Pages

Sunday, May 18, 2014

সুলতান মাহমুদ সোমানাথ মনদির ভাঙেনি

asam5barighor.jpg সুলতান মাহমুদ এবং সোমনাথ মন্দির নিয়ে হিন্দুদের অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব আপনি যখনই বাবরী মসজিদ ধ্বংস নিয়ে কোন কথা বলতে যাবেন ঠিক তখনই হিন্দুরা বলা শুরু করে যে সুলতান মাহমুদ তো সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করেছিল। তখন আমি লক্ষ্য করেছি যে অনেক মুসলমানই তখন চুপ হয়ে যায়। কিন্তু সুলতান মাহমুদ ঠিক কি কারনে গুজরাটের এই সোমনাথ মন্দির ধ্বংস বা সোমনাথ মন্দিরে অভিযান চালিয়েছিলেন তা খুব কম মুসলমানই জানে। আচ্ছা সুলতান মাহমুদ মোট ১৭ বার ভারত আক্রমন করেছিলেন। এই ১৭ বার সুলতান মাহমুদ খালি সোমনাথ মন্দির ছাড়া আর কোন মন্দিরেই উনার অভিযান চালান নি। সুলতান মাহমুদ যদি সত্যিই হিন্দু বিদ্বেষী হতেন তাইলে তো ভারতের সকল বড় বড় মন্দিরেই অভিযান চালাতেন। তাইলে ঠিক কি কারনে সুলতান মাহমুদের এই সোমনাথ মন্দিরের অভিযান ? সুলতান মাহমুদের জীবনীর উপর লেখা এনায়েত উল্লাহ আল তামাসের লিখিত বিখ্যাত ইতিহাসিক বই “সুলতান মাহমুদ গজনবীর ভারত অভিযান” থেকে আমরা জানতে পারি যে তৎকালিন সোমনাথ মন্দিরের পুরাহিতরা একজন মুসলিম তরুনীকে ঐ মন্দিরের কথিত ভগবানের অনুগ্রহ পাওয়ার আশায় ভগবানের সামনে ধর্ষণ ও বলি দেওয়ার চেষ্টা করলে মুসলিম তরুণীটি তার সম্ভ্রম রক্ষার্থে সোমনাথ মন্দিরের কুপে আত্মহত্যা করে। এই খবরটি জানতে পেরে সুলতান মাহমুদ গজনী থেকে শত শত মাইল পথ পাড়ি দিয়ে এসে সোমনাথ মন্দির আক্রমন করে এবং তা সম্পূর্ণ রুপে ধবংস করেন, এবং এই সোমনাথ মন্দিরের মূর্তির কিছু খণ্ডাংশ তৎকালিন দামেস্কের খলীফাকে উপহার হিসাবে প্রেরন করেন। এর থেকে বুঝা যায় যে সুলতান মাহমুদ সুদীর্ঘ শত শত মাইল পথ পাড়ি দিয়ে সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করেছেন না কোন স্বর্ণ অলংকারের লোভে না কোন মসজিদ প্রতিষ্ঠার লোভে না কোন সাম্রাজ্য দখলের লোভে। সোমনাথ মন্দিরের স্বর্ণ অলংকার গনিমতের মাল হিসাবে নিয়ে যাওয়া হয়। যা প্রত্যেকটি যুদ্ধে বিজিত দল বা জাতি করে থাকে। এই ২০১৩ সালেও হিন্দুরা তাদের মা কালীর সামনে ছোট শিশুদের কে বলি দেয়। তাই ১০২৫ সালে একটা মুসলিম মেয়েকে সোমনাথ মন্দিরের বিগ্রহের সামনে বলি দেয়া হিন্দুদের জন্য কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। ঐতিহাসিককের আরেকটি মত আছে সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দিরের অভিযানের ব্যাপারে। আর তা হল সোমনাথ মন্দিরের মূর্তি টি সব সময় শূন্যে মাঝামাঝি ঝুলে থাকত। এটি তৌহিদে বিশ্বাসী সুলতান মাহমুদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হত । তাই সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দির আক্রমণের সময় গজনী থেকে সাথে করে প্রকৌশলী, ধাতুবিদ নিয়ে আসেন । তারা মূর্তি পরীক্ষা করে দেখেন সোমনাথ মন্দিরের মূর্তিটি লোহার তৈরি এবং সোমনাথ মন্দিরের চারিদিকের দেয়ালের পাথরে চৌম্বক লাগানো রয়েছে । তাই যখন সোমনাথ মন্দিরের দেয়ালের পাথর খুলে নেয়া হল তখনই লোহার তৈরি সোমনাথ মন্দিরের মূর্তি মাটিতে পড়ে গেল এবং প্রমাণিত হল যে, শূন্যে ঝুলে থাকার জন্য এই মূর্তির নিজস্ব কোন ক্ষমতা ছিল না। তাই রাজ্য বিস্তারের জন্য নয় সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করেছিলেন এ মন্দিরের প্রতি তৎকালীন হিন্দুদের অন্ধ বিশ্বাস যা হিন্দুদের বিশেষ শক্তি প্রদান করত, তা নষ্ট করার জন্য। তাইলে আমরা দেখতে পেলাম সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দির অভিযানের পিছনে মোট ৩ টি কারন ঐতিহাসিকরা বলে থাকেন। প্রথমটি হল এক মুসলিম তরুনীকে ধর্ষন ও সোমনাথ মন্দিরের বিগ্রহের সামনে বলী দেয়ার কারনে সুলতান মাহমুদ গজনী থেকে গুজরাট অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করার জন্য। দ্বিতীয় কারণটি হল সোমনাথ মন্দিরের মূর্তিটি ঠিক কি কারনে সব সময় শূন্যে মাঝামাঝি ঝুলে থাকত এই রহস্য উদ্ধঘাটন করা আর তৃতীয় কারণটি হল সেই তথাকথিত ২০০ মন স্বর্ণ উদ্ধারের লোভে। কিন্তু স্বর্ণ উদ্ধারের লোভে যদি সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দিরে অভিযান চালাতো তাইলে ভারত বর্ষের সকল মন্দিরই সুলতান মাহমুদ অভিযান চালাতেন। মূলত সেই মুসলিম তরুনীকে ধর্ষন ও সোমনাথ মন্দিরের বিগ্রহের সামনে বলী দেয়ার কারনেই সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দিরে অভিযান চালিয়েছিলেন। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা পৌত্তলিকদের কে ধ্বংস করুক। তবে বেশীর ভাগ ঐতিহাসিকদের ধারনা সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করেননি। সুলতান মাহমুদ শুধুমাত্র সোমনাথ মন্দিরের ২০০ মন স্বর্ন উনার নিজ দেশ গজনীতে নিয়ে গিয়েছিলেন। সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দিরের কোন বিগ্রহও ধ্বংস করেন নি, সোমনাথ মন্দিরের ভিতরে যেই সব ব্রাক্ষনরা পূজা অর্জনা করত সুলতান মাহমুদ তাদের কে হত্যাও করেননি। সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দিরের অভিযানের পর যথারীতি আবার হিন্দুরা সোমনাথ মন্দিরের ভিতরে তাদের পূজা অর্জনা শুরু করে। সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির কে কোন মসজিদেও রূপান্তরিত করেন নি। Just সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির থেকে ২০০ মন স্বর্ণ উদ্ধার করে নিজ দেশ গজনীতে নিয়ে গিয়েছিলেন। সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দিরের ভিতরে কখনই হিন্দুদের মূর্তি পূজা বন্ধ করেন নি। আর সুলতান মাহমুদের পরেও সোমনাথ মন্দিরে সুলতান আলউদ্দিন খলজী, গুজরাটের বিভিন্ন স্থানীয় শাসক আর বাদশাহ আওরঙ্গজেবও অভিযান চালিয়েছিলেন। মুসলমানরা যদি সোমনাথ মন্দির কে ভেঙ্গে মসজিদই তৈরী করে ফেলত তাইলে তো আর বারবার সোমনাথ মন্দির আক্রমন করার কোন দরকার ছিল না। সোমনাথ মন্দির মন্দির থাকার কারনেই মুসলমানরা এগুলি বারবার আক্রমন করত। এত মন্দির থাকতে মুসলমানরা খালি সোমনাথ মন্দির বারবার আক্রমন করত কেন ? এর কারন হচ্ছে সোমনাথ মন্দিরের ভিতরে পূজা অর্চনার বদলে দেশীয় রাজারা শলা পরামর্শ করত কিভাবে মুসলমান সুলতানদের কে পরাজিত করা যায়। আর সোমনাথ মন্দিরের ভিতরে হিন্দু রাজারা তাদের সোনা দানা লুকিয়ে রাখত। মূলত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারনেই এই সোমনাথ মন্দির কাশীনাথ মন্দির বারবার মুসলমানদের আক্রমনের শিকার হয়েছে। কিন্তু এর বিপরীতে দিল্লী থেকে শুরু করে ভারতের অন্যান্য এলাকার বড় বড় মন্দির কখনোই মুসলমানদের আক্রমনের শিকার হয় নি। কিন্তু এর বিপরীতে মালাউন হিন্দুরা আমাদের সাথে কি করল ? বাবরী মসজিদ ধ্বংস করার পর হিন্দুরা সেইখানে রাম মন্দির স্থাপন করল। আমরা মুসলমানরা বাবরী মসজিদের যেই জায়গায় নামায পড়তাম ঠিক সেই মেহরাবের উপরে মালাউন হিন্দুরা এখন তাদের রামের মূর্তি স্থাপন করেছে। ১৯৯২ সালের ১২ ডিসেম্বরের পর থেকে আজ ২১ বছর হল আমরা মুসলমানরা আর বাবরী মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাযও পড়তে পারি নাই। বাবরী মসজিদ ধব্বংস করার সময় যেই সব মুসলমান হিন্দুদের কে বাধা দিতে এসেছিল হিন্দুরা তাদের প্রত্যেককেই হত্যা করে। এমনকি বাবরী মসজিদের আশপাশে মুসলিম অধ্যুষিত গ্রাম গুলিতে মালাউন হিন্দুরা যেয়ে আমাদের মুসলিম বোনদের কে ধর্ষন করে। এর বিপরীতে আমরা সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দিরের অভিযানে কি দেখতে পাই ? সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দিরের অভিযানের পর সোমনাথ মন্দিরের অবস্থিত হিন্দুদের কোন বিগ্রহও ধ্বংস করেননি, সোমনাথ মন্দিরের পূজা অর্জনায় লিপ্ত কোন ব্রাক্ষন কেও হত্যা করেন নি, এবং সর্বোপরী সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির কে মন্দির হিসাবেই রেখেছিলেন উনি সোমনাথ মন্দির কে কখনই মসজিদে রূপান্তরিত করেন নি। তাইলে মালাউন হিন্দুদের বাবরী মসজিদ ধ্বংস করার সাথে অবশ্যই সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দির অভিযান কে এক করা ঠিক নয়। সুলতান মাহমুদ একটানা ১৫ বার অভিযান করে ভারতের বহু দেশীয় রাজাকে পরাজিত করেন। সেই সময় সুলতান মাহমুদ কে সবাই একটি অপ্রতিরোধ্য শক্তি ভাবত। সোমনাথ মন্দিরের বিগ্রহের খ্যাতি ছিল সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে। সোমনাথ মন্দিরের ব্রাক্ষণ সেবায়করা বলা শুরু করে যে সোমনাথ মন্দিরের মাঝে শূন্যে ঝুলন্ত বিগ্রহের অসীম অলৌকিক ক্ষমতার বলে সুলতান মাহমুদের পক্ষে কখনই সোমনাথ মন্দির জয় করা সম্ভব হবে না। মূলত সোমনাথ মন্দিরের ব্রাক্ষণ পুরাহিতরাই সুলতান মাহমুদ কে সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করার চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল। সোমনাথ মন্দির সেই সময় হিন্দুদের রাজনৈতিক তীর্থক্ষেত্র ছিল। সোমনাথ মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ এবং যাবতীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য ভারতীয় হিন্দু রাজন্যবর্গ দশ হাজার গ্রাম মন্দিরের সম্পত্তিরূপে দান করেন। সোমনাথ মন্দিরের পূজা-পার্বন ও অন্যান্য অনুষ্ঠানাদি পালনের জন্য এক সহস্র ব্রাহ্মণ নিয়োজিত ছিল। সর্বদা সোমনাথ মন্দিরের দেবতার সন্তুষ্টির জন্য পাঁচশ’ নর্তকী এবং দু’শ’ গায়িকা নৃত্য-গীত করতো। ভারতবর্ষের হিন্দু রাজাগণ তাদের কুমারী কন্যাদের এ মন্দিরের দেবতার সেবার জন্য উৎসর্গ করে কৃতার্থ হতেন। সে সময় হিন্দুরা তাদের ধন সম্পদ সোমনাথ মন্দিরে জমা রাখতেন অর্থাৎ সোমনাথ মন্দিরের ভিতরে অসংখ্য ধন- সম্পদ সঞ্চিত আছে, এ তথ্য জানতে পেরেই সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির জয়ে প্রলুব্ধ হন। হিন্দুরা অভিযোগ করে সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করে সেইখানে একটা মসজিদ তৈরি করে ছিলেন। সোমনাথ মন্দিরের পাশে যে মসজিদটা ছিল এটা সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দির অভিযানের ২০০ বছর আগেই তৈরি হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মের বহু আগে থেকেই আরব বনিকরা গুজরাটে ব্যবসা বাণিজ্য করতে আসত। সেই ইসলামের শুরু থেকেই গুজরাটের মুসলমানদের আগমন শুরু হয়। গুজারটের স্থানীয় হিন্দু শাসকরাই মুসলমানদের কে সোমনাথ মন্দিরের অনতিদূরে একটি মসজিদ তৈরি করার অনুমতি দেয়। এটা আমার কথা না একটা হিন্দু ধর্ম ভিত্তিক ওয়েবসাইটেই তা বলা আছে। এই লিংকে যান সুলতান মাহমুদ খাইবার গিরিপথ অতিক্রম করে ভারতে আসেন। গজনী থেকে ৪২ দিনে হাজার মাইল পথ হেঁটে ১০২৫ সালের ৬ জানুয়ারী সুলতান মাহমুদ পৌঁছলেন সোমনাথের মন্দিরের অনতিদূরে। সুলতান মাহমুদ যদি পৌত্তলিকদের বিরোধী হতেন তাহলে গজনী থেকে গুজরাট আসার পথে তো রাস্তায় অনেক মন্দিরই পড়েছিল, সেগুলো নিশ্চয়ই সুলতান মাহমুদ আস্ত রাখতেন না। সুলতান মাহমুদের সেনাবাহিনীর মাঝে ১২ জন ছিল হিন্দু সেনাধ্যক্ষ। এর মধ্যে দুইজন সেনাধ্যক্ষ ছিল ব্রাক্ষণ। আর বাকীরা ছিল ক্ষত্রিয়। সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দির অভিযানে যারা অংশ নিয়েছিল তাদের অর্ধেকই ছিল হিন্দু। সোমনাথ মন্দির থেকে যে ২০০ মন স্বর্ণ উদ্ধার হয়েছিল সেই সব স্বর্ণ সুলতান মাহমুদ উনার সেনাবাহিনীর মাঝে ভাগ করে দেন। যেই সব হিন্দু সেনাপতি ও হিন্দু সৈনিকরাও সোমনাথ মন্দিরের অভিযানে অংশ নিয়েছিল তারাও সেই ২০০ মন স্বর্ণের ভাগ পেয়েছিল। ঐতিহাসিকরা বলে থাকেন যে সোমনাথ মন্দিরের অভিযানে অংশ নেওয়া প্রত্যেকটা সৈনিক কে সেই দিন সুলতান মাহমুদ ৫০০০০ করে দিনার দিয়েছিলেন। সোমনাথ মন্দিরের অভিযানে হিন্দু সৈনিকরাও অংশ নেবে হবে আর দোষ হবে খালি সুলতান মাহমুদের ! ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী বাংলায় আসছেন ১২০৫-০৬ সালের দিকে। এটা আমার কথা না উইকিপিডিয়াতেই তা বলা আছে আর নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হয়েছে ১১৯৩ সালে। তাইলে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী কিভাবে এই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করেন ? নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় যখন ধ্বংস হয় সেই সময় অর্থ্যাৎ ১১৯৩ সালের দিকে এই বাংলার রাজা ছিলেন রাজা লক্ষন সেন। রাজা লক্ষন সেন ছিলেন একজন কট্টর বৌদ্ধ বিদ্বেষী। হাজার হাজার বৌদ্ধ ভিক্ষুকে উনি হত্যা করেছেন। বৌদ্ধদের গর্ব এই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় কে এই রাজা লক্ষন সেনই ধ্বংস করেছেন। কিন্তু শুধুমাত্র একজন হিন্দু হওয়ার কারনে উপমহাদেশের এই সুশীল সমাজ এই রাজা লক্ষন সেনের কোন সমালোচনা করে না। যদি শুধুমাত্র ধর্মীয় বিদ্বেষের কারনেই মুসলমানরা সোমনাথ মন্দির আর কাশীনাথ মন্দির আক্রমণ করত তাইলে তো মুসলমানদের ৮০০ বছরের ইতিহাসে আর একটা হিন্দুও বেচে থাকত না। আর মুসলমান সুলতানরা যে অনেক বড় বড় মন্দিরে অর্থ সাহায্য দিত তা উইকিপিডিয়ার বিভিন্ন মন্দিরের লিংকেই বলা আছে। ৪৭ এর পর গুজরাট কাশ্মীরের মুসলমানদের উপর হিন্দুরা যেইরকম গনহত্যা চালিয়েছিল ভারতের মুসলমানদের ৮০০ বছরের শাসনামলে হিন্দুদের উপর মুসলমানরা কখনই কোন গনহত্যা তো দুরের কথা যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া মুসলমানরা একটা হিন্দুকেও হত্যা করেনি। শত শত প্রাচীন মন্দির ভারতের মুসলিম শাসনামলে অক্ষুণ্ণ ছিল। সুলতান মাহমুদের ভারত বিজয়ের পর পরাজিত ভারতের রাজাগণ কর্তৃক তার সাথে সম্পাদিত চুক্তি বারবার ভঙ্গ করার কারণে, তাকে বার বার ভারত অভিযান চালাতে হয়েছিল । আর মধ্যযুগে এ ধরনের রাজ্য বিস্তার বল্লালসেন , লক্ষণ সেন , গোপাল , ধর্মপাল সবাই করেছিলেন । বলা যায় , এগুলো ছিল সে সময়ের রীতি। সুলতান মাহমুদ কে হিন্দুরা সব সময় হিন্দু বিদ্বেষী বলে প্রমান করতে চায়। সুলতান মাহমুদ মোট ১৭ বার ভারত অভিযানের পর উনার প্রত্যেক অভিযানেই ভারতের বিভিন্ন দেশীয় রাজা যেমন জয়পাল, আনন্দপাল, সুখপাল কে যুদ্ধে পরাজিত করেন। সেই সময়ের মধ্যযুগীয় নীতি অনুসারে সুলতান মাহমুদ চাইলেই পারতেন যে পরাজিত সকল দেশীয় হিন্দু রাজাকে হত্যা করতে। কিন্তু সুলতান মাহমুদ উনার সাথে যুদ্ধে পরাজিত একজন দেশীয় হিন্দু রাজাকেও হত্যা করেননি। সুলতান মাহমুদ যে কোন হিন্দু বিদ্বেষী ছিলেন না এর সবচেয়ে বড় প্রমান হল কনৌজের রাজা রাজ্যপাল সুলতান মাহমুদের আনুগত্য স্বীকার করলে অন্যান্য পরাক্রমশালী হিন্দু রাজপুত রাজাগন অপমানিত বোধ করেন। কালিঞ্জরের চান্দেলা রাজা গোন্তা গোয়ালিয়রের রাজপুত রাজার সাথে জোটবদ্ধ হয়ে সুলতান মাহমুদের মিত্র কনৌজের রাজা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে এবং সকল রাজপুত রাজা মিলে কনৌজের রাজা রাজ্যপাল কে হত্যা করে। এরপর সুলতান মাহমুদ উনার বন্ধু হিন্দু রাজা রাজ্যপালের হত্যার প্রতিশোধকল্পে ১০১৯ খৃস্টাব্দে চান্দেলার রাজা গোন্তার বিরুদ্ধে সমরাভিযান পরিচালনা করেন। চান্দেলা রাজা গোন্তা সুলতান মাহমুদের বাহিনীর প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়ে রণক্ষেত্র থেকে পলায়ন করেন। পরবর্তীতে সুলতান মাহমুদ কনৌজের রাজা রাজ্যপালের ছেলেকে কনৌজ ও চান্দেলা উভয় রাজ্যের রাজা বানান। সুলতান মাহমুদের ভারত বর্ষের ১৩ তম অভিযান শুধুমাত্র উনার বন্ধু কনৌজের রাজা রাজ্যপালের হত্যার প্রতিশোধ নেবার জন্যই হয়েছিল। সুলতান মাহমুদ যদি সত্যিই হিন্দু বিদ্বেষী হতেন তাইলে কখনই কনৌজের রাজা রাজ্যপালের হত্যার প্রতিশোধ নিতেন না। সুলতান মাহমুদের ভারত বর্ষের এই ১৭ বার সফল অভিযানের পরেও সুলতান মাহমুদ যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া ভারতের কোন হিন্দু কেও হত্যা করেননি বা কোন হিন্দুকে দাস দাসী বানিয়ে গজনীতেও নিয়ে যান নি। আর সুলতান মাহমুদ চাইলেও তা করতে পারতেন না। কারন ইসলামী শরীয়তে মুসলমানরা যখন কোন দেশ জয় করে তখন খলিফা অথবা মুসলিম সুলতান সেই দেশের পরাজিত বিধর্মী নাগরিকদের কে জিম্মী ঘোষণা করেন। আর জিম্মীদের সম্মান নিরাপত্তা দেয়ার সার্বিক দায়িত্ব পরে সুলতান অথবা খলিফার উপর। জিম্মী রুপী পরাজিত বিধর্মী নাগরিকদের অভিভাবকও সুলতান অথবা খলিফা হন। আর যুদ্ধের পর কোন জিম্মীকে হত্যা করা বা দাস দাসী বানানো ইসলামী শরীয়তে হারাম। হযরত ওমর রাযিআল্লাহু আনহুর সময়ে মুসলমানরা সিরিয়া ইরাক, ইরান/ পূর্ব নাম পারস্য, তুরস্ক, সাইপ্রাস এত দেশ জয় করেছিলেন কোন দেশের নাগরিক কেই সাহাবীরা দাস দাসীতে রূপান্তরিত করেন নি। উল্টা ঐ সব দেশের আগে থেকে থাকা সব দাস দাসীদের কে সাহাবীরা মুক্ত করে দিয়েছিলেন আমরা মুলমানরা যে হিন্দুদের প্রতি কতটুকু সহনশীল ছিলাম তার একটা জ্বলজ্যান্ত উদাহরন আপনাদের কে দেই। ভারত বর্ষে আমাদের মুসলমানদের সাথে সবচেয়ে বেশী যুদ্ধ হয়েছে রাজপুত হিন্দুদের। কিন্তু রাজপুত হিন্দুরা প্রায় প্রতিযুদ্ধেই আমাদের কাছে পরাজিত হয়ে সন্ধি করত। কিন্তু এর কিছুদিন পরেই রাজপুত হিন্দুরা তাদের ক্ষত্রিয় স্বভাবের কারনে মুসলমানদের সাথে করা তাদের সন্ধি চুক্তিটি ভংগ করত। এরপর আবার মুসলমানরা যুদ্ধ করে রাজপুতদের কে পরাজিত করত। সেই সময় মধ্যযুগীয় রীতি অনুসারে এটা খুব স্বাভাবিক ছিল যে বারবার সন্ধি চুক্তি ভংগ করার কারনে পুরা রাজপুত জাতিটাকেই ধ্বংস করে দেওয়া। কিন্তু মুসলমানরা তা করে নি। আমাদের মহান মুসলমান সুলতানরা বারবার হিন্দু রাজপুত যোদ্ধাদের কে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বারবার সন্ধি চুক্তি ভংগ করার কারনে মধ্যযুগীয় রীতি অনুসারে এটা খুবই স্বাভাবিক ছিল যে পুরা রাজপুত জাতিটাকেই মুসলমানদের কর্তৃক ধ্বংস করে ফেলা। রাজপুত জাতিটা কিন্তু এখনো ভারত বর্ষে বহাল তবিয়তে আছে। ভারতের মুসলমানদের উপর সন্ত্রাসবাদী হিন্দুদের ভয়াবহ নির্যাতন এবং হিন্দুদের ধর্ম বিশ্বাস রাম লক্ষন রাবন কিংবা রাম মন্দির যে ঠাকুরমার ঝুলি ছাড়া আর কিছুই না তা জানতে আপনারা আমার এই NOTE টি পড়ুন আর আমাদের ইতিহাস জানতে হবে ঐতিহাসিকদের লেখা বই থেকে। উইকিপিডিয় যে কেউ যে কোন নিবন্ধ যোগ করতে পারে ও সংযোজন বিয়োজন করতে পারে। উইকিপিডিয়ার অনেক নিবন্ধই পক্ষপাতদুষ্ট। ভারতবর্ষের মুসলমানদের ইতিহাস হিন্দু ঐতিহাসিকরাই লিখেছেন। সকল বড় বড় হিন্দু ঐতিহাসিকই মুসলমান সুলতানদের উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন। উইকিপিডিয়ার ইতিহাস আর ইতিহাস গ্রন্থের ইতিহাসের মাঝে অনেক পার্থক্য আছে। এমনকি ভারতের স্কুল কলেজের ইতিহাসের পাঠসূচিভুক্ত বইগুলিতেও মুসলমানদের ইতিহাস কে বিকৃত করা হয়েছে সরকারের চাপে। আমি এখন আপনাদের কে একটি বইয়ের কথা বলব যেই বইটি পড়লে আপনারা ভারতের মুসলমানদের গৌরবজনক ইতিহাস, পরবর্তীতে ইংরেজদের আগমন এবং কিভাবে তারা হিন্দু বেঈমান রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এখানকার ক্ষমতা হাসিল করল সেই রক্তঝরা ইতিহাসগুলি। সেইসাথে এই ভারতবর্ষে আর্য জাতির আগমন, এখানকার অধিবাসীদের উপর এবং অন্যান্য নিম্নবর্ণের হিন্দুদের উপর আর্যরুপী ব্রাক্ষণ হিন্দুদের অত্যাচার এর নমুনা পরবর্তীতে মুসলমানদের আগমন এবং জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে একেবারে ভারত বিভক্ত হওয়া পর্যন্ত অনেক অজানা ইতিহাস জানতে পারবেন আপনারা এই বইটি পড়ে। বইটির নাম হল গোলাম আহমদ মোর্তজার লেখা “চেপে রাখা ইতিহাস”. গোলাম আহমদ মোর্তজার লেখা “চেপে রাখা ইতিহাস” এই বইটিতে মুহাম্মদ বিন কাশিম, সুলতান মাহমুদ, মুহাম্মাদ বিন তুঘলক, বাবর, হুমায়ুন, শেরশাহ, জাহাঙ্গির, শায়েখ আহমদ ফারুক সেরহিন্দ, আওরঙ্গজেব, শায়েস্তা খান, হায়দার আলী, টিপু সুলতান, নবাব সিরাজুদ্দউলা থেকে শুরু করে শাহ ওলিউল্লাহ, সৈয়দ নিসার আলী তিতুমির, মাওলানা আলাউদ্দিন, হাজি শরিয়তউল্লাহ, মজনু শাহ এর মত কিংবদন্তীদের জীবনচরিত, সমসাময়িক ঘটনা এইখানে আলোচিত হয়েছে। বইটির ডাউনলোড লিংক হল এটা http:// www.sendspace.com/file/6mcpwz এছাড়া “চেপে রাখা ইতিহাস” এই বইটি বইয়ের লাইব্রেরীতেও কিনতে পারবেন। বিভিন্ন প্রিন্ট অনুযায়ী কমিশন সহ বইটির দাম ১৫০-২০০ টাকা। তথ্যসুত্রঃ ১. ইতিহাসের ইতিহাস, গোলাম আহমেদ মূর্তজা, মদীনা পাবলিকেশন্স, ৩৮/২ বাংলা বাজার, ঢাকা। ২. Somnath : a narrative of history, রোমিলা থাপার, পেঙ্গুইন প্রকাশনী । ইসলামী আক্বীদা সংশোধনের জন্য আরো পড়তে পারেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু বিবাহ প্রসঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষীদের সমালোচনার জবাব আল্লাহ সুবহানাতায়ালার অস্তিত্ত্বের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক প্রমান আল কোরআনের ব্যাকরণগত সৌন্দর্য্যের কিছু অসাধারন দিক বনী কুরায়জা গোত্রের সকল পুরুষ ইহুদি হত্যা করা প্রসঙ্গে একটি পর্যালোচনা ইসলামি শরীয়াহ কি কখনই দাস দাসী প্রথাকে সমর্থন করেছিল আমাদের মুসলমানদের কেন একটি কেন্দ্রীয় খিলাফত রাষ্ট্র প্রয়োজন ? হাতের কাছে রাখার মত কয়েকটি চমৎকার ইসলামী বই পুরুষ জাতির বহু বিবাহ প্রথা কে ইসলামী শরীয়াহ আসলে কতটুকু সমর্থন করে হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম ২য় পর্ব মেসওয়াক করার ফযীলত আমার উম্মতের মাঝে ৭৩ টি দল হবে এদের মাঝে মাত্র একটি দল জান্নাতে যাবে” এই হাদীস টির মূল ব্যাখ্যা টি কি ? সিজদায়ে সাহু সংক্রান্ত মাসলা- মাসায়েল সহিহ শুদ্ধ ভাবে নামায পড়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় মাসলা মার্ক জুকারবার্গ তো একজন নাস্তিক তাইলে তার আবিস্কৃত ফেইসবুক ব্যবহার করা কি আমাদের জন্য ঠিক হচ্ছে —— > পোষ্টটি 1417 বার পড়া হয়েছে । শেয়ারঃ ডিসেম্বর ১৮, ২০লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী

1 comment:

  1. ছাগলের ব্লগে কমেন্ট ?

    ReplyDelete