Pages

Friday, August 15, 2014

আল্লাহ্কে কে সৃষ্টি করেছে ?

অনেকে আছে নাস্তিক দেরকে আল্লাহতালার অস্তিত্ব বুঝাইতে যাইয়া এইভাবে উদাহরণ দেয় যে প্রত্যেক জিনিস এর একটা স্রষ্টা রয়েছে যেমন জামা পরি এমনেই তৈরী হয় নি তাতি কাপড় বানাইসে, তাতি লুমে কাপড় বানাইসে লুম এম্নে এম্নেই হয় নাই মেকানিক বা কারখানায় বানানো হইসে, লুম আর কারখানা চালাতে বিদ্যুৎ দরকার এম্নে এম্নেই হয় নাই টারবাইন ঘুরানো হইসে এই জন্যে বিদ্যুৎ উতপন্ন হইসে, তাই আমাদেরও স্রষ্টা রয়েছে। তখন নাস্তিকরা বলবে স্রষ্টাককে মেনে নেব যদি তুমি তোমার যুক্তি থেকে না সরো। তখন সে বলবে ঠিক আসে সরব না। আর সে ফেসে গেল কারণ নাস্তিক তখন জিজ্ঞাস করবে সব কিসুর স্রষ্টা থাকলে আল্লাহকে কে স্রিস্টি করেছেন? আসলে সব কিসুর স্রষ্টা আছে এইটা ঠিক। কিন্তু আল্লাহ এর স্রষ্টা নেই, তার কোনো শুরু নেই, তার সমতুল্য কিসু নেই, তিনি এক এবং তার তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন (আল্লাহ এর পরিচিতি রয়েছে সুরা এখলাস এ)। এখন অন্ধ নাস্তিক রা তো আর স্বাভাবিক কথা মানবে না কুরানের কথা মানবে না। অরা সেই যুক্তির লেজ ধরেই বসে থাকবে এবং আল্লাহকে কে স্রিষ্টি করসেন এই প্রশ্নে গো ধরে বসে থাকবে। যোগ্য উত্তর যোগ্য প্রশ্ন হতে পাওয়া যায়। আল্লাহকে কে স্রিষ্টি করসে? এই প্রশ্নটি প্রশ্ন হওয়ারই যোগ্যতা নেই । ধরুন আপনি একটি রুমে বসে আছেন ,মাথার উপরে ফ্যান ঘুরছে, ফ্যানের বাতাসে পর্দা নড়ছে। দেখুন, পর্দা কেন নড়ছে? ফ্যান ঘুরার কারণে। ফ্যান কেন ঘুরছে? কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ার কারণে। কারেন্ট কেন প্রবাহিত হলো ? কোন যন্ত্রের মাধ্যমে এটাকে তারের ভিতর দিয়ে পাঠানো হয়েছে। দেখুন পর্দা এক জিনিষ, আর সেটার নড়ার কারণ যে ফ্যান সেটা আরেক জিনিষ; ফ্যান এক জিনিষ, আর সেটা ঘুরার কারণ যে কারেন্ট সেটা আরেক জিনিষ; এভাবে কারেন্ট যে যন্ত্রের মাধ্যমে পাঠানো হলো সেটা আরেক জিনিষ ।এজন্যই পর্দার ক্ষেত্রে যেভাবে প্রশ্ন করা হচ্ছে ফ্যানের ক্ষেত্রে সেভাবে প্রশ্ন করা হচ্ছে না, ফ্যানের ক্ষেত্রে যেভাবে প্রশ্ন করা হচ্ছে কারেন্টের ক্ষেত্রে সেভাবে প্রশ্ন করা হচ্ছে না।পর্দার ক্ষেত্রে বলছি নড়ে কেন, কিন্তু ফ্যানের ক্ষেত্রে বলছি ঘুরছে কেন, এই উদাহরণের জিনিষগুলো সম্পর্কে আমি আপনি জানি বলেই যেভাবে প্রশ্ন করা সাজে ঐভাবেই আমরা প্রশ্ন করছি। আবার দেখুন, ধরুন আপনি কারেন্ট সম্পর্কে কিছু জানে না এমন একজন লোককে বললেন যে, ফ্যান ঘুরছে কারেন্টের কারণে। তখন কিন্তু এই লোকটা কারেন্ট সম্পর্কে অন্য কোন উল্টাপাল্টা প্রশ্ন না করে প্রথমেই জিজ্ঞাসা করবে কারেন্ট কি জিনিষ। আগে সে কারেন্টের প্রকৃতি বুঝতে চেষ্টা করবে। এটাই সাধারণ কমন সেন্সের দাবী। সুতরাং এই মহাবিশ্ব, স্থান এবং সময় যে কারণে অস্তিত্ব লাভ করলো সেই কারণটি সম্পর্কে অন্য কোন উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করার আগে আমাদের জানতে হবে সেই কারণটির প্রকৃতি কি। কি কি রকম প্রশ্ন তার ক্ষেত্রে মানায়। আরও একভাবে উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছিঃ তোমার প্রশ্নটিরই আসলে প্রশ্ন হওয়ার যোগ্যতা নেই । তোমার এই প্রশ্নটি প্রশ্ন হওয়ারই আদৌ যোগ্যতা নেই । প্রশ্ন হওয়ার যোগ্যতা বলতে একটা কথা আছে। ধরুন একজন মানুষ একটা বই বাধিয়েছেন। যে মানুষটা বইটা বাধিয়েছেন তার নাম ধরুন সাগরিকা। এখন আপনাকে একজন প্রশ্ন করল বইটা বাধিয়েছে কে? আপনার উত্তর হবে নিশ্চয়ই সাগরিকা। এখন আবার যদি লোকটা প্রশ্ন করে সাগরিকাকে বাধিয়েছে কে? আপনার কাছে কি কোন উত্তর আছে? না, নেই। কারন কি ? কারন প্রশ্নটা ঠিক হয় নি। সাগরিকার এর ক্ষেত্রে বাধানোর প্রশ্ন টা আসে না। আসে কি। সাগরিকার ক্ষেত্রে প্রশ্নটা করতে হবে এভাবেঃ সাগরিকাকে সৃষ্টি করেছে কে? এবার উত্তর টা কি হবে। নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তা বা আল্লাহ তা’আলা। এখন যদি প্রশ্ন করেন সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করেছে? তখন প্রশ্নটা কি “সাগরিকা কে বাধিয়েছে?” প্রশ্নটা এ রকম হয়ে গেল না? অর্থাৎ দেখতে হবে প্রশ্নটি আদৌ প্রশ্ন হওয়ারই যোগ্যতা আছে কি না । অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তার ক্ষেত্রে এই প্রশ্নটা প্রযোজ্য নয়। আর যে প্রশ্নটাই ভুল তার তো আর উত্তর পাওয়া যাওয়া সম্ভব না। http:// www.somewhereinblog.net/ blog/ Fuad1dinohin/29231413 http:// www.shodalap.org/ fuad/2359/

No comments:

Post a Comment