Pages

Sunday, September 28, 2014

ইসলামের ইতিহাস বিকৃত করছে একদল ইয়াবা সেবী নাস্তিকরা !

ফেসবুকে একটা গ্রুপ থেকে মহান আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলআমিন ও হযরত মুহম্মদ সাঃ কে অতি অশ্লীল গালিগালাজ করছে একদল হিন্দুত্ববাদী[হিন্দুদের কিছু বল্লেই এদের গায়ে বাঁধে] নাস্তিকরা !তারা আজককাল ইসলামের ইতিহাসকে বিকৃত করছে !ফেসবুকে শেখর সিরাজ নামক একটা নব্য নাস্তিক ইসলামের ইতিহাস কে বিকৃত করেছ ,মিথ্যা প্রচার করছে ইসলামের ইতিহাসের নামে বিষ গিলিয়ে দিচ্ছে এ ভন্ড প্রতারক ঠগবাজ নাস্তিক!৯৫% মুসলিম রাষ্ট্রের হালুয়া খেয়ে সেই থালা ফুটো করে চলছে এই নব্য নাস্তিক গুলো ! এখন দেখুন এই ভন্ড ইতিহাসবীদের ভন্ডামী: তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে সে যেটা লিখেছে:

মোহাম্মদের দুই দৌহিত্র(নাতি) হাসান ও হোসেন যে কারবালায় এজিদের দ্বারা শহীদ হবেন। এটা মোহাম্মদ মেরাজ থেকে জানেন নাই। মূলত জেনেছেন, জিবরাইল (আ) এর মাধ্যমে, জিবরাইল (আ) এর বার্তাবাহকের ভাষ্যটি ছিল এমন--আপনি এই সন্তানক স্নেহ করছেন; অথচ আপনার উম্মত-ভক্ত কিছু লোকই তাকে শহীদ করবে। হোসেনের কতল ও হাসানে বিষ ক্রিয়ার মৃত্যু মূলত ছিল-রাজনৈতিক ও পারিবারিক কোন্দল।হোসেনের কতল ছিল ক্ষমতার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। ও হাসানের বিষ ক্রিয়ার মৃত্যু ছিল জয়নবকে ঘিরে পারিবারিক কোন্দল। ইতিহাসের নির্মম সত্য যে, পূর্ববতী ইতিহাস উত্তর পুরুষের হাতে পড়লে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠে। এজিদের পূর্বপুরুষ মোহাম্মদের দ্বারা নির্যাতিত ও অত্যাচারিত হয়ে মক্কা থেকে বিতাড়িত হয়। এজিদ খলিফা হওয়ার পর হোসেনের কতল ও হাসানের বিষ ক্রিয়ার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এজিদ তার পূর্বপুরুষের নির্যাতিত ও অত্যাচারিত হওয়ার প্রতিশোধ নেয়। এটাই বাস্তব সত্য!!!!

নব্য নাস্তিক ভন্ড শেখরের স্ট্যাটাস লিংক: https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=841398532558641&id=100000655068217&refid=17&_ft_&__tn__=%2As আমি এই পাঁচটি বছর ইতিহাস নিয়ে ঘাটছি ,ইসলামের ইতিহাস আমার প্রধান সাবজেক্ট ,কোথাও আমি এই কথাটা পাইনি যে হযরত হাসান ও হোসেন রাঃ কে যে ইয়াজিদ মেরেছে সেটা ইয়াজিদের পূর্ব পুরুষের প্রতিশোধ হিসেবে মেরেছে ! ইসলামের ইতিহাস ২য় খন্ড(Page No:225)এ একথা স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে হযরত হাসান রাঃ ও হোসেন রাঃ ইয়াজিদ মেরেছিল খিলাফাহর লোভে । তার সাথে আমার ডিবেট হয় প্রায় চার ঘন্টার ,আমি এই ভন্ড মিথ্যাবাদী ঐতিহাসিককে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম যে একথা কোন ইতিহাসে নেই এমনকি ইহুদিদের ইতিহাসেও একথা নেই।[ইহুদিরা যেহেতু ইসলামের প্রধান শত্রু] ।পরে আমি তাকে ইসলামের ইতিহাস ২য় খন্ড(Page No:225)মুয়াবিয়া ,ইয়াজিদ ,হাসান রাঃ,হোসেন রাঃ এর অধ্যায়টি পড়তে বলি ।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে,ভন্ডটি আমার মন্তব্যটি তার মূল স্ট্যাটাসে পেস্ট করে অন্য এক ভাইয়ের সাথে ডিবেট করেছে যা হাস্যকর!প্রমাণ দেখুন এখানে। অনেকেই বলেন যে,'জারজ মানেই নাস্তিক' কথাটা সত্য নয় ,সত্য হল এটা

প্রতিটা জারজই নাস্তিক নয় কিন্তু প্রতিটা নাস্তিকই জারজ

এই নব্য নাস্তিক ভূয়া ইতিহাসবীদ সেটা কিভাবে বিকৃত করেছে নমুনা দেখুন সাথে দেখুন তার সাঙ্গপাঙ্গদের রাসুল সাঃ কে নিয়ে কুরুচি পূর্ণ মন্তব্য: ছ-বিছ-বিছ-বি [নোট:মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নেয়ার দরুন এভাবে ভাগ ভাগ করে দিতে হয়েছে] ছ-বিছ-বি এবার এই ভন্ডকে দেখুন চিনতে পারেন কিনা ,যদি চিনে থাকেন তবে এখনই আইনি ব্যবস্থা নিন এই প্রতারককে ধরিয়ে দিন: ছ-বি [নোট:উপরের ছবিটিতে চশমা দাড়ি কোনটাই নাই ,নিম্নের এই ছবিটিতে দেখুন ,চশমা ও দাড়ি থাকলে এই ভন্ডকে যেমন লাগবে] ছ-বি সরকারকে আমি জোড় অনুরোধ করছি এই ভন্ড প্রতারকের বিরুদ্ধে সরকার যেন পদক্ষেপ নেয় ,পরে যদি আমাদের ইসলামিক মাইন্ডের ছেলে পেলেরা এর ব্যবস্থা নেয় তাহলে যেন সরকার আমাদের ইসলামিক মাইন্ডের ছেলেপেলেদের জঙ্গী না বলে ।রাসুলুল্লাহ্ সাঃ কে অবমাননার দায়ে ইরানে একটি ছেলের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে আমাদের বাংলাদেশেও এই আইন পাশ হোক যাতে করে এই ভন্ড প্রতারকরা ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ,ইসলামের ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচার করতে না পারে। আর প্রথমে যে ৯০০০ সদস্য বিশিষ্ট গ্রুপ থেকে এই ভন্ড প্রতারক ঠগবাজ নাস্তিক শেখর সিরাজ এই মিথ্যা ইতিহাসটা ছড়িয়েছে সেই গ্রুপটার লিংক এবং এই গ্রুপ থেকেই প্রত্যহ আল্লাহ পাক ও রাসুল সাঃ কে অবমাননা করা হয়: https://m.facebook.com/groups/123766110994866 এই হিন্দুত্ববাদী নাস্তিকরা আসলে বাল(!)মনা থেকে যেটুকু শিখে সেইটুকুই এসে ছড়িয়ে দেয় যার না আছে কোন রেফারেন্স ,না আছে কিছু !এরা পারে অন্যের দেয়া মন্তব্য চুরি করে যুক্তি তর্কে জিততে !ঐযে কথা আছেনা ,

শালিস মানি কিন্তু তালগাছটা আমার!

বঙ্গ নাস্তিকরাও তেমন ,যুক্তি মানুক আর না মানুক তালগাছ তার চাই চাই সেটা যেভাবেই হোক! বাংলাদেশ সরকারের এমন একটা আইন করা উচিত্‍ যাতে করে ইসলামের বিপক্ষ শক্তি ইসলাম ও ইসলামের ইতিহাসকে বিকৃত করার সাহস না পায় ,ইসলামের ইতিহাস ও ইসলামের বিকৃতকারীর হাত কেঁটে দেওয়া ,বা তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া ইত্যাদি আইন করলে এদের লেজ গুটিয়ে যাবে। শেখ হাসিনাকে বলছি এদের কে শাস্তি দিন অন্যথায় আল্লাহর গজব থেকে রক্ষা পাবেননা । এটা শাহজালাল,শাহ পরাণ ,শাহ মাখদুম ,শরীয়তউল্লাহ্,তিতুমীর,নজরুল,মঈনুদ্দিনের জমিন এটা কোন নাস্তিকের জমিন নয় এটা মনে রাখবেন !

Saturday, September 20, 2014

সাঈদী একজন রাজাকার হিন্দু তার পক্ষে কথা বলে ছিঃ ছিঃ ছিঃ কি রাজাকার !

প্রবন্ধটা যখন পড়বেন তখন নিশ্চই মনে হবে ,এই প্রবন্ধের রচয়িতা বোধ হয় জামাত শিবিরের একজন কর্মী ! কিন্তু না আমি জামাত শিবিরের কোন কর্মী নয় ,বাস্তবে আমি জামাতের ধারধারিনা।আমি মানতে বাধ্য যে ,মিজানী,গোলাম আযম,কাদের মোল্লা,মুজাহিদেরা ৭১এ রাজাকার ছিল । আমি মানতে বাধ্য কেন ? কারন,মিজানী,গোলাম আযম,কাদের মোল্লা,মুজাহিদের সম্বন্ধে অতশত আমার জানা নেই বা এদের সম্বন্ধে কারো কাছ থেকে কোন তথ্য আমি পাইনি , কিন্তু আল্লামা সাঈদীর সম্বন্ধে আমি অনেক কিছু জেনেছি যা এই প্রবন্ধে উঠে আসবে । 0,,4560502_4,00.jpg মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় চেতীতদের(মূলত এরা ভন্ড ,মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তো দূরে থাক এরা স্বার্থবাদী ,আর স্বার্থে ঘা লাগলে এরা চেয়ার মারামারি ,অপরকে খুন করতেও দ্বিধা করেন ।তখন কোথায় থাকে এদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ? এটা কোটি ডলারের একটি প্রশ্ন !এই নিউজটা তার প্রমাণ বহন করে) তাদের কাছে কাছে এই বাণীটি সব থেকে প্রিয় ,

একবার রাজাকার মানে সারা জীবন রাজাকার,একজন মুক্তিযোদ্ধা মানে চির জীবন মুক্তিযোদ্ধা নয়-হুমায়ুন আজাদ

মুক্তিযুদ্ধের শতশত বাণী রচনা করে গিয়েছেন আমাদের জ্ঞানীগুনিরা তাদের সকল বাণী পায়ের তলায় পিশে ফেলে একজন ধর্মদ্রোহী কুত্তার বাণী আজ তাদের কাছে এত প্রিয় কেন জানতে মনে চায়! আওয়ামিলীগের রায়ে বাঙ্গালী সন্তুষ্ট নয় একজন দেশ প্রেমিক হিসেবে আসলে কথাটা কতটুকু সত্য ? সাঈদী সাহেব কি সত্যিই একজন রাজাকার ছিলেন নাকি তাঁকে রাজাকার খেতাব জোড় করে দেয়া হচ্ছে? মুক্তিযোদ্ধার ছেলে নাকি চিত্‍কার দিয়ে বলে ,

বাবা তুমি রাজাকার কেন হলেনা ?

কথাটা অতি মূল্যবান এবং গা শিউরে উঠার মত একটি কথা ! ইসলামের পাখি আল্লামা সাঈদী রাজাকারকে কেন ফাঁসি দেওয়া হলনা ? হিন্দু কে কেন সে সঠিক পথ দেখিয়ে হেল্প করলেন ? একি কমসম রাজাকারি ?
টুপি মাথায় একজন নির্দোষ আলেম কে যখন মুস্টিমেয় কয়েকটা ছাগলের বাচ্চা ধর্ষনকারী গালিগালাজ করে হে বাঙ্গালী মুসলমানের বাচ্চা তোর কি লজ্জা করেনা ? টুপি মাথায় একজন নির্দোষ আলেম কে যখন চোর ,ছিনতাইকারী বলে হে বাঙ্গালী মুসলমানের বাচ্চা তোর কি লজ্জা করেনা ? যখন রাজাকারের চিহ্ন টুপি ,চাঁদ তারা এঁকে রাজাকারের বিচার চাই তখন কি তোর একবার ও বলতে ইচ্ছে হয়না যে রাজাকার কি শুধু মুসলমানের মধ্যেই ছিল ?
রাজাকারের বিচার চেয়ে কার্টুন এঁকে যেভাবে ইসলামে সুন্নতের অবমাননা(টুপিকে,চাঁদ,তারা ইসলামের চিহ্ন) হচ্ছে তাতে আজ বাঙ্গালী মুসলমানের ভ্রুক্ষেপ নেই! একজন নির্দোষ আলেমকে ধর্ষনকারী ,ছিনতাইকারী বানানো হচ্ছে তাতেও বাঙ্গালীর ভ্রুক্ষেপ নেই ! তারা যে আজ টাকার গোলাম ! নিজেকে বাঙ্গালী বলতে লজ্জা হওয়া দরকার ! কেননা বাঙ্গালী আজ তার সাহস ,প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। সেই তীতুমীর,সিরাজউদদৌলা ,শরীয়ত উল্লাহ,ভাসানী,৭১ এর সকল শহীদ,শেরেবাংলা ,সোহরাওয়ার্দি,বঙ্গবন্ধু ,জিয়া আর উসমানিরাই নিজেদের বাঙ্গালী বলে পরিচয় দেওয়ার যোগ্যতা রাখে ।সাহসের সাথে কথা বলেছে ,কাজ করেছে নির্ভয়ে , তারা অপমান করেনি কোন আলিম কে ,স্বার্থ দেখেনি কখনো । আল্লামা সাঈদীকে যেই আপরাধে আজ ধর্ষনকারী,ছিনতাই কারী বলা হচ্ছে সে অপরাধ আদৌ সাঈদী করেছে কিনা তার প্রমাণ রাখে এই লেখাটি→। প্রায় ৩ বছর আগে আমার স্যার অরুন চন্দ্র দাসের সাথে আমার পিরোজপুর যাওয়ার সৌভাগ্য হয় সেই সাথে চায়ের দোকানে বসা প্রায় ০৫ জন হিন্দুর সাথেও কথা বলার সুযোগ হয় ।আমি নিম্নে সেই ০৫ জন হিন্দুর বক্তব্য হুবহু তুলে ধরলাম ,তার আগে বলে রাখি আমার স্যার অরুন হিন্দু হলেও সাঈদী ভক্ত একজন মানুষ তিনি তার আত্মীয়দের কাছ থেকে সাঈদী সম্বন্ধে ভাল তথ্য নিয়েছে । সেখানে আমার স্যার প্রশ্নটা রেখেছিলেন,
আসলেই কি সাঈদী রাজাকার আছেলনি ?ধর্ষন ও করছে হুনলাম !
এরপর শুনুন একজন নয় পুরা ৫জন বৃদ্ধ হিন্দু আমার স্যারকে যেভাবে খিস্তি দিলো:

১/অমল চন্দ্র:এ মেয়া এলাকায় নতুন আইছ ?সাঈদী যদি রাজাকার অয় হেলে ফুল বাংগালি রাজাকার । ২/কার্তিক চন্দ্র দাস:বাঈ এহেইনে বইয়া কইছেন কইছেন এলাকার ভিত্রে গিয়া কৈবেনছেন তাইলে কিন্তু হাড্ডি থাকপেনা। ৩/অধির হালদার:বাংগালির হুনা কতায় গুনা দোষ !এইরোম একটা মানু অয় এই পিরিচপুরে ?আর হ্যারে আইজ জেলে হান্দাইয়া থুইছে ! ৪/অসিম খাসকেল:অধির হ্যা কৈয়া লাব কি ? হুনছি মোগো অশোইক্কার বাপে নাহি হের বিরুদ্দে সাক্ষী দেতে যাইবে ! ৫/রতন কুন্ডু:বাঈ যে যায় যাউক মোগো বাড়িইদ্দা কেউ যামুনা ।এইরোম একটা মাইনষের মুহের দিক চাইয়া কেমনে মিছা কতা কয় ?যে যেরোম থাহে থাউক দোহানপাডে বইয়া এ আলোচনা না করাই ভালো ।

সেদিনকার ঐ আলোচনা এখানেই শেষ হয়েছিল কিন্তু ঐ আলোচনাটা আমার হৃদয়ে আঘাত করে চরম ভাবে !কি করে এই লোকটা একজন রাজাকার হয় যেখানে বিধর্মীরা তার পক্ষে কথা বলে ? আওয়ামিলীগের রায়ে তিলকে তাল করা যায় ।সাঈদীর ব্যাপারটাও হয়েছে তেমন ।কি আর বলার আছে ? শুধু বলি একটাই , সাঈদী আল্লাহর বাণী মানুষের কাছে পৌঁছাত আল্লাহ্ই তাঁকে দেখবে।

Wednesday, September 17, 2014

কোরআন কার বাণী ? যুক্তি-pdf download

নব্য নাস্তিকদের দাবী কোরআন নাকি মুহম্মদ সঃ এর লেখা ।অথচ বড় বড় কোরআন গবেষকরা বলে এটা একমাত্র ঈশ্বর ছাড়া অন্যকারো বাণী হতে পারেনা ।এরকম নির্ভুল গ্রন্থ রচনা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় । কোরআন কার বাণী আল্লাহর নাকি মোহাম্মদ সাঃ এর ? একটা বিশাল প্রশ্ন ! কোরআন আদতে কার বাণী সেটাই আলোচনা করা হয়েছে এই ছোট্ট বইটায় । প্রকাশ:http://inbanglablog.wordpress.com ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন-Click here to download This

Sunday, September 14, 2014

হিন্দুধর্মে নারীরা→১ম পর্ব

নব্য নাস্তিক এবং সেক্যুলারদের কাছে ইসলামে নারীর অধিকার নেই ,অথচ তারা একবার ও বিশ্লেষন করেনা যে ইসলাম নারীকে অধিকার দেয়না নাকি অন্য কোন ধর্ম নারীকে অধিকার দেয়না ! নব্য নাস্তিক আর হিন্দুদের দাবী "ইসলামে নারীকে শষ্যক্ষেত বলা হয়েছে তাই ইসলাম ধর্মে নারী দের অধিকার নেই !" হ্যা ইসলাম স্ত্রীকে স্বামীর নিকট শষ্যক্ষেত বলা হয়েছে । আমার স্ত্রীকে আমার মনের মত যদি না সাজাই তাইলে আমি কেমন স্বামী? সূরা বাকারার ২২৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

ﺃَﻧَّﻯﺸِﺌْﺘُﻤْﻨِﺴَﺂﺅُﻛُﻤْﺤَﺮْﺛٌﻠَّﻜُﻤْﻔَﺄْﺗُﻮﺍْﺣَﺮْﺛَﻜُﻢْ (তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।)

হঠাৎ করে এই আয়াতাংশ কারো সামনে পেশ করা হলে মনে হতে পারে যে এখানে পুরুষকে যখন ইচ্ছা তখন তার স্ত্রীর সাথে যৌনাচার অবাধ অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, আসলেই কি তাই ? এটা ঠিক যে ইসলাম স্ত্রীদেরকে স্বামীর যৌন চাহিদার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছে, কিন্তু স্বামীকে নিজ চাহিদা আদায়ের ব্যাপারে উগ্র হবার কোন অনুমতি যেমন দেয়নি তেমনি স্বামীকেও স্ত্রীর যৌন চাহিদার প্রতি যত্মবান হবার নির্দেশ দিয়েছে। ইসলাম স্ত্রীকে বলেছে যদি রান্নরত অবস্থায়ও স্বামী যৌন প্রয়োজনে ডাকে তবে সে যেন সাড়া দেয়, অন্য দিকে পুরুষকে বলেছে সে যেন তার স্ত্রীর সাথে ভালো আচরণ করে, স্ত্রীর কাছে ভালো সাব্যস্ত না হলে সে কিছুতেই পূর্ণ ঈমানদার বা ভালো লোক হতে পারবে না। এই কথা জানার পরও কোন পুরুষ কি স্ত্রীর সুবিধার প্রতি কোনরূপ লক্ষ না রেখেই যখন তখন তাকে যৌন প্রয়োজনে ডাকবে? ইসলাম পুরুষকে এব্যাপারেও সাবধান করে দিয়েছে যে নিজের যৌন চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে স্ত্রীর যৌন চাহিদার কথাকে সে যেন ভুলে না যায়।" ইসলাম স্ত্রীকে তার স্বামীর কাছে শস্যক্ষেত্র বলেছে অন্যকাউকে নয়। আমার জমিতে(স্ত্রীকে) যদি আমি ভাল চাষ না দেই তবে আমার ফসল কোন দিনও ভাল হবেনা । ইসলামের ভাল কথাও নাস্তিক আর ছুপা হিন্দুদের কাছে বিষের মত লাগে অথচ তারা একবারও নিজের ধর্মকে দেখেনা । ইসলামই একমাত্র নারীকে পূর্ণ অধিকার দেয় যা অন্যকোন ধর্ম দেয়না ! বৌদ্ধধর্মে নারীকে মলের ন্যায় বলা হয়েছে ,খ্রীষ্টধর্মে ও ইহুদিধর্মেও নারীকে ঠিক তাই । এবার আমি আলোচনা করব,হিন্দু ধর্মে নারীদের অধিকার এবং হিন্দুধর্মে নারীরা ।

হিন্দুধর্মে নারীদের অধিকার:→

মনু নারী জাতিকে পুরুষের হাতের প্রাণশূন্য পুতুল ভেবেই হয়ত নিচের বিধানটি প্রবর্তন করেছেন। মনু বিধান দিলেনঃ বন্ধ্যাষ্টমেহধি বেদ্যাব্দে দশমে তু মৃতপ্রজা। একাদশে স্ত্রীজননী সদ্যস্ত্বপ্রিয়ব াদিনী \\ ৮১\\ অর্থঃ নিঃসন্তান স্ত্রীকে বিয়ের আট বছর পর ত্যাগ করা যায়, মৃত সন্তানের জন্মদানকারী স্ত্রীকে ত্যাগ করা যায় দশ বছর পরে, যে স্ত্রী শুধুমাত্র কন্যা সন্তান জন্ম দেয় তাকে ত্যাগ করা যায় এগারো বছর পরে, ঝগড়া পরায়ন স্ত্রীকে ত্যাগ করতে বিলম্ব করা যাবে না।" সূত্রঃ [মনুসংহিতা- অধ্যায়-৯, শ্লোক- ৮১, পৃষ্ঠা- ২৫৭, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ] [-] কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে স্ত্রীকে ত্যাগ করা ধর্ম- সিদ্ধ কিন্তু সন্তান জন্মের ব্যাপারে পুরুষের অক্ষমতাকে বিবেচনা করা হয়নি মনুর বিধানে। বলতে হয়, মনু বিজ্ঞানে বিশ্বাসী ছিলেন না। অথবা শ্রীভগবান তাকে বিজ্ঞান সম্পর্কে কোন জ্ঞান দান করেননি। এ কথা বলার যুক্তি এই যে, আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে, পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকাই মুখ্য। পুরুষই পুত্র সন্তানের জীন (শুক্র) বহন করে - নারী নয়। তাহলে, পুরুষের দোষে নারীকে কেন ত্যাগ করার বিধান দেন মনু? মনুর বিধানে নারীদের অধিকার খর্ব করা হয়নি কি? ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি কি নারীদের স্বাধীনতা? সংহিতার পঞ্চম অধ্যায়ে পাওয়া যায়ঃ- বালয়া বা যুবত্যা বা বৃদ্ধয়া বাপি যোষিতা। ন স্বাতন্ত্র্যেণ কর্তব্যং কিঞ্চিত্ কার্যং গৃহেস্বপি \\ ১৪৭ \\ অর্থঃ "বালিকা কিংবা যুবতী অথবা প্রাপ্ত বয়স্কা নারীরা স্বাধীনভাবে কোন কিছু করতে পারবে না- এমনকি নিজেদের ঘরেও নয়।" সূত্রঃ মনুসংহিতা [অধ্যায়-৫, শ্লোক-১৪৭, পৃষ্ঠা- ১৬২, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ] [-] মনু নারীকে যে একেবারেই অধিকার শূন্য করেছেন তা নয়। নারীকে কিছু অধিকারও দিয়েছেন। মনু নারীদের স্বার্থের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছেন বললে ভুল হবে না। বলতে হয়, মনু 'নারী' স্বার্থের জন্যই এ বিধানটি দিয়েছেন। যদিও নারীকে উল্লেখ করে বলেছেন কিন্তু এ বিধানের নেপথ্যে পুরুষের অধিকার-ই ষোল আনাই পূর্ণ হয়েছে। মনুসংহিতায় মনু বলেছেনঃ "কন্যাং ভজন্তীমুত্কৃষ্ টং ন কিঞ্চিদপি দাপয়েত্"। ৩৬৫। অর্থঃ "কন্যা উচ্চতর বর্ণের লোককে (সম্ভোগার্থ=যৌ নমিলনে) ভজনা (আহ্বান) করলে তাকে কোন দন্ড দিতে হবে না।" সূত্রঃমনুসংহিতা [অধ্যায়-৮, শ্লোক-৩৬৫, পৃষ্ঠা-২৪০, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ] অপর এক শ্লোকে মনু বিধান দিয়েছেনঃ "দেবরাদ্বা সপিন্ডাদ্বা স্ত্রিয়া সম্যঙ্ নিযুক্তয়া। প্রজেপ্সিতাধিগন ্তব্যা সন্তানস্য পরিক্ষয়ে" \\ ৫৯ \\ অর্থঃ "সন্তানের অভাবে (পতি প্রভৃতি গুরুজন কর্তৃক) সম্যকরুপে নিযুক্ত হয়ে স্ত্রীলোক দেবর বা সপিন্ড থেকে সন্তান লাভ করবে।" মনুসংহিতা [অধ্যায়-৯, শ্লোক-৫৯, পৃষ্ঠা-২৫৪, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ] -] নারীরা মন্ত্রে অধিকারহীন, ধর্মশাস্ত্রে অধিকারহীন নির্গুন- মিথ্যাব াদী-পাপের মূল; তাহলে কি দেবীরা নারী নন? না নিচের শ্লোক/বিধান গুলো কেবলমাত্র সাধারণ নারীদের জন্য- পূণ্যবতী গুণবতী দেবীরুপী নারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়ঃ "স্বভাব এষ নারীণং নরাণামিহ দূষণম। অতোহর্থান্ন প্রমাদ্যন্তি প্রমদাসু বিপশ্চিতঃ" \\ ২১৩ \\ অর্থঃ "নারীদের স্বভাবই হল পুরুষদের দূষিত করা। অতএব পন্ডিতগণ স্ত্রীলোক সম্বন্ধে অনবহিত হন না।" সূত্রঃ মনুসংহিতা-২য় অধ্যায়, পৃষ্ঠা-৭৯, শ্লোক-২১৩ "নাশ্নীয়াদ্ভার্ যয়া সার্ধং নৈনামীক্ষেত চাশ্নতীম। ক্ষুবতীং জৃম্ভমাণাং বা ন চাসীনাং যথাসুখম" \\ ৪৩ \\ অর্থঃ স্ত্রীর সঙ্গে আহার করবেন না, তার আহারকালে তাকে দেখবেন না। স্ত্রীর হাঁচবার, হাই তোলার বা আরাম করে বসে থাকার সময়ে তাকে দেখবেন না।" সূত্রঃ মনুসংহিতা-৪র্থ অধ্যায়, পৃষ্ঠা-১২১, শ্লোক-৪৩ ঋতুকালাভিগামী স্যাত্ স্বদারনিরতঃ সদা। পর্ববর্জং ব্রজেচ্চৈনাং তদব্রতো রতিকাম্যয়া \ \ ৪৫ \\ অর্থঃ (গৃহস্ত) নিজের স্ত্রীর প্রতি অনুরক্ত হয়ে ঋতুকালে স্ত্রীসম্ভোগ করবেন; স্ত্রীর প্রতি প্রীতিমান ব্যক্তি (অমাবস্যাদি) পর্ব বাদে রতিকামনায় (অন্য সময়েও) দারগমন করবেন। সূত্রঃ মনুসংহিতা- ৩য় অধ্যায়, পৃষ্ঠাঃ ৯০, শ্লোক-৪৫, মূল সংস্কৃত-মনু, অনুবাদ সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কালেহদাতা পিতা বাচ্যো বাচ্যশ্চানুপযন পতিঃ। মৃতে ভর্ত্তরি পুত্রসত্ত বাচ্যো মাতুররক্ষিতা \\ ৪ \\ অর্থঃ বিবাহযোগ্য কালে কন্যা সমপ্রদান না করলে পিতা, (ঋতুকালে) স্ত্রীগমন না করলে পতি, স্বামীর মৃত্যুর পর মাতার রক্ষনাবেক্ষণ না করলে পুত্র নিন্দনীয় হয়। সূত্রঃ মনুসংহিতা- ৯ম অধ্যায়, পৃষ্ঠাঃ ২৪৮, শ্লোক-৪, মূল সংস্কৃত-মনু, অনুবাদ সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় আদি পুরুষ (মনুসংহিতা মতে-মনু) মানব জাতির পিতা তার মনুসংহিতার নবম অধ্যায়ের ১৮ নং শ্লোকে বললেন- নাস্তি স্ত্রী নাং ক্রিয়া মন্ত্রৈদিতি ধর্মে ব্যবস্থিতি। নিবিন্দ্রিয় হামন্ত্রাশ্চ স্ত্রিয়োহ নৃতমিতি স্থিতিঃ \\ ১৮ \\ অর্থঃ মাস্ত্রোক্ত বিধি অনুসারে নারীদের মন্ত্রে কোন অধিকার নাই, স্মৃতি ও ধর্শ শাস্ত্রে ইহাদের অধিকার নাই, এই জন্য ইহারা নিতান্ত হীন ও অপাদার্থ।" সূত্রঃ মনুসংহিতা- ৯ম অধ্যায়, পৃষ্ঠাঃ২৫০, শ্লোক-১৮, মূল সংস্কৃত-মনু, অনুবাদ সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়শুক্লযজুর্বেদের অন্তর্গত শতপথ ব্রাহ্মণে নারীকে তুলনা করা হয়েছে এভাবে, “সে ব্যক্তিই ভাগ্যবান, যার পশুসংখ্যা স্ত্রীর সংখ্যার চেয়ে বেশি” (২/৩/২/৮)। শতপথ ব্রাহ্মণের এ বক্তব্যকে হয়তো দরদী ধর্মবাদীরা ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে যৌক্তিকতা দিতে চেষ্টা করবেন, কিন্তু পরের আরেকটি শ্লোকে পাওয়া যায় হিন্দু ধর্মের দৃষ্টিতে নারীর আর্থ-সামাজিক অবস্থান; “বজ্র বা লাঠি দিয়ে নারীকে দুর্বল করা উচিৎ, যাতে নিজের দেহ বা সম্পত্তির উপর কোনো অধিকার না থাকতে পারে ” (৪/৪/২/১৩)। এর থেকে স্পষ্ট কোনো বক্তব্যের আর প্রয়োজন আছে? বৃহদারণ্যকোপনিষদে ঋষি যাজ্ঞবাল্ক্য বলেন, “স্ত্রী স্বামীর সম্ভোগকামনা চরিতার্থ করতে অসম্মত হলে প্রথমে উপহার দিয়ে স্বামী তাকে ‘কেনবার’ চেষ্টা করবে, তাতেও অসম্মত হলে হাত দিয়ে বা লাঠি দিয়ে মেরে তাকে নিজের বশে আনবে ” (৬/৪/৭, ১/৯/২/১৪)। দেবীভাগবত-এ নারীর চরিত্র সম্পর্কে বলা আছে (৯:১): “নারীরা জোঁকের মত, সতত পুরুষের রক্তপান করে থাকে। মুর্খ পুরুষ তা বুঝতে পারে না, কেননা তারা নারীর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে পড়ে। পুরুষ যাকে পতœী মনে করে, সেই পতœী সুখসম্ভোগ দিয়ে বীর্য এবং কুটিল প্রেমালাপে ধন ও মন সবই হরণ করে।”

Wednesday, September 10, 2014

উলঙ্গপনা,জাতপাত,সেবাদাসী,দেবদাসী হিন্দুধর্মের একটা অংশ,এবং চিনুন হিন্দু জঙ্গী সংগঠন

লেখা:সজল আহমেদ| বিঃদ্রঃসম্মানিত আপু ,ভাই এবং স্নেহের ছোট ভাইয়ারা,বোনেরা দয়া করে এই লেখাটা পড়বেন না ,যদিও লেখাটায় বাস্তব চিত্র এবং ইতিহাস থেকে খানিকটা তুলে ধরা হয়েছে তবুও এই লেখাটা আপনাদের না পড়াই শ্রেয় । [caption id="attachment_8000" align="alignnone" width="9000" caption="এখনো চলছে ভারতে সেবাদাসী প্রথা"]gongapurush.gif[/caption] ভারতবর্ষে ইসলাম আসার পূর্বে নিম্নবর্ণের হিন্দু মেয়েরা বিয়ের আগে মন্দিরে সেবাদাসী হিসেবে কাজ করতে হতো। মন্দির ধোয়া মোছা থেকে শুরু করে মন্দিরের ব্রাক্ষন পুরাহিতদের শয্যাসঙ্গী হওয়া এরকম প্রায় সব কাজই তাদের করতে হত।ব্রাক্ষণ পুরাহিতরা এই নিম্নবর্ণের হিন্দু মেয়েদের সাথে প্রতিদিন উপুর্যপুরী FREE SEX করতো।মেয়েরা কিন্তু ব্রাক্ষনদের কেনা দাসী ছিল না তারা শুধু তাদের বিয়ের আগের সময়টা এই মন্দিরে কাজ করতো। বিয়ের পর নিম্ন বর্ণের হিন্দু মেয়েরা আর মন্দিরে যেত না।বিস্তারিত পড়ুন→

সেবাদাসী দেবদাসী হিন্দুধর্মের একটা অংশ ,এরই মাঝে লুকিয়ে আছে হাজার মেয়ের কান্না !

এখনো হিন্দু মন্দিরে সেবাদাসী ভারতবর্ষে ইসলাম আসার পূর্বে নিম্নবর্ণের হিন্দু মেয়েরা বিয়ের আগে মন্দিরে সেবাদাসী হিসেবে কাজ করতে হতো। মন্দির ধোয়া মোছা থেকে শুরু করে মন্দিরের ব্রাক্ষন পুরাহিতদের শয্যাসঙ্গী হওয়া এরকম প্রায় সব কাজই তাদের করতে হত।ব্রাক্ষণ পুরাহিতরা এই নিম্নবর্ণের হিন্দু মেয়েদের সাথে প্রতিদিন উপুর্যপুরী FREE SEX করতো।মেয়েরা কিন্তু ব্রাক্ষনদের কেনা দাসী ছিল না তারা শুধু তাদের বিয়ের আগের সময়টা এই মন্দিরে কাজ করতো। বিয়ের পর নিম্ন বর্ণের হিন্দু মেয়েরা আর মন্দিরে যেত না।[ তথ্যসূত্র: প্রাচীন ভারতের ইতিহাস, অতুল চন্দ্র রায়, নিঊ সেন্ট্রাল বুক এজেন্সি এবং farabiblog.com]

Monday, September 8, 2014

মূল্যবান পংক্তি

আপনি ব্রাহ্মন নাকি ক্ষৈত্রিয় নাকি বৈশ্য নাকি আপনি শুদ্র ? আপনি যদি শুদ্র হন তাহলে বাকি সবার পা চাটুন। যদি বৈশ্য হন তাহলে বিনা প্রশ্নে টাকা পয়শার সিংহভাগ দিয়ে দিন প্রথম দুই গ্রুপ কে ,যদি ক্ষৈত্রিয় হন তাহলে নিচের দুই গ্রুপের গলা কেটে ব্রাহ্মনদের পায়ের নিছে এনে ফেলুন, যদি তারা উপরোক্ত কাজ ঠিক ভাবে না করে . তাহলে তারা আপনাদের স্বর্গের নিশ্চয়তা দেবেনা।আর ব্রাহ্মন হলে যা খুশি তাই করতে পারেন!

Saturday, September 6, 2014

বৌদ্ধ ধর্মে নারীরা-পর্ব ১

অনলাইনে পাতি নাস্তিকতার আড়ালে লুকানো হিন্দু মালাউনরা শুধু ইসলামে নারীর অধিকার খুঁজে দিশেহারা ।ছুপা মাল্লুজদের দাবী ইসলামে নারীর অধিকার দেয়া হয়নি ! অথচ সকল ধর্ম বিশ্লেষন এবং গবেষনা করলে দেখা যায় যে একমাত্র ইসলাম ধর্মই নারীকে সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদায় রেখেছে । আমি প্রমাণ করে ছাড়ব যে ইসলামই নারীকে পূর্ণ অধিকার দিয়েছে । এই লেখাটায় আমি বৌদ্ধ ধর্মে নারীর অধিকার নিয়ে আলোচনা করব ।লেখাটি পর্ব আকারে দেয়া হবে । বুদ্ধ
বৌদ্ধ ধর্মে নারীর অধিকার এবং নারীকে যে চোখে দেখা হয়:
বৌদ্ধ শাস্ত্রের ৫৩৬ নম্বর জাতকে কুণাল বলেন,

গরুরা নতুন ঘাসের আশায় নিজের গোয়াল থেকে বের হবার জন্য ছুটে, নারীও তেমনি নতুন নাগর লাভের আশায় ছোটাছুটি করে।

আবার,

নৌকা যেমন এপারে-ওপারে, এখানে-সেখানে যথা প্রয়োজনে লাগে, নারীও তদ্রূপ প্রিয় অপ্রিয় বিবেচনা না করেই সর্ব পুরুষেই গমন করে।

আবার,

কোন বুদ্ধিমান কখনো নারীর চরিত্রে বিশ্বাস স্থাপন করে না। যারা করে তারা নির্বোধ।

আবার,

যতই নারীকে ধনে পরিপূর্ণ করা হোক না কেন সুযোগ পেলেই অসতীরা পুরুষের সম্মান নষ্ট করে।

আবার,

নারীদের এতোই জঘন্য স্বভাব যে এখানে সেখানে তারা যদিচ্ছা ঘুরাফেরা করে।

আবার,

নারীদের চোখের পানিতে গলে যাওয়া ঠিক না কারণ নারীদের সত্য মিথ্যার সমান।

আবার,

নারীরা সব সময় প্রেমালাপে পুরুষদের বস করে যদিও মনের মধ্যে তাদের থাকে খারাপ অভিলাস।

আবার,

তীর্থে যেমন সকলেই ভ্রমন করতে পারে, নারীও তেমন তীর্থসম।

আবার,

টাকাহীন কুলীন ব্রাহ্মণ নারীর কাছে চণ্ডালের মতো। তাইতো ধনবান চণ্ডাল কে নারী আজীবন পূজিতে পারে শুধু ধনের আশায়।

কুণালের নীতিবাক্যর গাথাগুলো দেখি -

"মনের মতো রমণী লভিয়া ধনপূর্ণা ধরা কর তারে দান, তথাপি অসতি পেলে অবসর কভু না রাখিবে তোমার সম্মান। নারীদের এমন জঘন্য স্বভাব সদা সর্বস্থানে করি বিলোকন, করে কি কখনো বুদ্ধিমান জন চরিত্রে তাহাদের বিশ্বাস স্থাপন? ভালোবাসে মোরে ভাবি ইহা মনে করো না বিশ্বাস কভু নারীগণে, অশ্রু বিসর্জন দেখিয়া তাহার ভিজে নাকো যেন মন কখনো তোমার। এ পারে, ও পারে নদীর যেমন লাগে গিয়া নৌকা যথা প্রয়োজন, প্রিয় বা অপ্রিয় বিচার না করি সেবে পরপুরুষেরে সর্বজন নারী। অতীব দুঃশীলা, অতি অসংযতা রতিদানে মুড়ে তুষিতে নিরতা, প্রামালাপ করে বসি তব পাশ মনে কিন্তু সদা পাপের অভিলাষ। তীর্থসম সর্বভোগ্যা নারীগণ নারীরে বিশ্বাস করো না কখন, নাই তাদের সত্য মিথ্যা জ্ঞান সত্য তাদের মিথ্যার সমান। গবীসম নব তৃণের আশায় গোচর বাহিরে ছুটি যথা যায়, নবীন নাগর লোভিতে তেমনি ছোটাছুটি করে সকল রমণী। নির্ধন কুলীনে নারী করে হেয় জ্ঞান সে জন নারীর চক্ষে চণ্ডাল সমান, অথচ চণ্ডাল যদি হয় ধনেশ্বর ধনহেতু ভজে তারে নারী নিরন্তর।" (কুনাল জাতক - ৫৩৬)

নারীকে চিহ্নিত করেন গৌতম বৌদ্ধ। তিনি বলেন,

নারী যেহেতু গৃহের মোহ তৈরি করে তাই নারী অবশ্যই পরিত্যাজ্য।১) বর্তমান বস্তু ( এখানে কোন সংকট উপস্থাপিত হয়েছে শাস্তার (পথপ্রদর্শকের) কাছে। ২) অতীত বস্তু ( এখানে সংকট মীমাংসার জন্য অতীতের দৃষ্টান্ত প্রদান করেন শাস্তা) ৩) সমাধান ( অতীত বাস্তবতার আলোকে বর্তমানের টীকাভাষ্য রচনা করে দিকনির্দেশনা দেন শাস্তা)

কুণালের মুখে উচ্চারিত হয় নীতি গাথাঃ

সদা রক্ত মাংস প্রিয়, কঠোর হৃদয়, পঞ্চায়ুধ, ক্রূরমতি সিংহ দুরাশয়। অতিলোভী, নিত্য প্রতিহিংসা পরায়ণ, বধি অন্যে করে নিজ উদর পূরণ। স্ত্রীজাতি তেমতি সর্বপাপের আবাস, চরিত্রে তাহাদের কভু করো না বিশ্বাস। হ্যাঁ পুরুষের অবশ্যই কখনোই নারীর চরিত্রে বিশ্বাস করা উচিত নয়। শুধু কি বিশ্বাস? কুণালের মতে, নারীকে বেশ্যা, কুলটা বললেই সব বলা হয় না, নারী প্রকৃত পক্ষে এর অধিক কিছু।

নারীরা হল- →উন্মুক্ত মলভাণ্ডের মতো দুর্গন্ধ যুক্ত। →বিষমিশ্রিত মদিরার মতো অনিষ্টকারী। →কুটিলা সাপের মতো দুই জিহ্বা বিশিষ্ট। →পাতালের ন্যায় অতল গভীর। →রাক্ষসীর ন্যায় সন্তোষহীন। →অগ্নির ন্যায় সর্ব গ্রাসিনী। →নদীর ন্যায় সর্ব বাহিনী। →বায়ুর ন্যায় যথেচ্ছা গামিনী। →বিষবৃক্ষের ন্যায় বিষফল প্রসবিনী। নারীরা কীভাবে মলের মতো দুর্গন্ধময় এ সম্পর্কে কুনাল বলেন,

"নারী হল উন্মুক্ত মলভাণ্ডের ন্যায়। উন্মুক্ত মলভাণ্ড দেখিলে মাছি সেখানে ঝাপ দিবেই তাকে রোহিত করা কষ্টকর। কিন্তু একজন জ্ঞানী মানুষ সব সময় এই মলভাণ্ডের দুর্গন্ধ উপলব্ধি করে তা এড়িয়ে চলে। তদ্রূপ নারীরুপ মলভাণ্ডে মাছিরূপ পুরুষ ঝাপ দিবেই কিন্তু একজন জ্ঞানী ভিক্ষু এই উন্মুক্ত মলভাণ্ডরূপ নারীদের দুর্গন্ধ উপলব্ধি করিয়া তাদের সদাই পরিত্যাগ করেন।"

কুণাল তার নিতিগাথায় কি বলেন-

চৌর, বিষদিগ্ধসুরা, বিকত্থি বণিক কুটিল হরিণ শৃঙ্গ, দ্বিজিহ্বা সর্পিণী প্রভেদ এদের সঙ্গে নেই রমণীর। প্রতিচ্ছন্ন মলকুপ, দুষ্কর পাতাল দুস্তোস্যা রাক্ষসী, যম সর্বসংহারক প্রভেদ এদের সঙ্গে নাই রমণীর। অগ্নি, নদী বায়ু, মেরু (পাত্রাপাত্রভেদ জানে না যে) কিংবা বিষবৃক্ষ নিত্যফল প্রভেদ এদের সঙ্গে নাই রমণীর।

প্রথম পর্ব:সমাপ্ত বাকি পর্বগুলো পেতে আমার সাথেই থাকুন |