Pages

Friday, August 29, 2014

হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ ভরা যৌনতা আর অযাচার সাথে ফ্রি রগরগে টসটসে সব গল্প

ভাবছিলাম এ নিয়ে লিখবনা কিন্তু রায়হান দাস আর গ্রামের পথে পথে ওরফে আকাশ কান্তি দাসের অনুরোধে না লিখে পারলাম না । হিন্দু ধর্ম মূলত বাংলা চটিকে হার মানায়! রগরগে চকচকে সেক্সের গল্পাদি ,sex tips দিয়ে সাজানো গোছানো ! সেক্সের এভাবে খোলামেলা আলোচনা ও চিত্রকর্ম আসলে কিভাবে একটা ধর্মের নীতি নিয়ম বা আদর্শ হয় তা আমার জানা নেই । ছ-বি
খাজুরাহু মন্দিরের দেয়াল চিত্র। সমস্ত মন্দিরের দেয়াল জুড়েই আকা রয়েছে এমন সহস্র যৌণতার চিত্র, এই নাকি ধর্ম !!
ব্রহ্মা তার কন্যা স্বরস্বতির রুপে মুগ্ধ হয়ে তার সাথে সঙ্গম ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। স্বরস্বতি তার পিতার হাত থেকে বাচার জন্য ভুমির চারদিকে ছুটে বেড়াতে লাগলেন কিন্তু ব্রহ্মার হাত থেকে বাচতে পারলেন না। তারা স্বামী-স্ত্রী রুপে ১০০ বছর বাস করলেন এবং সয়ম্ভুমারু ও শতরুপা নামক এক ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দিলেন। সয়ম্ভুমারু ও শতরুপাও স্বামী স্ত্রী রুপে বসবাস করতে লাগলেন। Aitreay Brahman III : 33 // Satapatha Brahman 1 : 4 : 7 : 1ff // Matsy Puran III : 32ff // Bhagabati Puran III : 12 : 28ff অহল্যা,গৌতম মুনরি স্ত্রী,সদ্য সড়বাতা (গোসল) এবং আদ্র (ভেজা) বস্ত্র পরিহিতা অবস্থায় আশ্রমে প্রত্যাবর্তন কালে পথিমধ্যে গৌতম শিষ্য দেবরাজ ইন্দ্রের সাথে তার সাক্ষাত ঘটে। আদ্র বস্ত্রের মিথ্যা আবরণকে ভেদ করে উদগত যৌবনা অহল্যার রূপ লাবণ্য বিশেষ আকর্ষণীয় হযে় ফুটে উঠায় ইন্দ্রদেবের পক্ষে ধৈর্য ধারণ করা অসম্ভব হযে় পডে়,তিনি গুরুপত্নী অহল্যার সতীত্ব হরণ করেন। ত্রিকালজ্ঞ গৌতম মুনির কাছে একথা অজ্ঞাত থাকে না। তার অভিশাপে অহল্যা প্রস্তরে পরিণত হয়। আর ইন্দ্রদেবের সারা দেহে সহস্র যোনির উদ্ভব ঘটে। সুদীর্ঘকাল পরে ত্রেতাযুগে ঈশ্বরের অবতার রূপে শ্রীরাম চন্দ্র আবির্ভূত হন,তার পদ স্পশে অহল্যার পাষাণত্বঅপনোদিত হয়। (পঞ্চ পুরাণ,ষষ্ঠ খণ্ড,৬৯০ পৃষ্ঠা,মহাভারত,কৃত্তীবাসী রামায়ণের আদিকাণ্ডের ৬৫১ পৃষ্ঠা)১। যম ও যমী,যমজ ভাই-বোন। সূর্যদেবের ঔরসে ও উষাদেবীর গর্ভে তারা জন্মলাভ করে। যমী একদিন যমকে বলে- "তোমার সহবাসের জন্য আ অভিলাষিনী,গর্ভাবস্থা হতে তুমি আমার সহচর। বিধাতা মনে মনে চিন্তা করে রেখেছেন যে,তোমার ঔরসে আমার গর্ভে আমাদের পিতার এক নাতি জন্মাবে। তুমি পুত্রজন্মদাতা পতির ন্যায় আমার শরীরে প্রবেশ কর।" (ঋকবেদ মন্ডল-৯,সুক্ত ১০) সেই ঘটনাকে স্মরনীয় করে রাখতে হিন্দুরা প্রতিবছর'ভাইফোঁটা'নামক এক উৎসব পালন করে। ঐদিন যম আর যমীর অনুপ্রেরণায় হিন্দু ছেলেরা তাদের আপন বোনকে নিয়ে কল্পনা করে আর ভাবে- "ঈশ! আমার বোনটাও যদি যমীর মত হত..." ২। রাম ও সীতাকে আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই জানি। কিন্তু বৌদ্ধ দশরথ জাতক অনুযায়ী- রাম ও সীতা হল ভাই-বোন,পরে তাদের মধ্যে বিবাহ হয়। "দশরথ জাতক" অনুযায়ী রামের জনক রাজা দশরথ ও জননী রানী কৌশল্যার মধ্যে ভাই-বোনের সম্পর্ক ছিল,তথাপি তাদের মধ্যে বিয়ে হয়েছিল। ঋগ্বেদ- এ দেখা যায় দম্ভ নিজ বোন মায়াকে,লোভ নিজ বোন নিবৃত্তিকে,কলি নিজ বোন নিরুক্তিকে বিয়ে করেছিল। ৩। শুধু ভাইবোন নয়,হিন্দু ধর্মে এমনকি মা-ছেলে,পিতা-কন্যার বিয়েতেও কোন নিষেধ নেই। ঋগ্বেদ-এ উল্লেখ আছে- পূষণ তার বিধবা মাকে বিয়ে করে দ্বিধিষূ অর্থ্যাৎ বিধবার স্বামী হয়েছিল। হিন্দুশাস্ত্র মৎস পুরাণে বর্ণিত আছে- ইশ্বর ব্রক্ষ্মা নিজ কণ্যা শতরুপার প্রতি প্রণয়াশক্ত হন এবং হিন্দুদের আদি মানব মনুর জন্ম হয় তাদের মিলন থেকেই। ছ-বিছ-বিছ-বিছ-বিছ-বিছ-বিছ-বিছ-বিছ-বি হিন্দু ধর্ম ও ঘোড়া!!হিন্দু পুরুষদের পাপমোচনে মৃত ঘোড়ার সাথে রাতভর সংগমে লিপ্ত ছিল রামের মা ও হিন্দু নারীরা!!!! হিন্দু ধর্মে ঘোড়ার মর্যাদা অপরিসীম!! পাপমোচনের জন্য ঘোড়ার সাথে মোটামুটি অনিবার্য বলেই ধরে নেয়া যায়!! রামায়নে আছে রামের মা কউসল্য পাপমোচনের জন্য মৃত ঘোড়ার সাথে সংগমে লিপ্ত ছিল পুরো একটি রাত!! সেই রাতে রামেরমা প্রথমে তিনটি ঘোড়াকে কতল করে!! তারপর মৃত ঘোড়ার সাথে সংগমে লিপ্ত থাকে সারা রাত!! একে একে রাজার পত্নীদেরকেও মরা ঘোড়ার সাথে সংগমে লিপ্ত করানো হয়!! সেই মৃত ঘোড়ার চর্বি কেটে রান্না করা হয় এবং সেই সুগন্ধে একে একে পাপমোচন হয় হিন্দু পুরুষদের!! “The prescribed victims — snakes, birds, the horse, and aquatic animals — were bound at the place of immolation; each was dedicated to a specific divinity as is set forth in the ritual texts. The priests then bound them all to the posts in the manner set forth in the ritual texts. Three hundred beasts in addition to Dasaratha’s jewel of a horse were bound there to the sacrificial posts. Kausalya (Rama’s mom) walked reverently all around the horse and then with the greatest joy cut it with three knives. Her mind unwavering in her desire for righteousness, Kausalya (Rama’s mom) passed one night with the horse. The priests – the hotr, the adhvaryu, and the udgatr — saw to it that the second and the juniormost of the king’s wives, as well as his chief queen, were united with the horse. Then the officiating priest, who was extremely adept and held his senses in check, removed the fat of the horse and cooked it in the manner prescribed in the ritual texts. At the proper time and in accordance with the ritual prescriptions, the lord of men then sniffed the fragrance of the smoking fat, thereby freeing himself from sin. Then, acting in unison, the sixteen brahman officiating priests threw the limbs of the horse into the fire, in accordance with the ritual injunctions. In other sacrifices, the oblation is offered upon branches of the plaksa tree, but in the Horse Sacrifice alone the apportionment of the victim is made on a bed of reeds. The Horse Sacrifice is known as the Three-Day Rite; for both the kalpasutra and the brahmanas refer to the Horse Sacrifice as a rite lasting for three days.” — Ramayan 1:13:24-33. হিন্দু মন্দিরেও শোভা পায় ঘোড়ার সাথে সংগমে লিপ্ত হিন্দু মুর্তি!! হিন্দু ধর্মে আছে ইনসেস্টের কাহিনী যা একে একে পরবর্তিতে প্রকাশ করার আশা রাখি!!

Monday, August 25, 2014

ভগবান ব্রহ্মার কিছু রগরগে কাহীনি

ভ্যাগাপন ব্রহ্মা লুচুর লুচু কাহীনি:
ব্রহ্মার কথা | তিনি সৃষ্টিকর্তা | কিন্তু প্রজাপতি ব্রহ্মাও অজাচারে কম যান না | সরস্বতী পুরাণ বলে, ঊর্বশীকে দেখে স্বমেহন করতেন ব্রহ্মা | তাঁর শুক্রাণু জমা হত একটি পাত্রে | সেই পাত্রে জন্ম হয় ঋষি অগস্ত্য এবং অগস্ত্য জন্ম দেন সরস্বতীর | এই সূত্র অনুযায়ী সরস্বতী ব্রহ্মার নাতনি | আবার অন্য সূত্র বলে, ব্রহ্মার শুক্রাণু থেকে সরাসরি জন্ম হয় সরস্বতীর | কিন্তু আত্মজার রূপ দেখে মুগ্ধ হন প্রজাপতি | তিনি তাঁর সঙ্গে যৌন সঙ্গম করতে চান | জন্মদাতার কামনা থেকে বাঁচতে পালিয়ে যান সরস্বতী | কিন্তু শেষ অবধি হার মানতে হয় ব্রহ্মার কামনার কাছে | ব্রহ্মা এবং সরস্বতী স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকেন পদ্ম ফুলে | প্রায় ১০০ বছর ধরে | তাঁদের পুত্রের নাম স্বয়ম্ভুমারু এবং কন্যা শতরূপা | কিন্তু এরপরেও ব্রহ্মার বিকৃত যৌন কামনা কমেনি | এতে বিদ্যা এবং জ্ঞানের দেপী সরস্বতী অভিশাপ দেন ব্রহ্মাকে | বলেন, দেবতাদের মূলস্রোতে থাকবেন না প্রজাপতি ব্রহ্মা | অর্থাৎ তিনি পূজিত হবেন না | হিন্দু দেবতাদের মূলধারার মধ্যে পড়েন না ব্রহ্মা | তাঁর রাজস্থানের পুষ্কর ছাড়া তাঁর মন্দির এবং অর্চনা বিরল | কুপিত হয়ে সরস্বতী তাঁকে ছেড়ে চলে যান | দেবী থেকে রূপান্তরিত হন নদীতে | সেখান থেকেই বৈদিক যুগের 'সরস্বতী নদী' | কৃষিপ্রধান সভ্যতার মূলে থাকা উর্বরতার উৎস এই নদীর উৎসমুখ ও প্রবাহ নিয়ে এখনও চলে গবেষণা | ব্রহ্মার অজাচারের প্রমাণ ঐতেরেয় ব্রাহ্মণ, শতপথ ব্রাহ্মণ, মৎস্য পুরাণ এবং ভাগবৎ পুরাণেও আছে | সমাজতাত্ত্বিকরা মনে করেন, ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে যৌনাচার বৈদিক যুগে বহুল প্রচলিত ছিল | তাই বাবা-মেয়ে এবং ভাই-বোন যৌনতাকে তখন বংশবৃদ্ধি বা সন্তান উৎপাদনের কারণ দেখিয়ে 'অপরাধ' তকমার বাইরে রাখা হত | রামভক্তরা কানে আঙুল দিলেও কোনও কোনও সূত্র বলে, রাম-সীতাও নাকি আসলে ভাই-বোন ছিলেন | ঐতিহাসিকরা মনে করেন, বৈদিক যুগের এই অন্ধকার রীতি-নীতি সমাজে প্রচলিত ছিল খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ থেকে ১০০০ খ্রিস্টাব্দ অবধি | সেইজন্যেই তো একমাত্র ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মো কী...
সূত্রঃ Here আবার,
ব্রহ্মা অহল্যা নামের এক অসাধারন সুন্দরী নারী তৈরি করেছিলেন। এই রমনীর সাথে ব্রহ্মা বিয়ে দিয়েছিলেন মহামুনি গৌতমের সাথে। যাই হোক ইন্দ্র ছিলেন গৌতমের সবচেয়ে প্রিয় শিষ্য। খুব বিশ্বাস করতেন গৌতম ইন্দ্রকে।কিন্তু ইন্দ্রের নজর ছিল সবসময় গৌতমের স্ত্রীর দিকে। তিনি সবসময় সুযোগ খুজতেন যে কিভাবে অহল্যার সাথে সঙ্গম করা যায়। একদিন মুনিবর তপস্যা করতে গেলেন। সেই সুযোগে ইন্দ্র পুরোপুরি মুনির ছদ্মবেশ ধরে এলেন মুনির পত্নির কাছে।চতুর ইন্দ্রের ছিদ্মবেশ ছিল খুবই নিখুত। তিনি এমনকি মুনির সব আচার আচরন নকল করেছিলেন। যাই হোক তিনি যখন তাঁর গুরুর ছদ্মবেশ ধরে গুরুপত্নীর কাছে আসলেন, তখন গুরুপত্নী অহল্যা বিস্মিত হয়ে ভাবলেন যে তাঁর স্বামী মহামুনি গৌতম তপস্যা থেকে এত দ্রুত ফিরে আসলেন কেন। সে কথা তিনি গৌতম মুনি রূপী ইন্দ্রকে জিজ্ঞেস করলেন। ইন্দ্র উত্তর দিলেন,“প্রিয়তমা, তোমার কথা হঠাৎ করে মনে হল আর মন চঞ্চল হয়ে উঠলো। তোমার সৌন্দর্যের কথা মনে এলে আমার ধ্যান ট্যান সব টুটে যায়”।যাক পতিপ্রাণা নারী অহল্যা আর কিছু না হলে স্বামীর বাহুতে ধরা দিলেন। চলতে লাগলো রমন পর্ব।কামে জর্জরিত ইন্দ্রের একবার মনেও এলো না যে অহল্যা শুধু বিবাহিতা পরনারীই নন, স্বয়ং মাতৃসমা গুরুপত্নি। এভাবেই গুরুপত্নীকে নষ্ট করলেন দেবতাদের রাজা ইন্দ্র। যাইহোক ইন্দ্র ঘর থেকে বেরিয়ে যাবার বেশ পরে আসল মুনি গৌতম তপস্যা থেকে ফিরে এলেন। এসে তিনি স্ত্রীর শরীরে রতি গন্ধ পেলেন। এবং অবাক হয়ে বললেন এ ব্যাপার কি? অহল্যা করজোড়ে বললেন যে স্বামী নিজেই একটু আগে তাঁর সাথে রমন করে এখন আবার তাঁকেই দোষারোপ করছেন কেন? এই কথা শুনে মুনির মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। তিনি অমনি ধ্যান শুরু করে দিলেন। ধ্যানে জানতে পারলেন যে এই অপকর্মটি করেছে তারই প্রানপ্রিয় সন্তানতুল্য শিষ্য দেবতা ইন্দ্র। তিনি ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে ইন্দ্র কে ডাকতে লাগলেন। পুথিপত্র হাতে নিয়ে ইন্দ্র এমন নিরীহ ভঙ্গীতে প্রবেশ করলেন গুরুর ঘরে যেন তিনি ভাজা মাছটি উলটে খেতে জানেন না। কিন্তু মুনি তখন ইন্দ্রকে লক্ষ করে সক্রোধে বলতে লাগলেন, "রে দুরাচার পাপী ইন্দ্র আমি আমার সব বিদ্যা শিক্ষা তোকে দান করলাম আরতুই আমাকে ভাল গুরু দক্ষিনা দিলি আমার স্ত্রীর সাথে ছলনা করে তার সাথে সহবাস করে জাতি নষ্টের মাধ্যমে?যা আমি তোকে অভিশাপ দিলাম তোর সারা শরীর যোনিময় (vagina) হোক ।“ অভিশাপ দেয়ার সাথে সাথে দেব্রাজ ইন্দ্রের সারা শরীর সহস্র যোনি (vagina) দিয়ে ভরে গেল। অনেকদিন পরে ইন্দ্র এই শাপ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন কিন্তু সে কথা এখন থাক। মুনি অহল্যাকেও শাপ দিলেন পাথরে পরিনত হবার। সূত্রঃ-Amarblog.com
সব মিলিয়ে:ছ-বিকামসূত্র বইটা কোথা থেকে এলো

Tuesday, August 19, 2014

ফারাবীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রতিদিনের মিথ্যা রিপোর্টের দাঁত ভাঙ্গা জবাব!!

নইম নিজামছ-বি নামকড়া পত্রিকা "বাংলাদেশ প্রতিদিন"ব্লগারশফিউর রহমান এর বিরুদ্ধে ছড়াচ্ছে মিথ্যা News ! কয়েকদিন আগে তসলিমা নাসরিন,আসিফ মহিউদ্দীন এবং ব্লগার আরিফুর রহমান পবিত্র কোরআন শরীফের উপর চায়ের কাপ রেখা কোরআনকে অবমাননা করে এদেশের প্রতিটা ধর্মপ্রাণ মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত করে ! এই ভিডিওটা আবার ইউটিউবেও ছাড়া হয় (দুঃখের বিষয় ভিডিওটা ডিলিট করেছেন ব্লগার আরিফুর রহমান ফারাবীরএই স্ট্যাটাসটায় কিছু ডিটেইলস পেতে পারেন) তসললিমা ,আসিফ ,আরিফুরের কোরআন অবমাননার এই ছবিটি দেখুন, ছ-বি আর এই অপকর্মের বিরুদ্ধে কিবোর্ডে খোঁচা দেয় ব্লগার ফারাবী আর এতেই তার যত দোষ!ফারাবী তার একটি স্ট্যাটাসে লিখেন,কোরআন বিদ্বেষী লেখিকা তসলিমা নাসরিনের আর একটি লেখাও বাংলাদেশ প্রতিদিনে ছাঁপাতে পারবেনা,একসময় এখানে রামদার কথা উঠে আসে(রাগের মাথায় রাজাকেও প্রজা খুন করার কথা বলে ফেলে এটা দোষের কিছু নয়) আর এতে ভীত হয়ে ছাহচী চাংপাদিক নঈম নিজাম ওরফে নাস্তিক নিজাম ফারাবীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি করে!ফারাবীর সামনে এখন বড় বিপদ যে কোন সময় জেলে যেতে পারে সে! ফারাবী যুক্তি দিয়েছিল ,যেই মহিলা কোরআনকে অবমাননা করে তার লেখা কেন বাংলাদেশের একটি নামিদামী পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিন ছাঁপাবে ? আচ্ছা ভাই বাংলাদেশ কি অ্যাথেইস্ট রিপাব্লিক কান্ট্রি নাকি যে আপনি যার তার লেখা বা অশ্লীল অযোগ্য লেখা পত্রিকায় ছাপিয়ে জনতার কাছ থেকে ব্যবসা করে যাবেন? কয়েকদিন আগে আমি বাংলাদেশ প্রতিদিনে তাসলিমার পর্ণগ্রাফি কলামটি পড়েছিলাম যেখানে তাসলিমা আলোচনা করেছেন, •সেক্সের সময় কেন পুরুষেরা নারীকে নিচে ফেলে রাখে ? •নারীর উচিত্‍ পুরুষের যৌনাঙ্গ কেঁটে ফেলা । •সেক্স কিভাবে করতে হবে । •সে পর্ণ ভিডিও দেখে কিনা । ইত্যাদি ইত্যাদি । আচ্ছা ভাই এখন আপনি বলুন এই লেখাটা কি বাংলা চটি না নাকি সেক্স টিপস? এগুলো ছাপানোর জন্য তো ইন্টারনেটে প্রচুর চটি সাইট আছে ,যৌবনজ্বালা ফোরাম,চটি বই আছে তাইলে জনতার পত্রিকায় কেন ? আর এইসব লেখা যখন ফারাবী নঈম নিজামকে ছাপাতে মানা করলেন তখনই বাংলাদেশ প্রতিদিন ছাপালো এই ভূয়া খবর দেখুনঃ
→সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকের মাধ্যমে দেশবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছেন। →এমনকি মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন কটাক্ষ ও ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করছেন। এখানেই ক্ষান্ত হননি। →জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচারণা চালাচ্ছেন। যা পাঠকদের সামনে হুবহু তুলে ধরার মতো নয়। ফারাবীর ব্লগ ও ফেসবুক পেজে এ ধরনের ভূরিভূরি অপকর্মের ছাপ পাওয়া যাবে।
নঈম নিজাম বাংলাদেশ প্রতিদিনে এমন খবর প্রকাশ করেছেন যাতে ফারাবীর প্রতি সরকার বিরুপ হয়,

" →বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য ও কুত্‍সা রটিয়েছে ফারাবী ,মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটুক্তি ও করেছে"

আমি তো ফারাবীর কোন স্ট্যাটাসে বা ব্লগে দেখলামনা মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধুকে গালাগাল বা মন্দ কথা বলতে আমি সেই ২০১১ সাল থেকেই তো ফারাবীর লেখা পড়ি! আমি কেন সারা বাংলাদেশী ফেসবুক ইউজাররাও দেখেনি আপনি জরিপ করে দেখতে পারেন । তাইলে এই প্যান্টে মুতা তসলিমার জারজ সন্তান হারামী নঈম নিজাম এই কথা কোথায় পেল ? বাংলাদেশ প্রতিদিনে আরো ছাপা হয়েছে,
আবারও জামিন পেয়ে ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানোই শুধু নয়, →নারীকে ফেসবুকে যেৌন হয়রানী বা উত্যাক্ত করার অভিযোগও রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনৈক ফেরদেৌসুর রহমানের এ পুত্রের বিরুদ্ধে। কয়েকজন ব্লগার জানান, →কাশিমপুর কারাগারে অবস্থানকালেই রহস্যজনক ভাবে ছদ্মনামে ফেসবুক আইডি থেকে রাষ্ট্র বিরোধী প্রচারণাও চালায় ফারাবী। নিউজ লিংকঃ http://www.bd-pratidin.com/2014/08/19/24838
আসুন এবার দেখি ফারাবী মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন কটুক্তি সত্যিই করেন কিনা , এই স্ট্যাটাসটায় তার প্রমাণ !এখানে ফারাবী পাকিস্তানিদের হানাদার বাহীনি বলে উল্লেখ করেছে ! আচ্ছা ভাই এইবার বলেনতো যে ছেলে পাকিস্তানকে বর্বর বলতে পারেন সেই ছেলেটি কি কখনো মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে কুত্‍সা রটাতে পারে ? মিজান ব্যাটা এতই ভীতু রামদার কোপের কথা শুনে প্যান্টে প্রশাব করে দিয়েছে ! কাপুরুষ কোথাকার ! জোচ্চোর বলদ পাঠা কোথাকার ! আসেন দেখি ফারাবীর আসলে দোষ কি কি, •নাস্তিকদের অপপ্রচারের জবাব দেয়া । •নাস্তিকদের সাথে আপোষ না হওয়া । •বাংলাদেশ প্রতিদিনের অপকর্ম জনতার সামনে খোলাখুলি ভাবে তুলে ধরা । •নঈমের নাস্তিকতা প্রকাশ করে দেয়া । •ইসলামের পক্ষে লেখা । •ইসলামের অপপ্রচারের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া ! এগুলোই তার অপরাধ ! এই নঈমেরা চায় বাংলাদেশ একটি অ্যাথিস্ট রিপাব্লিক কান্ট্রি হোক যাতে করে তারা ফ্রি সেক্স করতে পারে তাইতো এত কিছু ! শেষকথা: বাংলাদেশ প্রতিদিন ভূয়া খবর ছড়াচ্ছে ! একটি সাধারন ধর্মপ্রাণ প্রতিবাদী ছেলেকে জঙ্গী বানাচ্ছে ! তাকে দেশদ্রোহী বানাবার জোড় চেষ্টা চালাচ্ছে ! ৯০% মুসলিম জনতার টাকায় পেট পূর্ণ করে কোরআন বিদ্বেষী চটি লেখিকা বেশ্যাখ্যাত তসলিমার লেখা ছাপাচ্ছে ! আসুন সবাই নঈম মিজানের পেটে লাথি মেরে মিথ্যা খবর প্রকাশ কারী পত্রিকা "বাংলাদেশ প্রতিদিন"পত্রিকা বর্জ্যন করি এবং বছরে ৮টাকা দর কেজি কিনে টয়লেট টিস্যু হিসেবে ব্যবহার করি।

Friday, August 15, 2014

সমকামিতা,বিজ্ঞান এবং ইসলাম :চরম একটা ইবুক ডাউনলোড না করলে মিস!

বইয়ের সূচিপত্র সূচি পত্রছ-বি সমকামিতার পরেই বিজ্ঞানের অবতারনা কেন? আর এর সাথে ইসলামেরই বা কি সম্পর্ক? আসলে,সমকামিতা জঘন্য যৌন বিকৃতি। পৃথিবীতে সমকামিদের বিকৃতি যখন শুরু হয় তখন তা কোনও বিজ্ঞানীকে জিজ্ঞেস করে শুরু করা হয় নি।আর বর্তমানেও যারা নিজেদের আচরন বিকৃত করছে তারাও কিন্তু কোনও বিজ্ঞানের সমর্থন পেয়ে সমকামী হয় নি।মূলতঃ অপরাধীর সাধারন বৈশিষ্ট্যই হল সে তার অপরাধের কারনে হীনমন্যতা ও অপরাধবোধে ভোগে। আর এই মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সে তার অপরাধের পক্ষে নানা রকম যুক্তি দাড় করাতে থাকে যাতে সে মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পায়। সমকামীরাও এর ব্যতিক্রম নয়। তারা তাদের বিকৃত রুচির কারনে ও তাদের প্রতি মানুষের স্বভাবজাত ঘৃণার কারনে হীনমন্যতায় ভুগে আর তা থেকে বাচার জন্য কোনও উপায় না পেয়ে অতি ধূর্ততার সাথে বিজ্ঞানের অপব্যাখ্যাকেই বেছে নেয়।বিজ্ঞানের এমন একটিও প্রমানিত তথ্য নেই যা সমকামিতার পক্ষে বিন্দুমাত্র ভূমিকা রাখে বরং বিজ্ঞানের লক্ষ লক্ষ প্রমানিত তথ্য তার বিপরীতটাই নির্দেশ করে। অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী এই সব বিকৃত রুচির মানুষদের প্রতারণার মূখোশ খূলে দিয়েছে এই বইটি। সমকামিতার ধ্বংসলীলা থেকে শিশুরাও আজ নিরাপদ নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে কোনও মহামারীর ব্যপকতা নিরুপনের জন্য একটি তত্ত্ব ব্যবহার করা হয় যার নাম “iceberg of disease”. বরফ পানিতে ভাসে এবং উপর থেকে তার যতোটুক অংশ দেখা যাক না কেন পানির নিচে তার বিস্তৃতি কিন্তু আরও অনেক বেশী।এই তত্ত্ব অনুসারে- ঠিক তেমনি সমাজে যখন মহামারী ছড়ায় তখন যতজন লোকের রোগের কথা জানতে পারা যায় প্রকৃত সংখ্যা কিন্তু তার চাইতে অনেক বেশী বলেই ধরে নেয়া হয়। এই দিক থেকে বিবেচনা করলে ঢাকার রাজপথে যেহেতু সমকামিরা মিছিল করা শুরু করেছে, রুপবান ম্যাগাজিন প্রকাশের সাহস পেয়েছে তাই বলা যায় যে এদেশে তাদের সংখ্যা আমাদের ধারনার চাইতেও অনেক বেশী।এবং অদূর ভবিষ্যতে এই মহামারী আমাদের এক ভয়ানক সমাজ উপহার দিতে যাচ্ছে যদি না আমরা এখনি তার বিরুদ্ধে রুখে না দাড়াই। কোনও কিছু রুখতে হলে তা রোখার উপায় জানাটাও জরুরী। সেই উপায়টা কি???? সমকামিতার ধ্বংসলীলা থেকে মানব সভ্যতাকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় ইসলাম। ইসলামই পৃথিবীর বুকে একমাত্র ধর্ম তথা জীবনব্যবস্থা যা মানুষকে সমকামিতার অপকারিতা, শাস্তি, তা থেকে বেঁচে থাকার উপায় সম্পর্কে পুংখানপুংখ বর্ণনা উপস্থাপিত করেছে যা দেখলে বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। আর তাই মানবজাতির সামনে ইসলাম ছাড়া দ্বিতীয় আর কোনও উপায়ও নেই এই বিকৃতির হাত থেকে সমাজ ও সভ্যতাকে বাঁচানোর।পাশ্চাত্যে এই বিকৃতির ব্যপকতা সেই সাক্ষ্যই বহন করছে। এই সব বিষয় নিয়ে সুক্ষাতিসুক্ষ আলোচনা নিয়েই সাজানো হয়েছে এই ইবুকটি।এই বইটি লেখার জন্য কত কত ঘন্টা যে @এফ,জেড,করিম ভাই ব্যায় করেছেন আর @Farhad Hossain Mithu ভাই যে কত শত পৃষ্ঠা ইংরেজি বিখ্যাত জার্নাল ও বই পড়েছেন তা শুনলে যে কেউই চমকে যাবেন। তবে বইটি লেখার মূল প্রস্তাবক Farabi shafiur Rahman যার বেশ কয়েকটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের অংশ বিশেষ এই ইবুকটিতে যোগ করা হয়েছে। ইবুকটি ডাউনলোড করতে ছবির উপর ক্লিক করুনঃ-
সমকামিতা,বিজ্ঞান এবং ইসলাম ।
ডাউনলোড

রাসুলুল্লাহ সা. কি মহিলাদের গাধার সাথে তুলনা করেছেন ? প্রশ্নত্তোর পর্ব

প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম। আমি নিয়মিত কুরআন শরীফ ও বিভিন্ন হাদীস শরীফের বই (আরবি/ বাংলা/ইংরেজি) নিয়মিত পড়ে থাকি। কিছুদিন আগে কিছু হাদীস পড়ে আমি খুবই মনোকষ্টে আছি। দয়া করে উপযুক্ত ব্যাখ্যা দ্বারা আমার কষ্ট দূর করবেন। আয়শা থেকে বর্নিত, আমাকে বলা হয়েছিল কি কি জিনিস নামাজকে নষ্ট করে। সেগুলো হলো – কুকুর, গাধা ও নারী। — সহী বুখারী, বই-৯, হাদিস-৪৯৩ আমার প্রশ্ন হচ্ছে,এখানে নারীকে কেন উল্লেখ করা হলো? এটা কি অস্মমান জনক নয়? জবাব: ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ এই হাদিসের ব্যাখ্যা বুঝার আগে আমরা দু’টি হাদিসের উপর নজর বুলিয়ে নেই। – 338 ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺃﺣﻤﺪ ﺑﻦ ﻣﻨﻴﻊ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻫﺸﻴﻢ ﺃﺧﺒﺮﻧﺎ ﻳﻮﻧﺲ ] ﺑﻦ ﻋﺒﻴﺪ [ ﻭﻣﻨﺼﻮﺭ ] ﺑﻦ ﺯﺩﺍﻥ [ ﻋﻦ ﺣﻤﻴﺪ ﺑﻦ ﻫﻼﻝ ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻻﺻﺎﻣﺖ ﻗﺎﻝ ﺳﻤﻌﺖ ﺃﺑﺎ ﺫﺭ ﻳﻘﻮﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺇﺫﺍ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻴﻦ ﻳﺪﻳﻪ ﻛﺂﺧﺮﺓ ﺍﻟﺮﺣﻞ ﺃﻭ ﻛﻮﺍﺳﻄﺔ ﺍﻟﺮﺣﻞ ﻗﻄﻊ ﺻﻼﺗﻪ ﺍﻟﻜﻠﺐ ﺍﻷﺳﻮﺩ ﻭﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﻭﺍﻟﺤﻤﺎﺭ ﻓﻘﻠﺖ ﻷﺑﻲ ﺫﺭ ﻣﺎ ﺑﺎﻝ ﺍﻷﺳﻮﺩ ﻣﻦ ﺍﻷﺣﻤﺮ ﻣﻦ ﺍﻷﺑﻴﺾ ؟ ﻓﻘﺎﻝ ﻳﺎ ﺍﺑﻦ ﺃﺧﻲ ! ﺳﺄﻟﺘﻨﻲ ﻛﻤﺎ ﺳﺄﻟﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ؟ ﻓﻘﺎﻝ ﺍﻟﻜﻠﺐ ﺍﻷﺳﻮﺩ ﺷﻴﻄﺎﻥ )ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺘﺮﺫﻯ، ﺍﺑﻮﺍﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺑﺎﺏ ﻣﺎ ﺟﺎﺀ : ﺃﻧﻪ ﻻ ﻳﻘﻄﻊ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺇﻻ ﺍﻟﻜﻠﺐ ﻭﺍﻟﺤﻤﺎﺭ ﻭﺍﻟﻤﺮﺃﺓ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ338-، 347، ( অনুবাদ- আব্দুল্লাহ বিন সামেত বলেন-আমি আবু জর রা. কে বলতে শুনেছি যে, রাসূল সা. বলেছেন, “যখন ব্যক্তি নামায পড়ে, আর তার সামনে হাওদার পিছনের লাকড়ির মত বা হাওদার মাঝের লাকড়ির মত কোন কিছু না হয়, তখন কালো কুকুর, গাধা, বা মহিলা তার নামায ভেঙ্গে দেয়”। তখন আমি বললাম-“কালো কুকুর কি দোষ করল সাদা বা লাল কুকুর ভিন্ন?” তিনি বলেন-“একথা আমি বীজী সা. কেও জিজ্ঞেস করেছিলাম। তখন তিনি বলেছেন যে, ‘কালো কুকুর হল শয়তান’” (তিরমিযী শরীফ, হাদিস নং-৩৩৮, ৩৪৭) – 492 ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺣﻔﺺ ﻗﺎﻝ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺃﺑﻲ ﻗﺎﻝ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺍﻷﻋﻤﺶ ﻗﺎﻝ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﻋﻦ ﺍﻷﺳﻮﺩ ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ . ﻗﺎﻝ ﺍﻷﻋﻤﺶ ﻭﺣﺪﺛﻨﻲ ﻣﺴﻠﻢ ﻋﻦ ﻣﺴﺮﻭﻕ ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ : ﺫﻛﺮ ﻋﻨﺪﻫﺎ ﻣﺎ ﻳﻘﻄﻊ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺍﻟﻜﻠﺐ ﻭﺍﻟﺤﻤﺎﺭ ﻭﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﻓﻘﺎﻟﺖ ﺷﺒﻬﺘﻤﻮﻧﺎ ﺑﺎﻟﺤﻤﺮ ﻭﺍﻟﻜﻼﺏ ﻭﺍﻟﻠﻪ ﻟﻘﺪ ﺭﺃﻳﺖ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻳﺼﻠﻲ ﻭﺇﻧﻲ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺴﺮﻳﺮ ﺑﻴﻨﻪ ﻭﺑﻴﻦ ﺍﻟﻘﺒﻠﺔ ﻣﻀﻄﺠﻌﺔ ﻓﺘﺒﺪﻭ ﻟﻲ ﺍﻟﺤﺎﺟﺔ ﻓﺄﻛﺮﻩ ﺃﻥ ﺃﺟﻠﺲ ﻓﺄﻭﺫﻱ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻓﺄﻧﺴﻞ ﻣﻦ ﻋﻨﺪ ﺭﺟﻠﻴﻪ ] ﺭ 486 [ )ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻯ- ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺃﺑﻮﺍﺏ ﺳﺘﺮﺓ ﺍﻟﻤﺼﻠﻲ، ﺑﺎﺏ ﻣﻦ ﻗﺎﻝ ﻻ ﻳﻘﻄﻊ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺷﻲﺀ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﻴﺪﻳﺚ493-، 514 ( অনুবাদ-হযরত মাসরুক আয়শা রা. থেকে বর্ণনা করেন যে, যখন তাকে এই হাদিস শুনানো হল যে, “গাধা ও কুকুর এবং মহিলাদের কারণে নামায ভেঙ্গে যায়” তখন তিনি বললেন যে, “তোমরা আমরা নারী জাতি কে গাধা ও কুকুরের সমতূল্য বানিয়ে দিলে? অথচ আমি নবীজী সা. এর সামনে কিবলার উপর জানাযার মত শুয়ে থাকতাম। আর নবীজী নামায পড়তেন (তাহাজ্জুদ)। তখন আমার পা ছড়ানো দরকার হলে আ র পা নবীজী সা. এর সিজদার স্থানে চলে যেত। (ঘর অন্ধকার থাকার দরুন) যখন তিনি সিজদার জন্য বসতে চাইতেন, তখন আমার পায়ে খোঁচা দিতেন। তখন আমি পা গুটিয়ে নিতাম। (বুখারী শরীফ-হাদিস নং-৪৯২,৫১৪) ব্যাখ্যা মজার ব্যাপার হচ্ছে যে, আপনি যেই প্রশ্নটি করেছেন তা হযরত আয়েশা রা. নবীজী সা. এর মৃত্যুর পরই করে ফেলেছেন। মৌলিকভাবে হাদিসে নারী জ তিকে খাটো করা হয়নি। গাধা ও কুকুরের সাথে তুলনাও করা হয়নি। বরং তাদের স্বাতন্ত্রতা এবং আকর্ষ নীয়তার কথা ব্যক্ত করা হয়েছে। উক্ত হাদিসে মূলনীতি শিখানো হয় ছে যে, কি কি বিষয় নামায ব্যাঘাত ঘটাতে পারে? তিনটি বিষয় নামাযের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলে হাদিসে উ ধৃত হয়েছে। এই তিনটি বিষয় ভিন্ন তিনটি কারণে নামাযের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। তিনটির কোনটিই একটি আরেকটির মত নয়। সম্পূর্ণই আলাদা। যথা : ১. কালো কুকুর। কালো কুকুর দেখতে ভয়ংকর। অর্থাৎ এটি দেখলে ভীতির সঞ্চার হয়। ভীত হয়ে গেলে মানুষ অস্বাভাবিক আচরণ করে। এ কারণে একে নামায ভঙ্গের কারণ হয়। ২. গাধা। গাধা হল ঘৃণার বস্তু। ঘৃণিত বস্তু দেখলেও মানুষের মাঝে মনযোগিতা হ্রাস পায়। তাই এটিই নামায বিনষ্টের কারণ হয়। ‘ ৩. নারী। নারী হল আকর্ষনীয়। তারপ্রতি মানুষের স্বভাবজাত আকর্ষন থাকে। নারীর কোমনীয়তা, স্বাতন্ত্র সৌন্দর্য মানুষকে আকৃষ্ট করে। আর আকৃষ্ট করে এমন চমকপ্রদ বস্তুও মানুষকে গাফেল করে দেয়। এ কারণে নারীর সামনে আগমণকেও নামায ভঙ্গের কারণ হিসেবে উপস্থাপিত করা হয়েছে। এখানে লক্ষণীয় হল- কুকুরকে ভয়ের কারণে আর গাধাকে ঘৃণার কারণে আর নারীকে সৌন্দর্য ও আকর্ষনীয়তার কারণে নামায ভঙ্গের কারণ বলা হয়েছে। নারীকে আকর্ষনীয়, সৌন্দর্যমন্ডিত বলে উপস্থাপন করাটা কি নারীকে খাটো ক া? অবশ্যই নয়। বরং এটা তাকে সম্মান জানানো। আর তার অনুপম বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা। (বিষয়টি ভাল করে জানতে পড়ুন- তুহফাতুল আলমায়ী-১/১৬০-১৬)

আল্লাহ্কে কে সৃষ্টি করেছে ?

অনেকে আছে নাস্তিক দেরকে আল্লাহতালার অস্তিত্ব বুঝাইতে যাইয়া এইভাবে উদাহরণ দেয় যে প্রত্যেক জিনিস এর একটা স্রষ্টা রয়েছে যেমন জামা পরি এমনেই তৈরী হয় নি তাতি কাপড় বানাইসে, তাতি লুমে কাপড় বানাইসে লুম এম্নে এম্নেই হয় নাই মেকানিক বা কারখানায় বানানো হইসে, লুম আর কারখানা চালাতে বিদ্যুৎ দরকার এম্নে এম্নেই হয় নাই টারবাইন ঘুরানো হইসে এই জন্যে বিদ্যুৎ উতপন্ন হইসে, তাই আমাদেরও স্রষ্টা রয়েছে। তখন নাস্তিকরা বলবে স্রষ্টাককে মেনে নেব যদি তুমি তোমার যুক্তি থেকে না সরো। তখন সে বলবে ঠিক আসে সরব না। আর সে ফেসে গেল কারণ নাস্তিক তখন জিজ্ঞাস করবে সব কিসুর স্রষ্টা থাকলে আল্লাহকে কে স্রিস্টি করেছেন? আসলে সব কিসুর স্রষ্টা আছে এইটা ঠিক। কিন্তু আল্লাহ এর স্রষ্টা নেই, তার কোনো শুরু নেই, তার সমতুল্য কিসু নেই, তিনি এক এবং তার তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন (আল্লাহ এর পরিচিতি রয়েছে সুরা এখলাস এ)। এখন অন্ধ নাস্তিক রা তো আর স্বাভাবিক কথা মানবে না কুরানের কথা মানবে না। অরা সেই যুক্তির লেজ ধরেই বসে থাকবে এবং আল্লাহকে কে স্রিষ্টি করসেন এই প্রশ্নে গো ধরে বসে থাকবে। যোগ্য উত্তর যোগ্য প্রশ্ন হতে পাওয়া যায়। আল্লাহকে কে স্রিষ্টি করসে? এই প্রশ্নটি প্রশ্ন হওয়ারই যোগ্যতা নেই । ধরুন আপনি একটি রুমে বসে আছেন ,মাথার উপরে ফ্যান ঘুরছে, ফ্যানের বাতাসে পর্দা নড়ছে। দেখুন, পর্দা কেন নড়ছে? ফ্যান ঘুরার কারণে। ফ্যান কেন ঘুরছে? কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ার কারণে। কারেন্ট কেন প্রবাহিত হলো ? কোন যন্ত্রের মাধ্যমে এটাকে তারের ভিতর দিয়ে পাঠানো হয়েছে। দেখুন পর্দা এক জিনিষ, আর সেটার নড়ার কারণ যে ফ্যান সেটা আরেক জিনিষ; ফ্যান এক জিনিষ, আর সেটা ঘুরার কারণ যে কারেন্ট সেটা আরেক জিনিষ; এভাবে কারেন্ট যে যন্ত্রের মাধ্যমে পাঠানো হলো সেটা আরেক জিনিষ ।এজন্যই পর্দার ক্ষেত্রে যেভাবে প্রশ্ন করা হচ্ছে ফ্যানের ক্ষেত্রে সেভাবে প্রশ্ন করা হচ্ছে না, ফ্যানের ক্ষেত্রে যেভাবে প্রশ্ন করা হচ্ছে কারেন্টের ক্ষেত্রে সেভাবে প্রশ্ন করা হচ্ছে না।পর্দার ক্ষেত্রে বলছি নড়ে কেন, কিন্তু ফ্যানের ক্ষেত্রে বলছি ঘুরছে কেন, এই উদাহরণের জিনিষগুলো সম্পর্কে আমি আপনি জানি বলেই যেভাবে প্রশ্ন করা সাজে ঐভাবেই আমরা প্রশ্ন করছি। আবার দেখুন, ধরুন আপনি কারেন্ট সম্পর্কে কিছু জানে না এমন একজন লোককে বললেন যে, ফ্যান ঘুরছে কারেন্টের কারণে। তখন কিন্তু এই লোকটা কারেন্ট সম্পর্কে অন্য কোন উল্টাপাল্টা প্রশ্ন না করে প্রথমেই জিজ্ঞাসা করবে কারেন্ট কি জিনিষ। আগে সে কারেন্টের প্রকৃতি বুঝতে চেষ্টা করবে। এটাই সাধারণ কমন সেন্সের দাবী। সুতরাং এই মহাবিশ্ব, স্থান এবং সময় যে কারণে অস্তিত্ব লাভ করলো সেই কারণটি সম্পর্কে অন্য কোন উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করার আগে আমাদের জানতে হবে সেই কারণটির প্রকৃতি কি। কি কি রকম প্রশ্ন তার ক্ষেত্রে মানায়। আরও একভাবে উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছিঃ তোমার প্রশ্নটিরই আসলে প্রশ্ন হওয়ার যোগ্যতা নেই । তোমার এই প্রশ্নটি প্রশ্ন হওয়ারই আদৌ যোগ্যতা নেই । প্রশ্ন হওয়ার যোগ্যতা বলতে একটা কথা আছে। ধরুন একজন মানুষ একটা বই বাধিয়েছেন। যে মানুষটা বইটা বাধিয়েছেন তার নাম ধরুন সাগরিকা। এখন আপনাকে একজন প্রশ্ন করল বইটা বাধিয়েছে কে? আপনার উত্তর হবে নিশ্চয়ই সাগরিকা। এখন আবার যদি লোকটা প্রশ্ন করে সাগরিকাকে বাধিয়েছে কে? আপনার কাছে কি কোন উত্তর আছে? না, নেই। কারন কি ? কারন প্রশ্নটা ঠিক হয় নি। সাগরিকার এর ক্ষেত্রে বাধানোর প্রশ্ন টা আসে না। আসে কি। সাগরিকার ক্ষেত্রে প্রশ্নটা করতে হবে এভাবেঃ সাগরিকাকে সৃষ্টি করেছে কে? এবার উত্তর টা কি হবে। নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তা বা আল্লাহ তা’আলা। এখন যদি প্রশ্ন করেন সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করেছে? তখন প্রশ্নটা কি “সাগরিকা কে বাধিয়েছে?” প্রশ্নটা এ রকম হয়ে গেল না? অর্থাৎ দেখতে হবে প্রশ্নটি আদৌ প্রশ্ন হওয়ারই যোগ্যতা আছে কি না । অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তার ক্ষেত্রে এই প্রশ্নটা প্রযোজ্য নয়। আর যে প্রশ্নটাই ভুল তার তো আর উত্তর পাওয়া যাওয়া সম্ভব না। http:// www.somewhereinblog.net/ blog/ Fuad1dinohin/29231413 http:// www.shodalap.org/ fuad/2359/

ইসলামে নারীর যৌন অধিকার-সদালাপ

সংগ্রহিত: "সদালাপ"ইসলামে নারীর যৌন অধিকার [লেখাটিতে আমরা যা জানবো- ইসলামের দৃষ্টিতে নারী কি পুরুষের উপভোগের যৌন মেশিন? ইসলামে কি পুরুষকে স্ত্রীর ওপর যথেচ্ছ যৌনাচারের ফ্রি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে? স্ত্রীরা তোমাদের শস্যক্ষেত্র – কেন এই আয়াত? ইসলামে কি নারীদের যৌন চাহিদার কোন স্বীকৃতি নেই? ইসলামে কি যৌন অধিকার একতরফাভাবে পুরুষকে দেওয়া হয়েছে?] ভূমিকা ইসলামের সমালোচকরা অনেকে বুঝাতে চান যে ইসলামে নারীদের যৌন চাহিদার কোন মূল্য নাই, বরং এই ব্যাপারে পুরুষকে একতরফা অধিকার দেওয়া হয়েছে, পুরুষ যখন ইচ্ছা তখন যৌন চাহিদা পূরণ করবে আর স্ত্রী সেই চাহিদা পূরণের জন্য সদা প্রস্তুত থাকবে। এই ধারণার পেছনে কুরআন আয়াত এবং হাদিসের অসম্পূর্ণ পাঠের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। বস্তুত কুরআনের কিছু আয়াত বা কিছু হাদিস দেখে কোন বিষয় সম্পর্কে ইসলামের শিক্ষাকে পুরোপুরি উপলব্ধি করা সম্ভব নয়, বরং তা অনেক ক্ষেত্রেই পাঠককে বিভ্রান্ত করতে পারে। কোন বিষয় সম্পর্কে ইসলামের শিক্ষাকে সঠিকভাবে উপলদ্ধি করতে হলে সেই সংক্রান্ত কুরআনের সবগুলো আয়াত এবং সবগুলো হাদিসকে সামনে রাখতে হবে। যা হোক, আমার এই লেখার উদ্দেশ্য শুধু এতটুকু দেখানো ইসলামে নারীদের যৌন চাহিদার কোন স্বীকৃতি আছে কি-না। আসুন চলে যাই মূল আলোচনায়। পরিচ্ছেদ ১ কেন এই দাবি? সূরা বাকারার ২২৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- ﺃَﻧَّﻯﺸِﺌْﺘُﻤْﻨِﺴَﺂﺅُﻛُﻤْﺤَﺮْﺛٌﻠَّﻜُﻤْﻔَﺄْﺗُﻮﺍْﺣَﺮْﺛَﻜُﻢْ Your wives are a tilth for you, so go to your tilth, when or how you will তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। [অনুবাদ সূত্র] হঠাৎ করে এই আয়াতাংশ কারো সামনে পেশ করা হলে মনে হতে পারে যে এখানে পুরুষকে যখন ইচ্ছা তখন তার স্ত্রীর সাথে যৌনাচার অবাধ অনুমতি দেওয়া হচ্ছে- এমনকি স্ত্রীর সুবিধা-অসুবিধার দিকেও তাকানোর কোন প্রয়োজন যেন নেই। যারা এই ধরণের ধারণার প্রচারণা চালান তারা সাধারণত এই আয়াতটি উল্লেখ করার পর তাদের ধারণার সাপোর্টে কিছু হাদিসও পেশ করেন, যেমন- কোন স্ত্রী যদি তার স্বামীর বিছানা পরিহার করে রাত কাটায় তবে ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত তাকে অভিশাপ দিতে থাকে। (মুসলিম, হাদিসের ইংরেজি অনুবাদ-৩৩৬৬) উপরিউক্ত আয়াতাংশ এবং এই ধরণের কিছু হাদিস পেশ করে অনেকই এটা প্রমাণ করতে চান ইসলাম কেবল পুরুষের যৌন অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করেছে এবং নারীকে যৌন মেশিন হিসেবে যখন তখন ব্যবহারের ফ্রি লাইসেন্স দিয়ে রেখেছে। সোজা কথায় ইসলামে যৌন অধিকার যেন একতরফাভাবে পুরুষের! আসলেই কি তাই? পরিচ্ছেদ ২ ২.১ কুসংস্কারের মূলোচ্ছেদকারি কুরআনের ২:২২৩ আয়াত সংক্রান্ত বিভ্রান্তির নিরসন মদিনার ইহুদিদের মধ্যে একটা কুসংস্কার এই ছিল যে, কেউ যদি তার স্ত্রীর সাথে পেছন দিক থেকে যোনিপথে সঙ্গম করত তবে বিশ্বাস করা হতো যে এর ফলে ট্যারা চোখবিশিষ্ট সন্তানের জন্ম হবে। মদিনার আনসাররা ইসলামপূর্ব যুগে ইহুদিদের দ্বারা যথেষ্ট প্রভাবিত ছিল। ফলে আনসারগণও এই কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ছিলেন। মক্কাবাসিদের ভেতর এই কুসংস্কার ছিল না। মক্কার মুহাজিররা হিজরত করে মদিনায় আসার পর, জনৈক মুহাজির যখন তার আনসার স্ত্রীর সাথে পেছন দিক থেকে সঙ্গম করতে গেলেন, তখন এক বিপত্তি দেখা দিল। আনসার স্ত্রী এই পদ্ধতিকে ভুল মনে করে জানিয়ে দিলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অনুমতি ব্যতিত এই কাজ তিনি কিছুতেই করবেন না। ফলে ঘটনাটি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত পৌঁছে গেল। এ প্রসঙ্গেই কুরআনের আয়াত (২:২২৩) নাযিল হয়, যেখানে বুঝানো হচ্ছে- সামনে বা পেছনে যেদিক দিয়েই যোনিপথে গমন করা হোক না কেন, তাতে কোন সমস্যা নেই। শস্যক্ষেত্রে যেদিক দিয়ে বা যেভাবেই গমন করা হোক না কেন তাতে শস্য উত্পাদনে যেমন কোন সমস্যা হয় না, তেমনি স্বামী তার স্ত্রীর যোনিপথে যেদিক দিয়েই গমন করুক না কেন তাতে সন্তান উত্পাদনে কোন সমস্যা হয় না এবং এর সাথে ট্যারা চোখবিশিষ্ট সন্তান হবার কোন সম্পর্ক নেই। বিস্তারিত তাফসির পড়ে দেখতে পারেন। কাজেই এই আয়াতের উদ্দেশ্য ইহুদিদের প্রচারিত একটি কুসংস্কারের মূলোত্পাটন, স্ত্রীর সুবিধা অসুবিধার প্রতি লক্ষ না রেখে যখন তখন অবাধ যৌনাচারের অনুমোদন নয়। যারা মনে করেন কুরআনে ইহুদি খৃষ্টানদের কিতাব থেকে ধার করা হয়েছে বা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহুদি খৃষ্টানদের থেকে শুনে শুনে কুরআন রচনা করেছেন, এই আয়াত তাদের জন্য বেশ অস্বস্তিকর বটে! প্রকৃত মুক্তচিন্তার অধিকারীদের বরং এই আয়াতের প্রশংসা করার কথা ছিল, কিন্তু প্রশাংসার যোগ্য আয়াতটিকে সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। ২.২ ফেরেশতাদের অভিশাপ সংক্রান্ত হাদিসটির বিশ্লেষণ এবার ফেরেশতাদের অভিশাপ করা সংক্রান্ত ওপরের হাদিসটার কথায় আসি। এই হাদিসটা বুখারিতেও এসেছে আরেকটু পূর্ণরূপে এভাবে: যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে (যেমন- সঙ্গম করার জন্য), আর সে প্রত্যাখান করে ও তাকে রাগান্বিত অবস্থায় ঘুমাতে বাধ্য করে, ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত তাকে অভিশাপ করতে থাকে। [বুখারি, ইংরেজি অনুবাদ ভলি- ৪/ বুক-৫৪/৪৬০] একটু ভালো করে লক্ষ্য করুন, স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাড়া না দেওয়ায় স্বামী রাগান্বিত হয়ে কী করছে? স্ত্রীর ওপর জোর- জবরদস্তি করে নিজের যৌন অধিকার আদায় করে নিচ্ছে? নাকি ঘুমিয়ে পড়েছে? এই হাদিসে নারী কর্তৃক স্বামীর ডাকে সাড়া না দেওয়ার কারণে স্ত্রীর সমালোচনা করা হলেও পুরুষকে কিন্তু জোর-জবরদস্তি করে নিজ অধিকার আদায়ে উত্সাহিত করা হচ্ছে না। আবার স্ত্রী যদি অসুস্থতা বা অন্য কোন সঙ্গত ওজরের কারণে যৌনাচার হতে বিরত থাকতে চান, তবে তিনি কিছুতেই এই সমালোচনার যোগ্য হবেন না, কেননা ইসলামের একটি সর্বস্বীকৃত নীতি হচ্ছে: আল্লাহপাক কারো ওপর তার সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপান না। আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না [২:২৮৬] আমি কাউকে তার সাধ্যাতীত দায়িত্ব অর্পন করি না। [২৩:৬২] ২.৩ ইসলাম কি শুধু নারীকেই সতর্ক করেছে? এটা ঠিক যে ইসলাম স্ত্রীদেরকে স্বামীর যৌন চাহিদার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছে, কিন্তু স্বামীকে নিজ চাহিদা আদায়ের ব্যাপারে উগ্র হবার কোন অনুমতি যেমন দেয়নি তেমনি স্বামীকেও স্ত্রীর যৌন চাহিদার প্রতি যত্মবান হবার নির্দেশ দিয়েছে। ইসলাম স্ত্রীকে বলেছে যদি রান্নরত অবস্থায়ও স্বামী যৌন প্রয়োজনে ডাকে তবে সে যেন সাড়া দেয়, অন্য দিকে পুরুষকে বলেছে সে যেন তার স্ত্রীর সাথে ভালো আচরণ করে, স্ত্রীর কাছে ভালো সাব্যস্ত না হলে সে কিছুতেই পূর্ণ ঈমানদার বা ভালো লোক হতে পারবে না। এই কথা জানার পরও কোন পুরুষ কি স্ত্রীর সুবিধার প্রতি কোনরূপ লক্ষ না রেখেই যখন তখন তাকে যৌন প্রয়োজনে ডাকবে? ইসলাম পুরুষকে এব্যাপারেও সাবধান করে দিয়েছে যে নিজের যৌন চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে স্ত্রীর যৌন চাহিদার কথাকে সে যেন ভুলে না যায়। অনেকে হয়ত ভাবছেন, কী সব কথা বলছি, কোথায় আছে এসব? চলুন সামনে এগিয়ে দেখি। পরিচ্ছেদ ৩ ৩.১ ইসলামে স্ত্রীর সাথে সদাচরণের গুরুত্ব নিচের হাদিসগুলো একটু ভালো করে লক্ষ করুন: হাদিস-১ আবুহুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ঈমানওয়ালাদের মধ্যে পরিপূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি, যার আচার-আচরণ উত্তম। আর তোমাদের মাঝে তারাই উত্তম যারা আচার-আচরণে তাদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম। [তিরমিযি, হাদিস নং ১০৭৯] হাদিস-২ আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মুমিন মু’মিনা(স্ত্রী)র প্রতি বিদ্বেষ রাখবে না। যদি তার একটি অভ্যাস অপছন্দনীয় হয় তবে আরেকটি অভ্যাস তো পছন্দনীয় হবে। [মুসলিম হাদিস নং- ১৪৬৯, ২৬৭২] হাদিস-৩ আয়িশা (রা.) হতে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ঈমানওয়ালাদের মধ্যে পরিপূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি যার আচার-আচরণ উত্তম এবং নিজ পরিবারের জন্য অনুগ্রহশীল। [তিরমিযি, হাদিস নং- ২৫৫৫] ৩.১.১ তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি, ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে: ৩.১.১.১ মু’মিন পুরুষ তার মু’মিনা স্ত্রীর প্রতি বিদ্বেষ রাখতে পারবে না। ৩.১.১.২ সদাচারী এবং স্ত্রী- পরিবারের প্রতি কোমল, নম্র, অনুগ্রহশীল হওয়া ঈমানের পূর্ণতার শর্ত। ৩.১.১.৩ কোন পুরুষ যদি উত্তম হতে চায় তাকে অবশ্যই তার স্ত্রীর কাছে উত্তম হতে হবে। একজন মুসলিমের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় সেটা হচ্ছে তার ঈমান- যে ঈমানের জন্য সে নিজের প্রাণ বিসর্জন করতেও কুন্ঠিত হয় না- সেই ঈমানের পরিপূর্ণতার জন্য স্ত্রীর সাথে সদাচারী, নমনীয় এবং অনুগ্রহশীল হওয়া ছাড়া উপায় নেই। কোন মুসলিম উত্তম বলে বিবেচিত হতেই পারবে না যদি না স্ত্রীর সাথে তার আচার-আচরণ উত্তম হয়। ৩.১.২ এখন প্রশ্ন হলো- ৩.১.২.১ যে স্বামী তার স্ত্রীর যৌন চাহিদার প্রতি কোন লক্ষ্য রাখে না, সে কি তার স্ত্রীর কাছে উত্তম হতে পারে? ৩.১.২.২ অথবা যে স্বামী তার স্ত্রীর সুবিধা অসুবিধার প্রতি লক্ষ্য না রেখে যখন তখন তার স্ত্রীর সাথে যৌনকার্যে লিপ্ত হয় সে কি তার স্ত্রীর কাছে উত্তম হতে পারে? ৩.১.৩ উত্তর হচ্ছে, পারে না। একজন ভালো মুসলিম যেমন স্ত্রীর জৈবিক চাহিদার প্রতি যত্নবান হবে, তেমনি নিজের জৈবিক চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে এমন অবস্থার সৃষ্টিও করবে না যা তার স্ত্রীর জন্য কষ্টকর হয়। স্ত্রীর প্রতি অসদাচরণ করে কেউ তার স্ত্রীর কাছে ভালো হতে পারে না আর পরিপূর্ণ মু’মিনও হতে পারে না। ৩.২ ইসলামে স্ত্রীর যৌন চাহিদার প্রতি গুরত্ব ইসলাম নারীর যৌন অধিকারকে শুধু স্বীকৃতিই দেয় না বরং এ ব্যাপারে কতটুকু সচেতন নিচের হাদিসটি তার একটি প্রকৃষ্ট প্রমাণ। আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত: নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন পুরুষ তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে তখন সে যেন পরিপূর্ণভাবে (সহবাস) করে। আর তার যখন চাহিদা পূরণ হয়ে যায় (শুক্রস্খলন হয়) অথচ স্ত্রীর চাহিদা অপূর্ণ থাকে, তখন সে যেন তাড়াহুড়া না করে। [মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং-১০৪৬৮] কী বলা হচ্ছে এখানে? সহবাসকালে পুরুষ তার নিজের যৌন চাহিদা পুরো হওয়া মাত্রই যেন উঠে না যায়, স্ত্রীর যৌন চাহিদা পূরণ হওয়া পর্যন্ত যেন বিলম্ব করে। এরকম একটা হাদিস চোখ দিয়ে দেখার পরও কারো জন্য এমন দাবি করা কি ঠিক হবে যে ইসলামে নারীদের যৌন চাহিদার কোন স্বীকৃতি নেই! এসব তো গেল উপদেশ। কিন্তু বাস্তবে কেউ যদি এসব উপদেশ অনুসরণ না করে তাহলে এই ধরণের পুরুষদের সতর্ক করা তার অভিভাবক এবং বন্ধুদের যেমন দায়িত্ব তেমনিস্ত্রীরাও তাদের স্বামিদের বিরূদ্ধে ইসলামি রাষ্ট্রের কাছে নালিশ করার অধিকার রাখে। এধরণের কিছু ঘটনা পরিচ্ছেদ চারে আসছে। এছাড়া সঙ্গমকালে স্ত্রীকে যৌনভাবে উত্তেজিত না করে সঙ্গম করাকে ইসলামে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা তাতে স্বামীর চাহিদা পূরণ হলেও স্ত্রীর চাহিদা পূরণ হয় না এবং স্ত্রীর জন্য তা কষ্টকর হয়। পরিচ্ছেদ পাঁচে এই ব্যাপারে আলোকপাত করা হবে। পরিচ্ছেদ ৪ এই পরিচ্ছেদে আমরা কিছু দৃষ্টান্তমূলক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করবো যেখানে স্ত্রীর যৌন অধিকারের প্রতি অবহেলা করার কারণে স্বামীকে সতর্ক করা হয়েছে, এমনকি স্বামীর বিরূদ্ধে ইসলামি শাসকের কাছে নালিশ পর্যন্ত করা হয়েছে। দৃষ্টান্ত-১ আবু মুসা আশয়ারী (রা.) থেকে বর্ণিত: হযরত ওসমান ইবনে মাযউন (রা.) এর স্ত্রী মলিন বদন এবং পুরাতন কাপড়ে নবী করিম (সা.) এর বিবিদের কাছে এলেন। তাঁরা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার এই অবস্থা কেন? কুরাইশদের মাঝে তোমার স্বামী থেকে ধনী কেউ নেই। তিনি বললেন, এতে আমাদের কি হবে? কেননা আমার স্বামীর রাত নামাযে কাটে ও দিন রোযায় কাটে। তারপর নবী করিম (সা.)প্রবেশ করলেন। তখন নবীজীর স্ত্রীগণ বিষয়টি তাকে বললেন। অত:পর হযরত ওসমান ইবনে মাযউন (রা.) এর সাথে সাক্ষাত হলে তিনি তাকে বললেন,-“আমার মধ্যে কি তোমার জন্য কোন আদর্শ নাই?” হযরত ওসমান (রা.) বললেন, কী বলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ? আমার পিতামাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত! তখন তিনি বললেন-“তবে কি তোমার রাত নামাযে আর দিন রোযায় কাটে না? অথচ তোমার উপর তোমার পরিবারের হক রয়েছে, আর তোমার উপর তোমার শরীরেও হক রয়েছে, তুমি নামাযও পড়বে, আবার ঘুমাবেও, আর রোযাও রাখবে আবার ভাঙ্গবেও”। তিনি বললেন তারপর আরেকদিন তার স্ত্রী পরিচ্ছন্ন ও সুগন্ধিত অবস্থায় এলেন যেন নববধু। [মাজমায়ে জাওয়ায়েদ, হাদিস নং ৭৬১২; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-৩১৬] দৃষ্টান্ত-২: আবু জুহাইফা (রা.) বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালমান (রা.) এবং আবু দারদা (রা.) এর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন স্থাপন করেছিলেন। সালমান (রা.) আবু দারদা (রা.) এর সাথে সাক্ষাত করতে গেলেন আর উম্মে দারদা (রা.) [আবু দারদা (রা.)এর স্ত্রী]- কে ময়লা কাপড় পরিহিত অবস্থায় দেখতে পেলেন এবং তাকে তার ঐ অবস্থার কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, “আপনার ভাই আবু দারদার দুনিয়ার চাহিদা নাই”। এর মধ্যে আবু দারদা এলেন এবং তার (সালমানের) জন্য খাবার তৈরি করলেন আর বললেন, “খাবার গ্রহণ করো কারণ আমি রোযা আছি”। সালমান(রা.) বললেন, “তুমি না খেলে আমি খাচ্ছি না”। কাজেই আবু দারদা(রা.) খেলেন। যখন রাত হলো, আবু দারদা (রা.) উঠে পড়লেন (রাতের নামায পড়ার জন্য)। সালমান (রা.) বললেন, “ঘুমাও”; তিনি ঘুমালেন। পুনরায় আবু দারদা উঠলেন (নামাযের জন্য), আর সালমান (রা.) বললেন, “ঘুমাও”। রাতের শেষ দিকে সালমান (রা.) তাকে বললেন, “এখন ওঠো (নামাযের জন্য)”। কাজেই তারা উভয়ে নামায পড়লেন এবং সালমান (রা.) আবু দারদা (রা.)কে বললেন, “তোমার ওপর তোমার রবের হক রয়েছে; তোমার ওপরে তোমার আত্মার হক রয়েছে, তোমার ওপর তোমার পরিবারের হক রয়েছে; কাজেই প্রত্যেককে তার প্রাপ্য হক প্রদান করা উচিত”। পরে আবু দারদা (রা.) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সাক্ষাত করলেন এবং একথা তার কাছে উল্লেখ করলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “সালমান সত্য বলেছে।” [বুখারি, হাদিস নং -১৮৬৭] দৃষ্টান্ত-৩: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, আমার পিতা একজন কুরাইশি মেয়ের সাথে আমাকে বিয়ে করিয়ে দিলেন। উক্ত মেয়ে আমার ঘরে আসল। আমি নামায রোযা ইত্যাদি এবাদতের প্রতি আমার বিশেষ আসক্তির দরুণ তার প্রতি কোন প্রকার মনোযোগ দিলাম না। একদিন আমার পিতা- আমর ইবনে আস (রা.) তার পুত্রবধুর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার স্বামীকে কেমন পেয়েছ? সে জবাব দিল, খুবই ভালো লোক অথবা বললো খুবই ভালো স্বামী। সে আমার মনের কোন খোঁজ নেয় না এবং আমার বিছানার কাছেও আসে না। এটা শুনে তিনি আমাকে খুবই গালাগাল দিলেন ও কঠোর কথা বললেন এবং বললেন, আমি তোমাকে একজন কুরাইশি উচ্চ বংশীয়া মেয়ে বিয়ে করিয়েছি আর তুমি তাকে এরূপ ঝুলিয়ে রাখলে? তিনি নবী করিম (সা.) এর কাছে গিয়ে আমার বিরূদ্ধে নালিশ করলেন। তিনি আমাকে ডাকালেন। আমি উপস্থিত হলে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি দিনভর রোযা রাখ? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি রাতভর নামায পড়? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন, কিন্তু আমি রোযা রাখি ও রোযা ছাড়ি, নামায পড়ি ও ঘুমাই, স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করি। যে ব্যক্তি আমার সুন্নতের প্রতি আগ্রহ রাখে না সে আমার দলভুক্ত না। [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং- ৬৪৪১] দৃষ্টান্ত-৪: কাতাদাহ (রহ.) বলেন, একজন মহিলা উমর (রা.)-এর কাছে এসে বললেন, আমার স্বামী রাতভর নামায পড়েন এবং দিনভর রোযা রাখেন। তিনি বললেন, তবে কি তুমি বলতে চাও যে, আমি তাকে রাতে নামায পড়তে ও দিনে রোযা রাখতে নিষেধ করি? মহিলাটি চলে গেলেন। তারপর আবার এসে পূর্বের ন্যায় বললেন। তিনিও পূর্বের মতো উত্তর দিলেন। কা’ব বিন সূর (রহ.) বললেন, আমিরুল মু’মিনিন, তার হক রয়েছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কীরূপ হক? কা’ব (রহ.) বললেন, কা’ব (রহ.) বললেন, আল্লাহ তাআলা তার জন্য চার বিবাহ হালাল করেছেন। সুতরাং তাকে চারজনের একজন হিসেব করে প্রত্যেক চার রাতের এক রাত তার জন্য নির্ধারিত করে দিন। আর প্রত্যেক চার দিনের একদিন তাকে দান করুন। উমর(রা.) তার স্বামীকে ডেকে বলে দিলেন যে, প্রতি চার রাতের একরাত তার কাছে যাপন করবে এবং প্রতি চারদিনের একদিন রোযা পরিত্যাগ করবে। [মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং: ১২৫৮৮] পরিচ্ছেদ ৫ ইসলামে শৃঙ্গারের গুরুত্ব ইসলাম সঙ্গমের পূর্বে স্ত্রীর সাথে অন্তরঙ্গতা সৃষ্টি বা শৃঙ্গার করার প্রতি যথেষ্ঠ গুরুত্ব আরোপ করে। স্ত্রীর যৌনাঙ্গকে সঙ্গমের জন্য প্রস্তুত না করেই তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়াকে- যা স্ত্রীর জন্য অত্যন্ত কষ্টকর- ইসলামে ‘পশুর ন্যায় সঙ্গম করা’ বলে অভিহিত করা হয়েছে এবং সঙ্গমের আগে শৃঙ্গার এবং আবেগপূর্ণ চুম্বন করাকে সুন্নাতে মু্ওয়াক্কাদাহ বলা হয়েছে। এই পরিচ্ছদে জনৈক মহিলা প্রশ্নের প্রেক্ষিতে দারুল- ইফতা, Leicester, UK থেকে প্রদানকৃত একটি ফতোয়ার অংশ বিশেষ উদ্ধৃত করবো যাতে ইসলামে শৃঙ্গারের গুরুত্ব সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হবে: ইমাম দাইলামি(রহ.) আনাস বিন মালিক (রা.) এর বরাতে একটি হাদিস লিপিবদ্ধ করেছেন যে রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করা হয়েছে যে, “কেউ যেন পশুর মতো তার স্ত্রী হতে নিজের যৌন চাহিদাকে পূরণ না করে, বরং তাদের মধ্যে চুম্বন এবং কথাবার্তার দ্বারা শৃঙ্গার হওয়া উচিত।” (দাইলামি ’র মুসনাদ আল-ফিরদাউস, ২/৫৫) ইমাম ইবনুল কাউয়্যিম(রহ.) তাঁর বিখ্যাত ‘তিব্বে নববী’তে উল্লেখ করেছেন যে রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শৃঙ্গার করার আগে সঙ্গম করতে নিষেধ করেছেন। (দেখুন: ‘তিব্বে নববী’, ১৮৩, জাবির বিন আবদুল্লাহ হতে) আল্লামা আল-মুনাবি(রহ.) বলেন: “সঙ্গমের আগে শৃঙ্গার এবং আবেগপূর্ণ চুম্বন করা সুন্নাতে মু্ওয়াক্কাদাহ এবং এর অন্যথা করা মাকরূহ।” (ফাইজ আল- ক্বাদির, ৫/১১৫, দ্রষ্টব্য: হাদিস নং ৬৫৩৬) [সূত্র] শেষের কথা: শুরুতেই বলেছিলাম, আমার এই লেখার উদ্দেশ্য শুধু এতটুকু দেখানো ইসলামে নারীদের যৌন চাহিদার কোন স্বীকৃতি আছে কি-না। কাজেই ইচ্ছা করেই কুরআন এবং হাদিসের উল্লেখযোগ্য অনেক কিছুই এখানে যোগ করি নাই। কিন্তু যতটুকু উল্লেখ করেছি তা জানবার পরও ‘ইসলামে নারীদের যৌন চাহিদার কোন মূল্য নেই’, ‘ইসলামে পুরুষকে স্ত্রীর ওপর যথেচ্ছ যৌনাচারের ফ্রি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে’, ‘ইসলামে যৌন অধিকার একতরফাভাবে পুরুষকে দেওয়া হয়েছে’ এই জাতীয় অভিযোগ সুস্থবুদ্ধিসম্পন্ন কেউ আশা করি করবেন না।

Thursday, August 14, 2014

হুমায়ন আঝাদ ষাড়কে মারিয়া ফেলি কি ফায়দা হৈল ?

hasandublog_1267469459_1-Humayun.jpg হুমায়ন ষাড়ে মেয়ে মলি আপায় কৈসে হুমায়ন ষাড় ভায়াগ্রা খাই মরি গেসে অতচ কতাটা ভূয়া ! পিরাণের প্রিয় হুমায়ন আঝাদ ষাড়কে মারি ফেলা হৈসে । মৌলবাদী মসুলমানগুলা হেতেরে মারিয়ালাইসে ! আহ্!ষাড়ের খতা মনে ফরি গেলু চক্ষু দিয়া খালি ফানি ফরিতাসে খি কৈতাম সব বুলি গেসি ! ষাড়ের যৌনশিক্ষা বই গুলার খতাই বেশি মনে ফরতাসে ।

ইসলামী ইবই-জিহাদ সম্পর্কিত কয়েকটি বই

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। সকলেই ভাল আছেন তো নাকি নেই ? আমি কিন্তু ভাল নেই ,দীর্ঘদিন যাবত্‍ ইহুদিবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনে আমার মা বোনদের ,শিশুদের হত্যা করছে অথচ সারা বিশ্ব চুপ !খোদ আমেরিকা আর সৌদী প্রেরণা যোগাচ্ছে এই ইহুদিবাদী ইসরাইলের!কি আর করার জেহাদ ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা নেই সামনে ,কিন্তু কিভাবে আমরা এই শক্তিশালী ইহুদিদের সাথে পারব ? তাদের তো ক্ষেপনাস্ত্রের অভাব নেই । মুমিন সব সময় মনে রাখবেন ,স্বয়ং আল্লাহ্ পাক আপনার সাথে আছেন । জেহাদ করে যদি আপনি মরেও যান সাথে সাথে জান্নাতি করে দিবেন স্বয়ং আল্লাহ্ পাক ! জেহাদ সম্পর্কিত এই বইগুলো পড়ে এই কথার সত্যতা যাঁচাই করতে পারেন । বইগুলো ডাউনলোড করতে হলে ছবির উপর ক্লিক করুন,
"মোল্লা মুহঃ ওমর" লেখা:মুফতী আব্দুল্লাহ মাসউদ দাঃবাঃ
সূচিঃছ-বি
"জিহাদের কাফেলা" লেখা:শহীদ মাওলানা জিয়াউর রহমান
সূচি:ছ-বি
"জিহাদে ইসলামী নীতি" লেখা:মাওলানা মাসউদ আযহার
মুজাহিদের আযান
সূচি: ছ-বি বই সংগ্রহ: www.subahesadiq.wordpress.com

Wednesday, August 13, 2014

কিছু প্রয়োজনীয় মূল্যবান কথা|ড্রাফট

রাবণ সীতাকে দেখে বলে ''কে তুমি ন হলুদ রেশম কাপর পরিহিত জেনো স্বর্ণে মোরা তোমার (সীতার) নিতম্ব ভরাট এবং প্রশস্ত, তোমার উরুদ্বয় হাতীর শুঁড়ের মত মসৃণ। আর তোমার আনন্দদায়ক স্তনযুগল, কী সুন্দর গোলাকার, এত দৃঢ় যা মৃদুভাবে স্ফীত হচ্ছে; কত ভরাট এবং সুদৃশ্য, দুটো পাম ফলের মত মসৃণ যাদের বোঁটাদ্বয় শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে এবং সবচেয়ে বির রত্ন দিয়ে অলংকৃত।'' রামায়ণঃ অধ্যায়-৪৬, পৃষ্ঠা-৯ । আসেন দেইখা লই রেন্ডিয়ার জঙ্গি সঙ্গঠনেগুলার নামঃ- ১. মাওবাদি ২. আলফা ৩. LTTE ৪. নকশাল ৫. শিবসেনা ৬. VHP ৭. RSS ৮. বজরং দল এখন আপনারাই বলেন কারা জঙ্গি আর কারা বাকিদের উপর দোষ দেয়!!!!! SO ALL TERRORISTS ARE NOT HINDU BUT MOST OF HINDUS ARE TERRORIST ইমাম আবু হানিফা [রাহ] এর নাস্তিকদের প্রশ্নের দাঁতভাঙ্গা জবাব ইমাম আবু হানিফা [রাহ] এর নাস্তিকদের প্রশ্নের দাঁতভাঙ্গা জবাব [ক] নাস্তিকঃ "তোমার খোদা কবে জন্মগ্রহন করেছেন ?" আবু হানিফাঃ "আল্লাহ সময়, কাল,যুগের আগে থেকে আছেন। [তার কোন শুরু নেই]" নাস্তিকঃ "পার্থিব জীবনের নমুনা থেকে বল" আবু হানিফাঃ "৩ এর আগে বাস্তব কত সংখ্যা" নাস্তিকঃ "২" আবু হানিফাঃ "২ এর আগে বাস্তব কত সংখ্যা" নাস্তিকঃ "১" আবু হানিফাঃ "১ এর আগে কত বাস্তব সংখ্যা" নাস্তিকঃ "নাই" আবু হানিফাঃ "যদি তোমার পার্থিব সংখ্যা ১ এর আগে কোন বাস্তব কিছু না থাকে তাহলে যিনি শাশ্বত তার আগে কি কিছু থাকতে পারে ?" [খ] নাস্তিকঃ "তোমার খোদা কোন দিকে মুখ করে আছেন ?" আবু হানিফাঃ "যদি কোন অন্ধকার স্থানে মোমবাতি আনা হয় সেটা কোন দিকে মুখ করে থাকে ?" নাস্তিকঃ "সব দিকে" আবু হানিফাঃ "যদি তোমার পার্থিব কৃত্রিম আলো সব দিকে মুখ করে থাকতে পারে তাহলে যিনি আলো তিনি কি পারেন না?" [গ] নাস্তিকঃ "তোমার খোদা কী কঠিন, তরাল না বায়বীয়?" আবু হানিফাঃ "মৃত ব্যক্তির পাশে কখনো ছিলেন ?" নাস্তিকঃ "হ্যাঁ" আবু হানিফাঃ "মৃত্যুর -পর সে কথা বলে ?" নাস্তিকঃ "অবশ্যি -না" আবু হানিফাঃ "মৃত্যুর - আগে সে বলতে ,কথা বলতে পারে কিন্ মরার পর সে নির্জীব আর বরফ হয় কেন? কে তার এই অবস্থা করে ?" নাস্তিকঃ "তার আত্মা চলে যায়" আবু হানিফাঃ "আত্মা কেমন আমাকে বলতো কঠিন ,তরল না বায়বীয় ?" নাস্তিকঃ "আমি জানি না" আবু হানিফাঃ "যদি পার্থিব আত্মার কোন সংজ্ঞা না দিতে পার তাহলে কিভাবে আল্লাহ র আল্লাহর অবস্থা বলা সম্ভব"(বিমূর্ত শাকির) [ঘ] নাস্তিকঃ "তোমার খোদা কোথায় থাকে ?" আবু হানিফাঃ "তুমি বাটিতে যদি এক গ্লাস দুধ নিয়ে আস" নাস্তিকঃ "ঠিক আছে" আবু হানিফাঃ "বল এর মধ্যে মাখন কোথায় থাকে ?" নাস্তিকঃ "সব খানে" আবু হানিফাঃ "যদি মাখনের মত সৃষ্ট বস্তু দুধের সব জায়গায় থাকে তাহলে আল্লাহ কিভাবে একটি স্থানে থাকতে পারে? এটা তো বিরট আশ্চর্য!" [ঙ] নাস্তিকঃ "কিভাবে জান্নাতে খাওয়ার আর উপভোগ করার পর এর জিনিস বাড়বে" আবু হানিফাঃ "যেভাবে জ্ঞান যত দান করা হয় তত বাড়ে" [চ] নাস্তিকঃ "জান্নাতে তো টয়লেট নাই তাহলে খাবার পর শৌচ কাজ করবে মানুষ কিভাবে ?" আবু হানিফাঃ "মায়ের পেটে বাচ্চা ৯ মাস কিভাবে শৌচ কাজ করে , সেটার তো দরকার হয় না। তাহলে জান্নাতে দরকার হবে কিভাবে ?" এভাবে যুগে যুগে নাস্তিকেরা অপমানি হচ্ছে ও হবে ইনশা-আল্লাহ...

ইমাম আবু হানিফা [রাহ.] এর নাস্তিকদের প্রশ্নের দাঁতভাঙ্গা জবাব

ইমাম আবু হানিফা [রাহ] এর নাস্তিকদের প্রশ্নের দাঁতভাঙ্গা জবাব [ক] নাস্তিকঃ "তোমার খোদা কবে জন্মগ্রহন করেছেন ?" আবু হানিফাঃ "আল্লাহ সময়, কাল,যুগের আগে থেকে আছেন। [তার কোন শুরু নেই]" নাস্তিকঃ "পার্থিব জীবনের নমুনা থেকে বল" আবু হানিফাঃ "৩ এর আগে বাস্তব কত সংখ্যা" নাস্তিকঃ "২" আবু হানিফাঃ "২ এর আগে বাস্তব কত সংখ্যা" নাস্তিকঃ "১" আবু হানিফাঃ "১ এর আগে কত বাস্তব সংখ্যা" নাস্তিকঃ "নাই" আবু হানিফাঃ "যদি তোমার পার্থিব সংখ্যা ১ এর আগে কোন বাস্তব কিছু না থাকে তাহলে যিনি শাশ্বত তার আগে কি কিছু থাকতে পারে ?" [খ] নাস্তিকঃ "তোমার খোদা কোন দিকে মুখ করে আছেন ?" আবু হানিফাঃ "যদি কোন অন্ধকার স্থানে মোমবাতি আনা হয় সেটা কোন দিকে মুখ করে থাকে ?" নাস্তিকঃ "সব দিকে" আবু হানিফাঃ "যদি তোমার পার্থিব কৃত্রিম আলো সব দিকে মুখ করে থাকতে পারে তাহলে যিনি আলো তিনি কি পারেন না?" [গ] নাস্তিকঃ "তোমার খোদা কী কঠিন, তরাল না বায়বীয়?" আবু হানিফাঃ "মৃত ব্যক্তির পাশে কখনো ছিলেন ?" নাস্তিকঃ "হ্যাঁ" আবু হানিফাঃ "মৃত্যুর -পর সে কথা বলে ?" নাস্তিকঃ "অবশ্যি -না" আবু হানিফাঃ "মৃত্যুর - আগে সে বলতে ,কথা বলতে পারে কিন্ মরার পর সে নির্জীব আর বরফ হয় কেন? কে তার এই অবস্থা করে ?" নাস্তিকঃ "তার আত্মা চলে যায়" আবু হানিফাঃ "আত্মা কেমন আমাকে বলতো কঠিন ,তরল না বায়বীয় ?" নাস্তিকঃ "আমি জানি না" আবু হানিফাঃ "যদি পার্থিব আত্মার কোন সংজ্ঞা না দিতে পার তাহলে কিভাবে আল্লাহ র আল্লাহর অবস্থা বলা সম্ভব"(বিমূর্ত শাকির) [ঘ] নাস্তিকঃ "তোমার খোদা কোথায় থাকে ?" আবু হানিফাঃ "তুমি বাটিতে যদি এক গ্লাস দুধ নিয়ে আস" নাস্তিকঃ "ঠিক আছে" আবু হানিফাঃ "বল এর মধ্যে মাখন কোথায় থাকে ?" নাস্তিকঃ "সব খানে" আবু হানিফাঃ "যদি মাখনের মত সৃষ্ট বস্তু দুধের সব জায়গায় থাকে তাহলে আল্লাহ কিভাবে একটি স্থানে থাকতে পারে? এটা তো বিরট আশ্চর্য!" [ঙ] নাস্তিকঃ "কিভাবে জান্নাতে খাওয়ার আর উপভোগ করার পর এর জিনিস বাড়বে" আবু হানিফাঃ "যেভাবে জ্ঞান যত দান করা হয় তত বাড়ে" [চ] নাস্তিকঃ "জান্নাতে তো টয়লেট নাই তাহলে খাবার পর শৌচ কাজ করবে মানুষ কিভাবে ?" আবু হানিফাঃ "মায়ের পেটে বাচ্চা ৯ মাস কিভাবে শৌচ কাজ করে , সেটার তো দরকার হয় না। তাহলে জান্নাতে দরকার হবে কিভাবে ?" এভাবে যুগে যুগে নাস্তিকেরা অপমানি হচ্ছে ও হবে ইনশা-আল্লাহ...

Tuesday, August 12, 2014

ধর্মীয় সৃষ্টিতত্ত্ব Vs বিবর্তনবাদ

বিবর্তনতত্ত্ব ও ধর্মীয় সৃষ্টিতত্ত্ব: কোন্টি যৌক্তিক ও মানবিক? মানব সৃষ্টি সম্পর্কে মূলত তিনটি তত্ত্ব প্রচলিত আছে: বিবর্তনতত্ত্ব, হিন্দু ধর্মের সৃষ্টিতত্ত্ব, ও আব্রাহামিক ধর্মের সৃষ্টিতত্ত্ব। বৌদ্ধ ধর্মের সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না। বিবর্তনতত্ত্ব: বিবর্তনতত্ত্ব অনুযায়ী এককোষী একটি ব্যাকটেরিয়া থেকে "এলোমেলো পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচন" নামক মন্ত্রের মাধ্যমে উদ্ভিদজগত ও প্রাণীজগত-সহ পুরো জীবজগত বিবর্তিত হয়েছে। বিবর্তনের এক পর্যায়ে আবার বানর জাতীয় লেজওয়ালা প্রাইমেটস থেকে ধাপে ধাপে লেজবিহীন হোমোসেপিয়েন্সও বিবর্তিত হয়েছে - যেটি শিশুদের জন্য বিনোদনমূলক একটি কল্পকাহিনী। এই কল্পকাহিনী- ভিত্তিক তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে সোসাল ডারউইনিজম ও ইউজেনিক্স নামক অমানবিক আইডিওলজিরও জন্ম হয়েছে – যার জন্য অসংখ্য নিরীহ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। হিন্দু ধর্মের সৃষ্টিতত্ত্ব: হিন্দু ধর্মের মানব সৃষ্টিতত্ত্ব অনুযায়ী ব্রহ্মার মুখ, বাহু, উরু, ও পা থেকে যথাক্রমে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, ও শূদ্র তথা চার বর্ণের মানুষ সৃষ্টি করা হয়েছে [ঋগ্বেদ ১০.৯০.১২] - যেটি একটি মিথ (এটিকে যদি মিথ বলা না যায় তাহলে মিথ যে কাকে বলা যাবে, কে জানে)। অথচ এই মিথ-এর উপর ভিত্তি করে 'ঈশ্বর/ধর্ম'র নামে হাজার হাজার বছর ধরে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষকে ব্রাহ্মণদের 'জন্মসূত্রে দাস (শূদ্র)' বানিয়ে রাখা হয়েছে। এই সৃষ্টিতত্ত্বের উপর ভিত্তি করেই নিজ ধর্মের মধ্যে বর্ণ প্রথা বা জাতিভেদ প্রথা (Caste system) গড়ে উঠেছে। জাতিভেদ প্রথা সম্পর্কে সকলেই কম- বেশী অবগত। যুক্তিবাদী বা সভ্য সমাজের কোনো মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই সৃষ্টিতত্ত্ব প্রচার করা হলে গণপিটুনি খেতে হবে। এজন্য শিক্ষিত হিন্দুদের মধ্যে কিছু অতি ধূর্ত 'বিবর্তনবাদী' সেজে তাদের ধর্মের এই সৃষ্টিতত্ত্বকে কৌশলে চেপে যেয়ে ইসলামের সৃষ্টিতত্ত্বকে বিবর্তনবাদ দিয়ে 'ভুল-মিথ্যা-অসার' বানিয়ে দিয়ে মুসলিমদেরকে বিভিন্নভাবে হেয় করা থেকে শুরু করে 'বিজ্ঞান-বিরোধী' প্রমাণ করারও চেষ্টা করছে। আব্রাহামিক ধর্মের সৃষ্টিতত্ত্ব: ইহুদী ধর্ম, খ্রীষ্ট ধর্ম, ও ইসলামের মানব সৃষ্টিতত্ত্বে মোটা দাগে বেমিল থাকলেও একটি জায়গায় যে মিল আছে তা হচ্ছে প্রথমে পার্থিব উপাদান থেকে আমাদেরই মতো এক জোড়া পূর্ণাঙ্গ মানুষ (নারী-পুরুষ) সৃষ্টি করা হয়েছে যাদের থেকে বংশবৃদ্ধি হতে হতে আজ প্রায় সাত বিলিয়ন মানুষে এসে ঠেকেছে। এ প্রসঙ্গে কোরআন বলে- “হে মানব-জাতি! তোমরা ভয় কর তোমাদের রবকে, যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের এক আত্মা থেকে এবং যিনি সৃষ্টি করেছেন তার থেকে তার জোড়া, আর ছড়িয়ে দিয়েছেন তাদের দু’জন থেকে অনেক নর ও নারী।” [আন- নিসা ৪:১] কোরআনের এই তত্ত্বকে কেউ 'মিথ' বা 'অযৌক্তিক' বা 'অবৈজ্ঞানিক' বা 'অমানবিক' দাবি করলে বুঝতে হবে তার মস্তিষ্ক ভাইরাসে খেয়ে ফেলেছে।

Sunday, August 10, 2014

মডারেটর,টুডে ব্লগের বিরুদ্ধে BTRCর কাছে ভূয়া অভিযোগের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে!"গ্রামের পথে পথে" জড়িত

মাননীয় মডারেটর ব্লগে দুধ কলা দিয়ে কিং কোবরা পুষছেন যারা আপনাকে ছোবল দেওয়ার চেষ্টায় আছে! ছোট বেলায় একটা গল্পে পড়েছিলাম, এক চাষা বৃষ্টির ভিতর রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল অতঃপর তিনি দেখতে পেলেন যে একটা সাপ রাস্তায় ঠান্ডায় মূর্ছা গেছে ।লোকটার মায়া হল তিনি সাপটাকে বুকে তুলে নিলেন ।কিছুক্ষন পর লোকটার বুকের উষ্ঞতায় সাপটার চৈতন্য ফিরে পেল বেঈমান সাপটা লোকটার বুকের ভিতর কামড় বসিয়ে দিলো ! হ্যা টুডে ব্লগ মডারেটর ও ভালবেসে সাপ বুকে তুলে নিয়েছেন আর সেই সাপ চাচ্ছে আপনাকে কামড়াতে ! ফেসবুকে একটি গ্রুপ খোলা হয়েছে ,সদস্য ৪ জন গ্রুপটির নাম"জামাত পন্থি টুডে ব্লগ,সদালাপ ব্লগ এর বিরুদ্ধে BTRC কে তথ্য দেই। গ্রুপটিতে আমি আমার একটি ফেইক আইডি(এটা দিয়ে আমি নাস্তিকদের তথ্য হাতাই কাজেই নাম সিক্রেট যদি কোন ইসলামপন্থি ভাই নাম জানতে চান তাহলে ফেইসবুকে আমার সাথে যোগাযোগ করুন) দিয়ে কৌশলে "মজিদিপোর্টার মুক্ছেদালী"র মাধ্যমে ঢুকে পরি। ঢুকেই এই লেখাটা পরে যায়
ঐ তরা কুন কুন বুলগে আছোত ? আমি আছি টুডে ব্লগে ।ঐখানে ছাগুগো ধোলাই দিতাসি ।
আমি সরাসরি পোস্ট দাতাকে ম্যাসেজ দেই,
ভাই BTRC এর কাছে কেম্ন কি দিমু ?এরাতো ধর্মকর্ম তেমন কটাক্ষ করেনা
। জবাব,
প্রথমে ছাগু ব্লগ(Today blog) ,অথবা চোদালাপে(!) নিক নিবা ,হেরপর খালি প্রত্যেকটা ধর্মীয় পোস্টে গিয়া আজেবাজে উস্কানি মূলক মন্তব্য করবা ।তুমি আজেবাজে মন্তব্য করলেই দেখবা ছুপা মুমিন গুলাও প্রতিক্রিয়া শুরু করব,আর সেই লেখাগুলা আমরা BTRC( http://www.btrc.gov.bd ) এর কাছে Link সহকারে তুইলা ধরুম।আর বিটিআরসি যদি ঐরকম ধর্মবিদ্বেষী মন্তব্য গুলা একবার দেখতেই পারে তাইলে কাম সাকসেসফুল।বর্তমানে আমাগো কয়েকজন কর্মী সেইখানে সক্রিয় আছে।নিয়মিত তারা ধর্ম পুন্দায় ।
মাননীয় মডারেটর বোধ হয় বুঝতে পেরেছেন সেই কয়েকজন কে ! আমরা জানি এই ব্লগে কয়েকজন আছেন যারা কিনা প্রতিটা ইসলামি পোস্টেই ইসলামকে যথেষ্ট গালিগালাজ করেন! এদের মধ্যে একজন হলেন "গ্রামের পথে পথে" । ওনার আগের নিক ছিল ,"খেলাঘর বাঁধতে এসেছি এখানে" যেটা আমাদের অনুরোধে মডারেটর কতৃত ব্যান হয়েছে । ওনার আরো অনেক নিক আছে যা উনি একেকটা ব্যান হলে কাজে লাগায় ।ওনার নিক সম্বন্ধে "মনসুর"ভাই ভাল জানেন ।
কে এই গ্রামের পথে পথে আর কেনই বা টুডে ব্লগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তিনি ?
আসুন জানি , গ্রামের পথে পথে হল ভারতের একটি মেয়ে মূলত সে শিবছাগু(তথ্যসূত্র) এবং আমারব্লগের একজন ব্লগার । এখানে তার ইউজার নেইম aakash হলেও আমার ব্লগে মেয়ে নিক(ফুলবানু) নিয়ে লিখে অর্থাত্‍ হিজড়া । তার কাজ হল,ইসলামকে অশ্রাব্য ভাষায় কটাক্ষ করা,ইসলামি মনীষীদের অত্যন্ত অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা[তথ্যসূত্র]। এখন প্রমাণ করি ফুলবানু নিকটি তার কিনা,আমার ব্লগে নাজমুস সাকিব গালিবের এই পোস্টে গিয়ে ফুলবানুর মন্তব্য চেক করুনটুডে ব্লগে একই লেখকের একই লেখায় তার ঐ একই মন্তব্য দেখুন । গ্রামের পথে পথেই যে ফুলবানু তার কট্টর প্রমাণ পাবেন এখানে। গ্রামের পথে পথে কেন এই হিজড়াপনা ?
কি কারনে তিনি চাচ্ছেন টুডে ব্লগ বন্ধ হোক ?
[গ্রামের পথে পথে নিক যে হিজড়া নিক এটা আমাকে জানিয়ে সাহায্য করেছেন আমার মিতা ইকরামুল আমেদ সজল] আমরা জানি আমারব্লগ.কম বহুদিন যাবত্‍ ক্ষরায় ভুগতেছে। আর সেখানের নাস্তিক ছাগল গুলো পোস্ট দিয়ে তেমন সাড়া পায়না।টুডে ব্লগ অল্পদিনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ায় নাস্তিক ছানাদের চোখের শূল হয়ে দাঁড়িয়েছে !এরা ভেবেছে এই টুডে ব্লগ বন্ধ করলে আমারা চলে যাব ঐ বাল্ছাল ব্লগ আমার ব্লগে আর তখনই ঐ বাল্ছাল আমার ব্লগের ব্লগারগুলো তাদের মন মত ঝাড়বে আমাদের !মাঝে মাঝে টুডে ব্লগ নিয়ে এরা আমার ব্লগে আলোচনাও করে কিভাবে টুডে ব্লগকে রসাতলে পাঠানো যায় ।আলোচদের মধ্যে মধ্যে গ্রামের পথে পথে/ফুলবানু এবং কেমানিক ওরফে প্রাপক অন্যতম । মডারেটর সাহেব আপনি কি এখন ও চিনতে পারেননি এই গ্রামের পথে পথে /ফুলবানু কে ? আর আপনি কি এখনো বুঝতে পারেননি কেন ইনি ব্লগে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করে ? একমাত্র আমার ব্লগকে চাঙ্গা করার জন্য । মাননীয় বিজ্ঞ মডারেটর হয়ত ভাবতে পারেন যে আমার সাথে উনার দ্বন্দ আছে তাই আমি উনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছি। না হে বিজ্ঞ মডারেটর আপনি ,আমার মায়ের জন্য দোয়া চেয়ে যে পোস্টটা করেছিলাম সেটাতে দেখুন ওনার সাথে খারাপ আচরন করেছিলাম বলে ক্ষমা চেয়েছিলাম । তাইলে কেন আমি আজ ওনার বিপক্ষে গেলাম ? হ্যা আমি আমাদের মিলন মেলা টুডে ব্লগকে টিকিয়ে রাখতে ওনার ষড়যন্ত্র আজ প্রকাশ করেছি । মডারেটর সাহেব এখন আমরা আপনার রায় দেখার অপেক্ষায় আছি ,দেখি আপনি আমাদের মিলন মেলা টুডে ব্লগকে টিকিয়ে রাখার জন্য কি পদক্ষেপ নেন ।

Saturday, August 9, 2014

ওয়ার্ডপ্রেস

•https://mozidkantha.wordpress.com/wp-admin/options-general.php •https://chupamalu.wordpress.com/wp-admin/themes.php •https://chupamalu.wordpress.com/wp-admin/themes.php?_e_pi_=7%2CPAGE_ID10%2C2496760319 •mozidkantha.wordpress.com/wp-admin/options-general.php

Thursday, August 7, 2014

ইসলামি যৌন আইনশাস্ত্র

বয়ঃসন্ধিকালকে ইসলামে বুলুগ ও বয়ঃস্বন্ধিতে পৌছানো ছেলেকে বালেগ ও মেয়েকে বালেগা বলা হয়ে থাকে| বয়ঃসন্ধিকাল থেকে নারী ও পুরুষের যৌন বৈশিষ্টসমূহ সক্রিয় হতে শুরু করে| তাই এই সময় থেকেই ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্য মনোদৈহিক ভারসাম্য, স্থিরতা ও নিরাপত্তার জন্য নামাজ, রোজা, নিজ নিজ আওরাহ ও পবিত্রতার বিধান ফরজ বা বাধ্যতামুলক করা হয়| স্বপ্নদোষ [সম্পাদনা] ইসলামী তথ্যলিপিসমূহ থেকে দেখলে স্বপ্নদোষ অতি সাধারণ ও স্বাভাবিক ঘটনা বলে প্রতীয়মান হয়| স্বপ্নদোষ হলে গোসল করে পবিত্রতা অর্জনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে| ঋতুস্রাব [সম্পাদনা] রজঃস্রাব ও ঋতুস্রাব বা হায়েজ ও নেফাসকে ইসলামে সরাসরি নারী জাতির জন্য একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে| এ সময়ে নারীদের নামাজ ও রোজা থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে| পাশাপাশি গোসলের মাধ্যমে নিয়মিত পবিত্র হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে| বৈবাহিক যৌনাচার [সম্পাদনা] হাদীস [সম্পাদনা] ইসলামে যৌন চাহিদা পূরণের জন্য বিবাহের প্রতি ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে| হাদীসে আছে, "যে যুব সম্প্রদায়, তোমাদের মধ্যে যাদের বিয়ে করার সামর্থ আছে তাদের উচিৎ বিয়ে করা, এটি দৃষ্টিকে নত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাযত করে; আর যাদের বিয়ে করার সামর্থ নেই তারা যেন রোজা রাখে, কেননা তা যৌন উত্তেজনাকে প্রশমিত করে" —(বুখারী, মুসলিম) নীতি [সম্পাদনা] ইসলামী আইন অনুসারে, বিবাহের মাধ্যমে স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যকার যৌন সম্পর্ক ও যৌনমিলন বৈধ করা হয়| বিয়ে ইসলামী রীতি মাফিক সম্পাদিত হতে হবে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোন কারণে তালাক হয়ে গেলে যৌনমিলনের সুযোগ থাকে না। বিয়ে পড়ানোর পর যৌনমিলনের আগে মোহরানার অর্থ পরিশোধ করতে হবে। বিয়ের অন্যতম শর্ত যৌনমিলন। তাই অন্যান্য শর্ত পূরণ হলেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌনসঙ্গম না-হওয়া পর্যন্ত বিবাহ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। স্বামী-স্ত্রীর যৌন সম্পর্ক [সম্পাদনা] ইসলামে স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার স্বাভাবিক যৌন সম্পর্ককে বৈধ করা হয়েছে এবং একে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে| উপরন্তু, ইসলামে এটিকে সদকার সমতুল্য বলা হয়েছে এবং নফল ইবাদতের চেয়েও অনেক বেশি মর্যাদা দেওয়া হয়েছে| ইসলামে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কই একমাত্র সম্পর্ক যেখানে পর্দার কোন বিধিনিষেধ নেই| তবে পায়ুমৈথুন ও রজস্রাবকালে যৌনসম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা আছে| যৌনতার বিধিনিষেধসমূহ [সম্পাদনা] জনসম্মুখে প্রকাশ্য যৌনতা [সম্পাদনা] ইসলামে যৌনতা কেবল স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বৈধ এবং অবশ্যই তা লোকচক্ষুর আড়ালে নির্জন স্থানে হতে হবে| ইসলামে জনসম্মুখে প্রকাশ্য যৌনাচার ও নগ্নতা, জনসম্মুখে যৌন উষ্কানিমুলক আচরণ ও পোশাক পরিধান অন্যান্য সকল ক্ষেত্র সহ বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নিষিদ্ধ| একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, নবী মুহাম্মদ(সাঃ) বলেছেন, "যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্য অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে, তখন সেখানে প্লেগ মহামারির আকারে রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে; তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব ঘটে, যা পূর্বেকার লোকেদের মাঝে দেখা যায় নি" — সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং- ৪,০১৯ পবিত্রতা অর্জন এবং পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা [সম্পাদনা] যৌনক্রিয়া বা সহবাসের সময় যদি শুধুমাত্র দম্পতির যৌনাঙ্গদ্বয়ের পারস্পারিক অনুপ্রবেশ ঘটে অথবা অনুপ্রবেশের পর বীর্যস্খলন ঘটে তবে এই উভয় ক্ষেত্রেই স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের পূর্ণরুপে গোসল করা প্রয়োজন, যাতে তারা পরবর্তী সালাতের পূর্বে পবিত্র হতে পারে| গোসলের জন্য প্রয়োজন এমন পরিষ্কার ও দুর্গন্ধবিহীন পবিত্র পানি যা ইতিপূর্বে গোসল বা শৌচকাজে ব্যবহৃত হয় নি| গোসলের জন্য প্রথমে পবিত্রতা ও ইবাদতের নিয়ত বা মনসংকল্প করতে হবে| এরপর বিসমিল্লাহ বলে পূর্ণরুপে একবার অযু করার পর শরীরের প্রতিটি অংশ ধুতে হবে| রোজা এবং রমজান মাস [সম্পাদনা] রমজান মাসে রোজার সময় যৌনসঙ্গম নিষিদ্ধ। এ সময় যৌনসঙ্গম করলে বা কোন কারণে বীর্যপাত ঘটালে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। যৌন উত্তেজনা বশত: কামরস নির্গত হলে রোজা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। রজঃস্রাব [সম্পাদনা] স্ত্রীর রজ:স্রাব কালে যৌনসঙ্গম করা হারাম বা নিষিদ্ধ। স্ত্রীর রজ:স্রাবকালে যৌনসঙ্গম করলে হিজড়া সন্তানের জন্ম হয় বলে হাদীসে উল্লেখ রয়েছে| গর্ভনিরোধ [সম্পাদনা] ইসলামী বিধান অনুযায়ী যৌনসঙ্গমকালে বীর্যপাতের পূর্ব মুহূর্তে লিঙ্গ প্রত্যাহার করে গর্ভনিরোধ করা যায়। একে আজল বলে| এছাড়া কনডম ব্যবহারও আজলের অন্তর্ভূক্ত বলে অনেক আলেম ফতোয়া দিয়েছেন| গর্ভপাত [সম্পাদনা] অধিকাংশ আলেমই গর্ভে সন্তান আসার পর গর্ভপাত থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন| তবে কিছু আলেমদের মতে, গর্ভধারণের কারণে মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলে যদি গর্ভপাত করার কারণে মায়ের জীবন বাঁচে তবে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়া যেতে পারে| এছাড়া প্রয়োজন ব্যতিরেকে বা নবজাতক ভরণ-পোষণের অর্থের অভাবে হলেও গর্ভপাত নিষিদ্ধ| পবিত্র কোরআনে আল্লাহতাআলা অর্থাভাবে হলেও সন্তান হত্যা করতে নিষেধ করেছেন| পায়ূমৈথুন [সম্পাদনা] ইসলামী বিধান অনুযায়ী মানবদেহে পায়ূতে লিঙ্গ প্রবেশ হারাম। নিজ স্ত্রীর সঙ্গেও পায়ূমৈথুন হারাম বা নিষিদ্ধ। ইসলামী বিধান অনুসারে, এ কাজ কবিরা গুনাহ বা সর্বোচ্চ পাপ। ইসলামের দৃ্ষ্টিতে বিবিধ যৌনাচার [সম্পাদনা] বিবাহ বহির্ভূত যৌনতা (ব্যভিচার ও পরকীয়া) [সম্পাদনা] যে কোন ধরণের বিবাহ বহির্ভূত যৌনাচার ইসলামে নিষিদ্ধ। সমাজ থেকে বিবাহ বহির্ভূত যৌনতা নির্মুল করার জন্য ইসলামে সঠিক সময়ে বিয়ের জন্য জোর দেয়া হয়েছে| যার সঙ্গে বিবাহ স্থির হয়েছে তার সঙ্গে যথাযথ পদ্ধতিতে বিবাহ নিষ্পন্ন না-হওয়া পর্যন্তও যৌনমিলন নিষিদ্ধ। ইসলামী বিচারব্যবস্থায় ব্যভিচারের অভিযোগে কেউ অভিযুক্ত হলে তা প্রমাণ করার জন্য কমপক্ষে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করতে হবে| অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবিবাহিত ব্যভিচারী পুরুষ বা নারীকে আশিটি বেত্রাঘাত এবং বিবাহিত ব্যভিচারী পুরুষ বা নারীকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করতে হবে| আর অভিযোগ প্রমাণিত না হলে বা মিথ্যা প্রমাণিত হলে মিথ্যা অপবাদ রটনাকারীকে আশিটি বেত্রাঘাত প্রদান করতে হবে| সমকামী যৌনাচার [সম্পাদনা] ইসলাম কেবল স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে যৌনসঙ্গম অনুমোদন করে। যেহেতু দুইজন পুরুষ বা দুইজন নারীর মধ্যে বিবাহ নিষিদ্ধ তাই সমকামী যৌনাচারও ইসলামে নিষিদ্ধ।ইসলামের দৃষ্টিতে এটি একটি বিকৃত ও অত্যন্ত নিকৃষ্ট যৌনাচার যা নারী-পুরুষ যৌনতার স্বাভাবিকতা বিবর্জিত এবং যৌনতার মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে প্রজননের পরিপন্থী, যা সৃষ্টিগতভবে যৌনতার মৌলিক ও কেন্দ্রীয় উদ্দেশ্য| ইসলামের দৃষ্টিতে এটি ব্যভিচার ও পরকীয়া থেকেও খারাপ একটি কাজ| সমকামী যৌনাচারের কারণে অতীতে নবী লূত (আঃ) এর সম্প্রদায়কে আল্লাহ ধ্বংস করে দেয়ার সাবধানকারী ঘটনা কুরআনের একাধিক সূরা ও একাধিক হাদীসে উল্লেখ রয়েছে| এছাড়া নবী মুহাম্মদ (সাঃ) সমকামীদের অভিসম্পাত করেছেন এবং শাস্তি হিসেবে তাদের হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন; এছাড়া চার খলিফাও এ ব্যাপারে একমত প্রকাশ করেছেন| সমকামিতা রোধ করার জন্য ইসলামে নারী পুরুষকে লিঙ্গ অনুযায়ী পোশাকীয় ও আচরণিক স্বকীয়তা বজায় রাখতে বলা হয়েছে এবং নারীকে পুরূষের বেশভুষা ও আচরণ এবং পুরুষকে নারীর বেশভুষা ও আচরণ অণুকরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে| পাশাপাশি নারী বা পুরুষ সমাজেও উষ্কানিমূলক নগ্নতাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে| উপপত্নী [সম্পাদনা] ধর্ষণ [সম্পাদনা] ধর্ষণ বিবাহ বহির্ভূত জোরপূর্বক যৌনসঙ্গম, যা এক প্রকার অত্যাচার ও নির্যাতন। তাই ধর্ষণ ইসলামে নিষিদ্ধ। ইসলামী আইন অনুসারে, ধর্ষণের অভিযোগ প্রমানিত হলে অভিযুক্ত ধর্ষককে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে মৃত্যুদন্ড প্রদান করতে হয়, যেন উপস্থিত জনতা শাস্তি দেখে ভীত হয়ে ধর্ষণ থেকে বিরত থাকে| হস্তমৈথুন [সম্পাদনা] ইসলাম কেবল স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে যৌনসঙ্গম অনুমোদন করে। হস্তমৈথুন বা স্বকাম তাই ইসলামে অনুমোদিত নয়। অবিবাহিত যুবকদের ধৈর্য্য ধারনের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। মুখমৈথুন [সম্পাদনা] ইসলামে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মুখমৈথুনের ব্যপারে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয় নি| সে কারণে অনেক আলেমই এটির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ কিংবা সরাসরি বৈধতা প্রদান করা থেকে বিরত থেকেছেন| আবার অনেক আলেম এটিকে মাকরুহ বলে স্বাব্যস্ত করেছেন| কেয়ামতের লক্ষণ [সম্পাদনা] মূল নিবন্ধ: ইসলামী পরকালবিদ্যা সহীহ হাদীসে বেশ কিছু নিষিদ্ধ যৌনতার সমাজে ছড়িয়ে পড়াকে কেয়ামতের পূর্বলক্ষণ হিসেবে স্পষ্টভাবে নির্দেশ করা হয়েছে| এগুলো হল প্রকাশ্যে অবৈধ যৌনাচার, সমকামিতা , সমাজে অবৈধ যৌন সম্পর্ক সহজ হয়ে যাওয়া এবং অজাচার| [১]

Wednesday, August 6, 2014

আপনাদের জন্য চমত্‍কার কয়েকটি ইসলামি বই

ঈমান সবার আগে
সোনালী পাতা
দেওবন্দ আন্দোলন
গনতন্ত্র নয় পূর্ণাঙ্গ বিপ্লব
মহা প্রলয়
শারহে উসূলুশ শাশী
রিয়াদুস সালেহিন

ইসলামিক বই জিহাদ আলাপ

জিহাদে অংশগ্রহন এবং ৩৯টি সহায়তা লেখা:মুহম্মদ বিন আহমদ আল আলীম
Download
মানব রচিত আইন দ্বারা বিচার করা
Download
আন্তর্জাতিক জিহাদ এবং বিভিন্ন সংশয় নিরশন লেখক:উস্তাদ আহমেদ ফারুক

হাজার হাজার খ্রীষ্টানের আনুষ্ঠানিক ভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ ভিডিও দেখুন

মায়েদের প্রতি একজন মুজাহিদের বার্তা: মা আপনি দৃঢ় থাকুন

ভন্ড, যিনদিক, মুর্তাদ মানুষ ও মিডিয়া

ছ-বি

Tuesday, August 5, 2014

ISIS/ISIL এর জন্য আপনি সকল মুসলমানকেই টেরোরিস্ট বলতে পারেননা

ISIS/ISIL ইস্যু নিয়ে আজকাল ব্লগে এবং ফেসবুকে দেখা যায় নাস্তিক ভাইয়েরা সকল মুসলিম কে টেরোরিস্ট গালিগালাজ করে আসছে। তাদের দাবী ISIS/ISIL একটি ইসলামিক সংগঠন অতএব সকল মুসলিমই টেরোরিস্ট। আসলে তারা তাই তো দেখে আসছে যে সংগঠনের নামটি তো ইসলামি । তারা তো ইসলামের নামে জিহাদ করে আসছে । কিন্তু তারা একবার ও ভাবছেনা যে কথিত এই জিহাদিদের নীতি ইসলাম সাপোর্ট করে কিনা। সিরিয়ার সেনাবাহীনির মাসুম সন্তানদের কথিত এই অনৈসলামিক জিহাদীরা যেভাবে পিছমোরা বেঁধে গুলি করে হত্যা করেছে সেটা কি ইসলাম সাপোর্ট করে ? ISIS এর কর্মকান্ড একদিনে ১৫০০শত শিয়া এবং খৃস্টান হত্যা করেছে কোন কারন ছাড়াই(যুদ্ধ তখন ছিলনা)! ইসলাম কি বলেছে যে তুমি যুদ্ধ ছাড়া বিধর্মীকে হত্যা কর ? তাছাড়া শিয়াও মুসলমানদের একটি গোত্র। ইসলাম বলেনি যে তুমি নিজ গোত্র হত্যা কর । ছ-বি যুদ্ধ বন্দিদের সাথে ISIS যে আচরন করে সেটা কি ইসলাম সাপোর্ট দেয় ? ISIS/ISIL যুদ্ধ বন্দিদের হত্যা করছে অথচ ইসলাম যুদ্ধ বন্দিদের সাথে উত্তম আচরন করতে বলে। ISIS (The Islamic State of Syria and Iraq) ’ এর যোদ্ধাদের রসদ, তাদের জানবাজ মুজাহিদদের মাসিক বেতন, অস্ত্র কেনার টাকা, এমনকি ‘মহান খলিফা‘র হাতের দামী রোলেক্স ঘড়িটার জোগাণও দিয়ে চলেছে সউদি আরব, কাতার ও আমিরাত! তাদের সুবিধার্থে নাকি নারীকে পাঠানো হচ্ছে যৌন জিহাদ করতে অথচ ইসলামে যৌন জিহাদ নামে কোন শব্দ নেই ।অনেক আলেমের গবেষনায় যৌন জিহাদ মুতা বিবাহ কে বলে থাকে। শিয়ার কিছু গোত্র এবং ওয়াহিবদের মাঝে এখনো মুতা বিবাহ্ চালু আছে কিন্তু ইসলামে মুতা বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে সেই আবুবকর রা: এর আমলে । ছ-বি তালেবান এবং আলকায়েদা পয়দা করছিলেন আমেরিকা।হিলারি তার একটা বক্তব্যে এটা প্রকাশ করেন যে আলকায়েদার জন্মদাতা তারা । আলকায়েদার যে প্রশিক্ষন সেটা আমেরিকারই দেয়া । এখন দেখা যাচ্ছে ISIS কে এদের পয়দা দাতা কারা এটা নিয়ে ব্যাপক সন্দেহ চলছে ।BOAN এর সদস্য "পারভেজ" আলমের এই লেখাটায় দেখুন এর আলামত কিছু পান কিনা। আবুবকর বাগদাদী ইহুদি সন্তান অতএব ISIS যে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অথবা মার্কিনদের পাঠানো পারুদ বোমা না সেটাও ভাবা যায়না।[তথ্য সূত্র ] ছ-বি ISIS কি চায় ?
এক- ভঙ্গুর ইরাকের ভৌগলিক অখন্ডতাকে শেষ করে দেয়া। তেমনটা করতে পারলে, বিশেষ করে, কূর্দীস্থানকে আলাদা করতে পারলে ইসরাইলের জন্য পোয়াবারো। এই কূর্দীস্থান রাষ্ট্রের সাথে ইসরাইলের ইতোমধ্যেই গড়ে উঠা দহরম মহরম এখন অনেকটা ওপেন সিক্রেট! আর ইসরাইলের নেতিনিয়াহু তো ইতোমধ্যেই কূর্দীদের সাথে একত্রে কাজ করার ঘোষণা দিয়েই রেখেছে। কুর্দিস্থানের তেল ও গ্যাসের সরবরাহ নিয়ে কোনো কথা না বলাই ভালো। দুটি বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে এরকম লেন দেন ব্যবসা বাণিজ্য হতেই পারে! আর কূর্দীস্থানকে দিয়ে তুরস্কের সাথে বোঝা পড়া করাটা ইসরাইলের পরবর্তি পরিকল্পনা, সে কথা এখন আর নাই বা আলোচনা করলাম। দুই- ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে এবং সে লক্ষ্যে জিহাদ পরিচালনা করার মাধ্যমে ইসরাইলের সীমান্ত ঘেঁষে অন্যতম মুসলিম সামরিক শক্তি সিরিয়াকে ধ্বংস করে দেয়া গেছে, এটা ইসরাইলের জন্য, নিউকনদের জন্য এক বিরাট আত্বতৃপ্তির ব্যপার বটে। সমস্য হলো; সিরিয়ার আসাদ এখনও মাটি কামড়ে টিকে আছে, এ ব্যাটাকে শেষ করে দিতে পারলেই ইসরাইল নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে স্বস্তি পেতে পারতো। সে কাজটা দ্রুত শেষ করতে হবে বৈকি! তিন- একবার যদি ইরাকে এই খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা যায়, একবার যদি মহান খলীফাকে বাগদাদের ক্ষমতায় বসানো যায়, তা হলে খুব শীঘ্রই নাটকের পরবর্তি পর্ব মঞ্চায়ন শুরু করা সম্ভব। সেটা কী? সেটা হলো বর্তমানে মিটি মিটি প্রজ্বলমাণ শিয়া-সুন্নী বিরোধকে উস্কে দিয়ে বাগদাদের মহান সুন্নী খলীফাকে দিয়ে শীয়া ইরানের বিরুদ্ধে জিহাদে নামিয়ে দেয়া। পারমাণবিক শক্তি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়া ইরান ইতোমধ্যেই সামরিক সক্ষমতায় সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে! তা ছাড়া তেল সরবরাহ‘সহ বৈশ্বিক বাণিজ্যের এক স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট হরমুজ প্রণালীর মুখে বসে থাকা ইরানকে শক্তিধর হতে দিলে বিশ্ব বেনীয়াদের লুটপাটে বিরাট বাধার সৃষ্টি হয়, অতএব তাকে শেষ করতে হবে। এ জন্য সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো শিয়া-সুন্নী লড়াই! এতে করে দুটো লাভ হবে। এক; ইরান দূর্বল হবে। আর, দুই; দূর্বল হবে তলে তলে বিরাট সামরিক শক্তির আধার হয়ে উঠা সউদি আরবও! এক্ষেত্রে টাকা পয়সা তেমন কোনে ব্যাপার না। টাকা তো দেবে সুন্নী কাতার, সউদি আরব আর আমিরাত। মনে আছে নিশ্চয়ই, সউদি আরব কী ভাবে জর্জ বুশ সিনিয়রের এক ধমকে সুড়সুড় করে সাদ্দাম হোসেনকে ইরান আক্রমণের জন্য ২৫.৭ বিলিয়ন ডলারের এক বিশাল অংক জুগিয়েছিলো! আজও তারা সেটা করে যাচ্ছে।
এখন কথা হল এই ISIS এর জন্য আপনারা সকল মুসলিমকেই টেরোরিস্ট বলতে পারেননা। শিবসেনা ,বজরং এর মত দলদের জন্য যেমন সকল হিন্দুদের আমরা টেরোরিস্ট বলতে পারিনা তেমনি ঐ ISIS এর জন্য আপনারাও পারেননা সকল মুসলিমকে টেরোরিস্ট বলতে । http://m.youtube.com/watch?v=gkEea_Eg66Y

Monday, August 4, 2014

সাপ্তাহিক সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা পার্বত্য ইস্যুতে এবার বিভিন্ন বাঙ্গালিকে হুমকি দিচ্ছেন

p সাংবাদিক সাহেবের ইনবক্সে হুমকির স্কিনশট জানা যায় পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে একচ্ছত্র উপজাতি সমর্থন ও বাঙ্গালিদের তীব্রভাবে হেয় করার কারনে সি এইচ টি কমিশন কিছুদিন আগেই পার্বত্য অঞ্চলে বাঙ্গালিদের অসন্তোষের শিকার হয়। মূলত এরপর থেকে বাম ধারার কিছু ব্যাক্তিত্বকে এ বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন, মামলা, র্যালি, মানববন্ধনের পাশাপাশি ফেসবুকসহ কিছু অনলাইন মিডিয়ায় অপপ্রচারে লিপ্ত হতে দেখা যায়। সেখানে কিছু দেশপ্রেমিক জনগন- পার্বত্যাঞ্চলের বাঙালি নির্যাতন, উপজাতি আঞ্চলিক স্বশস্ত্র গোষ্টি, মিশনারি, বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে জুমল্যান্ড নামক নতুন পূর্বতীমুর প্রতীষ্ঠার মত স্পর্ষকাতর বৃহত্তর ষড়যন্ত্র নিয়ে কথা বলার জন্য তাদেরকে নানান হ্যারাসমেন্টের শিকার হতে হচ্ছে। তাদের কাউকে প্রকাশ্যে জাতিগতভাবে অপমান হতে হয়েছে, কাউকে অযাচিত ভাবে ব্যান করে দেয়া হয়েছে এবং অনেককেই ইনবক্সে এরকম হুমকি সম্বলিত ম্যাসেজ পাঠানো হচ্ছে। যাতে বলা হচ্ছে- ঐসব ব্যাক্তিগন বাংলাদেশে থেকে থাকলে ২৪ ঘন্টার মাঝে তাদেরকে দেখে নেবেন সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনের সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা। pবাংগালীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য গোলাম মোর্তোজার। দেশের অখন্ডতার পক্ষে অবস্থানের জন্য হঠাত কেন এসকল বুদ্ধিজীবি প্রতীক্রিয়াশীল হয়ে উঠলেন খুঁজে বের করা দরকার মনে করছেন অপরাধ বিশ্লেষকরা। সাথে সাথে এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি প্রয়োজন রয়েছে বলে অভিমত সচেতন নাগরিকদের। উল্লেখ্য সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় একই কায়দায় আদিবাসির নাম দিয়ে একতরফা ভাবে পশ্চিমা আগ্রহে পূর্বতীমুর নামে একটি ক্ষুদ্র স্বাধীন দেশের সৃষ্টি হয় জাতিসংঘের প্রত্যক্ষ সহায়তায়। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন-ইউরোপ স্বার্থে ১ম বিশ্বযুদ্ধের পর প্রমিজড ল্যান্ডের কথা বলে কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্ট ইজরাইল আজ ভয়াবহ রুপ ধারন করেছে। সাম্প্রতীক দশক গুলোতে তেমনই আভাস পাওয়া যাচ্ছে- 'হারিয়ে যাওয়া ইহুদি গোত্র' হিসেবে অত্র দক্ষিন এশীয় আঞ্চলিক কিছু এলাকার সাথে বাংলাদেশের পার্বত্যাঞ্চলের উপজাতিদের কোন কোণ গোত্রকে চিহ্নিত করে টাইম ম্যাগাজিনসহ বিশ্বব্যাপী আলোচিত কিছু নিবন্ধ প্রকাশের পর থেকেই। যে প্রবনতা ইজরাইল সৃষ্টির ঠিক আগের দশকগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়। p গোলাম মোর্তোজা সাহেবের প্রতিটা পোষ্টে এইসব দেশদ্রোহীদের মুসলমান, দেশ ও সরকার নিয়ে কুরুচিপূর্ণ কমেন্ট করতে দেখা যায়। এই ইস্যুটিতে এখনি জাতীয় ঐক্যমত্য সৃষ্টি করা সম্ভব না হলে এদেশিয় দালালদের সার্বিক সহায়তায় আরেকটি ইজরাইল পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়ে "আদিবাসী" ইস্যু ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের সিলেট, টাঙ্গাইল, জামালপুর, উত্তরাঞ্চল নিয়ে ছিন্নবিচ্ছিন্ন এক অপরিচিত বাংলাদেশের ম্যাপ বর্তমান ফিলিস্তিনের প্রায় অবলুপ্ত ম্যাপের পাশে জায়গা পাবে বলে উদ্বেগের যথেষ্ট কারন রয়েছে। p গোলাম মোর্তোজা সাহেব এইসব এই সব বদমাইশদের দেশদ্রোহীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। কে এই Huttussey Changma? এই দেশদ্রোহীর আগের কিছু কাজ আমি এখানে দিতে চাই। এর আগে মায়ানমারের হাতে আমাদের বিজিবির জোয়ান শহীদ হলে এই ছেলে মায়ানমারের বিভিন্ন পেজে যেয়ে উল্লাস প্রকাশ করে এবং তাঁদেরকে মারার জন্য উদ্ধুদ্ধ করতে থাকে। pসকল মুসলিমকে হত্যা করতে বলছে .. p আই লাভ মায়ানমা এ যেন খাঁয় দায়, বোনের দিকে চাওয়ার মত। এদেশের হাওয়া বাতাসে বড় হয়ে সে অন্য দেশকে ভালোবাসার কথা জানায়। p মায়ানমার ডিফেন্স পেজে পাহাড়িদের কমেন্টস। p এইবার আমার পালা বলে একজনের হুমকি আরো উল্লেখ্য পূর্বতীমূর সৃষ্টির মূল অস্ত্র 'আদিবাসির স্বীকৃতি' কিংবা 'স্বায়ত্ব শাসনের অধিকারের' পথে পা বাড়ানো তথাকথিত একগুয়ে জনমত বিবর্জিত, সংসদ ও আদালতকে এড়িয়ে গিয়ে একতরফা ভাবে সম্পাদন করা 'অবৈধ শান্তিচুক্তির' পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে আওয়ামীলীগ। ৫ জানুয়ারির অবৈধ নির্বাচনের আগে করা আওয়ামীলীগের 'অবৈধ নির্বাচনী ইশতেহারে' বিষয়টি উল্লেখের পাশাপাশি সম্প্রতী ওবায়দুল কাদেরের 'শীঘ্রই শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন' সংক্রান্ত ঘোষনায় চোখে আটকে গেছে দেশের সকল সচেতন মহলের... এবার নিজের উপর বিভিন্ন হুমকির আশঙ্কা নিয়েও দেশের একজন নাগরিক হিসাবে এই লেখাটা লিখতে বাধ্য হলাম। কারন যারাই এ বিষয়ে কথা বলেছে তাঁদেরকেই বিভিন্ন জন দ্বারা এইভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। গোলাম মোরতজা সাহেবের হুমকির বিষয়ে পার্বত্য বাঙ্গালী অধিকার আন্দোলনের পক্ষ থেকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি পরক্ষভাবে স্বীকার করে নেন কিন্ত আচরণ উদ্ধত ছিল। p গালির কথা বলে হুমকি দেওয়া স্বীকার করা।p এ নিয়ে কথা বলায় এক পাহাড়ি অধীকার কেও হুমকি দিচ্ছে। এখনি প্রতিরোধ গড়ে না তুললে ভবিষ্যতে বিশ্বমিডিয়ার নিয়মিত খবরে পরিনত হবে বাংলাদেশ। pলেখা:টুটুল মাহমুদ