীর্ণ রচনাবলী (5) কিতাবুত তাওহীদ (3) কিয়ামত (2) কুফর (3) কোরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান (21) খোলাফায়ে রাশেদীন (3) গণতন্ত্র (2) গল্প সম্ভার (5) জান্নাত জাহান্নাম (4) জ্ঞানের মণি মুক্তো (9) তাওহীদ (20) তাওয়াক্কুল বা আল্লাহর উপর ভরসা (8) ধৈর্য্যধারণ (5) পিতামাতাদের জন্য (6) প্রশ্ন উত্তর (19) বই (17) বিদ'আত (18) বিবিধ (28) ব্যক্তিত্ব (1) ভিডিও গ্যালারি (16) মুসলিম উম্মাহ (6) রোযা (12) শিশু কিশোরদের জন্য (1) শুধুমাত্র নারীদের জন্য (7) সন্তানদের জন্য (2) সালাহ/নামায (3) স্বপ্ন (3) হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম (11) হাদীস (18) সর্বমোট 301,000 বার দেখা হয়েছে শীর্ষ পোস্ট ও পাতাগুলো লাইলাতুল কদর (প্রশ্নোত্তর) তাহাজ্জুদ নামাজ :বান্দাদের প্রতি আল্লাহ পাকের অসাধারণ একটি উপহার ডাউনলোড করুন আল-কোরআনের বাংলা অনুবাদ আপনার যে কোন জাভা সমর্থিত মোবাইলে আল-ওয়াহান; মুসলিমদের একটি ঘাতক ব্যাধি সূচীপত্র রামাদানের উপহার - হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম রজনী 'লায়লাতুল কাদর' যে ব্যক্তি মানুষ হাসানোর জন্য মিথ্যা বলে তার জন্য ধ্বংস! রোজার মাকরুহ(অপছন্দনীয়) ও মুবাহ (বৈধ) বিষয়সমূহ রামাদানে পালিত কতিপয় ভ্রান্তিপূর্ণ কাজ ভিডিও

Tuesday, July 22, 2014

মাহমুদুর রহমানের কলাম:বল্গাহীন দূর্ণীতি

mamdur-sml.jpg মন্তব্য প্রতিবেদন : বল্গাহীন দুর্নীতি ও ম্রিয়মাণ টিআইবি মাহমুদুর রহমান ২০০৯ সালের ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ। সহকর্মী জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এম. আবদুল্লাহ্ জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কিছু কাগজপত্র হাতে খানিকটা উত্তেজিত হয়েই আমার অফিস কক্ষে এলেন। কাগজ-পত্র ঘেঁটে দেখলাম, পাঁচ মিলিয়ন ডলার (৪১ কোটি টাকা) ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের তদন্ত নিয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং পেট্রোবাংলার মধ্যে চিঠি চালাচালি চলছে। অভিযোগের তীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক এলাহী চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকে। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, সচিব এবং পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের মন্তব্যসহ আমি সংবাদটি ছাপার অনুমতি দিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তখন দোর্দণ্ড প্রতাপে রাষ্ট্র চালাচ্ছে। জনগণের সঙ্গে সরকারের মধুচন্দ্রিমার উষ্ণতা তখনও পুরোপুরি শীতল হয়নি। বেশ ক’জন সহকর্মী সংবাদটি ছাপানোর বিপদ সম্পর্কে আমাকে সাবধান করেছিলেন। সত্য কথা বলা এবং লেখায় কারও সাবধানবাণীতে কর্ণপাত করা বরাবরই আমার স্বভাববিরুদ্ধ। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরের ১৭ তারিখে মহাজোট আমলের প্রথম দুর্নীতি সংক্রান্ত সংবাদ আমার দেশ পত্রিকায় ছাপা হলো। খবর ছাপা হওয়া মাত্র মৌচাকে ঢিল পড়ল। জেলায় জেলায় আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং কুশপুত্তলিকা দাহের প্রতিযোগিতা আরম্ভ হলো। আগে জানতাম, মানহানির মামলা কেবল সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরাই করতে পারেন এবং সেটাও একটিমাত্র মামলাই। ‘স্বাধীন’ বিচার বিভাগের জামানায় আমার জানাটা ভুল প্রমাণিত হতে সময় লাগল না। একে একে একই অভিযোগে ছাব্বিশটি মামলা দায়েরের বিশ্ব রেকর্ড তৈরি হলো। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের লিখিত নির্দেশে প্রশাসনের তাবত্ অংশ একসঙ্গে আমাকে জন্মের মতো শিক্ষা দেয়ার অতীব গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কার্য সম্পাদনে ঝাঁপিয়ে পড়ল। তার পরের ইতিহাস দেশবাসী জানেন। আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ এবং আমাকে জেলে পুরে সরকার এদেশে দুর্নীতিবিরোধী সব কণ্ঠ রোধ করতে চেয়েছিল। প্রশাসনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের মাননীয় বিচারপতিরাও আমাকে নজিরবিহীনভাবে সাজা দিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। তারা আশা করেছিলেন আমার করুণ পরিণতি দেখার পর বাংলাদেশের আর কোনো নাগরিক অন্যায়ের প্রতিবাদে সাহসী হবে না। কিন্তু, তারা ইতিহাসের শিক্ষা ভুলে গিয়েছিলেন। সরকারের সাড়ে তিন বছর অন্তে আজ দেখা যাচ্ছে, আমি জেল খেটেছি বটে, তবে মহাজোট সরকারের যাবতীয় অপকর্মের কেচ্ছা সারা বিশ্বের গণমাধ্যমে আলোচনার খোরাকে পরিণত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে অবশ্য মন্ত্রী-এমপিরা জনগণের অর্থ নির্বিচারে লুণ্ঠন করে সম্পদের পাহাড় গড়লেও বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে। বর্তমান অবস্থা অব্যাহত থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই কেবল রাজস্ব ব্যয় মেটানোর জন্যই দেশ-বিদেশে ভিক্ষাপাত্র হাতে অর্থমন্ত্রীকে ঘুরে বেড়াতে হবে। ভবিষ্যত্ উন্নয়ন কর্মসূচির অর্থায়নের হাল পদ্মা সেতুর অবস্থা থেকেই সবার বোঝা উচিত। অনেক টানাপড়েনের পর গত শনিবার দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সঙ্গে পদ্মা সেতু অর্থায়ন চুক্তি বাতিল করতে বলা চলে একরকম বাধ্যই হয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে বিশ্বব্যাংকের কর্তাব্যক্তিরা পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি তদন্তে বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দিয়ে যাচ্ছিল। ওদিকে কানাডীয় পুলিশ সেদেশের বিশ্বখ্যাত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের অফিসে অভিযান চালিয়ে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর বিশ্বব্যাংককে দুর্নীতির বিষয়ে সম্যক অবহিত করেছিল। সরকার বা বিশ্বব্যাংক কোনো পক্ষই সেই দুর্নীতিতে বাংলাদেশের কারা কারা জড়িত সে বিষয়ে আজ পর্যন্ত সরাসরি মুখ না খুললেও বিভিন্ন সূত্র থেকে শোনা যাচ্ছিল, কেবল সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনই নন, ঘুষ দাবি অথবা লেনদেন প্রক্রিয়ায় সরকারের আরও ওপরের ক্ষমতাশালীরাও জড়িত। ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে পরামর্শক নিয়োগে মোটামুটি দশ শতাংশ ঘুষের নাকি রফা হয়েছিল। ঘুষের এই হারকে ক্ষমতাসীনদের স্ট্যান্ডার্ড ধরে হিসেব কষলে এক পদ্মা সেতু থেকেই প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। বিএনপির দুর্নীতিবাজদের মতো আওয়ামী লীগ যে ছিটেফোঁটায় সন্তুষ্ট হয় না, সেটা এবারের সাড়ে তিন বছরের মেয়াদে তারা বহু ঘটনায় জনগণের কাছে প্রমাণ দিয়েছে। মাশাল্লাহ্ গলার জোরও যে আওয়ামী নেতাদের অনেক বেশি, সে বিষয়টি বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রতিদিনই টেলিভিশনে দেখাচ্ছেন। বিএনপি আমলে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন গ্যাস কোম্পানি নাইকো’র কাছ থেকে কেবল একটি গাড়ি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে ব্যবহারের জন্য নিয়ে মন্ত্রিত্ব হারিয়েছিলেন। এর বাইরে এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অপ্রমাণিত অভিযোগ হলো, বিদেশ ভ্রমণকালে ওই কানাডীয় কোম্পানির কাছ থেকেই তিনি নাকি মাত্র ৫ হাজার ডলার (চার লাখ টাকা) রাহা খরচ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। এতেই দুদকের লাফালাফি দেখে কে! অপরদিকে সুরঞ্জিত বাবুর এপিএস রাতদুপুরে ঘুষের ৭০ লাখ টাকা (দুষ্ট লোকে বলে টাকার প্রকৃত অংক কয়েক কোটি) মন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার সময় গাড়ি চালকের সাহসিকতায় বমাল ধরা পড়লেও এককালের বাম নেতা এখনও জনগণের টাকায় মন্ত্রীর ফ্ল্যাগ উড়িয়ে চলেছেন। দুই কান কাটাদের আধিক্যের ফলেই রাজনীতির আজ এই হতশ্রী দশা। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সুপুত্র মাত্র ষাট হাজার টাকা নিজের পুঁজি নিয়ে (!) নগদ পাঁচ কোটি টাকায় টেলিকম লাইসেন্স নিয়েছেন। মন্ত্রীপুত্রের দাবি, লোকজন তাকে নাকি শুধু ভালোবেসে এই বিপুল অংকের অর্থ ঋণ দিয়েছে। সরকারের লেজুড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ ‘স্বাধীন’ দুদক সুরঞ্জিতপুত্রের সেই ভালোবাসার দাবি মেনে নিয়ে এরই মধ্যে মন্ত্রীকে সচ্চরিত্রের সার্টিফিকেট দেয়ার আয়োজনও প্রায় সম্পন্ন করেছে। একই দুদক অবশ্য এর আগে পদ্মা সেতু ইস্যুতেই মন্ত্রী আবুল হোসেনকেও সততার সার্টিফিকেট দিয়েছে। আমার পরিচিত এক অধ্যাপক চেয়ারম্যান গোলাম রহমানের দুদককে ‘আওয়ামী লীগের ধোপা’ নামকরণ করেছেন। ক্ষমতাসীন দলটির মন্ত্রী-এমপিদের গায়ে লেগে থাকা দুর্নীতির কালিমাগুলো পরিষ্কার করে তাদের সাদা করে দেয়াই নাকি প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম প্রধান কাজ। অধ্যাপক মহোদয়ের রসবোধে আমি চমত্কৃত হয়েছি। পদ্মা সেতু প্রকল্প বাতিলের ঘোষণা দিয়ে বিশ্বব্যাংক যে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেছে, তার মর্মার্থ অর্থাত্ ইংরেজিতে যাকে between the line meaning বলা হয়ে থাকে সেটি বুঝতে পারলে বাংলাদেশের ভবিষ্যত্ ভেবে যে কোনো নাগরিক আতঙ্কিত বোধ করবেন। সেই বিবৃতি থেকে কয়েকটি লাইন এখানে উদ্ধৃত করছি : The world bank has credible evidence corroborated by a variety of sources which points to a high level corruption conspiracy... (বিশ্বব্যাংকের কাছে কয়েকটি উত্স দ্বারা সমর্থিত বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে যে উচ্চ পর্যায়ে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়েছে ...) The world bank provided evidence from two investigations to the Prime minister, as well as the minister of Finance and the Chairman of the Anti Corruption Commission of Bangladesh (ACC) in September 2011 and April 2012. (বিশ্বব্যাংক দুটি ভিন্ন তদন্তের মাধ্যমে প্রাপ্ত প্রমাণাদি প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও দুদক চেয়ারম্যানের কাছে সেপ্টেম্বর ২০১১ এবং এপ্রিল ২০১২ তারিখে হস্তান্তর করে) In an effort to go the extra mile, we sent a high level team to Dhaka to fully explain the Bank’s position and receive the Government’s response. The response has been unsatisfactory. (বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ছাড় হিসেবে এক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল ব্যাংকের অবস্থান ব্যাখ্যা এবং সরকারের জবাব পাওয়ার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। সরকারের জবাব সন্তোষজনক হয়নি।) The World Bank cannot, should not, and will not turn a blind eye to evidence of corruption. We have both an ethical obligation and fiduciary responsibility to our shareholders and IDA donor countries. (দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার পর বিশ্বব্যাংক চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না, থাকা উচিত নয় এবং থাকবে না। আমাদের নৈতিক দায়বদ্ধতা এবং ব্যাংকের অংশীদার ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্রগুলোর কাছে আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে।) বিশ্বব্যাংকের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, পদ্মা সেতু দুর্নীতিতে এ দেশের শাসকগোষ্ঠীর ওপর মহলের হাত রয়েছে এবং প্রায় এক বছর আগেই দুর্নীতির প্রমাণাদি প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও দুদক চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কাজেই পদ্মা চুক্তি অর্থায়ন বাতিলের দায় দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিবর্গসহ এই তিন ব্যক্তি এড়াতে পারেন না। এখন মুখরক্ষার জন্য সরকার বায়বীয় মালয়েশীয় বিনিয়োগ নিয়ে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে। মালয়শিয়ার প্রস্তাব বাংলাদেশের জন্য প্রচণ্ড ব্যয়বহুল হওয়া সত্ত্বেও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জাতিকে ধোঁকা দেয়ার জন্য দাবি করছেন যে, বিশ্বব্যাংক ঋণের চেয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পে মালয়েশীয় অর্থায়ন নাকি সাশ্রয়ী হবে। বাণীর রাজা নামে খ্যাত এই মন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণকে সম্ভবত একেবারেই মূর্খ ও নির্বোধ বিবেচনা করেন। বিশ্বব্যাংকের যে কোনো ঋণে সর্বোচ্চ সুদের হার ০.৭৫ শতাংশ এবং সচরাচর ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে সেই ঋণ পরিশোধ করতে হয়। একমাত্র সরাসরি অনুদান ছাড়া অন্য কোনো সূত্র থেকে এর চেয়ে সুলভে ঋণ পাওয়ার অন্য কোনো উপায় আমার অন্তত জানা নেই। তথাকথিত মালয়েশীয় বিনিয়োগ সম্পর্কে এ পর্যন্ত পত্রপত্রিকায় যেসব তথ্য-উপাত্ত প্রকাশিত হয়েছে, তার ভিত্তিতে দেশের সব অর্থনীতিবিদই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, ওদের শর্ত মেনে নিলে পদ্মা সেতুর ব্যয় তিন থেকে চার গুণ বৃদ্ধি পাবে। এতদিন সততার ডঙ্কা বাজিয়ে ওবায়দুল কাদের অবশেষে স্বমূর্তিতে আবির্ভূত হয়েছেন। এদিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদকারী প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পদ্মা সেতু ইস্যুতে সবাইকে চমকে দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তারা এক তাত্ক্ষণিক বিবৃতিতে শাসকগোষ্ঠীর বল্গাহীন দুর্নীতির সমালোচনার পরিবর্তে বিশ্বব্যাংককেই অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ড. ইফতেখারুজ্জামান এই প্রসঙ্গে বলেছেন, অর্থায়ন বন্ধ করে সরকার ও দেশের মানুষকে কষ্ট দেয়ার অধিকার বিশ্বব্যাংকের নেই। টিআইবি পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির একটি বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও দাবি জানিয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই টিআইবিই গত বছর তাদের এক প্রতিবেদনে বিচার বিভাগকে বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের ‘মর্যাদা’ দান করেছিল। সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের লোকজন দিয়ে দুর্নীতি তদন্তের দাবির চেয়ে স্ববিরোধী প্রস্তাব আর কী হতে পারে? আর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা? মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের এ বছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ বিচার বিভাগের যাবতীয় দুর্বলতা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেছে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগে রাজনৈতিক দলীয়করণ এমন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সেখানে বিরোধী দলের লোকজন কিংবা ভিন্ন মতাবলম্বীদের সুবিচার প্রাপ্তির আর কোনো পরিবেশ অবশিষ্ট নেই। এহেন বিচার বিভাগীয় তদন্তের পরিণাম স্বাধীন দুদকের তদন্তের চাইতে ভিন্নতর কিছু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। মাঝখান থেকে মন্ত্রী আবুল হোসেনের ফুলের মতো চরিত্রের আরও একটি সনদপ্রাপ্তির সুব্যবস্থা হয়ে যাবে। দেশের অধিকাংশ নাগরিক যখন সরকারের দুর্নীতির বহরে লজ্জায় অধোবদন, সেই সময় বিভ্রান্তিকর সব প্রস্তাব উত্থাপন করে টিআইবি তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। অবশ্য টিআইবি’র বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড সম্পর্কে ধারণা থাকলে তাদের বিবৃতি অথবা দুর্নীতিপরায়ণ মহাজোট সরকারের ত্রাতার ভূমিকায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ড. ইফতেখারুজ্জামানের অবতীর্ণ হওয়ার পেছনের কারণ বুঝে ফেলা শক্ত নয়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বর্তমান চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল চক্রবর্তী আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন হিসেবেই সারাদেশে সুপরিচিত। তিনি ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের পছন্দের ব্যক্তিরূপে ড. ইয়াজউদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে সেই সরকার থেকে পদত্যাগকারী চারজন উপদেষ্টার অন্যতম ছিলেন সুলতানা কামাল চক্রবর্তী। সেই পদত্যাগের পথ ধরেই এক এগারোর সামরিক অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডের আর একজন প্রভাবশালী সদস্যের নাম অ্যাডভোকেট তৌফিক নেওয়াজ। বাংলাদেশের এই বিশিষ্ট আইনজীবীর আরও একটি পরিচয় হলো, তিনি আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিজ দীপু মনির স্বামী। আপন স্ত্রী যে সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সেই সরকারের দুর্নীতির বিষয়ে তার ভূমিকা কী হতে পারে সেটি নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। একই ট্রাস্টি বোর্ডে আছেন সাবেক চিফ ইলেকশন কমিশনার ড. শামসুল হুদা। ২০০৮ সালের ডিজিটাল নির্বাচনের এই প্রধান ব্যক্তি মইনউদ্দিন জামানায় বিএনপিকে বিভক্ত করার ‘মহত্’ কাজে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন। সাবেক এই আমলা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালনকালে চারদলীয় জোট সরকারের প্রতি গণমাধ্যমের কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছিলেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার সরকার তার মেধার যথোপযুক্ত মূল্যায়ন করেনি। এহেন একজন দলবাজ টিআইবিতে থেকে যে আওয়ামী লীগের স্বার্থের পক্ষেই প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করবেন, সেটা বুঝতে কারও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। টিআইবি’র বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ডের সেক্রেটারি জেনারেল, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের আওয়ামী লীগ প্রীতির ব্যাপারটিও শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মোটামুটি জানা রয়েছে। এই ক’জন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডে অন্য যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তি রয়েছেন, তাদের মধ্যেও আওয়ামীপন্থীদের সংখ্যাধিক্য চোখে পড়ার মতো। সুতরাং বিএনপি সরকারের সময় টিআইবি দুর্নীতির বিরুদ্ধে যতখানি আদর্শিক ও নৈতিক অবস্থান প্রদর্শন করেছিল, শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বকালে সেটি তাদের কাছে আশা করাটাই বোকামি। তাছাড়া স্মরণে রাখা দরকার, টিআইবিতে এখনও ড. মোজাফফর আহমেদের মতো ব্যক্তির শূন্যতা পূরণ হয়নি। বাংলাদেশের সুশীল (?) সমাজের এক বিরাট গোষ্ঠীর নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার কারণেই এদেশে সিভিল সোসাইটি মুভমেন্ট পাশ্চাত্যের মতো বিকশিত হতে পারেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের রাজনীতিতে সুশীল (?) সমাজকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালালেও এই কারণেই আজ পর্যন্ত তাদের প্রচেষ্টা দেশের সাধারণ নাগরিকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। পদ্মা সেতু দুর্নীতি নিয়ে টিআইবি’র এবারের বিতর্কিত অবস্থান কেবল সুশীল (?) সমাজকেই যে নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করবে তাই নয়, এদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ নাগরিকের স্বতঃস্ফূর্ত লড়াইকেও দুর্বল করে ফেলবে। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে যদি টিআইবি’র দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে সমস্যা হয়, তাহলে সবিনয়ে অন্তত তাদেরকে নীরব থাকতেই অনুরোধ জানাব। মহাজোট সরকারের গত সাড়ে তিন বছরের অপশাসনকালে টিআইবিকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগের তুলনায় নিষ্ক্রিয় ঠেকেছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদের বাকি দেড় বছরও তারা একটি দীর্ঘ শীতকালীন নিদ্রা (যরনবত্হধঃরড়হ) দিলে সবারই মঙ্গল হবে। বাংলাদেশের সচেতন দেশপ্রেমিক জনগোষ্ঠী দুর্নীতিপরায়ণ শাসকশ্রেণীর বিরুদ্ধে তাদের লড়াইয়ে টিআইবি মার্কা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা ছাড়াই ইন্শাআল্লাহ বিজয় লাভ করবে। ই মেইল : admahmudrahman@ gmail.com

Monday, July 21, 2014

এলিয়েন বলতে কিছুই নেই

দৃশ্যপট→১ _______ বিজ্ঞানীরা বহুদিন যাবত্‍ পৃথিবীতে তাদের আবিষ্কার দিয়ে রাজত্ব করে যাচ্ছেন!থিওরির জনক হচ্ছেন। জ্ঞান বিজ্ঞানে মানুষকে উচ্চস্তরের করে তুলছে। তারা যেমন রোগ নিরাময় ঔষধ আবিষ্কার করছেন ঠিক তেমনি ব্যবসা করার জন্য আবার বড় বড় প্রাণঘাতি রোগ ও মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন। আপনারা জানলে আশ্চর্য হবেন যে HIV ভাইরাসটিও বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার! আর এটি ছিল বানরের রোগ আর এই বানরের ভাইরাসটি তারা ভ্যাকসিনের মাধ্যমে আফ্রিকা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছিল।আর এর মূল কারন ছিল কালোদের প্রতি সাদা চামড়ার বিদ্বেষ। আফ্রিকান ঐ শিশুদের ভেতর ঐ রোগ ছড়িয়ে দেওয়ার আরো একটি কারন হল "ব্যবসা"! HIV ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যমে বিজ্ঞানীদের কি ব্যবসা ছিল তা এই প্রবন্ধের শেষের দিকে আলোচনা করা হবে। হ্যা যা বলছিলাম,বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর বুকে বহু কিছু আবিষ্কার করেছেন,বহু থিওরির জনক হয়েছেন ,এক কথায় পৃথিবীটাকে মানুষের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছেন। মানুষ এখন আকাশে পাড়ি জমায়,বিমানে মেঘের দেশে ভেসে বেড়ায়,চাঁদে উঠে ,এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের খবর নেয় ,ইন্টারনেট এসে পৃথিবীটাকে আরো সহজ করে দিয়েছে।এই আমি যে যন্ত্রটা দিয়ে প্রবন্ধটা লিখছি এটাও কিন্তু একজন বিজ্ঞানীরই অবদান!রোবট,মোবাইল,কম্পিউটার ,ল্যাপটপ,প্রিন্ট মেশিন,ফ্রিজ ,টিভি,স্যাটেলাইট,বেতার,পরমানু শক্তি যা বলেন সবই তো বিজ্ঞানীরাই আমাদের উপহার দিয়েছেন। *বিজ্ঞানীরা যেমন পৃথিবীটাকে মানুষের হাতের মুঠোয় করে দিয়েছেন,মানুষের পরিপূর্ণ জ্ঞানঅর্জনে সাহায্য করেছেন ঠিক তদ্রুপ মানুষকে বোকা বানিয়েছেন!হ্যা সেটা এলিয়েন! এলিয়েনে বিশ্বাস আমাদের তরুণ প্রজন্মের ছেলেদের মাথায় এমন ভাবে গেঁথেছেন যে তা আর উপড়ে ফেলা সম্ভব নও। আদতে এলিয়েন বলতে কিছু এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে নাই।যে গুলো বিজ্ঞানীরা এলিয়েন নামে অভিহিত করছে ওগুলো আসলে জ্বীন।
→এখন আপনি বলতে পারেন,তোমার একথার যৌক্তিকতা কি? কিন্তু আপনার মনে কখনো এ প্রশ্ন আসবেনা, বিজ্ঞানীরা যে এলিয়েনের কথা বলছে তা কি আদতেই সত্য? →বিজ্ঞানীরা যে ফ্লায়িং সসার গুলোর কথা বলছে সেটা কি সত্যিই নাকি গুজব? →বিজ্ঞানীরা যে মঙ্গল গ্রহে ইদুর দেখেছে সেটা কি সত্যিই?
না আপনি সে কথা নিজেকে একটিবারের জন্য ও প্রশ্ন করেনি। কেন করেননি? উত্তর একটাই আপনি বিজ্ঞানীদের প্রতি অন্ধ বিশ্বাসী ।আর আপনার এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই বিজ্ঞানীরা আপনাকে বোকা বানাচ্ছে! *অনেক দিন আগে আমারব্লগ.কম এ একটি প্রবন্ধ পড়েছিলাম। যেখানে লেখক বলেছেন,হাজার হাজার বছর আগে এলিয়েনরা পৃথিবীতে আসত এবং মানুষকে বোকা বানিয়ে তাদের ঈশ্বর সাজতেন।মাঝে মাঝে এলিয়েনের রাজা বাদশাহ্রা তাদের দূত কে পাঠাতেন যাদের কিনা মানুষ ফেরেশতা ভাবতেন।আর মানুষকে তারাই বলে দিতেন যে সৃষ্টিকর্তা উপরে থাকেন,তাইতো মসজিদ মন্দিরগুলোর উপরের দিকে মিনার তৈরী। »আসলে লেখকের যে মাথায় গণ্ডগোল আছে তা তার প্রবন্ধ বলে দেয়!কেননা প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ ইমারত গুলো উর্ধ্বমুখি ভাবে বানানো হতো রোদ বৃষ্টি থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য।আর মিনারগুলো তৈরী করা হতো ইমারতের সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে তোলার জন্য। বর্তমানে যে ইমারত গুলো বানানো হয় তাও কিন্তু উর্ধ্বমুখি।বর্তমানের মানুষগুলো কিন্তু জ্ঞানী তারা কিন্তু এলিয়েনের কথায় ইমারত উর্ধ্বমুখি বানায়। আর যাদের লেখক এলিয়েন বলেছেন তারা কিন্তু এলিয়েন নও তারা ছিল দুষ্টু জ্বীন যারা কিনা প্যাগানদের ধোঁকা দিয়ে মূর্তিপূজা করাতো! বর্তমানে হিন্দুধর্মাবলম্বীরা এখনো ঐ মৃত জ্বীনদেরই পূজা করে। আপনি জ্বীন জাতীর ইতিহাস পড়লে জানবেন যে বর্তমান বিজ্ঞানীরা এলিয়েনদের যে চেহারার বর্ণনা দিচ্ছেন তার সাথে ঐ দুষ্টু জ্বীনদের চেহারার সাদৃশ আছে। ঐ দুষ্টু জ্বীনরা একেকটা ছিল একেক রকম,কোনটা লম্বাটে অথবা বড় মাথার,কোনটা মানুষ অথবা কুমির আকৃতির আবার কোনটা ছিল হাতির মত শূর ওয়ালা। আসুন এক নজরে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত এলিয়েনদের সম্বন্ধে কিছু জেনে নিই, বিজ্ঞানীদের মতে এলিয়েনস ৩ প্রকার এবং ৩ চেহারার যথা, alion5.jpg ১/গ্রে এলিয়েন।(দেখতে অনেকটা গুইসাপের মতো,পিঠে খাঁজ কাঁটা খাঁজ কাঁটা আছে,বিজ্ঞানীদের দাবী এরা মানুষের ক্ষতি করে,এরা নাকি মানুষ গুম ও করে! alion5.jpg ২/র্য্যাপ্টিলিয়ানস এলিয়েন।(দেখতে অনেকটা ধাতব বাক্সের মতো অথবা মাথাটা রোবটের মতো।বিজ্ঞানীদের দাবী এরাও মানুষকে গুম করে mozaddid_117722491951cb3b514a6541.241994 ৩/হ্যিউম্যান টাইপ।(দেখতে ঠিক মানুষের মতো তবে বিজ্ঞানীদের দাবী এরা মানুষের থেকে অনেক ফর্সা হয়ে থাকে এবং এরাই নাকি একমাত্র এলিয়েন যারা মানুষের কোন ক্ষতি করেনা।) জেনে নিলেন তো তো এলিয়েনদের সম্বন্ধে কিছুটা? ছোট বেলায় আমি আবার ঠাকুর মার ঝুলি দেখতে পছন্দ করতাম। শাকচুন্নির একটা গল্প ছিল যেটা দেখে আমি ভয় পেতাম প্রচুর! শাকচুন্নির প্রতি আমার এমন বিশ্বাস জন্মেছিল যেটা ক্লাশ এইট পর্যন্ত কাজ করেছে মাথায়। পরে যখন মাথায় একটু জ্ঞানবুদ্ধি হলো তখন নিজের প্রতি একটু লজ্জা হল আমার হায় হায় কল্পনার গল্পটা কিভাবেইনা আমার মাথায় এঁটে ছিল !এখনো হাসি পায় আমার সে কথা মনে পরলে। এলিয়েন বিশ্বাসটাও তদ্রুপ একবার মাথায় ঢুকে গেলে আর রক্ষে নেই।আপনার হাজার কিলোর মগজটাকে ধোলাই করে ছেড়ে দিবে তাতে কোন ভূল নেই। আর যদি এটাকে মাথা থেকে ঝাটা মেরে ফেলে দিতে পারেন তবে পাবেন রক্ষা। নিজে নিজেকে মুক্ত চিন্তার ধারক বাহক ভাবেন আবার নিজেই মনে মনে বিজ্ঞানীদের তৈরী এলিয়েনের উপর পূর্ণ অন্ধবিশ্বাস রাখেন তো আপনাকে কি আমি মুক্ত চিন্তার ভাবতে পারি? না কখনোই না। বিজ্ঞানীদের দাবী তারা মহাকাশে এলিয়েন জান ইউ এফ ও (UFO)দেখেছেন যাতে তাদের এলিয়েনদের প্রতি পূর্ণ আস্থা এসেছেন! (বিজ্ঞানীদের ছবিগুলোতে UFO দেখতে মেঘের মতো তবে লালচে) চলবে.....

Friday, July 18, 2014

মানবতা যখন মাদকাশক্ত

10462907_1499844716917387_78176765695803 উপরের ছবিটা দেখে দয়ামায়াহীন লোকের ও একটু হলে হৃদয়টা কেঁপে উঠবে। উপরের শিশুটা ইসরাইলের বিমান হামলায় শহীদ হয়েছে। ঘরের ভেতর বোধ হয় একাই ছিল বেচারি কন্যা শিশুটি আর শেষে পোহাতে হল পৃথিবীর জঘন্যতম মৃত যন্ত্রনা। এই শিশুটির পিতা অথবা মাতা যদি কেউ বেঁচে থাকে তবে তার হৃদয়ের অবস্থা কেমন হবে? তারা কি সহ্য করতে পারবেন তার নিজ শিশু কন্যার এমন দৃশ্য? এমন দৃশ্য যদি ফিলিস্তিনের কোন সেনা ইসরাইলের কোন শিশুকে করত তবে তাদের হাজারটা ঘৃণা জানাতাম আমরা। শিশুরা নিষ্পাপ মাছুম তাদেরকে হত্যা করাটা কোন ধর্ম সাপোর্ট দেয়না।সাপোর্ট দেয়না কোন সুস্থ মষ্তিষ্কের মানুষ। এপর্যন্ত খবর পেলাম প্রায় ২০০এর উপর মানুষ শহীদ হয়েছেন যাদের কিনা অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছে দেড় হাজারের উপরে তাদের মধ্যেও অধিকাংশ নারী ও শিশু।আর অপহৃত যা হয়েছে তার ও সিংহ ভাগ শিশু। জাতিসংঘের একটি নথিপত্রে লেখা আছে,শিশু নির্যাতন এবং নারী নির্যাতন উভয়ই বন্ধ করতে হবে। আবার প্রত্যেকটা দেশেই নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আপনি আমাদের দেশে দেখুন নারী ও শিশু নির্যাতনের এমন কঠিনতর আইন যে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদন্ড! আবার জাতীসংঘ থেকে কড়াভাবে বলা হয়েছে,প্রত্যেকটা দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন অচীরেই বন্ধ করতে হবে। যেই জাতিসংঘ নারী ও শিশু নির্যাতনের বিপক্ষে এত্ত কথা বলে সেই জাতিসংঘই আজ ফিলিস্তিনের নারী ও শিশু হত্যায় নিরব ভূমিকা পালন করছে। আমি আগেই বলেছিলাম Humanrightএর Humanity হারিয়ে গিয়েছে ,Save The Children এর Humanity হারিয়ে গিয়েছে। Israeli strike 'kills Palestinian!Where is the lost Humanity? প্রত্যেক শিশুই নিষ্পাপ।এবং একেক জন একেকটি ফুল। ফিলিস্তিনের শিশুরা ফিলিস্তিনের ফুল আর ফিলিস্তিনের এই ফুলদের অকালে ঝড়িয়ে দিচ্ছে কিছু হায়েনা। আমরা জানি হিটলার হত্যা করেছিল ৬০লক্ষ ইহুদিকে যার জন্য কিনা তাকে পৃথিবীর সর্ব নিকৃষ্ট মানুষ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়।

Tuesday, July 15, 2014

গাজাকে মুক্ত হস্তে দান করুন Donate For Gaza Strip !!!!

debo2.jpg Donate For Gaza Strip ! ফিলিস্তিনের গাজার নির্যাতিত মুসলিমদের সহায়তা করার জন্য কিছু ভাই রাত দিন অন লাইনে পড়ে আছেন। ফেইসবুকে ইভেন্ট খোলা হয়েছে।তাদের এই প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। ফিলিস্তিনের মুসিলমদের কঠিন দিনে আমরা বাংলাদেশ থেকে কিছু সহায়তা যদি যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠাতে সক্ষম হই তাহলে এতে ক্ষতির কি আছে ? টাকা পাঠানোর ঠিকানা: গাজাকে মুক্তহস্তে দান করুন। Name of account: MUSLIM AID-DONATION AC Sort code: 30-94-21 Account number: 01436818 Iban (outside UK): GB25 LOYD 3094 2101 436818 অথবা তাদের ওয়েব সাইটে যান এখান থেকে অথবা, এখান থেকে —হে মুসলিম ভাই সকল দয়করে এই নিরীহ মুসলমানদের পাশে দাঁড়ান। কিয়ামতে এর প্রতিদান পাবেন লক্ষ ,লক্ষ,কোটি ,কোটি গুন।

গোয়েন্দা উকিল-১ম পর্ব

সজীবের কাছে ১টি টেলিগ্রাম এলো তার কোলকাতার বন্ধু সুবল দাসের । সজীব কিছুটা গুরুত্ব দিয়েই চিঠিটার ভাজ খুল্ল কেননা ১মাস বাদে কোলকাতা থেকে চিঠি দিয়েছে তার বন্ধু। এতদিন পর মনে পরল তাহলে শালার।মনে মনে বল্ল সজীব। সজীব চিঠিটার ভাজ খুলে চোখ ছানাবড়া করে ফেল্ল চিঠিতে লেখা, প্রিয় বন্ধু সজীব, আশাকরি ভালই আছো,আমার অবস্থা খুবই সোচনীয়।কাল ঘরে ঢুকে তোমার বৌদিকে পাচ্ছিলাম না,একপর্যায়ে খুঁজতে খুঁজতে আমাদের শো'বার ঘরের উপরে তাঁকাতেই আমি কিছুটা ভরকে গেলাম।দেখলাম তোমার বৌদি উপরের ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে ,গলায় শাড়ির আচল প্যাঁচানো ।দ্রুত

Monday, July 14, 2014

ইসরাইলের বর্বরতা দেখুন!(ভিডিও)Israeli strike 'kills Palestinian!

Israeli strike 'kills Palestinian! কোথায় হারালো Humanity? ভিডিও নং-১ Israeli strike 'kills Palestinian!Where is the lost Humanity?Video No. -1 10432113-930834030276715.jpg 10537313-930834410276677.jpg কোথায় গেল Humanrights? ভিডিও নং-২ Where Humanrights?Video No. - II debo.jpg কোথায় গেল Save The Children এর কর্মকর্তাদের Humanity ভিডিও নং-৩ Where Humanity Video of Save The Children's officials -3 debo.jpg কোথায় গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শান্তিপ্রতিষ্ঠার বড় বড় মুলো ঝুলানি কথা বার্তা? ভিডিও নং-৪ Where was the U.S. President Barack Obama's message santipratisthara jhulani big prices?Video No. -4 debo3.jpgz5AkFlAeCHE&rl=yes gaza-children-why-were-ki.jpg কোথায় গেলো মুসলিম রাষ্ট্রগুলো? কেউ কি নেই এই ইয়াতিমদের পাশে দাঁড়ানোর? কেউ নেই তাদের সাহায্য করার? ভিডিও নং-৫ Where were the Muslim states?Not one to stand beside this iyatimadera?There is no one to help them?Video No. -5 gaza-children-why-were-ki.jpg কেন এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে ইহুদি ইসরাইল? Why liberal Jewish Israel terrorist activities? debo2.jpg সময় হয়েছে ইসরাইলকে ধ্বংস করে দেয়ার সকল মুসলমান প্রস্তুত হও! It is time for all Muslims to destroy isarail be ready!

Sunday, July 13, 2014

মাহমুদুর রহমান

ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ mamdur-sml.jpg বুধবার , ১৬ জানুয়ারী, ২০১৩ Harunar Rashid এই সময়ে ১০:৩৬ pm মন্তব্য প্রতিবেদন : জনগণের কাছে ন্যায়বিচার চাই মাহমুদুর রহমান আজ বুধবার, ১৬ জানুয়ারি, ইংরেজি সাল ২০১৩। আমার অফিস বন্দিত্বের এক মাস ৩ দিন চলছে। এর মধ্যে এ মাসের ৮ তারিখে হাইকোর্টে একবার আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। আমার দেশ পত্রিকার নিয়মিত পাঠক মাত্রই জানেন, সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চ সেদিন দীর্ঘ শুনানি শেষে আমার আবেদন ফিরিয়ে দিয়ে সিনিয়র কোনো বেঞ্চে যাওয়ার মৌখিক পরামর্শ দিয়েছিলেন। অবশ্য যে লিখিত আদেশ পরদিন বিচারপতিদ্বয় দিয়েছেন, সেখানে বোধগম্য কারণে ‘সিনিয়র বেঞ্চ’ এই কথাটি আর রাখেননি। বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী এবং বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন তাদের আদেশে লিখেছেন, Let it go out of list with liberty to mention the matter before any other appropriate bench (আবেদনটি তালিকার বাইরে পাঠানো হোক এই স্বাধীনতা সহকারে যাতে অন্য কোনো উপযুক্ত বেঞ্চে উত্থাপন করা যায়)। হাইকোর্টে বেঞ্চ গঠনের সময় আদালতের গঠনবিধি অনুসারে প্রতিটি বেঞ্চের এখতিয়ার বিশদভাবে বর্ণনা করা থাকে। সাধারণত উচ্চ আদালতের সাপ্তাহিক ছুটি ব্যতীত যে কোনো দীর্ঘ ছুটির পরই হাইকোর্ট বেঞ্চ পুনর্গঠন করা হয়। এছাড়া প্রধান বিচারপতি চাইলে যে কোনো সময়ই বেঞ্চ নতুন করে গঠন করতে পারেন। এ বছরের শীতের ছুটির শেষে উচ্চ আদালত ২ জানুয়ারি থেকে খুলেছে। তার একদিন আগে অর্থাত্ ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন ২০১৩ইং সনের ১নং গঠনবিধি শিরোনামে হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ গঠন করেছেন। তার উপরোক্ত আদেশের ১৪ নম্বর সিরিয়ালে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী এবং বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের এখতিয়ার নিম্নরূপ : “একত্রে ডিভিশন বেঞ্চে বসিবেন এবং শুনানীর জন্য ডিভিশন বেঞ্চে গ্রহণযোগ্য ফৌজদারী মোশন; ফৌজদারী আপীল মঞ্জুরীর আবেদনপত্র এবং তত্সংক্রান্ত জামিনের আবেদনপত্র; মঞ্জুরীকৃত আপীল ও তত্সংক্রান্ত জামিনের আবেদনপত্র; ২০০৮ইং সন পর্যন্ত ফৌজদারী বিবিধ এবং ফৌজদারী রিভিশন ও রেফারেন্স মোকদ্দমাসমূহ এবং উপরোল্লিখিত বিষয়াদি সংক্রান্ত রুল ও আবেদনপত্র গ্রহণ করিবেন।” আইনি ভাষার কূট- কচালি বাদ দিলে মোদ্দা কথা আমার মতো নাগরিকের আবেদন শুনানির জন্য উল্লিখিত দ্বৈত বেঞ্চকে প্রয়োজনীয় সব এখতিয়ার দেয়া হয়েছে। তারপরও আমার জামিন আবেদন বিষয়ে মাননীয় বিচারপতিদ্বয় কেন তাদের বেঞ্চকে উপযুক্ত বিবেচনা না করে অন্য কোথাও যেতে আদেশ দিলেন? এই প্রশ্নের জবাব পেতে হলে সেদিনকার আদালতের বিচিত্র পরিস্থিতি বয়ান করতে হবে। জানুয়ারির ২ তারিখ আদালত খুললেও আমার জামিন আবেদনের শুনানি উল্লিখিত বেঞ্চ ৮ তারিখের আগে শুনতে সম্মত হননি। আমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী তার সাধ্যমত বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে সেই ১৩ ডিসেম্বর থেকে অফিসে অবরুদ্ধ রয়েছি, তাই শুনানি ৩ জানুয়ারি করা হোক। কিন্তু, আদালত অটল থেকে বলেছেন আগাম জামিন আবেদন শুনানির জন্য সপ্তাহের নির্ধারিত দিবস মঙ্গলবার ব্যতীত তারা আমার আবেদন শুনবেন না। এতে নাকি নিয়মের ব্যত্যয় হবে। অথচ বিশেষ ক্ষেত্রে মেনশনের দিনেই শুনানি হওয়ার ভূরি ভূরি নজির রয়েছে। তার মধ্য থেকে একটা প্রাসঙ্গিক উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। ২০০০ সালে ইনকিলাব পত্রিকার সম্পাদক এ. এম. এম. বাহাউদ্দীনের জামিনের শুনানি গ্রহণের জন্য রাত দশটায় প্রধান বিচারপতির নির্দেশে হাইকোর্টে বিশেষ বেঞ্চ বসানো হয়েছিল এবং তিনি সে রাতে আগাম জামিনও পেয়েছিলেন। সম্পাদক বাহাউদ্দীনের বিরুদ্ধেও তত্কালীন শেখ হাসিনা সরকার আমার মতোই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেছিল। এখন অবশ্য তার সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধুর সম্পর্ক রয়েছে। আমি মাওলানা মান্নানের পুত্র, ইনকিলাব সম্পাদকের মতো ভাগ্যবান নই তাই ৬ দিন অপেক্ষা করেই হাইকোর্টে গেলাম। পথিমধ্যে গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কা থাকায় আমার সহকর্মী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ এবং সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট আদিলুর রহমান খান আমার দেশ অফিস থেকে একই গাড়িতে উঠলেন। বর্তমান বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়া কোনো বিষয় নয়, ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমের মতো গুম হওয়াটাই অধিকতর আশঙ্কার। সেই জন্যই ছোটভাইসম দুই বন্ধু আমার সঙ্গেই আদালতে গেলেন। সাড়ে দশটায় আদালতে উঠতেই হতাশ হলাম। বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী জানালেন যে, শুনানি দুপুর দুটো পর্যন্ত মুলতবি থাকবে, কারণ ‘মহামহিম’ অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম স্বয়ং আসবেন জামিনের বিরোধিতা করতে। আর তার অভিপ্রায় উপেক্ষা করবে এমন ক্ষমতা কার? সরকার আমার মতো এক নগণ্য নাগরিককে এতখানি সম্মান দেয়ায় পুলকিত বোধ করলাম। আমার আইনজীবীরা দেখলাম খুবই আত্মবিশ্বাসী। সরকারের দায়ের করা মামলা এতই বানোয়াট যে পাঁচ মিনিটে জামিন হয়ে যাবে, ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি বাইরে কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও মনে মনে ঠিকই বুঝতে পেরেছিলাম ব্যাপারটা অত সহজ নয়। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে গঠিত বাংলাদেশের ‘স্বাধীন’ আদালত, যেখানে বেছে বেছে ‘সেরা’ ব্যক্তিদের ‘মাননীয়’ বিচারপতি পদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। আমি চাইলাম আর তারা জামিন আবেদন মঞ্জুর করে ফেললেন, এতখানি আশাবাদী হতে পারছিলাম না। শেষ পর্যন্ত বেলা আড়াইটায় শুনানি শুরু হলো। কোথায় গেল পাঁচ মিনিটে জামিনের আশাবাদ। সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী আমার বিরুদ্ধে সরকারের অভিযোগ যে কতটা মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, হয়রানিমূলক এবং বেআইনি সেটা বিভিন্ন ধারা উল্লেখপূর্বক দীর্ঘক্ষণ ধরে বলেই যাচ্ছেন। আর মাননীয় বিচারকদ্বয়ের একজন স্মিতমুখে এবং অপরজন দৃষ্টি সামনের ফাইলে নিবদ্ধ করে বিষম গাম্ভীর্যের সঙ্গে অসীম ধৈর্যসহকারে সেই নিবেদন শুনেই যাচ্ছেন। মনে হলো তারা সামান্য জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নয়, মূল মামলার রায় যেন আজই দিয়ে ফেলবেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর আমার পক্ষের আইনজীবী থামলেন। এবার অ্যাটর্নি জেনারেলের পালা। ততক্ষণ ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে আমার পা ব্যথা হয়ে গেছে। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার নিজস্ব রাজনৈতিক বাচনভঙ্গিতে জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে আধ ঘণ্টাখানেক বক্তৃতা দিলেন। তিনি বললেন, বিচারপতির সঙ্গে বিদেশে অবস্থানরত অপর এক ব্যক্তির চলমান মামলা সংক্রান্ত আলাপচারিতা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমিই নাকি মহা অপরাধ করে ফেলেছি যদিও হ্যাকিংয়ের সঙ্গে আমার কোনোরকম সম্পৃক্ততার প্রমাণ সরকারের কাছে নেই। সে সব বিষয় এখনও প্রাথমিক তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। বিচারপতির স্কাইপ সংলাপের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কোনো বিচারপতির এই আচরণ আইনসম্মত কিনা, আদালত সেটি জানতে চাইলে বিব্রত অ্যাটর্নি জেনারেল আমতা আমতা করে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের পদত্যাগী চেয়ারম্যানের পক্ষাবলম্বন করে কিছু একটা বলতে চাইলেন। আদালত কক্ষে উপস্থিত সবাই বুঝতে পারছিলেন যে, অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইছেন। তাছাড়া এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের আমার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন রুল দেয়া প্রসঙ্গেও অ্যাটর্নি জেনারেল কোনো যুক্তি খাড়া করতে ব্যর্থ হলেন। সেই বেআইনি রুল অবশ্য আপিল বিভাগ ইতোমধ্যে স্থগিত করে দেয়ায় অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলমের পক্ষে তার বিরোধিতা করাও সম্ভব হয়নি। বক্তব্যের শেষে তিনি আমার আদালত অবমাননার অভিযোগে সাজাপ্রাপ্তির পুরনো প্রসঙ্গ তুলে জামিন দেয়ার বিরোধিতা করলেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের আর্গুমেন্টে আমি কৌতুক বোধ করছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মামলার ধারা হলো রাষ্ট্রদ্রোহের, আর তিনি তুলছেন আদালত অবমাননার প্রসঙ্গ। অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে আমার জামিন আবেদন দাখিল নিয়েও অসত্য বক্তব্য দিলেন। আমার বিরুদ্ধে সরকার ১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়ের করলে আমি পরবর্তী কার্যদিবস অর্থাত্ সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে জামিন আবেদন দাখিল করি। অথচ অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম অম্লান বদনে দাবি করলেন, আমি নাকি ইচ্ছা করে ৮ জানুয়ারি জামিনের আবেদন করে মহা অন্যায় করে ফেলেছি। দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষ হলে আদালতের আদেশ দেয়ার পালা। আদেশ শুনে আদালতে উপস্থিত সবাই স্তম্ভিত। আমার মামলাটি নাকি এতই জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ যে, আদালত তাদের চেয়েও সিনিয়র কোনো বেঞ্চে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন। তালিকার মামলা দীর্ঘ দুই ঘণ্টা শুনানির পর উচ্চ আদালতের এমন আদেশ নজিরবিহীন। হাইকোর্টের বেঞ্চের এখতিয়ার সিনিয়র-জুনিয়র বিবেচনা করে নির্ধারিত হয় না। মাননীয় প্রধান বিচারপতি নিজ অভিপ্রায় অনুযায়ী সেটি নির্ধারণ করে দেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং অ্যাভভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী আদালতকে বিনীতভাবে অনুর োধ করলেন অন্তত পরবর্তী বেঞ্চে শুনানি না হওয়া পর্য ন্ত আমাকে যেন পুলিশ হয়রানি না করে এ ধরনের একটি মৌখিক আদেশ প্রদানের জন্য। কিন্তু আদালত সেই অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করে শুধু বললেন, আমরা দুঃখিত। পীড়াপীড়ি করে তাদেরকে আর বিব্রত না করারও অনুরোধ করলেন। এদিকে আদালতের সময়ও ততক্ষণে প্রায় শেষ। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলীর তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা। ওই আদালত থেকে ছুটে বেরিয়ে আমাকে এক রকম টানতে টানতেই নিয়ে গেলেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী এবং বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালতে। দুই মাননীয় বিচারপতি সেই মুহূর্তে অন্য একটি মামলা শুনছিলেন। শুনানির মাঝখানে কিছুটা প্রথা ভেঙেই ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আমাদের অসহায় অবস্থার প্রতি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। দৃশ্যত বিরক্ত হয়েই জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী বললেন, আপনাদের কথা কিছুই বুঝতে পারছি না, শুনানি যেটা চলছে শেষ হতে দিন, তারপর না হয় আপনাদের কথা শুনব। আমরা অপেক্ষা করতে থাকলাম। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই শুনানি শেষ হলে আদালত আমার পক্ষের আইনজীবীর কথা শুনতে চাইলেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী উত্তেজনা ও হতাশা যথাসম্ভব চেপে রেখে অতি সংক্ষেপে পূর্ববর্ত ী বেঞ্চের কাহিনী বর্ণনা করলেন। বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী সঠিকভাবেই আদালতের নিয়ম-কানুনের উল্লেখ করে দুই সিনিয়র আইনজীবীকে স্মরণ করিয়ে দিলেন যে, এভাবে হঠাত্ করে তাদের পক্ষে কোনো মামলা শোনা সম্ভব নয়। তালিকাভুক্ত কোনো মামলার আবেদন নিয়ে অন্য বেঞ্চে যাওয়ার আগে অবশ্যই প্রথমে আদালতের লিখিত আদেশ নিয়ে আসতে হবে। আমাকে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরীর আদালতে অপেক্ষা করতে বলে আমার অত্যন্ত শুভানুধ্যায়ী আইনজীবীদ্বয় আবার ছুটলেন বিচারপতি কামরুল ইসলাম চৌধুরীর কাছে। আমি ভাবলাম হয়তো আজই দ্বিতীয় আদালতে আবেদন পেশের সুযোগ পাব। প্রত্যাশা করছিলাম প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদের ফেরা পর্যন্ত নিশ্চয়ই বিচারপতিরা অপেক্ষা করবেন। আদালত সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জনের তখনও বাকি ছিল। ঘড়ির কাঁটায় ঠিক চারটা বাজতেই বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী এবং বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এত দ্রুততার সঙ্গে বেঞ্চ থেকে নেমে গেলেন যে, আমার ভয় হচ্ছিল মাননীয় বিচারপতিরা না আবার হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে আঘাত পান। আমার সঙ্গে বেশ কয়েকজন বিএনপি সমর্থক নবীন আইনজীবী ছিলেন। বিচারপতিদের এজলাস থেকে নেমে যাওয়ায় তাদের মুখমণ্ডলে স্পষ্ট হতাশার চিহ্ন দেখলাম। বেচারাদের চোখ বলছিল আমার গ্রেফতার বোধহয় আর ঠেকানো গেল না। কেন জানি না এইসব কাজ- কারবারে প্রচণ্ড হাসি পাচ্ছিল। আদালতে হাসা বারণ, কারণ তাতে আবার আদালত অবমাননা হয়। দ্রুত হাসি গিলে ফেলে সিদ্ধান্ত নিলাম তখনই পত্রিকা অফিসে ফিরব। কিন্তু, নাছোড়বান্দা শুভাকাঙ্ক্ষীরা অনে কটা জোর করেই আমাকে বার প্রেসিডেন্টের অফিসে নিয়ে তুললো। পাঁচ মিনিটের বেশি অবশ্য সেখানে ছিলাম না। লোকজন পরামর্শ দিচ্ছিল রাতের মতো কোনো এক আইনজীবীর কক্ষে পালিয়ে থাকতে। তাদের তখনও আশা পরদিন নিশ্চয়ই কোনো একটা আদালত আমার আবেদন শুনবেন। পরামর্শ শুনেই ঘৃণায় গা ঘিন ঘিন করে উঠলো। তরুণ ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে বেশ উচ্চস্বরেই বললাম, তোমরা ভুলে যাচ্ছ, আমি রাজনীতিবিদ কিংবা আইনজীবী নই। অনেকের মতো, মধ্যরাতে চুপিসারে আদালতে ঢোক া কিংবা ছদ্মবেশ ধারণ করা ইত্যাদি কাজ- কর্মে আমি মোটেই অভ্যস্ত নই। অনেকটা ধাক্কা দিয়ে সবাইকে সরি য়ে সুপ্রিমকোর্ট বার সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিনের কক্ষ থেকে বেরিয়ে এলাম। বাইরে তখন অগুনতি ক্যামেরা আমার দিকে তাক করে রয়েছে। সেগুলো দুই হাতে ঠেলে পথ করে নিয়ে সিঁড়ির কাছে পৌঁছে দেখি অ্যাডভোকেট আদিলুর রহমান খান অপেক্ষমাণ। কোনো কথা না বলে আমাকে অনুসরণ ের ইশারা করে দ্রুত পায়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে এলাম। আমার এক সহকর্মীকে বললাম গাড়ি খুঁজে বের করতে। চকিতে চারদিকে চেয়ে কয়েকজন সাদা পোশাকের পুলিশ দেখতে পেলেও পোশাকধারী কাউকে না দেখে অব াকই হলাম। বুঝলাম প্রশাসনও সম্ভবত ঘটনার এই আকস্মিকতার জন্য প্রস্তুত ছিল না। অনেকটা নিশিতে পাওয়া মানুষের মতো গাড়িতে উঠলাম। পেছনে আমি এবং আমার দেশ-এর রিপোর্টার মাহবুব ও বাছির জামাল। সামনের সিটে আদিলুর রহমান খান। কুড়ি বছর ধরে আমার গাড়িচালক বাদলকে বললাম সোজা কারওয়ান বাজার যেতে। আদিলকে বললাম রাস্তায় গ্রেফতার হলে মানবাধিকার কর্মী হিসেবে সেই ঘটনার সাক্ষী থাকতে। গাড়ি থেকে স্ত্রীকে ফোন করে সারাদিনের ঘটনা জানালাম। সৌভাগ্যক্রমে অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা লাগলো। আধ ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে গেলাম বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় ভবনের চত্বরে। ততক্ষণে আমার সব সহকর্মী সাংবাদিক ১১ তলার অফিস ছেড়ে নিচে নেমে এসেছে। আমি হাসিমুখে গাড়ি থেকে নামত েই একটা হর্ষধ্বনি উঠলো। অপেক্ষমাণ লিফটে চড়ে পৌঁছে গেলাম আমার দেশ কার্যালয়ে। সকাল সাড়ে আটটায় যে অবরুদ্ধ জীবন ছেড়ে গিয়েছিলাম আদালতে ন্যায়বিচারের অলীক প্রত্যাশায়, বিকাল পাঁচটার মধ্যে সেখানেই আমার প্রত্যাবর্তন ঘটলো। বাংলাদেশে কথিত আইনের শাসনের অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা দিনভর সঞ্চয় হলো। এতদিন জানতাম জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা নিষ্পত্তির জন্যই জনগণ উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়। হাইকোর্ট বেঞ্চের আজকের আদেশ শোনার পর থেকেই একটি প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতিরা যে মামলার গুরুত্ব ও জটিলতার কারণে কোনোরকম আদেশ দিতে বিব্রত হন, সেই মামলার বিচারকার্য সিএমএম কিংবা জেলা জজ আদালতের মতো নিম্ন আদালতে তাহলে কেমন করে চলবে, এই প্রশ্নের জবাব কার কাছে খুঁজব? সবচেয়ে বড় কথা, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার বর্তমান পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের সব বেঞ্চই যে আমার প্রতি একই রকম আচরণ করবেন না, তারই- বা নিশ্চয়তা কোথায়? আজই তো দুটো বেঞ্চে ছুটোছুটি করেও ন্যায়বিচার অধরাই থেকে গেল। আদালতের ৮ তারিখের রোমাঞ্চকর গল্প শেষ হলো। এবার আমার মামলা জনগণের আদালতে পেশ করার পালা। তাদের কাছ থেকে ন্যায়বিচার যে আমি পাবই, এ নিয়ে আমার মনে অন্তত কোনো সন্দেহ নেই। সপ্তাহ তিনেক আগে ‘এক অবরুদ্ধ চান্স সম্পাদকের জবানবন্দী’ শিরোনামে মন্তব্য- প্রতিবেদন লিখেছিলাম। সেই লেখায় সরকারের এই দেশদ্রোহ মামলার খানিকটা বিবরণ ছিল। দুই কিস্তির বর্তমান মন্তব্য প্রতিবেদনে প্রসঙ্গক্রমে সেখানকার কিছু তথ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটলে পাঠকের কাছে আগাম ক্ষমা চেয়ে রাখছি। (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি আগামী বুধবার) admahmudrahman@gmail.com

এলিয়েন কি সত্যিই আছে?

আমাদের দেশের এলিয়েন মনষ্কা ভাই বোনরা এই পোস্টটি মাথা ঠান্ডা করে পড়ুন।আর ভাবুন আমরা এলিয়েন বিশ্বাস করি কিসের ভিত্তিতে।আসলে এলিয়েন বলতে কিছু কি আছে নাকি পুরোটাই ভাওতাবাজি। এলায়েন বিজ্ঞানীরা নিজেদের মত করে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে নাতো? আল্লাহ পাক রাব্বুল আলআমিন দুনিয়াতে ১৮হাজার মাখলুকাত বানিয়েছেন তার ভিতরে মানুষই শ্রেষ্ঠ।কিন্তু বর্তমান কিছু বিজ্ঞান মহল এমন একটা উদ্ভট জিনিস নিয়ে নাড়াচাড়া দিয়েছেন যেটা মানলে ধর্মকে ছাড়তে হবে:-@।কিছু কিছু বিজ্ঞান মনষ্কা ছেলে মেয়েরা তো মেনেই নিয়েছে :-> ! ¤সেটা হল এলিয়েন বা ভিনগ্রহবাসী!বিজ্ঞানীদের দাবী এলিয়েন আছে এবং থাকবে,অথচ এলিয়েন যে আছে তার কোন প্রমাণ বা রেফারেন্স বিজ্ঞানীরা দিতে পারেনি।বিজ্ঞানীরা দাবী করে এলিয়েন মোট ৩ প্রকার।যথাঃ alion5.jpg ১/গ্রে এলিয়েন।(দেখতে অনেকটা গুইসাপের মতো,পিঠে খাঁজ কাঁটা খাঁজ কাঁটা আছে,বিজ্ঞানীদের দাবী এরা মানুষের ক্ষতি করে,এরা নাকি মানুষ গুম ও করে!:-P) ২/র্য্যাপ্টিলিয়ানস এলিয়েন।(দেখতে অনেকটা ধাতব বাক্সের মতো অথবা মাথাটা রোবটের মতো।বিজ্ঞানীদের দাবী এরাও মানুষকে গুম করে:'() mozaddid_117722491951cb3b514a6541.241994 ৩/হ্যিউম্যান টাইপ।(দেখতে ঠিক মানুষের মতো তবে বিজ্ঞানীদের দাবী এরা মানুষের থেকে ফর্সা হয়ে থাকে এবং এরাই নাকি একমাত্র এলিয়েন যারা মানুষের কোন ক্ষতি করেনা:-D)এদের মধ্যে নাকি একেকটা একেক রকম।কোনটা বাক্সের মতো:-Oকোনটা কুমিরের মতো:-Pআবার কোনটা নাকি মানুষের মতো%-)! এরা নাকি সসারে(বিজ্ঞানীদের দাবী সসার এলিয়েনের উড়োজাহাজ)করে পৃথিবীতে আসে। বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের(গোবর পঁচা বিজ্ঞানী) নাম তো নিশ্চই সবাই শুনেছেন,ইনি দাবী করেন এলিয়েন আছে কিন্তু তা আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।আজো অনেক মানুষ এলিয়েনে বিশ্বাসী অথচ এলিয়েন যে আছে তার কোন উপযুক্ত প্রমাণাতি বিজ্ঞান মহল দিতে পারিনি!তারা বলেন যে মহাকাশের গ্রহ নক্ষত্রের মতোই সত্য যে এলিয়েন আছে কিন্তু আমরা দেখিনাই। এই এলিয়েনই মানুষের মনে একটি ভ্রান্তির সৃষ্টি করে হাজার হাজার মানুষকে ধর্মচ্যুত্‍ করেছে:-(! অনেকে বলছেন যে তারা এলিয়েন নিজ চোখে দেখেছেন!এবং সসার ও দেখেছেন!কোথায় দেখেছেন,কি করে দেখেছেন তার কোন প্রমাণ ও অনেকের কাছে নেই।এ যেন মামু বাড়ির আব্দার যে আপনি বল্লেন আমি বাংলাদেশে হীরার ক্ষনি পেয়েছি,আর আমি তা বিশ্বাস করব। বিজ্ঞানীরা এড়িয়া ৫৬এর কিছু প্রাণী কেও এলিয়েন বলে।আবার নতুন সৃষ্ট হওয়া কিছু প্রাণীকেও এলিয়েন বলে ফেলে!কয়েক বছর পর দেখা যাবে যে একটা ছেলের মাথা বড় হলেও তারা বলে ফেলবে যে এটা এলিয়েনB-)! বিজ্ঞান মানুষকে যতটাই না শান্তি দিয়েছে ততটা করে তুলেছে মানুষকে অবিশ্বাসী।এমন কিছু আছে যা তাদের এখনো ধরা ছোঁয়ার একদম বাহিরে কিন্তু তবুও তারা প্রচার করে বেড়ায় যে এটা আমরা পেরেছি।এইতো মাত্র কয়েক দিন আগে একদল বিজ্ঞানীরা প্রকাশ করল যে তারা মঙ্গলগ্রহের ইদুর তাদের ক্যামেরায় উঠিয়েছেন।কিন্তু পরে আরেকদল বিজ্ঞানীরা নিরিক্ষন করে দেখল যে ওটা ছিল সাদা দুইটা পাথরের টুকরা:-P! প্রিয় পাঠক,বিজ্ঞানীদের সকল কথাই যে সত্য হবে এইটা ভাবাও অযৌক্তিক ভাবা।আর বিজ্ঞানীদের দ্বারাই যে সব সম্ভব সেইটা ভাবা তো বোকামি।কারন তারা এখন পর্যন্ত দেহে প্রাণ দিতে পারেনি,সাগরের তলায় যেতে পারেনি,আকাশের ওপরে উঠতে পারেনি,সমুদ্রের ওপারে যেতে পারেনি।আরো অনেক কিছুই বিজ্ঞানীদের আওতার বাইরে।আর যা যা তারা তৈরী করেছে তাতে প্রাকৃতিক সম্পদ তাদের লেগেছে।প্রাকৃতিক সম্পদ ছাড়া নিজেদের অভিজ্ঞতায় কিছুই সম্ভব হয়নি বিজ্ঞানীদের দ্বারা । অতএব এলিয়েন তত্ত্ব ও যে বিজ্ঞানীদের ভ্রান্ত ধারনা এর উত্তম প্রমাণ মিলেনি যে এলিয়েন কি আদৌ আছে নাকি রুপকথার গল্প? এলিয়েন কি সত্যিই আছে?শেষ পর্ব এলিয়েন কি সত্যিই আছে?১ম পর্ব পড়ুন (বানানগত ভুল ভুল ) এলিয়েনদের নিয়ে কত্ত চিন্তা বিজ্ঞানীদের:-|!এলিয়েনরা কেন আসে পৃথিবীতে?কি খায়?কি রকম শ্বাসকার্য চালায়? ইত্যাদি বিভিন্ন চিন্তা বিজ্ঞানীদের মাথায় অলটাইম ঘুরপাক খায়।বিজ্ঞানীদের মতে এলিয়েনরা কিছুই খায়না,আর তারা পৃথিবীকে ভালভাবে ভিজিট করতে পৃথিবীতে আসে।আর তারা সব আবহাওয়াতেই থাকতে পারে।সবরকম গ্যাসেই তারা বাঁচতে পারে,সেটা অক্সিজেন হোক,নাইট্রোজেন হোক আর বিষাক্ত গ্যাস কার্বনডাই অক্সাইড ই হোক:-/! alion5.jpg বিজ্ঞানীদের দাবী যে,এলিয়েনরা বুদ্ধিতে মানুষের থেকে সেরা,অথচ আল্লাহ পাক রব্বুল আলআমিন মানুষকেই সৃষ্টির সেরা জীব বলেছে অর্থাত্‍ আশ্রাফুল মাখলুকাত।আচ্ছা বিজ্ঞানীদের সবকিছুই মানতে হবে এটা কি কোন ইতিহাসের পাতায় আছে নাকি?অথবা কোন আইন পাশ করা আছে নাকি? বিজ্ঞানীদের দেয়া সকল তথ্য সঠিক নয় এর অনেক প্রমাণ আছে। বিজ্ঞানীদের সকল কথা যে সত্য নয় এর একটা প্রমাণ নিম্নে দিলাম •বিজ্ঞানীরা ৯০দশকে একবার বলেছিল যে "আর কয়েক মাস পর পৃথিবী ধ্বংস হবে"।কিন্তু তার পর ১শতক পার হয়ে গেল পৃথিবী কিন্তু ধ্বংস হয়নি বরংচ আরো উন্নত হয়েছে। তাই আমরা বলতে পারি যে বিজ্ঞানীদের সকল তথ্য সত্য নয় অতএব বিজ্ঞানীরা যে বলেছে এলিয়েন মানুষ থেকেও বুদ্ধিমান এটাও আমরা মানতে পারিনা এবং মানবোও না। বিজ্ঞানীদের দাবী কিছু কিছু এলিয়েন দেখতে কুমিরের মতো:-O! ছোট বেলায় একটা রুপকথার গল্প শুনেছিলুম যে রাক্ষসগুলো দেখতে নাকি ভয়াল ছিলো!দাঁতগুলো ইয়াবড় বড়!মাথার দু পাশে শিং,রক্তবর্ণ চোখ!ছোট বেলায় কতই না ভয় পেতাম!রাত্রে প্রসাব করতেও নামতাম না! পরে যখন বড় হলাম তখন জানতে পারলাম যে ঐ গুলা রুপকথার গল্প,আদিকালের গল্পকাররা এগুলো লিখে গিয়েছে। বর্তমান বিজ্ঞানীরাও তেমন আদিকালের গল্পকার হয়ে গেছে,যত্তসব উদ্ভট গল্প এরা বলে যাচ্ছে আর বিজ্ঞানমনষ্কা ছাত্রগুলোও বিজ্ঞানীদের এলিয়েন গল্পগুলো বিশ্বাস করে ধর্ম থেকে দূরে চলে যাচ্ছে!আবার এই ছেলেমেয়ে গুলোই নিজেদের মুক্তবুদ্ধির ধারকবাহক হিসেবে দাবী করছে:->! আসল কথা হলো বর্তমান বিজ্ঞানীরা পুরো পৃথিবীকেই ধর্মমুক্ত বানাতে চাচ্ছে যাতে করে তারা পুরো পৃথিবীতে প্রভুত্ব চালাতে পারে!আর আমাদের বর্তমান বিজ্ঞানে অজ্ঞান ছেলে মেয়েগুলো এটা না বুঝেই বিজ্ঞানীর কথাগুলো চোখ বুজে বিশ্বাস করে নিচ্ছে। পুরো পৃথিবীর ৭৫পার্সেন্ট লোক বিজ্ঞানীদের ফাঁদে পড়ে এলিয়েনে বিশ্বাস করে! অথচ বড় বড় বিজ্ঞানীরা বলেছে,আমরা যেটা নিজ চোখে না দেখি তাকে বিশ্বাস করিনা যেমন,এলিয়েন:-)। অনেক বিজ্ঞানী বলেছেন,আমরা এলিয়েনে মোটেই বিশ্বাসী নও।এলিয়েন ও নেহাত্‍ ড্রাকুলার গল্পের মতো সাজানো গপ্প,আমরা এলিয়েন নিয়ে মাথা ঘামাইনা আমরা মাথা ঘামাই,কি করে জগত্‍টাকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। সেদিন মেক্সিকোতে একটা খামারে ছোট্ট প্রাণী দেখে এক মহিলা চিত্‍কার করে ওঠে পরে সেটাকে পানিতে চুবিয়ে মেরে ফেলা হয় এর কয়েকদিন পর ঐ মহিলা অটোমেটিকলি গাড়িতে আগুন লেগে মরে যায়।বিজ্ঞানীরা দাবী করেছে যে ঐটা এলিয়েন ছিল এবং বাচ্চাকে মেরে ফেলার কারনে ও প্রতিশোধ নিয়েছে।অথচ আমরা জানি যে একমাত্র জ্বীন জাতীই তার বাচ্চাকে মেরে ফেল্লে প্রতিশোধ নেয়।আর বিজ্ঞানীরা বলেন যে এলিয়েন আগুনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে!তাইলে বিজ্ঞানীদের তত্ত্ব অনুযায়ীই বলা যায় উক্ত কাজটা কোন এলিয়েনের ছিল না বরংচ এটা জ্বীনের কারসাজি ছিল। mozaddid_117722491951cb3b514a6541.241994 •এ ঘটনাটা থেকে কিছুটা হলেও বোঝা যায় যে বিজ্ঞানীরা আসলে যাদের কে এলিয়েন বলে ওগুলো আসলে জ্বীনজাতী ও গুলো এলিয়ন নয়।এলিয়েন বলতে কিছু এ ধরায় নাই। কয়েকদিন আগে গুগল ম্যাপে এলিয়েনদের যান অর্থাত্‍ সসার ধরা পরেছে বলে একটি সোরগোল সৃষ্টি হয়েছে।কিন্তু বিজ্ঞানীরা খতিয়ে দেখেছে ওগুলো সসার ছিলোনা ছিল মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির পথের কিছু চিহ্ন অথবা গ্রাবলওবিটিশন। এই লেখাটি pdf আকারে ডাউনলোড করুন

আর কত রক্ত দেখলে শান্ত হবে ইসরাইল?

debo.jpg
কাণ্ডারি বল পুড়িছে মানুষ সন্তান মরে মোর মা'র
খবরের পাতা উল্টোলেই টপ শিরোনাম যেটা উঠে আসে সেটা হল ''ফিলিস্তিন/প্যালেস্টাইন"। বহুদিন যাবত্‍ ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাথে এই জিহাদিরা আপোষ হচ্ছেনা। তাই মিসাইল,রকেট ,অ্যাটম বোমা,বারুদের গন্ধ এদের নিত্য দিনের সঙ্গী।আমরা যখন চরম বিনোদনের সহিত ফুটবল উন্মোদনায় মাতি আর তখন প্যালেস্টাইনে আমার স্বজাতী আশঙ্কায় থাকে এই বুঝি ছাদের উপর রকেট পরল। চরম উগ্রপন্থি ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের প্রধান 'নেতানিয়াহু' প্রতিনিয়ত ক্ষেপনাস্ত্র ছুড়ছে গাজা উপত্যকায়। এছাড়া ইসরাইলি ইহুদি সৈন্যরা নির্বিচারে গুলি করছে ফিলিস্তিনের জনগনের উপর।খুন,ধর্ষন,রাহাজানি ,লুটপাট তো আছেই। সাথে আছে জঘণ্যতম কাজ ,শিশু গুম করা,শিশু হত্যা,শিশুদের প্রহার করা।বিশ্বের প্রায় ২তৃতিয়াংশ লোক এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।নেদারল্যান্ড ,লন্ডন,যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন রাষ্ট্রে ইসরাইলের উপর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। কাল দেখলাম মৃতের সংখ্যা প্রায় ১০৬জন ছাড়িয়েছে আহত প্রায় ৬০০জন। শিশু,কিশোর গুম হয়েছে প্রায় হাজার খানেকের বেশি! আহত এবং নিহত বেশির ভাগই শিশু। debo3.jpg বোমা ছুড়ে ফেলা হয় ঘরের উপর বিমান হামলা চালানো হয় তাদের উপর।গতকাল একটা বার্তা পেলাম যেখানে এক ফিলিস্তিনির ব্যাপারে লিখেছেন, অ্যাটাক করা হয়েছে আমার কোয়ার্টারে।আমার কোয়ার্টারে ফেলা হয়েছে বোমা।আমার পরিবারের যারা সদস্য ছিল সবাই নিহত হয়েছেন শুধুমাত্র আমি বেঁচে আছি। gaza-children-why-were-ki.jpg আরেকটা বার্তায় পেলাম,আমার শিশু সন্তানটি ঘরেই ছিল আর আমার ঘরের উপর বোমা ফেলা হয়েছে যা কিনা আমর শিশু সন্তানটিকে খন্ড খন্ড করে দিয়েছে। আমরা এখন প্রতিদিন ছয়বার নামাজ আদায় করি ,ফজর,জোহর,আসর ,মাগরিব ,এশা আর জানাজা। debo2.jpg এমতাবস্থায় আমার বার বার মনে পরছে জাতিসংঘের কথা যারা কিনা বিশ্ব কন্ট্রোল করে।এরপর আমার মনে পরছে বিশ্বের মুসলিম কান্ট্রিগুলোর কথা ,সৌদী আরব,কুয়েত,কাতার,মালয়েশিয়া,বাংলাদেশ,মিশর,জাকার্তা,ব্রুনাই আরো অনেক যারা কিনা এই ফিলিস্তিনের স্বজাতী। আমি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি জাতীসংঘ সহ এই মুসলিম রাষ্ট্রগুলো ইহুদীবাদী ইসরাইল কে ভয় পায়।আর না হয় ফিলিস্তিনিদের পাশে গিয়ে দাঁড়াত। জাতীসংঘের মহাসচীব বানকিমুন নেতানিয়াহু কে বলেছিল যুদ্ধ বন্ধ করতে কিন্তু নেতানিয়াহু শ্রেফ জানিয়ে দিয়েছে যে যুদ্ধ বন্ধ করা এখন সম্ভব না এটা তাহলে রুলের বাইরে পরে যায়।আর তখনই বানকিমুন তখনই চুপ! শান্তিপ্রতিষ্ঠায় নোবেল বিজয়ী বারাক হোসেন ওবামা ও নেতানিয়াহুকে বলেছিল যুদ্ধ বন্ধ করতে কিন্তু নেতানিয়াহুর ঐ রুলে বারাক ওবামাও সাইলেন্ট। বাকি থাকে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যারা কিনা ভেজা বিড়াল হয়ে আছে! একমাত্র মিশর ফিলিস্তিনিদের চিকিত্‍সার সুবিধার জন্য তার বর্ডার খুলে দিয়েছে,কিন্তু চিকিত্‍সা করবে কাদের মৃত শিশুদের? আচ্ছা এই শিশু হত্যা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন না? জাতিসংঘের সেইফ দ্য চিলড্রেন কি তাহলে শিশু হত্যা আর গুমের জন্য তৈরী হয়েছে? ফিলিস্তিনে যখন আমার ভাইকে বিনা 10537313-930834410276677.jpg মৃত পিতার পাশে গড়িয়ে গড়িয়ে যখন শিশুটি কাঁদে তখন কি মুসলমানের মনে হয়না ওটা তাদের ভাইয়ের ছেলে কাঁদছে তার মৃত ভাইটার পাশে শুয়ে? যখন সেভ দ্য চিলড্রেন Humanity এর কথা বলে তখন আমার শঙ্কা হয় এরা কি আরো শিশু গুম করার ফন্দি এঁটেছে? যখন জাতীসংঘ Humanity এর কথা বলে তখন আমার শঙ্কা হয় এরা কি ইসরাইলকে অস্ত্র দিয়ে হেল্প করে Humanity জাহির করছে? যখন নোবেল বিজেতা বারাক ওবামা বলে,Stop This Ware তখন আমার সন্দেহ হয় নতুন কোন ফন্দি। আমি গভীর ভাবে উপলব্দি করছি হিটলারকে। স্যার হিটলার আপনি আবার ফিরে আসবেন কি? এবার আর ৬০লক্ষ নয় আপনাকে বুঝে নিতে হবে কয়েক কোটিকে। আর ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিতে ইচ্ছে করে সকল মুসলিম রাষ্ট্র গুলোর প্রধানদের দিক থেকে।
কাণ্ডারি পুড়ছে মানুষ,সন্তান মরে মোর মা'র
কিয়ামতের দিন যদি ঐ সকল শহীদ শিশু আমাদের দিক আঙ্গুল তুলে বলে,
আল্লাহ্!ওরা ছিল আমার স্বজাতী,ওদের গা থেকে পারুদের গন্ধ আসে।আমার মাথা উড়ে গিয়েছিল ওরা সহানুভূতি দেখায়নি।আমার আব্বার মাথা উড়ে গিয়েছিল ওরা এগিয়ে আসেনি!আমার মা ধর্ষিত হয়েছিল ওরা প্রতিবাদ করেনি!
তখন আমরা শুধু অসহায়ের মত চেয়ে থাকব ঐ ছেলেটির দিকে। আমাদের তো হায়া নেই তাই বেহায়ার মত চেয়ে থাকা ছাড়া আর কোন উপায়ই থাকবেনা। 10432113-930834030276715.jpg ইহুদির মত একটা নিকৃষ্ট অভিশপ্ত ,কুকুরের ন্যায় হিংস্র জাতী যারা কোন কালেই আল্লাহ্র শুকুর গুজার করেনি (সুরা ইয়াসিন আয়াত নং ১৩-২৬ এ পাবেন ইহুদিরা হল অভিশপ্ত) তাদের কাছে আজ মুসলিম রাষ্ট্রগুলো মাথানিচু করে আছে,Humanrights মাথা নিচু করে আছে ,Save The Children মাথা নিচু করে আছে! আফসুস এই যে পৃথিবীতে এখন Humanity বলতে কিছু নেই সব মিসাইলে পুড়ে গেছে। আর লজ্জা শরম ও উড়ে গেছে মুসলিম কান্ট্রি থেকে। স্বজাতীর প্রতি ভালবাসাও হয় পুড়ে গেছে মিসাইলে। শুধু রয়ে গেছে হায়াহীন খোসা মানুষ যারা না পারে করতে প্রতিবাদ,না পারে স্বজাতীকে রক্ষা করতে।একটা জঙ্গলের পশু ও কিন্তু স্বজাতীর বিপদ আপদে দৌড়ে আসে তাকে রক্ষা করতে যেটা আমরা পারিনা। কেন পারিনা? No Answer! নিজেকে নিজে লজ্জা দিতে চাইনা আমি। তাইতো ঐ প্রশ্নটা এড়িয়ে গেলাম। শুধু আমার ফিলিস্তিন ,গাজার নাগরিকদের বলি,ভাই তোমরা আমাদের ক্ষমা কর আজ আমাদের হাতে শৃঙ্খল পরানো আর হৃদয়ে পাথর তাইতো স্বজাতীর মৃত্যু খবর শুনে একটুও বুক কাঁপেনা।জাগেনা কোন ব্যাথার অনুভুতি। আমরা কি করব