Pages

Monday, May 5, 2014

←হুমায়ুন আহমেদ কি নাস্তিক ছিলেন?→

humaun-ahmed-120111113000.jpg প্রায় মাস পাঁচেক আগে স্যারের জীবনের শেষ লিখাটা পইড়া হাসতে হাসতে মাটিতে গড়া গড়ি খাইতাছিলাম।(পিপিলিকা নাটকটি পড়ে)।কিন্তু এক্কেবারে শেষের পৃষ্ঠায় আইসা আমি নিরব হইয়া পইড়া দুই চউক্ষু দিয়া টপ টপ কইরা কয়েক ফোঁটা পানিতে বালিশ ভিইজা গেল। আমার গিন্নি আইসা জিগায়,”কিয়ার লাই কান্দেন”? গিন্নিরে দেখাইলাম প্রকাশকের বড় বড় টাইপ করা লেখাটা,প্রকাশক লিখছে, “এই নাটকটাই স্যারের জীবনের শেষ লিখা,আমরা আর কোনদিন পাবনা স্যারের কোন নতুন লিখা,স্যার চলে গেছেন না ফেরার দেশে” আমার গিন্নির গলাটাও ভারি হইয়া গেল।আমার কষ্ট ভুলাইতে কইল,চা খাইতেন? আমি কইলাম,দেও। গিন্নি চা আনতে গেল,এর মধ্যে আমার ফোনে ফেসবুক দিয়া একটা টেক্সট আইল আমার কাছে,Tausifur Rahman Himel Update his status.(Tausifur Rahman Himel আমার চাচাত শ্যালক) আমি ফেসবুক লগইন করলাম এবং আমার শ্যালকের প্রোফাইলে গেলাম।শ্যালকের স্ট্যাটাসটা দেইখাতো আমি বোবা হইয়া গেলাম!আমার শ্যালক কি লিখছে দ্যাখেনঃ Tausifur Rahman Himel “Humayun ahmed ekjon nastik murtad,ashun tar lika pora theke biroto thaki,ebong tar lika borjon kori” উচ্চারনঃ-হুমায়ুন আহমেদ একজন নাস্তিক মুরতাদ ,আসুন তার লিখা পড়া থেকে বিরত থাকি,এবং তার লিখা বর্জন করি। কথাটা যদিও অনেক পুরানা,তবুও বাড় বাড় নাড়া দিয়া উঠে। ভাবছিলাম একবার কমেন্ট কইরা কমু,”হালার ঘরের হালা,তুমি এত বেশি বুঝ।বয়স তো মাত্র ১৩।এত বেশি বুঝ তোমার বা* কয়গছ উঠছে?” পরে আবার চিন্তা করলাম থাউক,এতবড় কথা ওরে কওয়া ঠিক হইবনা এর চাইয়া অরে একটা ব্লক মাইরা থুই।যেই ভাবা সেই কাম,শ্যালক মহাশয়রে চীর জীবনের জন্যকারাগারে ঢুকাইয়া থুইলাম(প্রিয় মানুষরে অপবাদ দিলে কয়জনের মাথা ঠিক থাকে বলেন?)। এখন কথা হইল ঐটা না,কথা হইল, অনেকেই কয় হুমায়ুন আহমেদ স্যার নাকি নাস্তিক আছিলেন।আসলে এইটা যারা কয় হেগো মাথায় জ্ঞানবুদ্ধি আছে বইলা আমি মনে করিনা।হেগো বাংলার সেরা ছাগল কইলেও ছাগলের অপমান হইয়া যায়। হুমায়ুন স্যার যে খাঁসা আস্তিক সেইটা “প্রথম আলো” প্রমাণ করছিল তার সাথে একজনের সাক্ষাত্কার তুইলা ধইরা। হুমায়ুন স্যারকে ধর্মের কথা জিগাইছিল পর তিনি কইল,”সব কিছুরই একটা ধর্ম আছে,এই যে দেখো বিজ্ঞানের ও ধর্ম আছে,তরিত্ এর ধর্ম আছে,চৌম্বকের ও ধর্ম আছে” যার জ্ঞানী তারা এতেই বুইঝা নিবে যে স্যার আস্তিক না নাস্তিক ছিলেন। তাছাড়া স্যারের লিখার মধ্যে “আল্লাহ”লিখেছে কোন সময় আল্লা লিখেন নাই।সাধারনত আমরা মুসলিমরাই অনেক সময় “আল্লাহ” কে আল্লা লেখি।হুমায়ুন স্যার কিন্তু অতি শুদ্ধ ভাবে আল্লাহ লিখতেন। হুমায়ুন আহমেদ স্যার কিন্তু রাসুল সঃ এর নাম এইভাবে লিখত”মুহম্মদ সঃ”।আর তিনি যদি নাস্তিক হইত তাইলে শুধু মোহাম্মদ লিইখা যাইতেন। তার লিখনির মইধ্যে মাঝে মাঝে হাদীস উইঠা আইত যার প্রত্যেকটাই ছিল সহীহ্ হাদীস। আচ্ছা একজন নাস্তিকের কি প্রোয়োজন লেখার মইধ্যে হাদীস দেয়ার?তাও আবার সহীহ্ হাদীস। শোনা যায় স্যার মৃত্যুর আগে তার প্রিয় কয়েকটা কুরআনের আয়াত পড়ছিলেন। আচ্ছা তিনি যদি নাস্তিক হইতেন তাইলে তিনি মৃত্যুর আগে কুরআনের আয়াত গুলা কেন পড়ছিলেন? যারা স্যারকে নাস্তিক বলেন তারা শোনেন,একজনার সম্বন্ধে আগে না জাইনা আমার শ্যালকের মত বা* পাকনামি যারা করে তারা কিন্তু অল্পেই ধরা খায়া যায়। আর অতিরিক্ত বা*পাকনামি লাইফ এবং সাস্থ্য দুইটার জইন্যই হুমকি স্বরুপ। আগে একজন সম্বন্ধে ভালো কইরা জানেন তারপর তার সম্বন্ধে বলেন আগে ভাগে নও। »পদটীকাঃ-অতিরিক্ত বা*পাকনামি লাইফের জন্যি ভয়ঙ্কর।এতে শত্রু বাড়ে।

No comments:

Post a Comment