Pages

Wednesday, July 30, 2014

ইমাম বুখারী রহ. এর সংক্ষিপ্ত জীবনি

বুখারী ইমাম বুখারী উজবেকিস্তানের, সমরকন্দকাছাকাছি অবস্থিত মুহাম্মদ আল-বুখারী মাজার। উপাধিআমিরুল মুমিনীন ফিল হাদীস জন্ম১৩ই শাওয়াল, ১৯৪ হিজরী (৮১০ খ্রিস্টাব্দ) [১] বুখারাবর্তমান উজবেকিস্তানেঅবস্থিত মৃত্যু১লা শাওয়াল, ২৫৬ হিজরী( ৩১শে আগস্ট, ৮৭০ খ্রিস্টাব্দ) (৬২ বছর) [২] খরতঙ্গ, সমরকন্দেরনিকটে অবস্থিত জাতিভুক্ততুর্কী/পারসিক ধর্মবিশ্বাসস্বতন্ত্র মুজতাহিদ [৩] মূল আগ্রহহাদীসশাস্ত্র উল্লেখযোগ্য ধারণাশুধুমাত্র সহীহ হাদীসের সংকলন লক্ষণীয় কাজ সহিহ বুখারী, আদাবুল মুফরাদ যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন আহমাদ বিন হাম্বল আলী ইবনুল মাদীনী ইয়াহয়া বিন মায়ীন ইসহাক বিন রাহওয়াই যাদেরকে প্রভাবিত করেছেন ইমাম মুসলিম ইমাম বুখারী(জন্মঃ ৮১০-মৃত্যুঃ ৮৭০ খ্রিস্টাব্দ), আরব রীতি অনুযায়ী বংশধারাসহ পুরোনাম হলোমুহাম্মদ বিন ইসমাইল বিন ইবরাহীম বিন মুগীরাহ বিন বারদিযবাহ( আরবি/ ফার্সি ভাষায়: محمد بن اسماعيل بن ابراهيم بن مغيره بن بردزبه بخاری), একজন বিখ্যাত হাদীসবেত্তা ছিলেন। তিনি " বুখারী শরীফ" নামে একটি হাদীসের সংকলন রচনা করেন, যা মুসলমানদের নিকট হাদীসের সবোর্ত্তম গ্রন্থ বিবেচিত হয়। [৫]তার নাম মুহাম্মদ। উপনাম হলো আবু আবদুল্লাহ। আমিরুল মুমিনীন ফিল হাদীস তাঁর উপাধি। বুখারা তাঁর জন্মস্থান বলে তাকে বুখারী বলা হয়।ইমাম বুখারী রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ২০টিরও বেশি। এগুলোর কিছু বিলুপ্ত হয়ে গেছে কিংবা পান্ডুলিপি আকারে সংরক্ষিত রয়েছে। আর কিছু গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর রচিত গ্রণ্থাবলীর মাঝে সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ হলো বুখারী শরীফ। নীচে তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থের নাম দেয়া হলোঃ •কাজায়া আস-সাহাবা ওয়া আত-তাবিয়ীন(আরবীতেঃقضايا الصحبة و التابعين) •আত-তারীখ আস-সগীর(আরবীতেঃالتاريخ الصغير) •আল-আদাব আল-মুফরাদ(আরবীতেঃالأدب المفرد) •কিতাব আল-জুআফা আস-সগীর(আরবীতেঃكتاب الضعفاء الصغير) •কিতাব আল-কুনা(আরবীতেঃكتاب الكُنى) •কিতাবু খালকি আফআলিল ইবাদ(আরবীতেঃكتاب خلق أفعال العباد) •সহীহ আল-বুখারী(আরবীতেঃ صحيح البخاري ) •রাফওল ইয়াদাইন ফিস সালাত, •কিরাআত খলফিল ইমাম। •আত-তারিখুল কবির, •আত-তারিখুল ওয়াসাত, •খালকু আফয়ালিল ইবাদ, •আল জামেওল কবির, •আল মুসনাদুল কবির, •কিতাবুল আশরিয়া, •ওসামাস সাহাবা, •কিতাবুল মারসুত, •কিতাবুল বিজদান।ইমাম বুখারী (জন্মঃ ৮১০- মৃত্যুঃ ৮৭০ খ্রিস্টাব্দ), আরব রীতি অনুযায়ী বংশধারাসহ পুরো নাম হলো মুহাম্মদ বিন ইসমাইল বিন ইবরাহীম বিন মুগীরাহ বিন বারদিযবাহ (আরবি /ফার্সি ভাষায়: ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﺍﺳﻤﺎﻋﻴﻞ ﺑﻦ ﺍﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﺑﻦ ﻣﻐﻴﺮﻩ ﺑﻦ ﺑﺮﺩﺯﺑﻪ ﺑﺨﺎﺭﯼ ), একজন বিখ্যাত হাদীসবেত্তা ছিলেন। তিনি " বুখারী শরীফ" নামে একটি হাদীসের সংকলন রচনা করেন, যা মুসলমানদের নিকট হাদীসের সবোর্ত্তম গ্রন্থ বিবেচিত হয়। [৫] তার নাম মুহাম্মদ। উপনাম হলো আবু আবদুল্লাহ। আমিরুল মুমিনীন ফিল হাদীস তাঁর উপাধি। বুখারা তাঁর জন্মস্থান বলে তাকে বুখারী বলা হয়।[৬] জীবনী তিনি ১৩ই শাওয়াল শুক্রবার, ১৯৪ হিজরীতে (৮১০ খ্রিস্টাব্দ) খোরাসানের বুখারাতে (বর্তমানে উজবেকিস্তানের অংশ) জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ইসমাইল ইবনে ইব্রাহিম। তাঁর দাদার নাম ইব্রাহিম। তাঁর দাদার সম্পর্কে খুব বেশি জানা না গেলেও তাঁর বাবা ইসমাইল মুসলিম বিশ্বে একজন পরিচিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন হাদীসবিদ। তিনি হাদিস শাস্ত্রবিদ আল্লামা হাম্মাদ (রহঃ) এবং হযরত ইমাম মালেক (রহঃ) এর শাগরিদ ছিলেন। এছাড়াও বিখ্যাত মনিষী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক (রহঃ) এর শাগরিদ ছিলেন বলে জানা যায়। সমসাময়িক যুগের আরও অনেক বুজুর্গ আলেমদের কাছ থেকে দ্বীনই ফায়েজের জাহেরি ও বাতেনি ইলম হাসিল করে সুযোগ্য আলেম ও বিজ্ঞ মুহাদ্দিস হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ইমাম বুখারী (রহঃ) শিহ্মা, জ্ঞান ও যোগ্যতা শুধু পিতার দিক থেকেই পাননি বরং মাতার দিক থেকেও অর্জন করেছিলেন। ইমাম বুখারী (রহঃ) এর মাতা ছিলেন বিদুষী ও মহীয়সী মহিলা। নেককার মহিলা হিসেবে তাঁর পরিচিতি ছিল। এ সম্পর্কে একটা ঘটনা আছে। বাল্যকালে ইমাম বুখারী (রহঃ) এর একবার কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এ রোগের প্রভাবে তাঁর দুই চোখ প্রায় অন্ধ হয়ে যায়। স্নেহময়ই মাতা পুত্রের চোখের আলোর পুনঃপ্রাপ্তির জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েন এবং আল্লাহ্ পাকের দরবারে প্রার্থনা করতে থাকেন। এ পর্যায়ে এক রাত্রে স্বপ্নে তিনি হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কে তার শিয়রে বসা অবস্থায় দেখতে পেলেন। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) তাকে বলেন, তোমার প্রার্থনা আল্লাহ্ পাক কবুল করেছেন। তাঁর দয়ার বরকতে তোমার পুত্র চোখের আলো ফিরে পেয়েছে। পরদিন সকালে ঘুম থেকে জেগে তাঁর পুত্র ইমাম বুখারী (রহঃ) বলে ওটলেন, আম্মা! আমি সবকিছু দেখতে পাচ্ছি। আমার চোখ ভাল হয়ে গেছে। এ ঘটনাটিই প্রমাণ করে ইমাম বুখারী (রহঃ) এর মাতা কত বড় মাপের বুজুর্গ মহিলা ছিলেন।ইমাম বুখারী (রহঃ) শৈশবেই বাবাকে হারান, ফলে মায়ের কাছে প্রতিপালিত হন। পিতা মারা যাওয়ার সময় প্রচুর ধনসম্পদ রেখে যান। ফলে ইমাম বুখারী (রহঃ) এর কোনরূপ প্রতিকূল অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়নি। মাতাই পুত্রের শিহ্মা-দিহ্মার ভার গ্রহণ করেন। ইমাম বুখারী (রহঃ) এর বাল্যকাল থেকেই শিহ্মা- দিহ্মার প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল। ইমাম বুখারী (রহঃ) প্রথমে কোরআন পাঠ শুরু করেন। মাত্র ৯ বছর বয়সে তিনি কুরআন মুখস্ত করেন। ১০ বছর বয়স থেকে তিনি হাদীস মুখস্ত করা শুরু করেন। ১৬ বছর বয়সেই তিনি "আবদুল্লাহ বিন মুবারক" এবং "ওয়াকীর পান্ডুলিপিসমূহ" মুখস্ত করে ফেলেন। মহান আল্লাহ্ পাক তাকে অনন্য সাধারন স্মরণ শক্তি দান করেছিলেন। [৭][৮] সফরসমূহ ষোল বছর বয়সে তিনি মা এবং বড় ভাইয়ের সাথে হজ্জে গমন করেন। হজ্জের পর তিনি মক্কাতে রয়ে গেলেন এবং হিজাযের হাদীসবিশারদদের কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ করতে থাকলেন। এ সময় তিনি "কাজায়াস সাহাবা ওয়াত তাবীয়ীন" নামক গ্রণ্থ রচনা করেন। এরপর হাদীস অন্বেষণের জন্য তিনি ইরাক, সিরিয়া ও মিশরসহ বহু অঞ্চলে সফর করেন। একদা ইমাম বুখারি (রহঃ) মুহাদ্দিস দাখেলির দরসগাহে যোগ দেন। ইমাম দাখেলি (রহঃ) একটি হাদিসের সনদ বর্ণনা করবার সময় 'জুবাইর' এর স্থলে 'আবু জুবাইর' বলেছেন। ইমাম বুখারি নম্রস্বরে বললেন- এখানে আবু জুবাইর' এর স্থলে 'জুবাইর' হবে। অতঃপর ইমাম দাখেলি (রহঃ) বাড়িতে গিয়ে কিতাব দেখে তাঁর ভুল সংশোধন করেছেন। এর অব্যবহিত পরই দাখেলি (রহঃ) তাঁকে খুব স্নেহ করতেন। তিনি এতদ্ভিন্ন অন্য এক দরসগাহে ও যোগ দিতেন। সেখানে অন্য ছাত্রগন হাদিসগুলো লিখে নিতেন। তিনি তা লিখতেন না। তাঁর সহঃপাঠিগণ তাঁকে হাদিস না লিখে রাখার কারন জিজ্ঞেস করলে কোন ওতর দেননি। অতঃপর সহঃপাঠিগণ তাঁকে হাদিস লেখার জন্য জোর তাগিদ দিলে ও ওতর দিলেন- "আপনাদের লেখা কপিগুলো নিয়ে আসুন। তারা কপিগুলো নিয়ে আসলে তিনি ধা রাবাহিকভাবে তাদের সামনে হাদিসগুলো পাঠ করে শোনান। সেই মজলিসে তাদের লেখা অনুসারে প্রায় পনের হাজার (১৫,০০০) হাদিস মুখস্থ পাঠ করে শোনান। দীর্ঘ ১৬ বছর পর তিনি হাদীস অন্বষণের ভ্রমণ শেষ করে নিজ মাতৃভূমি বুখারায় ফিরে আসেন।[৯][১০] রচনাবলী ইমাম বুখারী রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ২০টিরও বেশি। এগুলোর কিছু বিলুপ্ত হয়ে গেছে কিংবা পান্ডুলিপি আকারে সংরক্ষিত রয়েছে। আর কিছু গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর রচিত গ্রণ্থাবলীর মাঝে সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ হলো বুখারী শরীফ। নীচে তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থের নাম দেয়া হলোঃ 1. কাজায়া আস- সাহাবা ওয়া আত-তাবিয়ীন (আরবীতেঃﻗﻀﺎﻳﺎ ﺍﻟﺼﺤﺒﺔ ﻭ ﺍﻟﺘﺎﺑﻌﻴﻦ) 2. আত-তারীখ আস-সগীর (আরবীতেঃﺍﻟﺘﺎﺭﻳﺦ ﺍﻟﺼﻐﻴﺮ) 3. আল-আদাব আল-মুফরাদ (আরবীতেঃﺍﻷﺩﺏ ﺍﻟﻤﻔﺮﺩ) 4. কিতাব আল-জুআফা আস-সগীর (আরবীতেঃﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻀﻌﻔﺎﺀ ﺍﻟﺼﻐﻴﺮ) 5. কিতাব আল-কুনা (আরবীতেঃﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻜُﻨﻰ) 6. কিতাবু খালকি আফআলিল ইবাদ (আরবীতেঃﻛﺘﺎﺏ ﺧﻠﻖ ﺃﻓﻌﺎﻝ ﺍﻟﻌﺒﺎﺩ) 7. সহীহ আল-বুখারী (আরবীতেঃ ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ) 8. রাফওল ইয়াদাইন ফিস সালাত, 9. কিরাআত খলফিল ইমাম। 10. আত-তারিখুল কবির, 11. আত-তারিখুল ওয়াসাত, 12. খালকু আফয়ালিল ইবাদ, 13. আল জামেওল কবির, 14. আল মুসনাদুল কবির, 15. কিতাবুল আশরিয়া, 16. ওসামাস সাহাবা, 17. কিতাবুল মারসুত, 18. কিতাবুল বিজদান [১১] বুখারী শরীফ ইমাম বুখারীর জীবনের শ্রেষ্ঠতম কর্ম হচ্ছে এই হাদীসগ্রন্থের রচনা। তিনি স্বীয় শিক্ষক ইসহাক বিন রাহওয়াইহ থেকে এই গ্রন্থ রচনার প্রেরণা লাভ করেন।একদিন ইসহাক একটি এমন গ্রন্থের আশা প্রকাশ তরেন,যাতে লিপিবদ্ধ থাকবে শুধু সহিহ হাদীস। ছাত্রদের মাঝে ইমাম বুখারী তখন এই কঠিন কাজে অগ্রসর হন।২১৭ হিজরী সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি মক্কার হারাম শরীফে এই গ্রন্থের সংকলন শুরু করেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর ২৩৩ হিজরী সনে এর সংকলনের কাজ সমাপ্ত হয়। বুখারী শরীফের সংকলনকালে তিনি সর্বদা রোজা রাখতেন এবং প্রতিটি হাদীস গ্রন্থ সন্নিবেশিত করার আগে গোসল করে দু' রাকাত নফল নামাজ আদায় করে মুরাকাবা ও ধ্যানের মাধ্যমে হাদীসের বিশুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতেন। [১২] এই গ্রন্থে তিনি সকল সহিহ হাদীস সংকলন করেননি। বরং সহিহ হাদীসের মাঝে যেগুলো তার নির্ধারিত শর্তে উন্নীত হয়েছে,সেগুলো লিপিবদ্ধ করেছেন। তিনি স্বয়ং বলেন, "আমি জা'মে কিতাবে সহিহ হাদিস ব্যতিত অন্যকোন হাদিস ওল্লেখ করিনি। তবে কলেবর বড় হয়ে যাওয়ার আশংকায় অনেক সহিহ হাদিসকে বাদ দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমি আমার কিতাবে প্রতিটি হাদিস লেখার পূর্বেই গোসল করেছি এবং দুরাকাআত আদায় করে নিয়েছি। অপর বর্ণনা হতে জানা যায় যে, ইমাম বুখারী (রহঃ) তাঁর স্বীয় কিতাবের শিরোনাম সমূহ রাসুলে করিম (সা) এর রওজা এবং মসজিদে নববির মধ্যস্থলে বসে লিখেছিলেন এবং প্রত্যেক শিরোনামের জন্য দুরাকায়াত নফ্ল নামাজ আদায় করেছেন। ইমাম বুখারীর প্রায় ৬ লাখ হাদীস মুখস্ত ছিল। বুখারী শরীফের পুরো নাম হলোঃ আল- জামি আল-সাহীহ আল-মুসনাদ মিন উমুরি রাসূলিল্লাহ ওয়া সুনানিহি ওয়া আইয়ামিহি। বুখারি শরীফ প্রণয়ের স্থানঃ আবুল ফজল মোহাম্মদ বিন তাহেরের বর্ণনা মতে, ইমাম বুখারী (রহঃ) তাঁর গ্রন্থখানি বুখারাতে বসে রচনার কাজ শেষ করেছেন। আবার কারো মতে মক্কা মুয়াজ্জামায় আবার কারো মতে বসরাতে। তবে ওল্লেখিত সকল বর্ণনা নির্ভুল। কেননা তিনি ওল্লেখিত সকল নগরীতে অবস্থান করেছেন। স্বয়ং ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেছেন, আমি আমার সহিহ বুখারি সঙ্গে নিয়ে বসরা শহরে ৫ বছর অবস্থান করেছি এবং আমার কিতাব প্রণয়ের কাজ শেষ করি। আর প্রতি বছরই হজ্ব পালন করি এবং মক্কা হতে বসরাতে ফিরে আসি।তিনি ৬ লাখ হাদিস হতে যাচাই বাছাই করে সর্বসাকুলে ১৬ বছর নিরলস সাধনা করে এ প্রসিধ্য গ্রন্থখানি প্রণয়ন করেন। এখানে মোট হাদিস আছে সাত হাজার একশত পচাতর খানি(৭,১৭৫)। আর পুনরুক্ত ছাড়া আছে চার হাজারের (৪,০০০) মতো। আর কারো মতে, বুখারিতে পুনরুক্ত হাদিস আছে মাত্র একখানি যা রুমালের বর্ণনা। মৃত্যু জীবনকালের শেষদিকে একবার বুখারার তৎকালীন শাসনকর্তা "খালিদ বিন আহমাদ যুহলী" হাদীসশাস্ত্রে ইমাম বুখারীর পান্ডিত্য দেখে তাকে দরবারে এসে শাসনকর্তা র সন্তানদেরকে হাদীস শেখাতে বলেন। ইমাম বুখারী এটাকে হাদীসের জন্য অবমাননাকর মনে করেন। ফলে উভয়ের মাঝে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। তখন তিনি মাতৃভূমি বুখারা ত্যাগ করে সমরকন্দের খরতঙ্গে চলে যান এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ২৫৬ হিজরীর, ১লা শাওয়াল মোতাবেক ৩১শে আগস্ট, ৮৭০ খ্রিস্টাব্দের শুক্রবার দিবাগত রাতে মৃত্যুবরণ করেন। পরদিন শনিবার যোহরের নামাজের পর খরতঙ্গেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। [২][৮][১৩] তথ্যসূত্র 1. ↑ S. 'Abdul-Maujood, "The Biography of Imam Bukharee", Maktaba Dar- us-Salam, 2005, p. 13.

No comments:

Post a Comment