Pages

Thursday, March 6, 2014

ইরাক ইরান যুদ্ধ

TheShatt al-Arabwaterway on the Iran–Iraq border ১৯৮০ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে ।ইরানইরাক থেকে তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক শার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স পর্যায়ে নামিয়ে আনে । একই সাথেইরান, তার দেশ থেকে ইরাকী রাষ্ট্রদূতের প্রত্যাহার দাবী করে। তারিক আজিজকে হত্যা প্রচেষ্টার তিনদিন পরেই এক নিহত ছাত্রের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে পুনরায় হামলার ঘটনা ঘটে ।ইরাক , ইরানকে দোষারোপ করে সেপ্টেম্বর , ১৯৮০ তে ইরানের উপর হামলা চালায় [৯] ইরাকী দখলে চলে যাওয়া ইরানী শহর খোররাম শাহরএ অস্ত্র হাতে এক ইরানী মহিলা প্রতিরোধ যোদ্ধা , সেপ্টেম্বর-অক্টোবর , ১৯৮০ ১৭ সেপ্টেম্বর , পার্লামেন্টে এক ভাষণে সাদ্দাম হোসেন বলেন ,"ইরাকী সার্বভৌমত্বে উপর্যুপরি এবং নির্লজ্জ ইরানী হস্তক্ষেপ , ১৯৭৫ সালে স্বাক্ষরিত আলজিয়ার্স চুক্তিকে ইতিমধ্যে বাতিল করে দিয়েছে। শাতিল আরব নদী ঐতিহাসিক এবং নামকরণের দিক থেকে ইরাকের এবং আরবদের একচ্ছত্র অধিকারে ছিল , এবং এর উপর ইরাকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে" [১০] খোররামশাহর মুক্ত হওয়ার প্রাক্কালে গ্রেফতার হওয়ার ইরাকি সৈন্য ইরানআগ্রাসনের পেছনে ইরাকের নিম্নোক্ত কারণগুলো ছিল : শাতিল আরব নদীর মোহনা নিজেদের দখলে নেয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে তিনটি ইরানী দ্বীপ আবু মুসা , গ্রেটার টুনব এবং লেসার টুনব দখল করে নেয়া ইরানের খুজেস্তান প্রদেশ ইরাকে অন্তর্ভূক্ত করে নেয়া তেহরানের ইসলামী সরকারকে উৎখাত করা। এই অঞ্চলে ইসলামী বিপ্লব ছড়িয়ে যাবার সম্ভাবনাকে উৎপাটন করা ১৯৮০: ইরাকী আগ্রাসন।সীমান্ত বিরোধ এবং ইরাকের অভ্যন্তরে শিয়া জংগীদের ইরানি মদদ দেয়ার অভিযোগে১৯৮০ সালের২২ সেপ্টেম্বরইরাকি বাহিনী পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অবৈধভাবে ইরানি ভূ-খন্ড আক্রমণ এবং অনুপ্রবেশ চালায়। সদ্য ঘটে যাওয়া ইরানি ইসলামি বিপ্লবের নাজুক অবস্থাকে ব্যবহার করে ইরাক যুদ্ধে দ্রুত অগ্রগতি অর্জনের চেষ্টা চালায় । কিন্তু কার্যত সে চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় । ১৯৮২ সালের জুনের মধ্যেইরানতার হারানো সমস্ত ভূ-খন্ড পুনরুদ্ধার করতে সমর্থ হয় । এর পরের ৬ বছর ইরানি বাহিনী যুদ্ধে অগ্রসর ভূমিকায় ছিল[৫]। জাতিসংঘেরবারবার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ১৯৮৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয় । ২০০৩ সালে দু'দেশের মধ্যে সর্বশেষ যুদ্ধবন্দীর বিনিময় ঘটে।[৬][৭] প্রথম বিশ্বযুদ্ধেরকৌশলের সাথে এ যুদ্ধের বেশ মিল খুঁজে পাওয়া যায় । পরিখা , কাঁটাতার , মানব স্রোত, বেয়নেট চার্জ এ যুদ্ধে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় । ইরাকি বাহিনী ইরানি সৈন্য , বেসামরিক নাগরিক এবং ইরাকি কুর্দদের উপররাসায়নিক গ্যাসএবং মাস্টারড গ্যাস প্রয়োগ করে । পরিচ্ছেদসমূহ ১পটভূমি ১.১যুদ্ধের নামকরণের ইতিহাস ২যুদ্ধের সূচনা ২.১যুদ্ধের শুরুর ব্যাপারে ইরাকী অজুহাত এবং ইরাকী আক্রমণের উদ্দেশ্য ২.২১৯৮০: ইরাকী আগ্রাসন ২.৩১৯৮১: সাম্যাবস্থা ২.৪১৯৮৪: পারস্য উপসাগরে"ট্যাংকার যুদ্ধ" ৩যুদ্ধের অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য ৩.১"বড় শহরের যুদ্ধ" ৪বহিঃসংযোগ ৫তথ্যসূত্র পটভূমি [সম্পাদনা] যুদ্ধের নামকরণের ইতিহাস[সম্পাদনা] ইরাকের কুয়েত দখলকে কেন্দ্র করে ১৯৯১ সালেরউপসাগরীয় যুদ্ধেরআগে সাধারণভাবে ইরাক-ইরানযুদ্ধকেই উপসাগরীয় যুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করা হত । পরবর্তিতে কেউ কেউ একে প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করেন। যুদ্ধের শুরুর দিনগুলিতে সাদ্দাম হোসেন একে"ঘূর্ণিবায়ুর যুদ্ধ"হিসেবে উল্লেখ করতেন ।[৮] যুদ্ধের সূচনা [সম্পাদনা] যুদ্ধের শুরুর ব্যাপারে ইরাকী অজুহাত এবং ইরাকী আক্রমণের উদ্দেশ্য [সম্পাদনা] ইরাক যুদ্ধ শুরুর কারণ হিসেবে দক্ষিণ ইরাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারিক আজিজের হত্যা প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে।সাদ্দাম হোসেনের ভাষায়"ইরানী এজেন্ট"ঘড়ির কাঁটার আবর্তনের দিক অনুযায়ী: গ্যাস মাস্ক পরিহিত অবস্থায় যুদ্ধক্ষেত্রে ইরানী সৈন্য; খোররামশাহর মুক্ত করার পর ইরানি সৈন্যদের উল্লাস;ইরান-ইরাক যুদ্দ্হে ইরাককে মার্কিন সহায়তাকরার ব্যাপারেডোনাল্ড রামসফেল্ডএবংসাদ্দামএর আলোচনা;অপারেশন নিম্বল আর্চারএ মার্কিন নৌবাহিনীর আক্রমণে সমুদ্রবক্ষে ইরানি তৈল স্থাপনায় আগুন সময়কাল২২ সেপ্টেম্বর১৯৮০–২০ আগস্ট১৯৮৮ অবস্থানপারস্য উপসাগর,ইরান-ইরাক সীমান্ত ফলাফলযুদ্ধবিরতি; ইরাকী কৌশলগত পরাজয় , ইরানের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতা অধিকৃত এলাকার পরিবর্তন অপরিবর্তিত (status quo ante bellum) বিবদমান পক্ষ  ইরান কুর্দিশ ডেমোক্রেটিক পার্টি প্যাট্রিওটিক ইউনিয়ন অব কুর্দিস্তান ইরাক 22pxপিপলস মুজাহিদিন অবইরান বিভিন্নআরবদেশের সৈন্য এবং স্বেচ্ছাসেবক[১] নেতৃত্ব প্রদানকারী রুহুল্লাহ্‌ খামেনেই আবুল হাসান বানিসাদর আলি খামেনেই মোস্তফা শামরান † সাদ্দাম হোসেন আলী হাসান আল মাজিদ 22pxমাসুদ রাজাভি শক্তিমত্তা ৩০৫,০০০ সৈন্য অজানা সংখ্যক (আনুমানিক ৪০০,০০০ থেকে ৭০০,০০০) পাসদারানএবংবাসিজমিলিশিয়া ৯০০ ট্যাংক ১০০০ সাঁজোয়াযান ১০০০ আর্টিলারি ৪৪৭ টি যুদ্ধবিমান ৭৫০ টি হেলিকপ্টার[২] ১৯০,০০০ সৈন্য এবং আরবদেশগুলো থেকে অজানা সংখ্যক সৈন্য এবং স্বেচ্ছাসেবক ৫০০০ ট্যাংক ৪০০০ সাঁজোয়া যান ৭,৩৩০ আর্টিলারি ইউনিট ৫০০+ যুদ্ধবিমান ১০০+ হেলিকপ্টার[৩] প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি ৭০০,০০০ থেকে ১,০০০,০০০ সৈন্য/মিলিশিয়া/বেসামরিক নাগরিক নিহত (সরকারি সূত্র) [৪] আনুমানিক ৩৭৫,০০০ থেকে ৫০০,০০০ সৈন্য/মিলিশিয়া/বেসামরিক আহত/নিহত ইরান-ইরাক যুদ্ধেরসূচনা ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ।জাতিসংঘেরমধ্যস্ততায়১৯৮৮ সালের আগস্টে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে এর অবসান ঘটে। ইরানের কাছে এ যুদ্ধঅন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধ(جنگ تحمیلی, Jang-e-tahmīlī/জাংগে তাহমিলি) andপবিত্র প্রতিরোধ(دفاع مقدس, Defa-e-moghaddas/দেফা এ মাক্বাদ্দাস) .হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে ইরাকের সাদ্দাম হোসেন এ যুদ্ধকেব্যাটল অব ক্বাদেসিয়া(قادسيّة صدّام, Qādisiyyat Saddām) নামে অভিহিত করতেন।

2 comments: