Pages

Saturday, February 28, 2015

অভিজিত্‍ এবং কিছু কথা

মুসলিম ভাইয়েরা,আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্। সুশিল চুচিল,সুবিধাবাদী,ভীতু আমাকে যাই বলেন ,আমার মতে এই হত্যাটা করা সন্ত্রাসীদের উচিত্‍ হয়নি।আমাদের মুসলমানদের মাথার উপর যখন ISIS ,শার্লী হেব্দো ইস্যু ঝুলছে ,দুদিন আগেই চট্টগ্রামে জঙ্গী প্রশিক্ষণকেন্দ্র পাওয়া গেল ঠিক তখনই এই হত্যাকান্ডটা ঘটালো তথাকথিত আনসারউল্লাহ-৭ নামক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।অভিজিত্‍ রায় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ধর্ষনকারী (নাউযুবিল্লাহ্) বলেছে যদিও এগুলা মিডিয়া এখন চোখে দেখবেনা কারন তারা অভিজিত্‍ কে লাশ হতে দেখছে,সরকারের মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ক্ষেপে গিয়ে এটা জামাতের ঘাড়ে চাপাচ্ছে(যদিও এখনো কেউ নিশ্চিত নয় কাজটা কাদের জামাত,আলীগ,বিএনপি কিংবা সন্ত্রাসীদের)।ভাই আগেও যদি মিডিয়া বা সরকার অভিজিত্‍ এর লেখা পড়ত তারা নিশ্চুপ থাকতো অভিজিত্‍ এর বিপক্ষে তারা চুপ থাকতো।আমেরিকায় এইতো কয়েকদিন আগেও ৩জন মুসলিমকে ধর্ম পালনের দায়ে এক নাস্তিক হত্যা করল সে বিষয়ে আমেরিকার প্রশাসন অপারগ থাকলেও একজন অভিজিত্‍ এর ব্যাপারে আমেরিকার বেজায় আগ্রহ দেখলাম । 20150213-chapel-Hill-300x185.pngনাস্তিকের হাতে ৩ মুসলিম খুন! তারা বাংলাদেশকে এ ব্যপারে সাহায্য করতে চায় অথচ তারা জানেনা আমাদের প্রশাসন লুলা কিংবা আমড়া কাঠের ঢেকি নয় ,তারা আমেরিকার গোয়েন্দার চেয়ে কোন অংশে কম নয় ,তারা আগে নিজেদের দেশের নাগরিকের প্রাণ রক্ষা করুক ।বাংলাদেশের ব্যাপার বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাই দেখুক আমেরিকার নাক গলানোর দরকার কি? তারা বড় জোড় প্রতিবাদ করতে পারে,গোয়েন্দা সংস্থা কিংবা সৈন্য পাঠিয়ে বাংলাদেশকে ইরাক দেশ ,কিংবা আফগান বানানোর পরিকল্পনা দেখছি তারা ভালই করছে । যাইহোক অভিজিত্‍ হত্যাকান্ড সমার্থন যোগ্য না কারন এই ঘটনার দরুণ এখন বাংলা নাস্তিক সমাজে মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে ,আল্লাহ্ ও তার রাসুলকে এখন আগের চেয়ে অধিক হারে গালাগালি করা হচ্ছে(যদিও মিডিয়া ও প্রশাসন সেদিকে নজর দিচ্ছেনা)।কেউ কেউ হয়ত মন্তব্য করে বসেছে "মহানবী কি তার উম্মতদের সন্ত্রাসগীরি শিখিয়ে গেছেন ?"।অথচ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিক্ষা কাউকে হত্যা না করে বুকে টেনে নেয়া। সর্বোপরি অভিজিত্‍ হত্যার দায় এখন পরেছে সকল বাঙ্গালী মুসলিমের ঘাড়ে ।যেই সন্ত্রাসীর হাতে অভিজিত্ রায় নিহত হলেন এই সন্ত্রাসীরা বাঙ্গালী মুসলিমদের হেয় করতে ,বিশ্ব মিডিয়ায় সন্ত্রাসী পরিচয় করিয়ে দিতেই এই হীণ কাজটা করেছে বলে আমার সন্দেহ হয়!দেখুন আনসার উল্লাহ -৭টিম নাকি এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে অথচ বাস্তবে এদের খুঁজেই পাওয়া যায়না ,এর আগেও একজন প্রফেসরের দায় ও নিয়েছিলেন তারা কিন্তু শেষমেষ তাদের খুঁজেই পাওয়া গেলনা তাদের ফেসবুক পেজটা পর্যন্ত গায়েব হয়ে গেল।তাদের কাজকর্ম ঠিক আলকায়েদার মত ,আলকায়েদা যেমন বিভিন্ন আত্মঘাতি বোমা হামলার দায় স্বীকার করে বেপাত্তা হয়ে যায় তেমনি এই সন্ত্রাসবাদী আনসারউল্লাহ্-৭।কি লাভ হল তাদের ইসলামের নবী ,মুসলমানদের বিশ্বের কাছে সন্ত্রাসবাদী বানিয়ে ? অভিজিত্‍ রায় কোন কালেই সাধু ব্যক্তি ছিলেন না ,ইসলাম মুসলিমদের বিপক্ষেই উনার অবস্থান ছিল ,কিন্তু আমরা মুসলিমরা এতটাই শান্তি প্রিয় জাতী যে চাইলেই ইসলাম বিদ্ধেষী কাউকে হত্যা করার অনুমতি আমার রাসুল দেয়নি(ব্লাশফেমির শাস্তি নিয়ে বিভিন্ন আলেম ওলামাদের বিভিন্ন মত থেকে এই মন্তব্যটি করা।)।

No comments:

Post a Comment