Pages

Sunday, March 30, 2014

ধর্মান্ধদের ভূখন্ডে কেন নির্লজ্জ ছাগলের বসবাস?

পাঠক, ধর্মান্ধদের জন্য একখানা সু খবর রহিয়াছে! শুনিবার জন্য মন আকুপাকু করিতেছে তাইনা? **** আমরা যাহারা ধর্মান্ধ প্রকৃত তাহারাই মনুষ্য! বাকি সব বান্দরের জাত। প্রশ্ন করিতে পারেন যে ইহা কি বলিলা প্রমাণ কি? *** ডিয়ার মশাই,আমরা যারা ধর্মান্ধ কেবল তাহারাই মানিনা যে মানুষ্য আদীমকালে ডারউইন বানর ছিল। ১৯৪৭সালে আমাদের মতন ধর্মান্ধরাই সর্বপ্রথম কিন্তু ইয়াহিয়ার মুখপানে জুতা,ঝাড়ু মারিয়া কলম খানা উঁচা করিয়া বলিয়াছিলঃ-"গেট আউট ফকিন্নিরফুত"! দেশটাও কিন্তু স্বাধীন করিয়াছিল আমাদের মত ধর্মান্ধরা। বলিতে পারেন প্রমাণ দেখাইতে পারিবা? ***** দাদা ৭১সনে গোটাকয়েক ছাড়া এত ব্যাপক পরিমানে বিজ্ঞান বিভাগের উচ্চ শিক্ষিত(আগের গন্ডমূর্খদের চাহিয়াও এরাই বেশি পরিমানে বলদ)ছিলনা!এদের সিংহ ভাগ ছিল চাষা,কুলি,মজুর,কৃষক। আর আপনারা তো বোঝেনই এই শ্রেণীর লোকেরা কতটা ধর্মান্ধ হইয়া থাকে । এই ধর্মান্ধরাই কিন্তু প্রাণ দিয়া সেইদিন ভূখন্ড রক্ষা করিয়াছিল! এখন কথা হইল যে,আমাদের যারা ধর্মান্ধ,ধর্মান্ধ বলিয়া গলা ফাঁটাইতেছে তাহারা কেন ধর্মান্ধদের স্বাধীন করা ভূখন্ডে থাকিতেছে? তাহাদের কি লজ্জা বলিতে কিছু নাই? নাকি জন্মের পর তাহার পিতামাতা চক্ষুদ্বয়ের ভ্রুতে কাজল দেয় নাই? মুরব্বিরা বলিয়া থাকেন যে,জন্মের পর কাজল না দিলে ঐ বত্‍সর লজ্জা শরম একটু কমই হইয়া থাকে। আমারতো মনে হয় যারা আমাদের ধর্মান্ধ বলিয়া থাকেন,তাদের পিতামাতা জন্মের পরে চক্ষের ভ্রুতে কাজল ছোঁয়ায়নাই! ********* আজিকা আমার ফেসবুকে শেয়ার করা একখানা লিংকে 'ব্লাক সেভেন' নামক এক ইউজার কমেন্টাইলেন,"ধর্মান্ধরা ছাগলের বাচ্চা" আমি আশ্চর্যিত হইলাম উনি আবার কোথা হইতে উদয় হইলেন! আমিতো অপরিচিত কোন লোককে এডাইনা,উনিতো আমার বন্ধুও না তাহা হইলে উনি কি করিয়া এখানে মন্তব্য করিলেন!পরে চেক করিয়া দ্যাখিলাম লিঙ্কখানা পাবলিক করা এবং যে করেই হোক এইখানা উনার নিকট পৌঁছেছে। তো উনার মন্তব্যখানায় আঘাত খাইয়া উনাকে ইনবক্স মুবারকে টোকা মারিলাম,হ্যাল্লু স্লামালেকুম। উনি সালামের জবাব না মারিয়াই কহিলেন,কিয়া হোতাহে?(দাদা হিন্দু তো এ জন্য) আমি কহিলাম,দাদা আপনি বলিয়াছেন যে "সকল ধর্মান্ধরাই ছাগলের বাচ্চা"আচ্ছা দাদা আপনার বাবা কোন ধর্মের ছিলেন? দাদা কহিলেন,আজ্ঞে হিন্দু ধর্মের। আমি কহিলাম,তিনি ধর্মকর্মে কেমন ছিলেন? দাদাঃ-মোটামুটি। আমি কহিলাম,আজ্ঞে আপনার দাদা(বাপের বাপ) ধর্মে কর্মে কেমন ছিলেন? দাদাঃ-তাহার কথা আর বলিবেন না হু!অমন মস্তবড় পুরোহিত ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় ছিলনাকো!ধর্মে যেমন যেমন ছিল তেমন তেমনই করিতেনগো! আমি কহিলাম,ও তাইলে সেও তো ধর্মান্ধ? হেঁদু দাদা কহিলেন,বটে। খ্যাক খ্যাক খ্যাক আমার প্লাসপয়েন্ট আসিয়া গেল! আমি কহিলাম,তবে আপনার দাদা তো ছাগলের বাচ্চা হয়ে গেল!আর ছাগলের বাচ্চার ছেলে আপনার বাবা,ছাগলের বাচ্চার বাচ্চা ছাগলের বাচ্চা।আর আপনার বাবার ছেলে আপনি।তাইলি দাদা আপনিই বলেন,ছাগলের বাচ্চার বাচ্চা কি কভু মানুষের বাচ্চা হয়? (দাদা লজ্জিত হইয়া আমাকে ব্লক মারিল!) **************** পাঠক,আমাদের যদি ওরা ধর্মান্ধ বলিয়াই ফেলে তবে আমাদের এতে লজ্জিত না হইয়া বরংচ খুশি হইয়া লাফ মারা উচিত্‍। কেননা এই ধর্মান্ধদের উসিলায় ওরা খানা খাইয়া হজম করে!ধর্মান্ধদের দয়ায় বসত করে।আমার ধর্মান্ধদের বানানো পোশাক পড়িয়া ফুটানি **য়। ঐ নির্লজ্জ শালা বেহায়া এত ধর্মান্ধ ধর্মান্ধ করিয়া যে গলা ফাঁটাইয়া ফেলিস এই ধর্মান্ধদের স্বাধীন করা দেশে যে থাকিস একবার ও কি লজ্জা করেনা?থুথুথু নির্লজ্জ! (ব্লগে যদি অশ্লীল বলার নিয়ম চালু থাকিত তবে আমি পুরো লেখাটা ওদের বিরুদ্ধে অশ্লীল গালি দিয়া সাজাইতাম)

Saturday, March 29, 2014

হিন্দুরা কি এখনো বলবে মুসলমান পরধর্মসহিষ্ঞু জাত না?

হিন্দুরা হয়ত ভাবিয়াই ব্যাকুল যে মুসলমানরা পরধর্মসহিষ্ঞু জাত না! লানত হইতে মরক্কো পর্যন্ত এই মুসলীমরা শাসন করিয়াছেন সাড়ে আটশ বছর! যদি মুসলমানরা পরধর্মসহিষ্ঞু জাত না হইত তবে হিন্দু সহ অমুসলীমদের টিকিও পৃথিবীতে খুঁজিয়াও পাওয়া যাইতনা! হিন্দু ভাইয়েরা হয়ত সর্বক্ষন ভাবিয়া থাকে যে,মুসলমান বলিতেই রাজাকার! আমি বলি ঐ দাদা ভুল বলিয়াছেন,কেননা ইতিহাস ঘাটিলে দেখিবেন সর্বপ্রথম কিন্তু পাকিস্তানের বিরোধী করিয়াছিলেন মাওলানা বৃন্দরা। কতিপয় মাওলানাদের নাম আমি লিখিয়া দিলাম, ১/মাওলানা আব্দুল হামিদ খাঁন ভাসানি। ২/মাওলানা উবায়েদুল্লাহ সিন্ধী। ৩/মাওলানা আব্দুল হাই। ৪/মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী। ৫/মাওলানা আব্দুল আজিজ। ৬/মাওলানা আবুল কালাম। দুঃখের বিষয় যে এই নবযুগের ইতিহাসে এনাদের নাম খুঁজিয়া পাওয়া যায়না।অথচ ১৯৪৭সালের আগষ্ট মাসে সিলেটের একটা পত্রিকায় সর্বপ্রথম বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করিবার দাবীতে লেখা শুরু হয়।পত্রিকাটাও ছিল মুসলমানদের নামঃ "আল ইসলাহর"। যাক সেই কথা দূরে সড়াইয়া রাখি মূল আলোচনা করি,যুদ্ধের সময় যখন কতিপয় হিন্দু সম্প্রদায় পালাইয়া যাইতে পারেনাই তারা কিন্তু মুসলমানদের ঘরেই আশ্রয় লইয়াছিল!এবং তাদের বাঁচা মরা ছিল কালিমা জানে কিনা উহার উপর ভিত্তি করিয়া! পাকিস্তানি হানাদার যখন সুধাইত যে "তুমি কালিমা জানো কিনা?" তখন কিন্তু তাহারে মুসলমানের কালিমাই বাঁচাইত। আমাদের আরো ভাগ্য খারাপ যে,যেই কালিমা খানা হিন্দু দাদাদের পূর্বপুরুষদের হানাদারের কবল হইতে বাঁচাইয়াছেন আজিকা তারা সেই কালিমাকেই অবমাননা করিয়া ফেসবুকে অশ্লীল পেজ খুলে কালিমার অপমান করে!একবার ও ভাবিয়া দেখে না যে এই কালিমাই তো ৭১এ আমার পূর্বপুরুষকে রক্ষা করিয়াছে।তা ছাড়াও ধর্মপ্রাণ মুসলমানগন নিজের জীবনের এবং পরিবারের ঝুঁকি লইয়াও হিন্দু সম্প্রদায়রে নিজ ঘরে আশ্রয় দিয়াছেন।এই কথাও আর বাড়াইলাম না আসি রাজা বাদশাদের আমলে। ১৬০০খ্রিষ্টাব্দের রাজা নূর উদ্দিন মুহম্মদ জাহাঙ্গীর কিন্তু অন্যধর্মের প্রতি সহিষ্ঞু ছিলেন,তিনি একজন মুসলমানের পুত্রের কল্লা কাঁটিয়া কিন্তু হিন্দু বুড়ির পুত্রবধুর সতিত্ত্ব বাঁচাইয়া ছিলেন! মুসলমান রাজাদের মধ্যে এমন কাউকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না যে জোড় করিয়া অমুসলিমকে মুসলিম করিয়াছে বা অমুসলিমকে অত্যাচার করিয়াছে। খাজা মঈনুদ্দিন চীশতি (রহঃ)আমলে তিনি শুধুমাত্র প্রিতিরাজকেই ভয় দেখাইয়া রাজ্যছাড়া করিয়াছিলেন এছাড়া হিন্দুধর্মের অন্যকারো উপর সে অত্যাচার করেনাই। দাদা হিন্দুদের মধ্যে এমন একজন রাজাকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবেনা যে অন্যধর্মের প্রতি এতটা সহিষ্ঞু ছিলেন! ইহা শরত্‍চন্দ্র চট্টোপধ্যায়ের মহেষ গল্পটা পড়িলে কিছুটা আঁচ পাওয়া যাইবে যে তত্‍কালিন হিন্দু রাজারা কতটা অত্যাচারি ছিলেন এবং অন্য ধর্মকে কতটা অসম্মান করিত।। দাদা মূলকথা হইল মুসলমানদের মত এতটা পরধর্মসহিষ্ঞু জাত কেউ ছিলনা এবং হইতে পারিবেও না।ইহা যদি কেহ অস্বীকার করে সে যেন বাংলা সহ পুরো পৃথিবীর ইতিহাস কেই অস্বীকার করিল।

Thursday, March 27, 2014

৯নং লাল কালো-কস্টিপ

রাস্তা দিয়া হাঁটিয়া গেলে এদিকে ওদিকে তাকাইলেই খালী লেডিস আর লেডিস! কিয়ত্‍ক্ষন চক্ষু বুজিয়া থাকিলাম দেখি লেডিস কমিয়া যায় কিনা,বাপরে বাপ চক্ষু খানা মেলিয়া দেখি আগের চাইয়া আরো এক ডজন বাড়িয়া গিয়াছে! সেইদিন বাজারে গিয়া তো লজ্জায় আর ক্ষোভে মরিয়া যাওয়ার পালা!একজন মোটা মতন মহিল শতখানেক পুরুষের ভিড়ে দাড়াইয়া পেটের ভূড়ি বাহির করিয়া বাজার করিতেছে!পরে ভাল করিয়া মহিলার চেহারা দেখিয়া বুঝিলাম উনি আমাদের পারার কামেল ভাইজানের স্ত্রী।সব পুরুষগুলো তাহার দিকে কু দৃষ্টিতে তাকাইয়া আছে! অনেক পুরুষ আবার টিপ্পনি কাঁটিয়া বলিতেছে,কি আকাল পড়িল বাপু একখানা নারী ১০০পুরুষের কাজ করে! উনি লজ্জা পাইয়াছিল কিনা বলিতে পারিবনা কিন্তু আমার রাগ হইতেছিল! কোনমতে বাজার করিয়া আসিয়া নিজের রুমে শুইয়া ভাবিতেছি যে,কামেল ভাইজান কে ব্যাপারটা বলিতে হইবেই হইবে।আল্লাহর কি মর্জি কথাটা ভাবিতে ভাবিতেই কামেল ভাইজানকে আমার রুমের পাশ দিয়া হাঁটিয়া আসিতে দেখলুম নিশ্চই আমার রুমের দিকে আসিতেছে। আমার রুমে আসার সাথে সাথেই উনাকে আমি সালাম দিয়া কহিলাম,ভ্রাতা অনুমতি দিলে একটা কথা বলিব। কামেল ভাই আমারে অনুমতি দিয়া দিলো। আমি তাহারে কহিলাম,ভ্রাতা ভাবীরে আর তুমি বাজারে পাঠাইও না। কামেল ভাই কহিল,কেনরে? আমি উনাকে বাজারের সমস্ত ঘটনা খুলিয়া কহিলাম,কামেল ভাই সব শুনিয়া কহিল,হে ভ্রাতা আমার আমি চেষ্টা করিব কিন্তু সে যদি রাজি না হয় তাহা হইলে কিন্তু তোমাকেই বলিতে হইবে!তাহাকে বুঝাইতে হইবে। আমি রাজি হইয়া গেলাম।কিন্তু না আমার আর দরকার হইল না ভাবী বুঝিতে পারিল এবং বাজারে যাওয়া বন্ধ করিল,বিশ্বাস করিবেন না সে এখন পর্দা করে! অনেক ভাই আছেন ছড়া আওড়াইয়া কহেন, "বোরখার তলে শয়তান চলে" দুঃখিত জনাব,বোরখার তলে শয়তান চলে কথাটা সম্পূর্ণ ভুল!বরংচ আপনি কহিতে পারেন যে,পেটের ভূড়ি দেখাইয়া যে নারীগন হাঁটিয়া যায় ঐ নারীগনের পেটের দিকে যেই কয়টা শয়তান প্রতিদিন চোখ বুলায় অত পরিমান শয়তান ঈসরায়েলেও নাই! যেই নারী ঐ সমস্ত শয়তানের চোখে পড়িয়া যায় আই ক্যান চ্যালেঞ্জ ঐ নারীই সন্ত্রাস অর কুলাঙ্গারের জন্ম দেয়! গাছ ভাল তো ফসল ভাল, গাছ ভাল না ফসল কালো। আমাদের রহীম ভাই এ জন্যই পাঁচ বছর ধরিয়া মেয়ে দেখিয়া মাস খানেক আগে একজন লাল কালো কস্টিপ পড়া মেয়ে পাইয়াছে এবং বিবাহ করিয়াছে।তিনি চাহিত একজন পর্দা করে এমন মেয়ে,প্রথম মেয়ে যখন তাহার জন্য দেখিলাম তখন উনি আমার নিকট হইতে কন্যার ফোন নম্বর নিয়া জিজ্ঞেস করিয়াছিল যে,আমার সহিত বিবাহের পর তুমি কি পর্দা করিতে পারিবে? কন্যা কি বলিয়াছিল জানেন? "না,না বাপু আমি তোমার সহিত বিবাহের পর লাল কালো কস্টিপ(মেয়েটি বোরখাকে কটাক্ষ করিয়া উহা বলিয়াছিল!কস্টিপ বলিতে বুঝায় কস টেপ) পড়িয়া তোমার সহিত হাঁটিতে পারিবনা!তুমি এর চাইয়া অন্য জায়গায় খোঁজ করিয়া দেখো লাল কালো কস্টিপ ওয়ালী কাউকে পাও কিনা" এই পাঁচ বছর ধরিয়া তাহার জন্য কস্টিপ ওয়ালী খুঁজিয়াছি মোট৮জন!শেষে একজনকে খুঁজিয়া পাইলাম মানে ৯নং পাইলাম কস্টিপ ওয়ালী বা রোরখাওয়ালা। আল্লাহর রহমতে রহীম ভাই ঐ কস্টিপ ওয়ালীর সহিত সুখের সংসার করিতেছে।আর যাকে প্রথম যাহাকে রহীম ভাইর জন্য দেখিয়াছিলাম উনাকে সেদিন দেখিলাম ৩য় নং স্বামীর সহিত যাইতেছে রাস্তায় বসিয়া তাহার গ্রাজ্যুয়েট স্বামী তাকে চরম অশ্লীল ভাষায় গালি দিতেছে! আমি চিন্তা করিলাম,হায়রে নারী তুমি যদি রহীম ভাইর কস্টিপ ওয়ালী হইয়া থাকিতে তাহা হইলে এই রকম গালি হয়তবা তুমি শুনিতেনা। ভাইজানেরা খোঁজ করিয়া দেখিবেন যাহারা লাল কালো কস্টিপ পরিধান করে ওরাই স্বামীর ঘরে সুখের সংসার করিয়া থাকে।সর্বদিক বিবেচনা করিলে বলা যায়,কস্টিপ ওয়ালীরাই সুখি।

Tuesday, March 25, 2014

ধর্ষন আর ইভটিজিং কেন হয়?

প্রিয় পাঠক,আমরা হয়ত ভাবিতে পারি যে ধর্ষনে বাংলাদেশই বুঝি শ্রেষ্ঠ দেশ! না প্রিয় পাঠক এইটা সঠিক না,ইউরোপ আমেরিকায় ১দিনে যেই পরিমান ধর্ষন হইয়া থাকে উহার দশমাংশের একাংশ আমাদের দেশে ১মাসে হয়না! ২০১০সালের কালেরকন্ঠের(পত্রিকা) ৬ষ্ঠ পাতার অষ্টম কলামে একখানা খবর স্থান পাইয়াছিল সবচেয়ে কমবয়সী নাবালিকা মা হইয়াছেন।উক্ত নাবালিকার বয়স হইয়াছিল ১০বছর!নিউইয়র্ক তাহার বসতি।ডাক্তার সাহেবগন বলিয়াছিল যে নাবালিকাটি কমপক্ষে পাঁচ জনার নিকট হইতে ধর্ষিতা হইয়াছিলেন! তাহা হইলে বুঝুন যে আম্রিকা ধর্ষনে কতক্ষানি এগাইয়া গিয়াছে! আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতেও কিন্তু কম নারীগন যৌন নির্যাতনের স্বীকার হয়না!বরংচ ইহাকে অতিরিক্ত বলিয়া আখ্যা দেয়া যাইতে পারে! পাঠক,জিম্বাবুয়ের কথা যদি বলিতে যাই তাহা হইলে আপনারা বলিতে পারেন যে লেখক বোধ হয় গেঁঞ্জিকা সেবন করিয়াছে। না পাঠক আমি গেঁঞ্জিকা সেবী নও!জিম্বাবুয়েতে প্রতিনিয়ত পুরুষ ধর্ষন হইয়া থাকে! ঝোপের আড়ালে অথবা পাহাড়ের আড়ালে কোন পুরুষ গাড়ি চালক দেখিলেই প্রথমে একজন নারী ঐ গাড়ি খানা থামাইয়া চড়িবে ইহার পর কিছু দূর যাইয়া ঐ নারী আরো কিছু নারী ঐ গাড়িতে উঠাইবে!কিছুদূর যাওয়ার পর ঐ রমনীদ্বয় গাড়ি ওয়ালাকে ধর্ষন করিয়া কন্ডমে করিয়া ঐ গাড়িওয়ালার শুক্রানু সংগ্রহ করিয়া লইয়া যায়(লিখিতে অসস্তি পাইতেছি তবুও লেখিতে হইল)!সেই অঞ্চলের গাড়িওয়ালারা এখন মহিলা কাউকে তাহাদের গাড়িতে উঠাইতেই চায়না।শোনা যায় ঐ শুক্রানু তাহারা বিদেশে বিক্রি করিয়া ঐ পয়সা দিয়া জীবীকা নির্বাহ করে। পাঠক,আসেন পরের চরকা বাদ দিয়া এইবার নিজেদের চরকায় তেল মারিতে থাকি। বাংলাদেশেও ইদানিং ধর্ষন আর ইভটিজিং বাড়িয়া চলিতেছে তুমুল অকারে! একজন ধর্ষিতা নারী সমাজের কলঙ্ক বলিয়া চিহ্নিত।বাংলাদেশে ধর্ষন ও ইভটিজিং কেন বাড়িয়া গিয়াছে উহার কারন কী?এবং উহার জন্য দায়ী কারা? দাদা আমি বলিব বাংলাদেশের ধর্ষনের জন্য দায়ী মেয়ে ছেলে উভয়ই। মেয়েরা যদি ইসলাম মানিত আমি চ্যালেঞ্জ করিয়া বলিতে পারি ঐ মেয়ে ধর্ষিতা হইত না।আর পুরুষ ও যদি ইসলামি আইন মানিত তাহা হইলে মেয়েদের ধর্ষন তো দূরে থাক কোন বেগানার সহিত কথাও বলিতনা। বাংলাদেশে যদি বোরখা বা পর্দা প্রত্যেকটা বাড়ি বাড়ি পর্যায় হইতে শুরু হইয়া যায় তবে আমি বুকে হাত রাখিয়া বলিতে পারি,বাংলাদেশে কোন ধর্ষন বা ইভটিজিং হইবে না। ধর্ষন ইভটিজিং কেন হয়? চিনি যত্নে রাখিলে পিপড়ায় ধরা যেমনি কষ্টকর তেমনি একটা মেয়ে বোরখায় থাকিলে তাকে নষ্ট করা কষ্টকর।বোরখাকে যাহারা কালো বস্তা বলিয়া থাকো মূলত সেই নারীগুলোই ধর্ষিতা এবং ইভটিজিংয়ের শিকার হইয়া থাকেন। ইতিহাস লক্ষ্য করিয়া দেখুন,কামাল পাশা যখন পর্দাকে উঠাইয়া দিয়াছিলেন মিশরের বুক থেকে কিছুদিন যাইবার পর মিশরে ধর্ষন কিন্তু বাড়িয়া গিয়াছিল! আপনি লক্ষ্য করিলে আরো দেখিবেন যেই দেশে পর্দা বলিতে কিছু নাই ঐ দেশে অবৈধ যৌন সম্পর্ক বেশি হইয়া থাকে,এবং ঐ রাষ্ট্রেই জারজ্ সন্তান বেশি!আমেরিকার অধিকাংশ নায়িকাগনদের কিন্তু বিয়ের আগে দুই,তিনটা সন্তান হইয়া থাকে। আপনাদের আরো একটা প্রমাণ দেখাইয়াছি যে,আমেরিকায় দশ থেকে বার বছরের মেয়ে ও ধর্ষন হইয়া থাকে।এর মূল কারন হইল ঐ দেশ পর্দা বিহীন। রাস্তা দিয়া আপনার মেয়েকে আপনি অর্ধ উলঙ্গ করিয়া ছাড়িয়া দিলেন ঐ মেয়ের চেহারা অন্য পুরুষ দেখিলে ঐ পুরুষের যদি নিয়ত খারাপই থাকে অথবা ঐ ছেলের মধ্যে যদি কামুক ভাবটা আসিয়াই যায় তাহা হইলে আপনার মেয়ে ঘরে সত্‍ চরিত্র নিয়া ফিরিবে কিনা ইহা কি আপনি চ্যালেঞ্জ করিয়া বলিতে পারিবেন? বাংলাদেশে ইভটিজিং আর ধর্ষন সেই দিনই কমিয়া যাইবে যেইদিন নারীরা পর্দার ভিতরে ঢুকিবে।তা না হইলে সরকার ইভটিজিং আর ধর্ষনের বিরুদ্ধে ডবল আইন বসাইয়াও কিছুতে কিছু করিতে পারিবেনা। বাংলাদেশের সকল নারীদের বলিতেছি, আগে পর্দা করিয়া লও বোনেরা, আগে নিজের সুঠাম যৌবনপূর্ণ দেহ অন্য পুরুষ হইতে হেফাজাত কর। তাহা হইলে তুমি নিশ্চিত থাকিতে পারিবে যে তুমি তোমার সতিত্ত্ব নিয়া ঘরে ফিরিতে পারিবে। {এ পর্যন্ত 222বার পঠিত এবং 2টি মন্তব্য} মন্তব্য করেছেনঃ-অতিথি

Saturday, March 22, 2014

হিন্দুরা গালি দেয় ইসলামকে।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। প্রিয় পাঠক,আপনারা হয়তবা জানেন যে অনলাইনে এবং অনলাইন ছাড়া বাংলাদেশে নাস্তিক সংখ্যা প্রায় হাজার খানেক বা তার একটু বেশি।তো এই নাস্তিকেরা দীর্ঘদিন যাবত্‍ ইসলামকে গালিগালাজ করে আসছে এটাও জানেন সবাই।থাবা বাবা,আসিফ মহীউদ্দিন,আল্লামা শয়তান,মসিউর রহমান মাসুদ,অভিজিত্‍ রায় ছাড়াও হাজার খানেক নাস্তিক ও তার দোসর অর্থাত্‍,হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রীষ্টান মিলিত ভাবে ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করে আসছে।আমাদের ভাগ্য খারাপ যে এই সকল নাস্তিকদের আমরা কতল ও করতে পারছিনা! তারা কখনো ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্মকে কটাক্ষ করছেনা শুধু ইসলামকেই কটাক্ষ করছে!নাস্তিকেরা কেন শুধু ইসলামকে কটাক্ষ করছে?? >>প্রিয় পাঠক,এই যে নাস্তিক গুলো এরা হল আবু জাহেল,ফিরাউনের উত্তরসুরি।এরা জানে যে ইসলাম সত্য ধর্ম।কিন্তু আবু জাহেল কে কি কেউ উত্তম পথে আনতে পেরেছিল? আবু জাহেল জানতেন যে ইসলাম সত্য তবুও সে ইসলামে আসেনি কারন একটাই,আবু জাহেল তার বংশের ঐতিহ্য আর মানসম্মান যাবে বলে ইসলামে আসেনি।মানসম্মান যাবে বলতে বুঝাতে চাই,আবুজাহেল দীর্ঘকাল ধরে ইসলামের বিরোধীতা করে আসছিল তখন যদি সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করত তবে আরবের বড় বড় নেতার তাকে অপমান করত এই ভয়ে সে ইসলাম গ্রহণ করেনি। তো যা বলতেছিলাম,নাস্তিকরাও জানে যে ইসলাম সত্য তবুও মানইজ্জত যাবার ডরে তারা ইসলাম গ্রহণ করেনা। আপনারা জিজ্ঞেস করতে পারেন তারা জানে যে ইসলাম সত্য তাইল তারা ইসলামরে কেন গালি দেয়? দাদা ইসলামরে প্রকৃত শতকরা ২টা নাস্তিক গালি দেয়,ইসলামরে গালি দেয় ছুপা হিন্দু গুলান। আর শতকরা যে দুইটা নাস্তিক ইসলামরে গালি দেয় ঐ দুইটাও মিশনারী থেইকা টাকা খাইয়া ইসলামরে গালি দেয়। বাংলাদেশে যে কয়টা মিশনারী আছে ওরা টাকা খরচা করে বাংলাদেশে এন্টি ইসলামিক দাঁড় করছে,এই নাস্তিক গুলা ফ্রি বিদেশ যাওয়া ভিসা পায়,ফ্রি খাওয়া,ফ্রি থাকার সুযোগ সুবিধাও ঐ মিশনারী থেইকা পায়। যেমন পায় অভিজিত্‍ রায়,আসিফ মহীউদ্দিন,দাড়িপাল্লা ধমাধম। এই কয়েকটা হাতে গোনা নাস্তিক ছাড়া অন্য যারা ইসলামকে গালি দেয় তারা প্রত্যেকেই হিন্দু! এই ছুপা হিন্দুগুলাই রাসূলে করীম সঃ কে নিয়ে সর্ব প্রথম ফেসবুকে অশ্লীল পেজ খুলে! এই হিন্দুরাই কুরআনকে অবমাননা করে। প্রিয় পাঠক তাইলে আপনারাই বলেন এই হিন্দুদের সাথে আমাদের কি কখনো সন্ধি হতে পারে?NO NEVER,NO NEVER,NO NEVER,NO NEVER. এই হিন্দুরাই আমাদের জাতীয় দুশমন। "নাস্তিক জাইঙ্গা জারজদের প্রশ্নের উত্তর গুলে এখানে দেয়া আছে।Click this:link-html-সজল আহমেদ(LINKBD)"

ছোটগল্পঃ-অভাব!

হুন্ডা এক্সিডেন্ট
হয়েছে রিক্সাচালক
আঃ মজিদের
মেয়ে মর্জিনা,সাড়ে৪বছর
বয়স,সিটি হসপিটালে ভর্তি!
মাথায় আঘাত পেয়েছে!
ডাক্তার সাহেব
বলছে অপারেশন
করতে হবে,৫০হাজার
টাকা লাগবে সাথে রক্ত!রক্ত
পাওয়া যাবে বাট
টাকাটা কিভাবে ম্যানেজ
করবে!
বেচারা রিক্সা চালিয়ে সংসার
চালায়!এত টাকা কোথায়
পাবে?বড় বাবুর
কাছে চাইতে পারে মজিদ।
কিন্তু কি করে চাইবে এর
আগের মাসের সুদটাই
তো ক্লিয়ার
করতে পারেনি সে!না যতই
হোক টাকা তাকে চাইতেই
হবে।বড় বাবুর কাছে তার
যেতেই
হবে টাকা তাকে আনতেই
হবে!মজিদ হাসপাতাল
থেকে সোজা বড় বাবুর
কাছে গেল।
গিয়ে পাশে দাঁড়াল।
কাঁচুমাচু গলায় বল্লঃ বাবু
একখান কতা কমু!
বাবুঃক দেহি হুনি।
মজিদঃআগে কয়েন রাগ
অইবেন নাতো?
বাবুঃআরে আগে ক দেহি!
[একটু বিরক্তি স্বরে]
মজিদঃমোর
মাইয়াডা হাসপাতালে ভর্তি,হুন্ডায়
একচিডিন অইছে!ডাক্তার
কইছে পোনচাশ আজার
টাহা লাগবে অপারোশন
করতে!এহন মুই এত্ত
টাহা কোম্মে পামু?
আম্মে যদি দেতেন,মুই কাম
কাজ কইররা দিয়ে দেতাম।
[মজিদের চোখে পানি]
বাবু
কৌতুকচ্ছলে বল্লঃটাহা তোরে দিমু!
তাও আবার ৫০আজার!৫আজার
নিয়া খাইছ হেইয়াই
দেতারোনা,ইয়ার্কি পাইছ?
যা যা বাড়ি যা তোর
মাইয়া তোর চিন্তা,মোর
টাহা মোর চিন্তা।
[বড়বাবুর
পা দুখানা জড়িয়ে ধরল মজিদ]
মজিদঃদেন বাবু,আমনের পাও
দুইডা দরছি।মোর
মাইয়াডা নাইলে বাঁচপেনা!
বড় বাবু হেঁচকা টান
দিয়ে হাত দুটা ছুটিয়ে নিল
পা থেকে,এবং লোকজন
ডেকে ঘাড় ধরে বের
করে দিলো!মজিদ গেটের
বাইরে দাঁড়িয়ে শুনল বাবু
বলছেঃমরলে হালা তোর
মাইয়া মরবে তাতে মোর কি?
আগের
টাহা দেতারেনা আবার
আইছে!মজিদ
কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল!
আর
মনে মনে বলতে লাগলোঃআল্লায়
তগো টাহা দেছে কিন্তু
গরীবগো দেওয়ার মন দেনায়!
মজিদ খোলা রাস্তায়
হাঁটছে আর কাঁদছে।
মজিদ
ফিরো এলো হাসপাতালে।
তার মেয়েটা অক্সিজেন
লাগানো।মেয়েটা ঘন,ঘন
শ্বাস নিচ্ছে!মজিদ চিত্কার দিয়ে উঠলো !ডাক্তার ছাব
মোর মাইয়াডা ওরোম
করে ক্যা?ও ডাক্তার ছাব মোর
মাইয়াডা বাঁচান!ডাক্তার
তাকে শান্ত করল।আর
টাকাটা ম্যানেজ
হয়েছে কিনা জানতে চাইল।
আজ রাত ১২টায় অপারেশন
করতে হবে।
মজিদ বল্লঃমুই এত টাহা কই
পামু?
ডাঃ-দেখুন মজিদ সাহেব
এটা বল্লে তো হবেনা আজ
রাতেই যোগাড় করতে হবে!
মজিদ রাস্তায় নেমে পরল।
নিস্তব্দ পায়ে হাঁটছে,আর এর
ওর কাছে টাকা চাচ্ছে।কিন্তু
কে তাকে টাকা দিবে?শত
চেষ্টা করে ২হাজার ম্যানেজ
করে দিল মজিদের বন্ধুরা।রাত
তখন১১টা,মাত্র ২হাজার
টাকা তার পকেটে!হঠাত্
নিজের রিক্সাটার
দিকে চোখ পরল মজিদের,বাধ্য
হয়েই রিক্সাটা বেঁচে দিল
মজিদ।৫হাজার টাকার
রিক্সা,মাত্র ৩হাজার
টাকা বেঁচতে হল তার!মজিদ
টাকাটা পকেটে নিচ্ছে আর
বলছেঃহালা ঠ্যাহের
সোমায় সব মালই পানির দাম।
মোট ৫০০০টাকা তার
পকেটে,এতে কি হবে?
রাত তখন ১২.৫০
শত
আশা নিয়ে হাসপাতালের
ঢুকলো মজিদ।মজিদ
দেখলঃতার একমাত্র
মিষ্টি মেয়েটার অক্সিজেন
খোলা!
মনে হচ্ছে ঘুমিয়ে আছে,তার
স্ত্রী একদিকে মূর্ছা পরে আছে!
ডাক্তার সাহেব চিন্তিত!
মজিদ ডাক্তার
কে বল্লঃকি হইছে ডাক্তার
ছাব?
ডাক্তার কিছুক্ষন নিরব
থেকে বল্লঃদুঃখিত মজিদ
সাহেব আপনার
মেয়েকে বাঁচানো গেলনা!
মজিদের মেয়েটা অপারেশন
বিহীন মারা গেছে!মজিদের
দম আঁটকে গেছে!শব্দ
করে কাঁদতে পারছেনা!চোখ
দিয়ে পানি ঝরছে তার,অপলক
দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার
মেয়েটার দিকে!মজিদ
খেয়াল করল তার মেয়েটার
চোখে ১ফোঁটা জল!সে জল
যেন
তাকে বলছেঃআব্বা অনেক
কষ্ট
পাইয়া মরছি,গরীবরা বুঝি মরার
সময় এইরোম কষ্ট পাইয়া মরে?

Thursday, March 20, 2014

ভারতের মুসলিম নায়ক নিয়ে আমরা যখন গর্ব করি।

প্রিয় পাঠক আমরা অনেকেই হয়ত ভারতের নায়ক গোত্র খাঁনদের নিয়া লাফাইয়া পড়ি মুষ্ঠিযুদ্ধ আর বাকযুদ্ধে।কখনো আবার কলমের খোঁচায় লিখিয়া ফালাই যে "আমরা গর্ভিত(গর্বিত) যে ভারতের মুসলমান নায়ক গোত্র এখন শির্ষে হু! দেখছনা শাহরুখ,সাল্লু,আমির,কারিনার স্বামী সাঈফ আলী ওরাতো সব মুসলিম!আমাদের সাথে কে পারবে হুঁ? >>জয় মা খালী,এদের অভিনয় দেখে আবার আমরা এদের কিছু ডায়ালগ ও রপ্ত করে ফেলি।এরা প্রত্যেকেরই প্রিয় নায়ক এবং অভিনেতা।ধুম ৩ ছবিটা হিট হওয়ার পর তো আমির ও সবার প্রিয় নায়ক। আমরা গৌরবে গর্ভিত(গর্বিত) হয়ে ওপর থেকে নিচে লাফিয়ে পড়ে হাত পা ভেঙ্গে বলি,কি বলিস মাইরি,ভারতের নায়ক সব মুসলিম! কিন্তু আমি বলি কি,এই যে ছিচকে কয়টার নাম বলেছি এদের ভিতরে একটাও মুসলিম না বরংচ মুসলিম নামের কলঙ্ক। এখন আপনি রেগে গিয়ে বলতে পারেন যে,ওহে পাগ্লা তুই কেমত বুজলি?বেশি বুঝত তাইনা? দাদা আমি বেশি কিন্তু বুঝিনাই। >>সালমান খাঁন ওরফে সলেমান খাঁনের ধর্ম বিশ্বাস দেখুনঃ- সালমান খাঁন নিজে বলেছেন যে,আমি দুইটা ধর্মকে সম্মান করি এবং মানি,ইসলাম ধর্ম,ও খ্রীষ্ট ধর্ম।এবং তার একটা খ্রীষ্টান গার্লফ্রেন্ড আছে বর্তমানে সালমান খাঁনের বাগদত্তা সেই মেয়েটি।আচ্ছা দাদা এইবার আপনি বলেন,যেই ছেলে ২টা ধর্মে বিশ্বাসী সেই সাল্লু ওরফে সালমান কি মুসলমান হইতে পারে? গেল সালমান ফ্যাক্টর,এবার আসি শাহরুখের কাছে, >>শাহরুখের ঘরে যে বর্তমানে বৌ খানা আছে উনি কিন্তুক জাত হিন্দু!যাত হিন্দু বলতে,এক্কেবারে পুরোপুরি হিন্দু।শাহরুখের ঘরের একপাশে হয় পূজা আর্চা,আরেক পাশে হয় খোদার ইবাদাত!এইটা কি কোন ইসলামী গ্রন্থে লেখা আছে যে,তুমি কাফের বিয়া কর?যত্তসব ফাউল নায়ক কোনেকার!তাছাড়া এই এই শাহরুইক্ষা একবার একটা আলোচনা সভায় কইছিল,হ্যিউম্যানেটি আমার ধর্ম।তা ছাড়া এই শাহরুখ তার ছেলে মেয়েদের মধ্যে একজনকে হিন্দু ধর্মের প্রাকটিস করায়!আচ্ছা এখন আপনারাই বলেন,এই শাহরুখ কি মুসলমান হইতে পারে? আচ্ছা শাহরুখ বাদ এইবার আসি >>আমীর খাঁনের কাছেঃ এই ছাগলটায় ও হিন্দু বিয়া করছে।উইকিপিডিয়ায় সার্চ দিয়া দেখবেন এই ছাগলটার রিলিজিয়ানের ঘরটা খালী।পাঠান বংশের পাঠা। >>এইবার আসি কারিনার স্বামী সাইফ আলী খাঁনের কাছেঃ এইটা হইল যুগশ্রেষ্ঠ পাঠা ছাগল।আচ্ছা কারিনা কাপুর কোন ধর্মের?হিন্দু ধর্মের।শুধু হিন্দু না,জাত হিন্দু।এই ছাগলটার ঘরের ও এক কোনায় পূজা আর্চা চলে। -তাইলে মুসলিম ভাই ব্রাদার সকল,আমরা কি এখন ও এই ছাগল নায়ক গুলারে লইয়া গর্বে বুক উঁচা আর দাঁতের কিয়াদংশ বাইর কইরা কমু "ভারতী হিরু সাব মুসলিম হ্যায়"? _আসেন সবাই সমস্বরে ডাক মেরে আকাশ পাতাল কাঁপাইয়া কই,ভারতী নায়ক সাব ছাগল এন্ড পাগল হ্যায়।