Pages

Tuesday, July 1, 2014

আমাদের ধর্ষিত রাজনীতি!

i-hate-politics-373496592.jpeg আমাদের রাজনীতি আজ ধর্ষিত হচ্ছে কু রাজনীতি বিদদের হাতে । বর্তমান রাজনীতি আমাদের শেখাচ্ছে কিভাবে প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে হয়।কিভাবে একজনকে ধর্ষন করতে হয়,কিভাবে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করতে হয়,কিভাবে একজনের জমি জোড় জবরদস্তি করে কেড়ে নিতে হয়।কিভাবে একটা চরিত্রবান কিশোরী,যুবতীকে নষ্ট করতে হয়। কিভাবে ককটেল মারতে হয় নিরীহ জনতার জটলায়,কিভাবে গুলি করতে হয় শান্তিপূর্ণ মিছিল মিটিংয়ে,কিভাবে বৃদ্ধ মায়ের বুক খালি করতে হয়,কিভাবে গরীব রিক্সাওয়ালার পেটে লাথি মারতে হয়। আপনি কি দেখেননি কিভাবে ক্লাশের ভদ্র নম্র ছেলেটিকে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ছাত্রসন্ত্রাসী বানানো হয়? আপনি কি দেখেননি কিভাবে ভদ্র ছাত্রটির পকেটে ডেনামাইট আর পিস্তল ভরে দেয়া হয়? এসবই আমাদের রাজনীতির ফল। হে রাজনীতিবিদরা আপনারা কি স্বীকার করতে পারবেন যে আপনি একটি ছাত্রর হাতেও পিস্তল ধরিয়ে বলেছেননি যে ওকে খুন করে আয়? আওয়ামিলীগ তৈরী করেছে ছাত্রলীগ আর যুবলীগ,এদের দ্বারা তৈরী হয় যত অপকর্ম! এইতো সেদিন কালেরকন্ঠ পত্রিকায় পড়লাম"এক যুবলীগ নেতা ধর্ষন করেছে এক নব বিবাহিত কন্যাকে"আবার "ছাত্রলীগের হাতে মার খেয়ে আধামরা এক বয়স্ক মুরব্বি!"আবার ছাত্রলীগের কর্মীরা খুন করেছে অমুক মেয়র অথবা তমুক সংসদ সদস্যের ভাইপোকে! বিএনপির অধিনে চলে যুবদল আর ছাত্রদল।এইতো সেদিন প্রথম আলো পত্রিকায় পড়লাম"যুবদল কুপিয়ে জখম করেছে ছাত্রলীগের নেতা মহাসিন কে"আবার "ছাত্রদলের নেতা ধর্ষন করেছে নেত্রকোনার এক গরীব চাষার পুত্র বধুকে!" জামায়েত ইসলামের অধীনে চলে জামায়েত শিবির।এইতো সেদিন কালেরকন্ঠ পত্রিকায় পড়লাম"জামায়েত শিবিরের ককটেলে পাঁচ বছরের শিশু নিহত!" পত্রিকার পাতা খুল্লেই দেখা যায় রাজনৈতিক সংগঠন গুলোর অপরাধ আর অপকর্ম।এই অপকর্মের জন্য দায়ী কারা? নিশ্চই যারা এদের হোতা।এখন কার এদের মূল হোতা? নিশ্চই যারা এদের পরিচালনা করে। এই যে কর্মীদের দ্বারা এতো অপকর্মগুলো হয় এর জন্য কখনো কর্মীরা দায়ী হতে পারেনা।কেননা কর্মীরা চলে সংগঠনের নির্দেশে। যখন একটি কর্মী নিহত হয় রাজনৈতিক ফ্যাসাদে খালি হয় একটি মায়ের বুক।ছেলে হারানোর কষ্ট একমাত্র মা ছাড়া কেউ বুঝবেনা।হোক সে ছাত্রলীগ,হোক সে ছাত্রদল,হোক সে জামায়েত শিবিরের কর্মী সেও তো একটা মায়ের সন্তান! হে শেখহাসিনা ,হে খালেদা জিয়া আপনারা যদি এদের দুঃখ কতটুকু বুঝতে চান তবে ছাত্রলীগ,ছাত্রদলের মত রাজপথে নামিয়ে দিন আপনাদের সন্তানদের। আপনারা তাদের নামাবেন না জানি,আপনার হচ্ছেন পিশাচ,শয়তান ।আপনারা পরের পুত্র দ্বারা রাজনৈতিক ফয়দা লাভ করতে চান!আপনার সেই নিকৃষ্ট ইবলিশের উত্তরসূরী ,পরের ছেলে মরে গেলে আপনাদের কি?আপনাদের রাজনৈতিক ফায়দা লাভ তো হল! একটা ছেলে যখন রাস্তায় মরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তখনও আপনারা কিন্তু বসে বসে বিদেশী মদ গিলেন হাজার টাকার গ্লাশে এ.সি'র নিচে বসে আর বলেন,দু একটা না মরলে আন্দোলন বলে নাকি সেটাকে। একবার নিজেদের ছেলে পাঠান একটা মরুক তাইলে দেশে দেখা যাবে ঝামেলা কারে বলে। অথচ নিজের পুত্রদের কেউ কুট কথা কইলে কলেজায় ঘা লাগে আর পরের পুতরে ছাইড়া দেন বুলেটের সামনে ! আপনাদের হাতে আজ আমাদের রাজনীতি ধর্ষিত। রাজনীতি মানেই কি অশান্তি? রাজনীতি মানেই কি মারামারি? রাজনীতি মানেই কি বোমা মারা? রাজনীতি মানেই কি চুল ছেড়াছেড়ি? প্রত্যেকটার উত্তর আপনাদের কাছে চাই। দুইটা মহিলার পাছার পিছে আমরা পুরুষরা ঘুরি অথচ আমাদেল একটু লজ্জাও করেনা। বাংলাদেশে এত্ত পুরুষ প্রার্থী থাকতেও ঐ মহিলাদের আমরা নির্বাচিত করি তাদের উল্টা বুদ্ধিতে আমরা ঘুরি। প্রাচীন বুদ্ধিজীবিরা বলে গেছেন,নারীদের বুদ্ধি থাকে হাটুর নিচে।ঠিকই বলে গেছেন তারা একটু মিথ্যাও বলেন নাই। আমাদের শাসক মহিলাদের বুদ্ধি হাটুর নিচে। উল্টা বুদ্ধি দিয়ে দেশটাকে একেবারে চাঙ্গে তুইলা ফালাইছে! আমাদের ছাগল বানিয়ে তারা ভালই ফয়দা লুটতেছে। এই মহিলাদুটোর যদি দুইটা চেতনাদন্ড থাকত তাইলে কি করত আল্লাহ্ই ভাল জানে! মহিলাদুটো আমাদের দেশটাকে একেবারে খেয়ে দেয়ে ফর্সা বানাইছে। একজন বাপের নামে ফালতু টাকা খুঁয়ায় আরেকজন স্বামীর নামে। শেখ হাসিনা তার বাপরে নিয়া পরিবার কে নিয়া যা করল হায়রে হায়! শোনা যাইতেছে শেখাসিনা তার বাপের নামে নাকি পদ্মাব্রীজ ও করবে! হেঃহেঃহেঃ তোমরা মরো তোমাদের আব্বা,মা,স্বামীরে নিয়া আর জনগন মরে তাদের অসুবিধা নিয়া। একদলরে নিয়া আরেক দল কি ফালাফালি করে হায়রে! শেখ হাসিনা বলে খালেদার দল ধর্ষনকারী আর খালেদা বলে শেখ হাসিনা ধর্ষনকারী। তারপর লাগায় মারামারি ,পরের পুতের জান যায় খালি খালি। তারেক জয়কে বলে শুয়রের বাচ্চা জয় তারেকরে বলে হারামীর বাচ্চা। তোমাদের ভিতর মারামারি হয় হোক আল্লাহর দোহাই জনগনরে কষ্ট আর দিওনা।জনগন তোমাদের হাত দিয়া বাঁচতে চায়।তোমরা জনগনরে মুক্তি দাও তা যেইভাবে পারো ।দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে যদি তোমাদের মরাও লাগে তবে তাই কর।তোমরা আত্মহত্যা করে জনগনকে মুক্তি দিয়া দাও। জনতা চায় শান্তি জনতা এই ধর্ষিত রাজনীতি চায়না। প্লিজ কইরা কই তোমরা রাজনীতি থেইকা ইস্তফা নাও অথবা আত্মহত্যা কর। এত মানুষ আততায়ীর হাতে মরে তোমরা কেন মরনা? তোমরা মরে যাও।১৬কোটি জনতার বদ দোয়া যা নেওয়ার নিছো আর নিওনা। আমরা চাই শেখ হাসিনা আর খালেদা মুক্ত বাংলা। আমাদের আপত্তি শুধু হাসিনা খালেদা কে নিয়া অন্যকারো নিয়া আমাদের আপত্তি নাই। এই দুজন মরলে জনতা শান্তি পাইবে অন্যথা জনতা শান্তি পাইবেনা। অতএব শেখাসিনা খালেদা যদি সত্যিকারেই জনগনকে ভালবাস তাইলে তোমরা মরে যাও অন্যথায় রাজনীতি থেকে ইস্তফা নাও।

No comments:

Post a Comment