Pages

Wednesday, July 9, 2014

আসুন দেখি নারীর সম্মান কোন ধর্মে বেশি।

ইসলাম ধর্মে নারীর অধিকার: নারীদের প্রতি জুলুম ও অপমান ইসলাম বরদাস্ত করতে পারেনি। ইসলাম তাই মেয়েদের কে বিভিন্ন ভাবে সম্মান ও মর্যাদা দান করেছে। যেমন ১. কন্যা হিসাবে মর্যাদা ২. বোন হিসাবে মর্যাদা ৩. মা হিসাবে মর্যাদা ৪. স্ত্রী হিসাবে মর্যাদা । ইসলাম ধর্মে নারীরা পর্দা রক্ষা করে ব্যাবসা থেকে ভ্রমন পর্যন্ত করতে পারবে।নারীর আছে তালাকের অধিকার,নারীর আছে কথা বলার অধিকার,নারীর আছে সম্পত্তি লাভের অধিকার।নারীরা পারবে পর্দা রক্ষা করে পুরুষদের সাথে জিহাদেও যেতে! আপনি জানেন কি ইসলাম ধর্মে স্ত্রীকে অহেতুক মারার জন্য শাস্তির বিধান আছে?আপনি জানেন কি ইসলাম ধর্মে নারীর পায়ের নিচে করে দিয়েছে সন্তানের বেহেশত? ইসলাম ধর্মে নারী পায় পিতার সম্পত্তি ,সাথে স্বামীর সম্পত্তি।আপনি জানেন ইসলাম ধর্মে পুরুষ নয় নারীকে যৌতুক দেয়া হয় ?ইসলাম ধর্মে নারীকে দেয়া হয় মোহরানা।আর আল্লাহ পাক বলেছেন,যে ব্যাক্তি তার স্ত্রীর মোহরানার টাকা না দিয়ে স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়,আর ঐ স্ত্রী যদি মোহরানার টাকার দাবী না ছাড়ে তাহলে কেয়ামতের দিন ঐ স্বামীকে জেনাকারীর কাতারে দাঁড়াতে হবে!ইসলাম কন্যা সন্তান কে কতটা প্রাধান্য দেয় জানেন কি?রাসুলে আকরাম সঃ বলেন,যে ব্যাক্তির ৩টি কন্যা সন্তান হবে ঐ ব্যাক্তি জান্নাতি!সুবাহানআল্লাহি বিহামদিহি!নারীর অধিকার যতটা ইসলাম দিয়েছে অন্য কোন ধর্ম এর ১০০ভাগের একভাগ ও দেয়নি!ইসলাম বলে নারীদের সম্মান দিতে,তাদের মতামত এবং ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে যা অন্য কোন ধর্ম বলেনা! ইয়াহুদী ধর্মে নারীর অধিকার: যে নাপাক থেকে পাক হতে পারে? যে নারী থেকে জন্ম নিয়েছে সে কিভাবে সত্যবাদী হতে পারে? অর্থাৎ নারী নাপাক, নারী সত্তার মধ্যে সত্যবাদীতা নেই। এ কারনে তার থেকে যার জন্ম সে সত্যবাদীতা শুন্য। মানুষ যেহেতু নারী থেকে জন্ম তাই সে পবিত্র হতে পারেনা। কেননা নারীর মাথা থেকে পা পর্যন্ত সব নাপাক। ডঃ গেসটাউলীবান বলেন কিতাবে মোকাদ্দাস গ্রন্থে রয়েছে, নারী জাতি মৃত্যু হতেও অধিক তিক্ত। প্রাচীন যুগের ওয়াজের অধ্যায়ে রয়েছে যে ব্যক্তি সৃষ্টিকর্তার প্রিয় সে যেন নারী থেকে নিজেকে দুরে রাখে। আমি সহস্র মানুষের মাঝে একজন খোদার প্রিয় পেয়েছি কিন্তু সারা বিশ্বের নারী জাতির মধ্যে একজনকেও সৃষ্টিকর্তার প্রিয় পাইনি। হিন্দু ধর্মঃ এদেশেরই সখ্যালঘু অপর একটি ধর্ম, হিন্দু ধর্ম। যেখানে সেদিন পর্যন্ত নারীকে বিবাহের পর স্বামী হাজার অত্যাচার করলেও বিবাহ বিচ্ছেদের কোন উপায় ছিলনা। আজীবন স্বামীর চরনের দাসী হিসেবে বিবেচনা করা হত। তাছাড়া উত্তরাধিকার লাভের কোন অধিকার নারীর ছিলনা, স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীর স্বতীত্ব প্রমানের জন্য স্বামীর চিতায় আত্মদান ছিল বাধ্যতামুলক। বর্তমান দু’ একদিনের বিবাহ কোন নারী যদি বিধবা হয় তাহলে তার আর সারা জীবনে পুর্ণ বিবাহের অধিকার নেই। বিবাহের সময় বাবা, ভাই থেকে সে সম্পদ নিয়ে শুশুর বাড়ীতে উঠবে, তারপর আর বাবা-ভাইদেরকে সম্পদের কথা বলতেও পারবেনা। হিন্দু ধর্মে নারীদের কোন অধিকার নেই। পুরুষের জন্য একই সময়ে দশজন স্ত্রী রাখার অনুমতি আছে। তালাকের সাথে সম্পর্ক নেই, যে কারনে নারীর ক্ষতিই বেশী, কারণ নারীর ভাল না লাগলে বা স্বামীর অত্যাচারে সে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারেনা। যত কষ্ট হোক, শত অত্যাচার করা হোক, স্বামীর কাছেই থাকতে হবে। সমস্ত ক্ষমতা স্বামীর, নারী দিন রাত্রীর কোন সময় স্বাধীন থাকতে পারবেনা। হিন্দু ধর্ম মতে তাকদীর, তুফান, মৃত্যু, জাহান্নাম বিষ ও বিষাক্ত সাপ এত ক্ষতিকর নয় যত ক্ষতিকর নারী। খৃষ্টান ধর্মঃ খৃষ্ট ধর্মের মতে নারী পুরুষ কেউ পবিত্র না, বিশেষ করে নারী জাতি। কারণ আদম (আঃ) হাওয়া (আঃ) উভয়ে নিষিদ্ধ খাবার খেয়েছিল, আদম আঃ পাপের দাগ মুছার জন্য একজন খোদার প্রিয় ব্যক্তির প্রয়োজন ছিল। যিশু এসে নিজে শুলিতে চড়ে সে পাপ হতে নিস্কৃতি পেলেও নারীদের ভিতর কেউ এমন হয়নি বিধায় নারীর অস্পৃশ্য/ পাপী। তাছাড়া খৃষ্টীয় ধর্মে মেয়ে সন্তান জন্ম দেওয়ার কারনে অনেক নির্দোষ সুন্দরী নারীকে জীবন্ত আগুনে জালানো বা ফাসিঁতে ঝুলানো হয়েছে, আবার খৃষ্ট ধর্মে তালাক প্রথা নেই, যে কারনে হিন্দু নারীদের মত খৃষ্ট ধর্মে নারীরা নির্যাতন ভোগ করে। সে কষ্টের শেষ নেই। পশ্চিমা খৃষ্টীয় সভ্যতায় প্রকৃত পক্ষে মানব মনের উপর কোন দাগ কাটতে পারেনি। কারণ তা সার্থপরতা ও ভোগান্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। ইসায়ী জগতের এক ধর্ম সাধক বলেন, নারী ছলনার কন্যা। তা থেকে দুরে থাক। নারী শয়তানের শক্তি। অজগর সাপের মত রক্ত পিপাসু। তার মধ্যে সাপের বিষ নিহিত রয়েছে। সমস্ত ত্রুটির উৎস শয়তানের বাদ্যযন্ত্র, শয়তানের সাহায্য কারিনী। যাকে বলে তুমি কে? আমার কাছে তোমর কি প্রয়োজন? গ্রেট পোলো একজন খৃষ্টীয় পুর্ণবান নেতা বলে খ্যাত। তিনি বলেন, পুরুষ নারীর জন্য সৃষ্টি হয়নি, নারীই পুরুষের জন্য সৃষ্টি হয়েছে, নারীর কোন অধিকার নেই, কুমারী মেয়েদের সম্পত্তিও বিয়ের পর স্বামীর বলে গন্য হতো। এমনকি স্ত্রীর নিজ নামটি পর্যন্ত স্বামীর নামের সাথে পরিচিত হতে হয়। জাহেলিয়্যাতের যুগঃ জাহেলী যুগে মেয়ে জন্ম নিলে জীবন্ত অবস্থায় তাকে মাটি চাপা দেয়া হত, নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হত। পাহাড় থেকে নিক্ষেপ করা হত। পাথর মেরে রক্তাক্ত করে মেরে ফেলা হত। মেয়েদের দাসী হিসাবে ক্রয় বিক্রয় করা হত। মেয়ে জন্ম হওয়াতে অসম্মান বোধ করত। ভাবে সম্মান ও মর্যাদা দান করেছে পরে রাসুল সঃ এই কালযুগের পতন ঘটায়। প্রিয় বুদ্ধিমান পাঠক এবার আপনারাই বিবেচনা করে বলুনতো নারী অধিকার কোন ধর্মে বেশি? আমি প্রথমেই বলে রাখছি ইসলাম ধর্মে।কেননা ইসলাম ধর্মের মত এতটা সম্মান,মর্যাদা,অধিকার পৃথিবীর অন্য কোন ধর্মে দেয় নাই।ওহে বিধর্মী ওহে নাস্তিক এরপর ও কি বলবে ইসলাম নারীদের ঠকিয়েছে?এরপর ও কি বলবে ইসলামে নারীদের সম্মান নাই? হে মা বোনেরা আপনারা কি এর পর ও বলবেন ইসলাম আমাদের পূর্ণ মর্যাদা দেয় নাই? হে মা বোনেরা স্বীকার করে নাও যে, ইসলামই সেই শ্রেষ্ঠ ধর্ম যারা তোমার পদতলে জান্নাত দিয়েছে!

No comments:

Post a Comment