Pages

Sunday, April 27, 2014

অবাক সম্মান ! লেখা:সজল আহমেদ

কামিলদার সাহেব ব্যাস্ত লোক।সর্বদা কাজের চাপ পোহাইতে হয় তাহাকে,একদন্ড বিশ্রাম করিবার সময় নাই তাহার হাতে।স্বীয় প্রতিষ্ঠান খানা টিকাইয়া রাখিতে কামিলদার প্রত্যহ প্রায় ১৪ ঘন্টা পরিশ্রম করিয়া থাকে। তাহার এইটা লইয়া প্রায় ০৬খানা গার্মেন্টস আছে!বিশাল ধনদৌলত তাহার কিন্তু তাই বলিয়া তিনি কিন্তু থামিয়া নাই বরংচ দিন দিন দৌলত আরো বাড়িয়া চলিতেছে।ঢাকা শহরে প্রায় ১১খানা বাড়ি ২টা মার্কেট ও ৩টি দামী নিশান পেট্রোল গাড়ি রহিয়াছে তাহার।শোনা যাইতেছে তিনি আরো ২খানা বাড়ি কিনিতে চান।ছেলে মেয়ে বলতে কিছুই নাই।তবুও যে এত ধন দিয়া তিনি কি করিবেন তাহা ভাবিয়া পাইনে। স্বভাবে তিনি প্রচন্ড রগচটা লোক,যাহা বলে সবার সামনে বসিয়াই বলিয়া ফেলেন,আর গালির মধ্যে দুটাই তিনি দিয়া থাকেন"গরু চোর" "থাপ্রামু"। একদিন নির্বাচনী মিটিংয়ে মেয়র সাহেব যেন কি একখানা অপরাধ মূলক বক্তব্য দিতেছিলেন,কামিলদার সাহেব মান্যগন্য লোক বলিয়া ঐ অনুষ্ঠানে তাহাকে দাওয়াত দেওয়া হইয়াছিল ।মেয়র সাহেবের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর কামিলদার সাহেবকে স্টেজে বক্তৃতা দিতে আমন্ত্রন জানানো হইল ।কামিলদার সাহেব বক্তৃতা শুরু করিলেন এই বলিয়া,"আসলে মেয়র সাহেব গরু চোরের মত কথাটি বল্লেন আমি তার সাথে একমত নও।কথাটি অন্য কেহ বল্লে আমি তাকে থাপ্রাতাম!"সেইদিন মেয়র সাহেব যে কি লজ্জাটা পাইলেন তাহা বলিবার অপেক্ষা রাখেনা। আরেকদিন তাহার স্ত্রী কি যেন একটা অপরাধ করিলেন তিনি রাগে কাপিতে,কাপিতে,ফুপাইতে,ফুপাইতে কহিলেন,"তোমার কাজকর্ম গরু চোরের মত!থাপ্রানো উচিত্‍"।কামেলদার সাহেবের স্ত্রী যে সেইদিন কি ভয়টা পাইয়াছিলেন তাহার স্বামীর তর্জন গর্জন শুনিয়া কি ভয়টা পাইয়াছিলেন তাহা বলিবার অপেক্ষা রাখেনা। গার্মেন্টস কর্মীরা কোন অপরাধ করিলেও কামিলদার সাহেবের ঐ একই গালি"গরুচোর,তোমাকে থাপ্রাব"। অবশ্যই সকলে বুঝিতে পারিয়াছেন যে কামিলদার সাহেব কেমন প্রকৃতির মনুষ্য! প্রতি বৃহস্পতিবার তাহার কাজের চাপ বেশি ,ঐ দিন কেহ তাহাকে ডিষ্টার্ব করিলে তাহার মাথা ১০০%গরম হইয়া যায়। আজ বৃহস্পতিবার,কামিলদার সাহেব নিজ মনে কাজ করিতেছিলেন এমন সময় গার্মেন্টস দারোয়ান সাহেব তাহার নিকট আসিয়া কহিলেন,স্যার এক বুড়া আপনের লগে দ্যাখা করবাম চায়। কেন? কইতাম পারিনো স্যার। ১ঘন্টা পর দেখা করতে বল। আইচ্ছা স্যার। দারোয়ান চলিয়া গেল কামিলদার সাহেব আপন মনে কাজ করিতেছে।১০মিনিট পর দারোয়ান আবার আসিল।কামিলদার সাহেব রাগিয়া কহিলেন, আবার কি চাই? স্যার বুড়া আপনের লগে বোলে অনেক জরুরী কতা কইব। তুমি বলনাই যে তিনি ব্যাস্ত? কইছি স্যার কিন্তু উনি উনার জরুরী কতা কইবে। কামিলদার সাহেব এবার বুড়োকে পাঠাইতে বলিলেন। কামিলদার সাহেব ফাইলের দিক তাকাইয়া কাজ করিতেছিলেন ,বুড়ো লোকটা কামিলদার সাহেবের রুমে প্রবেশ করিয়াই একখানা লম্বা সালাম দিলেন(বুড়ো আসিয়াছিল তাহার নাত্নির চাকুরী বিষয়ক আলাপ করিতে)।কামিলদার সাহেব সালামের জবাব দিতে যাইয়া মাথাটা উঁচু করিয়াই বিস্মিত হইয়া গেলেন!আহা এ যে, আঃ মান্নান স্যার,তাহার স্কুল শিক্ষক!ক্লাশ এইটে পড়াকালীন উনি ছিলেন ক্লাশ টিচার।চেয়ার হইতে দাঁড়াইয়া গেল কামিলদার সাহেব।এক দৌড়ে গিয়ে বুড়োর পা ছুঁইয়া সালাম করিল। বুড়ো ও বিস্মিত হইয়া কহিলেন,স্যার আপনি আমাকে ছালাম করিলেন!কে আপনি? কামিলদার সাহেব অতি আবেগ তড়িত্‍ হইয়া কাঁদো কাঁদো কন্ঠে কহিলেন,স্যার আমি কামিল আপনার মাথামোটা ছাত্র । বুড়ো নাম বলা মাত্র কহিলেন, কোন কামিল? কামিল:-স্যার আপনি যাকে গাধা বলে ডাকতেন।প্রতিদিন দুষ্টুমির জন্য কানে ধরে দশবার উঠা বসা করাতেন।বীজগনিতে অপরিপক্ক হওয়ায় যাকে আপনি এক্সটা ২ঘন্টা অঙ্ক শিখাতেন।আমি সেই কামিল।স্যার আপনার কি মনে আছে যে,ক্লাশ সেভেনে পড়াকালীন আমার পিতা আমার সব বইখাতা পুড়ে ফেলেছিল আমায় লেখাপড়া শিখাবেনা বলে।তখন আপনিই প্রায় ৩বছর আমার পড়ার খরচ চালিয়েছিলেন। এইবার বুড়ো লোকটা চিনিতে পারিল তাহার মাথামোটা ছাত্র কামিলদার কে। বুড়ো হতবাক হইয়া কহিলেন,তুমি মানে আপনি সেই কামিল?এতবড় হয়েছেন আপনি? কামিলদার অতিমাত্রায় শরম পাইয়া কহিলেন,স্যার আমি আপনার ছেলের মতো আর আপনি আমাকে আপনি আপনি করলে মনে হয়,পিতা তার সন্তান কে আপনি আপনি করে কথা বলছে।আপনি আমাকে গাধা কামিল ডাকেন।আপনার গাধা বলাও আমার কাছে আশির্বাদের মত। কামিলদার আবিষ্কার করিল যে তাহার শ্রদ্ধেও স্যার কে তিনি দাঁড়া করাইয়া রাখিয়াছেন।কামিলদার সসম্মানে তাহার স্যারকে কামিলদারের নিজের আসনে বসাইয়া তিনি বসিলেন স্যারের পায়ের নিকট। স্যার বলিল,কামিল তুমি ঐখানে বসলা কেন চেয়ারে বস। কামিলদার কহিল,স্যার গুরুজির সামনে আমি চেয়ারে বসতে পারবনা। বেলা ১১টায় কামিলদার গার্মেন্টসের সবাইকে ছুটি দিয়া দিলো (সাধারনত তাহার গার্মেন্টস ছুটি হইত রাত্র ১০টায়,আজিকা সে স্যারের সেবা করিবে বলিয়াই এইটা করিল।) স্যারকে লইয়া কামিল তাহার বাসায় গেল।স্যারে আদর যে কি পরিমান তাহারা ২ স্বামী স্ত্রী করিতে লাগিল তাহা ভাষায় প্রকাশ করিবার মত না!এরুপ আদর যত্ন তাহার ইহ জীবনে স্যার পান নাই। দুপুরে খানাপিনা শেষ করিয়া আঃ মান্নান স্যার তন্দ্রায় পড়িয়া গেল।ঘন্টা দুয়েক পর তাহার ঘুম ভাঙ্গিয়া গেলে তিনি অনুভব করিলেন কেহ একজন তাহার হাত পা টিপিতেছেছে।চক্ষু মেলিয়া দেখিল তাহার ছাত্র কামিলদার তাহার হাত পা টিপিতেছে।স্যারের ঘুম ভাঙ্গিয়াছে দেখিয়া কামিলদার এক দৌড়ে এক কাপ চা স্যারকে আনিয়া দিয়া আবার তাহার হাত পা টিপিবার কার্জে লাগিয়া গেল। স্যার পরম আবেগে একবার চক্ষু মুদিয়া উপরের দিক তাকাইয়া চক্ষু হইতে একফোঁটা জল ফেলিয়া দিলো এবং চরম তৃপ্তির সহিত কহিলেন,"আমি এতটা তো সৃষ্টিকর্তার কাছে আশা করিনাই,তবুও তিনি আমাকে দিলেন।এর চেয়ে আর পরম তৃপ্তির কি হতে পারে?"মান্নান স্যার উঠিয়া কামিলদারকে বুকে জড়াইয়া কহিলেন,"গাধারে আজ আমার শিক্ষক জীবন সার্থক হলো!" বিশ্বাস করিবেন কিনা জানিনা তখন সমস্ত বাড়ি আবেগে কাঁপিতেছিল আর কামেলদার সাহেবের স্যার শিশুদের মত ফোপাইয়া কাঁদিতেছিল। (সমাপ্ত)

Friday, April 25, 2014

বেজি স্যার জাফ্রিক-বাল!

jafarbal.jpg
ইস!অনুশোচনায় মাথার বালগুলো ছিড়ছি।স্যার জাফ্রিক বালের"বেজি"লেখাটা আজ পড়লাম,বাহ খুব সুন্দর !পড়ার পর কেন যেন ১বার বমি করেছি।
এইসব বালছাল লেখা শুধু ১০০কপি ইবুক হিসেবে মানুষ পড়ে।বই হিসেবে ১০পিস ও বিক্রি হয় কিনা আমার সন্দেহ আছে।তার চ্যালাদের হামরি হুমরি শুনে ১কপি ডাউনলোড করে পড়া শুরু করে দিলাম সত্যি বলতে এইরকম নিম্ন প্রজাতীর লেখা আমি আমার এই ভূবনে পড়িনাই! এইসব লেখকদের বই প্রকাশনী গুলো ছাঁপে কেন তা আমার বোধগম্য নয়। জাফ্রিক স্যারের যদি রাজনৈতিক ক্ষমতা না থাকত তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই বালের ছালের লেখাগুলো কোন পত্রিকার ম্যাগাজিনেও ছাঁপা হতনা। ষ্যাড় জাফ্রিকের লেখা মানেই ব্লা,ব্লা,ব্লা। এই লোক যে হুমায়ূন স্যারের ভাই তাও আমার বিশ্বাস হয়না!কারন হুমায়ূন আহমেদ যা লিখে গেছেন জাফ্রিক বাল ষ্যাড় তা ২০০বছর বাঁচলেও লিখতে পারবেনা। তাছাড়া ষ্যাড়ের ভিত্রে বসবাস করে হিংসা,বিদ্বেষ।শোনা যায় ষ্যাড়ের বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়ে ব্লগ লিখায় ষ্যাড় ক্ষেপে গিয়ে যুক্তি কুলাতে না পেরে তার চ্যালাদের হাতে "Tanvir Ahmad Arjel" নামক এক ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলেকে মেরে হাসপাতাল পাঠিয়েছিল।এবং ঐ ছেলেকে চীর জীবনের জন্য ব্লগ এবং ফেসবুকে ঢুকতে নিষেধ করেছিল। আজ জাফ্রিক বাল ষ্যাড়ের বিরুদ্ধে আমি লিখলাম,ষ্যাড় কে আমন্ত্রন জানালাম আমার বাল্ডা ছিড়তে। ষ্যাড় ভয় নাই আমি শিবির করিনা যে উল্টা আপনার বাল্ডা ছিড়ব।আপনিই অনায়াসে আমার বাল্ডা ছিড়ে নিতে পারবেন যেহেতু আমি আপনার মতো ক্ষমতাশীল লোক নও।বাপের ব্যাংকে ও আপনার মতো লোভীকে কিনার মতো টাকা পয়সা নেই।আপনি আসুন এবং আমার বাল্ডা ছিড়ে নিয়ে যান। ষ্যাড় আমি ৫লক্ষ জনতার সামনে দাড়িয়েও বলতে পারি আপনার লেখা গুলো আমাদের পারার কুদরতের আষাঢ়ে গল্প থেকেও নিকৃষ্ট।আপনি বলেন,আপনি নাকি লেখক!warp2.jpg ষ্যাড় আমি চিত্‍কার মেরে বলতে পারি"আপনি একজন বালের লেখক"এবং আপনার প্রতিটা লেখা আমি বালের চেয়েও ঘৃণ্য বলি।ষ্যাড় আমি প্রায় ১০টাকা খরচ করে আপনার লেখা নেট থেকে কালেক্ট করেছি।ষ্যাড় আমি আমার ঐ জলে যাওয়া ১০টাকার দাবী জান্নাচ্ছি। ষ্যাড় আমাকে আমার ১০টাকা ফেরত্‍ দিন। আসলে ভুলটা আমার,আগেই আপনার লেখার মানটা বন্ধুদের কাছ থেকে জেনে নেওয়া উচিত্‍ ছিলো!ষ্যাড় আমার ১০টাকা ফেরত্‍ দিন।
পরিশেষে বলি,ষ্যাড় আমার ১০টা ফেরত্‍ দিন এবং আপনার ঐ বাল্ছাল লেখা ছেড়ে দিয়ে ঘরে বসে হুক্কা টানুন কাজ দিবে।

Tuesday, April 22, 2014

হুমায়ূন আহমেদের বাংলা ইবুক(Jarfile)

হুমায়ূন স্যারের কিছু বাংলা ইবুক ডাউনলোড করুন। .বসন্ত বিলাপ Download 336 hits .শাদা গাড়ি Download 155 hits .ড.আব্দুস সোবাহান Download 55 hits .শাহ মকবুল Download 178 hits .জুকারবার্গের দুনিয়া Download 78 hits .হিমুর বাবার কথামালা Download 96 hits .যোগাযোগ মন্ত্রীর পদত্যাগ Download 55 hits .চোখ Download 10hits .ভূতমন্ত্র Download 60 hits .১৯৭১ Download 30 hits .গন্ধ Download 17 hits .হিমুর একান্ত সাক্ষাত্‍কার Download 33 hits .হিমু Download 413 hits .জলিল সাহেবের পিটিশান Download 14 hits .এবেলা Download 22 hits .পিপিলিকা Download 389 hits .রহস্য Download 17 hits .হিমু হওয়ার নিয়ম Download 222 hits .কৃষ্ঞপক্ষ Download 28 hits .ছায়াসঙ্গী Download 38 hits *.সাবধান মিসির আলী Download 50 hits

Saturday, April 19, 2014

হেঁদু ধর্মে পর্দার বিধান!

পাঠক,
এই বিষয়ে লিখিবার কোন আগ্রহই আমার ছিলনা ।কিন্তু আমার এক বন্ধু মানুষ নীলাভ নিলয় (Bahalul Majnun) এর অনুরোধে পোষ্টটি লিখিতে বসিলাম।
*হেঁদু দাদারা অনেক সময় খোঁটা দিয়া মুসলিমদের বলে তোমাদের ধর্মে মেয়ে জাতীকে বস্তায় ভরিয়া রাখে হু!আর আমাদের ধর্মে নাই।
আসুন দেখিয়া লই পর্দা সম্বন্ধে তাহাদের ধর্মে কিছু বলিয়াছে নাকি:-
নারীদের পর্দা অমুসলিমদের মধ্যে একটি ভুল ধারনা প্রচলিত রহিয়াছে যে ইসলাম নারীদের ছোট করিয়া রাখে, তাদের পর্দায় করিতে নির্দেশ দেয় ।এইটা আসলে তাহারা তাহাদের অজ্ঞানতার কারনে বলিয়া থাকে। ইসলাম শুধু নারীদের নয় পুরুষদেরও পর্দার কথা বলিয়া থাকে । আর প্রথমে পুরুষদের কথা বলা হইয়াছে তাহার পর নারীদের। যেমন কুরআনের ২৪ নম্বার সুরার ৩০ নম্বার আয়াতে পুরুষদের পর্দার কথা বলা হইয়াছে । এর পরের আয়াতে অর্থাৎ ৩১ নম্বার আয়াতে নারীদের পর্দার নির্দেশ দেয়া হইয়াছে । যদি পুরুষ এবং নারী উভয়ই শরীর ঢাকিয়া রাখে তাহা হইলে সমাজ হইতে ধর্ষন, ব্যভিচার, অবৈধ সম্পর্ক অনেক কমিয়া যাইবে । সৌদি আরব ধর্ষন, ব্যভিচার বা অনান্য নোংরামীতে সবচাইতে পিছাইয়া আছে । এর কারন হইল পর্দা এবং ইসলামী শরীয়তের বাস্তবায়ন ।
আমি অনেক হেঁদু ব্যক্তির কাছে শুনিয়াছি আথবা হেঁদু লেখকদের লেখা পড়িয়াছি যেইখানে তাহারা বলিয়াছে ইসলাম একখানা জঘন্য ধর্ম (নাউযুবিল্লাহ)কারন তাহারা মেয়েদের পর্দায় রাখিয়া দেয় । আমি খুব অবাক হইয়াছি, তাহারা কি নিজেদের ধর্মগ্রন্থ গুলো পড়ে না । তাহারা কি ভাবে এইসব কথা মুখে আনে । আপনারা অনেকেই হয়তো শুনিয়া অবাক হইবেন যে হেঁদু ধর্মেও নারীদের পর্দার কথা বলা হইয়াছে । যেমন- “যেহেতু ব্রহ্মা তোমাদের নারী করিয়াছেন তাই দৃষ্টিকে অবনত রাখিবে, উপরে নয় । নিজেদের পা সামলাইয়া রাখো । এমন পোষাক পড় যাহাতে কেউ তোমার দেহ দেখিতে না পায়।(ঋকবেদ ৮।৩৩।১৯)।
এইখানেই প্রমাণ হইয়া যায় যে হেঁদু ধর্মেও পর্দার বিষয়খানা স্পষ্ট ফুঁটিয়া উঠে।কিন্তু হেঁদুরা মুসলমানদের খাঁটো করিবার জন্য নাস্তিকদের সহিত একত্রিত হইয়া উচ্চ বাক্যে বলিয়া থাকেন যে পর্দা প্রথা আসলে তাহাদের ধর্মে নাই।আর মুসলমানরা নিকৃষ্ট কেননা তাহারা নারীদের পর্দা করিতে বলিয়া ধর্ষন হইতে রক্ষা করিয়া দেয়।
পর্দা না করিলে আবার ব্রাহ্মনদের বহুমুখি সুবিধা রহিয়াছে,কেননা যদি কোন হেঁদু যুবতী পর্দা করিতে শুরু করিয়া দেয় তাহা হইলে তো আর সেই যুবতী ব্রাহ্মনের সেবাদাসী হইতে চাহিবেনা,আর ব্রাহ্মন মহাশয় ও তো আর তাহার সহীত সঙ্গম করিতে পারিবেনা।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস,এই জন্যই বোধ হয় ব্রাহ্মন মহাশয়েরা হেঁদু ধর্মের পর্দার বিষয়খানা এড়াইয়া যায় এবং মুসলমানের সমালোচনায় মদ্দ মাতাল হইয়া পড়ে।
হায়রে হেঁদু!হায়রে ব্রাহ্মন!
আবার বলি তোরা মানুষ হ!

Thursday, April 17, 2014

"হেঁদু সমাচার"|শেষ পত্র

bolpondee.gif


হেঁদু দাদারা অনেক সময় বলিয়া থাকেন যে,"মুহম্মদ সঃ হইতে তাহাদের কেষ্ট(কৃষ্ঞ)বড়!"আর মসলমান হইতে হেঁদুই নাকি শ্রেষ্ঠ!খ্যাক খ্যাক খ্যাক হেসে মরলুম!হেসে মরলুম!
পাঠক আগেই দেখিয়া নিন মুহম্মদ সঃ সম্পর্কে জ্ঞানী গুনিরা কি বলিয়াছেন: মুহম্মদ সঃ এর জীবনি লিখিতে গিয়া ঐতিহাসিক খ্রীষ্টান লেখক 'উইলিয়াম মূর' অতি আবেগে বলিয়াছিলেন"

Muhammad(sm)was the master mind not only of his own age but of all ages!" অর্থাত্‍,মুহম্মদ সঃ যেই যুগে আবির্ভূত হইয়াছিলেন তাহাকে শুধু সেই যুগের মহামনীষী বলিলে চলিবেনা!বরংচ তাহাকে সর্ব কালের,সর্ব যুগের,সর্বশ্রেষ্ঠ মহামনীষী বলা চলে!

আবার

"বিশিষ্ট ঐতিহাসিক জোসেফ হেল বলিয়াছেন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনই একজন মহান ব্যক্তি ছিলেন, যাহাকে না হইলে বিশ্ব অসম্পুর্ন থাকিয়া যাইতো।তিনি নিজেই নিজের তুলনা। তাঁহার কৃতিত্বময় ইতিহাস মানব জাতির ইতিহাসে এক সমুজ্জল অধ্যায় রচনা করিয়াছে।"

আচ্ছা এইবার দাদাদের নিকট প্রশ্ন করি,

ওহে শ্রী কেষ্টের লইয়া কোন জ্ঞানী গুনী কি বলিয়াছিলেন,He was the master mind not only of his own ages?

অথবা কেউ কি বলিয়াছিলেন যে,

তিনি নিজেই নিজের তুলনা?

অথবা খ্রীষ্টান ঐতিহাসিকরা কি লিখিয়াছিলেন যে তিনি সমগ্র মানুষের শ্রেষ্ঠ মানুষ? ঐতিহাসিক মাইকেল এইচ হার্ট(Mickhel H Heart) তাহার The 100(একশ মনীষীর)জীবনি বইখানায় হযরত মুহম্মদ সঃ এর নাম খানা সর্ব প্রথম দিয়াছেন!কই আমি তো ঐ বইখানায় কেষ্ট ঠাকুরের নাম খানা পাইলাম না।একজন বা ২জন হেঁদু মনীষীর নাম পাইলাম তাহাও আবার অনেক,অনেক পৃষ্ঠা পর। হেঁদু দাদারা অনেক সময় খ্রীষ্টানদের নিজেদের পক্ষে রাখিবার জন্য একটা কথা বলিয়া থাকেন যে "যিশু খ্রীষ্ট(হযরত ঈসা আঃ) ও রামচন্দ্র নাকি একই মাঠে বকরি চড়াইতেন":পি। মূলত এইটা ছিল একজন হেঁদু কবির কবিতা।তিনি আবেগে আপ্লুত হইয়া খ্রীষ্টানদের দালালি করিতে ইহা লিখায়াছিলেন১৮০০সালে।একটা বিষয় ভাল করিয়া চিন্তা করিলেই তো ইহার সত্যতা পাওয়া যায় ,সেইটা হইল যিশু ও রামের জন্ম।যিশু খ্রীষ্ট(ঈসা আঃ) কবে জন্ম হইয়াছিলেন আর রামের ইতিহাস কবে গড়িয়াছে। হেঁদু দাদাদের নিকট একখানা প্রশ্ন রহিল, বেদে আছেঃ

একং ব্রহ্মং স্রষ্ঠং নে নাস্সিং কে কিংটং।

অর্থাত্,ঐ সৃষ্টি কর্তাকে সেজদা কর যাহার কোন শরীক নেই,যাহাকে দুনিয়ার চক্ষু দিয়ে দেখিতে চাইলে অন্ধ হয়ে যায়। আচ্ছা দাদা আপনারা তো দূর্গাকে দেখিয়া দেখিয়া,কালিকে দেখিয়া দেখিয়া পূজা দেন!লক্ষীকে দেখিয়া দেখিয়া পূজা দেন!কোন দিন কি আপনাদের ভগবানকে দেখতে গিয়া চোখ অন্ধ হইয়াছে? হেঁদু দাদার অনেক সময় খোঁটা মারিয়া বলে যে,মুসলমানের ধর্ম মাত্র ১৪০০বছর পূর্বের আর আমাদের ধর্ম কত পুরোনো! আহা মধু মধু,আসলে হেঁদু ধর্ম বলিতে কিছু নাই।হেঁদু একটা জাত।এই ধর্মের মূল নাম হইল সনাতন ধর্ম।এখন ও ইন্ডিয়ার মাটি খুড়িলে আর্য পুরাতন নিদর্শন পাওয়া যাইবে। ইসলাম ধর্ম যে কত পুরোনো উহা জানিতে হইলে আগে কোরআন ও আদম আঃ এর জীবনি পড়িতে হইবে।পৃথিবীর সর্বপ্রথম ধর্মই ইসলাম।আর প্রথম মানুষ ও ছিল নিষ্পাপ মুসলিম।খ্রীষ্টান ও ইহুদি ধর্মেও প্রথম মানুষ হিসেবে আদম আঃ এর নাম আছে ।শুধু মাত্র মা হাওয়া আঃ এর নাম "ইভ"উল্লেখ করিয়াছে বাইবেলে। আপনি কি জানেন হেঁদু ধর্মটা আসলে শয়তানের সৃষ্ট ধর্ম ? কারন আপনি হাবিল কাবিলের জীবনি পড়িলে দেখিবেন এই দুই ভাইয়ের এক ভাইকে শয়তানে ধোঁকা দিয়া মূর্তি পূজা করাইয়াছিল!আর হেঁদুরাও এই মূর্তি পূজা ব্যাপক আকারে করিয়া থাকে। হেঁদু দাদারা অনেক সময় রাসুলুল্লাহ সঃ এর বিবিদের নিয়া খোঁটা দিয়া থাকেন যে তাহারা এতগুলা বিবি কেন? আমি হেঁদু দাদাদের বলি,এই প্রশ্ন করিবার আগে একবার আপনার কেষ্ট মহাশয়ের দিকে তাকাইয়া দেখেন তাহার ছিল ১৬০০১জন বৌ!আর মেইন বৌ ছিল ৮জন। হেঁদু দাদারা বলিয়া থাকেন যে আরব্য ইতিহাস নাকি বর্বর ! দাদা আপনাদের ইতিহাস পড়িলে একখানা শিশু ও লাফাইয়া উঠিয়া কহিবেন,এরা কি মানুষ্য নাকি রাক্ষস খোক্ষসের দল? আপনাদের সৃষ্টিকর্তা কার্টুন হয় আমাদের নয়।বিভিন্ন ভারতী কার্টুন যাহারা ছোটবেলায় দেখিয়াছেন তাহারা কি দেখেন নাই দাদাদের কার্টুন দেব দেবী? এখন দাদারা বলেন যে আপনারা আমাদিগ হইতে কোন জায়গায় বড় আছেন? পেছনে না সামনে? উপড়ে না নিচে? নাকি কোনে কোনে? কয়েকটা দিক হইতে আপনাদের শ্রেষ্ঠ বলিতে হয়।
  • ১.পর্ণে।
  • ২.বুদ্ধিহীনতায়।
  • ৩.হিংস্রতায়।
  • ৪.ভূয়ামিতে ,মিথ্যা ইতিহাস তৈরীতে।
  • ৫.ইনসেস্ট।
  • ৬.পরধর্মে অসহিষ্ঞুতায়।
  • ৭.মুসলিম খুনে।
  • ৮.ধর্ষনে।
  • ৯.ছাগলামিতে।
  • ১০.জাতী বিভাগে।
  • ১১.চটিতায়
হেঁদু ধর্মে আবার ব্রাহ্মনরা সৃষ্টিকর্তা হিসেবে পূজা পায় তাই ব্রাহ্মনরাই হেঁদু ধর্মে সৃষ্টিকর্তার মতো আচরন করিয়া থাকে। মুসলমানদের মধ্যে কিন্তু উহা নাই মুসলমান ফকির ও যা রাজাও সেই একই ভাবে সৃষ্টিকর্তার নিকট বিবেচ্য ! হেঁদু দাদার এখন মুসলমানদের হইতে কোন দিক দিয়া আগাইয়া আছেন? বুদ্ধিতে না ধর্মে কর্মে? কোন দিক দিয়াই আপনারা আমাদিগ হইতে আগাইয়া নাই।শুধু ছাগপালের মতো ব্যা ব্যা করিতে পারেন। হেঁদু দাদাদের আমি প্রকাশ্যে দাওয়াত দিয়া দিলাম তাহাদের অনুরোধ করি আপনার সত্য ধর্ম ইসলাম ধর্ম গ্রহন করিয়া ফেলেন আখিরাতে শান্তি পাইতে হইলে।
হেঁদুসমাচার সমাপ্ত।

Tuesday, April 15, 2014

ইসলামি বাংলা ইবুক (জাভা-jar file)

পাঠক আগেই জেনে রাখুন এই ইবুক ডাউনলোড করলে আমার কিঞ্চিত পরিমান ও লাভ হবেনা।
তবুও ইসলামি ইবুক বলে আপনাদের সুবিধার্থে এই ইবুক গুলো দিলাম।

অতিথি আপ্যায়ন
(Download)


মালিকের তওবা
(DOWNLOAD)


মুসা আঃ ও খিজির আঃ
(DOWNLOAD)


ইমরান হারুন
(DOWNLOAD)

কুরআন বাংলা
(DOWNLOAD)

হাদীসের গল্প

(DOWNLOAD)

সমর্পন
(DOWNLOAD)

মদিনার পথে
(DOWNLOAD)

কাজী সুরাইয়ার ন্যায় বিচার
(DOWNLOAD)

দজ্জালের আগমন
(DOWNLOAD)

মহিলা ও তার জুতার গল্প
(DOWNLOAD)

যাকাত না দেয়ার পরিনাম
(DOWNLOAD)

পকেট কুরআন
(DOWNLOAD)

Monday, April 14, 2014

হেঁদু সমাচার|৪র্থ পত্র

প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বে যাহা আলোচনা করেছিলুম ১.হেঁদু মা কালী। ২.হেঁদু চরিত্র ও তাহাদের জ্ঞান। ৩.জ্ঞান বিজ্ঞানে হেঁদু ও তাহাদের মনীষী বৃন্দ। এপর্বে আলোচনা করিবঃ

হেঁদুরা নারীকে যে সম্মান দেয়।

হেঁদু দাদারা অনেক সময় বলিয়া থাকেন যে মুসলিমরা নাকি নারীদের অধিকার দেয় নাই।কিন্তু আমাদের হেঁদু ধম্মে নারী পুরুষের সমান অধিকার রহিয়াছে! হেঃহেঃহেঃ হেসে মরলুম। আসেন দেখি হেঁদু ধর্মে নারী পুরুষের সম অধিকার এক নজরে দেখিয়া লই,

হেঁদু ধর্ম পুরুষকে বসাইয়াছেন প্রভুর (দেবতার) আসনে আর নারীকে করিয়াছেন গোলাম ! মনুসংহিতার [৫:১৫৪] তে বিধান রহিয়াছেঃ বিশীলঃ কামবৃত্তো বা গুণৈর্বা পরিবর্জিতঃ । উপচর্যঃ স্ত্রিয়া সাধ্বা সততং দেববত্ পতিঃ \\ ১৫৪ \ \ অর্থঃ “পতি সদাচারহীন (চরিত্রহীন) পরস্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কযুক্ত বা গুণহীন হলেও সতী স্ত্রী সেই পতিকে দেবতার মতই পুজো করিবে।” সূত্রঃ মনুসংহিতার [অধ্যায়-৫, পৃষ্ঠা- ১৬২, শ্লোক-১৫৪, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়] [!] পতির সব দোষই নিবরে সহ্য করিবে পত্নী কিন্তু পত্নীর কোন দোষ করা চলিবে না। পতির পরস্ত্রীতে আসক্ত হওয়াটা কোন দোষের নহে।হেঁদু ধর্মে রহিয়াছে পতির মৃত্যুর পর পত্নীর পুনরায় বিয়ে করা যাইবে না। কিন্তু পত্নীর মৃত্যু হইলে দাহ ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে পুরুষ পুণরায় বিয়ে করিতে পারিবে। পুরুষ তাহার অতিক্রিয়া নিবৃত্ত করার জন্য পুনরায় বিয়ে করিতে পারিবে কিন্তু যে মেয়ের স্বামী বিবাহের রাতে কিংবা বিবাহের দু’তিন মাসের মধ্যে মরিয়া যায়; সেই মেয়েকে কেন সারাটি জীবন বিধবা সাজিয়া থাকিতে হইবে? হিন্দু ধর্মে মেয়েদের অতিক্রিয়ার কি কোনই মূল্য নাই? হিন্দু ধর্মে আছেঃ কামনত্ত ক্ষপয়েদ্দেহং পুষ্পমূলফলৈঃ শুভৈঃ । ন তু নামাপি গৃহ্নীয়াত্ পত্যৌ প্রেতে পরস্য তু \\ ১৫৭ \\ অর্থঃ ”পতির মৃত্যুর পর পত্নী ফলমূলের স্বল্পাহার দ্বারা দেহ ক্ষয় করিবে, তবু পর পুরুষের নাম করিবে না।” সূত্রঃ মনুসংহিতা [অধ্যায়-৫ , শ্লোক- ১৫৭, পৃষ্ঠা- ১৬৩, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়] ভার্যায়ৈ পূর্বমারিণ্যৈ দত্ত্বাগ্নীনন্ত্যকর্মণি । পুনর্দারক্রিয়াংকুর্যাত্ পুনরাধানমেব চ \\ ১৬৮ \\ অর্থঃ ”পত্নীর মৃত্যুর হইলে দাহ ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে পুরুষ আবার বিয়ে করিবে।” সূত্রঃ মনুসংহিতা [অধ্যায়-৫, শ্লোক-১৬৮, পৃষ্ঠা-১৬৪, অনুবাদ- সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়] অপর এক মতে আছেঃ বিয়ে ছাড়া নারীর মুক্তি নাই। কাঙ্খিত স্বর্গ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে নারীদের অবশ্যই বিয়ে করিতে হইবে। নারীরা চিরকুমারী থাকিতে পারিবে না। কিন্তু পুরুষেরা চিরকুমার হইয়া থাকিতে পারিবেন।

তাহা হইলে হিন্দু ধর্মে নারী-পুরুষের সম অধিকার কোথায়?এছাড়াও হেঁদু ধর্মে নারী তাহার পুত্রের সম্পত্তি হইতে এতটুকুও পায়না।নারীরা নাকি পুরুষের দাস ইহাও হেঁদু ধম্মের মূলনীতি! আসুন এইবার দেখি ইসলাম নারীকে কি মর্যাদা দিয়া থাকে। ইসলাম নারীকে দিয়াছে মায়ের মর্যাদা,ইসলাম নারীকে দিয়াছে বোনের মর্যাদা,ইসলাম নারীকে দিয়াছে পত্নির মর্যাদা!ইসলাম নারীকে দিয়াছে পিতার সম্পত্তি হইতে অধিকার,ইসলাম নারীকে দিয়াছে স্বামীর সম্পত্তি পাইবার অধিকার,ইসলাম নারীকে দিয়াছে ব্যবসা ,জিহাদ(হিজাব সহকারে) করিবার অধিকার,ইসলাম দিয়াছে মায়ের পদ তলে বেহেস্ত।ইসলামে বলা হয়নি যে,তুমি তোমার স্ত্রীকে অল্প দোষে গায়ে হাত তুলিবে।বিনা কারনে স্ত্রীকে তালাকের বিধান ও ইসলামে নাই।হেঁদুদের মতো ইসলামে নারীরা পুরুষের দাস নয়।নারী পুরুষ উভয়ই আল্লাহর দাস।ইসলামে ।হাদীসে আছে, যেই লোকের ৩টি কন্যা হইবে ঐ লোকটা জান্নাতি।হেঁদু দাদারা অনেক সময় বলিয়া থাকেন যে ইসলাম নারীকে যদি অধিকারই বেশিই দিয়া থাকে তাহা হইলে নারী দিগকে কেন কালো বস্তায় ঢুকিয়া থাকিবার নির্দেশ দেয়। আমি ঐ দাদাকে আমার লেখা"ধর্ষন ও ইভটিজিং কেন হয়"লেখাটি পড়িতে বলিব।তাহা হইলেই ঐ দাদা বুঝিতে পারিবেন যে,আসলে নারী পর্দা অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।আর পর্দাতো তাহাদের ধর্মেও রহিয়াছে। এইবার চলিয়া আসি মূল আলোচনায় ,হেঁদুরা যে বলিয়া থাকেন যে ইসলামের চাইয়াও হেঁদু ধর্মে নারীদের সম্মান বেশি দিয়াছে!আহা মধু!মধু!মধু! আমরা ইতিহাসের সেই সতীদাহ প্রথা কি ভুলিয়া গিয়াছি যেটা হেঁদু ধর্মে প্রচলিত ছিল? জীবন্ত নারীকে মৃত স্বামীর সহিত পুড়িত হইত চিতার অনলে!কি নির্মম কি নিষ্ঠুর! বিয়ের আগে নারীকে থাকিতে হইত ব্রাহ্মনদের সেবাদাসী হইয়া।ব্রাহ্মনরা ঐ নারীর সহিত সঙ্গম করিয়া তাহার পেটে ব্রাহ্মনের অবৈধ বাচ্চা ঢুকাইয়া দিতো!আমরা কি ভুলিয়া গিয়াছি তাহা?ইহার পরেও কি হেঁদু দাদারা তাহাদের নারীর প্রতি অধিকার রক্ষার আলোচনা করিবে? পাঠক আপনারাই বিবেচনা করিয়া বলেন নারীদের কাহারা বেশি অধিকার দিয়াছে,ইসলাম নাকি হেঁদু?