Pages

Showing posts with label Other. Show all posts
Showing posts with label Other. Show all posts

Sunday, September 14, 2014

হিন্দুধর্মে নারীরা→১ম পর্ব

নব্য নাস্তিক এবং সেক্যুলারদের কাছে ইসলামে নারীর অধিকার নেই ,অথচ তারা একবার ও বিশ্লেষন করেনা যে ইসলাম নারীকে অধিকার দেয়না নাকি অন্য কোন ধর্ম নারীকে অধিকার দেয়না ! নব্য নাস্তিক আর হিন্দুদের দাবী "ইসলামে নারীকে শষ্যক্ষেত বলা হয়েছে তাই ইসলাম ধর্মে নারী দের অধিকার নেই !" হ্যা ইসলাম স্ত্রীকে স্বামীর নিকট শষ্যক্ষেত বলা হয়েছে । আমার স্ত্রীকে আমার মনের মত যদি না সাজাই তাইলে আমি কেমন স্বামী? সূরা বাকারার ২২৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

ﺃَﻧَّﻯﺸِﺌْﺘُﻤْﻨِﺴَﺂﺅُﻛُﻤْﺤَﺮْﺛٌﻠَّﻜُﻤْﻔَﺄْﺗُﻮﺍْﺣَﺮْﺛَﻜُﻢْ (তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।)

হঠাৎ করে এই আয়াতাংশ কারো সামনে পেশ করা হলে মনে হতে পারে যে এখানে পুরুষকে যখন ইচ্ছা তখন তার স্ত্রীর সাথে যৌনাচার অবাধ অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, আসলেই কি তাই ? এটা ঠিক যে ইসলাম স্ত্রীদেরকে স্বামীর যৌন চাহিদার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছে, কিন্তু স্বামীকে নিজ চাহিদা আদায়ের ব্যাপারে উগ্র হবার কোন অনুমতি যেমন দেয়নি তেমনি স্বামীকেও স্ত্রীর যৌন চাহিদার প্রতি যত্মবান হবার নির্দেশ দিয়েছে। ইসলাম স্ত্রীকে বলেছে যদি রান্নরত অবস্থায়ও স্বামী যৌন প্রয়োজনে ডাকে তবে সে যেন সাড়া দেয়, অন্য দিকে পুরুষকে বলেছে সে যেন তার স্ত্রীর সাথে ভালো আচরণ করে, স্ত্রীর কাছে ভালো সাব্যস্ত না হলে সে কিছুতেই পূর্ণ ঈমানদার বা ভালো লোক হতে পারবে না। এই কথা জানার পরও কোন পুরুষ কি স্ত্রীর সুবিধার প্রতি কোনরূপ লক্ষ না রেখেই যখন তখন তাকে যৌন প্রয়োজনে ডাকবে? ইসলাম পুরুষকে এব্যাপারেও সাবধান করে দিয়েছে যে নিজের যৌন চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে স্ত্রীর যৌন চাহিদার কথাকে সে যেন ভুলে না যায়।" ইসলাম স্ত্রীকে তার স্বামীর কাছে শস্যক্ষেত্র বলেছে অন্যকাউকে নয়। আমার জমিতে(স্ত্রীকে) যদি আমি ভাল চাষ না দেই তবে আমার ফসল কোন দিনও ভাল হবেনা । ইসলামের ভাল কথাও নাস্তিক আর ছুপা হিন্দুদের কাছে বিষের মত লাগে অথচ তারা একবারও নিজের ধর্মকে দেখেনা । ইসলামই একমাত্র নারীকে পূর্ণ অধিকার দেয় যা অন্যকোন ধর্ম দেয়না ! বৌদ্ধধর্মে নারীকে মলের ন্যায় বলা হয়েছে ,খ্রীষ্টধর্মে ও ইহুদিধর্মেও নারীকে ঠিক তাই । এবার আমি আলোচনা করব,হিন্দু ধর্মে নারীদের অধিকার এবং হিন্দুধর্মে নারীরা ।

হিন্দুধর্মে নারীদের অধিকার:→

মনু নারী জাতিকে পুরুষের হাতের প্রাণশূন্য পুতুল ভেবেই হয়ত নিচের বিধানটি প্রবর্তন করেছেন। মনু বিধান দিলেনঃ বন্ধ্যাষ্টমেহধি বেদ্যাব্দে দশমে তু মৃতপ্রজা। একাদশে স্ত্রীজননী সদ্যস্ত্বপ্রিয়ব াদিনী \\ ৮১\\ অর্থঃ নিঃসন্তান স্ত্রীকে বিয়ের আট বছর পর ত্যাগ করা যায়, মৃত সন্তানের জন্মদানকারী স্ত্রীকে ত্যাগ করা যায় দশ বছর পরে, যে স্ত্রী শুধুমাত্র কন্যা সন্তান জন্ম দেয় তাকে ত্যাগ করা যায় এগারো বছর পরে, ঝগড়া পরায়ন স্ত্রীকে ত্যাগ করতে বিলম্ব করা যাবে না।" সূত্রঃ [মনুসংহিতা- অধ্যায়-৯, শ্লোক- ৮১, পৃষ্ঠা- ২৫৭, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ] [-] কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে স্ত্রীকে ত্যাগ করা ধর্ম- সিদ্ধ কিন্তু সন্তান জন্মের ব্যাপারে পুরুষের অক্ষমতাকে বিবেচনা করা হয়নি মনুর বিধানে। বলতে হয়, মনু বিজ্ঞানে বিশ্বাসী ছিলেন না। অথবা শ্রীভগবান তাকে বিজ্ঞান সম্পর্কে কোন জ্ঞান দান করেননি। এ কথা বলার যুক্তি এই যে, আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে, পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকাই মুখ্য। পুরুষই পুত্র সন্তানের জীন (শুক্র) বহন করে - নারী নয়। তাহলে, পুরুষের দোষে নারীকে কেন ত্যাগ করার বিধান দেন মনু? মনুর বিধানে নারীদের অধিকার খর্ব করা হয়নি কি? ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি কি নারীদের স্বাধীনতা? সংহিতার পঞ্চম অধ্যায়ে পাওয়া যায়ঃ- বালয়া বা যুবত্যা বা বৃদ্ধয়া বাপি যোষিতা। ন স্বাতন্ত্র্যেণ কর্তব্যং কিঞ্চিত্ কার্যং গৃহেস্বপি \\ ১৪৭ \\ অর্থঃ "বালিকা কিংবা যুবতী অথবা প্রাপ্ত বয়স্কা নারীরা স্বাধীনভাবে কোন কিছু করতে পারবে না- এমনকি নিজেদের ঘরেও নয়।" সূত্রঃ মনুসংহিতা [অধ্যায়-৫, শ্লোক-১৪৭, পৃষ্ঠা- ১৬২, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ] [-] মনু নারীকে যে একেবারেই অধিকার শূন্য করেছেন তা নয়। নারীকে কিছু অধিকারও দিয়েছেন। মনু নারীদের স্বার্থের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছেন বললে ভুল হবে না। বলতে হয়, মনু 'নারী' স্বার্থের জন্যই এ বিধানটি দিয়েছেন। যদিও নারীকে উল্লেখ করে বলেছেন কিন্তু এ বিধানের নেপথ্যে পুরুষের অধিকার-ই ষোল আনাই পূর্ণ হয়েছে। মনুসংহিতায় মনু বলেছেনঃ "কন্যাং ভজন্তীমুত্কৃষ্ টং ন কিঞ্চিদপি দাপয়েত্"। ৩৬৫। অর্থঃ "কন্যা উচ্চতর বর্ণের লোককে (সম্ভোগার্থ=যৌ নমিলনে) ভজনা (আহ্বান) করলে তাকে কোন দন্ড দিতে হবে না।" সূত্রঃমনুসংহিতা [অধ্যায়-৮, শ্লোক-৩৬৫, পৃষ্ঠা-২৪০, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ] অপর এক শ্লোকে মনু বিধান দিয়েছেনঃ "দেবরাদ্বা সপিন্ডাদ্বা স্ত্রিয়া সম্যঙ্ নিযুক্তয়া। প্রজেপ্সিতাধিগন ্তব্যা সন্তানস্য পরিক্ষয়ে" \\ ৫৯ \\ অর্থঃ "সন্তানের অভাবে (পতি প্রভৃতি গুরুজন কর্তৃক) সম্যকরুপে নিযুক্ত হয়ে স্ত্রীলোক দেবর বা সপিন্ড থেকে সন্তান লাভ করবে।" মনুসংহিতা [অধ্যায়-৯, শ্লোক-৫৯, পৃষ্ঠা-২৫৪, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ] -] নারীরা মন্ত্রে অধিকারহীন, ধর্মশাস্ত্রে অধিকারহীন নির্গুন- মিথ্যাব াদী-পাপের মূল; তাহলে কি দেবীরা নারী নন? না নিচের শ্লোক/বিধান গুলো কেবলমাত্র সাধারণ নারীদের জন্য- পূণ্যবতী গুণবতী দেবীরুপী নারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়ঃ "স্বভাব এষ নারীণং নরাণামিহ দূষণম। অতোহর্থান্ন প্রমাদ্যন্তি প্রমদাসু বিপশ্চিতঃ" \\ ২১৩ \\ অর্থঃ "নারীদের স্বভাবই হল পুরুষদের দূষিত করা। অতএব পন্ডিতগণ স্ত্রীলোক সম্বন্ধে অনবহিত হন না।" সূত্রঃ মনুসংহিতা-২য় অধ্যায়, পৃষ্ঠা-৭৯, শ্লোক-২১৩ "নাশ্নীয়াদ্ভার্ যয়া সার্ধং নৈনামীক্ষেত চাশ্নতীম। ক্ষুবতীং জৃম্ভমাণাং বা ন চাসীনাং যথাসুখম" \\ ৪৩ \\ অর্থঃ স্ত্রীর সঙ্গে আহার করবেন না, তার আহারকালে তাকে দেখবেন না। স্ত্রীর হাঁচবার, হাই তোলার বা আরাম করে বসে থাকার সময়ে তাকে দেখবেন না।" সূত্রঃ মনুসংহিতা-৪র্থ অধ্যায়, পৃষ্ঠা-১২১, শ্লোক-৪৩ ঋতুকালাভিগামী স্যাত্ স্বদারনিরতঃ সদা। পর্ববর্জং ব্রজেচ্চৈনাং তদব্রতো রতিকাম্যয়া \ \ ৪৫ \\ অর্থঃ (গৃহস্ত) নিজের স্ত্রীর প্রতি অনুরক্ত হয়ে ঋতুকালে স্ত্রীসম্ভোগ করবেন; স্ত্রীর প্রতি প্রীতিমান ব্যক্তি (অমাবস্যাদি) পর্ব বাদে রতিকামনায় (অন্য সময়েও) দারগমন করবেন। সূত্রঃ মনুসংহিতা- ৩য় অধ্যায়, পৃষ্ঠাঃ ৯০, শ্লোক-৪৫, মূল সংস্কৃত-মনু, অনুবাদ সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কালেহদাতা পিতা বাচ্যো বাচ্যশ্চানুপযন পতিঃ। মৃতে ভর্ত্তরি পুত্রসত্ত বাচ্যো মাতুররক্ষিতা \\ ৪ \\ অর্থঃ বিবাহযোগ্য কালে কন্যা সমপ্রদান না করলে পিতা, (ঋতুকালে) স্ত্রীগমন না করলে পতি, স্বামীর মৃত্যুর পর মাতার রক্ষনাবেক্ষণ না করলে পুত্র নিন্দনীয় হয়। সূত্রঃ মনুসংহিতা- ৯ম অধ্যায়, পৃষ্ঠাঃ ২৪৮, শ্লোক-৪, মূল সংস্কৃত-মনু, অনুবাদ সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় আদি পুরুষ (মনুসংহিতা মতে-মনু) মানব জাতির পিতা তার মনুসংহিতার নবম অধ্যায়ের ১৮ নং শ্লোকে বললেন- নাস্তি স্ত্রী নাং ক্রিয়া মন্ত্রৈদিতি ধর্মে ব্যবস্থিতি। নিবিন্দ্রিয় হামন্ত্রাশ্চ স্ত্রিয়োহ নৃতমিতি স্থিতিঃ \\ ১৮ \\ অর্থঃ মাস্ত্রোক্ত বিধি অনুসারে নারীদের মন্ত্রে কোন অধিকার নাই, স্মৃতি ও ধর্শ শাস্ত্রে ইহাদের অধিকার নাই, এই জন্য ইহারা নিতান্ত হীন ও অপাদার্থ।" সূত্রঃ মনুসংহিতা- ৯ম অধ্যায়, পৃষ্ঠাঃ২৫০, শ্লোক-১৮, মূল সংস্কৃত-মনু, অনুবাদ সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়শুক্লযজুর্বেদের অন্তর্গত শতপথ ব্রাহ্মণে নারীকে তুলনা করা হয়েছে এভাবে, “সে ব্যক্তিই ভাগ্যবান, যার পশুসংখ্যা স্ত্রীর সংখ্যার চেয়ে বেশি” (২/৩/২/৮)। শতপথ ব্রাহ্মণের এ বক্তব্যকে হয়তো দরদী ধর্মবাদীরা ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে যৌক্তিকতা দিতে চেষ্টা করবেন, কিন্তু পরের আরেকটি শ্লোকে পাওয়া যায় হিন্দু ধর্মের দৃষ্টিতে নারীর আর্থ-সামাজিক অবস্থান; “বজ্র বা লাঠি দিয়ে নারীকে দুর্বল করা উচিৎ, যাতে নিজের দেহ বা সম্পত্তির উপর কোনো অধিকার না থাকতে পারে ” (৪/৪/২/১৩)। এর থেকে স্পষ্ট কোনো বক্তব্যের আর প্রয়োজন আছে? বৃহদারণ্যকোপনিষদে ঋষি যাজ্ঞবাল্ক্য বলেন, “স্ত্রী স্বামীর সম্ভোগকামনা চরিতার্থ করতে অসম্মত হলে প্রথমে উপহার দিয়ে স্বামী তাকে ‘কেনবার’ চেষ্টা করবে, তাতেও অসম্মত হলে হাত দিয়ে বা লাঠি দিয়ে মেরে তাকে নিজের বশে আনবে ” (৬/৪/৭, ১/৯/২/১৪)। দেবীভাগবত-এ নারীর চরিত্র সম্পর্কে বলা আছে (৯:১): “নারীরা জোঁকের মত, সতত পুরুষের রক্তপান করে থাকে। মুর্খ পুরুষ তা বুঝতে পারে না, কেননা তারা নারীর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে পড়ে। পুরুষ যাকে পতœী মনে করে, সেই পতœী সুখসম্ভোগ দিয়ে বীর্য এবং কুটিল প্রেমালাপে ধন ও মন সবই হরণ করে।”

Wednesday, September 10, 2014

উলঙ্গপনা,জাতপাত,সেবাদাসী,দেবদাসী হিন্দুধর্মের একটা অংশ,এবং চিনুন হিন্দু জঙ্গী সংগঠন

লেখা:সজল আহমেদ| বিঃদ্রঃসম্মানিত আপু ,ভাই এবং স্নেহের ছোট ভাইয়ারা,বোনেরা দয়া করে এই লেখাটা পড়বেন না ,যদিও লেখাটায় বাস্তব চিত্র এবং ইতিহাস থেকে খানিকটা তুলে ধরা হয়েছে তবুও এই লেখাটা আপনাদের না পড়াই শ্রেয় । [caption id="attachment_8000" align="alignnone" width="9000" caption="এখনো চলছে ভারতে সেবাদাসী প্রথা"]gongapurush.gif[/caption] ভারতবর্ষে ইসলাম আসার পূর্বে নিম্নবর্ণের হিন্দু মেয়েরা বিয়ের আগে মন্দিরে সেবাদাসী হিসেবে কাজ করতে হতো। মন্দির ধোয়া মোছা থেকে শুরু করে মন্দিরের ব্রাক্ষন পুরাহিতদের শয্যাসঙ্গী হওয়া এরকম প্রায় সব কাজই তাদের করতে হত।ব্রাক্ষণ পুরাহিতরা এই নিম্নবর্ণের হিন্দু মেয়েদের সাথে প্রতিদিন উপুর্যপুরী FREE SEX করতো।মেয়েরা কিন্তু ব্রাক্ষনদের কেনা দাসী ছিল না তারা শুধু তাদের বিয়ের আগের সময়টা এই মন্দিরে কাজ করতো। বিয়ের পর নিম্ন বর্ণের হিন্দু মেয়েরা আর মন্দিরে যেত না।বিস্তারিত পড়ুন→

Saturday, September 6, 2014

বৌদ্ধ ধর্মে নারীরা-পর্ব ১

অনলাইনে পাতি নাস্তিকতার আড়ালে লুকানো হিন্দু মালাউনরা শুধু ইসলামে নারীর অধিকার খুঁজে দিশেহারা ।ছুপা মাল্লুজদের দাবী ইসলামে নারীর অধিকার দেয়া হয়নি ! অথচ সকল ধর্ম বিশ্লেষন এবং গবেষনা করলে দেখা যায় যে একমাত্র ইসলাম ধর্মই নারীকে সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদায় রেখেছে । আমি প্রমাণ করে ছাড়ব যে ইসলামই নারীকে পূর্ণ অধিকার দিয়েছে । এই লেখাটায় আমি বৌদ্ধ ধর্মে নারীর অধিকার নিয়ে আলোচনা করব ।লেখাটি পর্ব আকারে দেয়া হবে । বুদ্ধ
বৌদ্ধ ধর্মে নারীর অধিকার এবং নারীকে যে চোখে দেখা হয়:
বৌদ্ধ শাস্ত্রের ৫৩৬ নম্বর জাতকে কুণাল বলেন,

গরুরা নতুন ঘাসের আশায় নিজের গোয়াল থেকে বের হবার জন্য ছুটে, নারীও তেমনি নতুন নাগর লাভের আশায় ছোটাছুটি করে।

আবার,

নৌকা যেমন এপারে-ওপারে, এখানে-সেখানে যথা প্রয়োজনে লাগে, নারীও তদ্রূপ প্রিয় অপ্রিয় বিবেচনা না করেই সর্ব পুরুষেই গমন করে।

আবার,

কোন বুদ্ধিমান কখনো নারীর চরিত্রে বিশ্বাস স্থাপন করে না। যারা করে তারা নির্বোধ।

আবার,

যতই নারীকে ধনে পরিপূর্ণ করা হোক না কেন সুযোগ পেলেই অসতীরা পুরুষের সম্মান নষ্ট করে।

আবার,

নারীদের এতোই জঘন্য স্বভাব যে এখানে সেখানে তারা যদিচ্ছা ঘুরাফেরা করে।

আবার,

নারীদের চোখের পানিতে গলে যাওয়া ঠিক না কারণ নারীদের সত্য মিথ্যার সমান।

আবার,

নারীরা সব সময় প্রেমালাপে পুরুষদের বস করে যদিও মনের মধ্যে তাদের থাকে খারাপ অভিলাস।

আবার,

তীর্থে যেমন সকলেই ভ্রমন করতে পারে, নারীও তেমন তীর্থসম।

আবার,

টাকাহীন কুলীন ব্রাহ্মণ নারীর কাছে চণ্ডালের মতো। তাইতো ধনবান চণ্ডাল কে নারী আজীবন পূজিতে পারে শুধু ধনের আশায়।

কুণালের নীতিবাক্যর গাথাগুলো দেখি -

"মনের মতো রমণী লভিয়া ধনপূর্ণা ধরা কর তারে দান, তথাপি অসতি পেলে অবসর কভু না রাখিবে তোমার সম্মান। নারীদের এমন জঘন্য স্বভাব সদা সর্বস্থানে করি বিলোকন, করে কি কখনো বুদ্ধিমান জন চরিত্রে তাহাদের বিশ্বাস স্থাপন? ভালোবাসে মোরে ভাবি ইহা মনে করো না বিশ্বাস কভু নারীগণে, অশ্রু বিসর্জন দেখিয়া তাহার ভিজে নাকো যেন মন কখনো তোমার। এ পারে, ও পারে নদীর যেমন লাগে গিয়া নৌকা যথা প্রয়োজন, প্রিয় বা অপ্রিয় বিচার না করি সেবে পরপুরুষেরে সর্বজন নারী। অতীব দুঃশীলা, অতি অসংযতা রতিদানে মুড়ে তুষিতে নিরতা, প্রামালাপ করে বসি তব পাশ মনে কিন্তু সদা পাপের অভিলাষ। তীর্থসম সর্বভোগ্যা নারীগণ নারীরে বিশ্বাস করো না কখন, নাই তাদের সত্য মিথ্যা জ্ঞান সত্য তাদের মিথ্যার সমান। গবীসম নব তৃণের আশায় গোচর বাহিরে ছুটি যথা যায়, নবীন নাগর লোভিতে তেমনি ছোটাছুটি করে সকল রমণী। নির্ধন কুলীনে নারী করে হেয় জ্ঞান সে জন নারীর চক্ষে চণ্ডাল সমান, অথচ চণ্ডাল যদি হয় ধনেশ্বর ধনহেতু ভজে তারে নারী নিরন্তর।" (কুনাল জাতক - ৫৩৬)

নারীকে চিহ্নিত করেন গৌতম বৌদ্ধ। তিনি বলেন,

নারী যেহেতু গৃহের মোহ তৈরি করে তাই নারী অবশ্যই পরিত্যাজ্য।১) বর্তমান বস্তু ( এখানে কোন সংকট উপস্থাপিত হয়েছে শাস্তার (পথপ্রদর্শকের) কাছে। ২) অতীত বস্তু ( এখানে সংকট মীমাংসার জন্য অতীতের দৃষ্টান্ত প্রদান করেন শাস্তা) ৩) সমাধান ( অতীত বাস্তবতার আলোকে বর্তমানের টীকাভাষ্য রচনা করে দিকনির্দেশনা দেন শাস্তা)

কুণালের মুখে উচ্চারিত হয় নীতি গাথাঃ

সদা রক্ত মাংস প্রিয়, কঠোর হৃদয়, পঞ্চায়ুধ, ক্রূরমতি সিংহ দুরাশয়। অতিলোভী, নিত্য প্রতিহিংসা পরায়ণ, বধি অন্যে করে নিজ উদর পূরণ। স্ত্রীজাতি তেমতি সর্বপাপের আবাস, চরিত্রে তাহাদের কভু করো না বিশ্বাস। হ্যাঁ পুরুষের অবশ্যই কখনোই নারীর চরিত্রে বিশ্বাস করা উচিত নয়। শুধু কি বিশ্বাস? কুণালের মতে, নারীকে বেশ্যা, কুলটা বললেই সব বলা হয় না, নারী প্রকৃত পক্ষে এর অধিক কিছু।

নারীরা হল- →উন্মুক্ত মলভাণ্ডের মতো দুর্গন্ধ যুক্ত। →বিষমিশ্রিত মদিরার মতো অনিষ্টকারী। →কুটিলা সাপের মতো দুই জিহ্বা বিশিষ্ট। →পাতালের ন্যায় অতল গভীর। →রাক্ষসীর ন্যায় সন্তোষহীন। →অগ্নির ন্যায় সর্ব গ্রাসিনী। →নদীর ন্যায় সর্ব বাহিনী। →বায়ুর ন্যায় যথেচ্ছা গামিনী। →বিষবৃক্ষের ন্যায় বিষফল প্রসবিনী। নারীরা কীভাবে মলের মতো দুর্গন্ধময় এ সম্পর্কে কুনাল বলেন,

"নারী হল উন্মুক্ত মলভাণ্ডের ন্যায়। উন্মুক্ত মলভাণ্ড দেখিলে মাছি সেখানে ঝাপ দিবেই তাকে রোহিত করা কষ্টকর। কিন্তু একজন জ্ঞানী মানুষ সব সময় এই মলভাণ্ডের দুর্গন্ধ উপলব্ধি করে তা এড়িয়ে চলে। তদ্রূপ নারীরুপ মলভাণ্ডে মাছিরূপ পুরুষ ঝাপ দিবেই কিন্তু একজন জ্ঞানী ভিক্ষু এই উন্মুক্ত মলভাণ্ডরূপ নারীদের দুর্গন্ধ উপলব্ধি করিয়া তাদের সদাই পরিত্যাগ করেন।"

কুণাল তার নিতিগাথায় কি বলেন-

চৌর, বিষদিগ্ধসুরা, বিকত্থি বণিক কুটিল হরিণ শৃঙ্গ, দ্বিজিহ্বা সর্পিণী প্রভেদ এদের সঙ্গে নেই রমণীর। প্রতিচ্ছন্ন মলকুপ, দুষ্কর পাতাল দুস্তোস্যা রাক্ষসী, যম সর্বসংহারক প্রভেদ এদের সঙ্গে নাই রমণীর। অগ্নি, নদী বায়ু, মেরু (পাত্রাপাত্রভেদ জানে না যে) কিংবা বিষবৃক্ষ নিত্যফল প্রভেদ এদের সঙ্গে নাই রমণীর।

প্রথম পর্ব:সমাপ্ত বাকি পর্বগুলো পেতে আমার সাথেই থাকুন |

Monday, August 25, 2014

ভগবান ব্রহ্মার কিছু রগরগে কাহীনি

ভ্যাগাপন ব্রহ্মা লুচুর লুচু কাহীনি:
ব্রহ্মার কথা | তিনি সৃষ্টিকর্তা | কিন্তু প্রজাপতি ব্রহ্মাও অজাচারে কম যান না | সরস্বতী পুরাণ বলে, ঊর্বশীকে দেখে স্বমেহন করতেন ব্রহ্মা | তাঁর শুক্রাণু জমা হত একটি পাত্রে | সেই পাত্রে জন্ম হয় ঋষি অগস্ত্য এবং অগস্ত্য জন্ম দেন সরস্বতীর | এই সূত্র অনুযায়ী সরস্বতী ব্রহ্মার নাতনি | আবার অন্য সূত্র বলে, ব্রহ্মার শুক্রাণু থেকে সরাসরি জন্ম হয় সরস্বতীর | কিন্তু আত্মজার রূপ দেখে মুগ্ধ হন প্রজাপতি | তিনি তাঁর সঙ্গে যৌন সঙ্গম করতে চান | জন্মদাতার কামনা থেকে বাঁচতে পালিয়ে যান সরস্বতী | কিন্তু শেষ অবধি হার মানতে হয় ব্রহ্মার কামনার কাছে | ব্রহ্মা এবং সরস্বতী স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকেন পদ্ম ফুলে | প্রায় ১০০ বছর ধরে | তাঁদের পুত্রের নাম স্বয়ম্ভুমারু এবং কন্যা শতরূপা | কিন্তু এরপরেও ব্রহ্মার বিকৃত যৌন কামনা কমেনি | এতে বিদ্যা এবং জ্ঞানের দেপী সরস্বতী অভিশাপ দেন ব্রহ্মাকে | বলেন, দেবতাদের মূলস্রোতে থাকবেন না প্রজাপতি ব্রহ্মা | অর্থাৎ তিনি পূজিত হবেন না | হিন্দু দেবতাদের মূলধারার মধ্যে পড়েন না ব্রহ্মা | তাঁর রাজস্থানের পুষ্কর ছাড়া তাঁর মন্দির এবং অর্চনা বিরল | কুপিত হয়ে সরস্বতী তাঁকে ছেড়ে চলে যান | দেবী থেকে রূপান্তরিত হন নদীতে | সেখান থেকেই বৈদিক যুগের 'সরস্বতী নদী' | কৃষিপ্রধান সভ্যতার মূলে থাকা উর্বরতার উৎস এই নদীর উৎসমুখ ও প্রবাহ নিয়ে এখনও চলে গবেষণা | ব্রহ্মার অজাচারের প্রমাণ ঐতেরেয় ব্রাহ্মণ, শতপথ ব্রাহ্মণ, মৎস্য পুরাণ এবং ভাগবৎ পুরাণেও আছে | সমাজতাত্ত্বিকরা মনে করেন, ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে যৌনাচার বৈদিক যুগে বহুল প্রচলিত ছিল | তাই বাবা-মেয়ে এবং ভাই-বোন যৌনতাকে তখন বংশবৃদ্ধি বা সন্তান উৎপাদনের কারণ দেখিয়ে 'অপরাধ' তকমার বাইরে রাখা হত | রামভক্তরা কানে আঙুল দিলেও কোনও কোনও সূত্র বলে, রাম-সীতাও নাকি আসলে ভাই-বোন ছিলেন | ঐতিহাসিকরা মনে করেন, বৈদিক যুগের এই অন্ধকার রীতি-নীতি সমাজে প্রচলিত ছিল খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ থেকে ১০০০ খ্রিস্টাব্দ অবধি | সেইজন্যেই তো একমাত্র ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মো কী...
সূত্রঃ Here আবার,
ব্রহ্মা অহল্যা নামের এক অসাধারন সুন্দরী নারী তৈরি করেছিলেন। এই রমনীর সাথে ব্রহ্মা বিয়ে দিয়েছিলেন মহামুনি গৌতমের সাথে। যাই হোক ইন্দ্র ছিলেন গৌতমের সবচেয়ে প্রিয় শিষ্য। খুব বিশ্বাস করতেন গৌতম ইন্দ্রকে।কিন্তু ইন্দ্রের নজর ছিল সবসময় গৌতমের স্ত্রীর দিকে। তিনি সবসময় সুযোগ খুজতেন যে কিভাবে অহল্যার সাথে সঙ্গম করা যায়। একদিন মুনিবর তপস্যা করতে গেলেন। সেই সুযোগে ইন্দ্র পুরোপুরি মুনির ছদ্মবেশ ধরে এলেন মুনির পত্নির কাছে।চতুর ইন্দ্রের ছিদ্মবেশ ছিল খুবই নিখুত। তিনি এমনকি মুনির সব আচার আচরন নকল করেছিলেন। যাই হোক তিনি যখন তাঁর গুরুর ছদ্মবেশ ধরে গুরুপত্নীর কাছে আসলেন, তখন গুরুপত্নী অহল্যা বিস্মিত হয়ে ভাবলেন যে তাঁর স্বামী মহামুনি গৌতম তপস্যা থেকে এত দ্রুত ফিরে আসলেন কেন। সে কথা তিনি গৌতম মুনি রূপী ইন্দ্রকে জিজ্ঞেস করলেন। ইন্দ্র উত্তর দিলেন,“প্রিয়তমা, তোমার কথা হঠাৎ করে মনে হল আর মন চঞ্চল হয়ে উঠলো। তোমার সৌন্দর্যের কথা মনে এলে আমার ধ্যান ট্যান সব টুটে যায়”।যাক পতিপ্রাণা নারী অহল্যা আর কিছু না হলে স্বামীর বাহুতে ধরা দিলেন। চলতে লাগলো রমন পর্ব।কামে জর্জরিত ইন্দ্রের একবার মনেও এলো না যে অহল্যা শুধু বিবাহিতা পরনারীই নন, স্বয়ং মাতৃসমা গুরুপত্নি। এভাবেই গুরুপত্নীকে নষ্ট করলেন দেবতাদের রাজা ইন্দ্র। যাইহোক ইন্দ্র ঘর থেকে বেরিয়ে যাবার বেশ পরে আসল মুনি গৌতম তপস্যা থেকে ফিরে এলেন। এসে তিনি স্ত্রীর শরীরে রতি গন্ধ পেলেন। এবং অবাক হয়ে বললেন এ ব্যাপার কি? অহল্যা করজোড়ে বললেন যে স্বামী নিজেই একটু আগে তাঁর সাথে রমন করে এখন আবার তাঁকেই দোষারোপ করছেন কেন? এই কথা শুনে মুনির মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। তিনি অমনি ধ্যান শুরু করে দিলেন। ধ্যানে জানতে পারলেন যে এই অপকর্মটি করেছে তারই প্রানপ্রিয় সন্তানতুল্য শিষ্য দেবতা ইন্দ্র। তিনি ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে ইন্দ্র কে ডাকতে লাগলেন। পুথিপত্র হাতে নিয়ে ইন্দ্র এমন নিরীহ ভঙ্গীতে প্রবেশ করলেন গুরুর ঘরে যেন তিনি ভাজা মাছটি উলটে খেতে জানেন না। কিন্তু মুনি তখন ইন্দ্রকে লক্ষ করে সক্রোধে বলতে লাগলেন, "রে দুরাচার পাপী ইন্দ্র আমি আমার সব বিদ্যা শিক্ষা তোকে দান করলাম আরতুই আমাকে ভাল গুরু দক্ষিনা দিলি আমার স্ত্রীর সাথে ছলনা করে তার সাথে সহবাস করে জাতি নষ্টের মাধ্যমে?যা আমি তোকে অভিশাপ দিলাম তোর সারা শরীর যোনিময় (vagina) হোক ।“ অভিশাপ দেয়ার সাথে সাথে দেব্রাজ ইন্দ্রের সারা শরীর সহস্র যোনি (vagina) দিয়ে ভরে গেল। অনেকদিন পরে ইন্দ্র এই শাপ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন কিন্তু সে কথা এখন থাক। মুনি অহল্যাকেও শাপ দিলেন পাথরে পরিনত হবার। সূত্রঃ-Amarblog.com
সব মিলিয়ে:ছ-বিকামসূত্র বইটা কোথা থেকে এলো

Tuesday, August 19, 2014

ফারাবীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রতিদিনের মিথ্যা রিপোর্টের দাঁত ভাঙ্গা জবাব!!

নইম নিজামছ-বি নামকড়া পত্রিকা "বাংলাদেশ প্রতিদিন"ব্লগারশফিউর রহমান এর বিরুদ্ধে ছড়াচ্ছে মিথ্যা News ! কয়েকদিন আগে তসলিমা নাসরিন,আসিফ মহিউদ্দীন এবং ব্লগার আরিফুর রহমান পবিত্র কোরআন শরীফের উপর চায়ের কাপ রেখা কোরআনকে অবমাননা করে এদেশের প্রতিটা ধর্মপ্রাণ মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত করে ! এই ভিডিওটা আবার ইউটিউবেও ছাড়া হয় (দুঃখের বিষয় ভিডিওটা ডিলিট করেছেন ব্লগার আরিফুর রহমান ফারাবীরএই স্ট্যাটাসটায় কিছু ডিটেইলস পেতে পারেন) তসললিমা ,আসিফ ,আরিফুরের কোরআন অবমাননার এই ছবিটি দেখুন, ছ-বি আর এই অপকর্মের বিরুদ্ধে কিবোর্ডে খোঁচা দেয় ব্লগার ফারাবী আর এতেই তার যত দোষ!ফারাবী তার একটি স্ট্যাটাসে লিখেন,কোরআন বিদ্বেষী লেখিকা তসলিমা নাসরিনের আর একটি লেখাও বাংলাদেশ প্রতিদিনে ছাঁপাতে পারবেনা,একসময় এখানে রামদার কথা উঠে আসে(রাগের মাথায় রাজাকেও প্রজা খুন করার কথা বলে ফেলে এটা দোষের কিছু নয়) আর এতে ভীত হয়ে ছাহচী চাংপাদিক নঈম নিজাম ওরফে নাস্তিক নিজাম ফারাবীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি করে!ফারাবীর সামনে এখন বড় বিপদ যে কোন সময় জেলে যেতে পারে সে! ফারাবী যুক্তি দিয়েছিল ,যেই মহিলা কোরআনকে অবমাননা করে তার লেখা কেন বাংলাদেশের একটি নামিদামী পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিন ছাঁপাবে ? আচ্ছা ভাই বাংলাদেশ কি অ্যাথেইস্ট রিপাব্লিক কান্ট্রি নাকি যে আপনি যার তার লেখা বা অশ্লীল অযোগ্য লেখা পত্রিকায় ছাপিয়ে জনতার কাছ থেকে ব্যবসা করে যাবেন? কয়েকদিন আগে আমি বাংলাদেশ প্রতিদিনে তাসলিমার পর্ণগ্রাফি কলামটি পড়েছিলাম যেখানে তাসলিমা আলোচনা করেছেন, •সেক্সের সময় কেন পুরুষেরা নারীকে নিচে ফেলে রাখে ? •নারীর উচিত্‍ পুরুষের যৌনাঙ্গ কেঁটে ফেলা । •সেক্স কিভাবে করতে হবে । •সে পর্ণ ভিডিও দেখে কিনা । ইত্যাদি ইত্যাদি । আচ্ছা ভাই এখন আপনি বলুন এই লেখাটা কি বাংলা চটি না নাকি সেক্স টিপস? এগুলো ছাপানোর জন্য তো ইন্টারনেটে প্রচুর চটি সাইট আছে ,যৌবনজ্বালা ফোরাম,চটি বই আছে তাইলে জনতার পত্রিকায় কেন ? আর এইসব লেখা যখন ফারাবী নঈম নিজামকে ছাপাতে মানা করলেন তখনই বাংলাদেশ প্রতিদিন ছাপালো এই ভূয়া খবর দেখুনঃ
→সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকের মাধ্যমে দেশবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছেন। →এমনকি মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন কটাক্ষ ও ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করছেন। এখানেই ক্ষান্ত হননি। →জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচারণা চালাচ্ছেন। যা পাঠকদের সামনে হুবহু তুলে ধরার মতো নয়। ফারাবীর ব্লগ ও ফেসবুক পেজে এ ধরনের ভূরিভূরি অপকর্মের ছাপ পাওয়া যাবে।
নঈম নিজাম বাংলাদেশ প্রতিদিনে এমন খবর প্রকাশ করেছেন যাতে ফারাবীর প্রতি সরকার বিরুপ হয়,

" →বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য ও কুত্‍সা রটিয়েছে ফারাবী ,মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটুক্তি ও করেছে"

আমি তো ফারাবীর কোন স্ট্যাটাসে বা ব্লগে দেখলামনা মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধুকে গালাগাল বা মন্দ কথা বলতে আমি সেই ২০১১ সাল থেকেই তো ফারাবীর লেখা পড়ি! আমি কেন সারা বাংলাদেশী ফেসবুক ইউজাররাও দেখেনি আপনি জরিপ করে দেখতে পারেন । তাইলে এই প্যান্টে মুতা তসলিমার জারজ সন্তান হারামী নঈম নিজাম এই কথা কোথায় পেল ? বাংলাদেশ প্রতিদিনে আরো ছাপা হয়েছে,
আবারও জামিন পেয়ে ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানোই শুধু নয়, →নারীকে ফেসবুকে যেৌন হয়রানী বা উত্যাক্ত করার অভিযোগও রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনৈক ফেরদেৌসুর রহমানের এ পুত্রের বিরুদ্ধে। কয়েকজন ব্লগার জানান, →কাশিমপুর কারাগারে অবস্থানকালেই রহস্যজনক ভাবে ছদ্মনামে ফেসবুক আইডি থেকে রাষ্ট্র বিরোধী প্রচারণাও চালায় ফারাবী। নিউজ লিংকঃ http://www.bd-pratidin.com/2014/08/19/24838
আসুন এবার দেখি ফারাবী মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন কটুক্তি সত্যিই করেন কিনা , এই স্ট্যাটাসটায় তার প্রমাণ !এখানে ফারাবী পাকিস্তানিদের হানাদার বাহীনি বলে উল্লেখ করেছে ! আচ্ছা ভাই এইবার বলেনতো যে ছেলে পাকিস্তানকে বর্বর বলতে পারেন সেই ছেলেটি কি কখনো মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে কুত্‍সা রটাতে পারে ? মিজান ব্যাটা এতই ভীতু রামদার কোপের কথা শুনে প্যান্টে প্রশাব করে দিয়েছে ! কাপুরুষ কোথাকার ! জোচ্চোর বলদ পাঠা কোথাকার ! আসেন দেখি ফারাবীর আসলে দোষ কি কি, •নাস্তিকদের অপপ্রচারের জবাব দেয়া । •নাস্তিকদের সাথে আপোষ না হওয়া । •বাংলাদেশ প্রতিদিনের অপকর্ম জনতার সামনে খোলাখুলি ভাবে তুলে ধরা । •নঈমের নাস্তিকতা প্রকাশ করে দেয়া । •ইসলামের পক্ষে লেখা । •ইসলামের অপপ্রচারের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া ! এগুলোই তার অপরাধ ! এই নঈমেরা চায় বাংলাদেশ একটি অ্যাথিস্ট রিপাব্লিক কান্ট্রি হোক যাতে করে তারা ফ্রি সেক্স করতে পারে তাইতো এত কিছু ! শেষকথা: বাংলাদেশ প্রতিদিন ভূয়া খবর ছড়াচ্ছে ! একটি সাধারন ধর্মপ্রাণ প্রতিবাদী ছেলেকে জঙ্গী বানাচ্ছে ! তাকে দেশদ্রোহী বানাবার জোড় চেষ্টা চালাচ্ছে ! ৯০% মুসলিম জনতার টাকায় পেট পূর্ণ করে কোরআন বিদ্বেষী চটি লেখিকা বেশ্যাখ্যাত তসলিমার লেখা ছাপাচ্ছে ! আসুন সবাই নঈম মিজানের পেটে লাথি মেরে মিথ্যা খবর প্রকাশ কারী পত্রিকা "বাংলাদেশ প্রতিদিন"পত্রিকা বর্জ্যন করি এবং বছরে ৮টাকা দর কেজি কিনে টয়লেট টিস্যু হিসেবে ব্যবহার করি।

Thursday, August 14, 2014

হুমায়ন আঝাদ ষাড়কে মারিয়া ফেলি কি ফায়দা হৈল ?

hasandublog_1267469459_1-Humayun.jpg হুমায়ন ষাড়ে মেয়ে মলি আপায় কৈসে হুমায়ন ষাড় ভায়াগ্রা খাই মরি গেসে অতচ কতাটা ভূয়া ! পিরাণের প্রিয় হুমায়ন আঝাদ ষাড়কে মারি ফেলা হৈসে । মৌলবাদী মসুলমানগুলা হেতেরে মারিয়ালাইসে ! আহ্!ষাড়ের খতা মনে ফরি গেলু চক্ষু দিয়া খালি ফানি ফরিতাসে খি কৈতাম সব বুলি গেসি ! ষাড়ের যৌনশিক্ষা বই গুলার খতাই বেশি মনে ফরতাসে ।

Monday, July 21, 2014

এলিয়েন বলতে কিছুই নেই

দৃশ্যপট→১ _______ বিজ্ঞানীরা বহুদিন যাবত্‍ পৃথিবীতে তাদের আবিষ্কার দিয়ে রাজত্ব করে যাচ্ছেন!থিওরির জনক হচ্ছেন। জ্ঞান বিজ্ঞানে মানুষকে উচ্চস্তরের করে তুলছে। তারা যেমন রোগ নিরাময় ঔষধ আবিষ্কার করছেন ঠিক তেমনি ব্যবসা করার জন্য আবার বড় বড় প্রাণঘাতি রোগ ও মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন। আপনারা জানলে আশ্চর্য হবেন যে HIV ভাইরাসটিও বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার! আর এটি ছিল বানরের রোগ আর এই বানরের ভাইরাসটি তারা ভ্যাকসিনের মাধ্যমে আফ্রিকা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছিল।আর এর মূল কারন ছিল কালোদের প্রতি সাদা চামড়ার বিদ্বেষ। আফ্রিকান ঐ শিশুদের ভেতর ঐ রোগ ছড়িয়ে দেওয়ার আরো একটি কারন হল "ব্যবসা"! HIV ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যমে বিজ্ঞানীদের কি ব্যবসা ছিল তা এই প্রবন্ধের শেষের দিকে আলোচনা করা হবে। হ্যা যা বলছিলাম,বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর বুকে বহু কিছু আবিষ্কার করেছেন,বহু থিওরির জনক হয়েছেন ,এক কথায় পৃথিবীটাকে মানুষের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছেন। মানুষ এখন আকাশে পাড়ি জমায়,বিমানে মেঘের দেশে ভেসে বেড়ায়,চাঁদে উঠে ,এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের খবর নেয় ,ইন্টারনেট এসে পৃথিবীটাকে আরো সহজ করে দিয়েছে।এই আমি যে যন্ত্রটা দিয়ে প্রবন্ধটা লিখছি এটাও কিন্তু একজন বিজ্ঞানীরই অবদান!রোবট,মোবাইল,কম্পিউটার ,ল্যাপটপ,প্রিন্ট মেশিন,ফ্রিজ ,টিভি,স্যাটেলাইট,বেতার,পরমানু শক্তি যা বলেন সবই তো বিজ্ঞানীরাই আমাদের উপহার দিয়েছেন। *বিজ্ঞানীরা যেমন পৃথিবীটাকে মানুষের হাতের মুঠোয় করে দিয়েছেন,মানুষের পরিপূর্ণ জ্ঞানঅর্জনে সাহায্য করেছেন ঠিক তদ্রুপ মানুষকে বোকা বানিয়েছেন!হ্যা সেটা এলিয়েন! এলিয়েনে বিশ্বাস আমাদের তরুণ প্রজন্মের ছেলেদের মাথায় এমন ভাবে গেঁথেছেন যে তা আর উপড়ে ফেলা সম্ভব নও। আদতে এলিয়েন বলতে কিছু এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে নাই।যে গুলো বিজ্ঞানীরা এলিয়েন নামে অভিহিত করছে ওগুলো আসলে জ্বীন।
→এখন আপনি বলতে পারেন,তোমার একথার যৌক্তিকতা কি? কিন্তু আপনার মনে কখনো এ প্রশ্ন আসবেনা, বিজ্ঞানীরা যে এলিয়েনের কথা বলছে তা কি আদতেই সত্য? →বিজ্ঞানীরা যে ফ্লায়িং সসার গুলোর কথা বলছে সেটা কি সত্যিই নাকি গুজব? →বিজ্ঞানীরা যে মঙ্গল গ্রহে ইদুর দেখেছে সেটা কি সত্যিই?
না আপনি সে কথা নিজেকে একটিবারের জন্য ও প্রশ্ন করেনি। কেন করেননি? উত্তর একটাই আপনি বিজ্ঞানীদের প্রতি অন্ধ বিশ্বাসী ।আর আপনার এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই বিজ্ঞানীরা আপনাকে বোকা বানাচ্ছে! *অনেক দিন আগে আমারব্লগ.কম এ একটি প্রবন্ধ পড়েছিলাম। যেখানে লেখক বলেছেন,হাজার হাজার বছর আগে এলিয়েনরা পৃথিবীতে আসত এবং মানুষকে বোকা বানিয়ে তাদের ঈশ্বর সাজতেন।মাঝে মাঝে এলিয়েনের রাজা বাদশাহ্রা তাদের দূত কে পাঠাতেন যাদের কিনা মানুষ ফেরেশতা ভাবতেন।আর মানুষকে তারাই বলে দিতেন যে সৃষ্টিকর্তা উপরে থাকেন,তাইতো মসজিদ মন্দিরগুলোর উপরের দিকে মিনার তৈরী। »আসলে লেখকের যে মাথায় গণ্ডগোল আছে তা তার প্রবন্ধ বলে দেয়!কেননা প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ ইমারত গুলো উর্ধ্বমুখি ভাবে বানানো হতো রোদ বৃষ্টি থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য।আর মিনারগুলো তৈরী করা হতো ইমারতের সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে তোলার জন্য। বর্তমানে যে ইমারত গুলো বানানো হয় তাও কিন্তু উর্ধ্বমুখি।বর্তমানের মানুষগুলো কিন্তু জ্ঞানী তারা কিন্তু এলিয়েনের কথায় ইমারত উর্ধ্বমুখি বানায়। আর যাদের লেখক এলিয়েন বলেছেন তারা কিন্তু এলিয়েন নও তারা ছিল দুষ্টু জ্বীন যারা কিনা প্যাগানদের ধোঁকা দিয়ে মূর্তিপূজা করাতো! বর্তমানে হিন্দুধর্মাবলম্বীরা এখনো ঐ মৃত জ্বীনদেরই পূজা করে। আপনি জ্বীন জাতীর ইতিহাস পড়লে জানবেন যে বর্তমান বিজ্ঞানীরা এলিয়েনদের যে চেহারার বর্ণনা দিচ্ছেন তার সাথে ঐ দুষ্টু জ্বীনদের চেহারার সাদৃশ আছে। ঐ দুষ্টু জ্বীনরা একেকটা ছিল একেক রকম,কোনটা লম্বাটে অথবা বড় মাথার,কোনটা মানুষ অথবা কুমির আকৃতির আবার কোনটা ছিল হাতির মত শূর ওয়ালা। আসুন এক নজরে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত এলিয়েনদের সম্বন্ধে কিছু জেনে নিই, বিজ্ঞানীদের মতে এলিয়েনস ৩ প্রকার এবং ৩ চেহারার যথা, alion5.jpg ১/গ্রে এলিয়েন।(দেখতে অনেকটা গুইসাপের মতো,পিঠে খাঁজ কাঁটা খাঁজ কাঁটা আছে,বিজ্ঞানীদের দাবী এরা মানুষের ক্ষতি করে,এরা নাকি মানুষ গুম ও করে! alion5.jpg ২/র্য্যাপ্টিলিয়ানস এলিয়েন।(দেখতে অনেকটা ধাতব বাক্সের মতো অথবা মাথাটা রোবটের মতো।বিজ্ঞানীদের দাবী এরাও মানুষকে গুম করে mozaddid_117722491951cb3b514a6541.241994 ৩/হ্যিউম্যান টাইপ।(দেখতে ঠিক মানুষের মতো তবে বিজ্ঞানীদের দাবী এরা মানুষের থেকে অনেক ফর্সা হয়ে থাকে এবং এরাই নাকি একমাত্র এলিয়েন যারা মানুষের কোন ক্ষতি করেনা।) জেনে নিলেন তো তো এলিয়েনদের সম্বন্ধে কিছুটা? ছোট বেলায় আমি আবার ঠাকুর মার ঝুলি দেখতে পছন্দ করতাম। শাকচুন্নির একটা গল্প ছিল যেটা দেখে আমি ভয় পেতাম প্রচুর! শাকচুন্নির প্রতি আমার এমন বিশ্বাস জন্মেছিল যেটা ক্লাশ এইট পর্যন্ত কাজ করেছে মাথায়। পরে যখন মাথায় একটু জ্ঞানবুদ্ধি হলো তখন নিজের প্রতি একটু লজ্জা হল আমার হায় হায় কল্পনার গল্পটা কিভাবেইনা আমার মাথায় এঁটে ছিল !এখনো হাসি পায় আমার সে কথা মনে পরলে। এলিয়েন বিশ্বাসটাও তদ্রুপ একবার মাথায় ঢুকে গেলে আর রক্ষে নেই।আপনার হাজার কিলোর মগজটাকে ধোলাই করে ছেড়ে দিবে তাতে কোন ভূল নেই। আর যদি এটাকে মাথা থেকে ঝাটা মেরে ফেলে দিতে পারেন তবে পাবেন রক্ষা। নিজে নিজেকে মুক্ত চিন্তার ধারক বাহক ভাবেন আবার নিজেই মনে মনে বিজ্ঞানীদের তৈরী এলিয়েনের উপর পূর্ণ অন্ধবিশ্বাস রাখেন তো আপনাকে কি আমি মুক্ত চিন্তার ভাবতে পারি? না কখনোই না। বিজ্ঞানীদের দাবী তারা মহাকাশে এলিয়েন জান ইউ এফ ও (UFO)দেখেছেন যাতে তাদের এলিয়েনদের প্রতি পূর্ণ আস্থা এসেছেন! (বিজ্ঞানীদের ছবিগুলোতে UFO দেখতে মেঘের মতো তবে লালচে) চলবে.....

Sunday, July 13, 2014

এলিয়েন কি সত্যিই আছে?

আমাদের দেশের এলিয়েন মনষ্কা ভাই বোনরা এই পোস্টটি মাথা ঠান্ডা করে পড়ুন।আর ভাবুন আমরা এলিয়েন বিশ্বাস করি কিসের ভিত্তিতে।আসলে এলিয়েন বলতে কিছু কি আছে নাকি পুরোটাই ভাওতাবাজি। এলায়েন বিজ্ঞানীরা নিজেদের মত করে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে নাতো? আল্লাহ পাক রাব্বুল আলআমিন দুনিয়াতে ১৮হাজার মাখলুকাত বানিয়েছেন তার ভিতরে মানুষই শ্রেষ্ঠ।কিন্তু বর্তমান কিছু বিজ্ঞান মহল এমন একটা উদ্ভট জিনিস নিয়ে নাড়াচাড়া দিয়েছেন যেটা মানলে ধর্মকে ছাড়তে হবে:-@।কিছু কিছু বিজ্ঞান মনষ্কা ছেলে মেয়েরা তো মেনেই নিয়েছে :-> ! ¤সেটা হল এলিয়েন বা ভিনগ্রহবাসী!বিজ্ঞানীদের দাবী এলিয়েন আছে এবং থাকবে,অথচ এলিয়েন যে আছে তার কোন প্রমাণ বা রেফারেন্স বিজ্ঞানীরা দিতে পারেনি।বিজ্ঞানীরা দাবী করে এলিয়েন মোট ৩ প্রকার।যথাঃ alion5.jpg ১/গ্রে এলিয়েন।(দেখতে অনেকটা গুইসাপের মতো,পিঠে খাঁজ কাঁটা খাঁজ কাঁটা আছে,বিজ্ঞানীদের দাবী এরা মানুষের ক্ষতি করে,এরা নাকি মানুষ গুম ও করে!:-P) ২/র্য্যাপ্টিলিয়ানস এলিয়েন।(দেখতে অনেকটা ধাতব বাক্সের মতো অথবা মাথাটা রোবটের মতো।বিজ্ঞানীদের দাবী এরাও মানুষকে গুম করে:'() mozaddid_117722491951cb3b514a6541.241994 ৩/হ্যিউম্যান টাইপ।(দেখতে ঠিক মানুষের মতো তবে বিজ্ঞানীদের দাবী এরা মানুষের থেকে ফর্সা হয়ে থাকে এবং এরাই নাকি একমাত্র এলিয়েন যারা মানুষের কোন ক্ষতি করেনা:-D)এদের মধ্যে নাকি একেকটা একেক রকম।কোনটা বাক্সের মতো:-Oকোনটা কুমিরের মতো:-Pআবার কোনটা নাকি মানুষের মতো%-)! এরা নাকি সসারে(বিজ্ঞানীদের দাবী সসার এলিয়েনের উড়োজাহাজ)করে পৃথিবীতে আসে। বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের(গোবর পঁচা বিজ্ঞানী) নাম তো নিশ্চই সবাই শুনেছেন,ইনি দাবী করেন এলিয়েন আছে কিন্তু তা আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।আজো অনেক মানুষ এলিয়েনে বিশ্বাসী অথচ এলিয়েন যে আছে তার কোন উপযুক্ত প্রমাণাতি বিজ্ঞান মহল দিতে পারিনি!তারা বলেন যে মহাকাশের গ্রহ নক্ষত্রের মতোই সত্য যে এলিয়েন আছে কিন্তু আমরা দেখিনাই। এই এলিয়েনই মানুষের মনে একটি ভ্রান্তির সৃষ্টি করে হাজার হাজার মানুষকে ধর্মচ্যুত্‍ করেছে:-(! অনেকে বলছেন যে তারা এলিয়েন নিজ চোখে দেখেছেন!এবং সসার ও দেখেছেন!কোথায় দেখেছেন,কি করে দেখেছেন তার কোন প্রমাণ ও অনেকের কাছে নেই।এ যেন মামু বাড়ির আব্দার যে আপনি বল্লেন আমি বাংলাদেশে হীরার ক্ষনি পেয়েছি,আর আমি তা বিশ্বাস করব। বিজ্ঞানীরা এড়িয়া ৫৬এর কিছু প্রাণী কেও এলিয়েন বলে।আবার নতুন সৃষ্ট হওয়া কিছু প্রাণীকেও এলিয়েন বলে ফেলে!কয়েক বছর পর দেখা যাবে যে একটা ছেলের মাথা বড় হলেও তারা বলে ফেলবে যে এটা এলিয়েনB-)! বিজ্ঞান মানুষকে যতটাই না শান্তি দিয়েছে ততটা করে তুলেছে মানুষকে অবিশ্বাসী।এমন কিছু আছে যা তাদের এখনো ধরা ছোঁয়ার একদম বাহিরে কিন্তু তবুও তারা প্রচার করে বেড়ায় যে এটা আমরা পেরেছি।এইতো মাত্র কয়েক দিন আগে একদল বিজ্ঞানীরা প্রকাশ করল যে তারা মঙ্গলগ্রহের ইদুর তাদের ক্যামেরায় উঠিয়েছেন।কিন্তু পরে আরেকদল বিজ্ঞানীরা নিরিক্ষন করে দেখল যে ওটা ছিল সাদা দুইটা পাথরের টুকরা:-P! প্রিয় পাঠক,বিজ্ঞানীদের সকল কথাই যে সত্য হবে এইটা ভাবাও অযৌক্তিক ভাবা।আর বিজ্ঞানীদের দ্বারাই যে সব সম্ভব সেইটা ভাবা তো বোকামি।কারন তারা এখন পর্যন্ত দেহে প্রাণ দিতে পারেনি,সাগরের তলায় যেতে পারেনি,আকাশের ওপরে উঠতে পারেনি,সমুদ্রের ওপারে যেতে পারেনি।আরো অনেক কিছুই বিজ্ঞানীদের আওতার বাইরে।আর যা যা তারা তৈরী করেছে তাতে প্রাকৃতিক সম্পদ তাদের লেগেছে।প্রাকৃতিক সম্পদ ছাড়া নিজেদের অভিজ্ঞতায় কিছুই সম্ভব হয়নি বিজ্ঞানীদের দ্বারা । অতএব এলিয়েন তত্ত্ব ও যে বিজ্ঞানীদের ভ্রান্ত ধারনা এর উত্তম প্রমাণ মিলেনি যে এলিয়েন কি আদৌ আছে নাকি রুপকথার গল্প? এলিয়েন কি সত্যিই আছে?শেষ পর্ব এলিয়েন কি সত্যিই আছে?১ম পর্ব পড়ুন (বানানগত ভুল ভুল ) এলিয়েনদের নিয়ে কত্ত চিন্তা বিজ্ঞানীদের:-|!এলিয়েনরা কেন আসে পৃথিবীতে?কি খায়?কি রকম শ্বাসকার্য চালায়? ইত্যাদি বিভিন্ন চিন্তা বিজ্ঞানীদের মাথায় অলটাইম ঘুরপাক খায়।বিজ্ঞানীদের মতে এলিয়েনরা কিছুই খায়না,আর তারা পৃথিবীকে ভালভাবে ভিজিট করতে পৃথিবীতে আসে।আর তারা সব আবহাওয়াতেই থাকতে পারে।সবরকম গ্যাসেই তারা বাঁচতে পারে,সেটা অক্সিজেন হোক,নাইট্রোজেন হোক আর বিষাক্ত গ্যাস কার্বনডাই অক্সাইড ই হোক:-/! alion5.jpg বিজ্ঞানীদের দাবী যে,এলিয়েনরা বুদ্ধিতে মানুষের থেকে সেরা,অথচ আল্লাহ পাক রব্বুল আলআমিন মানুষকেই সৃষ্টির সেরা জীব বলেছে অর্থাত্‍ আশ্রাফুল মাখলুকাত।আচ্ছা বিজ্ঞানীদের সবকিছুই মানতে হবে এটা কি কোন ইতিহাসের পাতায় আছে নাকি?অথবা কোন আইন পাশ করা আছে নাকি? বিজ্ঞানীদের দেয়া সকল তথ্য সঠিক নয় এর অনেক প্রমাণ আছে। বিজ্ঞানীদের সকল কথা যে সত্য নয় এর একটা প্রমাণ নিম্নে দিলাম •বিজ্ঞানীরা ৯০দশকে একবার বলেছিল যে "আর কয়েক মাস পর পৃথিবী ধ্বংস হবে"।কিন্তু তার পর ১শতক পার হয়ে গেল পৃথিবী কিন্তু ধ্বংস হয়নি বরংচ আরো উন্নত হয়েছে। তাই আমরা বলতে পারি যে বিজ্ঞানীদের সকল তথ্য সত্য নয় অতএব বিজ্ঞানীরা যে বলেছে এলিয়েন মানুষ থেকেও বুদ্ধিমান এটাও আমরা মানতে পারিনা এবং মানবোও না। বিজ্ঞানীদের দাবী কিছু কিছু এলিয়েন দেখতে কুমিরের মতো:-O! ছোট বেলায় একটা রুপকথার গল্প শুনেছিলুম যে রাক্ষসগুলো দেখতে নাকি ভয়াল ছিলো!দাঁতগুলো ইয়াবড় বড়!মাথার দু পাশে শিং,রক্তবর্ণ চোখ!ছোট বেলায় কতই না ভয় পেতাম!রাত্রে প্রসাব করতেও নামতাম না! পরে যখন বড় হলাম তখন জানতে পারলাম যে ঐ গুলা রুপকথার গল্প,আদিকালের গল্পকাররা এগুলো লিখে গিয়েছে। বর্তমান বিজ্ঞানীরাও তেমন আদিকালের গল্পকার হয়ে গেছে,যত্তসব উদ্ভট গল্প এরা বলে যাচ্ছে আর বিজ্ঞানমনষ্কা ছাত্রগুলোও বিজ্ঞানীদের এলিয়েন গল্পগুলো বিশ্বাস করে ধর্ম থেকে দূরে চলে যাচ্ছে!আবার এই ছেলেমেয়ে গুলোই নিজেদের মুক্তবুদ্ধির ধারকবাহক হিসেবে দাবী করছে:->! আসল কথা হলো বর্তমান বিজ্ঞানীরা পুরো পৃথিবীকেই ধর্মমুক্ত বানাতে চাচ্ছে যাতে করে তারা পুরো পৃথিবীতে প্রভুত্ব চালাতে পারে!আর আমাদের বর্তমান বিজ্ঞানে অজ্ঞান ছেলে মেয়েগুলো এটা না বুঝেই বিজ্ঞানীর কথাগুলো চোখ বুজে বিশ্বাস করে নিচ্ছে। পুরো পৃথিবীর ৭৫পার্সেন্ট লোক বিজ্ঞানীদের ফাঁদে পড়ে এলিয়েনে বিশ্বাস করে! অথচ বড় বড় বিজ্ঞানীরা বলেছে,আমরা যেটা নিজ চোখে না দেখি তাকে বিশ্বাস করিনা যেমন,এলিয়েন:-)। অনেক বিজ্ঞানী বলেছেন,আমরা এলিয়েনে মোটেই বিশ্বাসী নও।এলিয়েন ও নেহাত্‍ ড্রাকুলার গল্পের মতো সাজানো গপ্প,আমরা এলিয়েন নিয়ে মাথা ঘামাইনা আমরা মাথা ঘামাই,কি করে জগত্‍টাকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। সেদিন মেক্সিকোতে একটা খামারে ছোট্ট প্রাণী দেখে এক মহিলা চিত্‍কার করে ওঠে পরে সেটাকে পানিতে চুবিয়ে মেরে ফেলা হয় এর কয়েকদিন পর ঐ মহিলা অটোমেটিকলি গাড়িতে আগুন লেগে মরে যায়।বিজ্ঞানীরা দাবী করেছে যে ঐটা এলিয়েন ছিল এবং বাচ্চাকে মেরে ফেলার কারনে ও প্রতিশোধ নিয়েছে।অথচ আমরা জানি যে একমাত্র জ্বীন জাতীই তার বাচ্চাকে মেরে ফেল্লে প্রতিশোধ নেয়।আর বিজ্ঞানীরা বলেন যে এলিয়েন আগুনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে!তাইলে বিজ্ঞানীদের তত্ত্ব অনুযায়ীই বলা যায় উক্ত কাজটা কোন এলিয়েনের ছিল না বরংচ এটা জ্বীনের কারসাজি ছিল। mozaddid_117722491951cb3b514a6541.241994 •এ ঘটনাটা থেকে কিছুটা হলেও বোঝা যায় যে বিজ্ঞানীরা আসলে যাদের কে এলিয়েন বলে ওগুলো আসলে জ্বীনজাতী ও গুলো এলিয়ন নয়।এলিয়েন বলতে কিছু এ ধরায় নাই। কয়েকদিন আগে গুগল ম্যাপে এলিয়েনদের যান অর্থাত্‍ সসার ধরা পরেছে বলে একটি সোরগোল সৃষ্টি হয়েছে।কিন্তু বিজ্ঞানীরা খতিয়ে দেখেছে ওগুলো সসার ছিলোনা ছিল মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির পথের কিছু চিহ্ন অথবা গ্রাবলওবিটিশন। এই লেখাটি pdf আকারে ডাউনলোড করুন

Monday, July 7, 2014

কোন মুসলিম কি হিন্দু ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ পারে?

ছবি আসলে হিন্দু ধর্ম কি কোন ধর্ম? না হিন্দু ধর্ম কোন ধর্মের ভিতরই পরে না এরা বিশেষ একটি উগ্র উপজাত! এদের প্রাচীন নাম আর্য্য। আর্য্যরা ছিল মূর্তি পূজারী।কথিত আছে যে এরা শয়তানের ধোঁকায় পরে দুষ্টু জ্বীন পূজা করা শুরু করে যা কিনা প্যাগানরাও করত!এর পরে তারা শুরু করে ঐ দুষ্টু জ্বীনদের প্রতিচ্ছবি পূজা অর্থাত্‍ তাদের মূর্তি বানিয়ে পূজা করা শুরু করে যা কিনা তাদের পূজার হাজার হাজার বছর আগে মারা গেছে। শিব,লক্ষী,গনেশ এদের মূর্তির পিছনে লুকিয়ে আছে একেকটা মৃত জ্বীন যা কিনা হাজার হাজার বছর আগে মারা গেছে [তথ্য সূত্র]।হিন্দুদের মৃত জ্বীন পূজারী বল্লে আপনি ভুল করবেননা। এখন কথা হল এই মৃত জ্বীনদের পূজা যারা করে তাদের ধর্মের প্রতি কি যেনে শুনে কোন মুসলমানরা আকৃষ্ট হতে পারে? অবশ্যই না। কিন্তু ফেসবুকে একটি হিন্দুত্ববাদী পেজ দাবী করেছে নাজমুল নামের একটি মুসলিম ছেলে নাকি এই মৃত জ্বীন পূজারী ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছে।এবং তার নাম রেখেছে 'পিন্টু রায়' [তথ্য সূত্র:জাগো বাংলার হিন্দু]। তাদের দাবী যে ,হিন্দু ধর্ম এমনই একটি ধর্ম যার ধর্মগ্রন্থ পড়লে যে কেউ আকৃষ্ট হবে তাদের ধর্মের প্রতি। হিন্দু ধর্ম যে কতটা মিথ্যা এবং বোকাদের তা আমি আলোচনা করেছি এই পাঁচটি পর্বেঃ •হেঁদু সমাচার ১ম পত্রহেঁদু সমাচার ২য় পত্রহেঁদু সমাচার ৩য় পত্রহেঁদু সমাচার ৪র্থ পত্রহেঁদু সমাচার শেষ পত্র। যারা প্রচার করেছে মুসলিম ছেলে হিন্দু হয়েছে আমি তাদের চ্যালেঞ্ছ ছুড়ে দিয়েছিলাম , তারা যে নিউজ দিয়েছে সে নিউজটা ১০০% ভূয়া। প্রমাণ:— •তারা যে খবরটা দিয়েছে খবরটা কোথা থেকে তারা পেয়েছে অর্থাত্‍ কোন তথ্যসূত্র/নিউজ লিঙ্ক নেই। •ঘটনাটা কোথায় ঘটেছে স্থান কোথায় তা দেয়া নাই। •নাজমুল ছেলেটা হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করার পর তার নাম হয়েছে নাকি পিন্টু রায়।আচ্ছা ভাই [রায়]তো একটা বংশের নাম।হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করলেই তো আর রায় হওয়া যায়না।তো ছেলেটা তো আগে কখনো হিন্দু ছিলনা তাইলে সে রায় উপাধিটা কোথায় পেলো? নাকি হিন্দু হওয়ার পরই বংশ উপাধি রায় হয়ে যায়? পাঠক আপনারাই বলেন যে নিউজের কোন তথ্যসূত্র নাই সেই খবরটা সত্য হয় কেমনে? অনেক হিন্দু মুসলিম হয় কিন্তু কোন মুসলিম হিন্দু হয়না। মুসলিম থেকে অনেকে ধর্মহীন হয় কিন্তু হিন্দু,বৌদ্ধ ,খ্রীষ্টান কিংবা ইহুদি হয়েছে কিনা তা আমার জানা নাই। হিন্দু থেকে মুসলমান হয়েছে এমন বহু তথ্য আমার কাছে আছে। এখানে একটা ঘটনা তুলে দিলামঃ ২০০৭ এ কোলকাতায় শিবছাগুদের হুটোপুটিতে মাওলানা আব্দুল খালেককে ভারতের কারাগারে বন্দি করা হল ইসলামের পক্ষে এবং হিন্দুধর্মের বিপক্ষে বলায়! পানির তৃষ্ঞায় মাওলানা পানি পানি করলেও ভারতী কুত্তাগুলো ১ফোঁটা পানি মাওলানাকে দেয়না! অনেকক্ষন পর ১গ্লাস ঠান্ডা পানি তাকে দেখিয়ে পানির গ্লাশটা মাটিতে ছেড়ে দেয়।পানি খাওয়া তার আর হয়না। ক্ষুধা নিবারনের জন্য ১পিস রুটি জেলের মধ্যে ধুলির উপর নিক্ষেপ করা হয়। তাকে আদালতে আনা হলে তাকে প্রমাণ করতে বলা হয় যে বেদের মধ্যে কোথায় আছে ইসলামের কথা? মাওলানা আঃ খালেক বল্লেন জনাব,বেদে আছেঃ একং ব্রহ্মং স্রষ্ঠং নে নাস্সিং কে কিংটং। অর্থাত্,ঐ সৃষ্টি কর্তাকে সেজদা কর যার কোন শরীক নেই,যাকে দুনিয়ার চক্ষু দিয়ে দেখা চাইলে অন্ধ হয়ে যায়। তখন মাওলানা বল্ল জনাব,আপনারা তো দূর্গাকে দেখে দেখে,কালিকে দেখে দেখে পূজা দেন!লক্ষিকে দেখে দেখে পূজা দেন!কোন দিন কি আপনাদের ভগবানকে দেখতে গিয়ে চোখ অন্ধ হয়েছে? তারা বল্লেন,না তাতো হয়নি!তখন মাওলানা বল্লেন জনাব,তাহলেতো এ দলিল তো আপনাদের ভগবানের না!এই দলিল তো মুসলিমদের দলিল। তখন বিচারক বল্ল আঃ খালেক তাহলে আপনাদের দলিলের প্রমাণ কি?আঃ খালেক বিবৃতি দিতে লাগলেনঃমূসা আঃ বল্লেনঃ রব্বি আরনি,খোদা তোমায় দেখতে চাই! আল্লাহ বলছেন,লান তারানি,সম্ভব না! মূসা নবী শোনেনা।আল্লাহ তাকে দাওয়াত দিলেন তূর পাহাড়ে। আল্লাহ তাকে দেখা দেয়ার জন্য প্রথম পর্দা খুললে মূসা নবী বেহুশ হয়ে পরে যায় তূর পাহাড় ছাড়খাড় হয়ে যায়! তাহলে এতেই কি প্রমাণ হয়না ঐ তত্ত্ব মুসলিমদের? এই তত্ত্ব যখন দেয়াহয় ঐ মহলের বিচারক সহ ৩৭জন ইসলাম গ্রহণ করেন![তথ্য সূত্র] আমি যতটা খবর জানি এবং দেখেছি তার মধ্যে আজকের এই মুসলিম ছেলে হিন্দু হয়েছে খবরটা আজগুবি।তারা মিথ্যা দিয়ে ধর্মকে বড় বানাচ্ছে।আর বানাবেই বা না কেন,তাদের ধর্মই তো মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত। মিথ্যা খবর প্রচার করে কি হিন্দু ধর্মকে ইসলাম ধর্মের উপরে কখনোই মালাউনরা।ইসলামের সফলতা দেখে মালাউনরা শুধু ঈর্ষার আগুনেই পুড়ে যাবে,কখনো ইসলামের চেয়ে শ্রেষ্ঠ হতে পারবেনা। আমি সকল হিন্দুদের বলছি,হে ভাই আর কতদিন প্যাগানদের মতো মাটি মূর্তির পূজা করবে যার সৃষ্টি কর্তা তুমি? হে ভাই ফিরে আসো,তোমার জন্য এখনো অপেক্ষা করছে ইসলাম।হাত মিলাও সেই মুসলিমের সাথে যাদের সৃষ্টিকর্তা ১ ও অদ্বিতীয় যার কোন শরীক নাই। পড়,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মাদুর রসুলুল্লাহ(সঃ)। একবার কালিমা পড়ে দেখ,তুমি পাবে মুক্তি,তোমার জন্য অপেক্ষা করছে চীর শান্তিময় স্থান জান্নাত!

Saturday, July 5, 2014

সৃষ্টিকর্তা বলে কি কেউ আসলেই আছে?

Question_mark_(black_on_white).png সৃষ্টিকর্তা বলে কি আদৌ কেউ কি আছে এই বিশ্বব্রহ্মান্ডে? নাকি সৃষ্টিকর্তা মানুষের বানানো কোন স্বত্ত্বা? মহামতি স্টিফেন হকিং তার একটি বইতে লিখেছেন,সৃষ্টিকর্তাহীন এই পৃথিবী।পৃথিবীতে কোন সৃষ্টিকর্তা থাকতে পারেনা। -হকিং.jpg আসলে স্টিফেন হকিং যে প্রমাণগুচ্ছ পেশ করছে তা ঠাকুরমার ঝুলিকে ছাড়িয়ে গেছে তা আমাদের শফিউর রহমান ফারাবী তার এই নোটটিতে প্রমাণ করেছে।দেখুন এই নোটটিতে →বিজ্ঞান যুক্তিবাদ নাস্তিক্যতাবাদ ও ইসলাম এখন আপনি কোনটার প্রতি ঈমান আনবেন।← স্টিফেন হকিং মতে সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ নাই। আচ্ছা তাইলে একটা প্রশ্ন প্রথমেই করা দরকার,একটা মেশিন কি একজন নিয়ন্ত্রক ছাড়া চলতে পারে? অবশ্যই না।একটি মেশিন চলতে হলে অবশ্যই একজন মানুষ চালক অথবা একটি রোবট অথবা একটি রিমোর্ট কন্ট্রোল দরকার।মোটকথা একটি মেশিন চলতে হলে একটি কন্ট্রোলারের দরকারই।কন্ট্রোলার না থাকলে মেশিন কোন ভাবেই চলবেনা ১০০% পরীক্ষিত। আচ্ছা একটা সামান্য মেশিন চালাতে যদি কন্ট্রোলারের দরকার কন্ট্রোলার ছাড়া মেশিন তো চলেনা তাইলে এই বিশাল পৃথিবীটা কি কন্ট্রোলার ছাড়া কিভাবে চলতে পারে? কখনোই একজন কন্ট্রোলার ছাড়া যেমন একটি কম্পিউটার,মেশিন অথবা অন্যান্য মেশিনারীজ চলতে পারেনা তেমনি একজন সৃষ্টিকর্তা ছাড়া এই পৃথিবী চলতে পারেনা। Creator of the universe can not go without.Such a machine can not be turned on without the driver.Except as obsolete as a machine operator can run the universe without a Creator. এখন স্টিফেন হকিংয়ের কথায় যেই নাস্তিকগুলা যে লাফায় তারা কিন্তু অন্ধবিশ্বাসী।অথচ এই নাস্তিকরা দাবী করে তারা মুক্তচিন্তার।তারা আমাদের অন্ধ বলে,তারা বলে আমরা ধর্মে অন্ধ হয়ে আছি অথচ ঐ নাস্তিক গুলোও কিন্তু স্টিফেন হকিংয়ে অন্ধ হয়ে আছে। স্টিফেন হকিং এর তত্ত্ব মতে ,এই পৃথিবীর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই,পৃথিবী এমনিই এমনিই সৃষ্ট,মৃত্যুর পরে পরকাল বলতে কিছু নাই! আমি আগেই বলেছি Creator of the universe can not go without. Such a machine can not be turned on without the driver. Except as obsolete as a machine operator can run the universe without a Creator. মেশিন যেমন তার চালক ছাড়া অচল তেমনি সৃষ্টিকর্তা ছাড়াও পৃথিবী অচল। এখন আমি যদি বলি মহামতি স্টিফেন হকিংয়ের সকল আবিষ্কার ভূয়া তাইলে আপনারা আমাকে বলবেন তুমি একটা পাগল।অথচ আপনি বিশ্লেষন করে দেখুন মহামতি স্টিফেন হকিংয়ের ২-৩টা আবিষ্কারই কাল্পনিক। •সৃষ্টিকর্তাহীন পৃথিবী। •এলিয়েন তত্ত্ব। •উল্কপিন্ড থেকে পৃথিবীর প্রাণ সঞ্চার। মহামতি স্টিফেন হকিং কিন্তু রসায়ন নিয়া ঘাটাঘাটি করে ,তিনি রসায়নবীদ হয়ে কেমনে সৃষ্টিকর্তা নিয়ে ঘাটাঘাটি করে এইটা কিন্তু ভাববার বিষয়। মহামতি হকিং বলেছেন,এলিয়েন আছে,তারা পৃথিবীতে আসে এবং মানুষ তাদের দেখেও ফেলে,কোন কোন এলিয়েন মানুষকে খুন ও করে ফেলে।মাহামতি স্টিফেন হকিং তার এই তত্ত্বের কোন প্রমাণ নাই।পৃথিবীর ৮০%মানুষই বিশ্বাস করেননা পৃথিবীতে এলিয়েন নাই। পৃথিবীতে যো কোন এলিয়েন নাই আমি আমার দুটো সিরিজে প্রমাণ করব। আমি অতিশীঘ্রই এই সিরিজ দুটো প্রকাশ করব। আপনি এ বিষয়ে আমার দুটো Text file পড়তে পারেন।Text file গুলো পড়তে পারবেন Bangla ebook ক্যাটাগরিতে "এলিয়েন কি সত্যিই আছে?"এই শিরোনামে পাবেন। স্টিফেন হকিং য়ের সৃষ্টিকর্তা নেই আমি এই তত্ত্ব বিশ্বাস করার মত নও।বিজ্ঞানী নিউটনের অনেক আবিষ্কার এবং তত্ত্ব আছে যা বর্তমানে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। একদিন সময় আসবে স্টিফেন হকিংয়ের আবিষ্কার ও তত্ত্ব ও ভুল প্রামাণিত হবে। তখনই মানুষ সঠিক ভাবে বুঝবে আসলে এই বিশ্বব্রহ্মান্ডে সৃষ্টি বলে কেউ একজন আছেন আর তিনি হলেন আল্লাহ্। যা আমরা এখন বলে যাচ্ছি এবং লিখে যাচ্ছি তা হাজার বছর পর হয়ত বিজ্ঞানীরাও বলবে, Creator of the universe can not go without. Such a machine can not be turned on without the driver. Except as obsolete as a machine operator can run the universe without a Creator.

Monday, June 16, 2014

রোহিঙ্গা ইতিহাস:

(সূত্র;wikipedia) রোহিঙ্গা রোহিঙ্গা আদিবাসী জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যা ১,৪২৪,০০০ উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চলসমূহ বার্মা ( আরাকান ), বাংলাদেশ , মালয়শিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব , থাইল্যান্ড, ভারত বার্মা ৮০০,০০০ [১][২] বাংলাদেশ ৩০০,০০০ [৩] পাকিস্তান ২০০,০০০ [৪][৫][৬] থাইল্যান্ড ১০০,০০০ [৭] Malaysia ২৪,০০০ [৮] ভাষাসমূহ রোহিঙ্গা , বার্মিজ ধর্ম ইসলাম রোহিঙ্গা আদিবাসী জনগোষ্ঠী পশ্চিম মায়ানমারের আরাকান রাজ্যের একটি উলেখযোগ্য নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী। এরা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত। রোহিঙ্গাদের আলাদা ভাষা থাকলেও তা অলিখিত। মায়ানমারের আকিয়াব, রেথেডাং, বুথিডাং মংডু, কিয়ক্টাও, মাম্ব্রা, পাত্তরকিল্লা এলাকায় এদের বাস। বর্তমান ২০১২ সালে, প্রায় ৮,০০,০০০ রোহিঙ্গা মায়ানমারে বসবাস করে। মায়ানমার ছাড়াও ৫ লক্ষের অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এবং প্রায় ৫লাখ সৌদিআরবে বাস করে বলে ধারনা করা হয় যারা বিভিন্ন সময় বার্মা সরকারের নির্যাতনের কারণে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘের তথ্যমতে, রোহিঙ্গারা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী। [৯] রোহিঙ্গা কারা? বর্তমান মিয়ানমারের রোহিং (আরাকানের পুরনো নাম) এলাকায় এ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ইতিহাস ও ভূগোল বলছে, রাখাইন প্রদেশের উত্তর অংশে বাঙালি, পার্সিয়ান, তুর্কি, মোগল, আরবীয় ও পাঠানরা বঙ্গোপসাগরের উপকূল বরাবর বসতি স্থাপন করেছে। তাদের কথ্য ভাষায় চট্টগ্রামের স্থানীয় উচ্চারণের প্রভাব রয়েছে। উর্দু, হিন্দি, আরবি শব্দও রয়েছে। রাখাইনে দুটি সম্প্রদায়ের বসবাস ‘মগ’ ও ‘রোহিঙ্গা’। মগরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। মগের মুল্লুক কথাটি বাংলাদেশে পরিচিত। দস্যুবৃত্তির কারণেই এমন নাম হয়েছে ‘মগ’দের। এক সময় তাদের দৌরাত্ম্য ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। মোগলরা তাদের তাড়া করে জঙ্গলে ফেরত পাঠায়। রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে একটি প্রচলিত গল্প রয়েছে এভাবে_ সপ্তম শতাব্দীতে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া একটি জাহাজ থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন উপকূলে আশ্রয় নিয়ে বলেন, আল্লাহর রহমে বেঁচে গেছি। এই রহম থেকেই এসেছে রোহিঙ্গা। তবে,ওখানকার রাজসভার বাংলা সাহিত্যের লেখকরা ঐ রাজ্যকে রোসাং বা রোসাঙ্গ রাজ্য হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তবে ইতিহাস এটা জানায় যে, ১৪৩০ থেকে ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত ২২ হাজার বর্গমাইল আয়তনের রোহিঙ্গা স্বাধীন রাজ্য ছিল। মিয়ানমারের রাজা বোদাওফায়া এ রাজ্য দখল করার পর বৌদ্ধ আধিপত্য শুরু হয়। এক সময়ে ব্রিটিশদের দখলে আসে এ ভূখণ্ড। তখন বড় ধরনের ভুল করে তারা এবং এটা ইচ্ছাকৃত কিনা, সে প্রশ্ন জ্বলন্ত। আমাদের 'প্রাক্তন প্রভুরা' মিয়ানমারের ১৩৯টি জাতিগোষ্ঠীর তালিকা প্রস্তুত করে। কিন্তু তার মধ্যে রোহিঙ্গাদের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এ ধরনের কত যে গোলমাল করে গেছে ব্রিটিশরা! ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি মিয়ানমার স্বাধীনতা অর্জন করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু হয়। সে সময়ে পার্লামেন্টে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। এ জনগোষ্ঠীর কয়েকজন পদস্থ সরকারি দায়িত্বও পালন করেন। কিন্তু ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইন সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলে মিয়ানমারের যাত্রাপথ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে শুরু করে। রোহিঙ্গাদের জন্য শুরু হয় দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়। সামরিক জান্তা তাদের বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে। তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ধর্মীয়ভাবেও অত্যাচার করা হতে থাকে। নামাজ আদায়ে বাধা দেওয়া হয়। হত্যা-ধর্ষণ হয়ে পড়ে নিয়মিত ঘটনা। সম্পত্তি জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়। বাধ্যতামূলক শ্রমে নিয়োজিত করা হতে থাকে। তাদের শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নেই। বিয়ে করার অনুমতি নেই। সন্তান হলে নিবন্ধন নেই। জাতিগত পরিচয় প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না। সংখ্যা যাতে না বাড়ে, সে জন্য আরোপিত হয় একের পর এক বিধিনিষেধ। মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ডের অনেকের কাছেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী 'কালা' নামে পরিচিত। বাঙালিদেরও তারা 'কালা' বলে। ভারতীয়দেরও একই পরিচিতি। এ পরিচয়ে প্রকাশ পায় সীমাহীন ঘৃণা। [১০] ভাষা মূল নিবন্ধ: রোহিঙ্গা ভাষা ১৫৫৪ সালের আরাকানের মুদ্রা যা বৃহত্তর বাংলায় ব্যবহৃত হত মায়ানমারের আরাকান রাজ্যের (রাখাইন) রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আধুনিক লিখিত ভাষাই হল রোহিঙ্গা ভাষা। এটি ইন্দো- ইউরোপীয়ান ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত যার সাথে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার মিল রয়েছে। রোহিঙ্গা গবেষকগণ আরবি, হানিফি, উর্দু, রোমান এবং বার্মিজ স্ক্রীপ্ট ব্যবহার করে সফলতার সাথে রোহিঙ্গা ভাষা লিখতে সক্ষম হয়েছেন। হানিফি হচ্ছে নতন তৈরি করা স্ক্রীপ্ট যা আরবি এবং তার সাথে চারটি বর্ণ (ল্যাটিন এবং বার্মিজ) সংযোগে সৃষ্ট। সম্প্রতি একটি ল্যাটিন স্ক্রীপ্টের উদ্ভাবন হয়েছে যা ২৬টি ইংরেজি বর্ণ এবং অতিরিক্ত ২টি ল্যাটিন বর্ণ, Ç (তাড়নজাত R -এর জন্য) এবং Ñ (নাসিকা ধ্বনি-র জন্য) সংযোগে সৃষ্ট। রোহিঙ্গা ধ্বনি সঠিকভাবে বোঝার জন্য ৫টি স্বরধ্বনি (áéíóú) ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি আই.এস.ও দ্বারা স্বীকৃত।[১১] ইতিহাস অষ্টম শতাব্দীতে আরবদের আগমনের মধ্য দিয়ে আরাকানে মুসলমানদের বসবাস শুরু হয়। আরব বংশোদ্ভূত এই জনগোষ্ঠী মায়্যু সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ( বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের নিকট) চেয়ে মধ্য আরাকানের নিকটবর্তী ম্রক-ইউ এবং কাইয়্যুকতাও শহরতলীতেই বসবাস করতে পছন্দ করতো। এই অঞ্চলের বসবাসরত মুসলিম জনপদই পরবর্তীতে রোহিঙ্গা নামে পরিচিতি লাভ করে। [১২] ম্রক-ইউ রাজ্য ম্রক-ইউ রাজ্যের সম্রাট নারামেখলার (১৪৩০-১৪৩৪) শাসনকালে বাঙ্গালীদের আরাকানের বসবাসের প্রমাণ পাওয়া যায়। ২৪ বছর বাংলায় নির্বাসিত থাকার পরে সম্রাট বাংলার সুলতানের সামরিক সহায়তায় পুনরায় আরাকানের সিংহাসনে আরোহন করতে সক্ষম হন। যে সব বাঙ্গালী সম্রাটের সাথে এসেছিল তারা আরাকানে বসবাস করতে শুরু করে। [১৩][১৪] সম্রাট নারামেখলা বাংলার সুলতানের দেওয়া কিছু অঞ্চল ও আরাকানের ওপর সার্বভৌমত্ব অর্জন করে। সম্রাট নারামেখলা পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং বাংলার প্রতি কৃ্তজ্ঞতা স্বরূপ আরাকানে বাংলার ইসলামী স্বর্ণমূদ্রা চালু করেন। পরবর্তীতে নারামেখলা নতুন মূদ্রা চালু করেন যার একপাশে ছিল বার্মিজ বর্ণ এবং অপরপাশে ছিল ফার্সী বর্ণ। [১৪] বাংলার প্রতি আরাকানের কৃ্তজ্ঞতা ছিল খুবই অল্প সময়ের জন্য। ১৪৩৩ সালে সুলতান জালালুদ্দিন মুহাম্মদ শাহের মৃত্যু হলে সম্রাট নারামেখলার উত্তরাধিকারীরা ১৪৩৭ সালে রামু এবং ১৪৫৯ সালে চট্টগ্রাম দখল করে নেয়। ১৬৬৬ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম আরাকানের দখলে ছিল। [১৫][১৬] বাংলার সুলতানদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পরেও আরাকানের রাজাগণ মুসলিম রীতিনীতি বজায় রেখে চলে।[১৭] বৌদ্ধ রাজাগণ নিজেদেরকে বাংলার সুলতানদের সাথে তুলনা করতো এবং মুঘলদের মতোই জীবন যাপন করতো। তারা মুসলিমদেরকেও রাজদরবারের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিত।[১৮] ১৭ শতকের দিকে আরাকানে বাঙ্গালী মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তারা আরাকানের বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে কাজ করতো। যেহেতু রাজাগণ বৌদ্ধ হওয়ার পরেও বাংলার সুলতানদের রীতিনীতি অনুযায়ীই রাজ্য পরিচালনা করতো, তাই আরাকানের রাজদরবারে বাংলা , ফার্সী এবং আরবি ভাষার হস্তলিপিকরদের মধ্যে অনেকেই ছিল বাঙ্গালী। [১৩] কামেইন বা কামান নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী যারা মায়ানমার সরকারের নৃতাত্ত্বিক জাতিসত্ত্বার মর্যাদা পেয়েছে তারা আরাকানের মুসলিম জনগোষ্ঠীরই একটা অংশ ছিল। [১৯] বার্মিজদের দখল ১৭৮৫ সালে বার্মিজরা আরাকান দখল করে। এর পরে ১৭৯৯ সালে পঁয়ত্রিশ হাজারেরও বেশি মানুষ বার্মিজদের গ্রেফতার এড়াতে এবং আশ্রয়ের নিমিত্তে আরাকান থেকে নিকটবর্তী চট্টগ্রাম অঞ্চলে চলে আসে। [২০] বার্মার শোসকেরা আরাকানের হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে এবং একটা বড় অংশকে আরাকান থেকে বিতাড়িত করে মধ্য বার্মায় পাঠায়। যখন ব্রিটিশরা আরাকান দখল করে তখন যেন এটি ছিল একটি মৃত্যুপূরী।[২১] ১৭৯৯ সালে প্রকাশিত "বার্মা সাম্রাজ্য"তে ব্রিটিশ ফ্রাঞ্চিজ বুচানন-হ্যামিল্টন উল্লেখ করেন, " মুহাম্মদ(সঃ) - এর অনুসারীরা", যারা অনেকদিন ধরে আরাকানে বাস করছে, তাদেরকে "রুইঙ্গা" বা "আরাকানের অধিবাসী" বলা হয়। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন কৃষিকাজের জন্য আরাকানের কম জন অধ্যুষিত এবং উর্বর উপত্যকায় আশপাশের এলাকা থেকে বাঙ্গালী অধিবাসীদের অভিবাসন করার নীতি গ্রহণ করেছিল ব্রিটিশরা। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলাকে আরাকান পর্যন্ত বিস্তৃত করেছিল। আরাকান ও বাংলার মাঝে কোন আন্তর্জাতিক সীমারেখা ছিল না এবং এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে যাওয়ার ব্যাপারে কোন বিধি-নিষেধও ছিল না। ১৯ শতকে, হাজার হাজার বাঙ্গালী কাজের সন্ধানে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে আরাকানে গিয়ে বসতি গড়েছিল। এছাড়াও, হাজার হাজার রাখাইন আরাকান থেকে বাংলায় চলে এসেছিল।[২২][২৩] ১৮৯১ সালে ব্রিটিশদের করা এক আদমশুমারীতে দেখা যায়, আরাকানে তখন ৫৮,২৫৫ জন মুসলমান ছিল। ১৯১১ সালে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৭৮,৬৪৭ জন হয়। [২৪] অভিবাসনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ বাংলার সস্তা শ্রম যা আরাকানের ধান ক্ষেতের কাজে লাগত। বাংলার এই অধিবাসীরা (বেশিরভাগই ছিল চট্টগ্রাম অঞ্চলের) মূলত আরাকানের দক্ষিণেই অভিবাসিত হয়েছিল। এটা নিশ্চিত যে, ভারতের এই অভিবাসন প্রক্রিয়া ছিল পুরো অঞ্চল জুড়ে, শুধু আরাকানেই নয়। ঐতিহাসিক থান্ট মিন্ট-ইউ লিখেছেন: "বিংশ শতাব্দীর শুরুতে, বার্মায় আসা ভারতীয়দের সংখ্যা কোনভাবেই আড়াই লক্ষের কম নয়। এই সংখ্যা ১৯২৭ সাল পর্যন্ত বাড়তেই থাকে এবং অভিবাসীদের সংখ্যা হয় ৪৮০,০০০ জন, রেঙ্গুন নিউ ইয়র্ককেও অতিক্রম করে বিশ্বের বড় অভিবাসন বন্দর হিসেবে। মোট অভিবাসীদের সংখ্যা ছিল প্রায় ১.৩ কোটি (১৩ মিলিয়ন)।" তখন বার্মার রেঙ্গুন, আকিয়াব, বেসিন, প্যাথিন এবং মৌমেইনের মত অধিকাংশ বড় শহরগুলোতে ভারতীয় অভিবাসীরা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ। ব্রিটিশ শাসনে বার্মিজরা অসহায়ত্ব বোধ করত এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামার মাধ্যমে তারা অভিবাসীদের উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করত। [২৫] অভিবাসনের ফলে সংঘাত মূলত আরাকানেই ছিল সবচেয়ে প্রকট। ১৯৩৯ সালে, রোহিঙ্গা মুসলিম ও রাখাইন বৌদ্ধদের মধ্যকার দীর্ঘ শত্রুতার অবসানের জন্য ব্রিটিশ প্রশাসন জেমস ইস্টার এবং তিন তুতের দ্বারা একটি বিশেষ অনুসন্ধান কমিশন গঠন করে। কমিশন অনুসন্ধান শেষে সীমান্ত বন্ধ করার সুপারিশ করে, এর মধ্যে শুরু হয় ২য় বিশ্ব যুদ্ধ এবং এর পরে ব্রিটিশরা আরাকান ছেড়ে চলে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন জাপানীদের দখল মূল নিবন্ধ: রোহিঙ্গা গণহত্যা ১৯৪২ সালের ২৮শে মার্চ, মায়ানমারের মিনবিয়া এবং ম্রক-ইউ শহরে রাখাইন জাতীয়তাবাদী এবং কারেইনপন্থীরা প্রায় ৫,০০০ মুসলমানকে হত্যা করে। ইতোমধ্যে, রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে প্রায় ২০,০০০ মুসলমানকে হত্যা করা হয়। এতে উপ-কমিশনার ইউ য়ু কিয়াও খায়াং-ও নিহত হন যিনি দাঙ্গা নিয়ণ্ত্রনের চেষ্টা করছিলেন।[২৬] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, জাপানীরা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনস্হ বার্মায় আক্রমণ করে। ব্রিটিশ শক্তি পরাজিত হয়ে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যায়। এর ফলে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে। এর মধ্যে বৌদ্ধ রাখাইন এবং মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যকার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছিল উল্লেখযোগ্য। এই সময়ে ব্রিটিশপন্হীদের সাথে বার্মার জাতীয়তাবাদীদেরও সংঘর্ষ হয়। জাপানীদের আক্রমণের সময় উত্তর আরাকানের ব্রিটিশপন্হী অস্ত্রধারী মুসলমানদের দল বাফার জোন সৃষ্টি করে। [২৭] রোহিঙ্গারা যুদ্ধের সময় মিত্রপক্ষকে সমর্থন করেছিল এবং জাপানী শক্তির বিরোধিতা করেছিল, পর্যবেক্ষণে সাহায্য করেছিল মিত্রশক্তিকে। জাপানীরা হাজার হাজার রোহিঙ্গাদের নির্যাতন, ধর্ষণ এবং হত্যা করেছিল। [২৮] এই সময়ে প্রায় ২২,০০০ রোহিঙ্গা সংঘর্ষ এড়াতে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলায় চলে গিয়েছিল। [২৯][৩০] জাপানী এবং বার্মাদের দ্বারা বারংবার গণহত্যার শিকার হয়ে প্রায় ৪০,০০০ রোহিঙ্গা স্হায়ীভাবে চট্টগ্রামে চলে আসে। [৩১] যুদ্ধ পরবর্তী অবস্থা আরও দেখুন: বার্মায় রোহিঙ্গা বিদ্রোহ ১৯৪৭ সালে রোহিঙ্গারা মুজাহিদ পার্টি গঠন করে যারা জিহাদি আন্দোলন সমর্থন করতো।[৩২] মুজাহিদ পার্টির লক্ষ্য ছিল আরাকানে একটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। তারা জেনারেল নে উইনের নেতৃত্বে ১৯৬২ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পূর্ব পর্যন্ত অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। নে উইন তাদেরকে দমনের জন্য দুই দশকব্যাপী সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন। উল্লেখযোগ্য একটি অভিযান ছিল "কিং ড্রাগন অপারেশন" যা ১৯৭৮ সালে পরিচালিত হয়। এর ফলে অনেক মুসলমান প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে এবং শরনার্থী হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। বাংলাদেশ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যার রোহিঙ্গারা পাকিস্তানের করাচীতে চলে যায় (দেখুন পাকিস্তানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী )। [৬] এরপরও, বার্মার মুজাহিদরা আরাকানের দূর্গম এলাকায় এখনও সক্রিয় আছে। [৩৩] বার্মিজ জান্তা প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে বার্মা শাসন করছে মায়ানমারের সামরিক জান্তা। ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য এরা বার্মিজ জাতীয়তাবাদ এবং থেরাভেদা বৌদ্ধ ধর্মীয় মতবাদ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে থাকে। আর এর ফলেই তারা রোহিঙ্গা, চীনা জনগোষ্ঠী যেমন - কোকাং, পানথাইদের(চীনা মুসলিম) মত ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বাকে ব্যপকভাবে নির্যাতন করে থাকে। কিছু নব্য গণতন্ত্রপন্থী নেতা যারা বার্মার প্রধান জনগোষ্ঠী থেকে এসেছেন তারাও রোহিঙ্গাদের বার্মার জনগণ হিসেবে স্বীকার করেন না। [৩৪][৩৫] [৩৬][৩৭] বার্মার সরকার রোহিঙ্গা ও চীনা জনগোষ্ঠীর মত ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গার উসকানি দিয়ে থাকে এবং এ কাজ তারা অতি সফলতার সাথেই করে যাচ্ছে।[৩৮] রাখাইনে ২০১২ সালের দাঙ্গা মূল নিবন্ধ: রাখাইন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা - ২০১২ রাখাইনে ২০১২ সালের দাঙ্গা হচ্ছে মায়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিম ও বোদ্ধ রাখাইনদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের ঘটনাপ্রবাহ। দাঙ্গা শুরু হয় জাতিগত কোন্দলকে কেন্দ্র করে এবং উভয় পক্ষই এতে জড়িত হয়ে পরে।[৩৯] ধর্ম আরও দেখুন: বার্মায় ইসলাম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মূলত ইসলাম ধর্মের অনুসারী। যেহেতু বার্মা সরকার তাদের পড়াশুনার সুযোগ দেয় না, তাই অনেকেই মোলিক ইসলামী শিক্ষাকেই একমাত্র পড়াশুনার বিষয় হিসেবে গ্রহণ করেছে। অধিকাংশ গ্রামেই মসজিদ এবং মাদ্রাসা (ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) রয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে, পুরুষরা জামাতে এবং মহিলারা বাড়িতেই প্রার্থণা করে থাকে। মানবাধিকার লংঘন ও শরণার্থী আরও দেখুন: বার্মায় মুসলমান নির্যাতন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বলা হয় "বিশ্বের সবচেয়ে কম প্রত্যাশিত জনপদ" [৪০] এবং "বিশ্বের অন্যতম নিগৃহীত সংখ্যালঘু"। [৪১] ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনের ফলে তারা নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হন। [৪২] তারা সরকারি অনুমতি ছাড়া ভ্রমণ করতে পারে না, জমির মালিক হতে পারে না এবং দুইটির বেশি সন্তান না নেওয়ার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হয়। [৪২] অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অনুসারে, ১৯৭৮ সাল থেকে মায়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গারা মানবাধিকার লংঘনের শিকার হচ্ছে এবং তারা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে: [৪৩] “ রোহিঙ্গাদের চলাচলের স্বাধীনতা ব্যপকভাবে নিয়ণ্ত্রিত এবং তাদের অধিকাংশের বার্মার নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে। তাদের উপর বিভিন্ন রকম অন্যায় ও অবৈধ কর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের জমি জবর-দখল করা, জোর- পূর্বক উচ্ছেদ করা, ঘর- বাড়ি ধ্বংস করা এবং বিবাহের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও উত্তর রাখাইন রাজ্যে গত দশকে বাধ্যতামূলক শ্রমিকের কাজ করা কমেছে তারপরও রোহিঙ্গাদের রাস্তার কাজে ও সেনা ক্যাম্পে বাধ্যতামূলক শ্রমিকের কাজ করতে হচ্ছে। […] ১৯৭৮ সালে মায়ানমার সেনাবাহিনীর 'নাগামান' ('ড্রাগন রাজা') অভিযানের ফলে প্রায় দুই লক্ষ (২০০,০০০) রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। সরকারিভাবে এই অভিযান ছিল প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যে সব বিদেশী অবৈধভাবে মায়ানমারে বসবাস করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এই সেনা অভিযান সরাসরি বেসামরিক রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলছিল এবং ফলে ব্যাপক হত্যা, ধর্ষণ ও মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা ঘটে। […] ১৯৯১-৯২ সালে একটি নতুন দাঙ্গায় প্রায় আড়াই লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে আসে। তারা জানায় রোহিঙ্গাদের বার্মায় বাধ্যতামূলক শ্রম প্রদান করতে হয়। এছাড়া হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের স্বীকার হতে হয়। রোহিঙ্গাদের কোনো প্রকার পারিশ্রমিক ছাড়াই কাজ করতে হত। ” ২০০৫ সালে, জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে, কিন্তু রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বিভ িন্ন ধরণের মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে এই উদ্যোগ ভেস্তে যায়।

Tuesday, June 10, 2014

নগ্নতায় বাংলাদেশ

nagnotashironam.gifবিঃদ্রঃ-এই লেখাটিতে এমন কিছু ছবি দেয়া আছে যা প্রাপ্ত বয়স্করা ছাড়া দেখার যোগ্য না।অতএব,আপনি যদি প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে থাকেন তবেই লেখাটায় ক্লিক করেন। বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে নগ্নতা!এর মূল হোতা হলো তসলিমা নাসরিন,হুমায়ূন আজাদ,ড.জাফ্রিক্বালেরা।তারাই বলে মেয়েদের উলঙ্গ হতে বেহায়াপনা করতে।শর্ট কাপড় পড়তে!তাদের লেখা ফলো করে মেয়েরা এসব শর্ট কাপড় পরিধান করে।সাথে আরো যোগ হয়েছে আম্রিকান,ইন্ডিয়ান উগ্রবাদী সভ্যতা!মেয়েরা কাপড় পরে তাদের শরীরের অর্ধেক থাকে বের হয়ে!আচ্ছা এ কাপড় পরে লাভই বা কি? nagnota1.jpg পর্দহীন একজন টিভি পর্দার মডেল অথবা নর্মাল মহিলারাই খোলা বাজারের পণ্য।যেমনটা আমাদের দেশী লেখক বেশ্যা নম্বর ওয়ান তাসলিমা নাসরিন। nagnota6.jpg তাসলিমা নাসরিনের সাথে একবার যৌনমিলন করেনি এমন কোন তার চেনা লোক নেই।তসলিমার বইগুলো পড়লে জানতে পারবেন তার দেহ খেকোর রমরমা কিচ্ছা কাহীনি।তাসলিমা আর পতিতা ফারাক শুধু একটা তসলিমা একটু বেশি শিক্ষিত। আচ্ছা পাঠক একবার বলবেন কি খোসা ছড়ানো কলার দাম বেশি হবে নাকি খোসা সহ কলার দাম বেশি হবে? nagnota3.gif নিশ্চই খোসা সহ কলার দাম বেশি হবে তাই নয় কি? আমাদের দেশের মেয়েরা আম্রিকান সভ্যতাকে ফলো করতে করতে খোসা ছড়ানো কলার মতো মূল্যহীন হয়ে গেছে। nagnota2.jpg তাদের কে গ্রাস করেছে তামিল,হিন্দি,আম্রিকান মুভির নায়িকাদের পোশাক! nagnota4.jpg কিছু কিছু মেয়েরা আছে টাকার লোভে নগ্ন হয়!কারা তারা জানেন তো? তারা হচ্ছে আমাদের মডেল আপুরা!সামান্য কয়েকটা টাকার জন্য হাজার,লক্ষ মানুষকে তার লজ্জাস্থান দেখায়! nagnota5.jpg নিজের লজ্জা দেখিয়ে পয়সা কামাই করে!যেমনটা পতিতারা করে তাদের ইজ্জত বিকিয়ে! হায় হায় আমরা কি রক্ষা পাবনা এ থেকে?রক্ষা পাবো কি পাবোনা সে নিয়ে ভাবিনা। nagnota7.jpg শুধু অনুমান করে বলতে পারি, ২০৩০সালে বাংলাদেশী মেয়েরাও বিকিনি পরে রাস্তায় ঘুরবে। চেতনায় ম্রিওমান হও বাঙ্গালী ২০৩০টা হবে সেই জাহেলী যুগ।

Sunday, June 8, 2014

হিন্দু আর তাদের মোল্লা বিদ্বেষ

bolpondee.gif

নোটিশ নামাঃ-হ্যালো পাঠক আপনি যদি হিন্দুত্ব মালুত্ববাদী কেহ হইয়া থাকেন তহা হইলে এই লেখাটা আপনার জন্য নহে।এইলেখাটা ক্লিক না করাই আপনার জন্য শ্রেয়। ধন্যবাদ।
কবি নজরুল তুমি করিয়াছ ভুল দাড়ি না রাখিয়া রাখিয়াছো চুল। রবীন্দ্রনাথ মালু* মাথায় ভরা গোবর আলু, মাগার কবিতাতে ভাল!
ছোট বেলায় এই ছড়াটা আওড়াতাম।আরো আওড়াতাম,
হাট্টিমা টিম টিম, তারা মাঠে পারে ডিম- তাদের খাড়া দুটি শিং
ছোটবেলায় হিন্দু বন্ধুবান্ধবকে ডাকতাম মালাউনকা বাচ্চা বলে। ১৬র দশকে হিন্দুদের বিদ্বেষ নয় জাত হিসেবে আদর করে মুসলিম রাজা বাদশাহ্ বিধর্মীকে ডাকত মালাউন বলে।তাদের ফলো করে আমরা শুরু করলাম মালু ডাকা।তবে আমরা শুধু হিন্দুদের ডাকি,যার মূল কারন হলো হিন্দুদের আচরন মালুর মতোই।মালু ডাকাটা তাদের কাছে গালির মতো ঠেকতো তাই তারাও আমাদের মোল্লা ডাকতে শুরু করল।সাধারনত মোল্লা আমরা মৌলভীদের ডাকা হয়।সেই নামটা পুরো মুসলিমকে ডাকে তারা,এটা আমাদের সৌভাগ্য বলতে পারেন। ভারতে মোল্লারা হিন্দুত্ত্ব বাদীদের কাছে চীর শত্রুর মতো! আমার কথার সত্যতার টের পাবেন "আসামের"দিকে তাকালে। হিন্দুরা নরপিশাচের জাত,কুলাঙ্গারের জাত।তারা মোল্লাদের শুধু হত্যা নয় ধর্ষন করে মোল্লা মা বোনদের! মুখের কথা নয় প্রমাণাদি সহ দেখাই,২০০৩সালে মালু জাতের নেতা নরেন্দ্র মোদী লিড দিয়ে ২লক্ষ মোল্লাকে মেরেছে! জ্বালিয়ে দিয়েছে মোল্লাদের ঘরবাড়ি,বিধবা করেছে মোল্লার স্ত্রী!মোল্লার যুবতী মেয়েকে ঘর থেকে টেনে নিয়ে ধর্ষন করেছে খাসা কু জাত মালুরা! নরেন্দ্রমোদী বলেছিল,
কুকুর মরলে কষ্ট পাবো মুসলিম মরলে না।
মোল্লার দোষ ছিল শুধু ভারতে বাস করা।আর নিজেকে মুসলিম দাবী করা। আমরা ফিরে তাকাতে চাই বাংলাদেশী মালুদের দিকে,
কোন মালু কি বলতে পারবে একমাত্র ধর্মীয় কারনে কোন মালু খুন হয়েছে? অথবা কেউ হিন্দু দাবী করেছে বলে তাকে খুন অথবা গনধোলাই দেয়া হয়েছে?
কেউ পারবেনা।হয়তবা জমিজমা আর না হয় অন্য কোন ফ্যাসাদে দুএকটা হিন্দু খুন হয়েছে তাও আবার সন্ত্রাসীদের হাতে!আমরা চেয়েছি সাম্য,ঐক্য কিন্তু ভারতের মালুরা যা শুরু করেছে তাতে সাম্য ঐক্য তো দূরে থাক এখন হিন্দু দেখলেও মনে চায় এদলা থুথু মারি তার মুখে। মোল্লা হত্যা ভারতের একটি সরকারী নিয়মই ধরা যায়! মুসলিম নারীদের হত্যা তাদের ধর্ষন এবং মুসলিম শিশু পুড়িয়ে হত্যা করেছে মালুরা!কতটা বর্বর এই জাত একবার চিন্তা করেন। মালাউনরা যেমন বর্বর তাদের তথাকথিত ভ্যাগাবানরাও তেমনি হিংস্র বর্বর! আপনি ভগবতী গীতা পাঠ করলে বুঝবেন কতটা বর্বরা তাদের ভগবানরা!শিয়াদো আলজেব্রা রাক্ষসের মত হিংস্র তাদের রামা গপ্পের নায়ক! হিন্দুদের দেখলে আমার ঘেণ্যায় বমি আসে!কেননা ওরা মালুরা একেকটা গিদার জাত!একেকটা রাক্ষস কালির বংশধর![bg=#FF0000] বাংলাদেশের যে হিন্দুগুলা আছে শালারা প্রত্যেকটা হচ্ছে বেঈমান,শালারা খায় বাংলার,পড়ে বাংলার দালালী করে ভারতের।ভারতের উগ্রবাদী হিন্দুদের সাথে একত্রিত হয়ে শালা মালুয়ান্রা গালাগালি করে বাংলাদেশকে ।বিকৃত করে আমাদের পতাকাকে! বিভিন্ন দিক দিয়ে দেখলে এই মালাউন্রা একেকটা বেঈমানের জাত!একবার মালাউনদের মনে পরেনা এই মোল্লারাই তাদের ৭১ এ পাকিস্তানীদের থেকে বাঁচিয়েছে।১৪০০খ্রীঃ এই মোল্লার তাদের জলদস্যু মগ হইতে বাঁচাইছে।ধিক্কার মালু জাতীকে ধিক্কার![/bg] আরো পড়ুনঃ- ←হেঁদু সমাচার১ম পত্র| ←হেঁদু সমাচার ২য়পত্র| ←হেঁদু সমাচার ৩য় পত্র| ←হেঁদু সমাচার ৪থপত্র| ←হেঁদু সমাচার শেষ পত্র| ←হেঁদু তত্ত্ব|

Friday, June 6, 2014

আর নয় ভ্রুন হত্যা!একটি ভ্রুনই হতে পারে আপনার বৃদ্ধ বয়সের লাঠি।

স জ ল আ হ মে দ (সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ-এখানে একটা ছবি এবং একটি ঘটনা উল্লেখ করা আছে যা দুর্বলচিত্তের পাঠকরা না দেখলেই ভাল হয়,বিশেষ করে যাদের হার্টের রোগ আছে।এর পরও যদি পাঠক এই লেখাটা পড়তে উদ্যত হয় তবে তিনি তার নিজ দ্বায়িত্বে পড়তে পারেন।এর জন্য লেখক কোন ভাবেই দায়ী থাকবেনা।) যুগে যুগে মানুষ যত ডিজিটাল হচ্ছে ততই তারা এগুচ্ছে মানুষ ও হচ্ছে ডিজিটাল! নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশাও বাড়ছে তত।ভূয়া প্রেমের জালে ফেঁসে হয়ে অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হচ্ছে পুরুষ নারী ,ফলে নারীর গর্ভে পয়দা হচ্ছে অবৈধ সন্তান!নারী ঘুরে বেড়ায় পেটে পিতৃপরিচয়হীন অবৈধ বাচ্চা নিয়ে।কিভাবে সমাজে মুখ দেখাবে তারা মগ্ন হয়ে পরে সেই চিন্তায়।এক সময় লিপ্ত হয় ভ্রুন হত্যার মত পৈশাচিক কাজে! একটা ভ্রুনকে যে কিভাবে হত্যা হয় তা জানালে পাঠকদের হৃদয় দুঃখে ঘৃণায় ভরে উঠবে ভ্রুন হত্যাকারী ডাক্তার এবং ঐ অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারী নারী পুরুষের উপর! ভ্রুন যে শুধু অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারী নারীই হত্যা করে তা নয় বৈবাহিক সম্পর্কে লিপ্ত অর্থাত্‍ দম্পতিরাও হত্যা করে।হয়তবা তিনি যেসময় বাচ্চা নিতে প্রস্তুত নও সেই সময় স্বামী স্ত্রীর অসাবধনতার ফলে সময় ছাড়াই গর্ভ হয়ে যায়।ফলে তারাও লিপ্ত হয় ভ্রুন হত্যায়। একটি ভ্রুন যেভাবে হত্যা করা হয়ঃ- আমার পরিচিত এক ডাক্তার বন্ধু যেভাবে বর্ণনা দিয়েছে পাঠকদের সামনে ঠিক সেইভাবেই তুলে ধরলাম। প্রথমে ঐ অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারী অথবা নারীকে অচেতন করা হয়,এরপর তার গর্ভ থেকে একটা উপায় অবলম্বন করে(উপায়টা লিখতে অসস্তিবোধ করছি।)বাচ্চাটার মাথা বের করা হয় এরপর বাচ্চাটার ঘাড়ের রগ ধারালো কাঁচি দিয়ে কেঁটে দেয়া হয়!(কি নির্মম!)।ঐ বাচ্চাটাকে পুরোপুরি গর্ভ থেকে বের করতে নিষ্পাপ শিশুটির হাত পা কাঁটা হয় ঠিক যেভাবে আমরা মুরগীর বাচ্চার পা কাঁটি!(কি নির্মম!) এরপর ঐ নিষ্পাপ শিশুটির খন্ডিত দেহ ফেলে দেয়া হয় কোন ডাস্টবিনে এবং ঐ মৃত শিশুর দেহটি তৈরী হয় শেয়াল কুকুরের খাবার হিসেবে!ছিঃছিঃছিঃ কত নির্মম কাজ মানুষ করতে পারে! একটা জিনিস জানলে আশ্চর্য না হয়ে পারবেননা,এই রকম ভ্রুন আবার খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয় চীনে! চীনের কিছু মানুষ শিশুদেরকে খেয়ে ফেলে। কেন জানেন? নিজেদের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য।মৃত শিশু ও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গর্ভপাত ঘটানো অপূর্ণাঙ্গ ভ্রুন বা ফিটাসের স্যুপ তৈরি করা হচ্ছে মানুষের খাওয়ার জন্য! image_placeholder.gif সেখানকার পুরুষরা তাদের শারীরিক স্বাস্থ্য ও যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য ভেষজ শিশু স্যুপ (herbal baby soup) খেয়ে থাকে!একজন মহিলা একটি ছুরি দিয়ে ছেলে শিশু ভ্রূণ কেটে কুচি কুচি করছেন ও সেটি দিয়ে স্যুপ তৈরি করছেন। আর আশেপাশে মানুষকে এই বলে আশ্বস্ত করছেন যে, ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এটি “প্রাণীর মাংস”। একটি ঘটনা না বল্লেই নয়, চীনের এক দম্পতির ইতোমধ্যেই একটি কন্যাসন্তান ছিল। মহিলাটি সন্তান-সম্ভবা ছিলেন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারলেন তার দ্বিতীয় সন্তানটিও মেয়ে হতে যাচ্ছে। ততদিনে তার গর্ভস্থ সন্তানের বয়স ৫ মাস। তিনি ও তার স্বামী গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেন। স্বাভাবিকভাবে কোন শিশু যদি ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই মারা যায় তবে তাতে ২০০০ ইউয়ান খরচ হয়, সেখানে গর্ভপাত করাতে খরচ হয় মাত্র কয়েকশো ইউয়ান। তবে যারা মৃত শিশু বিক্রি করতে চান না, তারা প্লাসেন্টা বা অমরা বিক্রি করতে পারেন ইচ্ছা করলে। পরে তিনি সেটাকে ভ্রুন দিয়ে স্যুপ বানানোর কারখানায় বিক্রি করে দিলেন। অনেক চীনাদের কাছে মানব ভ্রূণ ভক্ষণ করা নাকি এক ধরণের শিল্প! কত নির্মম নিষ্ঠুর তারা! চাইলেই কি মা বাবা হওয়া যায়? অনেকে আছেন যারা সৃষ্টিকর্তার কাছে একটা বাচ্চার জন্য চীর জীবন মাথা ঠুকলেও একটা বাচ্চা পাননা,আবার অনেকে হত্যা করে ফেলে তার স্বাদ আহ্লাদের সন্তানটিকে! যার ভ্রুন খুনি তারা একবার ও চিন্তা করেন না,তারাও একসময় তার গর্ভে থাকা ঐ ভ্রুনটির মত ছিল তখন যদি তার পিতা মাতা তাকেও হত্যা করে ফেলত ভ্রুন খুনি ডাক্তার নামক কসাইয়ের মাধ্যমে? ভ্রুন হত্যা বন্ধ করতে হলে আগে বন্ধ করতে হবে অবৈধ যৌনকর্ম।অতঃপর দম্পতিদের বাচ্চা নেয়ার ব্যাপারে হতে হবে সচেতন অর্থাত্‍ বাচ্চাটি কখন নিবে তা আগে ভালভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।ভ্রুন হত্যাও খুনের শামিল তাই সরকারকে ভ্রুন হত্যার বিষয়ে কড়া আইন প্রয়োগ করতে হবে। আসুন আমরা ভ্রুন হত্যা বন্ধ করি এবং সকলকে বুঝিয়ে বলি"একটি ভ্রুন আগামীর ভবিষ্যত্‍,তাদের কে পৃথিবীর সুন্দর আলোটুকু দেখতে দিন।তাদেরকে হত্যা করা বন্ধ করে দিন।হতে পারে, আপনার বৃদ্ধ বয়সে সেই হবে আপনার হাতের লাঠি"।

Sunday, May 18, 2014

সুলতান মাহমুদ সোমানাথ মনদির ভাঙেনি

asam5barighor.jpg সুলতান মাহমুদ এবং সোমনাথ মন্দির নিয়ে হিন্দুদের অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব আপনি যখনই বাবরী মসজিদ ধ্বংস নিয়ে কোন কথা বলতে যাবেন ঠিক তখনই হিন্দুরা বলা শুরু করে যে সুলতান মাহমুদ তো সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করেছিল। তখন আমি লক্ষ্য করেছি যে অনেক মুসলমানই তখন চুপ হয়ে যায়। কিন্তু সুলতান মাহমুদ ঠিক কি কারনে গুজরাটের এই সোমনাথ মন্দির ধ্বংস বা সোমনাথ মন্দিরে অভিযান চালিয়েছিলেন তা খুব কম মুসলমানই জানে। আচ্ছা সুলতান মাহমুদ মোট ১৭ বার ভারত আক্রমন করেছিলেন। এই ১৭ বার সুলতান মাহমুদ খালি সোমনাথ মন্দির ছাড়া আর কোন মন্দিরেই উনার অভিযান চালান নি। সুলতান মাহমুদ যদি সত্যিই হিন্দু বিদ্বেষী হতেন তাইলে তো ভারতের সকল বড় বড় মন্দিরেই অভিযান চালাতেন। তাইলে ঠিক কি কারনে সুলতান মাহমুদের এই সোমনাথ মন্দিরের অভিযান ? সুলতান মাহমুদের জীবনীর উপর লেখা এনায়েত উল্লাহ আল তামাসের লিখিত বিখ্যাত ইতিহাসিক বই “সুলতান মাহমুদ গজনবীর ভারত অভিযান” থেকে আমরা জানতে পারি যে তৎকালিন সোমনাথ মন্দিরের পুরাহিতরা একজন মুসলিম তরুনীকে ঐ মন্দিরের কথিত ভগবানের অনুগ্রহ পাওয়ার আশায় ভগবানের সামনে ধর্ষণ ও বলি দেওয়ার চেষ্টা করলে মুসলিম তরুণীটি তার সম্ভ্রম রক্ষার্থে সোমনাথ মন্দিরের কুপে আত্মহত্যা করে। এই খবরটি জানতে পেরে সুলতান মাহমুদ গজনী থেকে শত শত মাইল পথ পাড়ি দিয়ে এসে সোমনাথ মন্দির আক্রমন করে এবং তা সম্পূর্ণ রুপে ধবংস করেন, এবং এই সোমনাথ মন্দিরের মূর্তির কিছু খণ্ডাংশ তৎকালিন দামেস্কের খলীফাকে উপহার হিসাবে প্রেরন করেন। এর থেকে বুঝা যায় যে সুলতান মাহমুদ সুদীর্ঘ শত শত মাইল পথ পাড়ি দিয়ে সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করেছেন না কোন স্বর্ণ অলংকারের লোভে না কোন মসজিদ প্রতিষ্ঠার লোভে না কোন সাম্রাজ্য দখলের লোভে। সোমনাথ মন্দিরের স্বর্ণ অলংকার গনিমতের মাল হিসাবে নিয়ে যাওয়া হয়। যা প্রত্যেকটি যুদ্ধে বিজিত দল বা জাতি করে থাকে। এই ২০১৩ সালেও হিন্দুরা তাদের মা কালীর সামনে ছোট শিশুদের কে বলি দেয়। তাই ১০২৫ সালে একটা মুসলিম মেয়েকে সোমনাথ মন্দিরের বিগ্রহের সামনে বলি দেয়া হিন্দুদের জন্য কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। ঐতিহাসিককের আরেকটি মত আছে সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দিরের অভিযানের ব্যাপারে। আর তা হল সোমনাথ মন্দিরের মূর্তি টি সব সময় শূন্যে মাঝামাঝি ঝুলে থাকত। এটি তৌহিদে বিশ্বাসী সুলতান মাহমুদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হত । তাই সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দির আক্রমণের সময় গজনী থেকে সাথে করে প্রকৌশলী, ধাতুবিদ নিয়ে আসেন । তারা মূর্তি পরীক্ষা করে দেখেন সোমনাথ মন্দিরের মূর্তিটি লোহার তৈরি এবং সোমনাথ মন্দিরের চারিদিকের দেয়ালের পাথরে চৌম্বক লাগানো রয়েছে । তাই যখন সোমনাথ মন্দিরের দেয়ালের পাথর খুলে নেয়া হল তখনই লোহার তৈরি সোমনাথ মন্দিরের মূর্তি মাটিতে পড়ে গেল এবং প্রমাণিত হল যে, শূন্যে ঝুলে থাকার জন্য এই মূর্তির নিজস্ব কোন ক্ষমতা ছিল না। তাই রাজ্য বিস্তারের জন্য নয় সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করেছিলেন এ মন্দিরের প্রতি তৎকালীন হিন্দুদের অন্ধ বিশ্বাস যা হিন্দুদের বিশেষ শক্তি প্রদান করত, তা নষ্ট করার জন্য। তাইলে আমরা দেখতে পেলাম সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দির অভিযানের পিছনে মোট ৩ টি কারন ঐতিহাসিকরা বলে থাকেন। প্রথমটি হল এক মুসলিম তরুনীকে ধর্ষন ও সোমনাথ মন্দিরের বিগ্রহের সামনে বলী দেয়ার কারনে সুলতান মাহমুদ গজনী থেকে গুজরাট অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করার জন্য। দ্বিতীয় কারণটি হল সোমনাথ মন্দিরের মূর্তিটি ঠিক কি কারনে সব সময় শূন্যে মাঝামাঝি ঝুলে থাকত এই রহস্য উদ্ধঘাটন করা আর তৃতীয় কারণটি হল সেই তথাকথিত ২০০ মন স্বর্ণ উদ্ধারের লোভে। কিন্তু স্বর্ণ উদ্ধারের লোভে যদি সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দিরে অভিযান চালাতো তাইলে ভারত বর্ষের সকল মন্দিরই সুলতান মাহমুদ অভিযান চালাতেন। মূলত সেই মুসলিম তরুনীকে ধর্ষন ও সোমনাথ মন্দিরের বিগ্রহের সামনে বলী দেয়ার কারনেই সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দিরে অভিযান চালিয়েছিলেন। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা পৌত্তলিকদের কে ধ্বংস করুক। তবে বেশীর ভাগ ঐতিহাসিকদের ধারনা সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করেননি। সুলতান মাহমুদ শুধুমাত্র সোমনাথ মন্দিরের ২০০ মন স্বর্ন উনার নিজ দেশ গজনীতে নিয়ে গিয়েছিলেন। সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দিরের কোন বিগ্রহও ধ্বংস করেন নি, সোমনাথ মন্দিরের ভিতরে যেই সব ব্রাক্ষনরা পূজা অর্জনা করত সুলতান মাহমুদ তাদের কে হত্যাও করেননি। সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দিরের অভিযানের পর যথারীতি আবার হিন্দুরা সোমনাথ মন্দিরের ভিতরে তাদের পূজা অর্জনা শুরু করে। সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির কে কোন মসজিদেও রূপান্তরিত করেন নি। Just সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির থেকে ২০০ মন স্বর্ণ উদ্ধার করে নিজ দেশ গজনীতে নিয়ে গিয়েছিলেন। সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দিরের ভিতরে কখনই হিন্দুদের মূর্তি পূজা বন্ধ করেন নি। আর সুলতান মাহমুদের পরেও সোমনাথ মন্দিরে সুলতান আলউদ্দিন খলজী, গুজরাটের বিভিন্ন স্থানীয় শাসক আর বাদশাহ আওরঙ্গজেবও অভিযান চালিয়েছিলেন। মুসলমানরা যদি সোমনাথ মন্দির কে ভেঙ্গে মসজিদই তৈরী করে ফেলত তাইলে তো আর বারবার সোমনাথ মন্দির আক্রমন করার কোন দরকার ছিল না। সোমনাথ মন্দির মন্দির থাকার কারনেই মুসলমানরা এগুলি বারবার আক্রমন করত। এত মন্দির থাকতে মুসলমানরা খালি সোমনাথ মন্দির বারবার আক্রমন করত কেন ? এর কারন হচ্ছে সোমনাথ মন্দিরের ভিতরে পূজা অর্চনার বদলে দেশীয় রাজারা শলা পরামর্শ করত কিভাবে মুসলমান সুলতানদের কে পরাজিত করা যায়। আর সোমনাথ মন্দিরের ভিতরে হিন্দু রাজারা তাদের সোনা দানা লুকিয়ে রাখত। মূলত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারনেই এই সোমনাথ মন্দির কাশীনাথ মন্দির বারবার মুসলমানদের আক্রমনের শিকার হয়েছে। কিন্তু এর বিপরীতে দিল্লী থেকে শুরু করে ভারতের অন্যান্য এলাকার বড় বড় মন্দির কখনোই মুসলমানদের আক্রমনের শিকার হয় নি। কিন্তু এর বিপরীতে মালাউন হিন্দুরা আমাদের সাথে কি করল ? বাবরী মসজিদ ধ্বংস করার পর হিন্দুরা সেইখানে রাম মন্দির স্থাপন করল। আমরা মুসলমানরা বাবরী মসজিদের যেই জায়গায় নামায পড়তাম ঠিক সেই মেহরাবের উপরে মালাউন হিন্দুরা এখন তাদের রামের মূর্তি স্থাপন করেছে। ১৯৯২ সালের ১২ ডিসেম্বরের পর থেকে আজ ২১ বছর হল আমরা মুসলমানরা আর বাবরী মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাযও পড়তে পারি নাই। বাবরী মসজিদ ধব্বংস করার সময় যেই সব মুসলমান হিন্দুদের কে বাধা দিতে এসেছিল হিন্দুরা তাদের প্রত্যেককেই হত্যা করে। এমনকি বাবরী মসজিদের আশপাশে মুসলিম অধ্যুষিত গ্রাম গুলিতে মালাউন হিন্দুরা যেয়ে আমাদের মুসলিম বোনদের কে ধর্ষন করে। এর বিপরীতে আমরা সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দিরের অভিযানে কি দেখতে পাই ? সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দিরের অভিযানের পর সোমনাথ মন্দিরের অবস্থিত হিন্দুদের কোন বিগ্রহও ধ্বংস করেননি, সোমনাথ মন্দিরের পূজা অর্জনায় লিপ্ত কোন ব্রাক্ষন কেও হত্যা করেন নি, এবং সর্বোপরী সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির কে মন্দির হিসাবেই রেখেছিলেন উনি সোমনাথ মন্দির কে কখনই মসজিদে রূপান্তরিত করেন নি। তাইলে মালাউন হিন্দুদের বাবরী মসজিদ ধ্বংস করার সাথে অবশ্যই সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দির অভিযান কে এক করা ঠিক নয়। সুলতান মাহমুদ একটানা ১৫ বার অভিযান করে ভারতের বহু দেশীয় রাজাকে পরাজিত করেন। সেই সময় সুলতান মাহমুদ কে সবাই একটি অপ্রতিরোধ্য শক্তি ভাবত। সোমনাথ মন্দিরের বিগ্রহের খ্যাতি ছিল সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে। সোমনাথ মন্দিরের ব্রাক্ষণ সেবায়করা বলা শুরু করে যে সোমনাথ মন্দিরের মাঝে শূন্যে ঝুলন্ত বিগ্রহের অসীম অলৌকিক ক্ষমতার বলে সুলতান মাহমুদের পক্ষে কখনই সোমনাথ মন্দির জয় করা সম্ভব হবে না। মূলত সোমনাথ মন্দিরের ব্রাক্ষণ পুরাহিতরাই সুলতান মাহমুদ কে সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করার চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল। সোমনাথ মন্দির সেই সময় হিন্দুদের রাজনৈতিক তীর্থক্ষেত্র ছিল। সোমনাথ মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ এবং যাবতীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য ভারতীয় হিন্দু রাজন্যবর্গ দশ হাজার গ্রাম মন্দিরের সম্পত্তিরূপে দান করেন। সোমনাথ মন্দিরের পূজা-পার্বন ও অন্যান্য অনুষ্ঠানাদি পালনের জন্য এক সহস্র ব্রাহ্মণ নিয়োজিত ছিল। সর্বদা সোমনাথ মন্দিরের দেবতার সন্তুষ্টির জন্য পাঁচশ’ নর্তকী এবং দু’শ’ গায়িকা নৃত্য-গীত করতো। ভারতবর্ষের হিন্দু রাজাগণ তাদের কুমারী কন্যাদের এ মন্দিরের দেবতার সেবার জন্য উৎসর্গ করে কৃতার্থ হতেন। সে সময় হিন্দুরা তাদের ধন সম্পদ সোমনাথ মন্দিরে জমা রাখতেন অর্থাৎ সোমনাথ মন্দিরের ভিতরে অসংখ্য ধন- সম্পদ সঞ্চিত আছে, এ তথ্য জানতে পেরেই সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির জয়ে প্রলুব্ধ হন। হিন্দুরা অভিযোগ করে সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করে সেইখানে একটা মসজিদ তৈরি করে ছিলেন। সোমনাথ মন্দিরের পাশে যে মসজিদটা ছিল এটা সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দির অভিযানের ২০০ বছর আগেই তৈরি হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মের বহু আগে থেকেই আরব বনিকরা গুজরাটে ব্যবসা বাণিজ্য করতে আসত। সেই ইসলামের শুরু থেকেই গুজরাটের মুসলমানদের আগমন শুরু হয়। গুজারটের স্থানীয় হিন্দু শাসকরাই মুসলমানদের কে সোমনাথ মন্দিরের অনতিদূরে একটি মসজিদ তৈরি করার অনুমতি দেয়। এটা আমার কথা না একটা হিন্দু ধর্ম ভিত্তিক ওয়েবসাইটেই তা বলা আছে। এই লিংকে যান সুলতান মাহমুদ খাইবার গিরিপথ অতিক্রম করে ভারতে আসেন। গজনী থেকে ৪২ দিনে হাজার মাইল পথ হেঁটে ১০২৫ সালের ৬ জানুয়ারী সুলতান মাহমুদ পৌঁছলেন সোমনাথের মন্দিরের অনতিদূরে। সুলতান মাহমুদ যদি পৌত্তলিকদের বিরোধী হতেন তাহলে গজনী থেকে গুজরাট আসার পথে তো রাস্তায় অনেক মন্দিরই পড়েছিল, সেগুলো নিশ্চয়ই সুলতান মাহমুদ আস্ত রাখতেন না। সুলতান মাহমুদের সেনাবাহিনীর মাঝে ১২ জন ছিল হিন্দু সেনাধ্যক্ষ। এর মধ্যে দুইজন সেনাধ্যক্ষ ছিল ব্রাক্ষণ। আর বাকীরা ছিল ক্ষত্রিয়। সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দির অভিযানে যারা অংশ নিয়েছিল তাদের অর্ধেকই ছিল হিন্দু। সোমনাথ মন্দির থেকে যে ২০০ মন স্বর্ণ উদ্ধার হয়েছিল সেই সব স্বর্ণ সুলতান মাহমুদ উনার সেনাবাহিনীর মাঝে ভাগ করে দেন। যেই সব হিন্দু সেনাপতি ও হিন্দু সৈনিকরাও সোমনাথ মন্দিরের অভিযানে অংশ নিয়েছিল তারাও সেই ২০০ মন স্বর্ণের ভাগ পেয়েছিল। ঐতিহাসিকরা বলে থাকেন যে সোমনাথ মন্দিরের অভিযানে অংশ নেওয়া প্রত্যেকটা সৈনিক কে সেই দিন সুলতান মাহমুদ ৫০০০০ করে দিনার দিয়েছিলেন। সোমনাথ মন্দিরের অভিযানে হিন্দু সৈনিকরাও অংশ নেবে হবে আর দোষ হবে খালি সুলতান মাহমুদের ! ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী বাংলায় আসছেন ১২০৫-০৬ সালের দিকে। এটা আমার কথা না উইকিপিডিয়াতেই তা বলা আছে আর নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হয়েছে ১১৯৩ সালে। তাইলে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী কিভাবে এই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করেন ? নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় যখন ধ্বংস হয় সেই সময় অর্থ্যাৎ ১১৯৩ সালের দিকে এই বাংলার রাজা ছিলেন রাজা লক্ষন সেন। রাজা লক্ষন সেন ছিলেন একজন কট্টর বৌদ্ধ বিদ্বেষী। হাজার হাজার বৌদ্ধ ভিক্ষুকে উনি হত্যা করেছেন। বৌদ্ধদের গর্ব এই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় কে এই রাজা লক্ষন সেনই ধ্বংস করেছেন। কিন্তু শুধুমাত্র একজন হিন্দু হওয়ার কারনে উপমহাদেশের এই সুশীল সমাজ এই রাজা লক্ষন সেনের কোন সমালোচনা করে না। যদি শুধুমাত্র ধর্মীয় বিদ্বেষের কারনেই মুসলমানরা সোমনাথ মন্দির আর কাশীনাথ মন্দির আক্রমণ করত তাইলে তো মুসলমানদের ৮০০ বছরের ইতিহাসে আর একটা হিন্দুও বেচে থাকত না। আর মুসলমান সুলতানরা যে অনেক বড় বড় মন্দিরে অর্থ সাহায্য দিত তা উইকিপিডিয়ার বিভিন্ন মন্দিরের লিংকেই বলা আছে। ৪৭ এর পর গুজরাট কাশ্মীরের মুসলমানদের উপর হিন্দুরা যেইরকম গনহত্যা চালিয়েছিল ভারতের মুসলমানদের ৮০০ বছরের শাসনামলে হিন্দুদের উপর মুসলমানরা কখনই কোন গনহত্যা তো দুরের কথা যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া মুসলমানরা একটা হিন্দুকেও হত্যা করেনি। শত শত প্রাচীন মন্দির ভারতের মুসলিম শাসনামলে অক্ষুণ্ণ ছিল। সুলতান মাহমুদের ভারত বিজয়ের পর পরাজিত ভারতের রাজাগণ কর্তৃক তার সাথে সম্পাদিত চুক্তি বারবার ভঙ্গ করার কারণে, তাকে বার বার ভারত অভিযান চালাতে হয়েছিল । আর মধ্যযুগে এ ধরনের রাজ্য বিস্তার বল্লালসেন , লক্ষণ সেন , গোপাল , ধর্মপাল সবাই করেছিলেন । বলা যায় , এগুলো ছিল সে সময়ের রীতি। সুলতান মাহমুদ কে হিন্দুরা সব সময় হিন্দু বিদ্বেষী বলে প্রমান করতে চায়। সুলতান মাহমুদ মোট ১৭ বার ভারত অভিযানের পর উনার প্রত্যেক অভিযানেই ভারতের বিভিন্ন দেশীয় রাজা যেমন জয়পাল, আনন্দপাল, সুখপাল কে যুদ্ধে পরাজিত করেন। সেই সময়ের মধ্যযুগীয় নীতি অনুসারে সুলতান মাহমুদ চাইলেই পারতেন যে পরাজিত সকল দেশীয় হিন্দু রাজাকে হত্যা করতে। কিন্তু সুলতান মাহমুদ উনার সাথে যুদ্ধে পরাজিত একজন দেশীয় হিন্দু রাজাকেও হত্যা করেননি। সুলতান মাহমুদ যে কোন হিন্দু বিদ্বেষী ছিলেন না এর সবচেয়ে বড় প্রমান হল কনৌজের রাজা রাজ্যপাল সুলতান মাহমুদের আনুগত্য স্বীকার করলে অন্যান্য পরাক্রমশালী হিন্দু রাজপুত রাজাগন অপমানিত বোধ করেন। কালিঞ্জরের চান্দেলা রাজা গোন্তা গোয়ালিয়রের রাজপুত রাজার সাথে জোটবদ্ধ হয়ে সুলতান মাহমুদের মিত্র কনৌজের রাজা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে এবং সকল রাজপুত রাজা মিলে কনৌজের রাজা রাজ্যপাল কে হত্যা করে। এরপর সুলতান মাহমুদ উনার বন্ধু হিন্দু রাজা রাজ্যপালের হত্যার প্রতিশোধকল্পে ১০১৯ খৃস্টাব্দে চান্দেলার রাজা গোন্তার বিরুদ্ধে সমরাভিযান পরিচালনা করেন। চান্দেলা রাজা গোন্তা সুলতান মাহমুদের বাহিনীর প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়ে রণক্ষেত্র থেকে পলায়ন করেন। পরবর্তীতে সুলতান মাহমুদ কনৌজের রাজা রাজ্যপালের ছেলেকে কনৌজ ও চান্দেলা উভয় রাজ্যের রাজা বানান। সুলতান মাহমুদের ভারত বর্ষের ১৩ তম অভিযান শুধুমাত্র উনার বন্ধু কনৌজের রাজা রাজ্যপালের হত্যার প্রতিশোধ নেবার জন্যই হয়েছিল। সুলতান মাহমুদ যদি সত্যিই হিন্দু বিদ্বেষী হতেন তাইলে কখনই কনৌজের রাজা রাজ্যপালের হত্যার প্রতিশোধ নিতেন না। সুলতান মাহমুদের ভারত বর্ষের এই ১৭ বার সফল অভিযানের পরেও সুলতান মাহমুদ যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া ভারতের কোন হিন্দু কেও হত্যা করেননি বা কোন হিন্দুকে দাস দাসী বানিয়ে গজনীতেও নিয়ে যান নি। আর সুলতান মাহমুদ চাইলেও তা করতে পারতেন না। কারন ইসলামী শরীয়তে মুসলমানরা যখন কোন দেশ জয় করে তখন খলিফা অথবা মুসলিম সুলতান সেই দেশের পরাজিত বিধর্মী নাগরিকদের কে জিম্মী ঘোষণা করেন। আর জিম্মীদের সম্মান নিরাপত্তা দেয়ার সার্বিক দায়িত্ব পরে সুলতান অথবা খলিফার উপর। জিম্মী রুপী পরাজিত বিধর্মী নাগরিকদের অভিভাবকও সুলতান অথবা খলিফা হন। আর যুদ্ধের পর কোন জিম্মীকে হত্যা করা বা দাস দাসী বানানো ইসলামী শরীয়তে হারাম। হযরত ওমর রাযিআল্লাহু আনহুর সময়ে মুসলমানরা সিরিয়া ইরাক, ইরান/ পূর্ব নাম পারস্য, তুরস্ক, সাইপ্রাস এত দেশ জয় করেছিলেন কোন দেশের নাগরিক কেই সাহাবীরা দাস দাসীতে রূপান্তরিত করেন নি। উল্টা ঐ সব দেশের আগে থেকে থাকা সব দাস দাসীদের কে সাহাবীরা মুক্ত করে দিয়েছিলেন আমরা মুলমানরা যে হিন্দুদের প্রতি কতটুকু সহনশীল ছিলাম তার একটা জ্বলজ্যান্ত উদাহরন আপনাদের কে দেই। ভারত বর্ষে আমাদের মুসলমানদের সাথে সবচেয়ে বেশী যুদ্ধ হয়েছে রাজপুত হিন্দুদের। কিন্তু রাজপুত হিন্দুরা প্রায় প্রতিযুদ্ধেই আমাদের কাছে পরাজিত হয়ে সন্ধি করত। কিন্তু এর কিছুদিন পরেই রাজপুত হিন্দুরা তাদের ক্ষত্রিয় স্বভাবের কারনে মুসলমানদের সাথে করা তাদের সন্ধি চুক্তিটি ভংগ করত। এরপর আবার মুসলমানরা যুদ্ধ করে রাজপুতদের কে পরাজিত করত। সেই সময় মধ্যযুগীয় রীতি অনুসারে এটা খুব স্বাভাবিক ছিল যে বারবার সন্ধি চুক্তি ভংগ করার কারনে পুরা রাজপুত জাতিটাকেই ধ্বংস করে দেওয়া। কিন্তু মুসলমানরা তা করে নি। আমাদের মহান মুসলমান সুলতানরা বারবার হিন্দু রাজপুত যোদ্ধাদের কে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বারবার সন্ধি চুক্তি ভংগ করার কারনে মধ্যযুগীয় রীতি অনুসারে এটা খুবই স্বাভাবিক ছিল যে পুরা রাজপুত জাতিটাকেই মুসলমানদের কর্তৃক ধ্বংস করে ফেলা। রাজপুত জাতিটা কিন্তু এখনো ভারত বর্ষে বহাল তবিয়তে আছে। ভারতের মুসলমানদের উপর সন্ত্রাসবাদী হিন্দুদের ভয়াবহ নির্যাতন এবং হিন্দুদের ধর্ম বিশ্বাস রাম লক্ষন রাবন কিংবা রাম মন্দির যে ঠাকুরমার ঝুলি ছাড়া আর কিছুই না তা জানতে আপনারা আমার এই NOTE টি পড়ুন আর আমাদের ইতিহাস জানতে হবে ঐতিহাসিকদের লেখা বই থেকে। উইকিপিডিয় যে কেউ যে কোন নিবন্ধ যোগ করতে পারে ও সংযোজন বিয়োজন করতে পারে। উইকিপিডিয়ার অনেক নিবন্ধই পক্ষপাতদুষ্ট। ভারতবর্ষের মুসলমানদের ইতিহাস হিন্দু ঐতিহাসিকরাই লিখেছেন। সকল বড় বড় হিন্দু ঐতিহাসিকই মুসলমান সুলতানদের উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন। উইকিপিডিয়ার ইতিহাস আর ইতিহাস গ্রন্থের ইতিহাসের মাঝে অনেক পার্থক্য আছে। এমনকি ভারতের স্কুল কলেজের ইতিহাসের পাঠসূচিভুক্ত বইগুলিতেও মুসলমানদের ইতিহাস কে বিকৃত করা হয়েছে সরকারের চাপে। আমি এখন আপনাদের কে একটি বইয়ের কথা বলব যেই বইটি পড়লে আপনারা ভারতের মুসলমানদের গৌরবজনক ইতিহাস, পরবর্তীতে ইংরেজদের আগমন এবং কিভাবে তারা হিন্দু বেঈমান রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এখানকার ক্ষমতা হাসিল করল সেই রক্তঝরা ইতিহাসগুলি। সেইসাথে এই ভারতবর্ষে আর্য জাতির আগমন, এখানকার অধিবাসীদের উপর এবং অন্যান্য নিম্নবর্ণের হিন্দুদের উপর আর্যরুপী ব্রাক্ষণ হিন্দুদের অত্যাচার এর নমুনা পরবর্তীতে মুসলমানদের আগমন এবং জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে একেবারে ভারত বিভক্ত হওয়া পর্যন্ত অনেক অজানা ইতিহাস জানতে পারবেন আপনারা এই বইটি পড়ে। বইটির নাম হল গোলাম আহমদ মোর্তজার লেখা “চেপে রাখা ইতিহাস”. গোলাম আহমদ মোর্তজার লেখা “চেপে রাখা ইতিহাস” এই বইটিতে মুহাম্মদ বিন কাশিম, সুলতান মাহমুদ, মুহাম্মাদ বিন তুঘলক, বাবর, হুমায়ুন, শেরশাহ, জাহাঙ্গির, শায়েখ আহমদ ফারুক সেরহিন্দ, আওরঙ্গজেব, শায়েস্তা খান, হায়দার আলী, টিপু সুলতান, নবাব সিরাজুদ্দউলা থেকে শুরু করে শাহ ওলিউল্লাহ, সৈয়দ নিসার আলী তিতুমির, মাওলানা আলাউদ্দিন, হাজি শরিয়তউল্লাহ, মজনু শাহ এর মত কিংবদন্তীদের জীবনচরিত, সমসাময়িক ঘটনা এইখানে আলোচিত হয়েছে। বইটির ডাউনলোড লিংক হল এটা http:// www.sendspace.com/file/6mcpwz এছাড়া “চেপে রাখা ইতিহাস” এই বইটি বইয়ের লাইব্রেরীতেও কিনতে পারবেন। বিভিন্ন প্রিন্ট অনুযায়ী কমিশন সহ বইটির দাম ১৫০-২০০ টাকা। তথ্যসুত্রঃ ১. ইতিহাসের ইতিহাস, গোলাম আহমেদ মূর্তজা, মদীনা পাবলিকেশন্স, ৩৮/২ বাংলা বাজার, ঢাকা। ২. Somnath : a narrative of history, রোমিলা থাপার, পেঙ্গুইন প্রকাশনী । ইসলামী আক্বীদা সংশোধনের জন্য আরো পড়তে পারেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু বিবাহ প্রসঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষীদের সমালোচনার জবাব আল্লাহ সুবহানাতায়ালার অস্তিত্ত্বের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক প্রমান আল কোরআনের ব্যাকরণগত সৌন্দর্য্যের কিছু অসাধারন দিক বনী কুরায়জা গোত্রের সকল পুরুষ ইহুদি হত্যা করা প্রসঙ্গে একটি পর্যালোচনা ইসলামি শরীয়াহ কি কখনই দাস দাসী প্রথাকে সমর্থন করেছিল আমাদের মুসলমানদের কেন একটি কেন্দ্রীয় খিলাফত রাষ্ট্র প্রয়োজন ? হাতের কাছে রাখার মত কয়েকটি চমৎকার ইসলামী বই পুরুষ জাতির বহু বিবাহ প্রথা কে ইসলামী শরীয়াহ আসলে কতটুকু সমর্থন করে হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম ২য় পর্ব মেসওয়াক করার ফযীলত আমার উম্মতের মাঝে ৭৩ টি দল হবে এদের মাঝে মাত্র একটি দল জান্নাতে যাবে” এই হাদীস টির মূল ব্যাখ্যা টি কি ? সিজদায়ে সাহু সংক্রান্ত মাসলা- মাসায়েল সহিহ শুদ্ধ ভাবে নামায পড়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় মাসলা মার্ক জুকারবার্গ তো একজন নাস্তিক তাইলে তার আবিস্কৃত ফেইসবুক ব্যবহার করা কি আমাদের জন্য ঠিক হচ্ছে —— > পোষ্টটি 1417 বার পড়া হয়েছে । শেয়ারঃ ডিসেম্বর ১৮, ২০লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী

Monday, May 5, 2014

←হুমায়ুন আহমেদ কি নাস্তিক ছিলেন?→

humaun-ahmed-120111113000.jpg প্রায় মাস পাঁচেক আগে স্যারের জীবনের শেষ লিখাটা পইড়া হাসতে হাসতে মাটিতে গড়া গড়ি খাইতাছিলাম।(পিপিলিকা নাটকটি পড়ে)।কিন্তু এক্কেবারে শেষের পৃষ্ঠায় আইসা আমি নিরব হইয়া পইড়া দুই চউক্ষু দিয়া টপ টপ কইরা কয়েক ফোঁটা পানিতে বালিশ ভিইজা গেল। আমার গিন্নি আইসা জিগায়,”কিয়ার লাই কান্দেন”? গিন্নিরে দেখাইলাম প্রকাশকের বড় বড় টাইপ করা লেখাটা,প্রকাশক লিখছে, “এই নাটকটাই স্যারের জীবনের শেষ লিখা,আমরা আর কোনদিন পাবনা স্যারের কোন নতুন লিখা,স্যার চলে গেছেন না ফেরার দেশে” আমার গিন্নির গলাটাও ভারি হইয়া গেল।আমার কষ্ট ভুলাইতে কইল,চা খাইতেন? আমি কইলাম,দেও। গিন্নি চা আনতে গেল,এর মধ্যে আমার ফোনে ফেসবুক দিয়া একটা টেক্সট আইল আমার কাছে,Tausifur Rahman Himel Update his status.(Tausifur Rahman Himel আমার চাচাত শ্যালক) আমি ফেসবুক লগইন করলাম এবং আমার শ্যালকের প্রোফাইলে গেলাম।শ্যালকের স্ট্যাটাসটা দেইখাতো আমি বোবা হইয়া গেলাম!আমার শ্যালক কি লিখছে দ্যাখেনঃ Tausifur Rahman Himel “Humayun ahmed ekjon nastik murtad,ashun tar lika pora theke biroto thaki,ebong tar lika borjon kori” উচ্চারনঃ-হুমায়ুন আহমেদ একজন নাস্তিক মুরতাদ ,আসুন তার লিখা পড়া থেকে বিরত থাকি,এবং তার লিখা বর্জন করি। কথাটা যদিও অনেক পুরানা,তবুও বাড় বাড় নাড়া দিয়া উঠে। ভাবছিলাম একবার কমেন্ট কইরা কমু,”হালার ঘরের হালা,তুমি এত বেশি বুঝ।বয়স তো মাত্র ১৩।এত বেশি বুঝ তোমার বা* কয়গছ উঠছে?” পরে আবার চিন্তা করলাম থাউক,এতবড় কথা ওরে কওয়া ঠিক হইবনা এর চাইয়া অরে একটা ব্লক মাইরা থুই।যেই ভাবা সেই কাম,শ্যালক মহাশয়রে চীর জীবনের জন্যকারাগারে ঢুকাইয়া থুইলাম(প্রিয় মানুষরে অপবাদ দিলে কয়জনের মাথা ঠিক থাকে বলেন?)। এখন কথা হইল ঐটা না,কথা হইল, অনেকেই কয় হুমায়ুন আহমেদ স্যার নাকি নাস্তিক আছিলেন।আসলে এইটা যারা কয় হেগো মাথায় জ্ঞানবুদ্ধি আছে বইলা আমি মনে করিনা।হেগো বাংলার সেরা ছাগল কইলেও ছাগলের অপমান হইয়া যায়। হুমায়ুন স্যার যে খাঁসা আস্তিক সেইটা “প্রথম আলো” প্রমাণ করছিল তার সাথে একজনের সাক্ষাত্কার তুইলা ধইরা। হুমায়ুন স্যারকে ধর্মের কথা জিগাইছিল পর তিনি কইল,”সব কিছুরই একটা ধর্ম আছে,এই যে দেখো বিজ্ঞানের ও ধর্ম আছে,তরিত্ এর ধর্ম আছে,চৌম্বকের ও ধর্ম আছে” যার জ্ঞানী তারা এতেই বুইঝা নিবে যে স্যার আস্তিক না নাস্তিক ছিলেন। তাছাড়া স্যারের লিখার মধ্যে “আল্লাহ”লিখেছে কোন সময় আল্লা লিখেন নাই।সাধারনত আমরা মুসলিমরাই অনেক সময় “আল্লাহ” কে আল্লা লেখি।হুমায়ুন স্যার কিন্তু অতি শুদ্ধ ভাবে আল্লাহ লিখতেন। হুমায়ুন আহমেদ স্যার কিন্তু রাসুল সঃ এর নাম এইভাবে লিখত”মুহম্মদ সঃ”।আর তিনি যদি নাস্তিক হইত তাইলে শুধু মোহাম্মদ লিইখা যাইতেন। তার লিখনির মইধ্যে মাঝে মাঝে হাদীস উইঠা আইত যার প্রত্যেকটাই ছিল সহীহ্ হাদীস। আচ্ছা একজন নাস্তিকের কি প্রোয়োজন লেখার মইধ্যে হাদীস দেয়ার?তাও আবার সহীহ্ হাদীস। শোনা যায় স্যার মৃত্যুর আগে তার প্রিয় কয়েকটা কুরআনের আয়াত পড়ছিলেন। আচ্ছা তিনি যদি নাস্তিক হইতেন তাইলে তিনি মৃত্যুর আগে কুরআনের আয়াত গুলা কেন পড়ছিলেন? যারা স্যারকে নাস্তিক বলেন তারা শোনেন,একজনার সম্বন্ধে আগে না জাইনা আমার শ্যালকের মত বা* পাকনামি যারা করে তারা কিন্তু অল্পেই ধরা খায়া যায়। আর অতিরিক্ত বা*পাকনামি লাইফ এবং সাস্থ্য দুইটার জইন্যই হুমকি স্বরুপ। আগে একজন সম্বন্ধে ভালো কইরা জানেন তারপর তার সম্বন্ধে বলেন আগে ভাগে নও। »পদটীকাঃ-অতিরিক্ত বা*পাকনামি লাইফের জন্যি ভয়ঙ্কর।এতে শত্রু বাড়ে।

Saturday, April 19, 2014

হেঁদু ধর্মে পর্দার বিধান!

পাঠক,
এই বিষয়ে লিখিবার কোন আগ্রহই আমার ছিলনা ।কিন্তু আমার এক বন্ধু মানুষ নীলাভ নিলয় (Bahalul Majnun) এর অনুরোধে পোষ্টটি লিখিতে বসিলাম।
*হেঁদু দাদারা অনেক সময় খোঁটা দিয়া মুসলিমদের বলে তোমাদের ধর্মে মেয়ে জাতীকে বস্তায় ভরিয়া রাখে হু!আর আমাদের ধর্মে নাই।
আসুন দেখিয়া লই পর্দা সম্বন্ধে তাহাদের ধর্মে কিছু বলিয়াছে নাকি:-
নারীদের পর্দা অমুসলিমদের মধ্যে একটি ভুল ধারনা প্রচলিত রহিয়াছে যে ইসলাম নারীদের ছোট করিয়া রাখে, তাদের পর্দায় করিতে নির্দেশ দেয় ।এইটা আসলে তাহারা তাহাদের অজ্ঞানতার কারনে বলিয়া থাকে। ইসলাম শুধু নারীদের নয় পুরুষদেরও পর্দার কথা বলিয়া থাকে । আর প্রথমে পুরুষদের কথা বলা হইয়াছে তাহার পর নারীদের। যেমন কুরআনের ২৪ নম্বার সুরার ৩০ নম্বার আয়াতে পুরুষদের পর্দার কথা বলা হইয়াছে । এর পরের আয়াতে অর্থাৎ ৩১ নম্বার আয়াতে নারীদের পর্দার নির্দেশ দেয়া হইয়াছে । যদি পুরুষ এবং নারী উভয়ই শরীর ঢাকিয়া রাখে তাহা হইলে সমাজ হইতে ধর্ষন, ব্যভিচার, অবৈধ সম্পর্ক অনেক কমিয়া যাইবে । সৌদি আরব ধর্ষন, ব্যভিচার বা অনান্য নোংরামীতে সবচাইতে পিছাইয়া আছে । এর কারন হইল পর্দা এবং ইসলামী শরীয়তের বাস্তবায়ন ।
আমি অনেক হেঁদু ব্যক্তির কাছে শুনিয়াছি আথবা হেঁদু লেখকদের লেখা পড়িয়াছি যেইখানে তাহারা বলিয়াছে ইসলাম একখানা জঘন্য ধর্ম (নাউযুবিল্লাহ)কারন তাহারা মেয়েদের পর্দায় রাখিয়া দেয় । আমি খুব অবাক হইয়াছি, তাহারা কি নিজেদের ধর্মগ্রন্থ গুলো পড়ে না । তাহারা কি ভাবে এইসব কথা মুখে আনে । আপনারা অনেকেই হয়তো শুনিয়া অবাক হইবেন যে হেঁদু ধর্মেও নারীদের পর্দার কথা বলা হইয়াছে । যেমন- “যেহেতু ব্রহ্মা তোমাদের নারী করিয়াছেন তাই দৃষ্টিকে অবনত রাখিবে, উপরে নয় । নিজেদের পা সামলাইয়া রাখো । এমন পোষাক পড় যাহাতে কেউ তোমার দেহ দেখিতে না পায়।(ঋকবেদ ৮।৩৩।১৯)।
এইখানেই প্রমাণ হইয়া যায় যে হেঁদু ধর্মেও পর্দার বিষয়খানা স্পষ্ট ফুঁটিয়া উঠে।কিন্তু হেঁদুরা মুসলমানদের খাঁটো করিবার জন্য নাস্তিকদের সহিত একত্রিত হইয়া উচ্চ বাক্যে বলিয়া থাকেন যে পর্দা প্রথা আসলে তাহাদের ধর্মে নাই।আর মুসলমানরা নিকৃষ্ট কেননা তাহারা নারীদের পর্দা করিতে বলিয়া ধর্ষন হইতে রক্ষা করিয়া দেয়।
পর্দা না করিলে আবার ব্রাহ্মনদের বহুমুখি সুবিধা রহিয়াছে,কেননা যদি কোন হেঁদু যুবতী পর্দা করিতে শুরু করিয়া দেয় তাহা হইলে তো আর সেই যুবতী ব্রাহ্মনের সেবাদাসী হইতে চাহিবেনা,আর ব্রাহ্মন মহাশয় ও তো আর তাহার সহীত সঙ্গম করিতে পারিবেনা।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস,এই জন্যই বোধ হয় ব্রাহ্মন মহাশয়েরা হেঁদু ধর্মের পর্দার বিষয়খানা এড়াইয়া যায় এবং মুসলমানের সমালোচনায় মদ্দ মাতাল হইয়া পড়ে।
হায়রে হেঁদু!হায়রে ব্রাহ্মন!
আবার বলি তোরা মানুষ হ!

Thursday, April 17, 2014

"হেঁদু সমাচার"|শেষ পত্র

bolpondee.gif


হেঁদু দাদারা অনেক সময় বলিয়া থাকেন যে,"মুহম্মদ সঃ হইতে তাহাদের কেষ্ট(কৃষ্ঞ)বড়!"আর মসলমান হইতে হেঁদুই নাকি শ্রেষ্ঠ!খ্যাক খ্যাক খ্যাক হেসে মরলুম!হেসে মরলুম!
পাঠক আগেই দেখিয়া নিন মুহম্মদ সঃ সম্পর্কে জ্ঞানী গুনিরা কি বলিয়াছেন: মুহম্মদ সঃ এর জীবনি লিখিতে গিয়া ঐতিহাসিক খ্রীষ্টান লেখক 'উইলিয়াম মূর' অতি আবেগে বলিয়াছিলেন"

Muhammad(sm)was the master mind not only of his own age but of all ages!" অর্থাত্‍,মুহম্মদ সঃ যেই যুগে আবির্ভূত হইয়াছিলেন তাহাকে শুধু সেই যুগের মহামনীষী বলিলে চলিবেনা!বরংচ তাহাকে সর্ব কালের,সর্ব যুগের,সর্বশ্রেষ্ঠ মহামনীষী বলা চলে!

আবার

"বিশিষ্ট ঐতিহাসিক জোসেফ হেল বলিয়াছেন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনই একজন মহান ব্যক্তি ছিলেন, যাহাকে না হইলে বিশ্ব অসম্পুর্ন থাকিয়া যাইতো।তিনি নিজেই নিজের তুলনা। তাঁহার কৃতিত্বময় ইতিহাস মানব জাতির ইতিহাসে এক সমুজ্জল অধ্যায় রচনা করিয়াছে।"

আচ্ছা এইবার দাদাদের নিকট প্রশ্ন করি,

ওহে শ্রী কেষ্টের লইয়া কোন জ্ঞানী গুনী কি বলিয়াছিলেন,He was the master mind not only of his own ages?

অথবা কেউ কি বলিয়াছিলেন যে,

তিনি নিজেই নিজের তুলনা?

অথবা খ্রীষ্টান ঐতিহাসিকরা কি লিখিয়াছিলেন যে তিনি সমগ্র মানুষের শ্রেষ্ঠ মানুষ? ঐতিহাসিক মাইকেল এইচ হার্ট(Mickhel H Heart) তাহার The 100(একশ মনীষীর)জীবনি বইখানায় হযরত মুহম্মদ সঃ এর নাম খানা সর্ব প্রথম দিয়াছেন!কই আমি তো ঐ বইখানায় কেষ্ট ঠাকুরের নাম খানা পাইলাম না।একজন বা ২জন হেঁদু মনীষীর নাম পাইলাম তাহাও আবার অনেক,অনেক পৃষ্ঠা পর। হেঁদু দাদারা অনেক সময় খ্রীষ্টানদের নিজেদের পক্ষে রাখিবার জন্য একটা কথা বলিয়া থাকেন যে "যিশু খ্রীষ্ট(হযরত ঈসা আঃ) ও রামচন্দ্র নাকি একই মাঠে বকরি চড়াইতেন":পি। মূলত এইটা ছিল একজন হেঁদু কবির কবিতা।তিনি আবেগে আপ্লুত হইয়া খ্রীষ্টানদের দালালি করিতে ইহা লিখায়াছিলেন১৮০০সালে।একটা বিষয় ভাল করিয়া চিন্তা করিলেই তো ইহার সত্যতা পাওয়া যায় ,সেইটা হইল যিশু ও রামের জন্ম।যিশু খ্রীষ্ট(ঈসা আঃ) কবে জন্ম হইয়াছিলেন আর রামের ইতিহাস কবে গড়িয়াছে। হেঁদু দাদাদের নিকট একখানা প্রশ্ন রহিল, বেদে আছেঃ

একং ব্রহ্মং স্রষ্ঠং নে নাস্সিং কে কিংটং।

অর্থাত্,ঐ সৃষ্টি কর্তাকে সেজদা কর যাহার কোন শরীক নেই,যাহাকে দুনিয়ার চক্ষু দিয়ে দেখিতে চাইলে অন্ধ হয়ে যায়। আচ্ছা দাদা আপনারা তো দূর্গাকে দেখিয়া দেখিয়া,কালিকে দেখিয়া দেখিয়া পূজা দেন!লক্ষীকে দেখিয়া দেখিয়া পূজা দেন!কোন দিন কি আপনাদের ভগবানকে দেখতে গিয়া চোখ অন্ধ হইয়াছে? হেঁদু দাদার অনেক সময় খোঁটা মারিয়া বলে যে,মুসলমানের ধর্ম মাত্র ১৪০০বছর পূর্বের আর আমাদের ধর্ম কত পুরোনো! আহা মধু মধু,আসলে হেঁদু ধর্ম বলিতে কিছু নাই।হেঁদু একটা জাত।এই ধর্মের মূল নাম হইল সনাতন ধর্ম।এখন ও ইন্ডিয়ার মাটি খুড়িলে আর্য পুরাতন নিদর্শন পাওয়া যাইবে। ইসলাম ধর্ম যে কত পুরোনো উহা জানিতে হইলে আগে কোরআন ও আদম আঃ এর জীবনি পড়িতে হইবে।পৃথিবীর সর্বপ্রথম ধর্মই ইসলাম।আর প্রথম মানুষ ও ছিল নিষ্পাপ মুসলিম।খ্রীষ্টান ও ইহুদি ধর্মেও প্রথম মানুষ হিসেবে আদম আঃ এর নাম আছে ।শুধু মাত্র মা হাওয়া আঃ এর নাম "ইভ"উল্লেখ করিয়াছে বাইবেলে। আপনি কি জানেন হেঁদু ধর্মটা আসলে শয়তানের সৃষ্ট ধর্ম ? কারন আপনি হাবিল কাবিলের জীবনি পড়িলে দেখিবেন এই দুই ভাইয়ের এক ভাইকে শয়তানে ধোঁকা দিয়া মূর্তি পূজা করাইয়াছিল!আর হেঁদুরাও এই মূর্তি পূজা ব্যাপক আকারে করিয়া থাকে। হেঁদু দাদারা অনেক সময় রাসুলুল্লাহ সঃ এর বিবিদের নিয়া খোঁটা দিয়া থাকেন যে তাহারা এতগুলা বিবি কেন? আমি হেঁদু দাদাদের বলি,এই প্রশ্ন করিবার আগে একবার আপনার কেষ্ট মহাশয়ের দিকে তাকাইয়া দেখেন তাহার ছিল ১৬০০১জন বৌ!আর মেইন বৌ ছিল ৮জন। হেঁদু দাদারা বলিয়া থাকেন যে আরব্য ইতিহাস নাকি বর্বর ! দাদা আপনাদের ইতিহাস পড়িলে একখানা শিশু ও লাফাইয়া উঠিয়া কহিবেন,এরা কি মানুষ্য নাকি রাক্ষস খোক্ষসের দল? আপনাদের সৃষ্টিকর্তা কার্টুন হয় আমাদের নয়।বিভিন্ন ভারতী কার্টুন যাহারা ছোটবেলায় দেখিয়াছেন তাহারা কি দেখেন নাই দাদাদের কার্টুন দেব দেবী? এখন দাদারা বলেন যে আপনারা আমাদিগ হইতে কোন জায়গায় বড় আছেন? পেছনে না সামনে? উপড়ে না নিচে? নাকি কোনে কোনে? কয়েকটা দিক হইতে আপনাদের শ্রেষ্ঠ বলিতে হয়।
  • ১.পর্ণে।
  • ২.বুদ্ধিহীনতায়।
  • ৩.হিংস্রতায়।
  • ৪.ভূয়ামিতে ,মিথ্যা ইতিহাস তৈরীতে।
  • ৫.ইনসেস্ট।
  • ৬.পরধর্মে অসহিষ্ঞুতায়।
  • ৭.মুসলিম খুনে।
  • ৮.ধর্ষনে।
  • ৯.ছাগলামিতে।
  • ১০.জাতী বিভাগে।
  • ১১.চটিতায়
হেঁদু ধর্মে আবার ব্রাহ্মনরা সৃষ্টিকর্তা হিসেবে পূজা পায় তাই ব্রাহ্মনরাই হেঁদু ধর্মে সৃষ্টিকর্তার মতো আচরন করিয়া থাকে। মুসলমানদের মধ্যে কিন্তু উহা নাই মুসলমান ফকির ও যা রাজাও সেই একই ভাবে সৃষ্টিকর্তার নিকট বিবেচ্য ! হেঁদু দাদার এখন মুসলমানদের হইতে কোন দিক দিয়া আগাইয়া আছেন? বুদ্ধিতে না ধর্মে কর্মে? কোন দিক দিয়াই আপনারা আমাদিগ হইতে আগাইয়া নাই।শুধু ছাগপালের মতো ব্যা ব্যা করিতে পারেন। হেঁদু দাদাদের আমি প্রকাশ্যে দাওয়াত দিয়া দিলাম তাহাদের অনুরোধ করি আপনার সত্য ধর্ম ইসলাম ধর্ম গ্রহন করিয়া ফেলেন আখিরাতে শান্তি পাইতে হইলে।
হেঁদুসমাচার সমাপ্ত।

Monday, April 14, 2014

হেঁদু সমাচার|৪র্থ পত্র

প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বে যাহা আলোচনা করেছিলুম ১.হেঁদু মা কালী। ২.হেঁদু চরিত্র ও তাহাদের জ্ঞান। ৩.জ্ঞান বিজ্ঞানে হেঁদু ও তাহাদের মনীষী বৃন্দ। এপর্বে আলোচনা করিবঃ

হেঁদুরা নারীকে যে সম্মান দেয়।

হেঁদু দাদারা অনেক সময় বলিয়া থাকেন যে মুসলিমরা নাকি নারীদের অধিকার দেয় নাই।কিন্তু আমাদের হেঁদু ধম্মে নারী পুরুষের সমান অধিকার রহিয়াছে! হেঃহেঃহেঃ হেসে মরলুম। আসেন দেখি হেঁদু ধর্মে নারী পুরুষের সম অধিকার এক নজরে দেখিয়া লই,

হেঁদু ধর্ম পুরুষকে বসাইয়াছেন প্রভুর (দেবতার) আসনে আর নারীকে করিয়াছেন গোলাম ! মনুসংহিতার [৫:১৫৪] তে বিধান রহিয়াছেঃ বিশীলঃ কামবৃত্তো বা গুণৈর্বা পরিবর্জিতঃ । উপচর্যঃ স্ত্রিয়া সাধ্বা সততং দেববত্ পতিঃ \\ ১৫৪ \ \ অর্থঃ “পতি সদাচারহীন (চরিত্রহীন) পরস্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কযুক্ত বা গুণহীন হলেও সতী স্ত্রী সেই পতিকে দেবতার মতই পুজো করিবে।” সূত্রঃ মনুসংহিতার [অধ্যায়-৫, পৃষ্ঠা- ১৬২, শ্লোক-১৫৪, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়] [!] পতির সব দোষই নিবরে সহ্য করিবে পত্নী কিন্তু পত্নীর কোন দোষ করা চলিবে না। পতির পরস্ত্রীতে আসক্ত হওয়াটা কোন দোষের নহে।হেঁদু ধর্মে রহিয়াছে পতির মৃত্যুর পর পত্নীর পুনরায় বিয়ে করা যাইবে না। কিন্তু পত্নীর মৃত্যু হইলে দাহ ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে পুরুষ পুণরায় বিয়ে করিতে পারিবে। পুরুষ তাহার অতিক্রিয়া নিবৃত্ত করার জন্য পুনরায় বিয়ে করিতে পারিবে কিন্তু যে মেয়ের স্বামী বিবাহের রাতে কিংবা বিবাহের দু’তিন মাসের মধ্যে মরিয়া যায়; সেই মেয়েকে কেন সারাটি জীবন বিধবা সাজিয়া থাকিতে হইবে? হিন্দু ধর্মে মেয়েদের অতিক্রিয়ার কি কোনই মূল্য নাই? হিন্দু ধর্মে আছেঃ কামনত্ত ক্ষপয়েদ্দেহং পুষ্পমূলফলৈঃ শুভৈঃ । ন তু নামাপি গৃহ্নীয়াত্ পত্যৌ প্রেতে পরস্য তু \\ ১৫৭ \\ অর্থঃ ”পতির মৃত্যুর পর পত্নী ফলমূলের স্বল্পাহার দ্বারা দেহ ক্ষয় করিবে, তবু পর পুরুষের নাম করিবে না।” সূত্রঃ মনুসংহিতা [অধ্যায়-৫ , শ্লোক- ১৫৭, পৃষ্ঠা- ১৬৩, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়] ভার্যায়ৈ পূর্বমারিণ্যৈ দত্ত্বাগ্নীনন্ত্যকর্মণি । পুনর্দারক্রিয়াংকুর্যাত্ পুনরাধানমেব চ \\ ১৬৮ \\ অর্থঃ ”পত্নীর মৃত্যুর হইলে দাহ ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে পুরুষ আবার বিয়ে করিবে।” সূত্রঃ মনুসংহিতা [অধ্যায়-৫, শ্লোক-১৬৮, পৃষ্ঠা-১৬৪, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়] অপর এক মতে আছেঃ বিয়ে ছাড়া নারীর মুক্তি নাই। কাঙ্খিত স্বর্গ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে নারীদের অবশ্যই বিয়ে করিতে হইবে। নারীরা চিরকুমারী থাকিতে পারিবে না। কিন্তু পুরুষেরা চিরকুমার হইয়া থাকিতে পারিবেন।

তাহা হইলে হিন্দু ধর্মে নারী-পুরুষের সম অধিকার কোথায়?এছাড়াও হেঁদু ধর্মে নারী তাহার পুত্রের সম্পত্তি হইতে এতটুকুও পায়না।নারীরা নাকি পুরুষের দাস ইহাও হেঁদু ধম্মের মূলনীতি! আসুন এইবার দেখি ইসলাম নারীকে কি মর্যাদা দিয়া থাকে। ইসলাম নারীকে দিয়াছে মায়ের মর্যাদা,ইসলাম নারীকে দিয়াছে বোনের মর্যাদা,ইসলাম নারীকে দিয়াছে পত্নির মর্যাদা!ইসলাম নারীকে দিয়াছে পিতার সম্পত্তি হইতে অধিকার,ইসলাম নারীকে দিয়াছে স্বামীর সম্পত্তি পাইবার অধিকার,ইসলাম নারীকে দিয়াছে ব্যবসা ,জিহাদ(হিজাব সহকারে) করিবার অধিকার,ইসলাম দিয়াছে মায়ের পদ তলে বেহেস্ত।ইসলামে বলা হয়নি যে,তুমি তোমার স্ত্রীকে অল্প দোষে গায়ে হাত তুলিবে।বিনা কারনে স্ত্রীকে তালাকের বিধান ও ইসলামে নাই।হেঁদুদের মতো ইসলামে নারীরা পুরুষের দাস নয়।নারী পুরুষ উভয়ই আল্লাহর দাস।ইসলামে ।হাদীসে আছে, যেই লোকের ৩টি কন্যা হইবে ঐ লোকটা জান্নাতি।হেঁদু দাদারা অনেক সময় বলিয়া থাকেন যে ইসলাম নারীকে যদি অধিকারই বেশিই দিয়া থাকে তাহা হইলে নারী দিগকে কেন কালো বস্তায় ঢুকিয়া থাকিবার নির্দেশ দেয়। আমি ঐ দাদাকে আমার লেখা"ধর্ষন ও ইভটিজিং কেন হয়"লেখাটি পড়িতে বলিব।তাহা হইলেই ঐ দাদা বুঝিতে পারিবেন যে,আসলে নারী পর্দা অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।আর পর্দাতো তাহাদের ধর্মেও রহিয়াছে। এইবার চলিয়া আসি মূল আলোচনায় ,হেঁদুরা যে বলিয়া থাকেন যে ইসলামের চাইয়াও হেঁদু ধর্মে নারীদের সম্মান বেশি দিয়াছে!আহা মধু!মধু!মধু! আমরা ইতিহাসের সেই সতীদাহ প্রথা কি ভুলিয়া গিয়াছি যেটা হেঁদু ধর্মে প্রচলিত ছিল? জীবন্ত নারীকে মৃত স্বামীর সহিত পুড়িত হইত চিতার অনলে!কি নির্মম কি নিষ্ঠুর! বিয়ের আগে নারীকে থাকিতে হইত ব্রাহ্মনদের সেবাদাসী হইয়া।ব্রাহ্মনরা ঐ নারীর সহিত সঙ্গম করিয়া তাহার পেটে ব্রাহ্মনের অবৈধ বাচ্চা ঢুকাইয়া দিতো!আমরা কি ভুলিয়া গিয়াছি তাহা?ইহার পরেও কি হেঁদু দাদারা তাহাদের নারীর প্রতি অধিকার রক্ষার আলোচনা করিবে? পাঠক আপনারাই বিবেচনা করিয়া বলেন নারীদের কাহারা বেশি অধিকার দিয়াছে,ইসলাম নাকি হেঁদু?

Sunday, April 13, 2014

"হেঁদু সমাচার"|৩য় পত্র

আগের 2টি পর্বে আলোচনা করিয়াছিলুম হেঁদু মাতা কালী,হেঁদু চরিত্র এবং ধর্ষন এবং লিলা লইয়া।২য় ১ম পর্বের আলোচনা গুলো এ পর্বে টানিব না হেঁদুরা অনেক সময় দাবী করিয়া বসে যে,তাহারা মুসলমান হইতে জ্ঞান বিজ্ঞানে আগাইয়া আছে! তো দাদারা কোন বিজ্ঞানে হাত লাগাইয়াছে উহা আলোচনা না করিলেই নয়ঃ- হেঁদু দাদারা অনেকসময় গর্বের সহিত বলিয়াই ফেলে,ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর,জগদীশ চন্দ্র বসু,রবি ঠাকুরের কথা।দাদারা বলেন যে জগদীশ চন্দ্র বসু তো হেঁদু বিজ্ঞানী!ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর ও তো হেঁদু ছিলেন!এবং নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন যে রবী ঠাকুর উনিও তো হেঁদুই ছিলেন।মুসলমানের মধ্যে কি এমন একজন কে দেখাইতে পারিবে যে উহাদের মতো জ্ঞানী?হেঁদু দাদাদের চোখে আঙ্গুল দিয়া দেখাই দিতে চাই হেঁদুরা যাদের নিয়া গর্ব করিতেছে ঐ জ্ঞানী গুলো মুসলমান বিজ্ঞানীরা পা ধোয়াইবার কাজেও রাখিতনা।চিকিত্‍সা বিজ্ঞান হইতে শুরু করিয়া ভূতত্ত্ব,মহাকাশ,রসায়ন,পদার্থ, সমাজবিজ্ঞান,দর্শন,যুক্তিশাস্ত্র,গণিতশাস্ত্র সবই কিন্তু মুসলমানদের দখলে! ইতিহাস থেকে বলিতেছি,
  • আলফারাবী(Farabi'as):-পদার্থ বিজ্ঞানে তিনিই শূন্যতার অবস্থা প্রমাণ করিয়াছিলেন।দার্শনিক হিসেবে ছিলেন নিয়প্লেটনিস্ট দের পর্যায় বিবেচিত।বিজ্ঞানী আল ফারাবী সমাজবিজ্ঞান,রাষ্ট্রবিজ্ঞান,দর্শন,যুক্তিশাস্ত্র প্রভৃত বিষয়ে বহু রচনা লিখিয়া গিয়াছেন।তাহার রচিত "আলা আহলে আল মদীনা আল ফাদিলা(দর্শন ও রাষ্ট্র বিজ্ঞান সম্পর্কিত) গ্রন্থটি সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য।
  • ইবনুন নাফিসঃ-মানব দেহের রক্তসঞ্চালন পদ্ধতি,শ্বাসনালীর সঠিক গঠন,ফুসফুসে সঠিন গঠন পদ্ধতি,শ্বাসনালী,হৃত্‍পিন্ড,শরীর শিরা উপশিরায় বায় ও রক্তের প্রবাহ ইত্যাদি সর্ব বিষয়ের আবিষ্কারক তিনিই।
  • জাবির ইবনে হাইয়ানঃ-সর্বপ্রথম সালফিউরিক ও নাইট্রিক এসিড আবিষ্কার করিয়াছিলেন তিনি।তিনিই দেখাইয়াছিলেন কিছু মিশ্র মিশ্র ও যৌগিক পদার্থ,যেগুলোকে অনায়াসে চূর্ণে পরিণত করা যায়।নির্ভেজাল বস্তুর পর্যায়ে তিনি তুলিয়া ধরেন সোনা,রূপা,তামা,লোহা,দস্তা প্রভৃত।নাইট্রিক এসিডে স্বর্ণ গলানো র ফর্মূলা তাহারই আবিষ্কার।নাইট্রিক ও হাইড্রোক্লোরিক এসিডে স্বর্ন গলানো পদার্থটির নাম যে রিজিয়া উহা তারই তাহারই প্রদত্ত নাম।জাবির ইবনে হাইয়ান স্বর্ন ও পরশ পাথর বানাইতে জানিত!অন্য ধাতুর সঙ্গে মিশ্র স্বর্ণকে !পদ্ধতিতে অর্থাত্‍ মীগারের সঙ্গে মিশিয়ে স্বর্ণ বিশুদ্ধ করার পদ্ধতি তিনিই আবিষ্কার করিয়াছেন।তিনি চিকিত্‍সাশাস্ত্র,ইউক্লিড ও আল মাজেস্টের,ভাষ্য,দর্শন,যুদ্ধবিদ্যা,রসায়ন,জ্যামিতি,জ্যোর্তিবিজ্ঞান সম্পর্কে ২০০০এর ও বেশি গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন!
  • আল বেরুনিঃ-তিনিই সর্বপ্রথম প্রাচ্যের জ্ঞান বিজ্ঞান বিশেষ করে ভারতের জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রতি মনীষীদের দৃষ্টি আকর্ষন করিয়াছিলেন।অধ্যাপক মাপা বলিয়াছিলেন,"আল বেরুনী শুধু মুসলিম বিশ্বেরই নয় বরং তিনি ছিলেন সমগ্র বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী!"তার লেখা কিতাবুল হিন্দ পড়িয়া অধ্যাপক হামারনেহের লিখিয়াছেন As a result of his profound and intimate knowladge of the country and its people,the author left us in his writing the welth of information of undying interest on civilization in the sub continent during the first half at the eleventh century.আল বেরুনী বহু জ্ঞান বিজ্ঞান সভ্যতার ইতিহাস,মৃত্তিকা তত্ত্ব ,সাগর তত্ত্ব এবং আকাশ তত্ত্ব মানব জাতীর জন্যে অবদান রাখিয়া গিয়াছেন!ইউরোপীয় পন্ডিতগনের মতে বেরুনী নিজেই বিশ্বকোষ।ত্রিকোণমিতিতে তিনি বহু তথ্য আবিষ্কার করিয়াছেন।কোপার্নিকাস বলিয়াছিলেন,পৃথিবী সহ গ্রহগুলো সূর্যকে প্রদক্ষিন করিয়া থাকে।অথচ কোপার্নিকাসের জন্মের ৪২৫ বছর পূর্বেই আল বেরুনী বলিয়াছিলেন,বৃত্তিকা গতিতে পৃথিবী ঘোরে।তিনিই দশমিক অংকের সঠিক গননা ,শব্দের গতির সহিত আলোর গতির পার্থক্য আবিষ্কার,জ্যোর্তিবিদ্যায় পারদর্শী। ও তিনি এরিস্টটলের হেভেন গ্রন্থের ১০০টি ভুল আবিষ্কার করিয়াছিলেন।সুক্ষ গননায় The Formula of Intaraptionতাহারই আবিষ্কার কিন্তু পাশ্চাত্য পন্ডিতগন উহা নিউটনের আবিষ্কার বলিয়া প্রচার চালাইতে চাইছেন।
  • ওমর খৈয়ামঃ-বীজগনীতের আবিষ্কারক,বর্তমান বর্ষপঞ্জিকার আবিষ্কারক,বাইনোমিল থিউরিয়ামের প্রথম আবিষ্কারক।এলালিটিক জিওমেট্রি কল্পনা তিনিই সর্বপ্রথম করিয়াছেন।
  • ইবনে সিনাঃ-মেনেনজাইটিস রোগের আবিষ্কারক।পানি ও ভুমির মাধ্যমে যেই সকল রোগ ছড়াইয়া থাকে উহা সর্বপ্রথম তিনিই আবিষ্কার করিয়াছিলেন।সময় ও গতির সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্কে কথা তিনিই আবিষ্কার করিয়াছিলেন।
এই খানে আমি সামান্য কয়েকজন জ্ঞানী গুনির নাম দিয়াছি এখন ও ,ঈমাম গাজ্জালি রহঃ,মহা কবি ফিরদৌস,আল বাত্তানী,ইবনে রুশদ,কাজী নজরুলের প্রতিভার কথা লিখিনাই।এই সামান্য কয়েকজনের আবিষ্কার আর জ্ঞানের কথা শুনিয়াই আপনি বিবেচনা করিয়া বলিতে পারিবেন যে ,আসলে হেঁদু পন্ডিতগন আসলে মুসলমান পন্ডিতদের পা ধোয়াইবার যোগ্যতাও অর্জন করিতে পারেনাই।