Pages

Showing posts with label Our Islam. Show all posts
Showing posts with label Our Islam. Show all posts

Thursday, March 27, 2014

৯নং লাল কালো-কস্টিপ

রাস্তা দিয়া হাঁটিয়া গেলে এদিকে ওদিকে তাকাইলেই খালী লেডিস আর লেডিস! কিয়ত্‍ক্ষন চক্ষু বুজিয়া থাকিলাম দেখি লেডিস কমিয়া যায় কিনা,বাপরে বাপ চক্ষু খানা মেলিয়া দেখি আগের চাইয়া আরো এক ডজন বাড়িয়া গিয়াছে! সেইদিন বাজারে গিয়া তো লজ্জায় আর ক্ষোভে মরিয়া যাওয়ার পালা!একজন মোটা মতন মহিল শতখানেক পুরুষের ভিড়ে দাড়াইয়া পেটের ভূড়ি বাহির করিয়া বাজার করিতেছে!পরে ভাল করিয়া মহিলার চেহারা দেখিয়া বুঝিলাম উনি আমাদের পারার কামেল ভাইজানের স্ত্রী।সব পুরুষগুলো তাহার দিকে কু দৃষ্টিতে তাকাইয়া আছে! অনেক পুরুষ আবার টিপ্পনি কাঁটিয়া বলিতেছে,কি আকাল পড়িল বাপু একখানা নারী ১০০পুরুষের কাজ করে! উনি লজ্জা পাইয়াছিল কিনা বলিতে পারিবনা কিন্তু আমার রাগ হইতেছিল! কোনমতে বাজার করিয়া আসিয়া নিজের রুমে শুইয়া ভাবিতেছি যে,কামেল ভাইজান কে ব্যাপারটা বলিতে হইবেই হইবে।আল্লাহর কি মর্জি কথাটা ভাবিতে ভাবিতেই কামেল ভাইজানকে আমার রুমের পাশ দিয়া হাঁটিয়া আসিতে দেখলুম নিশ্চই আমার রুমের দিকে আসিতেছে। আমার রুমে আসার সাথে সাথেই উনাকে আমি সালাম দিয়া কহিলাম,ভ্রাতা অনুমতি দিলে একটা কথা বলিব। কামেল ভাই আমারে অনুমতি দিয়া দিলো। আমি তাহারে কহিলাম,ভ্রাতা ভাবীরে আর তুমি বাজারে পাঠাইও না। কামেল ভাই কহিল,কেনরে? আমি উনাকে বাজারের সমস্ত ঘটনা খুলিয়া কহিলাম,কামেল ভাই সব শুনিয়া কহিল,হে ভ্রাতা আমার আমি চেষ্টা করিব কিন্তু সে যদি রাজি না হয় তাহা হইলে কিন্তু তোমাকেই বলিতে হইবে!তাহাকে বুঝাইতে হইবে। আমি রাজি হইয়া গেলাম।কিন্তু না আমার আর দরকার হইল না ভাবী বুঝিতে পারিল এবং বাজারে যাওয়া বন্ধ করিল,বিশ্বাস করিবেন না সে এখন পর্দা করে! অনেক ভাই আছেন ছড়া আওড়াইয়া কহেন, "বোরখার তলে শয়তান চলে" দুঃখিত জনাব,বোরখার তলে শয়তান চলে কথাটা সম্পূর্ণ ভুল!বরংচ আপনি কহিতে পারেন যে,পেটের ভূড়ি দেখাইয়া যে নারীগন হাঁটিয়া যায় ঐ নারীগনের পেটের দিকে যেই কয়টা শয়তান প্রতিদিন চোখ বুলায় অত পরিমান শয়তান ঈসরায়েলেও নাই! যেই নারী ঐ সমস্ত শয়তানের চোখে পড়িয়া যায় আই ক্যান চ্যালেঞ্জ ঐ নারীই সন্ত্রাস অর কুলাঙ্গারের জন্ম দেয়! গাছ ভাল তো ফসল ভাল, গাছ ভাল না ফসল কালো। আমাদের রহীম ভাই এ জন্যই পাঁচ বছর ধরিয়া মেয়ে দেখিয়া মাস খানেক আগে একজন লাল কালো কস্টিপ পড়া মেয়ে পাইয়াছে এবং বিবাহ করিয়াছে।তিনি চাহিত একজন পর্দা করে এমন মেয়ে,প্রথম মেয়ে যখন তাহার জন্য দেখিলাম তখন উনি আমার নিকট হইতে কন্যার ফোন নম্বর নিয়া জিজ্ঞেস করিয়াছিল যে,আমার সহিত বিবাহের পর তুমি কি পর্দা করিতে পারিবে? কন্যা কি বলিয়াছিল জানেন? "না,না বাপু আমি তোমার সহিত বিবাহের পর লাল কালো কস্টিপ(মেয়েটি বোরখাকে কটাক্ষ করিয়া উহা বলিয়াছিল!কস্টিপ বলিতে বুঝায় কস টেপ) পড়িয়া তোমার সহিত হাঁটিতে পারিবনা!তুমি এর চাইয়া অন্য জায়গায় খোঁজ করিয়া দেখো লাল কালো কস্টিপ ওয়ালী কাউকে পাও কিনা" এই পাঁচ বছর ধরিয়া তাহার জন্য কস্টিপ ওয়ালী খুঁজিয়াছি মোট৮জন!শেষে একজনকে খুঁজিয়া পাইলাম মানে ৯নং পাইলাম কস্টিপ ওয়ালী বা রোরখাওয়ালা। আল্লাহর রহমতে রহীম ভাই ঐ কস্টিপ ওয়ালীর সহিত সুখের সংসার করিতেছে।আর যাকে প্রথম যাহাকে রহীম ভাইর জন্য দেখিয়াছিলাম উনাকে সেদিন দেখিলাম ৩য় নং স্বামীর সহিত যাইতেছে রাস্তায় বসিয়া তাহার গ্রাজ্যুয়েট স্বামী তাকে চরম অশ্লীল ভাষায় গালি দিতেছে! আমি চিন্তা করিলাম,হায়রে নারী তুমি যদি রহীম ভাইর কস্টিপ ওয়ালী হইয়া থাকিতে তাহা হইলে এই রকম গালি হয়তবা তুমি শুনিতেনা। ভাইজানেরা খোঁজ করিয়া দেখিবেন যাহারা লাল কালো কস্টিপ পরিধান করে ওরাই স্বামীর ঘরে সুখের সংসার করিয়া থাকে।সর্বদিক বিবেচনা করিলে বলা যায়,কস্টিপ ওয়ালীরাই সুখি।

Friday, March 7, 2014

সূরা আল ফাজর।

সূরা আল-ফজর بِسْمِاللَّهِالرَّحْمَٰنِالرَّحِيمِ وَالْفَجْرِ[٨٩:١] শপথ ফজরের,[৮৯:১] ﴿١﴾ وَلَيَالٍعَشْرٍ[٨٩:٢] শপথ দশ রাত্রির,শপথ তার,[৮৯:২] ﴿٢﴾ وَالشَّفْعِوَالْوَتْرِ[٨٩:٣] যা জোড় ও যা বিজোড় [৮৯:৩] ﴿٣﴾ وَاللَّيْلِإِذَايَسْرِ[٨٩:٤] এবং শপথ রাত্রির যখন তা গত হতে থাকে [৮৯:৪] ﴿٤﴾ هَلْفِيذَٰلِكَقَسَمٌلِّذِيحِجْرٍ[٨٩:٥] এর মধ্যে আছে শপথ জ্ঞানী ব্যক্তির জন্যে। [৮৯:৫] ﴿٥﴾ أَلَمْتَرَكَيْفَفَعَلَرَبُّكَبِعَادٍ[٨٩:٦] আপনি কি লক্ষ্য করেননি,আপনার পালনকর্তা আদ বংশের ইরাম গোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিলেন,[৮৯:৬] ﴿٦﴾ إِرَمَذَاتِالْعِمَادِ[٨٩:٧] যাদের দৈহিক গঠন স্তম্ভ ও খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ ছিল এবং [৮৯:৭] ﴿٧﴾ الَّتِيلَمْيُخْلَقْمِثْلُهَافِيالْبِلَادِ[٨٩:٨] যাদের সমান শক্তি ও বলবীর্যে সারা বিশ্বের শহরসমূহে কোন লোক সৃজিত হয়নি [৮৯:৮] ﴿٨﴾ وَثَمُودَالَّذِينَجَابُواالصَّخْرَبِالْوَادِ[٨٩:٩] এবং সামুদ গোত্রের সাথে,যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিল। [৮৯:৯] ﴿٩﴾ وَفِرْعَوْنَذِيالْأَوْتَادِ[٨٩:١٠] এবং বহু কীলকের অধিপতি ফেরাউনের সাথে [৮৯:১০] ﴿١٠﴾ الَّذِينَطَغَوْافِيالْبِلَادِ[٨٩:١١] যারা দেশে সীমালঙ্ঘন করেছিল। [৮৯:১১] ﴿١١﴾ فَأَكْثَرُوافِيهَاالْفَسَادَ[٨٩:١٢] অতঃপর সেখানে বিস্তর অশান্তি সৃষ্টি করেছিল। [৮৯:১২] ﴿١٢﴾ فَصَبَّعَلَيْهِمْرَبُّكَسَوْطَعَذَابٍ[٨٩:١٣] অতঃপর আপনার পালনকর্তা তাদেরকে শাস্তির কশাঘাত করলেন। [৮৯:১৩] ﴿١٣﴾ إِنَّرَبَّكَلَبِالْمِرْصَادِ[٨٩:١٤] নিশ্চয় আপনার পালকর্তা সতর্ক দৃষ্টি রাখেন। [৮৯:১৪] ﴿١٤﴾ فَأَمَّاالْإِنسَانُإِذَامَاابْتَلَاهُرَبُّهُفَأَكْرَمَهُوَنَعَّمَهُفَيَقُولُرَبِّيأَكْرَمَنِ[٨٩:١٥] মানুষ এরূপ যে,যখন তার পালনকর্তা তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর সম্মান ও অনুগ্রহ দান করেন,তখন বলে,আমার পালনকর্তা আমাকে সম্মান দান করেছেন। [৮৯:১৫] ﴿١٥﴾ وَأَمَّاإِذَامَاابْتَلَاهُفَقَدَرَعَلَيْهِرِزْقَهُفَيَقُولُرَبِّيأَهَانَنِ[٨٩:١٦] এবং যখন তাকে পরীক্ষা করেন,অতঃপর রিযিক সংকুচিত করে দেন ,তখন বলেঃ আমার পালনকর্তা আমাকে হেয় করেছেন। [৮৯:১৬] ﴿١٦﴾ كَلَّا  ۖ بَللَّاتُكْرِمُونَالْيَتِيمَ[٨٩:١٧] এটা অমূলক,বরং তোমরা এতীমকে সম্মান কর না। [৮৯:১৭] ﴿١٧﴾ وَلَاتَحَاضُّونَعَلَىٰطَعَامِالْمِسْكِينِ[٨٩:١٨] এবং মিসকীনকে অন্নদানে পরস্পরকে উৎসাহিত কর না। [৮৯:১৮] ﴿١٨﴾ وَتَأْكُلُونَالتُّرَاثَأَكْلًالَّمًّا[٨٩:١٩] এবং তোমরা মৃতের ত্যাজ্য সম্পত্তি সম্পূর্ণরূপে কুক্ষিগত করে ফেল [৮৯:১৯] ﴿١٩﴾ وَتُحِبُّونَالْمَالَحُبًّاجَمًّا[٨٩:٢٠] এবং তোমরা ধন-সম্পদকে প্রাণভরে ভালবাস। [৮৯:২০] ﴿٢٠﴾ كَلَّاإِذَادُكَّتِالْأَرْضُدَكًّادَكًّا[٨٩:٢١] এটা অনুচিত। যখন পৃথিবী চুর্ণ-বিচুর্ণ হবে [৮৯:২১] ﴿٢١﴾ وَجَاءَرَبُّكَوَالْمَلَكُصَفًّاصَفًّا[٨٩:٢٢] এবং আপনার পালনকর্তা ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে উপস্থিত হবেন ,[৮৯:২২] ﴿٢٢﴾ وَجِيءَيَوْمَئِذٍبِجَهَنَّمَ  ۚ يَوْمَئِذٍيَتَذَكَّرُالْإِنسَانُوَأَنَّىٰلَهُالذِّكْرَىٰ[٨٩:٢٣] এবং সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে,সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু এই স্মরণ তার কি কাজে আসবে?[৮৯:২৩] ﴿٢٣﴾ يَقُولُيَالَيْتَنِيقَدَّمْتُلِحَيَاتِي[٨٩:٢٤] সে বলবেঃ হায়,এ জীবনের জন্যে আমি যদি কিছু অগ্রে প্রেরণ করতাম! [৮৯:২৪] ﴿٢٤﴾ فَيَوْمَئِذٍلَّايُعَذِّبُعَذَابَهُأَحَدٌ[٨٩:٢٥] সেদিন তার শাস্তির মত শাস্তি কেউ দিবে না। [৮৯:২৫] ﴿٢٥﴾ وَلَايُوثِقُوَثَاقَهُأَحَدٌ[٨٩:٢٦] এবং তার বন্ধনের মত বন্ধন কেউ দিবে না। [৮৯:২৬] ﴿٢٦﴾ يَاأَيَّتُهَاالنَّفْسُالْمُطْمَئِنَّةُ[٨٩:٢٧] হে প্রশান্ত মন,[৮৯:২৭] ﴿٢٧﴾ ارْجِعِيإِلَىٰرَبِّكِرَاضِيَةًمَّرْضِيَّةً[٨٩:٢٨] তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে। [৮৯:২৮] ﴿٢٨﴾ فَادْخُلِيفِيعِبَادِي[٨٩:٢٩] অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও। [৮৯:২৯] ﴿٢٩﴾ وَادْخُلِيجَنَّتِي[٨٩:٣٠] এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর। [৮৯:৩০] ﴿٣٠﴾