Pages

Friday, August 29, 2014

হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ ভরা যৌনতা আর অযাচার সাথে ফ্রি রগরগে টসটসে সব গল্প

ভাবছিলাম এ নিয়ে লিখবনা কিন্তু রায়হান দাস আর গ্রামের পথে পথে ওরফে আকাশ কান্তি দাসের অনুরোধে না লিখে পারলাম না । হিন্দু ধর্ম মূলত বাংলা চটিকে হার মানায়! রগরগে চকচকে সেক্সের গল্পাদি ,sex tips দিয়ে সাজানো গোছানো ! সেক্সের এভাবে খোলামেলা আলোচনা ও চিত্রকর্ম আসলে কিভাবে একটা ধর্মের নীতি নিয়ম বা আদর্শ হয় তা আমার জানা নেই । ছ-বি
খাজুরাহু মন্দিরের দেয়াল চিত্র। সমস্ত মন্দিরের দেয়াল জুড়েই আকা রয়েছে এমন সহস্র যৌণতার চিত্র, এই নাকি ধর্ম !!
ব্রহ্মা তার কন্যা স্বরস্বতির রুপে মুগ্ধ হয়ে তার সাথে সঙ্গম ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। স্বরস্বতি তার পিতার হাত থেকে বাচার জন্য ভুমির চারদিকে ছুটে বেড়াতে লাগলেন কিন্তু ব্রহ্মার হাত থেকে বাচতে পারলেন না। তারা স্বামী-স্ত্রী রুপে ১০০ বছর বাস করলেন এবং সয়ম্ভুমারু ও শতরুপা নামক এক ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দিলেন। সয়ম্ভুমারু ও শতরুপাও স্বামী স্ত্রী রুপে বসবাস করতে লাগলেন। Aitreay Brahman III : 33 // Satapatha Brahman 1 : 4 : 7 : 1ff // Matsy Puran III : 32ff // Bhagabati Puran III : 12 : 28ff অহল্যা,গৌতম মুনরি স্ত্রী,সদ্য সড়বাতা (গোসল) এবং আদ্র (ভেজা) বস্ত্র পরিহিতা অবস্থায় আশ্রমে প্রত্যাবর্তন কালে পথিমধ্যে গৌতম শিষ্য দেবরাজ ইন্দ্রের সাথে তার সাক্ষাত ঘটে। আদ্র বস্ত্রের মিথ্যা আবরণকে ভেদ করে উদগত যৌবনা অহল্যার রূপ লাবণ্য বিশেষ আকর্ষণীয় হযে় ফুটে উঠায় ইন্দ্রদেবের পক্ষে ধৈর্য ধারণ করা অসম্ভব হযে় পডে়,তিনি গুরুপত্নী অহল্যার সতীত্ব হরণ করেন। ত্রিকালজ্ঞ গৌতম মুনির কাছে একথা অজ্ঞাত থাকে না। তার অভিশাপে অহল্যা প্রস্তরে পরিণত হয়। আর ইন্দ্রদেবের সারা দেহে সহস্র যোনির উদ্ভব ঘটে। সুদীর্ঘকাল পরে ত্রেতাযুগে ঈশ্বরের অবতার রূপে শ্রীরাম চন্দ্র আবির্ভূত হন,তার পদ স্পশে অহল্যার পাষাণত্বঅপনোদিত হয়। (পঞ্চ পুরাণ,ষষ্ঠ খণ্ড,৬৯০ পৃষ্ঠা,মহাভারত,কৃত্তীবাসী রামায়ণের আদিকাণ্ডের ৬৫১ পৃষ্ঠা)১। যম ও যমী,যমজ ভাই-বোন। সূর্যদেবের ঔরসে ও উষাদেবীর গর্ভে তারা জন্মলাভ করে। যমী একদিন যমকে বলে- "তোমার সহবাসের জন্য আ অভিলাষিনী,গর্ভাবস্থা হতে তুমি আমার সহচর। বিধাতা মনে মনে চিন্তা করে রেখেছেন যে,তোমার ঔরসে আমার গর্ভে আমাদের পিতার এক নাতি জন্মাবে। তুমি পুত্রজন্মদাতা পতির ন্যায় আমার শরীরে প্রবেশ কর।" (ঋকবেদ মন্ডল-৯,সুক্ত ১০) সেই ঘটনাকে স্মরনীয় করে রাখতে হিন্দুরা প্রতিবছর'ভাইফোঁটা'নামক এক উৎসব পালন করে। ঐদিন যম আর যমীর অনুপ্রেরণায় হিন্দু ছেলেরা তাদের আপন বোনকে নিয়ে কল্পনা করে আর ভাবে- "ঈশ! আমার বোনটাও যদি যমীর মত হত..." ২। রাম ও সীতাকে আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই জানি। কিন্তু বৌদ্ধ দশরথ জাতক অনুযায়ী- রাম ও সীতা হল ভাই-বোন,পরে তাদের মধ্যে বিবাহ হয়। "দশরথ জাতক" অনুযায়ী রামের জনক রাজা দশরথ ও জননী রানী কৌশল্যার মধ্যে ভাই-বোনের সম্পর্ক ছিল,তথাপি তাদের মধ্যে বিয়ে হয়েছিল। ঋগ্বেদ- এ দেখা যায় দম্ভ নিজ বোন মায়াকে,লোভ নিজ বোন নিবৃত্তিকে,কলি নিজ বোন নিরুক্তিকে বিয়ে করেছিল। ৩। শুধু ভাইবোন নয়,হিন্দু ধর্মে এমনকি মা-ছেলে,পিতা-কন্যার বিয়েতেও কোন নিষেধ নেই। ঋগ্বেদ-এ উল্লেখ আছে- পূষণ তার বিধবা মাকে বিয়ে করে দ্বিধিষূ অর্থ্যাৎ বিধবার স্বামী হয়েছিল। হিন্দুশাস্ত্র মৎস পুরাণে বর্ণিত আছে- ইশ্বর ব্রক্ষ্মা নিজ কণ্যা শতরুপার প্রতি প্রণয়াশক্ত হন এবং হিন্দুদের আদি মানব মনুর জন্ম হয় তাদের মিলন থেকেই। ছ-বিছ-বিছ-বিছ-বিছ-বিছ-বিছ-বিছ-বিছ-বি হিন্দু ধর্ম ও ঘোড়া!!হিন্দু পুরুষদের পাপমোচনে মৃত ঘোড়ার সাথে রাতভর সংগমে লিপ্ত ছিল রামের মা ও হিন্দু নারীরা!!!! হিন্দু ধর্মে ঘোড়ার মর্যাদা অপরিসীম!! পাপমোচনের জন্য ঘোড়ার সাথে মোটামুটি অনিবার্য বলেই ধরে নেয়া যায়!! রামায়নে আছে রামের মা কউসল্য পাপমোচনের জন্য মৃত ঘোড়ার সাথে সংগমে লিপ্ত ছিল পুরো একটি রাত!! সেই রাতে রামেরমা প্রথমে তিনটি ঘোড়াকে কতল করে!! তারপর মৃত ঘোড়ার সাথে সংগমে লিপ্ত থাকে সারা রাত!! একে একে রাজার পত্নীদেরকেও মরা ঘোড়ার সাথে সংগমে লিপ্ত করানো হয়!! সেই মৃত ঘোড়ার চর্বি কেটে রান্না করা হয় এবং সেই সুগন্ধে একে একে পাপমোচন হয় হিন্দু পুরুষদের!! “The prescribed victims — snakes, birds, the horse, and aquatic animals — were bound at the place of immolation; each was dedicated to a specific divinity as is set forth in the ritual texts. The priests then bound them all to the posts in the manner set forth in the ritual texts. Three hundred beasts in addition to Dasaratha’s jewel of a horse were bound there to the sacrificial posts. Kausalya (Rama’s mom) walked reverently all around the horse and then with the greatest joy cut it with three knives. Her mind unwavering in her desire for righteousness, Kausalya (Rama’s mom) passed one night with the horse. The priests – the hotr, the adhvaryu, and the udgatr — saw to it that the second and the juniormost of the king’s wives, as well as his chief queen, were united with the horse. Then the officiating priest, who was extremely adept and held his senses in check, removed the fat of the horse and cooked it in the manner prescribed in the ritual texts. At the proper time and in accordance with the ritual prescriptions, the lord of men then sniffed the fragrance of the smoking fat, thereby freeing himself from sin. Then, acting in unison, the sixteen brahman officiating priests threw the limbs of the horse into the fire, in accordance with the ritual injunctions. In other sacrifices, the oblation is offered upon branches of the plaksa tree, but in the Horse Sacrifice alone the apportionment of the victim is made on a bed of reeds. The Horse Sacrifice is known as the Three-Day Rite; for both the kalpasutra and the brahmanas refer to the Horse Sacrifice as a rite lasting for three days.” — Ramayan 1:13:24-33. হিন্দু মন্দিরেও শোভা পায় ঘোড়ার সাথে সংগমে লিপ্ত হিন্দু মুর্তি!! হিন্দু ধর্মে আছে ইনসেস্টের কাহিনী যা একে একে পরবর্তিতে প্রকাশ করার আশা রাখি!!

Monday, August 25, 2014

ভগবান ব্রহ্মার কিছু রগরগে কাহীনি

ভ্যাগাপন ব্রহ্মা লুচুর লুচু কাহীনি:
ব্রহ্মার কথা | তিনি সৃষ্টিকর্তা | কিন্তু প্রজাপতি ব্রহ্মাও অজাচারে কম যান না | সরস্বতী পুরাণ বলে, ঊর্বশীকে দেখে স্বমেহন করতেন ব্রহ্মা | তাঁর শুক্রাণু জমা হত একটি পাত্রে | সেই পাত্রে জন্ম হয় ঋষি অগস্ত্য এবং অগস্ত্য জন্ম দেন সরস্বতীর | এই সূত্র অনুযায়ী সরস্বতী ব্রহ্মার নাতনি | আবার অন্য সূত্র বলে, ব্রহ্মার শুক্রাণু থেকে সরাসরি জন্ম হয় সরস্বতীর | কিন্তু আত্মজার রূপ দেখে মুগ্ধ হন প্রজাপতি | তিনি তাঁর সঙ্গে যৌন সঙ্গম করতে চান | জন্মদাতার কামনা থেকে বাঁচতে পালিয়ে যান সরস্বতী | কিন্তু শেষ অবধি হার মানতে হয় ব্রহ্মার কামনার কাছে | ব্রহ্মা এবং সরস্বতী স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকেন পদ্ম ফুলে | প্রায় ১০০ বছর ধরে | তাঁদের পুত্রের নাম স্বয়ম্ভুমারু এবং কন্যা শতরূপা | কিন্তু এরপরেও ব্রহ্মার বিকৃত যৌন কামনা কমেনি | এতে বিদ্যা এবং জ্ঞানের দেপী সরস্বতী অভিশাপ দেন ব্রহ্মাকে | বলেন, দেবতাদের মূলস্রোতে থাকবেন না প্রজাপতি ব্রহ্মা | অর্থাৎ তিনি পূজিত হবেন না | হিন্দু দেবতাদের মূলধারার মধ্যে পড়েন না ব্রহ্মা | তাঁর রাজস্থানের পুষ্কর ছাড়া তাঁর মন্দির এবং অর্চনা বিরল | কুপিত হয়ে সরস্বতী তাঁকে ছেড়ে চলে যান | দেবী থেকে রূপান্তরিত হন নদীতে | সেখান থেকেই বৈদিক যুগের 'সরস্বতী নদী' | কৃষিপ্রধান সভ্যতার মূলে থাকা উর্বরতার উৎস এই নদীর উৎসমুখ ও প্রবাহ নিয়ে এখনও চলে গবেষণা | ব্রহ্মার অজাচারের প্রমাণ ঐতেরেয় ব্রাহ্মণ, শতপথ ব্রাহ্মণ, মৎস্য পুরাণ এবং ভাগবৎ পুরাণেও আছে | সমাজতাত্ত্বিকরা মনে করেন, ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে যৌনাচার বৈদিক যুগে বহুল প্রচলিত ছিল | তাই বাবা-মেয়ে এবং ভাই-বোন যৌনতাকে তখন বংশবৃদ্ধি বা সন্তান উৎপাদনের কারণ দেখিয়ে 'অপরাধ' তকমার বাইরে রাখা হত | রামভক্তরা কানে আঙুল দিলেও কোনও কোনও সূত্র বলে, রাম-সীতাও নাকি আসলে ভাই-বোন ছিলেন | ঐতিহাসিকরা মনে করেন, বৈদিক যুগের এই অন্ধকার রীতি-নীতি সমাজে প্রচলিত ছিল খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ থেকে ১০০০ খ্রিস্টাব্দ অবধি | সেইজন্যেই তো একমাত্র ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মো কী...
সূত্রঃ Here আবার,
ব্রহ্মা অহল্যা নামের এক অসাধারন সুন্দরী নারী তৈরি করেছিলেন। এই রমনীর সাথে ব্রহ্মা বিয়ে দিয়েছিলেন মহামুনি গৌতমের সাথে। যাই হোক ইন্দ্র ছিলেন গৌতমের সবচেয়ে প্রিয় শিষ্য। খুব বিশ্বাস করতেন গৌতম ইন্দ্রকে।কিন্তু ইন্দ্রের নজর ছিল সবসময় গৌতমের স্ত্রীর দিকে। তিনি সবসময় সুযোগ খুজতেন যে কিভাবে অহল্যার সাথে সঙ্গম করা যায়। একদিন মুনিবর তপস্যা করতে গেলেন। সেই সুযোগে ইন্দ্র পুরোপুরি মুনির ছদ্মবেশ ধরে এলেন মুনির পত্নির কাছে।চতুর ইন্দ্রের ছিদ্মবেশ ছিল খুবই নিখুত। তিনি এমনকি মুনির সব আচার আচরন নকল করেছিলেন। যাই হোক তিনি যখন তাঁর গুরুর ছদ্মবেশ ধরে গুরুপত্নীর কাছে আসলেন, তখন গুরুপত্নী অহল্যা বিস্মিত হয়ে ভাবলেন যে তাঁর স্বামী মহামুনি গৌতম তপস্যা থেকে এত দ্রুত ফিরে আসলেন কেন। সে কথা তিনি গৌতম মুনি রূপী ইন্দ্রকে জিজ্ঞেস করলেন। ইন্দ্র উত্তর দিলেন,“প্রিয়তমা, তোমার কথা হঠাৎ করে মনে হল আর মন চঞ্চল হয়ে উঠলো। তোমার সৌন্দর্যের কথা মনে এলে আমার ধ্যান ট্যান সব টুটে যায়”।যাক পতিপ্রাণা নারী অহল্যা আর কিছু না হলে স্বামীর বাহুতে ধরা দিলেন। চলতে লাগলো রমন পর্ব।কামে জর্জরিত ইন্দ্রের একবার মনেও এলো না যে অহল্যা শুধু বিবাহিতা পরনারীই নন, স্বয়ং মাতৃসমা গুরুপত্নি। এভাবেই গুরুপত্নীকে নষ্ট করলেন দেবতাদের রাজা ইন্দ্র। যাইহোক ইন্দ্র ঘর থেকে বেরিয়ে যাবার বেশ পরে আসল মুনি গৌতম তপস্যা থেকে ফিরে এলেন। এসে তিনি স্ত্রীর শরীরে রতি গন্ধ পেলেন। এবং অবাক হয়ে বললেন এ ব্যাপার কি? অহল্যা করজোড়ে বললেন যে স্বামী নিজেই একটু আগে তাঁর সাথে রমন করে এখন আবার তাঁকেই দোষারোপ করছেন কেন? এই কথা শুনে মুনির মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। তিনি অমনি ধ্যান শুরু করে দিলেন। ধ্যানে জানতে পারলেন যে এই অপকর্মটি করেছে তারই প্রানপ্রিয় সন্তানতুল্য শিষ্য দেবতা ইন্দ্র। তিনি ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে ইন্দ্র কে ডাকতে লাগলেন। পুথিপত্র হাতে নিয়ে ইন্দ্র এমন নিরীহ ভঙ্গীতে প্রবেশ করলেন গুরুর ঘরে যেন তিনি ভাজা মাছটি উলটে খেতে জানেন না। কিন্তু মুনি তখন ইন্দ্রকে লক্ষ করে সক্রোধে বলতে লাগলেন, "রে দুরাচার পাপী ইন্দ্র আমি আমার সব বিদ্যা শিক্ষা তোকে দান করলাম আরতুই আমাকে ভাল গুরু দক্ষিনা দিলি আমার স্ত্রীর সাথে ছলনা করে তার সাথে সহবাস করে জাতি নষ্টের মাধ্যমে?যা আমি তোকে অভিশাপ দিলাম তোর সারা শরীর যোনিময় (vagina) হোক ।“ অভিশাপ দেয়ার সাথে সাথে দেব্রাজ ইন্দ্রের সারা শরীর সহস্র যোনি (vagina) দিয়ে ভরে গেল। অনেকদিন পরে ইন্দ্র এই শাপ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন কিন্তু সে কথা এখন থাক। মুনি অহল্যাকেও শাপ দিলেন পাথরে পরিনত হবার। সূত্রঃ-Amarblog.com
সব মিলিয়ে:ছ-বিকামসূত্র বইটা কোথা থেকে এলো

Tuesday, August 19, 2014

ফারাবীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রতিদিনের মিথ্যা রিপোর্টের দাঁত ভাঙ্গা জবাব!!

নইম নিজামছ-বি নামকড়া পত্রিকা "বাংলাদেশ প্রতিদিন"ব্লগারশফিউর রহমান এর বিরুদ্ধে ছড়াচ্ছে মিথ্যা News ! কয়েকদিন আগে তসলিমা নাসরিন,আসিফ মহিউদ্দীন এবং ব্লগার আরিফুর রহমান পবিত্র কোরআন শরীফের উপর চায়ের কাপ রেখা কোরআনকে অবমাননা করে এদেশের প্রতিটা ধর্মপ্রাণ মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত করে ! এই ভিডিওটা আবার ইউটিউবেও ছাড়া হয় (দুঃখের বিষয় ভিডিওটা ডিলিট করেছেন ব্লগার আরিফুর রহমান ফারাবীরএই স্ট্যাটাসটায় কিছু ডিটেইলস পেতে পারেন) তসললিমা ,আসিফ ,আরিফুরের কোরআন অবমাননার এই ছবিটি দেখুন, ছ-বি আর এই অপকর্মের বিরুদ্ধে কিবোর্ডে খোঁচা দেয় ব্লগার ফারাবী আর এতেই তার যত দোষ!ফারাবী তার একটি স্ট্যাটাসে লিখেন,কোরআন বিদ্বেষী লেখিকা তসলিমা নাসরিনের আর একটি লেখাও বাংলাদেশ প্রতিদিনে ছাঁপাতে পারবেনা,একসময় এখানে রামদার কথা উঠে আসে(রাগের মাথায় রাজাকেও প্রজা খুন করার কথা বলে ফেলে এটা দোষের কিছু নয়) আর এতে ভীত হয়ে ছাহচী চাংপাদিক নঈম নিজাম ওরফে নাস্তিক নিজাম ফারাবীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি করে!ফারাবীর সামনে এখন বড় বিপদ যে কোন সময় জেলে যেতে পারে সে! ফারাবী যুক্তি দিয়েছিল ,যেই মহিলা কোরআনকে অবমাননা করে তার লেখা কেন বাংলাদেশের একটি নামিদামী পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিন ছাঁপাবে ? আচ্ছা ভাই বাংলাদেশ কি অ্যাথেইস্ট রিপাব্লিক কান্ট্রি নাকি যে আপনি যার তার লেখা বা অশ্লীল অযোগ্য লেখা পত্রিকায় ছাপিয়ে জনতার কাছ থেকে ব্যবসা করে যাবেন? কয়েকদিন আগে আমি বাংলাদেশ প্রতিদিনে তাসলিমার পর্ণগ্রাফি কলামটি পড়েছিলাম যেখানে তাসলিমা আলোচনা করেছেন, •সেক্সের সময় কেন পুরুষেরা নারীকে নিচে ফেলে রাখে ? •নারীর উচিত্‍ পুরুষের যৌনাঙ্গ কেঁটে ফেলা । •সেক্স কিভাবে করতে হবে । •সে পর্ণ ভিডিও দেখে কিনা । ইত্যাদি ইত্যাদি । আচ্ছা ভাই এখন আপনি বলুন এই লেখাটা কি বাংলা চটি না নাকি সেক্স টিপস? এগুলো ছাপানোর জন্য তো ইন্টারনেটে প্রচুর চটি সাইট আছে ,যৌবনজ্বালা ফোরাম,চটি বই আছে তাইলে জনতার পত্রিকায় কেন ? আর এইসব লেখা যখন ফারাবী নঈম নিজামকে ছাপাতে মানা করলেন তখনই বাংলাদেশ প্রতিদিন ছাপালো এই ভূয়া খবর দেখুনঃ
→সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকের মাধ্যমে দেশবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছেন। →এমনকি মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন কটাক্ষ ও ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করছেন। এখানেই ক্ষান্ত হননি। →জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচারণা চালাচ্ছেন। যা পাঠকদের সামনে হুবহু তুলে ধরার মতো নয়। ফারাবীর ব্লগ ও ফেসবুক পেজে এ ধরনের ভূরিভূরি অপকর্মের ছাপ পাওয়া যাবে।
নঈম নিজাম বাংলাদেশ প্রতিদিনে এমন খবর প্রকাশ করেছেন যাতে ফারাবীর প্রতি সরকার বিরুপ হয়,

" →বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য ও কুত্‍সা রটিয়েছে ফারাবী ,মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটুক্তি ও করেছে"

আমি তো ফারাবীর কোন স্ট্যাটাসে বা ব্লগে দেখলামনা মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধুকে গালাগাল বা মন্দ কথা বলতে আমি সেই ২০১১ সাল থেকেই তো ফারাবীর লেখা পড়ি! আমি কেন সারা বাংলাদেশী ফেসবুক ইউজাররাও দেখেনি আপনি জরিপ করে দেখতে পারেন । তাইলে এই প্যান্টে মুতা তসলিমার জারজ সন্তান হারামী নঈম নিজাম এই কথা কোথায় পেল ? বাংলাদেশ প্রতিদিনে আরো ছাপা হয়েছে,
আবারও জামিন পেয়ে ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানোই শুধু নয়, →নারীকে ফেসবুকে যেৌন হয়রানী বা উত্যাক্ত করার অভিযোগও রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনৈক ফেরদেৌসুর রহমানের এ পুত্রের বিরুদ্ধে। কয়েকজন ব্লগার জানান, →কাশিমপুর কারাগারে অবস্থানকালেই রহস্যজনক ভাবে ছদ্মনামে ফেসবুক আইডি থেকে রাষ্ট্র বিরোধী প্রচারণাও চালায় ফারাবী। নিউজ লিংকঃ http://www.bd-pratidin.com/2014/08/19/24838
আসুন এবার দেখি ফারাবী মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন কটুক্তি সত্যিই করেন কিনা , এই স্ট্যাটাসটায় তার প্রমাণ !এখানে ফারাবী পাকিস্তানিদের হানাদার বাহীনি বলে উল্লেখ করেছে ! আচ্ছা ভাই এইবার বলেনতো যে ছেলে পাকিস্তানকে বর্বর বলতে পারেন সেই ছেলেটি কি কখনো মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে কুত্‍সা রটাতে পারে ? মিজান ব্যাটা এতই ভীতু রামদার কোপের কথা শুনে প্যান্টে প্রশাব করে দিয়েছে ! কাপুরুষ কোথাকার ! জোচ্চোর বলদ পাঠা কোথাকার ! আসেন দেখি ফারাবীর আসলে দোষ কি কি, •নাস্তিকদের অপপ্রচারের জবাব দেয়া । •নাস্তিকদের সাথে আপোষ না হওয়া । •বাংলাদেশ প্রতিদিনের অপকর্ম জনতার সামনে খোলাখুলি ভাবে তুলে ধরা । •নঈমের নাস্তিকতা প্রকাশ করে দেয়া । •ইসলামের পক্ষে লেখা । •ইসলামের অপপ্রচারের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া ! এগুলোই তার অপরাধ ! এই নঈমেরা চায় বাংলাদেশ একটি অ্যাথিস্ট রিপাব্লিক কান্ট্রি হোক যাতে করে তারা ফ্রি সেক্স করতে পারে তাইতো এত কিছু ! শেষকথা: বাংলাদেশ প্রতিদিন ভূয়া খবর ছড়াচ্ছে ! একটি সাধারন ধর্মপ্রাণ প্রতিবাদী ছেলেকে জঙ্গী বানাচ্ছে ! তাকে দেশদ্রোহী বানাবার জোড় চেষ্টা চালাচ্ছে ! ৯০% মুসলিম জনতার টাকায় পেট পূর্ণ করে কোরআন বিদ্বেষী চটি লেখিকা বেশ্যাখ্যাত তসলিমার লেখা ছাপাচ্ছে ! আসুন সবাই নঈম মিজানের পেটে লাথি মেরে মিথ্যা খবর প্রকাশ কারী পত্রিকা "বাংলাদেশ প্রতিদিন"পত্রিকা বর্জ্যন করি এবং বছরে ৮টাকা দর কেজি কিনে টয়লেট টিস্যু হিসেবে ব্যবহার করি।

Friday, August 15, 2014

সমকামিতা,বিজ্ঞান এবং ইসলাম :চরম একটা ইবুক ডাউনলোড না করলে মিস!

বইয়ের সূচিপত্র সূচি পত্রছ-বি সমকামিতার পরেই বিজ্ঞানের অবতারনা কেন? আর এর সাথে ইসলামেরই বা কি সম্পর্ক? আসলে,সমকামিতা জঘন্য যৌন বিকৃতি। পৃথিবীতে সমকামিদের বিকৃতি যখন শুরু হয় তখন তা কোনও বিজ্ঞানীকে জিজ্ঞেস করে শুরু করা হয় নি।আর বর্তমানেও যারা নিজেদের আচরন বিকৃত করছে তারাও কিন্তু কোনও বিজ্ঞানের সমর্থন পেয়ে সমকামী হয় নি।মূলতঃ অপরাধীর সাধারন বৈশিষ্ট্যই হল সে তার অপরাধের কারনে হীনমন্যতা ও অপরাধবোধে ভোগে। আর এই মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সে তার অপরাধের পক্ষে নানা রকম যুক্তি দাড় করাতে থাকে যাতে সে মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পায়। সমকামীরাও এর ব্যতিক্রম নয়। তারা তাদের বিকৃত রুচির কারনে ও তাদের প্রতি মানুষের স্বভাবজাত ঘৃণার কারনে হীনমন্যতায় ভুগে আর তা থেকে বাচার জন্য কোনও উপায় না পেয়ে অতি ধূর্ততার সাথে বিজ্ঞানের অপব্যাখ্যাকেই বেছে নেয়।বিজ্ঞানের এমন একটিও প্রমানিত তথ্য নেই যা সমকামিতার পক্ষে বিন্দুমাত্র ভূমিকা রাখে বরং বিজ্ঞানের লক্ষ লক্ষ প্রমানিত তথ্য তার বিপরীতটাই নির্দেশ করে। অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী এই সব বিকৃত রুচির মানুষদের প্রতারণার মূখোশ খূলে দিয়েছে এই বইটি। সমকামিতার ধ্বংসলীলা থেকে শিশুরাও আজ নিরাপদ নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে কোনও মহামারীর ব্যপকতা নিরুপনের জন্য একটি তত্ত্ব ব্যবহার করা হয় যার নাম “iceberg of disease”. বরফ পানিতে ভাসে এবং উপর থেকে তার যতোটুক অংশ দেখা যাক না কেন পানির নিচে তার বিস্তৃতি কিন্তু আরও অনেক বেশী।এই তত্ত্ব অনুসারে- ঠিক তেমনি সমাজে যখন মহামারী ছড়ায় তখন যতজন লোকের রোগের কথা জানতে পারা যায় প্রকৃত সংখ্যা কিন্তু তার চাইতে অনেক বেশী বলেই ধরে নেয়া হয়। এই দিক থেকে বিবেচনা করলে ঢাকার রাজপথে যেহেতু সমকামিরা মিছিল করা শুরু করেছে, রুপবান ম্যাগাজিন প্রকাশের সাহস পেয়েছে তাই বলা যায় যে এদেশে তাদের সংখ্যা আমাদের ধারনার চাইতেও অনেক বেশী।এবং অদূর ভবিষ্যতে এই মহামারী আমাদের এক ভয়ানক সমাজ উপহার দিতে যাচ্ছে যদি না আমরা এখনি তার বিরুদ্ধে রুখে না দাড়াই। কোনও কিছু রুখতে হলে তা রোখার উপায় জানাটাও জরুরী। সেই উপায়টা কি???? সমকামিতার ধ্বংসলীলা থেকে মানব সভ্যতাকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় ইসলাম। ইসলামই পৃথিবীর বুকে একমাত্র ধর্ম তথা জীবনব্যবস্থা যা মানুষকে সমকামিতার অপকারিতা, শাস্তি, তা থেকে বেঁচে থাকার উপায় সম্পর্কে পুংখানপুংখ বর্ণনা উপস্থাপিত করেছে যা দেখলে বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। আর তাই মানবজাতির সামনে ইসলাম ছাড়া দ্বিতীয় আর কোনও উপায়ও নেই এই বিকৃতির হাত থেকে সমাজ ও সভ্যতাকে বাঁচানোর।পাশ্চাত্যে এই বিকৃতির ব্যপকতা সেই সাক্ষ্যই বহন করছে। এই সব বিষয় নিয়ে সুক্ষাতিসুক্ষ আলোচনা নিয়েই সাজানো হয়েছে এই ইবুকটি।এই বইটি লেখার জন্য কত কত ঘন্টা যে @এফ,জেড,করিম ভাই ব্যায় করেছেন আর @Farhad Hossain Mithu ভাই যে কত শত পৃষ্ঠা ইংরেজি বিখ্যাত জার্নাল ও বই পড়েছেন তা শুনলে যে কেউই চমকে যাবেন। তবে বইটি লেখার মূল প্রস্তাবক Farabi shafiur Rahman যার বেশ কয়েকটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের অংশ বিশেষ এই ইবুকটিতে যোগ করা হয়েছে। ইবুকটি ডাউনলোড করতে ছবির উপর ক্লিক করুনঃ-
সমকামিতা,বিজ্ঞান এবং ইসলাম ।
ডাউনলোড

রাসুলুল্লাহ সা. কি মহিলাদের গাধার সাথে তুলনা করেছেন ? প্রশ্নত্তোর পর্ব

প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম। আমি নিয়মিত কুরআন শরীফ ও বিভিন্ন হাদীস শরীফের বই (আরবি/ বাংলা/ইংরেজি) নিয়মিত পড়ে থাকি। কিছুদিন আগে কিছু হাদীস পড়ে আমি খুবই মনোকষ্টে আছি। দয়া করে উপযুক্ত ব্যাখ্যা দ্বারা আমার কষ্ট দূর করবেন। আয়শা থেকে বর্নিত, আমাকে বলা হয়েছিল কি কি জিনিস নামাজকে নষ্ট করে। সেগুলো হলো – কুকুর, গাধা ও নারী। — সহী বুখারী, বই-৯, হাদিস-৪৯৩ আমার প্রশ্ন হচ্ছে,এখানে নারীকে কেন উল্লেখ করা হলো? এটা কি অস্মমান জনক নয়? জবাব: ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ এই হাদিসের ব্যাখ্যা বুঝার আগে আমরা দু’টি হাদিসের উপর নজর বুলিয়ে নেই। – 338 ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺃﺣﻤﺪ ﺑﻦ ﻣﻨﻴﻊ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻫﺸﻴﻢ ﺃﺧﺒﺮﻧﺎ ﻳﻮﻧﺲ ] ﺑﻦ ﻋﺒﻴﺪ [ ﻭﻣﻨﺼﻮﺭ ] ﺑﻦ ﺯﺩﺍﻥ [ ﻋﻦ ﺣﻤﻴﺪ ﺑﻦ ﻫﻼﻝ ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻻﺻﺎﻣﺖ ﻗﺎﻝ ﺳﻤﻌﺖ ﺃﺑﺎ ﺫﺭ ﻳﻘﻮﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺇﺫﺍ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻴﻦ ﻳﺪﻳﻪ ﻛﺂﺧﺮﺓ ﺍﻟﺮﺣﻞ ﺃﻭ ﻛﻮﺍﺳﻄﺔ ﺍﻟﺮﺣﻞ ﻗﻄﻊ ﺻﻼﺗﻪ ﺍﻟﻜﻠﺐ ﺍﻷﺳﻮﺩ ﻭﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﻭﺍﻟﺤﻤﺎﺭ ﻓﻘﻠﺖ ﻷﺑﻲ ﺫﺭ ﻣﺎ ﺑﺎﻝ ﺍﻷﺳﻮﺩ ﻣﻦ ﺍﻷﺣﻤﺮ ﻣﻦ ﺍﻷﺑﻴﺾ ؟ ﻓﻘﺎﻝ ﻳﺎ ﺍﺑﻦ ﺃﺧﻲ ! ﺳﺄﻟﺘﻨﻲ ﻛﻤﺎ ﺳﺄﻟﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ؟ ﻓﻘﺎﻝ ﺍﻟﻜﻠﺐ ﺍﻷﺳﻮﺩ ﺷﻴﻄﺎﻥ )ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺘﺮﺫﻯ، ﺍﺑﻮﺍﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺑﺎﺏ ﻣﺎ ﺟﺎﺀ : ﺃﻧﻪ ﻻ ﻳﻘﻄﻊ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺇﻻ ﺍﻟﻜﻠﺐ ﻭﺍﻟﺤﻤﺎﺭ ﻭﺍﻟﻤﺮﺃﺓ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ338-، 347، ( অনুবাদ- আব্দুল্লাহ বিন সামেত বলেন-আমি আবু জর রা. কে বলতে শুনেছি যে, রাসূল সা. বলেছেন, “যখন ব্যক্তি নামায পড়ে, আর তার সামনে হাওদার পিছনের লাকড়ির মত বা হাওদার মাঝের লাকড়ির মত কোন কিছু না হয়, তখন কালো কুকুর, গাধা, বা মহিলা তার নামায ভেঙ্গে দেয়”। তখন আমি বললাম-“কালো কুকুর কি দোষ করল সাদা বা লাল কুকুর ভিন্ন?” তিনি বলেন-“একথা আমি বীজী সা. কেও জিজ্ঞেস করেছিলাম। তখন তিনি বলেছেন যে, ‘কালো কুকুর হল শয়তান’” (তিরমিযী শরীফ, হাদিস নং-৩৩৮, ৩৪৭) – 492 ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺣﻔﺺ ﻗﺎﻝ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺃﺑﻲ ﻗﺎﻝ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺍﻷﻋﻤﺶ ﻗﺎﻝ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﻋﻦ ﺍﻷﺳﻮﺩ ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ . ﻗﺎﻝ ﺍﻷﻋﻤﺶ ﻭﺣﺪﺛﻨﻲ ﻣﺴﻠﻢ ﻋﻦ ﻣﺴﺮﻭﻕ ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ : ﺫﻛﺮ ﻋﻨﺪﻫﺎ ﻣﺎ ﻳﻘﻄﻊ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺍﻟﻜﻠﺐ ﻭﺍﻟﺤﻤﺎﺭ ﻭﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﻓﻘﺎﻟﺖ ﺷﺒﻬﺘﻤﻮﻧﺎ ﺑﺎﻟﺤﻤﺮ ﻭﺍﻟﻜﻼﺏ ﻭﺍﻟﻠﻪ ﻟﻘﺪ ﺭﺃﻳﺖ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻳﺼﻠﻲ ﻭﺇﻧﻲ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺴﺮﻳﺮ ﺑﻴﻨﻪ ﻭﺑﻴﻦ ﺍﻟﻘﺒﻠﺔ ﻣﻀﻄﺠﻌﺔ ﻓﺘﺒﺪﻭ ﻟﻲ ﺍﻟﺤﺎﺟﺔ ﻓﺄﻛﺮﻩ ﺃﻥ ﺃﺟﻠﺲ ﻓﺄﻭﺫﻱ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻓﺄﻧﺴﻞ ﻣﻦ ﻋﻨﺪ ﺭﺟﻠﻴﻪ ] ﺭ 486 [ )ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻯ- ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺃﺑﻮﺍﺏ ﺳﺘﺮﺓ ﺍﻟﻤﺼﻠﻲ، ﺑﺎﺏ ﻣﻦ ﻗﺎﻝ ﻻ ﻳﻘﻄﻊ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺷﻲﺀ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﻴﺪﻳﺚ493-، 514 ( অনুবাদ-হযরত মাসরুক আয়শা রা. থেকে বর্ণনা করেন যে, যখন তাকে এই হাদিস শুনানো হল যে, “গাধা ও কুকুর এবং মহিলাদের কারণে নামায ভেঙ্গে যায়” তখন তিনি বললেন যে, “তোমরা আমরা নারী জাতি কে গাধা ও কুকুরের সমতূল্য বানিয়ে দিলে? অথচ আমি নবীজী সা. এর সামনে কিবলার উপর জানাযার মত শুয়ে থাকতাম। আর নবীজী নামায পড়তেন (তাহাজ্জুদ)। তখন আমার পা ছড়ানো দরকার হলে আ র পা নবীজী সা. এর সিজদার স্থানে চলে যেত। (ঘর অন্ধকার থাকার দরুন) যখন তিনি সিজদার জন্য বসতে চাইতেন, তখন আমার পায়ে খোঁচা দিতেন। তখন আমি পা গুটিয়ে নিতাম। (বুখারী শরীফ-হাদিস নং-৪৯২,৫১৪) ব্যাখ্যা মজার ব্যাপার হচ্ছে যে, আপনি যেই প্রশ্নটি করেছেন তা হযরত আয়েশা রা. নবীজী সা. এর মৃত্যুর পরই করে ফেলেছেন। মৌলিকভাবে হাদিসে নারী জ তিকে খাটো করা হয়নি। গাধা ও কুকুরের সাথে তুলনাও করা হয়নি। বরং তাদের স্বাতন্ত্রতা এবং আকর্ষ নীয়তার কথা ব্যক্ত করা হয়েছে। উক্ত হাদিসে মূলনীতি শিখানো হয় ছে যে, কি কি বিষয় নামায ব্যাঘাত ঘটাতে পারে? তিনটি বিষয় নামাযের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলে হাদিসে উ ধৃত হয়েছে। এই তিনটি বিষয় ভিন্ন তিনটি কারণে নামাযের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। তিনটির কোনটিই একটি আরেকটির মত নয়। সম্পূর্ণই আলাদা। যথা : ১. কালো কুকুর। কালো কুকুর দেখতে ভয়ংকর। অর্থাৎ এটি দেখলে ভীতির সঞ্চার হয়। ভীত হয়ে গেলে মানুষ অস্বাভাবিক আচরণ করে। এ কারণে একে নামায ভঙ্গের কারণ হয়। ২. গাধা। গাধা হল ঘৃণার বস্তু। ঘৃণিত বস্তু দেখলেও মানুষের মাঝে মনযোগিতা হ্রাস পায়। তাই এটিই নামায বিনষ্টের কারণ হয়। ‘ ৩. নারী। নারী হল আকর্ষনীয়। তারপ্রতি মানুষের স্বভাবজাত আকর্ষন থাকে। নারীর কোমনীয়তা, স্বাতন্ত্র সৌন্দর্য মানুষকে আকৃষ্ট করে। আর আকৃষ্ট করে এমন চমকপ্রদ বস্তুও মানুষকে গাফেল করে দেয়। এ কারণে নারীর সামনে আগমণকেও নামায ভঙ্গের কারণ হিসেবে উপস্থাপিত করা হয়েছে। এখানে লক্ষণীয় হল- কুকুরকে ভয়ের কারণে আর গাধাকে ঘৃণার কারণে আর নারীকে সৌন্দর্য ও আকর্ষনীয়তার কারণে নামায ভঙ্গের কারণ বলা হয়েছে। নারীকে আকর্ষনীয়, সৌন্দর্যমন্ডিত বলে উপস্থাপন করাটা কি নারীকে খাটো ক া? অবশ্যই নয়। বরং এটা তাকে সম্মান জানানো। আর তার অনুপম বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা। (বিষয়টি ভাল করে জানতে পড়ুন- তুহফাতুল আলমায়ী-১/১৬০-১৬)

আল্লাহ্কে কে সৃষ্টি করেছে ?

অনেকে আছে নাস্তিক দেরকে আল্লাহতালার অস্তিত্ব বুঝাইতে যাইয়া এইভাবে উদাহরণ দেয় যে প্রত্যেক জিনিস এর একটা স্রষ্টা রয়েছে যেমন জামা পরি এমনেই তৈরী হয় নি তাতি কাপড় বানাইসে, তাতি লুমে কাপড় বানাইসে লুম এম্নে এম্নেই হয় নাই মেকানিক বা কারখানায় বানানো হইসে, লুম আর কারখানা চালাতে বিদ্যুৎ দরকার এম্নে এম্নেই হয় নাই টারবাইন ঘুরানো হইসে এই জন্যে বিদ্যুৎ উতপন্ন হইসে, তাই আমাদেরও স্রষ্টা রয়েছে। তখন নাস্তিকরা বলবে স্রষ্টাককে মেনে নেব যদি তুমি তোমার যুক্তি থেকে না সরো। তখন সে বলবে ঠিক আসে সরব না। আর সে ফেসে গেল কারণ নাস্তিক তখন জিজ্ঞাস করবে সব কিসুর স্রষ্টা থাকলে আল্লাহকে কে স্রিস্টি করেছেন? আসলে সব কিসুর স্রষ্টা আছে এইটা ঠিক। কিন্তু আল্লাহ এর স্রষ্টা নেই, তার কোনো শুরু নেই, তার সমতুল্য কিসু নেই, তিনি এক এবং তার তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন (আল্লাহ এর পরিচিতি রয়েছে সুরা এখলাস এ)। এখন অন্ধ নাস্তিক রা তো আর স্বাভাবিক কথা মানবে না কুরানের কথা মানবে না। অরা সেই যুক্তির লেজ ধরেই বসে থাকবে এবং আল্লাহকে কে স্রিষ্টি করসেন এই প্রশ্নে গো ধরে বসে থাকবে। যোগ্য উত্তর যোগ্য প্রশ্ন হতে পাওয়া যায়। আল্লাহকে কে স্রিষ্টি করসে? এই প্রশ্নটি প্রশ্ন হওয়ারই যোগ্যতা নেই । ধরুন আপনি একটি রুমে বসে আছেন ,মাথার উপরে ফ্যান ঘুরছে, ফ্যানের বাতাসে পর্দা নড়ছে। দেখুন, পর্দা কেন নড়ছে? ফ্যান ঘুরার কারণে। ফ্যান কেন ঘুরছে? কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ার কারণে। কারেন্ট কেন প্রবাহিত হলো ? কোন যন্ত্রের মাধ্যমে এটাকে তারের ভিতর দিয়ে পাঠানো হয়েছে। দেখুন পর্দা এক জিনিষ, আর সেটার নড়ার কারণ যে ফ্যান সেটা আরেক জিনিষ; ফ্যান এক জিনিষ, আর সেটা ঘুরার কারণ যে কারেন্ট সেটা আরেক জিনিষ; এভাবে কারেন্ট যে যন্ত্রের মাধ্যমে পাঠানো হলো সেটা আরেক জিনিষ ।এজন্যই পর্দার ক্ষেত্রে যেভাবে প্রশ্ন করা হচ্ছে ফ্যানের ক্ষেত্রে সেভাবে প্রশ্ন করা হচ্ছে না, ফ্যানের ক্ষেত্রে যেভাবে প্রশ্ন করা হচ্ছে কারেন্টের ক্ষেত্রে সেভাবে প্রশ্ন করা হচ্ছে না।পর্দার ক্ষেত্রে বলছি নড়ে কেন, কিন্তু ফ্যানের ক্ষেত্রে বলছি ঘুরছে কেন, এই উদাহরণের জিনিষগুলো সম্পর্কে আমি আপনি জানি বলেই যেভাবে প্রশ্ন করা সাজে ঐভাবেই আমরা প্রশ্ন করছি। আবার দেখুন, ধরুন আপনি কারেন্ট সম্পর্কে কিছু জানে না এমন একজন লোককে বললেন যে, ফ্যান ঘুরছে কারেন্টের কারণে। তখন কিন্তু এই লোকটা কারেন্ট সম্পর্কে অন্য কোন উল্টাপাল্টা প্রশ্ন না করে প্রথমেই জিজ্ঞাসা করবে কারেন্ট কি জিনিষ। আগে সে কারেন্টের প্রকৃতি বুঝতে চেষ্টা করবে। এটাই সাধারণ কমন সেন্সের দাবী। সুতরাং এই মহাবিশ্ব, স্থান এবং সময় যে কারণে অস্তিত্ব লাভ করলো সেই কারণটি সম্পর্কে অন্য কোন উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করার আগে আমাদের জানতে হবে সেই কারণটির প্রকৃতি কি। কি কি রকম প্রশ্ন তার ক্ষেত্রে মানায়। আরও একভাবে উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছিঃ তোমার প্রশ্নটিরই আসলে প্রশ্ন হওয়ার যোগ্যতা নেই । তোমার এই প্রশ্নটি প্রশ্ন হওয়ারই আদৌ যোগ্যতা নেই । প্রশ্ন হওয়ার যোগ্যতা বলতে একটা কথা আছে। ধরুন একজন মানুষ একটা বই বাধিয়েছেন। যে মানুষটা বইটা বাধিয়েছেন তার নাম ধরুন সাগরিকা। এখন আপনাকে একজন প্রশ্ন করল বইটা বাধিয়েছে কে? আপনার উত্তর হবে নিশ্চয়ই সাগরিকা। এখন আবার যদি লোকটা প্রশ্ন করে সাগরিকাকে বাধিয়েছে কে? আপনার কাছে কি কোন উত্তর আছে? না, নেই। কারন কি ? কারন প্রশ্নটা ঠিক হয় নি। সাগরিকার এর ক্ষেত্রে বাধানোর প্রশ্ন টা আসে না। আসে কি। সাগরিকার ক্ষেত্রে প্রশ্নটা করতে হবে এভাবেঃ সাগরিকাকে সৃষ্টি করেছে কে? এবার উত্তর টা কি হবে। নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তা বা আল্লাহ তা’আলা। এখন যদি প্রশ্ন করেন সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করেছে? তখন প্রশ্নটা কি “সাগরিকা কে বাধিয়েছে?” প্রশ্নটা এ রকম হয়ে গেল না? অর্থাৎ দেখতে হবে প্রশ্নটি আদৌ প্রশ্ন হওয়ারই যোগ্যতা আছে কি না । অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তার ক্ষেত্রে এই প্রশ্নটা প্রযোজ্য নয়। আর যে প্রশ্নটাই ভুল তার তো আর উত্তর পাওয়া যাওয়া সম্ভব না। http:// www.somewhereinblog.net/ blog/ Fuad1dinohin/29231413 http:// www.shodalap.org/ fuad/2359/