Pages

Friday, February 27, 2015

অভিজিত্‍ রায়ের হত্যাকান্ডে আমরা মুসলিমরা মর্মামহত !

ব্যক্তিগত জীবনে আমি তার অনেক সমালোচনা করেছি ধর্ম নিয়ে লেখা লেখির কারনে। তাকে আমার অনেক পোস্টে কুত্তাকা বাচ্চা বলেও গালি দিয়েছি আমার অনেক পোস্টে। ভাবতেই কষ্ট হয় যাকে কটাক্ষ করে কয়েক দিন আগেও এই লেখাটি লিখেছিলাম : http://www.sajalsfm.blogspot.in/2015/02/blog-post.html?m=1

আজ সেই লোকটা সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ।তার মতের সাথে আমার মতের ১০০% অমিল ছিল ,তার কত সমালোচনা করেছি ,গালি গালাজ করেছি ভাবতেই মনে হয় কার সমালোচনা করে অনলাইনে লিখব ? মতের অমিল থাকলেই তাকে হত্যার নির্দেশ আমার ধর্ম দেয়না কাজেই তাকে হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাই ।লেখনির জবাব অস্ত্র নয় লিখনি দিয়ে দিতে হয় এটা ধর্মাজ্ঞ এই সন্ত্রাসীদের জানা নেই।অভিজিত্ রায়ের হত্যাকারীদের অচিরেই গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতাধীন আনা হোক ।টিএসসিতে অনেকটা প্রকাশ্যে খুন হলেন মুক্তমনা ব্লগের সম্পাদক অভিজিৎ রায়। সাথে উনার স্ত্রী আহত হয়েছেন। মাথায় কোন একটা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার ফলে যে ক্ষত তৈরী হয়েছে তার থেকেই উনার মৃত্যু। বিষয়টা খুবই দুঃখজনক এবং ভয়াবহ। শুধুমাত্র ভিন্নমত প্রচার করার জন্যে তাকে খুন করে ফেললেই যদি নিজের মত শ্রেষ্ঠ হয়ে যেতো – তবে বিশ্বে অনেক আগেই ইসলাম থাকতো না। চেংগিস খাঁ থেকে শুরু করে আধুনা ওয়ার অন টেরর সবই চলছে ভিন্নমত দমনের নামে যুদ্ধ। এই খুনাখুনী কোন সমাধান নয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো – সমাজের খুনাখুনির বিস্তার সবাইকে সন্ত্রস্ত করে তুলবে। সমাজে বিশৃংখলা তৈরী হবে। কয়েক মাস আগে নুরুল ইসলাম ফারুকী নিহত হলেন – দুই বছর আগে হত্যা করা হয় ব্লগার রাজীব (থাবা বাবা)কে। কিন্তু তাতে কি ভিন্নমত থেমে যাবে। অভিজিৎ রায়ের সাথে শুধুমাত্র যুদ্ধাপরাধী বিচারের ইস্যু ছাড়া আর কোন বিষয়ে একমত হতে পারিনি। বিশেষ করে ইসলাম সম্পর্কে উনার অজ্ঞতাপ্রসুত মতাদর্শের প্রতিবাদ করেছি দীর্ঘকাল। কিন্তু কখনও ভাবিনি তাকে হত্যা করা হবে। বিষয়টা খুবই দুঃখজনক। এতে বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞানচর্চার পথ রুদ্ধ হবে। কথায় কথায় ভিন্নমতের মানুষকে হত্যা করে তাদের মুখবন্ধ করে দেওয়া হবে। তাতে কে সঠিক আর কে ভুল তা মানুষ জানার আগেই বিভ্রান্ত হবে। হত্যার বদলে হত্যার অধিকারই প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে ক্রমাগত একটার পর একটা খুন হবে কিন্তু তার বিচার হবে না – এইটাও মেনে নেওয়া যায় না। এই বিচারহীনতার সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো – প্রতিটি ঘটনা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে। কেউই জানবে না আসলে কেন এই হত্যাকান্ড হলো। এতে পরষ্পরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার বাড়বে। সমাজে ভিন্নমতের সহবাস্থান নষ্ট হবে। জানি না কারা এই হত্যাকান্ড ঘটালো। সবাই তাদের সুবিধামতো হত্যার দায়দায়িত্ব ভিন্ন মহলের উপর চাপাবে এবং এতে আসল সত্যটা চাপা পড়ে যাবে। এই ধরণের বিচারহীনতার সংস্কতি কোন ভাবেই সভ্য সমাজের জন্যে বাঞ্ছনীয় নয়। অবশ্যই অপরাধীদের প্রচলিত আইনের আওতায় বিচারের মুখোমুখি করানো জরুরী। আশা করি প্রশাসন এই বিষয়ে আন্তরিক হবে।

No comments:

Post a Comment