Pages

Sunday, July 13, 2014

এলিয়েন কি সত্যিই আছে?

আমাদের দেশের এলিয়েন মনষ্কা ভাই বোনরা এই পোস্টটি মাথা ঠান্ডা করে পড়ুন।আর ভাবুন আমরা এলিয়েন বিশ্বাস করি কিসের ভিত্তিতে।আসলে এলিয়েন বলতে কিছু কি আছে নাকি পুরোটাই ভাওতাবাজি। এলায়েন বিজ্ঞানীরা নিজেদের মত করে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে নাতো? আল্লাহ পাক রাব্বুল আলআমিন দুনিয়াতে ১৮হাজার মাখলুকাত বানিয়েছেন তার ভিতরে মানুষই শ্রেষ্ঠ।কিন্তু বর্তমান কিছু বিজ্ঞান মহল এমন একটা উদ্ভট জিনিস নিয়ে নাড়াচাড়া দিয়েছেন যেটা মানলে ধর্মকে ছাড়তে হবে:-@।কিছু কিছু বিজ্ঞান মনষ্কা ছেলে মেয়েরা তো মেনেই নিয়েছে :-> ! ¤সেটা হল এলিয়েন বা ভিনগ্রহবাসী!বিজ্ঞানীদের দাবী এলিয়েন আছে এবং থাকবে,অথচ এলিয়েন যে আছে তার কোন প্রমাণ বা রেফারেন্স বিজ্ঞানীরা দিতে পারেনি।বিজ্ঞানীরা দাবী করে এলিয়েন মোট ৩ প্রকার।যথাঃ alion5.jpg ১/গ্রে এলিয়েন।(দেখতে অনেকটা গুইসাপের মতো,পিঠে খাঁজ কাঁটা খাঁজ কাঁটা আছে,বিজ্ঞানীদের দাবী এরা মানুষের ক্ষতি করে,এরা নাকি মানুষ গুম ও করে!:-P) ২/র্য্যাপ্টিলিয়ানস এলিয়েন।(দেখতে অনেকটা ধাতব বাক্সের মতো অথবা মাথাটা রোবটের মতো।বিজ্ঞানীদের দাবী এরাও মানুষকে গুম করে:'() mozaddid_117722491951cb3b514a6541.241994 ৩/হ্যিউম্যান টাইপ।(দেখতে ঠিক মানুষের মতো তবে বিজ্ঞানীদের দাবী এরা মানুষের থেকে ফর্সা হয়ে থাকে এবং এরাই নাকি একমাত্র এলিয়েন যারা মানুষের কোন ক্ষতি করেনা:-D)এদের মধ্যে নাকি একেকটা একেক রকম।কোনটা বাক্সের মতো:-Oকোনটা কুমিরের মতো:-Pআবার কোনটা নাকি মানুষের মতো%-)! এরা নাকি সসারে(বিজ্ঞানীদের দাবী সসার এলিয়েনের উড়োজাহাজ)করে পৃথিবীতে আসে। বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের(গোবর পঁচা বিজ্ঞানী) নাম তো নিশ্চই সবাই শুনেছেন,ইনি দাবী করেন এলিয়েন আছে কিন্তু তা আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।আজো অনেক মানুষ এলিয়েনে বিশ্বাসী অথচ এলিয়েন যে আছে তার কোন উপযুক্ত প্রমাণাতি বিজ্ঞান মহল দিতে পারিনি!তারা বলেন যে মহাকাশের গ্রহ নক্ষত্রের মতোই সত্য যে এলিয়েন আছে কিন্তু আমরা দেখিনাই। এই এলিয়েনই মানুষের মনে একটি ভ্রান্তির সৃষ্টি করে হাজার হাজার মানুষকে ধর্মচ্যুত্‍ করেছে:-(! অনেকে বলছেন যে তারা এলিয়েন নিজ চোখে দেখেছেন!এবং সসার ও দেখেছেন!কোথায় দেখেছেন,কি করে দেখেছেন তার কোন প্রমাণ ও অনেকের কাছে নেই।এ যেন মামু বাড়ির আব্দার যে আপনি বল্লেন আমি বাংলাদেশে হীরার ক্ষনি পেয়েছি,আর আমি তা বিশ্বাস করব। বিজ্ঞানীরা এড়িয়া ৫৬এর কিছু প্রাণী কেও এলিয়েন বলে।আবার নতুন সৃষ্ট হওয়া কিছু প্রাণীকেও এলিয়েন বলে ফেলে!কয়েক বছর পর দেখা যাবে যে একটা ছেলের মাথা বড় হলেও তারা বলে ফেলবে যে এটা এলিয়েনB-)! বিজ্ঞান মানুষকে যতটাই না শান্তি দিয়েছে ততটা করে তুলেছে মানুষকে অবিশ্বাসী।এমন কিছু আছে যা তাদের এখনো ধরা ছোঁয়ার একদম বাহিরে কিন্তু তবুও তারা প্রচার করে বেড়ায় যে এটা আমরা পেরেছি।এইতো মাত্র কয়েক দিন আগে একদল বিজ্ঞানীরা প্রকাশ করল যে তারা মঙ্গলগ্রহের ইদুর তাদের ক্যামেরায় উঠিয়েছেন।কিন্তু পরে আরেকদল বিজ্ঞানীরা নিরিক্ষন করে দেখল যে ওটা ছিল সাদা দুইটা পাথরের টুকরা:-P! প্রিয় পাঠক,বিজ্ঞানীদের সকল কথাই যে সত্য হবে এইটা ভাবাও অযৌক্তিক ভাবা।আর বিজ্ঞানীদের দ্বারাই যে সব সম্ভব সেইটা ভাবা তো বোকামি।কারন তারা এখন পর্যন্ত দেহে প্রাণ দিতে পারেনি,সাগরের তলায় যেতে পারেনি,আকাশের ওপরে উঠতে পারেনি,সমুদ্রের ওপারে যেতে পারেনি।আরো অনেক কিছুই বিজ্ঞানীদের আওতার বাইরে।আর যা যা তারা তৈরী করেছে তাতে প্রাকৃতিক সম্পদ তাদের লেগেছে।প্রাকৃতিক সম্পদ ছাড়া নিজেদের অভিজ্ঞতায় কিছুই সম্ভব হয়নি বিজ্ঞানীদের দ্বারা । অতএব এলিয়েন তত্ত্ব ও যে বিজ্ঞানীদের ভ্রান্ত ধারনা এর উত্তম প্রমাণ মিলেনি যে এলিয়েন কি আদৌ আছে নাকি রুপকথার গল্প? এলিয়েন কি সত্যিই আছে?শেষ পর্ব এলিয়েন কি সত্যিই আছে?১ম পর্ব পড়ুন (বানানগত ভুল ভুল ) এলিয়েনদের নিয়ে কত্ত চিন্তা বিজ্ঞানীদের:-|!এলিয়েনরা কেন আসে পৃথিবীতে?কি খায়?কি রকম শ্বাসকার্য চালায়? ইত্যাদি বিভিন্ন চিন্তা বিজ্ঞানীদের মাথায় অলটাইম ঘুরপাক খায়।বিজ্ঞানীদের মতে এলিয়েনরা কিছুই খায়না,আর তারা পৃথিবীকে ভালভাবে ভিজিট করতে পৃথিবীতে আসে।আর তারা সব আবহাওয়াতেই থাকতে পারে।সবরকম গ্যাসেই তারা বাঁচতে পারে,সেটা অক্সিজেন হোক,নাইট্রোজেন হোক আর বিষাক্ত গ্যাস কার্বনডাই অক্সাইড ই হোক:-/! alion5.jpg বিজ্ঞানীদের দাবী যে,এলিয়েনরা বুদ্ধিতে মানুষের থেকে সেরা,অথচ আল্লাহ পাক রব্বুল আলআমিন মানুষকেই সৃষ্টির সেরা জীব বলেছে অর্থাত্‍ আশ্রাফুল মাখলুকাত।আচ্ছা বিজ্ঞানীদের সবকিছুই মানতে হবে এটা কি কোন ইতিহাসের পাতায় আছে নাকি?অথবা কোন আইন পাশ করা আছে নাকি? বিজ্ঞানীদের দেয়া সকল তথ্য সঠিক নয় এর অনেক প্রমাণ আছে। বিজ্ঞানীদের সকল কথা যে সত্য নয় এর একটা প্রমাণ নিম্নে দিলাম •বিজ্ঞানীরা ৯০দশকে একবার বলেছিল যে "আর কয়েক মাস পর পৃথিবী ধ্বংস হবে"।কিন্তু তার পর ১শতক পার হয়ে গেল পৃথিবী কিন্তু ধ্বংস হয়নি বরংচ আরো উন্নত হয়েছে। তাই আমরা বলতে পারি যে বিজ্ঞানীদের সকল তথ্য সত্য নয় অতএব বিজ্ঞানীরা যে বলেছে এলিয়েন মানুষ থেকেও বুদ্ধিমান এটাও আমরা মানতে পারিনা এবং মানবোও না। বিজ্ঞানীদের দাবী কিছু কিছু এলিয়েন দেখতে কুমিরের মতো:-O! ছোট বেলায় একটা রুপকথার গল্প শুনেছিলুম যে রাক্ষসগুলো দেখতে নাকি ভয়াল ছিলো!দাঁতগুলো ইয়াবড় বড়!মাথার দু পাশে শিং,রক্তবর্ণ চোখ!ছোট বেলায় কতই না ভয় পেতাম!রাত্রে প্রসাব করতেও নামতাম না! পরে যখন বড় হলাম তখন জানতে পারলাম যে ঐ গুলা রুপকথার গল্প,আদিকালের গল্পকাররা এগুলো লিখে গিয়েছে। বর্তমান বিজ্ঞানীরাও তেমন আদিকালের গল্পকার হয়ে গেছে,যত্তসব উদ্ভট গল্প এরা বলে যাচ্ছে আর বিজ্ঞানমনষ্কা ছাত্রগুলোও বিজ্ঞানীদের এলিয়েন গল্পগুলো বিশ্বাস করে ধর্ম থেকে দূরে চলে যাচ্ছে!আবার এই ছেলেমেয়ে গুলোই নিজেদের মুক্তবুদ্ধির ধারকবাহক হিসেবে দাবী করছে:->! আসল কথা হলো বর্তমান বিজ্ঞানীরা পুরো পৃথিবীকেই ধর্মমুক্ত বানাতে চাচ্ছে যাতে করে তারা পুরো পৃথিবীতে প্রভুত্ব চালাতে পারে!আর আমাদের বর্তমান বিজ্ঞানে অজ্ঞান ছেলে মেয়েগুলো এটা না বুঝেই বিজ্ঞানীর কথাগুলো চোখ বুজে বিশ্বাস করে নিচ্ছে। পুরো পৃথিবীর ৭৫পার্সেন্ট লোক বিজ্ঞানীদের ফাঁদে পড়ে এলিয়েনে বিশ্বাস করে! অথচ বড় বড় বিজ্ঞানীরা বলেছে,আমরা যেটা নিজ চোখে না দেখি তাকে বিশ্বাস করিনা যেমন,এলিয়েন:-)। অনেক বিজ্ঞানী বলেছেন,আমরা এলিয়েনে মোটেই বিশ্বাসী নও।এলিয়েন ও নেহাত্‍ ড্রাকুলার গল্পের মতো সাজানো গপ্প,আমরা এলিয়েন নিয়ে মাথা ঘামাইনা আমরা মাথা ঘামাই,কি করে জগত্‍টাকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। সেদিন মেক্সিকোতে একটা খামারে ছোট্ট প্রাণী দেখে এক মহিলা চিত্‍কার করে ওঠে পরে সেটাকে পানিতে চুবিয়ে মেরে ফেলা হয় এর কয়েকদিন পর ঐ মহিলা অটোমেটিকলি গাড়িতে আগুন লেগে মরে যায়।বিজ্ঞানীরা দাবী করেছে যে ঐটা এলিয়েন ছিল এবং বাচ্চাকে মেরে ফেলার কারনে ও প্রতিশোধ নিয়েছে।অথচ আমরা জানি যে একমাত্র জ্বীন জাতীই তার বাচ্চাকে মেরে ফেল্লে প্রতিশোধ নেয়।আর বিজ্ঞানীরা বলেন যে এলিয়েন আগুনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে!তাইলে বিজ্ঞানীদের তত্ত্ব অনুযায়ীই বলা যায় উক্ত কাজটা কোন এলিয়েনের ছিল না বরংচ এটা জ্বীনের কারসাজি ছিল। mozaddid_117722491951cb3b514a6541.241994 •এ ঘটনাটা থেকে কিছুটা হলেও বোঝা যায় যে বিজ্ঞানীরা আসলে যাদের কে এলিয়েন বলে ওগুলো আসলে জ্বীনজাতী ও গুলো এলিয়ন নয়।এলিয়েন বলতে কিছু এ ধরায় নাই। কয়েকদিন আগে গুগল ম্যাপে এলিয়েনদের যান অর্থাত্‍ সসার ধরা পরেছে বলে একটি সোরগোল সৃষ্টি হয়েছে।কিন্তু বিজ্ঞানীরা খতিয়ে দেখেছে ওগুলো সসার ছিলোনা ছিল মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির পথের কিছু চিহ্ন অথবা গ্রাবলওবিটিশন। এই লেখাটি pdf আকারে ডাউনলোড করুন

No comments:

Post a Comment