Pages

Saturday, April 19, 2014

হেঁদু ধর্মে পর্দার বিধান!

পাঠক,
এই বিষয়ে লিখিবার কোন আগ্রহই আমার ছিলনা ।কিন্তু আমার এক বন্ধু মানুষ নীলাভ নিলয় (Bahalul Majnun) এর অনুরোধে পোষ্টটি লিখিতে বসিলাম।
*হেঁদু দাদারা অনেক সময় খোঁটা দিয়া মুসলিমদের বলে তোমাদের ধর্মে মেয়ে জাতীকে বস্তায় ভরিয়া রাখে হু!আর আমাদের ধর্মে নাই।
আসুন দেখিয়া লই পর্দা সম্বন্ধে তাহাদের ধর্মে কিছু বলিয়াছে নাকি:-
নারীদের পর্দা অমুসলিমদের মধ্যে একটি ভুল ধারনা প্রচলিত রহিয়াছে যে ইসলাম নারীদের ছোট করিয়া রাখে, তাদের পর্দায় করিতে নির্দেশ দেয় ।এইটা আসলে তাহারা তাহাদের অজ্ঞানতার কারনে বলিয়া থাকে। ইসলাম শুধু নারীদের নয় পুরুষদেরও পর্দার কথা বলিয়া থাকে । আর প্রথমে পুরুষদের কথা বলা হইয়াছে তাহার পর নারীদের। যেমন কুরআনের ২৪ নম্বার সুরার ৩০ নম্বার আয়াতে পুরুষদের পর্দার কথা বলা হইয়াছে । এর পরের আয়াতে অর্থাৎ ৩১ নম্বার আয়াতে নারীদের পর্দার নির্দেশ দেয়া হইয়াছে । যদি পুরুষ এবং নারী উভয়ই শরীর ঢাকিয়া রাখে তাহা হইলে সমাজ হইতে ধর্ষন, ব্যভিচার, অবৈধ সম্পর্ক অনেক কমিয়া যাইবে । সৌদি আরব ধর্ষন, ব্যভিচার বা অনান্য নোংরামীতে সবচাইতে পিছাইয়া আছে । এর কারন হইল পর্দা এবং ইসলামী শরীয়তের বাস্তবায়ন ।
আমি অনেক হেঁদু ব্যক্তির কাছে শুনিয়াছি আথবা হেঁদু লেখকদের লেখা পড়িয়াছি যেইখানে তাহারা বলিয়াছে ইসলাম একখানা জঘন্য ধর্ম (নাউযুবিল্লাহ)কারন তাহারা মেয়েদের পর্দায় রাখিয়া দেয় । আমি খুব অবাক হইয়াছি, তাহারা কি নিজেদের ধর্মগ্রন্থ গুলো পড়ে না । তাহারা কি ভাবে এইসব কথা মুখে আনে । আপনারা অনেকেই হয়তো শুনিয়া অবাক হইবেন যে হেঁদু ধর্মেও নারীদের পর্দার কথা বলা হইয়াছে । যেমন- “যেহেতু ব্রহ্মা তোমাদের নারী করিয়াছেন তাই দৃষ্টিকে অবনত রাখিবে, উপরে নয় । নিজেদের পা সামলাইয়া রাখো । এমন পোষাক পড় যাহাতে কেউ তোমার দেহ দেখিতে না পায়।(ঋকবেদ ৮।৩৩।১৯)।
এইখানেই প্রমাণ হইয়া যায় যে হেঁদু ধর্মেও পর্দার বিষয়খানা স্পষ্ট ফুঁটিয়া উঠে।কিন্তু হেঁদুরা মুসলমানদের খাঁটো করিবার জন্য নাস্তিকদের সহিত একত্রিত হইয়া উচ্চ বাক্যে বলিয়া থাকেন যে পর্দা প্রথা আসলে তাহাদের ধর্মে নাই।আর মুসলমানরা নিকৃষ্ট কেননা তাহারা নারীদের পর্দা করিতে বলিয়া ধর্ষন হইতে রক্ষা করিয়া দেয়।
পর্দা না করিলে আবার ব্রাহ্মনদের বহুমুখি সুবিধা রহিয়াছে,কেননা যদি কোন হেঁদু যুবতী পর্দা করিতে শুরু করিয়া দেয় তাহা হইলে তো আর সেই যুবতী ব্রাহ্মনের সেবাদাসী হইতে চাহিবেনা,আর ব্রাহ্মন মহাশয় ও তো আর তাহার সহীত সঙ্গম করিতে পারিবেনা।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস,এই জন্যই বোধ হয় ব্রাহ্মন মহাশয়েরা হেঁদু ধর্মের পর্দার বিষয়খানা এড়াইয়া যায় এবং মুসলমানের সমালোচনায় মদ্দ মাতাল হইয়া পড়ে।
হায়রে হেঁদু!হায়রে ব্রাহ্মন!
আবার বলি তোরা মানুষ হ!

No comments:

Post a Comment