Pages

Sunday, April 13, 2014

"হেঁদু সমাচার"|৩য় পত্র

আগের 2টি পর্বে আলোচনা করিয়াছিলুম হেঁদু মাতা কালী,হেঁদু চরিত্র এবং ধর্ষন এবং লিলা লইয়া।২য় ১ম পর্বের আলোচনা গুলো এ পর্বে টানিব না হেঁদুরা অনেক সময় দাবী করিয়া বসে যে,তাহারা মুসলমান হইতে জ্ঞান বিজ্ঞানে আগাইয়া আছে! তো দাদারা কোন বিজ্ঞানে হাত লাগাইয়াছে উহা আলোচনা না করিলেই নয়ঃ- হেঁদু দাদারা অনেকসময় গর্বের সহিত বলিয়াই ফেলে,ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর,জগদীশ চন্দ্র বসু,রবি ঠাকুরের কথা।দাদারা বলেন যে জগদীশ চন্দ্র বসু তো হেঁদু বিজ্ঞানী!ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর ও তো হেঁদু ছিলেন!এবং নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন যে রবী ঠাকুর উনিও তো হেঁদুই ছিলেন।মুসলমানের মধ্যে কি এমন একজন কে দেখাইতে পারিবে যে উহাদের মতো জ্ঞানী?হেঁদু দাদাদের চোখে আঙ্গুল দিয়া দেখাই দিতে চাই হেঁদুরা যাদের নিয়া গর্ব করিতেছে ঐ জ্ঞানী গুলো মুসলমান বিজ্ঞানীরা পা ধোয়াইবার কাজেও রাখিতনা।চিকিত্‍সা বিজ্ঞান হইতে শুরু করিয়া ভূতত্ত্ব,মহাকাশ,রসায়ন,পদার্থ, সমাজবিজ্ঞান,দর্শন,যুক্তিশাস্ত্র,গণিতশাস্ত্র সবই কিন্তু মুসলমানদের দখলে! ইতিহাস থেকে বলিতেছি,
  • আলফারাবী(Farabi'as):-পদার্থ বিজ্ঞানে তিনিই শূন্যতার অবস্থা প্রমাণ করিয়াছিলেন।দার্শনিক হিসেবে ছিলেন নিয়প্লেটনিস্ট দের পর্যায় বিবেচিত।বিজ্ঞানী আল ফারাবী সমাজবিজ্ঞান,রাষ্ট্রবিজ্ঞান,দর্শন,যুক্তিশাস্ত্র প্রভৃত বিষয়ে বহু রচনা লিখিয়া গিয়াছেন।তাহার রচিত "আলা আহলে আল মদীনা আল ফাদিলা(দর্শন ও রাষ্ট্র বিজ্ঞান সম্পর্কিত) গ্রন্থটি সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য।
  • ইবনুন নাফিসঃ-মানব দেহের রক্তসঞ্চালন পদ্ধতি,শ্বাসনালীর সঠিক গঠন,ফুসফুসে সঠিন গঠন পদ্ধতি,শ্বাসনালী,হৃত্‍পিন্ড,শরীর শিরা উপশিরায় বায় ও রক্তের প্রবাহ ইত্যাদি সর্ব বিষয়ের আবিষ্কারক তিনিই।
  • জাবির ইবনে হাইয়ানঃ-সর্বপ্রথম সালফিউরিক ও নাইট্রিক এসিড আবিষ্কার করিয়াছিলেন তিনি।তিনিই দেখাইয়াছিলেন কিছু মিশ্র মিশ্র ও যৌগিক পদার্থ,যেগুলোকে অনায়াসে চূর্ণে পরিণত করা যায়।নির্ভেজাল বস্তুর পর্যায়ে তিনি তুলিয়া ধরেন সোনা,রূপা,তামা,লোহা,দস্তা প্রভৃত।নাইট্রিক এসিডে স্বর্ণ গলানো র ফর্মূলা তাহারই আবিষ্কার।নাইট্রিক ও হাইড্রোক্লোরিক এসিডে স্বর্ন গলানো পদার্থটির নাম যে রিজিয়া উহা তারই তাহারই প্রদত্ত নাম।জাবির ইবনে হাইয়ান স্বর্ন ও পরশ পাথর বানাইতে জানিত!অন্য ধাতুর সঙ্গে মিশ্র স্বর্ণকে !পদ্ধতিতে অর্থাত্‍ মীগারের সঙ্গে মিশিয়ে স্বর্ণ বিশুদ্ধ করার পদ্ধতি তিনিই আবিষ্কার করিয়াছেন।তিনি চিকিত্‍সাশাস্ত্র,ইউক্লিড ও আল মাজেস্টের,ভাষ্য,দর্শন,যুদ্ধবিদ্যা,রসায়ন,জ্যামিতি,জ্যোর্তিবিজ্ঞান সম্পর্কে ২০০০এর ও বেশি গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন!
  • আল বেরুনিঃ-তিনিই সর্বপ্রথম প্রাচ্যের জ্ঞান বিজ্ঞান বিশেষ করে ভারতের জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রতি মনীষীদের দৃষ্টি আকর্ষন করিয়াছিলেন।অধ্যাপক মাপা বলিয়াছিলেন,"আল বেরুনী শুধু মুসলিম বিশ্বেরই নয় বরং তিনি ছিলেন সমগ্র বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী!"তার লেখা কিতাবুল হিন্দ পড়িয়া অধ্যাপক হামারনেহের লিখিয়াছেন As a result of his profound and intimate knowladge of the country and its people,the author left us in his writing the welth of information of undying interest on civilization in the sub continent during the first half at the eleventh century.আল বেরুনী বহু জ্ঞান বিজ্ঞান সভ্যতার ইতিহাস,মৃত্তিকা তত্ত্ব ,সাগর তত্ত্ব এবং আকাশ তত্ত্ব মানব জাতীর জন্যে অবদান রাখিয়া গিয়াছেন!ইউরোপীয় পন্ডিতগনের মতে বেরুনী নিজেই বিশ্বকোষ।ত্রিকোণমিতিতে তিনি বহু তথ্য আবিষ্কার করিয়াছেন।কোপার্নিকাস বলিয়াছিলেন,পৃথিবী সহ গ্রহগুলো সূর্যকে প্রদক্ষিন করিয়া থাকে।অথচ কোপার্নিকাসের জন্মের ৪২৫ বছর পূর্বেই আল বেরুনী বলিয়াছিলেন,বৃত্তিকা গতিতে পৃথিবী ঘোরে।তিনিই দশমিক অংকের সঠিক গননা ,শব্দের গতির সহিত আলোর গতির পার্থক্য আবিষ্কার,জ্যোর্তিবিদ্যায় পারদর্শী। ও তিনি এরিস্টটলের হেভেন গ্রন্থের ১০০টি ভুল আবিষ্কার করিয়াছিলেন।সুক্ষ গননায় The Formula of Intaraptionতাহারই আবিষ্কার কিন্তু পাশ্চাত্য পন্ডিতগন উহা নিউটনের আবিষ্কার বলিয়া প্রচার চালাইতে চাইছেন।
  • ওমর খৈয়ামঃ-বীজগনীতের আবিষ্কারক,বর্তমান বর্ষপঞ্জিকার আবিষ্কারক,বাইনোমিল থিউরিয়ামের প্রথম আবিষ্কারক।এলালিটিক জিওমেট্রি কল্পনা তিনিই সর্বপ্রথম করিয়াছেন।
  • ইবনে সিনাঃ-মেনেনজাইটিস রোগের আবিষ্কারক।পানি ও ভুমির মাধ্যমে যেই সকল রোগ ছড়াইয়া থাকে উহা সর্বপ্রথম তিনিই আবিষ্কার করিয়াছিলেন।সময় ও গতির সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্কে কথা তিনিই আবিষ্কার করিয়াছিলেন।
এই খানে আমি সামান্য কয়েকজন জ্ঞানী গুনির নাম দিয়াছি এখন ও ,ঈমাম গাজ্জালি রহঃ,মহা কবি ফিরদৌস,আল বাত্তানী,ইবনে রুশদ,কাজী নজরুলের প্রতিভার কথা লিখিনাই।এই সামান্য কয়েকজনের আবিষ্কার আর জ্ঞানের কথা শুনিয়াই আপনি বিবেচনা করিয়া বলিতে পারিবেন যে ,আসলে হেঁদু পন্ডিতগন আসলে মুসলমান পন্ডিতদের পা ধোয়াইবার যোগ্যতাও অর্জন করিতে পারেনাই।

No comments:

Post a Comment