Pages

Monday, April 14, 2014

হেঁদু সমাচার|৪র্থ পত্র

প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বে যাহা আলোচনা করেছিলুম ১.হেঁদু মা কালী। ২.হেঁদু চরিত্র ও তাহাদের জ্ঞান। ৩.জ্ঞান বিজ্ঞানে হেঁদু ও তাহাদের মনীষী বৃন্দ। এপর্বে আলোচনা করিবঃ

হেঁদুরা নারীকে যে সম্মান দেয়।

হেঁদু দাদারা অনেক সময় বলিয়া থাকেন যে মুসলিমরা নাকি নারীদের অধিকার দেয় নাই।কিন্তু আমাদের হেঁদু ধম্মে নারী পুরুষের সমান অধিকার রহিয়াছে! হেঃহেঃহেঃ হেসে মরলুম। আসেন দেখি হেঁদু ধর্মে নারী পুরুষের সম অধিকার এক নজরে দেখিয়া লই,

হেঁদু ধর্ম পুরুষকে বসাইয়াছেন প্রভুর (দেবতার) আসনে আর নারীকে করিয়াছেন গোলাম ! মনুসংহিতার [৫:১৫৪] তে বিধান রহিয়াছেঃ বিশীলঃ কামবৃত্তো বা গুণৈর্বা পরিবর্জিতঃ । উপচর্যঃ স্ত্রিয়া সাধ্বা সততং দেববত্ পতিঃ \\ ১৫৪ \ \ অর্থঃ “পতি সদাচারহীন (চরিত্রহীন) পরস্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কযুক্ত বা গুণহীন হলেও সতী স্ত্রী সেই পতিকে দেবতার মতই পুজো করিবে।” সূত্রঃ মনুসংহিতার [অধ্যায়-৫, পৃষ্ঠা- ১৬২, শ্লোক-১৫৪, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়] [!] পতির সব দোষই নিবরে সহ্য করিবে পত্নী কিন্তু পত্নীর কোন দোষ করা চলিবে না। পতির পরস্ত্রীতে আসক্ত হওয়াটা কোন দোষের নহে।হেঁদু ধর্মে রহিয়াছে পতির মৃত্যুর পর পত্নীর পুনরায় বিয়ে করা যাইবে না। কিন্তু পত্নীর মৃত্যু হইলে দাহ ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে পুরুষ পুণরায় বিয়ে করিতে পারিবে। পুরুষ তাহার অতিক্রিয়া নিবৃত্ত করার জন্য পুনরায় বিয়ে করিতে পারিবে কিন্তু যে মেয়ের স্বামী বিবাহের রাতে কিংবা বিবাহের দু’তিন মাসের মধ্যে মরিয়া যায়; সেই মেয়েকে কেন সারাটি জীবন বিধবা সাজিয়া থাকিতে হইবে? হিন্দু ধর্মে মেয়েদের অতিক্রিয়ার কি কোনই মূল্য নাই? হিন্দু ধর্মে আছেঃ কামনত্ত ক্ষপয়েদ্দেহং পুষ্পমূলফলৈঃ শুভৈঃ । ন তু নামাপি গৃহ্নীয়াত্ পত্যৌ প্রেতে পরস্য তু \\ ১৫৭ \\ অর্থঃ ”পতির মৃত্যুর পর পত্নী ফলমূলের স্বল্পাহার দ্বারা দেহ ক্ষয় করিবে, তবু পর পুরুষের নাম করিবে না।” সূত্রঃ মনুসংহিতা [অধ্যায়-৫ , শ্লোক- ১৫৭, পৃষ্ঠা- ১৬৩, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়] ভার্যায়ৈ পূর্বমারিণ্যৈ দত্ত্বাগ্নীনন্ত্যকর্মণি । পুনর্দারক্রিয়াংকুর্যাত্ পুনরাধানমেব চ \\ ১৬৮ \\ অর্থঃ ”পত্নীর মৃত্যুর হইলে দাহ ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে পুরুষ আবার বিয়ে করিবে।” সূত্রঃ মনুসংহিতা [অধ্যায়-৫, শ্লোক-১৬৮, পৃষ্ঠা-১৬৪, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়] অপর এক মতে আছেঃ বিয়ে ছাড়া নারীর মুক্তি নাই। কাঙ্খিত স্বর্গ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে নারীদের অবশ্যই বিয়ে করিতে হইবে। নারীরা চিরকুমারী থাকিতে পারিবে না। কিন্তু পুরুষেরা চিরকুমার হইয়া থাকিতে পারিবেন।

তাহা হইলে হিন্দু ধর্মে নারী-পুরুষের সম অধিকার কোথায়?এছাড়াও হেঁদু ধর্মে নারী তাহার পুত্রের সম্পত্তি হইতে এতটুকুও পায়না।নারীরা নাকি পুরুষের দাস ইহাও হেঁদু ধম্মের মূলনীতি! আসুন এইবার দেখি ইসলাম নারীকে কি মর্যাদা দিয়া থাকে। ইসলাম নারীকে দিয়াছে মায়ের মর্যাদা,ইসলাম নারীকে দিয়াছে বোনের মর্যাদা,ইসলাম নারীকে দিয়াছে পত্নির মর্যাদা!ইসলাম নারীকে দিয়াছে পিতার সম্পত্তি হইতে অধিকার,ইসলাম নারীকে দিয়াছে স্বামীর সম্পত্তি পাইবার অধিকার,ইসলাম নারীকে দিয়াছে ব্যবসা ,জিহাদ(হিজাব সহকারে) করিবার অধিকার,ইসলাম দিয়াছে মায়ের পদ তলে বেহেস্ত।ইসলামে বলা হয়নি যে,তুমি তোমার স্ত্রীকে অল্প দোষে গায়ে হাত তুলিবে।বিনা কারনে স্ত্রীকে তালাকের বিধান ও ইসলামে নাই।হেঁদুদের মতো ইসলামে নারীরা পুরুষের দাস নয়।নারী পুরুষ উভয়ই আল্লাহর দাস।ইসলামে ।হাদীসে আছে, যেই লোকের ৩টি কন্যা হইবে ঐ লোকটা জান্নাতি।হেঁদু দাদারা অনেক সময় বলিয়া থাকেন যে ইসলাম নারীকে যদি অধিকারই বেশিই দিয়া থাকে তাহা হইলে নারী দিগকে কেন কালো বস্তায় ঢুকিয়া থাকিবার নির্দেশ দেয়। আমি ঐ দাদাকে আমার লেখা"ধর্ষন ও ইভটিজিং কেন হয়"লেখাটি পড়িতে বলিব।তাহা হইলেই ঐ দাদা বুঝিতে পারিবেন যে,আসলে নারী পর্দা অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।আর পর্দাতো তাহাদের ধর্মেও রহিয়াছে। এইবার চলিয়া আসি মূল আলোচনায় ,হেঁদুরা যে বলিয়া থাকেন যে ইসলামের চাইয়াও হেঁদু ধর্মে নারীদের সম্মান বেশি দিয়াছে!আহা মধু!মধু!মধু! আমরা ইতিহাসের সেই সতীদাহ প্রথা কি ভুলিয়া গিয়াছি যেটা হেঁদু ধর্মে প্রচলিত ছিল? জীবন্ত নারীকে মৃত স্বামীর সহিত পুড়িত হইত চিতার অনলে!কি নির্মম কি নিষ্ঠুর! বিয়ের আগে নারীকে থাকিতে হইত ব্রাহ্মনদের সেবাদাসী হইয়া।ব্রাহ্মনরা ঐ নারীর সহিত সঙ্গম করিয়া তাহার পেটে ব্রাহ্মনের অবৈধ বাচ্চা ঢুকাইয়া দিতো!আমরা কি ভুলিয়া গিয়াছি তাহা?ইহার পরেও কি হেঁদু দাদারা তাহাদের নারীর প্রতি অধিকার রক্ষার আলোচনা করিবে? পাঠক আপনারাই বিবেচনা করিয়া বলেন নারীদের কাহারা বেশি অধিকার দিয়াছে,ইসলাম নাকি হেঁদু?

2 comments:

  1. Kunjungan, pagi sobt:Pnyimak aja ya:)jika berkenan ane tunggu kunbalnya:)

    ReplyDelete
  2. ছাগল@TRISZNA90,

    ReplyDelete